এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

কতটুক বাচবেন! - ৬০ বছর? বড়জোর ৭০ নাহয় ৭৫ বছর! খুব লাকি হলে ৮০+!

 কতটুক বাচবেন!

- ৬০ বছর? বড়জোর ৭০ নাহয় ৭৫ বছর! খুব লাকি হলে ৮০+!

এক বছরে ৩৬৫ দিন হয়! প্রতিদিনে ৮৬৪০০ সেকেন্ড! 


খুব বেশি সময় নিয়ে আসেননিতো!

টিক টক করে করে সেকেন্ড কিন্তু চলে যাচ্ছে! 

টুপ করে হাতে জমে থাকা সব সেকেন্ড শেষ হয়ে আসবে একদিন! 


একজন মানুষের কাছে যখন কয়েকশো কোটি টাকা থাকে তখন তাকে টাকার বিলাসিতা মানায়! যার কাছে কয়েকশো টাকা আছে তাকে কিন্তু টাকার বিলাসিতা মানায়না!

আপনার আয়ু যদি কয়েক হাজার বছর হতো তাইলে সময়ের বিলাসিতা আপনাকে মানাতো! 

এতো অল্প আয়ুতে মন খারাপ, কষ্ট, পচা ব্যাপারস্যাপার গুলোতে সময় নষ্টের সুযোগ কই!?


ফ্যামিলিকে সময় দিন, ভালো বই পড়ুন, টুক করে বেড়িয়ে আসুন চমৎকার কোন জায়গায়! রাত জেগে আকাশ দেখুন! ভোরের সূর্যোদয় দেখুন! 

সন্ধ্যায় পাখিরা কিভাবে ঘরে ফেরে সেটা দেখুন!

নদীর ঢেউ অনুভব করুন!


ভরা পূর্ণিমাতে এবং ভরা অমাবস্যায় তীব্র জোয়ারে ফুসে ওঠা সাগরকে দেখুন! 

প্রতিদিন সময় করে আধাঘন্টা কোন শিশুবাবুর সাথে থাকুন! নিষ্পাপ আনন্দের ঔচ্ছল্য দেখুন! 

স্রষ্টাকে স্মরণ করুন!


পৃথিবী কতো সুন্দর সেটা ফীল করুন!

নি:শ্বাস কতোটা সুন্দর সেটা অনুভব করুন!


চমৎকার একটা কথা আছে জানেনতো?

- Don't count the days, make the days count!!  ^_^


হ্যাপ্পি লাইফিং.....

একটু ভাবুন আজকে দিনটাই যদি আপনার অথবা আমার শেষ দিন হয় তাহলে আমরা আমাদের পরিবার ও স্রষ্টার প্রতি কতটুকু অনুগ্রহ করতে পেরেছি। 


আসুন আমারা নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা কে রাজি ও খুশি করি, হয়তোবা আজকে দিনটাতে সফল না হলে পরকালীন জীবন সফল হতে পারে।


প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো

 প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো। চীনারা ভেবেছিল এটার উচ্চতার জন্য কেউ টপকে তাদের আক্রমণ করতে পারবে না।

গ্রেট ওয়াল নির্মাণের প্রথম একশো বছরের মধ্যেই চীনারা তিন বার আক্রান্ত হয়। আশ্চর্যের বিষয় কোনোবারই আক্রমণকারীদের দেওয়াল টপকানোর বা ভাঙার প্রয়োজন হয় নাই। কারণ প্রত্যেকবারই আক্রমণকারীরা দেওয়াল পাহারারত রক্ষীদের উৎকোচ দিয়ে সামনের গেট দিয়ে ঢুকে গেছে। চীনারা অনেক পরিশ্রম করে মজবুত দেওয়াল তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা দেওয়াল পাহারা দেওয়া রক্ষীদের চরিত্র মজবুত করার জন্য কোন পরিশ্রমই করেনি। 


তাহলে দেখা যাচ্ছে দেওয়াল মজবুত করার থেকে চরিত্র মজবুত করার প্রশ্নটিই আগে আসে। শুধু দেওয়াল মজবুত করার ফলাফল শূন্য।


তাই অনেক আগেই একজন প্রাচ‍্যদেশীয় দার্শনিক বলে গেছেন তুমি যদি কোন সভ্যতা ধ্বংস করতে চাও তাহলে তিনটি কাজ কর-


(ক) যে জাতিকে পদানত করতে চাও তার পারিবারিক গঠন আগে ধ্বংস করো। পারিবারিক গঠন ধ্বংস করতে হলে সংসারে মায়ের ভূমিকাকে খাটো করে দেখাও যাতে সে গৃহবধূ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে।


