এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

দ্রুত ও সহজে ড্রাইভিং শেখার ১০টি কার্যকর টিপস 

 🚗 দ্রুত ও সহজে ড্রাইভিং শেখার ১০টি কার্যকর টিপস ✅


ড্রাইভিং শেখা 🎯 শুধু একটি দক্ষতা নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই দ্রুত গাড়ি চালানো শিখতে চান, কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে সমস্যায় পড়েন। তাই আজ আমরা আলোচনা করব দ্রুত ও সহজে ড্রাইভিং শেখার ১০টি কার্যকর টিপস, যা আপনাকে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসের সাথে গাড়ি চালাতে সাহায্য করবে।


১️⃣ প্রথমে ট্রাফিক আইন ও সাইন বোর্ড বুঝুন 🛑

ড্রাইভিং শেখার আগে 🚦 ট্রাফিক আইন, সড়ক সংকেত (Road Signs) ও রাস্তার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। এটি আপনাকে দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা বাড়াবে।


২️⃣ একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের সাহায্য নিন 👨‍🏫

নিজে নিজে শিখতে গেলে ভুল বেশি হতে পারে। তাই একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শেখা 🏁 সবসময় নিরাপদ এবং কার্যকর।


3️⃣ গাড়ির বেসিক নিয়ন্ত্রণ শিখুন 🎛️

ড্রাইভিং শেখার আগে গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন— স্টিয়ারিং, ব্রেক, এক্সিলারেটর, ক্লাচ (Manual Car হলে) ও গিয়ার 🕹️ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিন।


4️⃣ নিরাপদ স্থানে প্র্যাকটিস করুন 🏞️

প্রথম দিকে ফাঁকা মাঠ বা যানজটবিহীন রাস্তা 🛣️ বেছে নিয়ে গাড়ি চালানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনি সহজেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে পারবেন।


5️⃣ হালকা গতি বজায় রাখুন 🚘

গাড়ি চালানোর সময় দ্রুত গতিতে চালানোর চেষ্টা করবেন না। শুরুতে ধীরে ধীরে গাড়ি চালানোর অভ্যাস করুন এবং নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালানো শিখুন।


6️⃣ আয়নার সঠিক ব্যবহার করুন 🪞

ড্রাইভিংয়ের সময় রিয়ারভিউ মিরর ও সাইড মিররের ব্যবহার 🚗 খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আশপাশের যানবাহনের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবে।


7️⃣ হাত সঠিকভাবে স্টিয়ারিংয়ে রাখুন 👐

অনেক নতুন চালক স্টিয়ারিং খুব শক্ত করে ধরে রাখেন, যা ভুল। দুই হাতে ব্যালেন্স রেখে স্টিয়ারিং কন্ট্রোল করুন। এতে গাড়ি চালানো সহজ হবে।


8️⃣ ব্রেক ও এক্সিলারেটরের ব্যবহারে দক্ষতা আনুন ⚙️

ব্রেক ও এক্সিলারেটরের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে 🛑 দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। হঠাৎ ব্রেক না ধরে ধীরে ধীরে থামার অভ্যাস করুন।


9️⃣ সতর্ক ও মনোযোগী থাকুন 👀

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন 📵 ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ রাস্তায় রাখুন।


🔟 আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন 💪

গাড়ি চালানোর সময় নার্ভাস না হয়ে ধীরস্থির থাকুন এবং ধাপে ধাপে দক্ষতা অর্জন করুন।


🏁 শেষ কথা:

উপরের এই ১০টি কার্যকর টিপস অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ও দ্রুত ড্রাইভিং শিখতে পারবেন। 🚗💨 ধৈর্য ধরে অনুশীলন করুন, নিরাপদ ড্রাইভিং করুন এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ান!


আপনার যদি ড্রাইভিং শেখার অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্টে জানান! ✍️💬


#DrivingTips 🚗

#EasyDriving 🛣️

#DrivingSafety ⚠️

#LearnToDrive 📚

#SafeDriving 🏁

#CarDriving 🚘

#DriveSmart ✅

#TrafficRules 🚦

#NewDriver 🆕

#DrivingSchool 🏫

#RoadSafety 🛑

#BanglaDrivingTips 🇧🇩

#DrivingPractice 🏎️

#DriverLife 👨‍✈️

#CarControl 🎛️

সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন (ঘরে বসেই সংশোধন করুন  ( A to Z) 

 সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন (ঘরে বসেই সংশোধন করুন  ( A to Z) 


অনেকেই এই সমস্যা নিয়ে গ্রুপে পোস্ট করেন, সংশোধন করার আগে আমি নিজেও এই গ্রুপে খোজ নিয়েছি। এখন নিজে এই কাজটি করে যেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেটার আলোকে এই  গ্রুপের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার আমার এই আর্টিকেলটি লেখা।


কিছু বেসিক তথ্য দিয়ে শুরু করছি


* সংশোধন অনলাইন/অফলাইন দুভাবেই করা যায়। তবে দালাল বা কোন প্রকার থার্ড পার্টি ছাড়া ঝামেলামুক্ত ভাবে কাজ করার জন্য অনলাইন আমার সাজেশনে থাকবে। কারণ এখানে হাতে ফ্রম ফিলাপ করার কিছু নাই। হাতে লিখলে আপনার ভুল ওরা ধরবেই। এই জন্য অনলাইন করা সুবিধাজনক। আপনাকে দৌড়াদৌড়ি/পরিশ্রম কিছুটা কম করতে হবে। তাই আমি আজকে শুধু অনলাইন প্রসেস নিয়ে লিখবো।


