এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

মৌমাছির জগতে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে—

 মৌমাছির জগতে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে—

যখন একটি মৌচাকে রানী মৌমাছি মারা যায়, সব কিছু থেমে যায়।

রানীই ছিল প্রাণের উৎস। তারাই ডিম দিতো, সমাজকে গড়ে রাখতো।


তার মৃত্যু মানে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

কিছু দিনের মধ্যেই পুরো মৌচাক ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।


কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—

এই ছোট ছোট পোকারা তখন হতাশ হয়ে বসে থাকে না।

তারা বাইরে থেকে কোনো সাহায্যের অপেক্ষাও করে না।


বরং, তারা শুরু করে এক অবিশ্বাস্য রূপান্তর।

একটি সুনিয়ন্ত্রিত সমাজের মাঝে জেগে ওঠে তীব্র বুদ্ধিমত্তা ও চেতনাবোধ।

একটি সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে, তারা নেয় এমন একটি সিদ্ধান্ত,

যা অনেক মানুষের কাছেও কল্পনার বাইরে।



◆ এক সাধারণ লার্ভা, এক অসাধারণ সিদ্ধান্ত


সব কাজের মৌমাছিরা মিলে বেছে নেয় কিছু সাধারণ লার্ভা।

যারা স্বাভাবিক নিয়মে বড় হলে হতো কেবল একজন সাধারণ কর্মী।

তারা কোনো বিশেষ বংশধর নয়, কোনো জিনগত শ্রেষ্ঠত্বও নেই তাদের।


তবুও… তাদের ভাগ্য বদলে যায়।

তাদের খাওয়ানো হয় এক বিশেষ খাদ্য—রয়্যাল জেলি।

এটি এক অনন্য উপাদান, যা কেবল সুস্থ মৌমাছিরাই তৈরি করতে পারে।

এই খাদ্যে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, জীবন্ত সক্রিয় উপাদান।

সত্যিকার অর্থেই রাজকীয় খাবার।


এই খাবারে বড় হতে হতে সেই লার্ভার শরীর বদলে যায়।

তার ডিম পাড়ার ক্ষমতা জাগে, শরীর হয় বড়, শক্তিশালী।

তার জীবনকাল হয় বিশ গুণ দীর্ঘ।


সে আর কাজ করবে না—

সে নেতৃত্ব দেবে।

সে আর অনুসরণ করবে না—

সে সৃষ্টি করবে জীবন।



◆ নেতৃত্ব জন্ম নেয়, তৈরি হয়—উত্তরাধিকার নয়


রানী মৌমাছি তার জিনগত কারণে রানী হয় না।

সে হয়ে ওঠে রানী অন্যদের সিদ্ধান্ত, যত্ন আর পুষ্টির কারণে।


সাধারণ আর রানীর মাঝে জেনেটিক কোনো পার্থক্য থাকে না।

বিচার হয় খাবারে। যত্নে। সিদ্ধান্তে।


ভাবুন তো, যদি মানবসমাজেও এমনটা হতো—

একটি সাধারণ শিশুকে আমরা যদি সঠিক যত্ন, পরিবেশ, উৎসাহ দিই,

তাহলে সেও হয়ে উঠতে পারে এক অনন্য নেতা।


জেনেটিক পরিবর্তনের দরকার নেই।

কেবল দৃষ্টি, সহানুভূতি আর যথাযথ সিদ্ধান্ত।



◆ সংকটই আনে নেতৃত্বের জন্ম


এই রূপান্তর শুধু একটি লার্ভাকে নয়,

বাঁচায় পুরো মৌচাককে।


নতুন রানী ডিম পাড়ে, সমাজে ফেরে শৃঙ্খলা।

নতুন জীবন, নতুন প্রজন্ম, নতুন নেতৃত্বের সূচনা হয়।


আমাদের সমাজে এদের সাথে কাদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন? 

এরা কি সেই সাধারণ তরুণ যারা দেশে বিপ্লব করেছে? c.

এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানা যাবে এই আলোচনায়।

 গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। তবে গরমের তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকলেও অনেকের এসি কেনার সক্ষমতা নেই। অনেকেই আবার বিদ্যুৎ বিল, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এমনকি পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখেও এসি ব্যবহার করেন না।


এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানা যাবে এই আলোচনায়।


প্রাচীন মিশরীয় পদ্ধতি


প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে সাধারণ একটি নিয়ম ছিল শীতল জলাবদ্ধতা তৈরি করা। তারা জানালা-দরজায় বা রোদ প্রবেশের স্থানে ভেজা চট বা মাদুর রেখে দিত। রোদের তাপ ভেজা মাদুর বা ভেজা চটের পানি শুকিয়ে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা তেমন একটা বাড়ানোর সুযোগ পেতো না।


সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন


সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গ্রীষ্মকাল এবং শীতকালের একটি সম্পর্ক আছে। গ্রীষ্মকালে এমন ভাবে ফ্যান সেট করতে হবে যাতে সেটি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরে। আবার শীতকালে ফ্যান থাকা উচিত এমন ভাবে যাতে ফ্যানের পাখাগুলো ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতে পারে। গরমের সময় এমন ঘূর্ণনের ফলে ফ্যান গরম বাতাস দ্রুত অপসারণ করতে পারে।


ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালার ব্যবহার


কাঁচের ২ স্তর বিশিষ্ট প্যানেলকেই সাধারণত ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালা বলা হয়। ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালার কাঁচের স্তর ৩ থেকে ১০ মিলিমিটার পুরু হয়ে থাকে। এসব কাঁচের মধ্যকার জায়গা গ্যাস দিয়ে পূর্ণ করা হয় এবং গ্যাস যেন বেড়িয়ে যেতে না পারে তাই সিল করে দেওয়া হয়।


কাঁচের ২ স্তরের মধ্যে শূন্যস্থান সিল করা থাকে বলে ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালা সাধারণ জানালার থেকে অনেক ভাল তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করে। গ্রীষ্ম ও শীতকালের চরম তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গ্রীষ্মের গরম দিনে, ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালা আপনাকে রক্ষা করবে প্রচণ্ড তাপ থেকে। শীতকালে এই জানালা বাইরে থেকে শীতকে ঘরের ভেতর ঢুকতে বাধা দেবে। আবহাওয়া যাই হোক না কেন, বাড়ি বা অফিসে ডাবল গ্লাসযুক্ত জানালা ঘরের ভেতরে আরামদায়ক পরিস্থিতি নিশ্চিত করে।


জানালার পাল্লা কাঁচের হলে গরম বেশি অনুভূত হয়। কারণ কাঁচের মধ্যে দিয়ে সূর্যের তাপ দ্রুত শোষণ হয় এবং ঘরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।


এক্ষেত্রে যেসব জানালায় সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেসব জানালায় হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো ফিল্ম লাগানো যেতে পারে। যার ফলে জানালার ভেতর দিয়ে সূর্যের তাপ শোষণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় এবং ঘর ঠাণ্ডা থাকে। এছাড়াও সাদা কাগজ, সাদা হার্ডবোর্ড, জানলার পাল্লার বাহিরের দিকে লাগালে সাদা রং প্রায় সব শক্তিই বিকিরণ করবে বাইরের দিকে। ঘরে খুব কম তাপ প্রবেশ করবে।


মোটা এবং গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার


বাজারে বাহারি ধরনের পর্দা থাকলেও গরম কমাতে চাইলে মোটা কাপড়ের এবং গাঢ় রঙ যেমন কালো, বেগুনী, নীল, খয়েরী এমন রঙগুলো বাছাই করতে পারেন। কারণ এগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম থাকে৷


তাপ প্রবেশ রোধ করা


জানালার মাধ্যমে প্রায় ২৫ শতাংশ তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দিনের বেলা বা দিনের যে সময় সবচেয়ে বেশি রোদ্রৌজ্জ্বল থাকে তখন তাপ প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দিলে উত্তাপ কম থাকবে।


রাতে ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দেওয়া


রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুলে শীতল বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে। এতে করে ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে ঘরকে শীতল করবে। দিনের বেলা নতুন ভাবে রোদ না ঢুকলে এই শীতল বাতাস প্রশান্তি দেবে।


অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখা


যেকোনো সক্রিয় ডিভাইস চালু থাকলে তা নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি কিছু শক্তি তাপ উৎপাদনে ব্যয় করে। এতে ঘর গরম হয়। তাই অব্যবহৃত যে কোনো কিছু বন্ধ করা উচিত। কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেন, কিংবা এমন ডিভাইস যা প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে তা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরে ব্যবহৃত বাল্বগুলোও তাপের উৎস। তাই সব লাইট বন্ধ করা সবসময় সম্ভব না হলেও আলো যতটা সম্ভব কম রাখতে পারেন।


বরফ পদ্ধতি


এটি ঘর ঠাণ্ডা রাখার জনপ্রিয় এবং প্রচলিত পদ্ধতি। ফ্যানের নিচে বাটিতে বরফের টুকরা রাখলে এটি গরম তাপ শুষে নিয়ে গলতে শুরু করবে। এতে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়।


উত্তাপ কমাতে গাছ রাখা


বেশ কিছু গাছ আছে যা তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। যেমন, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম, গোল্ডেন পোথোস বা সাদা-সবুজ মিশেলের মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট বা ফণিমনসা, ফার্ন ইত্যাদি। এছাড়াও আইভি, দ্রুত বর্ধনশীল লতা এবং আলংকারিক গৃহস্থালির উদ্ভিদ দেয়াল বা জানালায় ব্যবহার করা যেতে পারে। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি তাপ আর রোদ প্রবেশ নিরোধক হিসেবেও এটি কাজ করবে।


বেড়েই চলছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা, যার প্রভাব কোনো দেশই এড়াতে সক্ষম নয়। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গরমের এই দুর্বিষহ জীবনযাত্রায় পুরোপুরি শান্তি না মিললেও স্বস্তি পেতে উপরের যে কোনো পদ্ধতি প্রয়োগে ঘরের কিংবা কাজের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে পারেন।

শেক্সপিয়র  বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না,

 শেক্সপিয়র  বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে  আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde.  "নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।"