(খ) শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দাও। এটা করতে হলে শিক্ষককে প্রাধান্য দিও না। সমাজে তার অবস্থান নিচু করে দেখাও যাতে তার ছাত্ররাই তাকে উপহাস করে।


(গ) তরুণ সমাজ যেন অনুসরণ করার মত কোন রোল মডেল না পায়। তাই তাদের জ্ঞানীদের নানাভাবে অপমান কর। রোল মডেলদের নামে অসংখ্য মিথ্যা কুৎসা রটাও যাতে তরুণ সমাজ তাদের অনুসরণ করতে দ্বিধাবোধ করে।

সংগৃহিত

জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা 

 কৃষিতে জৈব বালাইনাশক, পর্ব- ১.


জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশক জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছ-গাছড়ার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘ কালের।


নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার ফলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।


জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা :


১. উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।


২. জৈব বালাইনাশক প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।


৩. মাটির অনুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই।


৪. মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নাই।


৫. জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়।


৬. জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকে না বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ।


ভেষজ বালাইনাশকসমূহ:


১. নিমের পাতা, ছাল ও কাপড় কাচা সাবান দ্বারা: 


দুই কেজি নিমের পাতা, ১.৫ কেজি নিমের ছাল শিল পাটায় একটু থেতলে নিন। থেতলানো পাতা, ছাল এবং ৫০ গ্রাম গুড়া সাবান একটি পাত্রে দিয়ে ৫ লিটার পানি মিশ্রিত করুন। জ্বাল দিয়ে ৫ লিটার পানিকে কমিয়ে ১ লিটার বানিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। ৯ লিটার পানি যোগ করে স্প্রে করুন। এতে সকল প্রকার মাছি পোকা, বিটল জাতীয় পোকা, কীড়া ও বিছা পোকা দমন করা যায়।


২. নিম পাতার গুড়া দ্বারা: 


নিম পাতা ছায়ায় বিছিয়ে দু/এক সপ্তাহ শুকাতে হবে। শুকনা পাতা ভাল করে গুড়া করতে হবে। প্রতি ৫০ কেজি বীজ সংরক্ষণের জন্য ১ কেজি গুড়া মিশাতে হবে। সংরক্ষনের মেয়াদ বাড়াতে হলে সমপরিমাণ ধুতরা পাতার গুড়া একই রকম মিশাতে হবে। এতে গুদামজাত ফসলের পোকা দমন হয়।


৩. নিম বীজ দ্বারা: 


এক কেজি নিম বীজ ছায়ায় শুকিয়ে খোসা ছড়িয়ে নিন। বীজ পিষে মলমের মত তৈরী করুন। এর সাথে ৭৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশান। মিশ্রণটি ১০০ লিটার পানি মিশালে ২% দ্রবণ তৈরী হবে। দ্রবণ এক রাত রেখে দিন। এরপর ৭০-৮০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২/৩ ঘন্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে জমিতে ব্যবহার করুন। এতে পাতা মোড়ানো পোকাসহ বিভিন্ন ধরণের কীড়া ও গান্ধী পোকা দমন করা যায়। ইহা কৃমিনাশকের কাজ করে।


৪. মেহগনি বীজ: 


৮-১০ টি কাচা মেহগনি বীজের ফলের সাদা অংশ কুচি কুচি করে কেটে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে ৫০ গ্রাম কাপড় পরিষ্কার করা পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করুন। বাদামী গাছ ফড়িং, মাজরা, পাতা মোড়ানো ও ডায়ামন্ড ব্যাক মথ দমন করা যায়।


৫. তামাক পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কাচা তামাক পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে কচলিয়ে নিন। ছেকে ব্যবহার করুন অথবা বড় আকারের ১০ টি শুকনা পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে ছেকে নিয়ে ব্যবহার করুন। মাইট ও জেসিড দমন করা যায়।


৬. বিষকাটালী ও ঢোল কলমী দ্বারা: 


বিষকাটালী বা ঢোল কলমীর পাতা, কান্ড (পেষানো) ১ কেজি, ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে স্প্রে করুন। এতে এফিড, মাছি, পাতা ও ফলখেকো কীড়া দমন করা যায়।


৭. টমেটো গাছ দ্বারা: 


এক কেজি কান্ড ও পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিন। ছেকে নিয়ে স্প্রে করুন। এতে কান্ড পাতার শোষক পোকা লার্ভা দমন হয়।


৮. কালো কচুর পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কালো কচুর পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে ছেকে ব্যবহার করুন। এতে কীড়া, বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা শোষক পোকা দমন হয়।

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ৩০-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ৩০-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ - সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে অপকৌশল গ্রহণ করায় সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে বিএনপি - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর কোনো নতুন অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংককে অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান অর্থমন্ত্রীর। 


চলমান তাপ প্রবাহের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট। 


গাজায় যুদ্ধবিরতির ইসরাইলি প্রস্তাব গ্রহণের জন্য হামাসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ‍যুক্তরাজ্যের আহ্বান।


সিলেটে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারতের নারী দলের মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আজ।

মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা ইয়ো-ইয়ো! প্রথমটি কী?

 মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা ইয়ো-ইয়ো! প্রথমটি কী?


ইয়ো-ইয়ো একটি খেলনা যাতে দুটি ডিস্কের সাথে যুক্ত একটি এক্সেল থাকে ও স্পুলের মতো এক্সেলের চারপাশে একটি স্ট্রিং লুপ থাকে। ৪৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি গ্রিক ফুলদানির পেইন্টিংএ এক ছেলেকে ইয়ো-ইয়ো নিয়ে খেলতে দেখা যায়। সে হিসেবে ধারণা করা হয় এর উদ্ভব হয়তো গ্রিসে।


তবে অনেকের মতে, আরও অনেক আগে ইয়ো-ইয়োর উৎপত্তি হয়েছিল চীনে। এর উৎপত্তি ফিলিপাইনে বলেও অনেক জোরালো যুক্তি রয়েছে। কারণ এটি ফিলিপাইনের স্থানীয় ভাষা তাগালগের একটি শব্দ যার অর্থ "ফিরে এসো"। ফিলিপাইনে এটি ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হয়েছিল। তাদের সংস্করণটি ধারালো প্রান্ত ও স্টাডসহ বড় ছিল এবং শিকারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য মোটা বিশ-ফুট দড়ির সাথে যুক্ত ছিল।


ইয়ো-ইয়োকে ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সবচেয়ে পুরানো খেলনা- পুতুল। প্রাচীন গ্রিসে, এটি কাঠ, ধাতু ও টেরাকোটা দিয়ে তৈরি হতো। গ্রিকরা দেবতাদের ছবি দিয়ে ইয়ো-ইয়োর দুটি অংশকে সজ্জিত করতো। যৌবনে প্রবেশের চিহ্ন হিসেবে গ্রিক শিশুরা প্রায়ই খেলনাটি পারিবারিক বেদিতে রেখে দিতো।


খেলনাটি আঠারো শতকে ফ্রান্সে আসে। সম্ভবত চীন থেকে ফিরে আসা মিশনারিরা এনেছিল এবং অভিজাতদের মধ্যে এটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সেই সময়ে সপ্তদশ লুই'র চারবছর বয়সী পেইন্টিংএ ইয়ো-ইয়ো দেখা যায়। ১৮শতকের শেষ দিকে, খেলনাটি কাচ ও হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা হতো যাকে "জুজু ডি নরম্যান্ডি" বলা হতো। ফ্রান্স থেকে এটি ইংল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজরা একে ব্যান্ডালোর ও কুইজ নামেও ডাকতো। সে সময়ের ছবিতে দেখা যায় সৈন্য, অভিজাত এমনকি রাজারাও এটি নিয়ে খেলছে। প্রিন্স অফ ওয়েলসের ইয়ো-ইয়োর সাথে একটি চিত্র মুদ্রিত দেখা যায়। 


যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৬০ এর দশকে ইয়ো-ইয়ো দিয়ে খেলা শুরু হলেও ১৯২০ সালে ইয়ো-ইয়ো শব্দটি প্রথম ব্যবহার করে। পেড্রো ফ্লোরেস নামক একজন ফিলিপিন্স অভিবাসী ক্যালিফোর্নিয়ায় তার ছোট কারখানায় ফ্লোরেস নামে প্রথম খেলনা ইয়ো-ইয়ো তৈরি করে। পরে ডানকান ফ্লোরেস এটি ১৯২৯ সালে পেড্রো ফ্লোরেস থেকে এর স্বত্ব কিনে নেন ও ইয়ো-ইয়ো নামটি ট্রেডমার্ক করেন। ইয়ো-ইয়ো প্রযুক্তিতে ডানকানের প্রথম অবদান ছিল স্লিপ স্ট্রিং, যা একটি গিঁটের পরিবর্তে অক্ষের চারপাশে স্লাইডিং লুপ নিয়ে গঠিত।