আমি গতকালকে (০৯/১০/১৯ ইং) আমার সংশোধিত সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। তাই প্রথমেই আমার খরচের হিসাব দেই তাহলে পরবর্তী কাজ সহজে বুঝতে পারবেন। 


*পত্রিকায় বিজ্ঞাপন- ৩০০ টাকা

*নোটারি পাবলিক -৫০০ টাকা (কম বেশি লাগতে পারে)

*আবেদেন ফি ৫৫৮×2= ১১১৬ টাকা (এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি)

সার্টিফিকেট উত্তলন ফি ৫৫৮×২= ১১১৬ টাকা (২টি)


আমার মোট খরচঃ ৩০৩২ টাকা


ট্রান্সপোর্ট বাবদ আরো কিছুটা খরচ হবে। তবে ২ টি সার্টিফিকেটের জন্য মোটামোটি ৩০০০-৩৫০০ টাকা খরচ হবে। 


#নোটারি_পাবলিক

নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে।প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে। 


#পত্রিকায়_বিজ্ঞাপন

হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।


এই ২ টি কাজ সম্পাদন করার পর আপনি যেই স্কুল বা কলেজে লেখাপড়া করেছেন সেটির সাহায্য লাগবে। (অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে এর কোন বিকল্প নেই)


এবার আপনি উপরে উল্লেখিত ২ টি কাগজ + আপনার বাবা-মা নাম সংশোধন হলে উনাদের সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড /আপনার নিজের হলে জন্ম সনদ নিয়ে সরাসরি আপনার প্রতিষ্ঠানে চলে যান। এই কাজটি আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন না,,কারণ এটি কলেজের EIIN ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয়। এর একটিই সুবিধা আপনাকে শিক্ষা বোর্ডে যেতে হচ্ছে না,,নিজের স্কুল থেকেই কাজ হয়ে যাবে।  টপিকে ফিরে আসি,,


এই কাগজগুলো রেডি করে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জানান।  উনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার অপারেটরকে অনলাইন আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দিবেন৷  তখন সে আপনার ডুকুমেন্ট স্ক্যান করে আবেদন করে দিবে এবং আপনার ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে সাথে সাথে। তারপর উনি আপনাকে সোনালি ব্যংকে আবেদন ফি জমা দেওয়ার জন্য একটা রশিদ দিবেন।  ৫৫৮ টাকা জমা দিতে হবে (প্রতিটির জন্য)। টাকা জমা দেওয়ার পর রশিদ অবশ্যই যত্ন করে রাখবেন। আবেদন ফি জমা না দিলে আপনার আবেদন গৃহীত হবে না। আবেদন ফি জমা করার পর আপনার জন্য এডুকেশন বোর্ডের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা প্রোফাইল ক্রিয়েট হবে। 


(লগ ইন লিংক: https://efile.dhakaeducationboard.gov.bd/index.php/name/lastupdate ) 


 সেখানে লগ ইন করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই করে সর্বশেষ অবস্থা ট্রেক করতে পারবেন। টাকা জমা দেওয়ার পর ঝিম ধরে ৩ মাস বসে থাকুন। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৩ মাস বা এর বেশি সময় লাগবে। যখন কাজ শেষ হবে তখন আপনার ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে এবং আপনি আপনার প্রোফাইলে লগ ইন করবেন। সেখানে   আপনার জন্য নতুন একটা অপশান আসবে "ডুকুমেন্ট উত্তলন"।  সেই অপশনে গিয়ে আপনি ডকুমেন্টস উত্তোলনের আবেদন করবেন। এবার কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই,  কারণ এখন আপনার কাছে সেই সাইটে লগ ইনের জন্য পাসওয়ার্ড আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যেই ডকুমেন্ট উত্তোলন করতে চান সেটার জন্য ঘরে বসে আবেদন করুন৷ (যদি বাসায় ককম্পিউটার না থাকে তবে যেকোন কম্পিউটারের কাজ করে এমন দোকানে এই কাজ করতে পারবেন) আবেদন করার পর উত্তোলন ফি বাবদ ৫৫৮ টাকার সোনালি ব্যংকে পে করার জন্য একটা ডকুমেন্টস পেয়ে যাবেন। সেটা নিয়ে ব্যাংকে যান। আগের মতোই ফি জমা দিন। কাজ শেষ, এবার ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। তারপর আপনার ফোনে ম্যাসেজ আসবে আপনার ডকুমেন্টস রেডি। তখন আপনি আবার আপনার প্রোফাইলে লগ ইন করে উত্তোলন করার চুড়ান্ত ডকুমেন্টস আছে সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এবার আপনাকে প্রথমবারের মতো শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে।  সেখানে গিয়ে ৪ নম্বার ভবনের ৫ তালায় আপনার অরিজিনাল সার্টিফিকেট জমা দিন। এর পর দিন বিকালে আবার সেই অফিসে যান,, চুড়ান্ত ডুকুমেন্টস+ ব্যাংকে যে ফি জমা দিছিলেন সেটার মুল কপি জমা দিয়ে বুঝে নিন আপনার নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট। 


আমার সম্পূর্ণ প্রসেসটা শেষ হতে ১৪৩ দিন সময় লেগেছে। তাই অনলাইনে কোন প্রকার তদবীর ছাড়া + অতিরিক্ত কোন টাকা প্রদান ছাড়া কাজটা করতে হলে আপনাকে একটু ধের্য ধরতেই হবে। আর মনে রাখবেন,,আপনি বৈধ উপায়ে কাজ করলে যে তৃপ্তিটা পাবেন সেটা আর কিছুতে পাবেন না। আর এখন এটা আরো সহজ, কারো টেবিলে ফাইল নিয়ে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই। সবাই সচেতন হলেই প্রতিটা দপ্তর হবে দূর্ণীতিমুক্ত।


আমরা সপ্ন দেখি দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের।

# পোস্টটি জনস্বার্থে শেয়ার করুন

#collected

প্রিয় অভিভাবক, আপনাকে বলছি,,,

 প্রিয় অভিভাবক, আপনাকে বলছি! 