---

হুমায়ূন  আহমেদ বলেছিলেন , "ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে  পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর  না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই ।"

---

সত্যি বলতে,  ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা  শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা  কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে  ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।

আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। আর এটাই স্বাভাবিক ।

মহান আল্লাহ তায়ালা পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিপরীত আকর্ষণ দিয়েই পাঠিয়েছেন। 

😡😡😭😭

#এটাই #বাস্তব

নারীর এই দুইটা জিনিস না থাকলে নারী মূল্যহীন 😭😭

বোর্দো মিক্সার প্রস্তুত ও ব্যবহারের নিয়ম 

 বোর্দো মিক্সার প্রস্তুত ও ব্যবহারের নিয়ম 🌿

বোর্দো মিক্সার (Bordeaux Mixture) একটি কার্যকর ছত্রাকনাশক যা কৃষিক্ষেত্রে ছত্রাকজনিত রোগ দমন ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এটি তুতে বা তামার সালফেট (Copper Sulfate) এবং পাথর চুন (Lime) মিশিয়ে তৈরি করা হয়।


বোর্দো মিশ্রণের উপাদানসমূহ:

১. তুতে (Copper Sulfate, CuSO₄): ছত্রাকনাশক উপাদান।

২. চুন (Ca(OH)₂): মিশ্রণের pH নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৩. পানি: দ্রবণের বাহক হিসেবে কাজ করে।


প্রয়োজনীয় উপকরণ:

তুতে (Copper Sulfate) – ১০০ গ্রাম


চুন (Lime) – ১০০ গ্রাম


পানি – ১০ লিটার


মাটির পাত্র (বা যেকোনো পাত্র)


দুটি বাঁশ বা কাঠের কাঠি


স্প্রে বোতল


একটি ইস্পাতের চাকু


বোর্দো মিশ্রণ তৈরি করার পদ্ধতি:

তুতে ও চুন গুড়া করে নেওয়া: প্রথমে তুতে এবং চুন আলাদাভাবে মিহি করে গুড়া করে নিতে হবে।


পানি প্রস্তুতি: দুটি ছোট পাত্রে ৫ লিটার করে পানি নিয়ে তাতে তুতে এবং চুন মিশিয়ে আলাদা আলাদা দ্রবণ তৈরি করতে হবে।


মিশ্রণ তৈরি: একটি বড় মাটির পাত্রে দুই পাত্রের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে বাঁশের কাঠি দিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে।


ভিজিয়ে রাখা: মিশ্রণটি ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।


অবশেষে মিশ্রণ প্রস্তুত: তুতে ও চুন মিশিয়ে তৈরী করা এই দ্রবণটির রঙ দেখে যাচাই করা যায়। যদি রঙ গা dark নীল হয়, তবে মিশ্রণ সঠিক হয়েছে। যদি রঙ সবুজ বা সাদা হয়, তবে তুতে বা চুন বেশি হয়ে গেছে, তখন পানি দিয়ে সমান করতে হবে।


স্প্রে প্রস্তুত: মিশ্রণ প্রস্তুত হলে তা গাছের পাতা, কান্ড, এবং শিকড়ে স্প্রে করতে হবে।


বোর্দো মিশ্রণের ব্যবহার পদ্ধতি:

স্প্রে করার সময়:


স্প্রে করার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকাল বা বিকেল, কারণ দুপুরের গরমে অতিরিক্ত সূর্যালোকের কারণে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।


বৃষ্টি হলে পুনরায় স্প্রে করতে হবে, কারণ বৃষ্টিতে এটি ধুয়ে যেতে পারে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবহারের জন্য:


সাধারণত ফসলের চারা অবস্থায় এবং ফুল-ফল আসার আগে ব্যবহার করা হয়।


প্রতি ১৫-২০ দিন পর পর একবার স্প্রে করা যেতে পারে।


বিশেষ সতর্কতা:

বোর্দো মিশ্রণটি তাজা অবস্থায় ব্যবহার করা উচিত।


তৈরি করার পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করুন, কারণ এটি সংরক্ষণযোগ্য নয়।


অতিরিক্ত বোর্দো মিশ্রণ স্প্রে করলে গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে।


স্প্রে করার সময় গ্লাভস ও মাস্ক পরা উচিত।


বোর্দো মিশ্রণের কার্যকারিতা:

বোর্দো মিক্সার বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগের জন্য খুবই কার্যকর। এর মাধ্যমে ডাউন মাইলডিউ, ব্লাইট, অ্যানথ্রাকনোজ, পাউডারি মিলডিউ, গোড়া পচাঁ, কুমড়ার চুনাপড়া, টমেটো আলুর ব্লাইট সহ অন্যান্য ছত্রাকজনিত রোগ দমন করা যায়।


এটি তৈরী করা খুবই সহজ এবং যে কেউ এটি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবে।


🔧 টিপ: নিয়মিত বোর্দো মিশ্রণ ব্যবহার করলে ছত্রাকজনিত রোগ থেকে কৃষকরা রক্ষা পাবেন এবং তাদের ফসলের উৎপাদন বাড়বে। 🌱

আপনি মানুন বা না মানুন আপনার জীবনে যেকোনো মুহূর্তে ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস আসতে পারে। বিয়ে, জন্মদিন, ঈদ, পূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লোক দেখানো বিশাল খরচ করবেন না