ডোনাল্ড ডানকান সংবাদপত্রে বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য উইলিয়াম হার্স্টের সাথে একটি চুক্তি করেন। বিনিময়ে, ডানকান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ও প্রবেশকারীদের প্রবেশ ফি হিসাবে সংবাদপত্রের নতুন সদস্য আনার শর্ত আরোপ করেন। ডানকানের প্রথম দিকের মিডিয়া প্রচারণা এতটাই সফল ছিল যে শুধুমাত্র ফিলাডেলফিয়াতেই, ১৯৩১ সালে এক মাসব্যাপী প্রচারণার সময় তিন মিলিয়ন ইউনিট ইয়ো-ইয়ো বিক্রি হয়েছিল। 


ইয়ো-ইয়ো বিক্রয় ১৯৬২ সালে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যখন ডানকান এর ৪৫ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি করেছিল। পরে ফ্ল্যাম্বিউ প্লাস্টিক কোম্পানি ডানকান নামটিসহ কোম্পানির সমস্ত ট্রেডমার্ক কিনে নেয়, তারা দ্রুত তাদের সমস্ত প্লাস্টিক ইয়ো-ইয়ো-এর ডিজাইন তৈরি করে। ইয়ো-ইয়ো আজও চলছে, এর সর্বশেষ সম্মান হলো মহাকাশের প্রথম খেলনা।


ছবি: ৪৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি গ্রিক ফুলদানির পেইন্টিংএ এক ছেলে ইয়ো-ইয়ো নিয়ে খেলছে।



সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

এক  সময় ময়মনসিংহের প্রতিটি গ্রামেই ফক্সটেইল মিলেট বা কাউনের চাষ হতো

 এক সময় ময়মনসিংহের প্রতিটি গ্রামেই ফক্সটেইল মিলেট বা কাউনের চাষ হতো। কাউন ছিলো গরীবের খাবার। কাউন চালের ভাত এবং জাউ বেশ জনপ্রিয় ছিল। চৈত্র বৈশাখ মাসে ক্ষেতে ক্ষেতে কাউনের ছড়া দুলতো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ইরি,বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়। এরপর থেকে ক্রমেই কমতে থাকে কাউন চাষ। ইরি বোরো চাষ যত বিস্তার লাভ করে কাউনের চালের চাহিদাও পড়তে থাকে। কৃষকেরা ততই কাউন চাষ কমিয়ে দেয়। কাউনের চাল বাজারে সহজলভ্য হলে অগণিত মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অবেসিটি, অভারওয়েট ইত্যাদি ভয়াবহ সমস্যা থেকে প্রতিকার পাবে।


গরিবদের খাবার কাউন এখন উচ্চ দামে বিক্রি হয়।কাউনের চাল এখন ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। কাউন চাষে আবার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এখানে খরচ কম লাভ বেশি। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এক বিঘা জমিতে কাউন চাষে মোট ব্যয় হয় ৭-৮ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে উৎপাদন হয় ১৫-১৮ মণ। ফসল পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে কাউনের চাষ হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরণের মাটিতেই কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এরকম বেলে দো-আঁশ মাটিতে ফলন ভালো হয়। 


জোয়ার, বাজরা, রাগি, শ্যামাচাল, কাউন, চিনা, ঢেমসি ইত্যাদি দানাশস্যগুলোকে মিলেট বলা হয়। মিলেট গ্লুটেন মুক্ত, ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতিকূল ও শুষ্ক পরিবেশে এই ফসল আবাদ হতে পারে। অল্প বৃষ্টিপাতে অনুর্বর মাটিতেও মিলেটের ফলন ভাল হয়! তাই একে বলা হয় 'অলৌকিক শস্য' বা 'মিরাকল মিলেট'। এই ফসলের উৎপাদন রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীল নয়। গম ও ধানের চেয়ে মিলেট প্রায় ৩-৫ গুণ বেশি পুষ্টিকর। ভারতের হরপ্পা সভ্যতার যুগে, চীনের নবপ্রস্তরযুগে ও কোরিয়ার মুমুন যুগে খাদ্যশস্য হিসেবে মিলেট চাষ হতো। অনুমান করা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগে ধানের চেয়ে মিলেট চাষই বেশি হতো।


ফক্সটেইল মিলেট হিন্দিতে কাংনি নামে পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১৬ রকমের মিলেট চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরঘাম (জোয়ার), পার্ল মিলেট (বাজরা), ফিংগার মিলেট (রাগি), বার্নইয়ার্ড মিলেট (শ্যামা চাল), ফক্সটেল মিলেট (কাউন চাল), বাকহুইট (কুট্টু), লিটল মিলেট (কুটকি), প্রোসো মিলেট (চীনা), কোডো মিলেট (কোড়ো), অ্যামারান্থাস (চৌলাই), ব্রাউনটপ মিলেট ইত্যাদি। গুজরাট, রাজস্থান সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে মিলেট থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার চল বেশি।


