এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মুজাদ্দিদ-২ (হোসাইন রা.),,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মুজাদ্দিদ-২ (হোসাইন রা.)


সুলায়মান ইব্‌ন দাউদ (রহঃ) …. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার জানামতে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্‌ এ উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীতে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যিনি দীনের ’তাজ্‌দীদ’ বা সংস্কার সাধন করবেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)। পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), যুদ্ধ বিগ্রহ – অধ্যায়।


মুজাদ্দিদ অর্থ সংস্কারক। যিনি ইসলামের নামে বিভিন্ন ভুল, ভ্রান্তি, অপবাদ, বিদআত, কুফরের সংস্কার করে দ্বীন ইসলামকে রসুলের (সা:) ও খেলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অনুযায়ী চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। কিন্তু এই মুজাদ্দিদকে কেন্দ্র করে উম্মত বহুভাগে বিভক্ত। কারো দৃষ্টিতে একজন মুজাদ্দিদ অন্য দলের নিকট তিনি ফেতনাবাজ।


এমনকি অনেকে তার ভক্ত দ্বারা মুজাদ্দিদ দাবি করে বা ভক্তরা মুজাদ্দিদ বলে প্রচার করে নতুন ফেরকাসহ নতুন ধর্মমত সৃষ্টি করে গেছে। অনেকে শেষে নিজেকে নবী দাবি করেছে। এসবকে কেন্দ্র করে উম্মত মুসলিম পরিচয় ভুলে বহুনামে আজ পরিচয় দিচ্ছে।


গোলাম আহমদ কাদেয়ানীকে মুজাদ্দিদ দাবি করে দুটি দল হয় একদল লাহোরী যারা তাকে শুধু মুজাদ্দিদ মানে আরেকদল তাকে নবী মানে। তথাকথিত ফেতনাবাজ মুজাদ্দিদগণ প্রথমে কিছু চমকপ্রদ কর্ম বা কথা প্রচার করে জনপ্রিয়তা হাসিল করে। কিছু ভক্ত সৃষ্টি হওয়ার পর তারা ফেতনা ছড়াতে শুরু করে।


বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা কুরআন, হাদীসকে ভিন্নরূপে ব্যাখা করে যেরূপ ব্যাখা সাহাবী, তাবেয়ীরা করেননি। বর্তমানেও দেখবেন দাজ্জালকে নিয়ে আধুনিক ব্যাখার নাম দিয়ে সাহাবী, তাবেয়ীদের ব্যাখার বিপরীত বিশ্লেষণ করে অনেকে জনপ্রিয় হচ্ছে। নিশ্চিত এগুলো পরবর্তীতে ফেতনার কারন হবে।


মুজাদ্দিদ মানে এই নয় ইসলামে নতুন কিছু সংযোজন করবেন বরং দ্বীন পূর্নাঙ্গ ও পরিশুদ্ধ। মুজাদ্দিদ দ্বীন রসুল (সা:), খেলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ মতে চালাবে, প্রচার করবে ও সুন্নাহকে পুন:প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে।


মুজাদ্দিদ নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও প্রায় সকল আলেম ঐক্যমত ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ:) আর শেষ মুজাহিদ্দ হবেন খলিফা মাহাদী (হাফি:)।


তবে অনেকের অভিমত- উম্মাহর প্রথম মুজাদ্দিদ হলেন হোসাইন (রাঃ)। খেলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ ফিরিয়ে আনতে তিনি স্বোচ্চার হোন ও শহীদ হোন। তিনি উম্মাহর বুকে চেপে আসা প্রথম বিদআত রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করেন, উম্মত যেন খেলাফায়ে রাশেদীনের মত স্বাভাবিক মত প্রকাশের অধিকার ফিরে পায় এবং খেলাফত আবার ফিরে আসে সেজন্য তিনি উদ্যোগী হোন।


সাফীনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবুওয়্যাতের ভিত্তিতে পরিচালিত খিলাফত ত্রিশ বছর অব্যাহত থাকবে। অতঃপর আল্লাহর যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমাকে সাফীনাহ (রাঃ) বলেছেন, হিসেব করো, আবূ বকর (রাঃ) দুই বছর, ‘উমার (রাঃ) দশ বছর, ‘উসমান (রাঃ) বারো বছর ও আলী (রাঃ) এতো বছর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি সাফীনাহ (রাঃ) -কে বললাম, এরা ধারণা করে যে, ‘আলী (রাঃ) খলীফাহ ছিলেন না। তিনি বলেন, বনী যারকা অর্থাৎ মাওয়ানের বংশধরগণ মিথ্যা বলেছে।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৬ ৪৬


আলীর (রা:) সময় মুসলিমদের পরস্পর যুদ্ধ – সংঘাত হতে মক্কা-মদিনা কে সুরক্ষিত রাখতে তিনি দারুল খেলাফা কুফাতে নিয়ে আসেন। কারন মক্কা-মদিনা অত্যন্ত পবিত্র ভূমি, দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের কারনে এর পবিত্রতা যেন বিনষ্ট না হয়। (পরবর্তীতে আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়েরের খেলাফতের সময়, বনু উমাইয়ার রাজত্বকালে মক্কা আক্রমণ হয়েছে, সম্মানহানী হয়েছে।)


প্রকৃত দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হোসাইন রা. তার প্রিয় নানা রসুলের (সা:) নীতি অনুসরণ করেন। রসুল (সা:) যেমন মক্কা হতে হিজরত করে মদীনায় যান। যেখানে তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সর্মথক ছিল।


রসূল (সা) মদীনা হতে দাওয়াতী ও জেহাদী কার্যক্রমের মাধ্যমে ইব্রাহিম (আ:) এর রেখে যাওয়া তাওহীদ মক্কায় ফিরিয়ে আনেন। তেমনি হোসাইন রা. কুফা যেতে চেয়েছিলেন, ওখানে আহলে বায়াতের অনুরাগী ছিল। হোসাইন (রা:) ঈমানী দৃঢ়তা, দাওয়াতী চেতনায় হয়তো বিপ্লব সৃষ্টি হবে, এই আশাংকায় ইসলামের শত্রুরা তাকে পথে বাধা দেন। ফলশ্রুতিতে তিনি শহীদ হোন।


দাওয়াতী কাজে ও সুন্নাহর ফিরানোর পথে বাঁধা, জুলুম – নির্যাতন আসলে প্রয়োজনে জেহাদ করতে হয় হোসাইন (রা:) এই আর্দশ পুনরায় জাগিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়েকে (রা:) সাহাবীরাসহ অন্যরা খলিফা নিযুক্ত করেন এবং নয় বছর তার ন্যায় শাসন বিদ্যমান থাকে। হোসাইন রা যদি সেদিন মক্কা-মদিনা ফিরে যেতেন উম্মত হয়তো জালেম শাসকের বিরোধিতা করার সাহস ফিরে পেত না।


হোসাইন (রাঃ), আবদুল ইবনে যুবায়ের (রা), ঈমাম আবু হানিফা (রহ:) ও ঈমাম হাম্বল (রহ:) সবাই জালেম শাসকের বিরোধিতা করেন। কেউও স্বৈরাচারী রাজাদের আনুগত্য করেননি বরং জুলুম নির্যাতনের শিকার হোন।


অথচ আজ আমাদের সমাজে এমন কাউকে মুজাদ্দিদ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে – যারা রাজতন্ত্রের সমর্থক, জালেম শাসকের পৃষ্ঠপোষক, উম্মাহকে সুন্নাহ ও খেলাফতের দিকে আহ্বানের বদলে বিভিন্ন বিদআতী কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা/সমর্থন করে গেছেন ও চলছেন।


শেষ মুজাদ্দিদ মাহাদী হাফি ও খেলাফতের দিকে আহ্বান করবে এবং খেলাফত পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিবেন এবং তিনিও আহলে বায়াত হতে আসবেন। তার বিরুদ্ধেও প্রথম সেনা পাঠাবে শাম হতে এক মুনাফেক শাসক।(মুসলিম, আল ফিতান)

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

টুইটার থেকে নেওয়া

  প্রস্তুত তো ???

ধেয়ে আসছে গাজওয়াতুল হিন্দ! পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটাই হল "গাজওয়ায়ে হিন্দ" তথা হিন্দুস্থান ভারতের বিরুদ্ধে মুসলমান উম্মাহদের যুদ্ধ। এই সম্মানিত যুদ্ধে নিশ্চিত মুসলমান উম্মাহরা বিজয় লাভ করবেন। সুবহানআল্লাহ.! কিন্তু এই সম্মানিত যুদ্ধে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান শাহাদাত বরন করবেন এবং শেষাংশ যুদ্ধ শেষ করে বিজয় লাভ করবেন। সুবহানাল্লআহ.! যারা এই সম্মানিত যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন উনারা নিশ্চিত জান্নাতবাসী হবেন। সুবহানআল্লাহ.! এবং যেসব মুসলমানগন এই সম্মানিত যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে গাজী হয়ে ফিরবেন উনারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরন করে জান্নাতবাসী হবেন। সুবহানআল্লাহ.! আবার এই সম্মানিত যুদ্ধ থেকে যেসব নামধারী মুসলমানরা পালিয়ে যাবে তারা বেইমান হয়ে মৃত্যুবরন করবে। নাউজুবিল্লাহ! পবিত্র হাদিস শরীফে গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটা হবে কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের পৃথিবীর ভিতর বৃহত্তম জি"হ|দ/যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্তানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ অংশ জি"হ|দ চালিয়ে যাবে। মুসলমানদের নিশ্চিত জয় হবে কিন্তু এটা এতোটাই ভয়াবহ যে হয়তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমই বেঁচে থাকবেন বিজয়ের খোশ আমদেদ করার জন্য। অন্য বর্ণনায় আছে, গাজওয়াতুল হিন্দ হিন্দুস্তানের (চুড়ান্ত) যুদ্ধ। রাসুল (ﷺ) একদিন পুর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবি রাসুল (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আপনি এমন করছেন কেন!" রাসুল (ﷺ) বললেন, "আমি পুর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি।" সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম উনারা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ(ﷺ) আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? রাসুল (ﷺ) বললেন, পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করেন) সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত, কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকুনি পর্যন্ত ডুবে যাবে। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে; এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনি দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে, তারাই হলো জাহান্নামী! আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হবেন। শেষ ভাগ আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন। রসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এই যুদ্ধ বদর যুদ্ধের সমতুল্য!(সুবহানাল্লাহ) RJ Al-amin✍️ অপর এক বর্ণনায় এসেছে : এই যুদ্ধের শহীদরা বদরের শহীদদের মর্যাদা পাবেন।( সুবহানাল্লাহ্!)
টুইটার থেকে নেওয়া

নিমন্ত্রণ __ জসীম উদ্‌দীন---(ধান ক্ষেত কাব্যগ্রন্থ),,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নিমন্ত্রণ

__ জসীম উদ্‌দীন---(ধান ক্ষেত কাব্যগ্রন্থ)

তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে,আমাদের ছোট গাঁয়,

গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;

মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি

মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,

মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,


তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া,

কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া;

ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী

পারের খবর টানাটানি করি;

বিনাসুতি মালা গাথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;

বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।


তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে, ছোট সে কাজল গাঁয়,

গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।

সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া

দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,

বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,

বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!


তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে – নরম ঘাসের পাতে

চম্বন রাখি অধরখানিতে মেজে লয়ো নিরালাতে।

তেলাকুচা – লতা গলায় পরিয়া

মেঠো ফুলে নিও আঁচল ভরিয়া,

হেথায় সেথায় ভাব করো তুমি বুনো পাখিদের সাথে,

তোমার গায়ের রংখানি তুমি দেখিবে তাদের পাতে।


তুমি যদি যাও আমাদের গাঁয়ে, তোমারে সঙ্গে করি

নদীর ওপারে চলে যাই তবে লইয়া ঘাটের তরী।

মাঠের যত না রাখাল ডাকিয়া

তোর সনে দেই মিতালী করিয়া

ঢেলা কুড়িইয়া গড়ি ইমারত সারা দিনমান ধরি,

সত্যিকারের নগর ভুলিয়া নকল নগর গড়ি।


তুমি যদি যাও – দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,

সীম আর সীম – হাত বাড়াইলে মুঠি ভরে সেই খানে।

তুমি যদি যাও সে – সব কুড়ায়ে

নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,

খাব আর যত গেঁঢো – চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,

হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।

তুমি যদি যাও – শালুক কুড়ায়ে, খুব – খুব বড় করে,

এমন একটি গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো করে,

কারেও দেব না, তুমি যদি চাও

আচ্ছা না হয় দিয়ে দেব তাও,

মালাটিরে তুমি রাখিও কিন্তু শক্ত করিয়া ধরে,

ও পাড়াব সব দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে;


সন্ধ্যা হইলে ঘরে ফিরে যাব, মা যদি বকিতে চায়,

মতলব কিছু আঁটির যাহাতে খুশী তারে করা যায়!