 আপনি মানুন বা না মানুন আপনার জীবনে যেকোনো মুহূর্তে ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস আসতে পারে। বিয়ে, জন্মদিন, ঈদ, পূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লোক দেখানো বিশাল খরচ করবেন না। বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের এক তৃতীয়াংশ খরচ হয়ে যায় শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়ে। সন্তান জন্মের পর এক লাখ টাকাও যদি ফিক্সড করে রাখেন তার নামে, তবে সেই টাকাটা মাল্টিপ্লাই হতে হতে সন্তানের যখন বিশ বছর বয়স হবে, তখন একটা ভালো অ্যামাউন্ট পাবেন যেটা তার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।


আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করা টাকা আপনি নিজে মাল্টিপ্লাই করুন, বাচ্চাদেরকেও টাকা মাল্টিপ্লাই করতে শেখান। ছোটো থেকেই ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইস দিন। সন্তানকে প্রোডাক্টিভ আর নন-প্রোডাক্টিভ ইনভেস্ট সম্পর্কে জ্ঞান দিন। যেমন, গ্যাজেট আর ধাতুর মধ্যে ধাতু চ্যুজ করা উচিত। কারণ ধাতুর রিসেল ভ্যালু আছে। এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আপনার এবং আপনার সন্তানের উপকারে আসবে।


আপনার সর্বস্ব খরচ করে সন্তানকে বিয়ে দেবার চেয়ে কোনোমতে বিয়ে দিয়ে সন্তানের নামে টাকাটা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিন, অসময়ে দরকার পড়বে!


জমির চেয়ে বাড়ির ভ্যালু বেশি করবেন না। আবার বাড়ি বা ফার্নিচারের ভ্যালুর চেয়ে ব্যাংকের লকারে সোনা ও ব্যাংকে লিক্যুইড মানি বেশি রাখবেন, কারণ আপনার দুঃসময়ে ঘরের একটা টুকরাও আপনি সেল করতে পারবেন না, কিন্ত গহনা অথবা টাকা দিয়ে দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন। খারাপ সময় বলে কয়ে আসে না। এই দুনিয়ার কোন কিছুরই গ্যারান্টি নেই, আপনার শরীরেরও না!


যোগ্যতাপূর্ণ চাকরিতেও ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি থাকে না। তাই ছেলেমেয়েকে বহু খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে শেখান। কোনো কাজ ছোটো নয় এই বোধ তৈরি করুন তার মধ্যে। 


সন্তানকে বইয়ের বাইরের বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন কাজ শেখান, কারণ পেটে শিক্ষা আছে মানেই ক্যারিয়ার সাকসেসফুল হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।


কিছু টাকা জমিয়ে রাখুন। যতটুকু বাড়ি করলে স্বচ্ছন্দে থাকা যায় ততটুকুই বাড়ি করুন। অন্তত ওই পরিমাণ টাকা MIS (Monthly Income Scheme) করে রাখুন যাতে ঠেকে গেলে অন্তত ডাল ভাত খেয়ে মাস কাটে। আগামী দিন কতটা ক্রাইসিস আসবে আমরা কেউ জানি না। চাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য কোনো কিছুরই আসলে কোনো নিশ্চয়তা নেই। চাকরিতে পেনশনেরও একশো ভাগ গ্যারান্টি নেই!


স্ট্যাটাস মেনটেন করার জন্য সরকারি চাকরির দিকে সন্তানকে ফোর্স করবেন না। সরকারি, বেসরকারি, ব্যবসা কোনোটাতেই যেখানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিকিউরিটি নেই, তাই যার যে দিকে ইচ্ছে সেদিকে খাটুক।


বিভিন্ন দিকে উপার্জনের মনোভাব রাখতে হবে। মনে রাখবেন, উপার্জনটাই বড়। আপনার টাকা এবং সন্তানের মেধা ব্যালেন্স করে তাকে পড়ান।  অযথা উচ্চশিক্ষা বা ডিগ্রির পিছনে ছুটলে সময় এবং টাকা দুই-ই ব্যয় হবে, তাই সন্তান স্কুলের গণ্ডি পেরোলেই সুনির্দিষ্ট গোল সেট করে নিন। সন্তান যতই মেধাবী হোক না কেন তাকে এমন কিছু এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ শেখান যেটা ভবিষ্যতে তাকে টাকা এনে দেবে।


হাতে কলমে কাজ, কারিগরি জ্ঞান, ছোটো ব্যবসা, পার্ট টাইম জব এই সবকিছুতেই তাকে অভ্যস্ত করান পড়াশোনার পাশাপাশি, কারণ জীবনের পঁচিশ ত্রিশ বছর যদি বই পড়ে পার করে দেয় তবে অফিস ওয়ার্ক ছাড়া অন্য কিছুতে ততটা এলিজিবল সে নাও থাকতে পারে ।


মোদ্দা কথা, সবকিছুকেই বিজনেস মাইন্ডে দেখতে হবে। এছাড়া কোনো অপশন নেই। অন্তত একটা বিনিয়োগ ডুবে গেলে যেন আর একটা ভেসে থাকে!