বিস্কুট, পোরিজ, উপমা, খিচুড়ি, পোহা এবং সালাদ তৈরি করা যায় কাউন দিয়ে। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েশের বেশ প্রচলন আছে। কাউনের চালে নানা রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়। সাধারন চালের মতই কাউনের চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানী, ভাত, জাউ, খিচুরি, পায়েশ, বেকারিজ ইত্যাদি করা যায়। এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষ করে কাউনের পায়েস খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কাউন চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু। এই ভাত সবজি সিদ্ধ দিয়ে খেলে পরম তৃপ্তি পাওয়া যায়। ভাতের স্বাদের কারণে উপকরণ হিসাবে তরিতরকারী, মাছ-মাংস কম খেলেও তৃপ্তি আসে।


ফক্সটেইল মিলেট রান্না করার পদ্ধতি—

• মিলেট ভুল পদ্ধতিতে রান্না করলে অনেক সময় লাগবে। আর প্রেশার কুকারে বহুবার সিটি দিয়েও শক্তই থেকে যাবে। চাল বা গম ভিত্তিক খাবার রান্না করতে কম সময় লাগে। আর মিলেটের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগাই স্বাভাবিক। একটি পাত্রে মিলেট নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারলে খুব ভাল। আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। রান্নার সময় কমিয়ে আনার জন্য দানাশস্য ভিজিয়ে রাখা জরুরি।

• কাউনের পায়েস শিশুদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার। 

পায়েসের জন্য নিতে হবে কাউন চাল ৩৫ গ্রাম, দুধ ১ কেজি, গুড় পরিমাণমতো ও ঘি এক টেবিল চামচ। কাউনের চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ছয় ঘণ্টা। এরপর দুধ ফুটিয়ে তাতে ভিজানো চাল ছেড়ে দিন। চাল ফুটে গেলে গুড় দিতে হবে। শেষে ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে ভালোমতো নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। পায়েস ঠান্ডা করে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

• কাউনের মাখা ভাত তৈরির জন্য পোলাওয়ের মতো করে অল্প তেলে কাউন চাল ভেজে নিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ, লবণ দিয়ে রান্না করুন। এরপর ঠান্ডা করে থেতো করা রসুন, ভাজা শুকনামরিচ আর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। বিভিন্নরকম ভর্তা, ডিম ভাজি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন মজাদার কাউন চালের মাখা ভাত।


ফক্সটেইল মিলেট এর উপকারিতা—

• ফক্সটেইল মিলেট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।

• উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিনের একটি ভাল উৎস মিলেট। পাশাপাশি এটিতে নিরামিষাশীদের জন্য দরকারী আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন রয়েছে।

• কাউন হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

• কাউনের গ্লাইসেমিক সূচক নিম্ন। অর্থাৎ খাওয়ার পর রক্ত ​​প্রবাহে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয় ধীরে ধীরে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী খাদ্য।

• কাউনের ফাইবার উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

• কাউনে ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে যা সুস্থ হাড় ও দাঁত এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

• গ্লুটেন ইনটলারেন্ট ব্যক্তি বা যারা গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট ফলো করে তাদের জন্য কাউন একটি চমৎকার অপশন।

• কাউনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। ইনফেকশন, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

• ফক্সটেইল মিলেট ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক যৌগ সমৃদ্ধ যা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিউট্রালাইজ করতে সাহায্য করে। 

• মিলেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, নিয়াসিন, লেসিথিন ইত্যাদি রয়েছে। তাই নিয়মিত খেলে অপুষ্টি দূর হয়। 

• মিলেটে গ্লুটেন থাকে না। তাই শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। মিলেট ওজন, বিএমআই এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

• কাউন সহজে হজমযোগ্য সুপারফুড। কাউনের চালে আঁশ বেশি। তাই যেকোনো খাবার বানিয়ে খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে।

• কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেলস থাকায় নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

• ডায়াবেটিক রোগীর ঘনঘন খাওয়ার বদঅভ্যাস থাকে। ঘনঘন খাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে ডায়েটে কাউনের চাল রাখুন। আঁশযুক্ত শস্যদানা একবার খেলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে। 