লাল আলোয়ানে ঘুঁটে কুড়াইয়া

বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করিয়া

এত ঘুষ পেয়ে যদি বা তাহার মন না উঠিতে চায়,

বলিব – কালিকে মটরের শাক এনে দেব বহু তায়।


খুব ভোর ক’রে উঠিতে হইবে, সূয্যি উঠারও আগে,

কারেও ক’বি না, দেখিস্ পায়ের শব্দে কেহ না জাগে

রেল সড়কের ছোট খাদ ভরে

ডানকিনে মাছ কিলবিল করে;

কাদার বাঁধন গাঁথি মাঝামাঝি জল সেঁচে আগে ভাগে

সব মাছগুলো কুড়ায়ে আনিব কাহারো জানার আগে।


ভর দুপুরেতে এক রাশ কাঁদা আর এক রাশ মাছ,

কাপড়ে জড়ায়ে ফিরিয়া আসিব আপন বাড়ির কাছ।

ওরে মুখ – পোড়া ওরে রে বাঁদর।

গালি – ভরা মার অমনি আদর,

কতদিন আমি শুনি নারে ভাই আমার মায়ের পাছ;

যাবি তুই ভাই, আমাদের গাঁয়ে যেথা ঘন কালো গাছ।


যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।

ঘন কালো বন – মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।

গাছের ছায়ায় বনের লতায়

মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়!

আজি সে – সব সরায়ে সরায়ে খুজিয়া লইব তায়,

যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গায়।

তোরে নিয়ে যাব আমাদের গাঁয়ে ঘন-পল্লব তলে

লুকায়ে থাকিস্, খুজে যেন কেহ পায় না কোনই বলে।

মেঠো কোন ফুল কুড়াইতে যেয়ে,

হারাইয়া যাস্ পথ নাহি পেয়ে;

অলস দেহটি মাটিতে বিছায়ে ঘুমাস সন্ধ্যা হলে,

সারা গাঁও আমি খুজিয়া ফিরিব তোরি নাম বলে বলে।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


২ টাকার লাউ গাছ,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ২ টাকার লাউ গাছ,,


বাজার থেকে ১০ টাকায় ২০ টা বীজ কিনছিলাম,তার থেকে ২ টা গাছ রোপণ করছিলাম। 


আজ সেই গাছ গুলোর রাজত্বে ছাদের কিছু অংশ ওদের দখলে,বাজার মূল্য হিসেবে কম হলেও ১০০ টাকার সাক কাটলাম সকালে।


আর মনের আনন্দ তো কোটি টাকার সমান অনুভব হয়,মজার বিষয় হচ্ছে গাছ গুলো কোন রকম মাটি আর পরিচর্যা ছাড়া বড়ো হইছে আলহামদুলিল্লাহ। 


মাটি ছাড়া কিভাবে হয় সেটা এখন সকলের মনে প্রশ্ন তাই না,


ছাদের সব ময়লা আর পাতা সব জরো করে ড্রাম ভর্তি করে রাখছিলাম আর সেখানে গাছ রোপণ।  


ময়লা পরিষ্কার হলো আবার জৈব সার ও হলো সব শেষে ফ্রী সাক ও খাওয়া হলো।







ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


পালং শাকের পাটিসাপটা পিঠা,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শীতে নানারকম পিঠার আয়োজন তো করেনই। আজ একটু আনকমন স্বাদের পালং শাকের পাটিসাপটা পিঠা বানিয়ে ফেলুন না! বানানো কঠিন কিছু নয়। আপনার জন্য রেসিপি রইলো এখানে-

যা যা লাগবে-

চাষী চিনিগুঁড়া চালের গুঁড়া ২ কাপ 

ময়দা ১ টেবিল চামচ 

ডিম (ফেটানো) ৪টি 

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা ১ চা চামচ 

জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ 

পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

কাঁচামরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ 

রাঁধুনী হলুদের গুঁড়া ১/২ চা চামচ

রাঁধুনী ধনিয়ার গুঁড়া ১/২ চা চামচ

চাট মশলা ১/২ চা চামচ 

লবণ স্বাদমতো 

তেল ভাজার জন্য 

পালং শাক কুচি ১ কাপ 

পানি পরিমাণমতো 

যেভাবে বানাবেন-

একটি বাটিতে পালং শাক, ডিম-সহ সব মশলা একসাথে মেখে নিন। এরপর লবণ দিয়ে আরো একবার ভালো করে মাখান। 

ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ১ টেবিল চামচ গোলা ঢেলে দিয়ে দ্রুত ছড়িয়ে দিন। পাটিসাপটা সিদ্ধ হলে একপাশ থেকে মুড়ে যান। আর একটু তেল দিয়ে দু’পিঠ ভালোভাবে ভেজে নামান। 

গরম গরম পরিবেশন করুন।


রান্নাবান্নার কিছু টিপস,,,,,

 """""""রান্নাবান্নার কিছু টিপস """"""


🌹 শুকনো মরিচ বা বিস্কিট - চানাচুর ফ্রিজে রেখে দিলে মচমচে থাকবে ।


🌹 খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়া না হলে তা অনেক্ষণ ভালো থাকে।


🌹 হাত দিয়ে আচার নাড়বেন না, চামচ ব্যবহার করুন। 


🌹 আচার বয়াম থেকে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, চামচে যেন পানি না থাকে।


🌹 রান্নার সময় খাবার পুড়িয়ে ফেলেছেন। প্যানটি সাবান মেশানো গরম পানিতে সিঙ্কে চুবিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। প্যান পরিষ্কার সহজ হয়ে যাবে।


🌹 তরকারীতে হলুদ বেশি হয়ে গেছে ? একটু আটা পানিতে মেখে আস্তে করে তরকারীতে দিয়ে রাখুন । ভয় নেই। ওটা গল্বে না । আস্তে আস্তে সক্ত হয়ে যাবে এবং সে বাড়তি হলুদ কমিয়ে ফেলবে ।


🌹 মোমবাতি ফ্রিজে রাখুন। মোমবাতি ভালো থাকবে এবং ক্ষয়ও হবে কম।


🌹 আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সিদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।


🌹 খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায় দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভাল করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


আমার টিপস গুলো যদি আপনাদের একটু ও উপকারে আশে তবে শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন, নিয়মিত আমার দেওয়া পোস্ট গুলো পেতে  কমেন্ট করে সাথেই থাকুন তা না হলে আমার দেওয়া পোস্ট গুলো আপনার ওয়ালে খুজে পাবেন না। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। 


গতির চেয়েও দ্রুত এই সুপারসনিক বিমান,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ***শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত এই সুপারসনিক বিমান, এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছাবে কয়েক মিনিটে***


কার গতিবেগ সবচেয়ে বেশি বলুন তো? এক কথাতেই বলে ফেললেন নিশ্চয়ই আলো। আর আলোর থেকে কিছুটা কম শব্দের গতিবেগ। এবার এই শব্দের গতি থেকেও যদি জোরে ছোটে কোনও বিমান, তাহলে কেমন হবে? এই ভাবনাটারই বাস্তব রূপ দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) এবং বিমান ও বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা লকহিড মার্টিন সুপারসনিক বিমান X-59 তৈরি করেছে। এটি একটি নতুন প্রজন্মের বাণিজ্যিক বিমান, যা শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত।


**বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক বিমান কোনটি জানেন?**


বিশ্বের প্রথম দ্রুততম সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান ছিল কনকর্ড। এই বিমানটি শব্দের দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারতো, কিন্তু এই সুপারসনিক বিমানটি 2003 সালে শেষ ফ্লাইট নিয়ে উড়তে পেরেছিল। ওই দিন থেকেই এই বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।


**X-59-এর গতি শব্দের চেয়েও 1.4 গুণ বেশি:**


X-59-এর একের পর এক পরীক্ষা চলছে। আর তারপরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ফ্লাইট নিয়ন্ত্রকদের ডেটা সরবরাহ করবে, যা তাদের বাণিজ্যিক সুপারসনিক ফ্লাইটকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। জানলে অবাক হবেন, X-59 শব্দের 1.4 গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে। এর নকশা, আকার এবং প্রযুক্তিগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে ওড়ার সময় কোনওরকম আওয়াজ করবে না। নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাম মেলরয় এই বিষয়ে বলেছেন, “এটি একটি বিরাট অর্জন, যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র নাসা এবং পুরো X-59 টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং দক্ষতার কারণে। চলতি বছরের শেষের দিকে বিমানটি প্রথমবারের মতো উড়তে চলেছে। বিমানটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নির্বাচিত শহরে চালানো হবে।”


লকহিড মার্টিন স্কাঙ্ক ওয়ার্কসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল ম্যানেজার জন ক্লার্ক বলেন, “প্রতিভাবান, নিবেদিতপ্রাণ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং কারিগররা এই বিমানটি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন। তাদের জন্যই সবটা সম্ভব হয়েছে। এই বিমান 99.7 ফুট লম্বা এবং 29.5 ফুট চওড়া। বিমানের আকার এবং প্রযুক্তি সুপারসনিক ফ্লাইটটিকে সবার থেকে আলাদা করে। “


Source: Tv9 Bangla

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

ক্যালেন্ডারের ইতিহাস BBC বাংলা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 



৩০শে ফেব্রুয়ারি - যে দিনটি ইতিহাসে মাত্র একবারই এসেছিল



অবিশ্বাস্য হলেও, তারিখটি এক সময় বিদ্যমান ছিল।


এক ঘন্টা আগে


বহু বছর ধরে প্রতি চার বছর পর পর লিপ ইয়ারের মাধ্যমে বছর গণনাকে সমন্বয় করায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।


সাধারণত এক বছর বলতে ৩৬৫ দিনের হিসাব করা হলেও এবারে ২০২৪ সালে বছরের গণনা করা হবে ৩৬৬ দিনে। কারণ চলতি বছর হল লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।


লিপ ইয়ার হল প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হওয়া। তাই ২৯শে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।


এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়।


যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন।


কিন্তু ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল।


সুইডেন একটি ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল।


তাহলে ভেবে দেখুন, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের ভাগ্যে কী হয়েছে? তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।


এই ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস জানা প্রয়োজন।


আরো পড়তে পারেন


দেবতা জানুসের নাম থেকে যেভাবে জানুয়ারি বছরের প্রথম মাস৩১ ডিসেম্বর ২০২৩


১৪ই এপ্রিল দেশে দেশে যেভাবে বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়১৪ এপ্রিল ২০২২


'এপ্রিল ফুল' এর সাথে কি মুসলমানদের ট্র্যাজেডি জড়িয়ে আছে?১ এপ্রিল ২০২৩



জুলিয়াস সিজার একটি ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন যা আধুনিক ক্যালেন্ডারের পথ তৈরি করে।


লিপ ইয়ার কেন আসে?


প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে, সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব।


কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে।


কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সাথে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।


এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে।


তিনি সেসময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন।


যে ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। এতে ৩৬৫ দিনের সাথে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে।


এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়।


সৌর বছরের সাথে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সাথে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।


এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।


পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিনের কিছুটা বেশি সময় নেয়।


একটি বাড়তি দিন


কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।


জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে।


যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।


লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। সেসময় ওই দিনটি লিপ ইয়ার হিসেবে পালন করা হত।


বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।


কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে 'নিখুঁত' করার সিদ্ধান্ত নেন।


তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।


একটি গাণিতিক সমাধান


জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেন যে, ১৫৮২ সালে চৌঠা অক্টোবরের পরের দিনটি হবে ১৫ই অক্টোবর।


অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে।


মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়।


এবং পরবর্তীতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য তখন লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।



ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন।


সময়ের হেরফের


সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার।


চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গেছে, দুইটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।


অন্যদিকে, সৌর পরিভ্রমণ অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে সময় নেয় কমবেশি ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টার মতো।


তবে এটি এমন এক গণনা পদ্ধতি যা হেরফের হতে পারে।


ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না, মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল।


ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা-প্রয়োজন, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।


ফলে সৌর বছরের সাথে এই ক্যালেন্ডারগুলোকে সমন্বয় করা প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, যা উপেক্ষা করার উপায় ছিল না।


সম্রাট জুলিয়াস সিজার, প্রায় দুই হাজার বছর আগে, আমরা বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তার অনুরূপ একটি ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন।


সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো।


শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।


বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়।


এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টায় হয়, তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।



সম্রাট দ্বাদশ চার্লস ক্যালেন্ডারের আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন।


গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ


এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট - সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম।


আদতে মনে হতে পারে এটি এমন কোন বড় পার্থক্য নয়, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে।


তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।


এ কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন।


এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।


তবে যাই হোক না কেন, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মানসম্মত প্রতিষ্ঠিত ক্যালেন্ডার।


যদিও সব দেশ একই সময়ে তা গ্রহণ করেনি।


যারা ক্যাথলিক চার্চের সাথে যুক্ত ছিল, প্রথমে তারা এই ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। পরবর্তী চার দশকে লিপ ইয়ার নির্মূল করার পরিবর্তে, তারা অক্টোবর মাস থেকে এক লাফে ১০ দিন কমিয়ে দেয়।


১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়।


অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।


যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল।


তারা দোসরা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।



ফরাসি বিপ্লবের সময় আধুনিক ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।


সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন


কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি।


তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করেছিল।


এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।


তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়।


একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।


কিন্তু, ওই সময়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক কাজের মধ্যে এই লিপ ইয়ার না কাটানোর পরিবর্তনের কথা তারা ভুলে যায়।


কয়েক বছর পরে, সম্রাট দ্বাদশ চার্লস বুঝতে পেরেছিলেন যে সুইডেনের ক্যালেন্ডারটি জুলিয়ান বা গ্রেগরিয়ান কোনটিই নয়।


এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন।


কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।


এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একটিমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল।


ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।


তবে তারা যে কোনদিনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।


শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে।


দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়।


সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপ্লবী ক্যালেন্ডার শিল্প উৎপাদনের দক্ষতা বাড়াতে চেয়েছিল।


অন্যান্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি


তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৩০ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে একটি বিপ্লবী ক্যালেন্ডার চালু করেছিল।


যেখানে পাঁচ দিনে এক সপ্তাহ নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং সব মাস ধরা হয় ৩০ দিনে। এতে বছরের শেষে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন বাড়তি থেকে যায়, যা 'ছুটি' হিসাবে বিবেচিত হয়।


সাত দিনের সপ্তাহ বাতিল করার উদ্দেশ্য ছিল সপ্তাহে ছুটির দিনের বাধা ছাড়াই শিল্প উৎপাদন উন্নত করা।


কিন্তু শিগগিরই এটি উপলব্ধি করা হয় যে, রবিবারের প্রথাগত বিশ্রামের অভ্যাস দূর করা কঠিন হবে এবং ধারণাটি এক পর্যায়ে বাতিল হয়ে যায়।


এদিকে, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।


রে ব্র্যাডবিউরির ছোট গল্প "দ্য লাস্ট নাইট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড"-এ ৩০শে ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।


ব্রিটিশ লেখক জন রোনাল্ড রিয়েল টলকিয়েন তার ফ্যান্টাসি উপন্যাস ‘দ্য হবিট এবং দ্য লর্ড অফ দ্য রিংসে’ ৩০শে ফেব্রুয়ারির কথা উল্লেখ করেছেন।


তার বই অনুযায়ী হবিটরা একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে যেখানে ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ৩০ দিনে।


তবে বাস্তব জগতেও এই তারিখের ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে।


যখন কোন মানুষের মৃত্যুর তারিখ অজানা থাকে তখন তাদের সমাধি প্রস্তর বা এপিটাফে জন্ম তারিখ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে রেকর্ড করা হয়।

প্রতি চার বছর পর পর আমরা ক্যালেন্ডারে ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৬ দিন দেখতে পাই।


ধর্মীয় রেফারেন্স ছাড়া ক্যালেন্ডার


সংস্কারের এ ধারা আধুনিক ক্যালেন্ডারের পথ তৈরি করে দিয়েছে, যা আমরা বর্তমানে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসাবে জানি।


সর্বশেষ সংস্কারের পর থেকে ক্যালেন্ডার ব্যবস্থায় কোনো নতুন পরিবর্তন হয়নি।


যদিও ফ্রান্সের মতো কিছু দেশে নতুন এই ক্যালেন্ডার সংশোধনের জন্য আন্দোলন হয়েছিল।


তবে, ১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লব চলাকালে দেশটি তাদের গণিতবিদ গিলবার্ট রোমের ডিজাইন করা একটি 'প্রজাতন্ত্রী' ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।


এই ক্যালেন্ডারে ধর্মীয় রেফারেন্স বাদ দেওয়া হয় এবং মাসগুলোর নতুন নাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয় – নতুন নামে প্রাকৃতিক ঘটনা এবং কৃষি খাতের নানা বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল।


কিন্তু ক্যালেন্ডারের নতুন এ সংস্করণের স্থায়িত্ব ছিল খুব সংক্ষিপ্ত।


এরপর ১৮১৪ সালে নেপোলিয়নের উৎখাতের পর, ফ্রান্স দ্রুতই ত্রয়োদশ গ্রেগরির তৈরি এবং জুলিয়াস সিজারের সংস্করণের ক্যালেন্ডারে ফিরে আসে।

BBC বাংলা ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৯-০২-২০২৪,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৯-০২-২০২৪ 


আজকের শিরোনাম:


আসন্ন রমজানে অফিস চলবে সকাল নয়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত - মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত ।


রমজানে নিত্য পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এবং মজুতদারদের কারসাজি রোধে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার - জাতীয় সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ।


পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির।


ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১১ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। 


জব্দ রুশ ব্যাংকের সম্পদ ইউক্র্রেনের জন্য অস্ত্র সংগ্রহে ব্যবহারের প্রস্তাব করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ।


রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে ফরচুন বরিশাল ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কৃষি সম্পর্কিত ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 😲প্রাকৃতিক সার দিয়ে শসার ফলন দ্বিগুণ করুন: 


👉বিস্তারিত জেনে নিন:👇

বাগানের উত্সাহী এবং শসা প্রেমীদের জন্য, আপনার বাগান থেকে সরাসরি তাজা, কুঁচকে যাওয়া শসার প্রচুর ফসল সংগ্রহ করার মতো কিছুই নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি প্রাকৃতিক সারের সাহায্যে আপনার শসার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারেন? এই বিস্তৃত নির্দেশিকায়, আমরা আপনার শসার ফসল দ্বিগুণ করতে এবং আপনার বাগানের উন্নতি নিশ্চিত করতে সেরা জৈব সার এবং কৌশলগুলি অন্বেষণ করব। আপনার শসা গাছের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন করার জন্য প্রস্তুত হন এবং এই সতেজ সবজির প্রাচুর্য উপভোগ করুন।


1. জৈব সারের শক্তি:

👉প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে না বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে মাটিকে সমৃদ্ধ করে। সিন্থেটিক বিকল্পের বিপরীতে, জৈব সার মাটির গঠন উন্নত করে, উপকারী অণুজীবকে উৎসাহিত করে এবং রাসায়নিক ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়।


2. কম্পোস্ট: দ্য গার্ডেনার্স গোল্ড:

👉কম্পোস্ট হল মালীর গোপন অস্ত্র। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, কম্পোস্ট মাটির উর্বরতা এবং জল ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। আপনার শসার বিছানায় কম্পোস্ট যুক্ত করা ক্রমবর্ধমান ঋতু জুড়ে পুষ্টির একটি অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ সরবরাহ করে, যার ফলে উদ্ভিদের প্রবল বৃদ্ধি এবং শসার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়


3. ওয়ার্ম কাস্টিংস: প্রকৃতির পুষ্টি-সমৃদ্ধ বুস্ট:

👉কৃমি ঢালাই, যা ভার্মিকম্পোস্ট নামেও পরিচিত, শসা গাছের জন্য একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউস। প্রয়োজনীয় খনিজ এবং উপকারী অণুজীব দ্বারা পরিপূর্ণ, কৃমি ঢালাই মাটিকে সমৃদ্ধ করে এবং শক্ত শিকড়ের বিকাশকে উৎসাহিত করে। আপনার বাগানের মাটিতে কীট ঢালাই মিশ্রিত করা বা শীর্ষ ড্রেসিং হিসাবে ব্যবহার করা শসার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।


4. ফিশ ইমালসন: একটি প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন উৎস:

👉ফিশ ইমালসন নাইট্রোজেনের একটি চমত্কার উৎস, যা শসার বৃদ্ধির জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি। নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ সার লীলা পাতা এবং দ্রাক্ষালতার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ক্রমবর্ধমান ঋতুতে পাতলা মাছের ইমালসন প্রয়োগ করা শসাগুলিকে একটি সমৃদ্ধ ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন বৃদ্ধি করে।


5. তরল সামুদ্রিক নির্যাস: একটি সম্পূর্ণ পুষ্টির প্যাকেজ:

👉তরল সামুদ্রিক শৈবালের নির্যাস একটি জৈব-উত্তেজক যা শসাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, বৃদ্ধির হরমোন এবং ট্রেস উপাদানগুলির বিস্তৃত পরিসর সরবরাহ করে। এই জৈব সার শসা গাছের স্থিতিস্থাপকতা, পুষ্টি শোষণ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তরল সামুদ্রিক শৈবালের নির্যাস দিয়ে ফলিয়ার স্প্রে করা শসার ফলন বাড়াতে পারে।


6. ইপসম সল্ট: শসার স্বাস্থ্যের জন্য ম্যাগনেসিয়াম:

👉ইপসম লবণ, বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, শসা গাছের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিল উৎপাদন এবং সালোকসংশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Epsom লবণের দ্রবণের একটি ফলিয়ার স্প্রে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি রোধ করতে পারে, ফলে স্বাস্থ্যকর শসা গাছপালা এবং প্রচুর ফল উৎপাদন হয়।


7. আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মালচিং:

👉আপনার শসা গাছের চারপাশে মালচ যুক্ত করা আর্দ্রতা ধরে রাখতে, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আগাছা দমন করতে সাহায্য করে। মালচিং গাছের উপর জলের চাপ কমায় এবং শসার বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।


8. সঠিক জল এবং সূর্যালোক:

👉যদিও প্রাকৃতিক সার অপরিহার্য, মৌলিক বিষয়গুলি ভুলে যাবেন না। ক্রমাগত জল এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোকের সাথে শসাগুলি বৃদ্ধি পায়। নিশ্চিত করুন যে আপনার গাছগুলি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 1 ইঞ্চি জল পান এবং সর্বোত্তম বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ সূর্যের এক্সপোজার উপভোগ করুন।


🥰কম্পোস্ট, ওয়ার্ম কাস্টিং, ফিশ ইমালসন, তরল সামুদ্রিক শৈবাল নির্যাস এবং ইপসম লবণের মতো প্রাকৃতিক সারের শক্তি ব্যবহার করে আপনি আপনার শসা গাছের ফলন দ্বিগুণ করতে পারেন। সঠিক জল এবং সূর্যালোকের সাথে এই জৈব কৌশলগুলিকে একত্রিত করুন, এবং আপনি একটি চিত্তাকর্ষক শসার ফসল উপভোগ করার পথে ভাল থাকবেন। একটু যত্ন এবং সঠিক সার দিয়ে, আপনার শসা ফুলে উঠবে, আপনাকে সালাদ, আচার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য সুস্বাদু, দেশীয় শসা প্রদান করবে। 

সিলেট এগ্রো হাউজ।


 

সাগরের রহস্য,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 > ***ছোট কাঁকড়া আর চিংড়ি খেয়ে বাঁচতে হয় সব থেকে বড় প্রাণী নীল তিমি কে !***


আমরা জানি যে , নীল তিমি ওজনে ২০০ টন পর্যন্ত হতে পারে। তবে গড়ে এরা ১০০ থেকে ১৫০ টন হয়ে থাকে। এবং । নীল তিমির পেট ভরতে ১ টন বা ১০০০ কেজি ক্রিল দরকার হয়। তবে এরা সারা দিনে প্রায় ৩৬০০ কেজি ক্রিল খায় । 


কিন্তু এর সাথে একটা আশ্চর্য হওয়ার মত কথা হলো , নীল তিমির  মুখ এতই বড় যে একটা গাড়ি অনায়াসে  মুখে পুড়ে নিতে পারবে । কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে খাদ্য নালি এতই পাতলা যদি এটি দিনে 2-3 টন ক্রিল নেয়, সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত হলে মাত্র 15 থেকে 25 সেমি লম্বা হয়!  চিংড়ির  মত দেখতে ক্রিল  দৈর্ঘ্য 5-6.5 সেমি এবং গড় ওজন 2 গ্রাম  ! মানে আমরা যে ছোট চিংড়ি খাই তার সমান ! এছাড়াও নীল তিমি  কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, ক্রেফিশ  ও খায়  সাইজটা আমরা জানি । ( ২৫–৫০ সেন্টিমিটার ) 


তিমি অনেক মজাদার একটা জীব , যাকে ঘিরে আছে অনেক অনেক মজাদার এবং আশ্চর্য জনক সব তথ্য , যেমন আমাদের প্রিয় ডলফিন ও  এক প্রজাতির তিমি !