---------------------------------------------------------------------


📢 আপনার নিজস্ব নিউজ পোর্টাল অথবা পত্রিকার ই-পেপার তৈরি করতে চান? 🌐


ওয়েব নিউজ ডিজাইন - আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিউজ পোর্টাল, ই-পেপার এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তৈরি ও পরিচালনার সেবা প্রদান করি। এছাড়াও, আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেরা ডিজাইন সেবা পেতে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!


যোগাযোগ

📞 ০১৯১৫৩৪৪৪১৮ [WhatsApp, Imo], ঢাকা।

🌐 webnewsdesign.com

📧 faroque.computer@gmail.com]


---------------------------------------------------------------------

কুং ফুর পাঁচটি প্রথাগত পশুর ধরনকে উপস্থাপন করে, যার প্রতিটি একটি আলাদা যুদ্ধকৌশল ও দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত

 কুং ফুর পাঁচটি প্রথাগত পশুর ধরনকে উপস্থাপন করে, যার প্রতিটি একটি আলাদা যুদ্ধকৌশল ও দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই শৈলীগুলো মূলত দক্ষিণ শাওলিন মার্শাল আর্ট থেকে এসেছে, বিশেষ করে ‘ফাইভ অ্যানিমেলস স্টাইল’ (পাঁচ পশুর শৈলী) থেকে। নিচে প্রতিটির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:


১. ড্রাগন স্টাইল (উপরে বামে)

প্রাণী: ড্রাগন (ড্রাগন)

কেন্দ্রবিন্দু: আত্মিক শক্তি, তরল গতিবিধি, অভ্যন্তরীণ শক্তি (চি)

প্রযুক্তি: কঠিন ও নরম গতির সংমিশ্রণ, বৃত্তাকার গতি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর। ড্রাগন স্টাইলে শরীর মোচড়ানোর গতি, শক্তিশালী ভঙ্গি এবং নিঃশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ ব্যবহৃত হয়।

প্রতীক: প্রজ্ঞা, অন্তর্নিহিত শক্তি এবং অভিযোজন ক্ষমতা।


২. স্নেক স্টাইল (উপরে ডানে)

প্রাণী: সাপ

কেন্দ্রবিন্দু: গতি, নিখুঁততা ও নমনীয়তা

প্রযুক্তি: চাপ পয়েন্টে দ্রুত, কুণ্ডল strike দেয়। আঙ্গুলগুলোকে বিষদাঁতের মতো ব্যবহার করা হয়, আর চলাফেরা হয় মসৃণ ও অপ্রত্যাশিত।

প্রতীক: নিখুঁততা, তরল গতি এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি।


৩. ক্রেন স্টাইল (মাঝখানে)

প্রাণী: সারস (ক্রেন)

কেন্দ্রবিন্দু: ভারসাম্য, দৃষ্টতা ও সৌন্দর্য

প্রযুক্তি: প্রতিরক্ষামূলক পদচারণা, এক পায়ে দাঁড়ানো ভঙ্গি এবং আঙ্গুল দিয়ে ঠোকর দেওয়ার কৌশল। চলাফেরা হয় হালকা ও চটপটে।

প্রতীক: শান্তি, নিয়ন্ত্রণ এবং নিখুঁততা।


৪. প্যান্থার স্টাইল (নিচে বামে)

প্রাণী: প্যান্থার (বা ফাইভ অ্যানিমেলসে লেপার্ড)

কেন্দ্রবিন্দু: গতি, আক্রমণাত্মকতা ও শক্তি

প্রযুক্তি: দ্রুত, শক্তিশালী আঘাত – নখের মতো আঙ্গুল দিয়ে। প্যান্থার brute force নয়, বরং গতিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বল স্থানগুলোতে আঘাত করে।

প্রতীক: বিস্ফোরকতা, গোপনতা ও নিখুঁততা।


৫. টাইগার স্টাইল (নিচে ডানে)

প্রাণী: বাঘ

কেন্দ্রবিন্দু: শক্তি, দৃঢ়তা ও আধিপত্য

প্রযুক্তি: শক্তিশালী, সরাসরি আঘাত এবং নখ দিয়ে খোঁচানোর কৌশল। টাইগার স্টাইলে শারীরিক শক্তি, নিচু ভঙ্গি এবং জোরালো আক্রমণ গুরুত্ব পায়।

প্রতীক: হিংস্রতা, সাহস ও brute force।

 ১ বিঘা ২০ কাঠা জমিতে শাহী পেঁপে চাষ!

 ১ বিঘা ২০ কাঠা জমিতে শাহী পেঁপে চাষ!

🚜 অল্প খরচে বছরে আয় ১-২ লক্ষ টাকা!

✅ ফেসবুকে রেখে দিন, দরকারের সময় কাজে লাগবে!