• গর্ভবর্তী মহিলাদের শরীরে আয়রনের অভাব দেখা যায়। কাউনের চালে আয়রন থাকে যা আয়রনের অভাব দূর করে।

• শারীরিক সৌন্দর্য ও ওজন ঠিক রাখার জন্য কাউনের চাল রোজকার ডায়েটে রাখুন। ফক্সটেইল মিলেট শরীর-মন সতেজ ও প্রানবন্ত রাখে। 

• কাউনের চাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যাদের সকালটা অনেক কষ্টের হয় তাদের জন্য কাউন চালের খাবার ভীষণ উপকারী।

• কাউনের চাল এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন। যা রোজ সকালের নাস্তায় কাউনের তৈরী খাবার খেলে সহজেই পাওয়া যায়।


ফক্সটেইল মিলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা—

• মিলেটে কারো কারো অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। ফক্সটেইল মিলেট খেলে যদি চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাস নিতে অসুবিধা এসব হয় তাহলে হেলথকেয়ার প্রফেশনালের পরামর্শ নিন।

• কাউনে ফাইটিক অ্যাসিড এবং ট্যানিনের মতো অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা শরীরের পুষ্টি শোষণে বাধা দিতে পারে। ভিজানো, গাঁজানো কিংবা রান্না করলেই এ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টগুলো আর থাকেনা। 

• মিলেটের গোইট্রোজেনিক ইফেক্ট থাকতে পারে। ফক্সটেইল মিলেটে গয়ট্রোজেন থাকে। এই যৌগগুলি থাইরয়েড ফাংশনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। যদি কারো থাইরয়েড রোগ থাকে তাহলে ডায়েটে মিলেট অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।

• বাচ্চাদের জন্য যখন কাউন চালের রেসিপি করবেন সেগুলোতে সাদা লবণ, সাদা চিনি যোগ করবেন না। কাউনের তৈরি খাবার থেকে শিশুদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে।



জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে-

 ★জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে---

১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে,

টের পাবেন না।

-

২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।

-

৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান।

পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি?

হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা

অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।

-

৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক

যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

করে ফেলা হয়।

-

৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ।

আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।

-

৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং।

দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা

ঝামেলায় বাধাতে।

এতে ওদের লাভ, সেটা

কিরকম ?

ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে

গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান

রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে।

অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা

বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো

মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

-

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।

-

৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো

৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন,

দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।

-

৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের

বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও

এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।

-

১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না।

দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।

-

১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে

দেবে আপনাকে।

-

১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই  নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায়

আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।

-

১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক

বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে

হলেতো আরো আগে না।

-

১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো।

বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট

করে বাইকে উঠে হাওয়া।

-

১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা

উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।

-

১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও

পারবেন না।

 সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক

থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন।

মনে রাখবেন, দোয়া পড়ে বাহির হবেন।


আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে।

এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।


নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।


 শিক্ষা ও তথ্য কেন্দ্র


( সংগৃহীত )

শরীর_ব্যবসার অজানা দিক নিয়ে লিখবো বলেছিলাম। 

 শরীর_ব্যবসার অজানা দিক নিয়ে লিখবো বলেছিলাম। 

শুরুটা আমার পছন্দের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাস দিয়েই করা যাক। আজ রইলো প্রাচীন মিশরের শরীর ব্যবসার কিছু অজানা তথ্য। 


#প্রথম_পর্ব


আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই প্রাচীন মিশরীয়রা জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পন্থা আবিষ্কার করেছিল। আসলে প্রাচীন মিশরীয় সমাজে অবাধ যৌন স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্যে এই পন্থা আবিষ্কারে তারা একরকম বাধ্যই হয়েছিল। এই পন্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল মধু আর সোডিয়াম বাই কার্বনেটের এক বিশেষ মিশ্রণ। যৌন মিলনের আগে এই বিশেষ মিশ্রণ নারী দেহের যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রলেপের মতন করে লাগানো হতো।


সেই প্রাচীন কালেই এলিট ক্লাসের মিশরীয় নারীরা যৌনতার বিষয়ে যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন। শোনা যায় প্রথম যৌবনে ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের একাকিত্ব দূর করতে এক রকম ভাইব্রেটর ব্যবহার করতেন। প্যাপিরাস পাতা দিয়ে বানানো এক ধরণের সরু ঠোঙার ভেতরে অসংখ্য জীবন্ত মৌমাছি ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। মৌমাছিদের গুঞ্জনের ফলে যে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে নিজের শরীরে উপভোগ করতেন ক্লিওপেট্রা।