আল্লাহ যখন সাথে থাকেন,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আল্লাহ যখন সাথে থাকেন 


একবার যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে চিনবেন তখন আপনার জীবনের কোনো বিপদকেই আর বিপদ মনে হবে না, কোনো সমস্যাকেই আর সমস্যা মনে হবে না। যেমন, ইব্রাহিম (আ) আল্লাহকে জানার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করলেন। তারপর যখন আল্লাহকে চিনলেন তখন আল্লাহ তাঁকে বললেন তার স্ত্রী সন্তানকে মক্কার মরুভূমিতে রেখে আসতে। তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলেন - আমাদের কেন এভাবে রেখে যাচ্ছেন? তিনি তার উত্তর জানতেন না। তারপর তার স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করলেন - এটা কি আল্লাহর নির্দেশ? ইব্রাহিম (আ) বললেন- হ্যাঁ। তারপর তার স্ত্রী বলেন - এটা যদি আল্লাহর নির্দেশ হয়ে থাকে তাহলে তিনি আমাদের ধ্বংস হতে দিবেন না।


হাজেরা (আ) ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝলেন। যদি আল্লাহ এমনটি করতে বলেন, তাহলে এখানে কোন ভুল হতে পারে না। আমাদের বিশ্বাসও এমন শক্তিশালী হওয়া উচিত। যদি আল্লাহর প্রতি এমন বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে অতি মূল্যবান একটি জীবন। তখন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন, ফেরেশতারা আপনাকে ভালোবাসবেন, আপনি অন্য রকম একজন মানুষে পরিণত হবেন। আপনার কোনো ধারণাই নেই আল্লাহ কিভাবে আপনার জীবনকে আশীর্বাদ এবং বরকতে পূর্ণ করে দিবেন।


জীবনে সমস্যা থাকলেও সমস্যার মাঝেই প্রশান্তি খুঁজে পাবেন। অনেক মানুষ বাইরে থেকে দেখবে আপনার সমস্যা তাদের সমস্যার মতোই। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে আপনার সমস্যা আসলে তাদের মতো নয়। যদি দুইজন ব্যক্তি কোনো সমস্যায় পড়ে, একজন সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী কারো সাহায্য পেয়ে থাকে, আর অন্যজন কারো কাছ থেকে কোনো সাহায্য পায় না। উভয়ে কি সমান? তারা সমান নয়।


একজন বিশ্বাসী এবং একজন অবিশ্বাসী একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে। বিশ্বাসীর সাথে আল্লাহ আছেন আর অবিশ্বাসীর সাথে আল্লাহ নেই। আল্লাহ যখন বলেন, "ইন্নাল্লাহা মায়াস সাবিরিন - আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।" আল্লাহর এই সাথে থাকা বিশাল পার্থক্য তৈরী করে। এর মানে হল, আপনি জিতবেন। আল্লাহ যদি আপনার সাথে থাকেন, আপনি কখনো পরাজিত হবেন না। আল্লাহর দল কখনো পরাজিত হয় না। আল্লাহ যদি আপনার সাথে থাকেন আপনি কখনো হারতে পারেন না। এটা অসম্ভব।


সংগৃহীত

রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর ফজিলত-ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⭕ রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর ফজিলত-


🔸 যারা মহান আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দান করেছেন। [সূরা দাহর, আয়াত নং ৫-১২]


🔹 যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার বান্দাকে ইফতার করাবে, সে ঐ রোজাদারের সম-পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে, এতে রোজাদার বান্দার সওয়াব থেকে কিঞ্চিৎ পরিমান সওয়াবও কম করা হবে না। [সুনানে তিরমিযি- ৮০৭]


🔸 আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রোজাদার বান্দাকে পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ কিংবা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও ইফতার করায়, তাহলেও মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাকে সেই রোজাদারের সম-পরিমান সওয়াব দান করবেন। [মুসনাদে আহমাদ- ২১১৬৮]


🔹 আর যে ব্যক্তি তার কোনো রোজাদার ভাইকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাকে হাউজে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত আর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না, সুবহানাল্ল-হ। [সহিহ ইবনে খুজাইমা ১৮৮৭]


🔲 আপনি সারাদিন রোজা রেখে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন না যে আপনার রোজা কবুল হয়েছে কি হয় নি কিংবা আপনি রোজার পরিপূর্ণ সওয়াব পেয়েছেন কি পান নি। কিন্তু আপনি একজন রোজাদার বান্দাকে ইফতার করানোর ফলে সেই রোজাদারের সম-পরিমান সওয়াব লাভ করতে পারছেন, সেই সাথে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা এবং জান্নাত লাভের মতো সুসংবাদ লাভ করতে পারছেন। কেয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারছেন আলহামদুলিল্লাহ।


⭕ মহান আল্লাহ তা'য়ালা যদি আপনাকে সামর্থ্য দিয়ে থাকেন তাহলে এটিও একটি সুবর্ণ সুযোগ রমাদান মাসে নেকির ভান্ডারকে পরিপূর্ণ করে নেওয়া। হোক না সামর্থ্য যৎসামান্যই, যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ। মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে এই নেক আমলটি করার তৌফিক দান করুন, আমিন 💝✅


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "এই আইডির মালিক  ********* আর এই পৃথিবীতে আর নেই।

কিছুক্ষন আগে ইন্তেকাল করেছেন

"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন".


আমি তার একজন নীকটাত্মীয়।

আপনাদের সবার কাছে তার রুহের আত্নার মাগফিরাত এর জন্য দোয়া চাইছি।"


কী !! 


সামান্য একটু ধাক্কা লেগেছে কারো অন্তরে?


যদি আমাকে এক সেকেন্ডের জন্য ও কোনোদিন মুহাব্বত করে থাকেন,তাহলে কিছুটা ধাক্কাতো লাগারই কথা!!


এমন একটি শোক বার্তা আর মাত্র কয়েকদিন পরে

আমার,আপনার,আমাদের টাইমলাইনে আসবে ইনশাআল্লাহ।


তার পর কি হবে জানেন? 

মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া পোস্টিতে কমেন্টের বন্যা বয়ে যাবে। আহারে ছেলেটা/মেয়েটা অনেক ভালো ছিলো,অনেক দুষ্টুমি করতো, অনেক মাজা করতো.".আরে গতকাল রাতেইতো আমার সাথে মেসেন্জারে কথা বললো,"ইন্নালিল্লাহ"!!

আল্লাহ ছেলেটাকে/মেয়েটাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন ইত্যাদি ইত্যাদি।


তারপর স্কিনশর্ট নিয়ে পোস্ট দিয়ে ক্যাপশন দেয়া হবে এই ছেলেটা বা মেয়েটা আর নেই। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না এই ছেলেটা/মেয়েটা আর নেই.!


আপনি কি জানেন? 

ঠিক ওই মুহূর্তে কিছু কিছু মানুষের দোয়া আর আর্তনাদ কমেন্ট বক্স আর স্ট্যাটাসের মাধ্যমেই সীমাব্ধ রয়ে যাবে!!


আপনার মৃত্যুর খবর শুনেই আপনার জন্য কুরআন নিয়ে বসে যাবে বা আপনার জন্য দুই রাকাত সালাত আদায় করে কায়মনোবাক্যে রহমানের দরবারে কান্নাকাটি করবে এমন একজন মানুষ  হয়তো হাতে গুনেও পাওয়া যাবে না এই ভার্চুয়াল জগতে।


আমি,আপনি,আমাদের রুহের আর্তনাত গুলো যদি এই বেঁচে থাকা মানুষ গুলো যদি উপলব্দি করতে পারতো তবে কখনোই তারা মাতামাতি বাড়াবাড়িতে লিপ্ত না হয়ে সঠিক পদ্ধতিতে আমাদের কবরে কিছু পাঠাতো।


আমার মৃত্যুর খবর আপনাদের কানে আসা মাত্রই আমার জন্যে আপনারা সূরা ইয়াছিন এবং সূরা মূলক পড়ে আমার কবরে সোয়াব পৌঁছে দিয়েন।

আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন ।

আমাদের সবাইকেই একদিন বিনা নোটিশে হুট করেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হবে।জীর্ণশীর্ণ কবরে থাকতে হবে।আমাদের উচিত সে কবরের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। 

জা-জাকাল্লাহ খাইরুন।


বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বীজ গজানোর পদ্ধতি,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🥬বীজ 🥦গজানোর পদ্ধতি🌽


১. বীজ হাতে পাওয়ার পর ২০-৩০ মিনিট রোদে দিন।


২. রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা রেস্ট দিন।


৩. ডুবন্ত পানিতে 12-14 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।


৪. পানি থেকে বীজ গুলো সুতি কাপড়ের বা টিস্যু পেপারে উঠান।


৫. ৫-৬ টি টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে পুটলি করেন।


৬. পুটলিটি একটি পটের মধ্যে রাখেন। পটে যেনো হাওয়া না ডোকে সেজন্য পটের মুখ বন্ধ করে রাখেন।


৭. দুই দিন পর পট খুলে বীজের উপর সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন।তারপর আবার আগের মতো রাখুন।


৮.  ৫-৬ দিন পর খুলে দেখুন বীজ গজায়ে গেছে। এখন বীজ পলিতে অথবা মাটিতে পাতিয়ে নিন।


গাছের বয়স ১ মাস হলে চারা লাগিয়ে দিন।


ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। 


( সোনালী ফসল গ্রুপ )



হে বোন, কেমন স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছো

 ⭕  হে বোন, কেমন স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছো

আশা করি একটু চিন্তা করবে.......!!


⭕এমন একটা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করো, যে তোমাকে 'Darling ' না বলে 'আদরের বউ' বলবে.....!!


⭕এমন একটা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করো, যে তোমাকে নিয়ে সিনেমা দেখার জন্য রাত জাগবে না   ।   তোমাকে নিয়ে তাহাজ্জুদের সালাত পরবে বলে রাত জাগবে......!!


⭕এমন একটা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করো, যে তোমার সারা জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার পাশা পাশি তোমার হাত ধরে জান্নাতে নেওয়ার দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা করবে.....!!


⭕এমন একটা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করো যে কোট পেন্ট আর চোখে সানগ্লাস না, যার মধ্যে নবির সুন্নত থাকবে......!!


⭕এমন একটা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করো, যে তোমাকে সম্পূর্ণ পর্দায় রাখার চেষ্টা করবে.....!!


⭕এমন একটা স্বামীকে জীবন সংঙ্গী করো, যে তোমাকে তার বন্ধুদের সাথে বাহিরে খেতে নিয়ে যাবে না, যে বাসায় এসে এক প্লেটে বসে তোমাকে খাইয়ে দিবে, আর জান্নাতে ও তোমাকে জীবন সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে......!!


⭕এমন একটা স্বামীকে বিয়ে করো , যে তোমাকে তার সাথে আর একটু ঘুমাতে বলবে না, ফজরের সময় তোমাকে ডেকে বলবে সালাত পরে নাও আমি মসজিদে যাচ্ছি.....!! 


⭕এমন একটা স্বামীকে বিয়ে করার ইচ্ছে করো, যে তোমাকে সাথে করে মার্কেটে নিয়ে পেন্ট শার্ট না, তোমার জন্য পোশাক কিনে এনে বলবে দেখ তো পছন্দ হয়েছে কি না......!! 


⭕এমন একটা স্বামীর অপেক্ষা করো, যে তোমার সন্তান কে নায়ক না, কুরআনের হাফেজ বানাতে চাইবে......!! 

ইয়া আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন এবং কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন.....!!


আমিন.....!!


ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

 একজন মহিলা একটা অজগর সাপ পুষতো।

সাপটা'কে সে অসম্ভব ভালবাসতো।

অজগরটা লম্বায় ৪ মিটার এবং দেখতেও বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল।


একদিন হঠাৎ তার আদরের অজগর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।

কয়েক সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সাপ কিছুই খায় না।

আদরের সাপের এমন অবস্থায় মহিলা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল এবং উপায়-বুদ্ধি না পেয়ে শেষমেশ সাপটাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।


ডাক্তার সাহেব মনযোগ দিয়ে সব শুনলেন এবং জিগেস করলেন- সাপটা কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়?

মহিলা উত্তর দিল- হ্যাঁ।

- ঘুমানোর সময় এটা আস্তে আস্তে আপনার কাছে ঘেঁসে?

- হ্যাঁ

- তারপর আস্তে আস্তে আপনাকে চারপাশে মুড়িয়ে ধরে?

মহিলা বিস্মিত হলেন এবং জবাব দিলেন-

এইবার চিকিৎসক খুবই ভয়ানক এবং অপ্রত্যশিত কিছু বললেন।

- ম্যাডাম, সাপটি আপনাকে জড়িয়ে ধরে, চারপাশ থেকে মুড়িয়ে ধরে, কারণ এটা আপনার মাপ নিচ্ছে। নিজেকে প্রস্তুত করছে আপনাকে আক্রমণ করার জন্য। এবং হ্যাঁ, সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে যথেষ্ট জায়গা খালি করতে, যাতে সহজেই আপনাকে হজম করতে পারে।


নীতিকথাঃ আপনার চারপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছে যাদের আপনি কাছের মানুষ ভাবেন, যাদের দেখে মনে হয় আপনাকে তারা অসম্ভব ভালবাসে। হয়ত আপনার ক্ষতিই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্্প

 থ্রি ইডিয়টসের চেয়ে ছিচোড়ে মুভিটা আমার কাছে বেশি প্রিয়।কারণ, থ্রি ইডিয়টস আপনাকে বলবে, তুমিও জিতবে।বাট ছিচোড়ে  মুভিটা আপনাকে বলবে, তুমি হারবে, তারপরেও তুমি বেঁচে থাকবে।

"জীবনের কাছে হেরে গেলাম" লিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহাগ ছেলেটা মরে গেল। হয়তো তাকে কেউ কখনও বলেনি, জিতে যাওয়া মানেই জীবন না, হেরে যাওয়ার মধ্যেও থাকে বেঁচে থাকার আনন্দ।

শিব খেরা, ডেল কার্নেগি থেকে আমাদের বাবা মা, বারবার আমাদের একটা কথাই বলে, তুমিও জিতবে। শক্ত হও। উঠে দাঁড়াও। দৌড়াও। জিততে তোমাকে হবেই।

কিন্তু কেউ কখনও বলে না, তুমিও হারবে। তুমিও তো রক্ত মাংসেরই মানুষ, তোমারও ক্লান্ত লাগবে। একটু বসো। সবসময়ই উঠে দাঁড়ানোর দরকার নাই। সবসময়ই দৌড়ানোর দরকার নাই।একটু বিশ্রাম করো। অনেকক্ষণ তো শক্ত থেকেছো, এবার একটু নরম হও।কেউ বলে না।

বলে না বলেই, সোহাগের মতো ছেলেমেয়েগুলো ঝুলে পড়ে। কেউ রিলেশনশিপের জন্য, কেউ টাকার জন্য, কেউ ক্যারিয়ারের জন্য, কেউ রেজাল্ট বা সিজির জন্য, কেউ বা একটুখানি ভালোবাসার জন্য।

হেলাল হাফিজ এক বুক কষ্ট নিয়ে লিখেছিলেন,

কেউ বলেনি,

ক্লান্ত পথিক,

দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও...