ভালো ছাত্র/ ছাত্রীর খেতাব, জিপিএ-৫ সার্টিফিকেটের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো মানুষ হওয়া। ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি সন্তানকে ভালো ছাত্র ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।

ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানকে উচ্চ বেতনে পড়াচ্ছেন বলে আর কোনো খোঁজখবর নেয়ার প্রয়োজন নেই- এমন ভ্রান্ত ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না। আপনার সন্তানের দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।

সন্তানকে তার সহপাঠীদের সাথে পড়ালেখা, ফলাফল বা অন্য কোনোকিছু নিয়েই তুলনা করবেন না।

সে তার মতো অনন্য- এ বিশ্বাস নিয়েই তাকে এগোতে উদ্বুদ্ধ করুন।

পরীক্ষার হল থেকে বের হতেই প্রশ্ন ধরে ধরে উত্তর জানতে চাওয়া/অন্যদের সামনে এ নিয়ে তাকে অপদস্থ করা/বাসায় গিয়েও বকাঝকা করা থেকে বিরত থাকুন।

উৎসাহ দিয়ে তাকে পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করুন।

সন্তানের সামনে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক-শিক্ষিকার সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।

সন্তানকে সকালে ভরপেট নাশতায় অভ্যস্ত করান। স্কুলের জন্যে ঘরে তৈরি টিফিন ও পানি সাথে দিতে সচেষ্ট থাকুন।

অভিভাবক বৈঠকে মা ও বাবা দুজনেই অংশ নেয়ার চেষ্টা করুন।

সন্তানের কৃতিত্ব বা সাফল্যে 'আমার ছেলে/ মেয়ে' আর ভুল কিছু করে ফেললে 'তোমার ছেলে/ মেয়ে' বলে মা ও বাবা পরস্পরকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় নোটিশ, নিয়ম, প্রতিদিনের পড়া, স্কুলে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে কেমন কাটল-তা সন্তানের কাছ থেকেই জানুন।

সন্তানের খোঁজখবর রাখার জন্যে সহপাঠী ও শিক্ষকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

সন্তান ছোটখাটো ভুল করলে সাথে সাথেই বিচার-দরবার-শাস্তি না করে বুঝিয়ে বলুন।

সন্তানকে দায়িত্ব-সচেতন ও লক্ষ্যাভিসারী করে গড়ে তুলুন। তাহলে সে নিজ থেকেই ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জনে সচেষ্ট হবে।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রয়োজন আছে কিন্তু ইংলিশ কালচারের কোনো প্রয়োজন আমাদের নেই। তাই সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে না পড়িয়ে প্রয়োজনে ইংলিশ ভার্সনে পড়ান।

পড়ার সময় মোবাইল ফোন নিজের কাছ থেকে দূরে রাখতে সন্তানকে উৎসাহিত করুন।

১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে সন্তানকে স্মার্টফোন দেবেন না।

পরীক্ষায় ভালো করলে বিলাসদ্রব্য/প্রযুক্তিপণ্য কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেবেন না।

সন্তানকে দেশ-বিদেশের নানা গল্প, শিক্ষামূলক বই ও স্মরণীয় ব্যক্তিদের জীবনী পড়তে উৎসাহিত করুন। বইমেলায় অংশ নিন।

গ্রন্থাগারে নিয়ে যান। বই পড়ার অভ্যাস তার পাঠকসত্তাকে জাগ্রত করবে।

সহপাঠীর সাথে কোনো দ্বন্দ্বে অভিভাবকেরা পারতপক্ষে জড়াবেন না। তাদেরকেই মীমাংসা করতে দিন। না হলে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলুন। তবে কখনোই সন্তানের অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে অপর সহপাঠী ও অভিভাবকদেরকে শাসাবেন না, হুমকি-ধমকি দেবেন না।

সন্তানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাসখানেক আগেই বাসার সবাই টিভি দেখার প্রবণতা কমিয়ে দিন। তাহলে সন্তানকেও টিভি না দেখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।

সন্তানের নামে জনে জনে অভিযোগ ও দুর্নাম করবেন না। সন্তানের ভালো আচরণ ও গুণগুলোর প্রশংসা করুন। উৎসাহিত করুন তার দুর্বলতাগুলো অতিক্রম করতে। এতে সে আত্মবিশ্বাসী ও শুদ্ধাচারী হয়ে গড়ে উঠবে।

সন্তানের সাফল্য কামনায় সবসময় দোয়া ও দান করুন।

________________ 

রেফারেন্স: শুদ্ধাচার

শিক্ষামূলক ফেইসবুক গল্প

 🌺 হঠাৎ এক‌দিন পথিমধ্যে এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটুখানি অগ্রসর হয়ে স‌ম্বোধন ক‌রে বিনয়ের সাথে  বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লো,


স্যার, আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন?


উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন, না তো বাবা! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রলাম না। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন, -- "তুমি কে?"


তারপর যুবক‌ বললো, "আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। 


ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন  তু‌মি কী কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে জবাব দিলো,  --"আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি।"


সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন, --বাহ্! বেশ তো! খুব ভালো! খুব ভালো! ঠিক আমার মতো হয়েছো তাহলে!"