প্রাচীন মিশরীয় সমাজ যৌনতা প্রসঙ্গে এতটাই আধুনিক ছিল যে অন্যান্য সভ্যতাগুলোর মতন তারা নারীর কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ বিব্রত হতো না। প্রাচীন মিশরীয় শব্দমালায় ‘ভার্জিন’ বলে কোনও শব্দের উল্লেখই পাওয়া যায় না। বিবাহের সময়ও প্রাচীন মিশরের পুরুষরা নারীদের কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাত না। বিবাহের আগে কোনও নারী যদি স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে জড়িত থাকতো তবে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হতো। 

 প্রাচীন মিশরে বিবাহের আগে শারীরিক মিলনকে সহজভাবে দেখা হলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বেশ ঘৃণ্য কাজের মধ্যেই পড়তো, বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে। বিবাহের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির উদাহরণও রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাসে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সেই শাস্তি ছিল বেশ লঘু।


প্রাচীন মিশরে ডিভোর্সের প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা চাইলেই সম্ভব হতো না। মূলত দুটি কারণে ডিভোর্সকে মেনে নিত প্রাচীন মিশরীয় সমাজ। সন্তানহীনতা এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ছিল সেই দুটি কারণ।


পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওরাল সেক্স’এর উদাহরণ কিন্তু প্রাচীন মিশরীয় মাইথোলজিতেই খুঁজে পাওয়া যায়। দেবতা সেথ তার ভাই দেবতা ওসাইরিসকে খুন করেছিলেন তাদের হাফ সিস্টার দেবী আইসিস’কে পাবার জন্যে। ওসাইরিসকে খুন করার পর তার শরীরকে অসংখ্য টুকরো করে নীল নদের উপত্যকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দেবতা সেথ। দেবী আইসিস অবশ্য নিজের ভালোবাসার মানুষ ওসাইরিসকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি নীল নদের বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে ওসাইরিসের শরীরের অংশ খুঁজে একত্রিত করেছিলেন। তবে সব কিছু খুঁজে পেলেও ওসাইরিসের যৌনাঙ্গ খুঁজে পাননি তিনি। ফলে ওসাইরিসের শরীরে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব হচ্ছিল না। তখন দেবী আইসিস নীল নদের তীরের পবিত্র মাটি দিয়ে একটি পুরুষাঙ্গ বানান। তারপর মাটির তৈরি সেই পুরুষাঙ্গকে নিজের দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে তাতে উষ্ণতা প্রদান করেন এবং তা ওসাইরিসের শরীরে সঠিক জায়গায় স্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দেবতা ওসাইরিস যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তার শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়।


প্রাচীন মিশরে যৌনাঙ্গের মতন দেখতে অ্যামুলেট পরিধান করার রীতি ছিল। সাধারণত দেবতার মন্দিরে স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে যুক্ত নারীরা দেবতার যৌনাঙ্গের আকৃতির অ্যামুলেট পরতেন তাদের দুই বাহুতে।


চলবে...


 তথ্য ও রচনা -©️ বিশ্বজিৎ সাহা

মাটির প্রকারভেদঃ,,,,,,,,

 👉🏻কোন মাটিতে কি ফসল ভালো হয় 🪔

মাটির প্রকারভেদঃ


মাটি প্রধানত ৩ প্রকার:-


১। এঁটেল মাটি

২। বেলে মাটি

৩। দোআঁশ মাটি


মাটির বৈশিষ্ট্য নিম্ন্রুপঃ


১। এঁটেল মাটি

ক) এটেল মাটিতে বালু অপেক্ষা পলি ও কাদার ভাগ বেশি থাকে।

খ) এ কাদা মাটি খুব নরম, দানা খুব ছোট ও মিহি।

গ) ও মাটি বেশি পানি ধরে রাখতে পারে।

ঘ) এ মাটিতে ভালভাবে বাতাস চলাচল করতে পারেনা।

ঙ) এ মাটি সব ফসলের জন্য তেমন উপকারী নয়, তবে ধান চাষ করা যায়।


২।বেলে মাটি

ক) বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে।

খ) এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা কম।

গ) বেলে মাটিতে ফসল তেমন ভাল হয় না তবে তরমুজ শসা, বাঙ্গী, চীনাবাদাম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভাল জন্মে।


৩। দোআঁশ মাটি

ক) দোআঁশ মাটিতে বালি, পলি ও কাদা সম পরিমানে থাকে।

খ) এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা মাঝারী।

গ) চাষাবাদের জন্য দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। এ মাটিতে ধান, পাট, গম, পিয়াজ, মরিচ, ভূট্টা, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি ভাল জন্মে।

,,,,,,,,,,,,

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ।


আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার  জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। 


#ইউরিয়া:


ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।


#টিএসপি:


টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে। 


#পটাশ:


এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।


#জিপসাম:


জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 


#জিংক_সালফেট:


জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।


#বোরাক্স:


বোরাক্সের বোরন ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে।


কিভাবে বুঝবেন আপনার জমির দলিল বৈধ কি না

 কিভাবে বুঝবেন আপনার জমির দলিল বৈধ কি না?