---


১. জমি প্রস্তুতি (চারা রোপণের ১৫ দিন আগে)

✔️ দোআঁশ মাটি, পানি নিষ্কাশন ভালো

✔️ ৩-৪ বার চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করুন

✔️ প্রতি শতকে ১০ কেজি গোবর + ১ কেজি টিএসপি


---


২. চারা রোপণ (৪০০ গাছ)

✔️ দূরত্ব: সারি ২ মিটার, গাছ ১.৫ মিটার

✔️ গর্ত: ৫০x৫০x৫০ সেমি

✔️ প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর + ২০০ গ্রাম টিএসপি

✔️ জাত: শাহী পেঁপে (সবজির জন্য পারফেক্ট)


---


৩. সেচ ও যত্ন

💧 প্রথম সপ্তাহ: প্রতিদিন হালকা পানি

💧 গ্রীষ্মে: সপ্তাহে ২-৩ বার

💧 বর্ষায়: নালা কেটে জলাবদ্ধতা দূর করুন


---


৪. সার প্রয়োগ

🌿 ১৫ দিন পর: ইউরিয়া ৫০ গ্রাম + এমওপি ৫০ গ্রাম

🌿 ৪৫ দিন পর: ইউরিয়া ১০০ গ্রাম + টিএসপি + এমওপি

🌿 ফল ধরার পর: প্রতি মাসে পটাশ ১৫০ গ্রাম


---


৫. রোগ-পোকা দমন

🐛 এফিড/মাইট: ইমিডাক্লোপ্রিড ২০% SL – ১ মিলি/৩ লিটার

🐛 ফল মাছি: সাইপারমেথ্রিন ১০% EC – ২ মিলি/১ লিটার

🐛 পাউডারি মিলডিউ: হেক্সাকোনাজোল ৫% SC – ২ মিলি/১ লিটার


---


লাভের হিসাব (প্রায়):

✅ ৪০০ গাছ × ২৫ কেজি = ১০,০০০ কেজি

✅ বিক্রি: ১০ টাকা/কেজি = ১,০০,০০০ টাকা

✅ খরচ: ৩০-৪০ হাজার টাকা

✅ নিট লাভ: ৬০,০০০+ টাকা/বছরে!


---


আপনার এলাকায়ও এমন চাষ শুরু করতে পারেন!

যদি পোস্টটা ভালো লাগে, শেয়ার করুন বা রেখে দিন। অন্যরাও উপকার পাবে!

#পেঁপে_চাষ #শাহী_পেঁপে #কৃষি_উদ্যোগ #কৃষকের_গর্ব

নবিজী (সাঃ) চিকিৎসা পদ্ধতি

 হোমিওপ্যাথি,এলোপ্যাথি, আয়ুর্বেদীসহ অসংখ্য চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অবগত থাকলেও অত্যন্ত দুঃখ ও আফসোসের সাথে বলতে হয় মুসলমান হয়ে নবিজী (ﷺ) এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা বেখবর।এর বেশ কিছু কারণও অবশ্যই রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল আরবী জানা না থাকা।যার ফলে আরবীতে লিখিত নবিজী (️ﷺ) এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে লিখিত বইগুলো থেকে মণিমুক্তা আহরণ করা আমাদের জন্য একপ্রকার অসম্ভব বলা চলে।

অথচ আমাদের ছিল ইবনে সিনার মত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।যাঁদের বই আজকের আধুনিক যুগেও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানো হয়।ইউরোপের হাজারো খারাপ দিক থাকলেও তাদের অল্প ভাল দিকের মধ্যে অন্যতম হল তারা গুণীর কদর করতে জানে।মুসলিমরা তাদের ঘরের গুণীর কদর না করলেও ইউরোপ ঠিকই করেছে।যাহোক নবিজী (️ﷺ) চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি আমাদের আস্হা ও বিশ্বাস কোনকালেই কম ছিল না।এজন্যই এদেশের মানুষ এখনও হুজুরদের কাছে ঝাঁড়ফুক নেয়ার জন্য ধরণা দেয়।

তবে এটা অত্যন্ত খুশির বিষয় যে, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল জাওযিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ কতৃক নবীজি (ﷺ) এর চিকিৎসা পদ্ধতি ও সালাফগণের চিকিৎসা সম্পর্কে রচিত "আত-তিব্বুন নববী" বইটি অনুবাদ হয়ে বাংলাভাষাভাষীদের নিকট হাজির হয়েছে।বর্তমানে রোগশোক যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ চিকিৎসা করতে গিয়ে অর্থ-সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে এমন সময়ে এই বইটির গুরুত্ব যে কতখানি তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।এখানে মোটেও বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপকারীতা ও কার্যকারিতাকে খাঁটো করে দেখানো হয়নি।তাছাড়া প্রায় হাজার বছর আগে রচিত একটি বইয়ে বর্তমানের সকল রোগশোকের সমাধান পেয়ে যাওয়া কিংবা এই বই পড়েই যেকারো ডাক্তার বনে যাওয়া অবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।তবে আর যাইহোক নবিজী (ﷺ)️ এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কিত জ্ঞান ও একে কাজে লাগিয়ে নিজের শারীরিক ও আত্নিক উন্নতি ঘটাতে বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে তা বলাই বাহুল্য।তাই প্রতিটা মুসলিমেরই উচিত আজই বইটা সংগ্রহ করে নেয়া।ো

রোদে শুকানো উচ্ছে। (Sun dried bitter gourd)

 রোদে শুকানো উচ্ছে। (Sun dried bitter gourd)