যুবক মৃদুহেসে জবাব দিলো, --"জী। আসলে আমি আপনার মতো একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি।" তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো, -"আপনি আমাকে আপনার মতো হতে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছেন স্যার!"


বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল নি‌য়ে যুবকের শিক্ষক হওয়ার নেপথ্য কারণ জান‌তে চাই‌লে, যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে স্মরণ ক‌রিয়ে দি‌লো, স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই পুরনো দিনের ঘটনা। পুরনো দি‌নের ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো,


--ম‌নে আছে স্যার?

একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু, যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন হাতঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘড়ি‌টি এতোটাই সুন্দর ছিল যে, আমি কোনভাবেই লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক ঘ‌ড়ি‌টি আমার  চাই। অতঃপর, সুযোগমতো আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি  চুরি করি।


কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে  আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন,  --"আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে, যেই চুরি করে থাকো,  ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।"

আপনার নির্দেশ শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দিতে পারিনি। 


কারণ, ঘড়িটি ছিল আমার কা‌ছে খুবই লে‌াভনীয়, তাছাড়া, আমরা খুবই গরীব ছিলাম, এমন ঘড়ি ক্রয় করার সামর্থ্যও আমাদের ছিল না। তারপর আপনি দরজা বন্ধ করে সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ করার নির্দেশন দি‌লেন, অতঃপর ঘড়ি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত  আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন। আমরা সবাই  আপনার নির্দেশনা মোতাবেক নিরবে দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।


এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রতে গিয়ে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে, লজ্জায়  আমার শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেটই চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে, এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। 


ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল, "ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। 


সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে  তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ  আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে  চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন। 


সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সেদিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে।


 বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি।  তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করবো না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। 


আপনার কাছ থে‌কে সেদিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কী ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও  মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে। 


সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শুনতে শুনতে বৃদ্ধ শিক্ষকের চোখে জল গড়িয়ে পড়লো! চোখের জল মুছতে মুছতে মৃদু হেসে শিক্ষক বললেন,  --"হ‌্যাঁ, সেই ঘটনা আমার দিব্যি ম‌নে আছে। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি,  কারণ সে সময় শুধু তোমাদের নয় আমার চোখও বন্ধ ছিল।"


তারপর শিক্ষক দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বললেন,

"তুমিই বলো বাবা, কোন শিক্ষক কি সন্তানতূল্য ছাত্রদের চোরের বেশে দেখতে পারে? শিক্ষক চায় তার ছাত্রদের বীরের বেশে দেখে গর্ববোধ করতে।"


▪️গল্পটি থেকে শিক্ষা:


"কাউকে অপমানিত করার মধ্যে কোন বড়ত্ব নেই। প্রকৃত বড়ত্ব থাকলে সেটা আছে, কাউকে নির্ঘাত অপমানের হাত রক্ষার মধ্যে। এতে নির্ঘাত অপমানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তি ভালো মানুষে পরিণত হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়।"


✍️ মোনাব্বের স্যার

একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:

 একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:


একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে 

তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে 

ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো । ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাড়ীতে যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে। কিন্তু সে যখন একটা বাড়ীতে গেল খাবারের আশা নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন । 


সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের 

কথা না বলে শুধু এক গ্লাস জল চাইলো । মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ । তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ এনে দিলেন ।


ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?" 


মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না ।


 ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন কখনো করুণার দান না নিতে । তাহলে আমি

আপনাকে মনের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।"


ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো । স্যাম 

এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস । তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না ।

.

অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ 

হয়ে পরলো । স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে 

চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে ।


যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা করা হয় ।


ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন 

শহর থেকে এসেছেন , তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি তাড়াতাড়ি 

ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন । 


ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে , যেভাবেই হোক 

তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন ।


 অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো । 

ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ

তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না । 


ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো 

লিখলেন এবং তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে 

পাঠিয়ে দিলেন । মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন 

বিলটা খুলতে। কারণ তিনি জানেন যে এতো দিনে 

যে পরিমাণ

দশ বছর হওয়ার আগেই শিশুকে শেখান

 দশ বছর হওয়ার আগেই শিশুকে শেখান!

প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপন সহজ করে দিচ্ছে। শিশুরাও খুব ছোট বয়সে নানা ধরনের গ্যাজেট চালাতে শিখে যায়। কিন্তু এসবই শিশু করছে মা–বাবার ছায়াতলে থেকে। কোনো কারণে যদি সে বিপদে পড়ে বা তাকে হঠাৎ করেই একা পথ চলতে হয়; তখন সে কী করবে? তাই আপনার শিশুর বয়স ১০ বছর হওয়ার আগেই তাকে শিখিয়ে রাখুন কিছু জীবনদক্ষতা। জীবনচলার পথ তো শিশুর জন্য প্রস্তুত করে রাখা যায় না, তার চেয়ে বরং শিশুকেই প্রস্তুত করতে হবে।


এসব দক্ষতা তার জীবনকে যেমন সহজ করবে, তেমনি আপনাকেও করবে নিশ্চিন্ত। এসব শিক্ষা সাধারণত প্রথাগত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুর জীবনমুখী শিক্ষার শিক্ষক হয়ে উঠতে হবে মা-বাবাকেই।

আত্মরক্ষার প্রথম পাঠ:


আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর আগে শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুকে জানাতে হবে, কোনো পরিস্থিতিতেই মনোবল হারানো চলবে না, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো যাবে না। শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা এবং দৌড়ের অভ্যাস জরুরি। আত্মরক্ষার প্রাথমিক পাঠ হলো কোথায় আঘাত করতে হবে, সেটা জানা। শিশুর জন্য সহজ হলো আক্রমণকারীর হাঁটুতে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া আক্রমণকারীর ঘাড়, চোখ, কান ও নাকও সহজ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে; যেখানে আঘাত করলে সহজেই কিছু সময়ের জন্য হামলাকারীকে বিভ্রান্ত করা যায় ও ব্যস্ত রাখা যায়। 

মানচিত্র শেখানো এবং দিক চেনানো:


এটা বেশ ছোট বয়স থেকেই শেখানো যায়। শিশুর হাতে একটি গ্লোব দিয়ে দিন কিংবা ঘরের দেয়ালে টানিয়ে দিন বড় একটি বিশ্বের মানচিত্র। শিশু নিজেই অনেক কিছু শিখে যাবে। ছুটির দিনে বা সময় পেলে তাকে নিয়ে বসে দিক চেনান, বাড়ির আশপাশের এলাকাগুলো চিনিয়ে রাখুন। এতে কোনো দিন পথ হারালে বা ভুল করেও যদি কখনো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নিজেই বাড়ি চিনে ফিরে আসতে পারবে। 

বাড়ির ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর শেখানো:


যখনই শিশু কথা বলতে শিখবে, তাকে বাড়ির ঠিকানা ও মা–বাবার টেলিফোন নম্বর শিখিয়ে ফেলুন। যেন কখনো বিপদে পড়লে সে মা–বাবার নাম, ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর বলতে পারে। 

বিপদের বন্ধু চেনান:


শিশুকে চেনান বিপদে কে বন্ধু হতে পারে। পুলিশের পোশাক, র‌্যাব বা সেনাবাহিনীর পোশাক চেনান। কখনো ভিড়ের মধ্যে আপনাকে খুঁজে না পেলে যেন সে পোশাক দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে যেতে পারে এবং তাকে বিপদের কথা বুঝিয়ে বলতে পারে।

‘না’ বলতে শেখান:


আপনার শিশুকে ‘না’ বলতে শেখান। যেন মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কেবল সমাজের চাপে তাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না হয়। ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুললে বড় হয়েও সে স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা:


খেলতে গিয়ে কেটে-ছিঁড়ে গেলে কিংবা বন্ধুর হাত-পা কেটে গেলে শিশু যেন আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারে, তাকে সে জ্ঞান দিন। স্যাভলন বা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার, ব্যান্ডেজ বাঁধার মতো সহজ কাজগুলো শিখিয়ে দিন। তাকে শেখান হাত কেটে গেলে তা ব্যান্ডেজ করে যেন ওপরের দিকে তুলে রাখে। আর ঠিক কতটুকু কেটে গেলে দ্রুত বড়দের সাহায্য নিতে হবে, তা–ও বুঝিয়ে বলুন।

অর্থ ব্যবস্থাপনা:


শিশুকে অর্থের মূল্য শেখান। তার হাতখরচ বা ঈদের সালামি যেন সে কোনো ভালো কাজে ব্যয় করতে পারে, সেটা শেখান। অযথা খেলনা বা খাবারে অর্থ খরচ না করে কীভাবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়, টাকা জমিয়ে শখের জিনিস বা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যায়, সে শিক্ষা তাকে দিন।

রান্নাঘরের ছোটখাটো কাজ:


আজকাল বাজারে শিশুদের ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের ছুরি পাওয়া যায়। সেসব ব্যবহার করে টুকটাক সবজি কাটা, স্যান্ডউইচ বানানো, সাত বছর বয়সের পর মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার শেখান। কোনো দিন মা–বাবা বাড়িতে না থাকলে সে যেন ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খেতে পারে বা নিজেই বড় পাত্র থেকে ছোট পাত্রে খাবার নিয়ে খেতে পারে, সেটুকু তাকে শিখিয়ে দিন।


তা ছাড়া বাড়িতে যখন আপনারা রান্না করবেন, তাঁকে সহায়তা করতে উৎসাহ দিন। ছোটখাটো কাজ, যেমন পেঁয়াজ-রসুনের খোসা ছাড়ানো, ফ্রিজ থেকে সবজি বের করে আনা, সিংক থেকে প্লেট-চামচ নিয়ে যথাস্থানে রাখা, খাবার টেবিলে প্রত্যেকের গ্লাসে পানি ঢেলে দেওয়ার মতো কাজের দায়িত্ব শিশুকে দিন। 

এভাবে ছোটখাটো কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে আপনার শিশু যেমন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যও তৈরি হতে শুরু করবে। বাড়ি থেকে কখনো দূরে পড়তে গেলে বা নতুন পরিবেশে গেলে খুব সহজেই সে মানিয়ে নিতে পারবে, নিজের যত্ন নিতে পারবে। 

_____________________ 

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

সকাল ৭ টার সংবাদ  তারিখ ২৪-০৩-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭ টার সংবাদ 

তারিখ ২৪-০৩-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


প্রায় ২১ হাজার একশো ৩৯ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ১৫টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব পেশ - একাত্তর এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখা সমীচীন নয়, জানালো বিএনপি।


দুই-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত জাতীয় নাগরিক পার্টির -অন্তর্বর্তী সরকার হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার।


সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিগুলো অপসারণের বিপক্ষে মত দিয়েছে সিপিবি।


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়ায় ছয় জনের মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত সমাপ্ত।


কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আজ অনুষ্ঠিত হবে তিনটি খেলা।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৩ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৩ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