ওদিকে হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলেন আরো ভয়ঙ্কর কথা।

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো

খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে

খুব ছোট দুঃখের জন্যে

আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে

একটি ছোট দীর্ঘশ্বাসের জন্যে

একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।

মা বাবা, শিক্ষক, গার্জিয়ান, বন্ধু, সমাজ, পৃথিবী, আপনাদের সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ,জিতে যাওয়ার মোটিভেশন দেন, সমস্যা নাই।কিন্তু হেরে যাওয়াদের কথাও একটু বলেন। পৃথিবীতে সবাই জিততে আসে নাই। সবার জেতার দরকারও নাই। কিন্তু এই পৃথিবীতে সবাই বাঁচতে আসছে। 

এই পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ ছোট্ট একটা স্বপ্ন ডিজার্ভ করে, একটুখানি সিমপ্যাথি ডিজার্ভ করে, এক ফোঁটা রোদ্র ডিজার্ভ করে, ছোট্ট একটা ঘাসফুল ডিজার্ভ করে।

এই পৃথিবীর আলো বাতাস, জল বা জোছনায় সবার সমান অধিকার আছে। জিতে যাওয়া মানুষটার যেমন দোয়েলের শিষ শোনার অধিকার আছে, হেরে যাওয়া মানুষটারও তেমন এক ফোঁটা বৃষ্টির পানি পাওয়ার অধিকার আছে।

জয়ের মালা বিজয়ীরই থাকুক, ওটার ভাগ কেউ চায় নাই। তাই বলে হেরে যাওয়া মানুষের উপর থেকে এক টুকরো মেঘের ছায়া কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নাই।

কারো না।

collected❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️


গল্প  এক_প্রহরের_ভালোবাসা লেখক  জয়ন্ত_কুমার_জয় ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 " শা!রীরিক সম্পর্ক করে এখন এব'র্শন করাতে বলছো? "


" তুমি প্রে'গন্যান্ট হয়ে যাবে সেটা কে জানতো।আর এখন আমি এসব ঝামেলায় জড়াতে পারবো না "


শুভ্রের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম।পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মা ফোনে আমাদের কথা শুনে বললো 


" বলেছিলাম না ওই ছেলে পাল্টি খাবে?মুখ পুরিয়েই তো ছাড়লি শ'য়তান মেয়ে "


আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না।বাড়ি থেকে সোজাসুজি বলে দিলো হসপিটালে গিয়ে এব'র্শন করাতে হবে।কিন্তু আমি এব'র্শন করাতে চাই না।বু'কের ভেতরটা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। 


রাতে আমায় জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেলো এব'র্শন করাতে।আমি অনবরত কান্না করছি।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।তবে শুভ্র যে এভাবে বেইমানি করবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।


তিনজন নার্স মিলে ধরেবেঁধে বেডে শুয়ে দিয়েছে আমায়।আমি প্রাণপণে এখান থেকে বেরুনোর চেষ্টা করছি।এমন সময় একজন ডাক্তার ঘরে ঢুকলেন।শান্ত গলায় বললো 


" আপনারা সবাই একটু বাইরে যান প্লিজ "


ওনার কথায় সবাই বাইরে চলে গেলো।ডাক্তার আমার পাশে বসে মৃদু স্বরে বললো 


" আমি সবটা শুনেছি।ছেলেটার প্রতি আপনার অনেক রাগ জমে আছে তাই না? "


আমি চোখের জল মুছে বললাম " ওকে সামনে পেলে আমি খু'ন করবো।ডাক্তার আপনি প্লিজ আমার বাচ্চাকে মা'রবেন না,আপনার পায়ে পড়ি "


ডাক্তার বললো " বাচ্চার মুখে আগে বাবা ডাকটা শুনি,তারপর নাহয় খু'ন কইরেন।প্লিজ ম্যাডাম,বাবা ডাকটা শুনতে দেন "


আমি অবাক হয়ে বললাম " কিসব বলছেন? "


ডাক্তার মুখ থেকে মাস্ক সরালো।আমি যেন ধাক্কার মতো খেলাম।ডাক্তারের পোশাকে শুভ্র দাঁড়িয়ে আছে।শুভ্র হেসে বললো


" তো ম্যাডাম,ছেলেটির উপর কি এখনো রাগ আছে? "

আমি মুখ চেপে কান্না করছি।শুভ্র আমায় জড়িয়ে ধরলো।মৃদু স্বরে বললো


" এক কাজ করো,তোমার বাবার ঘাড় থেকে ঝপাং করে লাফ দিয়ে আমার ঘাড়ে উঠে পড়ো  "


আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম " মানে ? "


শুভ্র আমার মাথায় গাট্টা মেরে বললো " বিয়ে করে আমার গলায় ঝুলে পড়তে বলছি।পাগলি মেয়ে "


আমি গাল ফুলিয়ে বললাম " শুধু ঝুলবো না,তোরে একদম খেয়ে ফেলবো "।একথা বলেই ঝাপিয়ে পড়লাম শুভ্রর বু'কে।


গল্প 

এক_প্রহরের_ভালোবাসা

লেখক 

জয়ন্ত_কুমার_জয়


সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।এইটা লেখকের নিজস্ব পেজ 🤍


ফেইসবুকের গল্প

 মাকড়সার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। 

শত শত ক্ষুদে বাচ্চা।

ক্ষুদার্থ বাচ্চাগুলোর পৃথিবীতে আসার পরই খাদ্যের

দরকার হয়।

 কিন্তু মা মাকড়সা বাচ্চাদের ছেড়ে খাবার আনতে যেতে পারেনা এই ভয়ে যে কেউ এসে বাচ্চার

কোন ক্ষতি যদি করে। 

নিরুপায় মা মাকড়সা শেষমেশ নিজ দেহটাকে বাচ্চাদের খাদ্য বানায়। 

বাচ্চারা খুটে খুটে মায়ের দেহ খেয়ে একসময় চলে যায় যার যার পথে।

পেছনে পড়ে থাকে মায়ের শরীরের খোলস।। 

মা...

.

জাপানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময়ের কথা।

উদ্ধারকর্মীরা একটি ভেঙ্গে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ

থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশায় এসেছে। এ সময়

বাড়িটির ভেতরে একটা ভেঙ্গে পড়া কংক্রিটের নীচে এক

মহিলার মৃতদেহ দেখতে পায় তারা। 

মহিলাটির পিঠের উপর সিমেন্টের কংক্রিটটি পড়েছে।

 মহিলাটি হাটু গেরে মাটিতে উবু হয়ে বসে আছেন।

 যেন কংক্রিটের  আঘাত থেকে

কিছুকে আড়াল করে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন মহিলা।

রেসকিউ টিম কংক্রিট কেটে মহিলার মৃতদেহ উপর করলে

ভেতরে পাওয়া যায় এক বছর বয়সী এক বাচ্চা। ফুটফুটে বাচ্চা। 

মা সন্তান কে রক্ষার জন্য এভাবেই সন্তানকে

ঢেকে উবু হয়ে রয়েছিলেন যাতে কংক্রিট ভেঙ্গে মায়ের

পিঠে পড়ে। সন্তান যাতে তবুও বাঁচে।। 

মা...

.

শহরের কোন এক বৃদ্ধাশ্রমের সকালের দৃশ্য। বিদেশ ফেরত

এক সন্তান তার অসুস্থ বৃদ্ধা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে এনে পাঁচ

হাজার টাকা ধরিয়ে দেন বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীদের তার

মাকে জায়গা দেয়ার জন্য। 

সেদিন রাতে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।

বৃদ্ধাশ্রম থেকে বৃদ্ধার ছেলেকে খবর দেয়া হয় যে তার

মা মারা গেছে। ছেলে ছুটে আসে এই খবর পেয়ে। 

কেন মায়ের প্রতি ভালোবাসার জন্য ?

.

না!-- বৃদ্ধার ছেলে মায়ের লাশ ঠিকমত না দেখেই,

বৃদ্ধাশ্রমের ম্যানেজার কে ঘুষ অফার করে

- আপনাকে আমি বিশ হাজার টাকা দেব। আপনি শুধু

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে বলবেন, 

এই মহিলাকে আপনি রাস্তার উপর মৃত পেয়েছেন। 

বলবেন না আমিই

উনাকে কাল এখানে এনে রেখেছি।

সেদিন ওই কুলাঙ্গার সন্তানের কথা শুনে বৃদ্ধাশ্রমের

ম্যানেজার বোবা হয়ে গিয়েছিল।

 মৃত মায়ের লাশের

দায়িত্ব নিতে পারেনা এমন ছেলেও কি আছে ?

.

হৃদয়পুর রেলস্টেশনের শীতের রাতের সে ঘটনা। 

সেবার খুব শীত পড়েছিল। 

বৃদ্ধা মা ছেলেকে নিয়ে থাকে প্ল্যাটফর্মে। 

এত দরিদ্র যে শীতে গায়ে দেয়ার কাঁথা মাত্র একটা। 

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধা।

 প্রতিদিনের

মত ছেলে কাজ সেরে এসে মায়ের গায়ে কাঁথা টা টেনে

দিয়ে নিজে শুয়ে পড়লো।

 শীতে ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে। সকালে

সেই বৃদ্ধা কে শীতে মৃত পাওয়া গেল। বৃদ্ধার লাশ যখন

পাওয়া গেল কাঁথাটা তখন ছেলের গায়ে ছিল। এই হলো

মা...

.

মাঝে মাঝে চিন্তা করি মা শব্দটার ডেফিনেশন কি। 

থই হারিয়ে ফেলি। 

পাতালের তলায় পৌছানো যাবে, দূরের

গ্যালাক্সি ভ্রমন করা যাবে কিন্তু মা নামক মানুষটার

ভালোবাসার কোন থই পাওয়া যাবেনা। 

মায়েদের ভালোবাসা পরিমাপ করার মত কোন ব্যারোমিটার এই পৃথিবীতে নেই।

 আমি সৃস্টিকর্তা কে দেখিনি!, 

আমি আমার মা কে দেখেছি... 

আর কোনো  মায়ের চোখের জল সৃষ্টিকর্তা যে বরদাস্ত করবেন না।।


--------সংগৃহীত---------❤️


ক্রীড়া প্রতিভার সন্ধানে বিকেএসপির দেশ ব্যাপি বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি ২০২৪,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "ক্রীড়া প্রতিভার সন্ধানে বিকেএসপির দেশ ব্যাপি বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি ২০২৪" জেলা পর্যায়ে খেলোয়াড় বাছাই কর্মসূচি!

🔵 বগুড়া জেলায় ২৭/০৪/২০২৪ তারিখে বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। 

🔵 বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাছাই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। 

🔵 BKSP এর ওয়েব সাইটে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। 

🔵 মোট ২১টি ইভেন্টে খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। 

🔵 সার্কুলারে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

🔵 বয়স অবশ্যই জন্মসনদ ও সার্টিফিকেট অনুযায়ী (১০-১৩) বৎসর এবং আরও অন্য কয়েকটি খেলায় (৮-১২) বৎসর বয়স হতে হবে।


🟧যে কোন জেলার প্রার্থী যে কোন বাছাই কেন্দ্রে নির্ধারিত তারিখে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

🟠খেলোয়াড় নির্বাচন এবং প্রশিক্ষণ পদ্ধতিঃ


ক) এ কার্যক্রমের অধীনে ২১টি ক্রীড়া বিভাগে বাছাই করা হবে!

>যথা: আর্চারি, এ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, জুডো, কারাতে, শ্যুটিং, তায়কোয়ানডো, টেবিল টেনিস, ভলিবল, উণ্ড, কোয়াশ, কাবাডি, ভারোত্তোলন ও ব্যাডমিন্টন খেলায় (১০-১৩) বৎসর এবং বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার ও টেনিস খেলায় অনূর্ধা (৮-১২) বৎসর বয়সী খেলোয়াড় নির্বাচন করা হবে। আর্চারি, এ্যাথলেটিক্স, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, জুডো, শ্যুটিং, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার ও টেনিসে ছেলে ও মেয়ে উভয়ই এবং বাস্কেটবল, বক্সিং, কারাতে, তায়কোয়ানডো, ভলিবল, উশু, স্কোয়াশ, কাবাডি, ভারোত্তোলন ও ব্যাডমিন্টন ক্রীড়া বিভাগে শুধুমাত্র ছেলেদের বাছাই ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


খ) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ নির্ধারিত ছক অনুযায়ী খেলোয়াড়দের বয়স যাচাই, শারীরিক যোগ্যতা ও সংশ্লিষ্ট খেলার পারদর্শিতার বিষয়ে বাছাই পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন।


গ) প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত ১০০০ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপি ঢাকা এবং বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে ১ মাস মেয়াদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


ঘ) প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১০০০ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে ৪০০ জনকে বাছাই করে পুনরায় ২য় পর্যায়ে বিকেএসপিতে (ঢাকা) এবং আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


৩) প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের বিকেএসপি কর্তৃক থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ভাড়াসহ প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সাজ-সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে সফল খেলোয়াড়দের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। একজন আবেদনকারী একাধিক খেলার বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে।


অন্যান্য জেলার বাছাই পর্বে অংশ নিতে না পারা ছেলে-মেয়েরাও ঢাকা কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।


★অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে★


🟧(বিঃ দ্রঃ)✅

১। সকল জেলার বাছাই পরীক্ষা জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শুধু মাত্র ঢাকা জেলার বাছাই পরীক্ষা ঢাকা বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হবে।


২। বাছাই পরীক্ষার সময় অনলাইন নিবন্ধনকৃত প্রিন্ট কপি এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সাথে আনতে হবে। 


৩। সকাল ৯:০০টা হতে বিকাল ৪:০০টা পর্যন্ত বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