রোদে শুকনো উচ্ছে, যার অর্থ "সূর্য-শুকনো তেতো করলা", একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা তেতো করলাকে পাতলা করে কেটে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে বেশ জনপ্রিয়। রোদে শুকনো উচ্ছে ব্যবহারের ঐতিহ্য ঠিক কতদিনের পুরোনো, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে, এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রাচীন পদ্ধতি যা খাদ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে উদ্ভাবিত হয়েছিল। 


ঐতিহাসিকভাবে, যখন রেফ্রিজারেশন বা অন্য আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রচলন ছিল না, তখন মানুষ বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করত। রোদে শুকানো তেমনই একটি পদ্ধতি। উচ্ছে একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং এটি বেশিদিন সতেজ রাখা কঠিন। তাই, সম্ভবত সেই সময় থেকেই উচ্ছেকে রোদে শুকিয়ে সারা বছর ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার প্রথা চালু হয়েছে। এইভাবে আমার দিদাকে দেখেছি উচ্ছে কেটে রোদে শুখিয়ে রেখে দিতে। যখন উচ্ছে বাজারে পাওয়া যেতো না তখন এই সবজি দিয়ে নানা তরকারি দিদা বানাতেন। 


তবে বাংলার লোককথায় বা পুরোনো রান্নার বইয়ে এর সরাসরি উল্লেখ হয়ত নাও থাকতে পারে, তবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ জীবনে এবং ঐতিহ্যবাহী রান্নায় রোদে শুকনো উচ্ছে একটি পরিচিত উপকরণ। অনেক পুরোনো পরিবারে এখনও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এটা বলা যায় যে রোদে শুকনো উচ্ছে ব্যবহারের ঐতিহ্য বাংলা এবং ভারতীয় উপমহাদেশে বহু পুরোনো এবং খাদ্য সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যা সম্ভবত বহু শতাব্দী ধরে চলে আসা একটি রান্নার প্রথা। 


কিকরে রোদে শুকনো উচ্ছে তৈরির করতে হয় তার পদ্ধতি এখানে দেয়া হলো। বাজার থেকে কেনা  তাজা, কচি উচ্ছে বেছে নিন। ভালো করে ধুয়ে দুই প্রান্ত কেটে ফেলুন। এরপর পাতলা গোল করে অথবা লম্বা ফালি করে কেটে নিন। বীজ এবং ভেতরের স্পঞ্জি অংশ ফেলে দেওয়া ভালো। নুন মাখানো ঐচ্ছিক ব্যাপার, যা কাটা উচ্ছেতে সামান্য নুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে উচ্ছে থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাবে এবং তেতো ভাব কিছুটা কমবে। এরপর হাত দিয়ে চেপে অতিরিক্ত জল ফেলে দিন। একটি টিশু কাগজে রেখে জল শুখিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার কাপড় বা পলিথিনের শিটের উপর উচ্ছেগুলো ছড়িয়ে দিন। সরাসরি সূর্যের আলোয় ২-৩ দিন ধরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। মাঝে মাঝে উল্টে দিন যাতে সব দিক সমানভাবে শুকায়। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এগুলো কুঁচকে ছোট হয়ে যাবে এবং মচমচে হবে। সংরক্ষণ জন্য শুকনো উচ্ছে ঠান্ডা করে এয়ারটাইট পাত্রে ভরে রাখুন। এভাবে অনেকদিন পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করা যায়।


রোদে শুকনো উচ্ছে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। শুকনো উচ্ছে তেলে ভেজে মুচমুচে করে ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় সাইড ডিশ বা স্ন্যাকস। কিছু তরকারিতে শুকনো উচ্ছে ব্যবহার করা হয়, যা তরকারির স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। মনে রাখা প্রয়োজন শুকনো উচ্ছে খাওয়ার আগে তা জলে নিয়ে তারপরে ব্যবহার করা। এই শুকনো উচ্ছে দিয়ে ডাল , উচ্ছে ভাজি, এছাড়াও উচ্ছের নানা বঙ্গ রান্নায় ব্যবহৃত হয়। কিউব, রিং আকারে ডিহাইড্রেটেড করলা বিভিন্ন তরকারি তৈরিতে যেমন ব্যবহার হয় তেমনি বাদামি করলা ‘করলা চা’ তৈরিতে এর ব্যবহার দেখা যায়। 


তেতো করলার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। রোদে শুকানো হলেও এর কিছু পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। এটি হজমক্ষমতা বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে, অতিরিক্ত তেতো ভাব কমাতে এবং সংরক্ষণ করার জন্যই মূলত একে রোদে শুকানো হয়। তাছাড়া আমরা যারা ম্যাগি বা সেই জাতীয় খাবার খাই তাদের এই শুকনো সবজির ব্যাপারটা ভালোই জানা আছে। এই উচ্ছে ছাড়াও আরো অনেক নানা ধরনের সবজি যেমন আলু, গাজর, ঢ্যাঁড়স, পাতাকপি এবং কাঁচ কলার মতো সবজি শুখিয়ে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি হয়। সবজি ডিহাইড্রেটেড করার মূল উদ্দেশ্যই হল শেলফ লাইফ বাড়ানো। 


👇

By Chef Moonu

👇

#chefmoonuskitchen  #moonuandco  #travellermoonu  #thefoodietraveller  #kolkatablogger  #kolkatafood  #chefmoonu  #kolkata  #foodlovers  #foodblogger  #CulinaryJourney #bengalifood #foodculture #WestBengal @top fans

জাফর স্যার-----৩০ বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব,ফেলে তো দিতে পারি না !"