প্রায় ২১ হাজার দুইশো ৯১ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ১৫টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন।

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব পেশ -- একাত্তর এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে রাখা সমীচীন নয়, জানালো বিএনপি।

 

দুই-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত জাতীয় নাগরিক পার্টির -- অন্তর্বর্তী সরকার হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার।

 

 সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিগুলো অপসারণের বিপক্ষে মত দিয়েছে সিপিবি।

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়ায় ছয় জনের মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত সমাপ্ত -- জানালেন চীফ প্রসিকিউটর।

 

গাজায় সর্বশেষ ইসরাইলি হামলায় একজন সিনিয়র হামাস নেতাসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত।


এবং মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তৃতীয়টিতে ১১৫ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ৩-১ এ সিরিজ জিতলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

লিথোগ্রাফির যুদ্ধে চীনের জন্য নতুন মোড় হতে পারে জাপানের ক্যানন

 লিথোগ্রাফির যুদ্ধে চীনের জন্য নতুন মোড় হতে পারে জাপানের ক্যানন। 


এই শতাব্দির সবথেকে সেন্সিটিভ ও সপিস্টিকেটেড প্রযুক্তি হল সেমিকন্ডাক্টর। এখানে যে দেশের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি যত সুক্ষ্মতায় পৌছবে, ধরে নেয়া যায় যে আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকবে সেই দেশ। বিশ্ব এখন মানুষের ডিএনএর প্রস্থের সমান মাত্র ২ ন্যানোমিটার সুক্ষ্ম প্রসেসের সক্ষমতা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে। চিপ তৈরিতে কম ন্যানোমিটার মানে হল, আরো বেশি ট্রাঞ্জিস্টরের ঘনত্ব। আরো বেশি কম্পিউটিং পাওয়ার। আধুনিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে শুরু করে, স্পর্শকাতর মিলিটারি টেকনলজিতে মূল পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এই লিথোগ্রাফির সক্ষমতা। ২০২৩ সালে  ভোক্তা পর্যায়ে একটা ক্ষুদ্র চিপের ভেতর সবথেকে বেশি পরিমান ট্রাঞ্জিস্টর ছিল মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এপলের এম-২ প্রসেসরে। ক্ষুদ্র এই প্রসেসরে আটানো হয়েছিল ১৩৪ বিলিয়ন ট্রাঞ্জিস্টর! ৫ ন্যানোমিটারের এই প্রসেসর ফ্যাব্রিকেশন হয়েছে আমেরিকার এলাই তাইওয়ানের TSMC তে। বর্তমানে ৩ ন্যানোমিটার চিপ চলে আসছে। 


আর এজন্যই আমেরিকা কোন ভাবেই চাইনা এমন প্রযুক্তি শত্রু দেশে যাক। প্রসেসর ফেব্রিকেশনের জন্য যে লিথোগ্রাফি মেশিন সেটি বিশ্বের একমাত্র কোম্পানি ডাচ ফার্ম ASML এর। এখন পর্যন্ত ফেব্রিকেশনে বিশ্বে সবথেকে বেশি শেয়ার তাইওয়ানের দখলে। আমেরিকার ইন্টেল, এনভিডিয়া সব আরো অনেক কোম্পানি এখন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাদের নিজেদের দেশেই ফেব্রিকেশন ফ্যাসিলিটি বাড়াচ্ছে। আমেরিকার টার্গেট আগামীতে বিশ্বের মোট সেমিকন্ডাক্টরের অন্তত অর্ধেক আমেরিকার মাটিতেই করার। আর এর জন্য তারা প্রচুর ভর্তুকি ও সুযোগ সুবিধা অফার করছে। কিছুদিন আগেও ইন্টেল বেশ ঘটা করে ASML এর EUV মেশিনের ডেলিভারি নিয়েছে। নতুন ফ্যাসিলিটিতে এটা তারা বছর খানেকের ভেতরেই সেটয়াপ করে ফেলবে। 


আগের লেখায় বলেছিলাম, হুয়াওয়ে মেট ৬০ তে যখন ৭ ন্যানোমিটারের টেকনোলজি আমেরিকা দেখল তখন পুরো আমেরিকা জুড়ে ভীতি আর আশঙ্কা প্রকাশ পাচ্ছিল। কিন্তু তাদের ধারনা ছিল পুরাতন DUV মেশিন দিয়েই তারা অপটিমাইজেশন করে ৭ ন্যানোমিটারে নামিয়েছে। মুলত চীনা কোম্পনিগুলি যেন কোন ভাবেই এই আধুনিক প্রযুক্তির এক্সেস না পায় তার সকল ব্যবস্থা আমেরিকা নিয়েছে। 


কিন্তু এর ভেতর একটা নতুন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে জাপান। জাপানের ক্যানন কোম্পানি সামনে নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ নতুন এক প্রযুক্তি যেটা দিয়ে ন্যানো ইমপ্রিন্ট করা সম্ভব। এবং ক্যাননের দাবি তাদের প্রযুক্তি ২ ন্যানোমিটার প্রসেসে প্রিন্ট করতে সক্ষম। একি সাথে তাদের লিথোগ্রাফি মেশিনের দাম ASML এর মেশিন হতে অনেক কম পড়বে। 


এখন পর্যন্ত ডাচ ফার্ম তাদের কোন পণ্য চীনে আর রপ্তানি করতে পারছেনা কারন লিথোগ্রাফির এই প্রযুক্তি মূলত আমেরিকান প্রযুক্তি। ক্যাননের ক্ষেত্রে যেহেতু FPA-1200NZ2C নিজস্ব প্রযুক্তি,  সেক্ষেত্রে ক্যাননের ক্ষেত্রে চীনে রপ্তানি করার বাধা থাকার কথানা। তবে আমেরিকা কি সেটা হতে দিবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। 