৪। প্রতি ক্রীড়া বিভাগের জন্য ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা হারে আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।


🟧জোন-১ (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ)✅


1- পঞ্চগড় ১৭.০৪.২০২৪

2 - ঠাকুরমাও ১৮.০৪,২০২৪

3 - দিনাজপুর ১৯.০৪.২০২৪

4 - নীলফামারী ২০.০৪.২০২৪

5 - রংপুর ২২.০৪.২০২৪

6 - লালমনিরহাট ২৩.০৪.২০২৪

7 - কুড়িগ্রাম ২৪.০৪.২০২৪

8 - গাইবান্ধা ২৫.০৪.২০২৪

9 - বগুড়া ২৭.০৪.২০২৪

10 - জয়পুরহাট ২৮.০৪.২০২৪

11 - নওগাঁ ২৯.০৪.২০২৪

12 - চাসাইনবাবগঞ্জ ৩০.০৪.২০২৪

13 - রাজশাহী ০২.০৫.২০২৪

14- নাটোর ০৩.০৫.২০২৪

15 - পাবনা০৪.০৫.২০২৪

16 - সিরাজগঞ্জ ০৫.০৫.২০২৪


🟧জোন 2 (খুলনা ও বরিশাল বিভাগ)✅


1 - ভোলা ১৭.০৪.২০২৪

2 - বরিশান ১৮.০৪.২০২৪

3 - ঝালকাঠি ১৯.০৪.২০২৪

4 - পটুয়াখালী ২০.০৪.২০২৪

5 - বরগুনা ২২.০৪.২০২৪

6 - পিরোজপুর ২৩.০৪.২০২৪

7 - বাগেরহাট ২৪.০৪.২০২৪

8 - খুলনা ২৫.০৪.২০২৪

9 - সাতক্ষীরা ২৭.০৪.২০২৪

10 - যশোর ২৮.০৪.২০২৪

11 - নড়াইল ১৯.০৪.২০২৪

12 - মাগুড়া ৩০.০৪.২০২৪

১৩ - ঝিনাইদহ ০২.০৫.২০২৪

14 - চুয়াডাঙ্গা ০৩.০৫.২০২৪

১৫ - মেহেরপুর ০৪.০৫.২০২৪

16 - কুষ্টিয়া ০৫.০৫.২০২৪


🟧জোন-৩ (ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ)✅


1 - মানিকগঞ্জ ১৭.০৪.২০২৪

2 - রাজবাড়ী১৮.০৪.২০২৪

3 - ফরিদপুর ১৯.০৪.২০২৪

4 - গোপালগঞ্জ ২০.০৪.২০২৪

5 - মাদারীপুর ২২.০৪.২০২৪

6 - শরিয়তপুর ২৩.০৪.২০২৪

7 - মুন্সিগঞ্জ ২৪.০৪.২০২৪

8 - নারায়ানগঞ্জ ২৫.০৪.২০২৪

9 - গাজীপুর ২৭.০৪.২০২৪

10 - টাঙ্গাইল ২৮.০৪.২০২৪

11 - জামালপুর ২৯.০৪.২০২৪

12 - শেরপুর ৩০.০৪.২০২৪

13 - ময়মনসিংহ ০২.০৫.২০২৪

14 - নেত্রকোনা ০৩.০৫.২০২৪

15 - কিশোরগঞ্জ ০৪.০৫.২০২৪

16 - ঢাকা ০৫.০৫.২০২৪


🟧জোন-৪ (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)✅

1- নরসিংদী ১৭.০৪.২০২৪

2 - সুনামগঞ্জ ১৮.০৪.২০২৪

3 - সিলেট ১৯.০৪.২০২৪

4 - মৌলভিবাজার ২০.০৪.২০২৪

5 - হবিগঞ্জ ২২.০৪.২০২৪

6 - রাহ্মণবাড়ীয়া ২৩.০৪.২০২৪ 

7 - কুমিল্লা ২৪.০৪.২০২৪

8 - চাঁদপুর ২৫.০৪.২০২৪

9 - লক্ষ্মীপুর ২৭.০৪.২০২৪

10 - নোয়াখালী ২৮.০৪.২০২৪

11 - ফেনী ২৯.০৪.২০২৪

12 - খাগড়াছড়ি ৩০.০৪.২০২৪

13 - রাঙ্গামাটি ০২.০৫.২০২৪

14 - বান্দরবান ০৩.০৫.২০২৪

15 - কক্সবাজার ০৪.০৫.২০২৪

16 - চট্টগ্রাম ০৫.০৫.২০২৪


🟧তৃণমল পর্যায়ে খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম -২০২৪

রেজিস্ট্রেশন লিংক:

https://bkspds.gov.bd/recommend-talent/


#sadysadventure #bksp #বিকেএসপি #বাছাই #কার্যক্রম


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


মুসলিম ফারায়েজ নীতিঃ,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মুসলিম ফারায়েজ নীতিঃ


১। স্ত্রীর দুই অবস্থাঃ

(ক) মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে ১/৪,

( খ) আর থাকলে ১/৮ অংশ পাইবে।


২। স্বামীর দুই অবস্থাঃ

(ক) স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তান না থাকলে ১/২,

( খ) আর থাকলে ১/৪ অংশ পাইবে।


৩। কন্যার তিন অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র কন্যা থাকলে ১/২ ,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) পুত্র কন্যা একসাথে থাকলে ২:১ অনুপাতে পাইবে।


৪। পিতার তিন অবস্থাঃ

(ক) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র বা পুরুষ শ্রেনী বর্তমানে থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,

(খ) পুরুষ শ্রেনি না থাকলে এবং কন্যা বা পৌত্রী বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে থাকলে( ১/৬+অবশিষ্ট) অংশ পাইবে,

(গ)পুরুষ বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে না থাকলে অবশিষ্ট সকল অংশ পাইবে।


৫। মায়ের তিন অবস্থাঃ

(ক) মৃত্যু ব্যক্তির সন্তান বা একাধিক ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,

(খ) মৃত্যু ব্যক্তির যদি কোন সন্তান না থাকে বা ভাইবোন ২ জনের কম থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে,

(গ) স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পিতা মাতা উভয়ে থাকলে , মৃত্যু ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ দেয়ার পর বাকি সম্পত্তির ১/৩ অংশ পাইবে।


৬। বৈপিত্রীয় ভাইবোনদের তিন অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র বৈপিত্রীয় ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ,

(খ) একাধিক থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে

(গ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র,পিতা বা দাদা থাকলে বঞ্ছিত হইবে।


৭। পৌত্রীগনের ছয় অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র পৌত্রী থাকলে ১/২,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন ১/৬ অংশ পাইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে,

(ঙ) মৃত্যু ব্যক্তির পৌত্রী ও পৌত্র একই সাথে থাকলে অংশীদার হইবে,

(চ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির পুত্র থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে।


৮। সহোদরা বোনদের পাঁচ অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকলে ১/২,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) সহোদরা বোনের সাথে সহোদরা ভাই থাকলে আসাবা হইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা বা পৌত্রী থাকে তাহলে সহোদরা বোনগন ১/৬ অংশ পাইবে। একাধিক কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে অংশীদার হইবে,

(ঙ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুরুষ শ্রেনীর ওয়ারিশ থাকলে সহোদরা বোনগন বঞ্ছিত হইবে।


৯। বৈমাত্রিয় বোনদের সাত অবস্থাঃ

(ক) যদি মৃত্যু ব্যাক্তির সহোদরা বোন না থাকে ও একজন মাত্র বৈমাত্রিয় বোন থাকলে ১/২,

(খ)একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোন ১/৬ অংশ পাইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোনগণ বঞ্ছিত হইবে,

(ঙ)যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে এবং বৈমাত্রিয় বোনের সাথে বৈমাত্রিয় ভাই থাকলে একএে অংশীদার হইবে।

(চ) মৃত্যু ব্যাক্তির কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগণ অবশিষ্ট অংশ পাইবে,

(ছ) মৃত্যু ব্যক্তির পুরুষ ওয়ারিশ থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগন বঞ্ছিত হইবে।


১০। দাদী নানীর ২ অবস্থাঃ

(ক) পিতৃ বা মাতৃ সম্পর্কের এক বা একাধিক যাহাই হোক ১/৬ অংশ পাইবে,

(খ) মৃত্যু ব্যক্তির মাতা জীবিত থাকলে বঞ্ছিত হইবে। তবে পিতা জীবিত থাকলে দাদী বঞ্ছিত 

Collected.

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বিপিএলে স্পাইডার ক্যামেরার প্রতিদিনেরভাড়া ১৬ লাখ টাকাা

 কে বলে বাংলাদেশের ডলার সংকট !

সবই মিথ্যা কথা বিরোধীদলের চক্রান্ত


এই ১৬ লক্ষ টাকা আমাকে একেবারে দিলে আমি প্রত্যেকটা ম্যাচের ভিডিও ও live করে দিতাম,

প্রথমে কিনতাম দুইটা DJI Mavic 3 Pro Drone আর একটা RC Pro রিমোট, আর ১০-১৫টা ব্যাটারি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ  কেবল , সর্বোচ্চ খরচ যেত ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।

আরো ৯-১০ লাখ টাকা আমার ব্যাংকে পড়ে থাকত।

যেখানে ওয়ার্ল্ড কাপ চলাকালীন কলকাতা ইডেন গার্ডেন এ ব্যবহার করতে দেখেছি Dji air 2s 

(নেদারল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ)

সেখানে বাংলাদেশ B.P.L প্রতিটা ম্যাচের জন্য ১৬ লক্ষ টাকা দিচ্ছে!

নিঃসন্দেহে spider camp দিয়ে আরেকটু বেটার ভিডিও ও সম্প্রচার করা যায়। কিন্তু দেশের তীব্র ডলার সংকটে এত টাকা খরচ এটা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা, যেখানে ডলার সংকটের কারণে সরকারি কর্মচারীদের দেশের বাইরে ভ্রমণে যেতে নির উৎসাহিত করা হচ্ছে আর একটা মাত্র ম্যাচে ক্যামেরার খরচ এত, ঐদিন নিউজ দেখলাম দিনের বেলায় আতশবাজি ফুটানো হচ্ছে, যা শব্দ দূষণ ছাড়া কোন কাজেই আসছে না।

যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

স্যারের মেসেজ ২৮/০২/২০~৪

 সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আগামীকাল আমাদের জিএম স্যারের চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং আছে মিটিংয়ে spro সম্পর্কিত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতে পারে আপনারা সকলেই সকাল সাড়ে আটটার ভিতরে মার্কেটে পৌঁছাবেন এবং অ্যাটেন্ডেন্স ঠিকমতো দিবেন নোট ঠিকমতো দিবেন এক একটা নোটে মিনিমাম তিনটা করে ছবি দিবেন এবং ছবিগুলো যেন স্পষ্ট হয়।


আগামীকালের নোটগুলো যেন এই বছরের শ্রেষ্ঠ নোট হয় একটা ছবি যেন ঘোলা ও স্পষ্ট না হয় দোকানে কি কাজ করছেন সেটা স্পষ্ট ভাবে লিখবেন।

চেয়ারম্যান স্যারের ওখানে প্রজেক্টর এর কাজ দেখানো হবে আমাদের লোকজন কিভাবে স্প্র তে কাজ করে যদি এমন হয় যে স্টাফ আইডি প্রথমে আপনারটা চলে আসলো সে ক্ষেত্রে আপনার কাজই দেখবে সুতরাং আপনি সতর্কতার সাথে স্প্রতে কাজ করবেন

মনির ভাই এবং দিপু ভাই আগামীকাল টোটাল বিষয়টা মনিটারিং এর উপর রাখবেন যতক্ষণ না স্যারের মিটিং শেষ হয় মিটিং শেষ হলে আপনাদেরকে জানাবো।


একটি টুইটার পোস্ট

 আমার জন্ম থেকে আমি কখনো বাস, রিকশা, সি এন জি এগুলোতে কখনো চড়িনি৷ আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ও ড্রাইভার ছিল৷ দোকানে গেলেও নিজের গাড়িতে করে গিয়েছি৷ এই কথাগুলো বললাম এই কারনে আজ যখন বাজার থেকে আসছিলাম ভ্যানে করে, তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না কোনদিকে উঠবো, আর কীভাবে উঠবো তখন এক আন্টি বলছিলেন মনে হয় লাট সাহেবের বেটি, কখনো ভ্যানে চড়েনি৷ বলতে চাচ্ছিলাম সবকিছু কিন্তু নিজের অসহায়ত্বের কথা কাওকে বলে কী করবো৷ কারন কষ্ট ভোগ করছি আমি৷ সবসময় একা একা গাড়িতে চড়েছি এখন গাড়িতে নানা মন মানসিকতার মানুষ থাকে, পুরুষ মানুষ তো আছেই, মেয়ে মানুষগুলোও আমাকে আড়চোখে দেখে৷ জীবনটা যেন কেমন। তবুও লড়াই করছি বেঁচে থাকার৷ যুদ্ধ জয় করার৷ আজ একটা কথা মনে পড়ছে --আমার যখন সম্পর্ক ছিল সে বলেছিল বিয়ের পর তোমাকে গাড়ি দিতে পারবো না শুরুতেই তবে ৫০ বছর পর হলেও তোমার জন্য টাকা জমিয়ে একটা গাড়ি কিনবো৷ আমি বলেছিলাম আমি গাড়ি চাই না, তোমার হাত দুটো ধরে চলতে পারলেই খুশি হবো আমি৷ আজ সবকিছু উপলব্ধি করলাম একটা মেয়ে মানুষের একা একা রাস্তায় চলা কত কষ্টকর৷ একজন শক্ত হাত ছাড়া একটা মেয়ে বড্ড অসহায় ----