 জাফর স্যার-----৩০ বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব,ফেলে তো দিতে পারি না !"


অথচ বাবা তার রাউজানের জমিদার। লন্ডনে পড়তে গিয়ে তার যে গাড়ি ছিল, দেশ থেকে  বড়ো কেউ গেলে সে গাড়িই ধার দেয়া হতো তাদের। তিনি যে দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতেন, সে দর্জি ছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লসের ব্যক্তিগত দর্জি৷ দেশে ফিরে দেশের মানুষের জীবদ্দশা দেখে সেই বিলাসী জীবন ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জাফরুল্লাহ, আমৃত্যু তাই পালন করেছেন। 


লন্ডনের প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেদের পাসপোর্টে আগুন ধরিয়ে দিলো কয়েকজন বন্ধু। এরা সবাই এবারের এফআরসিএস পরীক্ষার্থী৷ পরীক্ষা আর দেয়া হলো না, রাষ্ট্রহীন নাগরিক হিসেবে লন্ডন থেকে ফেরত পাঠানো হলো ভারতে৷ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট পোড়ানো সে বন্ধুদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 


ভারতে এসে আগরতলা ক্যাম্পের একপাশে চট-বেড়া দিয়ে গড়ে তুললেন ৪৮০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। দিনরাত এক করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ চলল তাতে। যুদ্ধ শেষ হলে এ হাসপাতালই হয়ে উঠল গরিবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র৷  আজ ৫০ বছর পরেও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নর্মাল ডেলিভারি বা ডায়ালাইসিস খরচ ২৫০০ টাকা৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভদ্রলোকের জন্য ভিআইপি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আনা হচ্ছিল দামী ওষুধ৷ দুটোকেই 'না' করে জাফরুল্লাহ বললেন, ' নিজের হাসপাতালের ওপর নিজে ভরসা না রাখলে মানুষ কি করে রাখবে? যে ওষুধ গরীবে কিনে খেতে পারবে না, সে ওষুধ আমি নেব না।'


১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। স্বপ্নবাজ এ লোকটির হাত ধরেই ৯০ শতাংশ ওষুধ আজ দেশেই তৈরি হয়। বিনামূল্যে বিলি হয় গণস্বাস্থ্যের ওষুধ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশের করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল যে টিকা, পায়নি কেবল বাংলাদেশে। 


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরির কয়েকটা বাঁধাধরা নিয়ম তিনি করেছিলেন। কর্মরতদের ধূমপান নিষিদ্ধ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞার চাকরির ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে নেত্রী নিজেই ফোন করেন জাফরুল্লাহকে। তিনি  শেখ হাসিনাকে তখনই সাফ জানিয়েছিলেন, ' ধূমপান ছাড়তে না পারলে চাকরি হবে না। ' বাধ্য হয়ে একমাসেই ধূমপান ছাড়েন ডা. ওয়াজেদ। 


দোর্দণ্ড প্রতাপে যখন ক্ষমতায় এসেছেন জিয়াউর রহমান, জাফরুল্লাহকে মেজর জিয়া হাতে একটা ফাঁকা চেক ধরিয়ে আদেশ দিলেন, মন্ত্রী হও৷ সেদিন গরিবের ডাক্তার ৪ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে জবাব দিয়েছিলেন, একজনও স্বাধীনতাবিরোধী থাকলে সে মন্ত্রীসভায় তিনি যাবেন না৷  


৮-১৮'র তরুণরা যখন নির্লিপ্ত, তখন ৮০ বছর বয়সেও হুইল চেয়ারে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি৷ দাঁড়িয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়,পেয়েছেন অর্থদন্ডও। 


নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের সম্পদ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার।পেয়েছেন ম্যাগসেসে পদকের মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা। অথচ সমস্ত জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে কপর্দকহীন হয়ে চলে গেলেন একগুঁয়ে মানুষটি। একেকটা হাসপাতাল যখন হয়ে উঠছে মানুষ মারার কল, তখন গরিব যাতে কম খরচে ক্যানসার চিকিৎসা পায়, ওষুধ পায়,  তার বন্দোবস্ত করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল গড়েছেন মানুষটি।  


জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শেষবার জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, কিছু হলে দেশেই হোক, বিদেশে চিকিৎসা তিনি কিছুতেই নেবেন না।


সারাজীবনের মতো একবারই এই মৃত্যু সাজ,

এতদিন প্রাণ ছিলো, অমরত্ব শুরু হলো আজ.. 


এই জেদ, এই উদ্যম,এই দেশপ্রেমকে কুর্নিশ। আপনি জিতে গেছেন ১৬ কোটি হৃদয়৷ অভিবাদন, মহামানব জাফরুল্লাহ চৌধুরী!#everyonefollowers

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...