রাশিয়ার চিপ কোম্পানি মাইক্রন নিয়ে কিছু কথা বলতে হয়। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি ১৯৮০ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে দারুন ক্ষমতা দিলেও সোভিয়েত ভেঙ্গে যাওয়ার পর এই কোম্পানি আর আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে পারেনি। ২০২০ সালে এসে তারা ৬৫ ন্যানোমিটার প্রসেস উৎপাদন শুরু করেছে যেটা TSMC ২০০৫ সালে আর ইন্টেল ২০০৭ সালেই শুরু করেছিল। সেমিকন্টাডক্টরে রাশিয়ার পিছিয়ে থাকা রাশিয়ার সকল প্রযুক্তিকেই মোটামুটি পিছিয়ে রাখছে যা আধুনিক সক্ষমতার হয়ে উঠার পথে বাধা। এ কারনে রাশিয়া চেষ্টা করছে যেকোন উপায়ে মাইক্রনের সক্ষমতা বৃদ্ধির। যদি ক্যাননের কাছ থেকে লিথোগ্রাফি প্রযুক্তি চীন হস্তগত করতে পারে আর সেটা যদি রাশিয়ার হাতে পড়ে তবে ধরে নেয়া যায় রাশিয়া হয়ত দ্বিতীয় গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখবে। 


#wasimahin

লেখা: মার্চ ২২, ২০২৪

ফেসবুকে ইদানিং একটা লেখা খুব ভাইরাল হয়েছে। লেখাটা ছিলো এমন “আমি যখন জন্মেছিলাম তখন আমার স্বামী হাঁটতে পারতো। তারপরও সে আমায় দেখতে আসে নি। এখন কী আমার তার সাথে সংসার করা উচিৎ হবে?”

 

ফেসবুকে ইদানিং একটা লেখা খুব ভাইরাল হয়েছে। লেখাটা ছিলো এমন “আমি যখন জন্মেছিলাম তখন আমার স্বামী হাঁটতে পারতো। তারপরও সে আমায় দেখতে আসে নি। এখন কী আমার তার সাথে সংসার করা উচিৎ হবে?”

লেখাটা আমার বউ শ্রাবণী দেখে আমাকে মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে বলে,

- “আমি যখন জন্মে ছিলাম তখন তুমি আমায় দেখতে গিয়েছিলে”


রাত ১টার সময় বউ যখন এমন কথা বলবে তখন কার না মেজাজ খারাপ হবে। রাগটা কোনো রকম কন্ট্রোল করে বউকে বললাম,
– হ্যাঁ দেখতে গিয়েছিলাম।তুমি ময়মনসিংহ মেডিকেলে দুপুর ২টা বেজে ১৭মিনিটে জন্মে ছিলে। আমি যখন দেখতে যাই তখন দেখি তুমি মামীর পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে আছো।
-“শুধু দেখেছো, আমায় কোলে নাও নি?”
আমি বউয়ের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বললাম,
– তোমায় আমি কোলে নিবো কি করে?  আমি তো নিজেই আমার মায়ের কোলে ছিলাম। ৩বছরের বাচ্চা ছেলে কি করে একটা সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে কোলে নিবে?

বউ আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো, “ তোমার সাথে আসলে সংসার করাই উচিত না। কোন আক্কেলে যে ফুপাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করতে গেলাম।”


বউ জন্ম নেওয়ার সময় আমি কেন তাকে কোলে নেই নি সেই গুরুতর অপরাধের জন্য বউ সকালে আজ নাস্তা বানায় নি। বাধ্য হয়ে না খেয়েই অফিস গেলাম। আমার পাশের চেয়ারে বসা মামুন সাহেবের দিকে খেয়াল করে দেখি উনি মনমরা হয়ে বসে আছে। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,
– ভাই কোনো সমস্যা?
উনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,

- “ বউ জন্মানোর সময় আমি কেন তাকে দেখতে যাই নি এটা নিয়ে বউ আমার সাথে ঝগড়া করেছে। চিন্তা করেন ভাই, আমার বউ জন্মায়ছে নোয়াখালি আর আমার বাড়ি বরিশাল। আমি কিভাবে তাকে দেখতে যাবো? তাছাড়া আমি জানতাম নাকি কোন মেয়ে আমার বউ হবে। আর ঝগড়ার সময় ভুল করে বউকে হাতির বাচ্চা কেন বললাম এজন্য বউ আমাকমাঝরাতে রুম থেকে বের করে দিয়েছিলো।

মামুন সাহেবের কথা শুনে মনে একটু স্বস্তি পেলাম। জগতে শুধু আমার বউটা ব্রেইন বিহীন জন্মায় নাই। আমার মতো আরো অনেকের বউ ব্রেইনহীন ভাবে জন্মেছে।
আমি মামুন সাহেবকে বললাম,
–দেখেন ভাই, স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করার সময় স্ত্রীকে কখনোই জন্তু জানোয়ারের নাম বলে গালি দিবেন না। বউ আপনাকে কু*ত্তার বাচ্চা বলুক কিংবা গাধার বাচ্চা বলুক আপনি তাকে এইসব বলে ভুলেও গালি দিতে যাবেন না। আপনি বউকে গালি দিবেন ক্যাটরিনা, দীপিকা, আলিয়া বলে।  বউ যদি আপনাকে বলে, “তুই একটা কু*ত্তা” আপনি তখন তাকে বলবেন, “তুই একটা ক্যাটরিনা। তোর গালে দীপিকার মতো টোল পড়ে। আর তুই হাসলে তোকে আলিয়ার মতো কিউট লাগে। তখন তোকে এতো সুন্দর লাগে ছিঃ ছিঃ ছিঃ ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরি।
এইভাবে গালি দিলে বউ রুম থেকে বের করবে না বরং আদর সোহাগ দিবে।