টুইটার থেকে নেওয়া

গাঁথুনি করার সঠিক নিয়ম জানুন-,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গাঁথুনি করার সঠিক নিয়ম জানুন-

ইটের গাঁথুনির কাজ করার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা খুবই জরুরী।


১) কাজ শুরুর আগে ইট গুলোকে অন্তত: ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত। ভেজা ইটে গাঁথুনি ভাল হয় এবং ফাঁটল ধরার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া ভাল করে না ভেজালে প্লাস্টারে সমস্যা হতে পারে।


২) ইট গাঁথার সময় প্রত্যেক বার সুতা এবং শল দেখে নিতে হবে গাঁথনী সোজা রাখতে হলে।


৩) অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভ করার জন্য ইটের আকার আকৃতি ঠিক থাকে না ফলে ইট ব্যবহার করা ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, গাঁথনী সোজা হয় না গাঁথনীর একপাশ মেলালে আরেক পাশ মিলে না।


৪) গাঁথুনির সময় দেখতে হবে দুটো ইটের মধ্যের ফাঁক যেন ১ সেন্টিমিটার থেকে বেশী না হয় এবং জোড়ার উপর জোড়া যেন অবিরাম না হয়।


৫) ইটের আকার ঠিক না থাকার কারনে অনেক বেশী মসলার ব্যবহার করতে হয় গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে, যায় ফলে সিমেন্ট বালুতে অনেক বেশী টাকা ব্যয় হয় ইটের ক্ষেত্রে টাকা বাঁচাতে গিয়ে। ইটের অনেক অপচয় হয় বেছে বেছে তা ব্যবহার করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের সময় বেশী লাগে, ফলে মিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায়।


৬) ইট গাঁথুনির জন্য FM ১.৫ গ্রেডেড বালি ব্যবহার করা উচিত।


৭) সেজন্য প্রথম শ্রেনীর ইট এবং পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।


৮) কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য না থাকলে ইংলিশ বন্ডে (নিয়মে) গাঁথুনী করা ভাল ।


৯) মিশ্রনে মসলার অনুপাত হবে ১:৫  (৫” গাথুনির জন্য)


১০) আধলার ব্যবহার এড়িয়ে চলা ভাল যদি প্রয়োজন না পড়ে।


১১) জোড়াগুলো ইটের সিলমোহর উপরে রেখে মসলাদ্বারা পূর্ণ করা উচিত।


১২) জোড়ের পুরুত্ব ১৩ মিমি এর বেশী যেন না হয়।


১৩) জোড়াগুলোর মধ্যে যেন কোন ফাঁক না থাকে, প্রয়োজনে মশলা দ্বারা পূর্ণ করে সমতল করা অত্যাবশ্যকীয় ।


১৪) ইটকে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ বেডের উপর মশলা বিছিয়ে চাপ দিয়ে বসানো উচিত ফলে মশলার সাথে ভাল ভাবে লেগে যায়।


১৫) একদিনে সর্বোচ্চ ১.৫ মিটারের বেশী গাঁথুনী করা উচিত নয়। (একদিনে ৩ ফুট করা উত্তম)


১৬) ২০ ঘন্টা পর ৭ দিন কিউরিং উপযুক্ত কেননাঃ-   তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে কংক্রিট ৫০% পর্যন্ত কম্প্রেসিভ স্ট্রেংথ লাভ করে এবং ২৮ দিনের মধ্যে তা ৯০% পর্যন্ত।


ধন্যবাদ সকলকে _____


mrebrahim civilengineer


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


টিএসপি সারের  বিবরণ ,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টিএসপি সারের  বিবরণ  


ছোট দানাদার কঠিন, সামান্য অম্লীয়, একটি ধূসর বা গাঢ় বাদামী চেহারা, দীর্ঘ দূরত্ব পরিবহন এবং সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, জলে দ্রবণীয়, ইথানলে খুব কমই দ্রবণীয়। স্যাঁতসেঁতে আক্রান্ত হওয়ার পরে কেকিংকে প্রভাবিত করে।

সার হল উচ্চ ঘনত্ব সহ এক ধরণের দ্রুত জল-দ্রবণীয় ফসফেট সার।

টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার মৌলিক সার, অতিরিক্ত সার, বীজ সার জন্য কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং যৌগিক সার উৎপাদনে ব্যাপকভাবে ধান, গম, ভুট্টা, ঝাল, তুলা, ফলমূল, শাকসবজি এবং প্রতিটি খাদ্য শস্য এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয়। ফসল

টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার সব ধরনের মাটিতে প্রযোজ্য, বিশেষ করে, যেখানে ফসফরাসের অভাব রয়েছে সেখানে উপযুক্ত।

এক ধরনের দ্রুত পানিতে দ্রবণীয় ফসফেট সার।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


নিজেই পাল্টান  ফ্যানের ক্যাপাসিটর,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নিজেই পাল্টান  ফ্যানের ক্যাপাসিটর ❗

চিত্রে আলাদাভাবে ফ্যানের স্টার্টিং ও রানিং কয়েল দেখানো হয়েছেঃ


ফ্যানের কয়েল দেখলেই দুটো প্রশ্ন সবারই মাথায় চলে আসে যেঃ


➡️ফ্যানের স্টার্টিং কয়েলের রোধ বেশি নাকি রানিং কয়েলের?


➡️ফ্যানের স্টার্টিং কয়েলের সাথে সিরিজে ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে কেন?


প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলঃ


স্টার্টিং কয়েল। কারণ মোটর চালিত ডিভাইস শুরুতে প্রচুর কারেন্ট নেয় বিধায় স্টার্টিং কয়েলের রোধ অধিক থাকাটা আবশ্যক। অনেকেই এই প্রশ্নে মতবিরোধ করে। কেউ বলে স্টার্টিং এবং কেউ বলে রানিং। কিন্তু অনুসন্ধান করলে অধিকাংশ সোর্সই বলবে স্টার্টিং। 


২য় প্রশ্নের উত্তর হলঃ


মোটরের টর্ক সৃষ্টি বা ঘূর্ণন তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়৷ কারণ এসি প্রবাহে সমান ও বিপরীতমুখী চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় বলে ফ্যান বা মোটর ঘুরার জন্য নীট বল পায়না। অনেকটা দড়ি খেলার মত। দুই গ্রুপ দুদিক থেকে সমান ও বিপরীতমুখী বলে টানলে বুঝাই যায়না কে কাকে টানছে।


Engineering Community Of Bangladesh (ECB)



যিনি আমেরিকাকে ট্যাক্স দিতে বাধ্য করেছিলেন,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 যিনি আমেরিকাকে ট্যাক্স দিতে বাধ্য করেছিলেন। যিনি আমেরিকার ইতিহাসে একমাত্র বিদেশি ভাষায় সাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি হলেন Gazi Hasan Pasa.


তিনি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গ্র্যান্ড অ্যাডমিরাল (১৭৭০-১৭৯০)। যাকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সিংহ বলা হয়। তার একটা পোষা সিংহ ছিল যাকে নিয়ে প্রায় সময় চলাফেরা করতেন।


সময়টা ১৭০০ সালের মাঝের দিকে। তখন উসমানী সাম্রাজ্যের নৌ বাহিনীর প্রধান ছিলেন Gazi Hasan Pasa. যার নাম শুনলে বিভিন্ন দেশ সমীহ করে চলতো। উসমানীয়রা তখন আটলান্টিক মহাসাগর, কৃষ্ণ সাগর, এবং ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করতো। মজা করে বলা হয় এই তিন সাগর ছিলো উসমানীদের বাড়ীর পুকুর। 


অনুমতি ছাড়া কোনো রাষ্ট্রের জাহাজ প্রবেশ করতে পারতোনা। সেই সময় আমেরিকা তাদের পাঁচটি জাহাজ সৈন্যসহ ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। তৎক্ষনাৎ নৌ বাহিনীর প্রধান গাজি হাসান পাশা তাদের ধাওয়া করতে এবং আটক করতে নির্দেশ দেন। যুদ্ধের পর আমেরিকা নৌ বাহিনী পরাজয় বরন করে এবং উসমানী নৌ বাহিনীর হাতে বন্দী হয়।


Gazi Hasan Pasa আটককৃত আমেরিকার সৈনিক এবং যুদ্ধ জাহাজ আলজেরিয়ার উপকূলে বেধে রাখেন। তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন উসমানী খলিফার কাছে তাদের সৈন্য এবং জাহাজ ফেরত চান। তখন খলিফা জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে বিশাল মুক্তিপণ দাবী করেন এবং জর্জ ওয়াশিংটনকে সরাসরি নিজে এসে একটা চুক্তিপত্রে সাক্ষর করতে বলেন। বাধ্য হয়ে জর্জ ওয়াশিংটন নিজে এসে খলিফার সাথে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেন। এটাই আমেরিকার ইতিহাসে একমাত্র বিদেশি ভাষায় সাক্ষরিত চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা উসমানী খেলাফতকে টানা আঠারো বছর ট্যাক্স দেয়।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সম্রাট আওরঙ্গজেব ৪৯ বছর ধরে ভারত শাসন করেছেন,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সম্রাট আওরঙ্গজেব ৪৯ বছর ধরে ভারত শাসন করেছেন। তাঁর সাম্রাজ্যের আয়তন ছিল ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। বলতে গেলে, ভারতবর্ষের প্রায় সম্পূর্ণ এলাকা ছিল তার রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। প্রজার সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৮০ লক্ষ।


আওরঙ্গজেব বছরে রাজস্ব আদায় করতেন ৪৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ঐ সময়ে ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন চতুর্দশ লুই। লুই এর চেয়ে আওরঙ্গজেব এর রাজ্যে দশগুণ বেশি রাজস্ব আদায় হত। তাঁর অধীনে ভারতবর্ষের অর্থনীতি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। ১৭০০ সালে তিনি ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। ভারতবর্ষের জিডিপি ছিল পুরো পৃথিবীর জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ।


১৭০৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান আওরঙ্গজেব ৮৮ বছর বয়সে নিজের সম্পত্তির একটা উইল তৈরী করলেন। মৃত্যুর পরে উইলে দেখা গেল- তাঁর কাছে ১৪ রুপি আর নিজ হাতে বোনা কিছু টুপি আছে। এগুলো বিক্রি করে তাঁর জানাযা আর দাফনে খরচ করতে বলেছেন। আর সারাজীবন কুরআন শরীফ নকল করে ৩০০ রূপি জমিয়েছেন - এই টাকাগুলো গরীবদের মাঝে দান করে দিতে বলেছেন।


দরবার আর রাজকোষে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল- উইলের বাইরে সম্রাটের কোথাও কোনো সম্পদ নেই।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

লেবু গাছের ফুল ঝরে পড়ার কারণ ও সমাধান।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 লেবু গাছের ফুল ঝরে পড়ার কারণ ও সমাধান। 


বাংলাদেশে লেবু বেশ জনপ্রিয় সাইট্রাস জাতীয় একটি ফল। লেবু গাছ আপনি বাগানে বা বারান্দায় বা ছাদে টবে চাষ  করতে পারেন। লেবুর ফুল কয়েকটি কারণে ঝরে যেতে পারে। 


গাছের অপরিপক্কতা: 


লেবু গাছর ফুল ঝরে যেতে পারে তার একটি কারণ হল যদি এটি গাছ খুব ছোট। সাধারণত, বীজ হতে জন্মানো গাছে ফল আসতে শুরু করতে প্রায়  বছর সময় লাগে। আর কলমের চারা হলে ২-১ বছরের মধ্যে ফুল চলে আসে। কলমের চারা প্রথম ২-১ বছর ফুল / ফল না নেওয়াই ভালো।  এর মধ্যে গাছ সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারবে। 


মাটিতে পুষ্টির ঘাটতি: 


লেবু গাছের ফুল ঝরে পড়ার আরেকটি কারণ হল এর পুষ্টির ঘাটতি। সাধারণত লেবুগাছ অল্প যত্নে ভাল ফলন দেয়ার জন্য বিখ্যাত, কিন্তু  ফুল ফল থাকা অবস্থায় মাটিতে  পটাশিয়ামের অভাব হলে লেবু গাছের ফুল ঝরে যায়। তাই আপনি যদি লেবু গাছে প্রচুর ফলন পেতে চান তবে বসন্তের শুরুতে পটাশিয়াম সার দেয়ার ব্যবস্থা করুন। 


পানি সেচের তারতম্য: 


লেবু গাছ এমন একটি গাছ যাতে প্রচুর পরিমাণে পানি সেচ  দেওয়া লাগে না আবার খুব কম পানি সেচ দিলেও হবেনা। পানি সেচ দিতে হবে মেপে মেপে। 

কারন গাছে পানি বেশি দিলে বা গাছের গোড়ার মাটি স্যাতস্যাতে হলে লেবুগাছ নিজের ফুল ঝরিয়ে দিতে পারে। আবার গাছে পানি কম দিলে বা গাছে পানির অভাব হলেও গাছ নিজে বাঁচার জন্য ফুল ঝড়িয়ে দেয়। 


আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে: 


আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে লেবু গাছের সম্পর্ক খুবই সংবেনশীল। তাই হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে লেবু গাছের ফুল ঝরে যেতে পারে। লেবুগাছ রোদে সবচেয়ে ভাল হয়। তাই লেবুগাছ দিনে কমপক্ষ ৭-৮ ঘন্টা রোদ লাগে এমন স্থানে রাখতে হয়। যেহেতু রোদে সবচেয়ে স্বাস্থকর ফুল হয়, তাই ছায়ায় রাখলে আপনার গাছের ফুল ঝরে যেতে পারে। 


পরাগায়নের অভাবে: 


পরাগায়ন সাধারণত মৌমাছি ও অন্যান্য পরাগায়নকারী পোকামাকড় দ্বারা বাহিত হয়। কিন্তু আপনার এলাকায় যদি পোকামাকড়ের সংখ্যা কম থাকে এবং যদি পরাগায়নের কোন সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে আপনাকে এটি নিজে হাতে পরাগায়ন করতে হবে। 


কোনো রোগ বা পোকার আক্রমণে: 


লেবু গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ফুল ঝরে যেতে পারে। তাই রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছ রক্ষা করতে হবে।



এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সির বিশালতা,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সির বিশালতা 🌀


আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সীর নিকটতম প্রতিবেশী এন্ড্রোমেডার একটি ক্লোজ-আপ চিত্র, যেখানে চিত্রের প্রতিটি বিন্দু একটি তারা বা সূর্য। 


হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দ্বারা তোলা ছবি এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সির সবচেয়ে বড় এবং তীক্ষ্ণতম ছবি। সম্পূর্ণ চিত্রটিতে 1.5 বিলিয়ন পিক্সেল রয়েছে এবং এটি 600 টিরও বেশি এইচডি টেলিভিশন পর্দায় বিস্তৃত হবে।


জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সিতে প্রায় এক ট্রিলিয়ন তারা রয়েছে, যা আমাদের নিজস্ব মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সী থেকে অন্তত দ্বিগুণ।


সৌজন্যঃ ESA/হাবল ইমেজ।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৮-০২-২০২৪,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৮-০২-২০২৪ 


আজকের শিরোনাম:


জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।


রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান।


আন্দোলনে ব্যর্থতা ও হেরে যাওয়ার ভয়ে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারছেন বিদেশি কূটনীতিকরা - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের - জাতীয় সংসদে তথ্য প্রকাশ।


দক্ষিণ গাজায় রাফাহ শহরে ইসরাইল স্থল হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্য শান্তির জন্য তা হবে বিপর্যয়কর - মিসরের হুঁশিয়ারি।


আজ ঢাকায় বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না!,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না!


কুকুর নিয়ে অদ্ভুত সব কথা প্রচলিত আছে। এরমধ্যে কোনটা সবচেয়ে অহেতুক অথবা বড় ভুল, সেটা নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হতে পারে। এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, তার দাদি নাকি বলত, খাওয়া দাওয়া করে আড়মোড়া ভাঙলে সেই খাবার কুকুরের পেটে চলে যায়! এটা হলে অবশ্য ভালোই হতো। পথের কুকুরদের না খেয়ে থাকতে হতো না। আমরা যে অলস জাতি, তবে কুকুর নিয়ে ভুল ছড়ানোতে বলা যায় আমরা নিরলস। পুরো মেডিক্যাল সায়েন্সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রচলিত হয়েছে, কুকুর কামড়ালে নাকি পেটে বাচ্চা হয়! বলেন কেমনটা লাগে? আরেক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আরও এক ধাপ এগিয়ে কবিতা লিখলেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়…’


সেসময়কার মানুষের কবিকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, ‘আপনারে কে বলছে যে কুকুরের কাজ কামড়ানো?’ 


কুকুর নিয়ে আরেকটি গুজব হলো, মানুষ দেখিবামাত্রই কুকুর কামড় বসিয়ে দিবে। আর কুকুরের কামড় মানেই নাভির নিচে ১৪টি ইনজেকশন। আর ইনজেকশন না দিলে হবে জলাতঙ্ক। সবই এখন ভুল ধারণা। কোনো একসময় কুকুর কামড়ালে হয়তো ১৪টা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, কিন্তু কুকুর কখনও দেখামাত্রই কামড় দেয় না। মানুষ যেভাবে কামড় দেয় রাগে-ক্ষোভে-মাথা গরম করে, কুকুরের কামড়টাও সেরকম স্বাভাবিক ব্যাপার। আরও ঠিকঠাক করে বললে, তাদেরকে অকারণে মারলে, তাড়া করলে, ভয় দেখালে বা নানাভাবে উত্যক্ত করলে তারা আত্মরক্ষায় কামড় বা আঁচড় দিতে পারে।


তবে কুকুরের লালা গায়ে লাগলে বা আঁচড়-কামড় খেলেই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ সব কুকুরের শরীরে জলাতঙ্কের র‍্যাবিস ভাইরাস থাকে না। শুধুমাত্র র‍্যাবিস আক্রান্ত কুকুর কামড় দিলেই জলাতঙ্ক হতে পারে। ঢাকায় গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত প্রাণীদের ভ্যাকসিনেশন করার ফলে র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ যদি আরেকটু সচেতন হয় তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। সারাবছর ঢাকা বা ঢাকার বাইরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার যেসব ঘটনা ঘটেছে তা শুধুমাত্র ঠিকমতো প্রাণীদের ভ্যাকসিনেটেড না করার কারণে হয়েছে। 


মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যে কাজটা করতে হবে তা হলো সাথে সাথে ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্ষতস্থান সাথে সাথে ধুয়ে ফেললে ৯০ শতাংশ জীবাণু মরে যায় এবং সংক্রমণের শঙ্কা ৭০-৮০ ভাগ কমে যায়। তারপর নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে। কামড়ের পরপরই টিকা নিয়ে নিলে মৃত্যু ও জলাতঙ্ক রোধ করা যায়। 


আমাদের দেশে এমনিতেই রাস্তার প্রাণীদের সাথে বিরূপ আচরণ করা হয়। যেকোনো অজুহাতে রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের মারা হয়। এমন অবস্থায় অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ভুল তথ্য প্রচার করা থেকে আমাদের সকলের বিরত থাকা উচিত। জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ রোগ। তাই এই রোগ সম্পর্কে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা ছড়াতে হবে।

Sheero Choudhury


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


গল্প "সুখ" ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সুখ~~❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

শ্বশুর মশাই নিজের বাটি থেকে টুক করে একটা মাংসের টুকরো বৌমার পাতে দিয়ে দিলেন। বৌমা অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে বলে, 'এ কি করলেন বাবা? আপনিই খান। সারাদিন আপনার যা পরিশ্রম'! মাংসের টুকরোটি ফেরত দেওয়ার জন্য সে জেদাজেদি করতে থাকে। 

শ্বশুর মশাই অর্ধেন্দু বিশ্বাস তৃপ্ত মনে বৌমাকে বলেন, 'মা, আজ আমি খুব খুশি হয়েছি'।

বৌমা লিপা কৌতুহলী হয়ে জানতে চায়, 'কেন বাবা? কি হয়েছে'?'

অর্ধেন্দু বাবুর একটি বই বাঁধাইয়ের দোকান রয়েছে। বই বাঁধাইয়ে খুব নাম-ডাক তাঁর। অঢেল কাজ। বাড়ির সঙ্গেই দোকান। বাড়ির মধ্যেই রয়েছে আরও দুটি রুম। সংকীর্ণ জায়গা। বাড়ির চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ডাঁই করা বই। একটি রুমে থাকেন লিপার শ্বশুর ও শাশুড়ী। আরেকটি রুমে লিপা ও তাঁর স্বামী। এছাড়াও রয়েছে এক অবিবাহিত ননদ। ননদটি কখনো বাবা মায়ের রুমে, কখনো সিঁড়ির নিচে থাকে। রাস্তার ধারের রুমটায় সারাদিন বই বাঁধাইয়ের কাজ করেন অর্ধেন্দু বাবু। ছেলেও হাত লাগান কাজে। লিপার বয়স অল্প। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর সদ্য বিয়ে হয়েছে। শ্বশুর মশাইয়ের অনুপ্রেরণায় পড়াশোনা চালিয়ে যায় লিপা। কলেজে ভর্তি হয়েছে ম্যাথেমেটিক্স অনার্স নিয়ে।  পড়াশোনা সেরে লিপা আজ শ্বশুর মশাইয়ের বই সেলাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পছন্দের বই গুলো একটু একটু করে পড়েও নিচ্ছিল। সেই দেখে শ্বশুর মশাই আজ খুব খুশি। সেই সূত্র ধরে শ্বশুর মশাই বৌমার প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আজ আমি খুব খুশি। নতুন বিয়ে হয়েছে। এইটুকু একটা মেয়ে! সব জড়তা ছেড়ে আজ তুমি বই বাঁধাইয়ের কাজ করলে। তোমারই সংসার। এইভাবেই সংসারটাকে আগলে রেখো মা'।

এতক্ষণ শাশুড়ী মা চুপ করে ছিল। তিনি এবার অভিমানী সুরে বললেন, 'আমি কেউ নই বুঝি! এতো বছর রেঁধে বেড়ে খাওয়ালাম যে!'

শ্বশুর মশাই খুনসুটি করে বললেন, 'হুম, তাই উনি শুধু রান্না ঘরটাই চেনেন, বই বাঁধাই ঘরটা চিনতেই পারলেন না'!

সবাই হা হা করে হেসে উঠলো। খাওয়া শেষে সকলের বিছানা রেডি করে দিয়ে লিপা গেল ননদের কাছে। তাঁর কয়েকটা ম্যাথের প্রবলেম সলভ করে দিয়ে লিপা বললো, 'চল, এখন একটু লুডো খেলি'।

ননদ তো আনন্দে এক পায়ে খাড়া। লুডোর আসরে একে একে যোগ দিল লিপার শ্বশুর ও স্বামী। ওদিকে লিপার শাশুড়ী এক কোনে বসে ঘনঘন হাই তুলছে।

লিপার শ্বশুর মশাই শাশুড়ীকে বললেন, 'ওগো শুনছো! ঘুমিয়ে পড়ো যাও! আগামীকাল ভোর ভোর উঠতে হবে'।

লিপা কৌতুহলী হয়ে জানতে চায়, 'কেন? ভোরে উঠবে কেন'?

শশুর মশাই বললেন, 'একটা সারপ্রাইজ আছে'।

সবাই চুপ। সবাই ভাবছে, কি সারপ্রাইজ! লিপা জিদ ধরলো, 'আর টেনশন নিতে পারছি না। বলেই দাও না বাবা'।

শশুর মশাই বললেন, 'আগামীকাল সকাল সকাল  আমরা সবাই মিলে মহিষাদল রথের মেলা যাবো'।

আনন্দে নেচে উঠলো লিপা। ননদ গিয়ে জড়িয়ে ধরলো বৌদিকে। লিপা আনন্দে বললো, 'বাবা, আমি ফুচকা খাবো'। 

শ্বশুর মশাই আবেগ প্রবন হয়ে বললেন, 'আচ্ছা, আচ্ছা মা! যা খাবে তাই খাওয়াবো'।

এরপর প্রত্যেকেই দ্রুত বিছানায় চলে গেলো।


এরপর মাঝে কেটে গেল দশটা বছর। শ্বশুর মশাই মারা গেছেন ইতিমধ্যে। যুগের পরিবর্তনে ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসনে ছাপা বইয়ের জনপ্রিয়তাও কমেছে। ফলে বই বাঁধাইয়ের দোকানটাও বন্ধ হয়ে গেল। বছর পাঁচেক হল লিপা একটি হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছে। লিপার একটি সন্তানও হয়েছে। স্বামী একটা ছোট কোম্পানিতে কাজ করে এখন। ননদ বিয়ে করে চলে গেছে। শাশুড়ী মাতা আধ্যাত্মিক জগতে নিজেকে বন্দী করেছেন। সেই ছোট্ট একতলা বাড়িটা আজ আরও আধুনিক হয়েছে। সেটি এখন তিনতলা। ফ্লোরে মার্বেল দেওয়া। বাথরুম, কিচেন সবই আধুনিক। 

এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় লিপা বাড়ির তিনতলায় একটি ঘরে এ সি চালিয়ে একাকী বসে আছে। এমনিতেই সময় কাটছে না লিপার। তার উপর একটু আগেই একটা ছোট বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে প্রবল ঝগড়া হয়েছে। স্বামী রাগ করে বেরিয়ে গেছেন বাজারে। ছেলে এক তলার একটি রুমে পড়াশোনা করছে। শাশুড়ী মাতা একটি অন্ধকার ঘরে ধ্যান করছেন। লিপার হঠাৎ চোখ পড়লো দেওয়ালে টাঙানো শ্বশুর মশাইয়ের ফটোটার দিকে। পরম যত্নে ফটোটা নামালেন লিপা। তাঁর চোখে জল। ফটোটা ভালো করে মুছে বিড়বিড় করে রুদ্ধ কন্ঠে লিপা বললো, 'বাবা, আগে ছোট ঘর ছিল। অনেক মানুষ ছিল। থাকার জায়গা ছিল না। কিন্ত অনেক আনন্দ ছিল। জীবনে সুখ ছিল। আর আজ অনেক বড় ঘর হয়েছে। মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। থাকার জায়গারও অভাব নেই। কিন্তু আজ আর আনন্দ নেই। জীবনে সুখ নেই'।


সুখ 

 রূপেশ কুমার সামন্ত🌹🌹🌹




রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম তিন দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা -- এই সফরে অ...