আমার কথা শুনে মনে হয় না মামুন সাহেব খুশি হয়েছেন বরং উনার চেহারা দেখে এটা মনে হচ্ছে নেক্সট টাইম উনি উনার বউকে গন্ডারের বাচ্চা বলে গালি দিবেন…

। 
৫মিনিট ধরে বসের রুমে বসে আছি বস কিছু বলছেন না। উনি শুধু সিলিং ফ্যানটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আমি হালকা গলা কেশে বললাম,
–স্যার, কোনো সমস্যা?
বস আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

- “বলো তো মেয়েদের বুদ্ধি কোথায় থাকে?”


আমি মুচকি হেসে বললাম,
–এটা তো সবাই জানে। মেয়েদের বুদ্ধি হাটুর নিচে থাকে।
বস বললো,

- “তুমি ভুল জানো। মেয়েদের বুদ্ধি বলে কোনো জিনিসই থাকে না। ওরা জন্মানোর পর প্রথম যখন হিসু করে তখন হিসুর সাথে তাদের বুদ্ধিও বের হয়ে যায়।  তা নাহলে বিয়ের ১০বছর পর কেউ এটা নিয়ে ঝগড়া করে আমি কেন সে জন্মানোর সময় দেখতে গেলাম না। এজন্যই মাঝে মধ্যে মনে হয় এই সিলিং ফ্যানে ঝু*লে পড়ি।”

বসের কথা শুনে মনটা একদম জুড়িয়ে গেলো। আর একটা ব্রেইনহীন মেয়ে মানুষের সন্ধান পেলাম। আমি বসকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য বললাম,
–স্যার বাদ দেন এইসব পাগল-ছাগলের কথা।
আমার কথা শুনে বস রেগে গিয়ে বললো,

- “তুমি আমার বউকে ছাগল বলো কোন সাহসে?”


আমি আমতা আমতা করে বললাম,
– সরি স্যার, আমার হয়তো ভেড়া বলা উচিত ছিলো…

স্যার রেগেমেগে আমাকে বেয়াদব বলে রুম থেকে বের করে দিলো।


বাসায় এসে কলিংবেল চাপতেই শ্রাবণী দরজা খুললো। এই মেয়েটাকে যতবার দেখি ততবার প্রথম থেকে প্রেমে পড়ি। যে মেয়েটা আমাকে পাবার জন্য হারপিক খেয়ে ফ্যামিলিকে রাজি করিয়েছিলো  সেই মেয়েটার টুকটাক ছেলেমানুষি আমার সহ্য করা উচিত।

শ্রাবণী ধমক দিয়ে বললো, “এমন হা করে কি দেখছো?”
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
–আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে তোমার জন্মের পর তোমায় কোলে না নেওয়া। তাই চিন্তা করেছি যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার এই গুরুতর অন্যায়ের ক্ষমা না করবে ততক্ষণ আমি তোমাকে কোলে রাখবো।

এইকথা বলে শ্রাবণীকে আমি কোলে তুলে নিলাম। ভেবেছিলাম আমি কোলে তুলে নিলেই সে নেমে যাবে কিন্তু দুই মিনিট হতে চললো তার নামার কোনো নাম গন্ধ নাই। আর ঐদিকে ৫০কেজি ওজনের লবণের বস্তাকে আমার কোলে তুলে আমার মেরুদন্ড বেঁকে যাচ্ছে।
হঠাৎ শ্রাবণীকে দেখি আমার  দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। আমি তখন ওকে বললাম,
–হাসছো কেন?
শ্রাবণী বললো,

- “তুমি আমাকে যেভাবে কোলে নিয়েছো সেভাবে মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ায়।”

শ্রাবণী আমার বুকের দিকে তাকাতেই আমি তাড়াতাড়ি ওকে কোল থেকে নামিয়ে দুইহাত দিয়ে নিজের বুক ঢেকে বললাম,
– এই মেয়ে! তোর নজর এতো খারাপ কেন? বাড়িতে কি বাপ ভাই নাই?

আমার কথা শুনে শ্রাবণী হাসতে লাগলো। আমি মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখতে লাগলাম। মেয়েরা আসলেই মায়াবতী হয়। ওরা হাসলেও মুক্তা ঝড়ে আবার কাঁদলেও মুক্তা ঝড়ে । ওরা ২৫-৩০ বছর বয়স হলেও যেমন স্বামীর সাথে ছেলেমানুষি করে তেমনি ১৬-১৭  বছর বয়সে ওদের বিয়ে হয়ে গেলেও পুরো একটা সংসার বুক পেতে আগলে রাখে। স্ত্রী ছেলেমানুষি করলে বিরক্ত হবেন না। হাসি ঠাট্টা করার জন্য বাহিরে আপনার বন্ধু-বান্ধব, অফিস কলিগ অনেকেই আছে কিন্তু আপনার স্ত্রীর আপনি বাদে কেউ নেই। তাই দিনের কিছুটা সময় হলেও আপনার স্ত্রীর সাথে হাসি ঠাট্টা ছেলেমানুষি করে কাটান…

ছেলেমানুষি
আবুল বাশার পিয়াস

এরকম সুন্দর গল্পো পেতে পেজটি ফলো দিন 👉 লেখক - সাহেব

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...