জমি কেনা বা বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন, এবং এর সাথে জড়িত আইনি প্রক্রিয়াগুলি বোঝা জরুরি। জমির দলিল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা মালিকানার অধিকার প্রমাণ করে। তাই, জমি কেনার আগে দলিলটি সঠিকভাবে যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জমি কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ, এবং আইনি জটিলতা এড়াতে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


১. দলিলের মূল কপি পরীক্ষা করুন:


👉নিশ্চিত করুন যে দলিলটি সঠিকভাবে সাব-রেজিস্ট্রারের দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং সিল করা আছে।

👉দলিলের মূল কপিতে থাকা ছবি এবং মালিকের বর্তমান ছবি মিলে যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

👉দলিলের সকল পাতায় সঠিকভাবে স্ট্যাম্প লাগানো আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।


২. দলিলের তথ্য যাচাই করুন:


👉দলিলে উল্লেখিত মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ইত্যাদি তথ্য সঠিক কিনা তা খতিয়ান, দাগ খতিয়ান, এবং সরকারি রেকর্ডের সাথে মিলিয়ে দেখুন।

👉দলিলে উল্লেখিত সাক্ষীদের নাম এবং ঠিকানা সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।


৩. আইনি পরামর্শ নিন:


👉একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

👉আইনজীবী দলিলের সকল দিক বিশ্লেষণ করে আপনাকে দলিলটি বৈধ কিনা তা জানাতে পারবেন।


৪. অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করুন:

👉সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে জমির দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।

👉কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সার্ভিস প্রদান করে।


৫. সতর্কতা অবলম্বন করুন:


👉দলিলের বৈধতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকলে দলিলটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।

অসৎ ব্যক্তিদের প্রতারণার শিকার হতে সাবধান থাকুন।

👉জমি কেনার আগে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন।


জমির দলিল বৈধ কিনা তা বোঝার জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর


১) দলিলে কি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আছে?


দলিলে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, মৌজা, উপজেলা, জেলা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?

,👉দলিলের সাক্ষীদের নাম, ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?

👉দলিলের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?


২) দলিলের স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন


👉দলিলে সরকার নির্ধারিত স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে কিনা?

👉দলিলটি সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে কিনা?

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?


৩) দলিলের মালিকানার ধরণ।


👉দলিলের মাধ্যমে মালিকানা কিভাবে অর্জিত হয়েছে (উত্তরাধিকার, ক্রয়, বিনিময়, দান ইত্যাদি)?

👉মালিকানার ধরণ কি (মালিকানা, দখল, ভাগচাষ ইত্যাদি)?

👉মালিকানার কোনো শর্ত বা বাধা আছে কিনা?


৪) জমির অবস্থা


👉জমি কি বাস্তবে বিদ্যমান?

👉জমির মালিকানা বিতর্কমুক্ত কিনা?

👉জমির উপর কোনো ঋণ বা বন্ধক আছে কিনা?


৫) আইনি পরামর্শ

জমির দলিল বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।


৬. দলিলের বয়স:

প্রশ্ন: কত বছরের পুরোনো দলিল বৈধ?

উত্তর: দলিলের বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে, 1976 সালের আগের দলিলগুলো "পুরাতন দলিল" হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বৈধতা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হতে পারে।


৭. দলিলের ধরন:

প্রশ্ন: কত ধরণের জমির দলিল আছে?

উত্তর: বাংলাদেশে 4 ধরণের জমির দলিল আছে:

°দাগ নম্বর খতিয়ান

°মৌজা খতিয়ান

°সিএস খতিয়ান

°আরএস খতিয়ান


৮. দলিলের মালিকানা:


প্রশ্ন: দলিলে একাধিক মালিকের নাম থাকলে কী করবেন?

উত্তর: সকল মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি বিক্রি করা যাবে না। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সকলের স্বাক্ষর এবং সম্মতি প্রয়োজন।


৯. দলিলের মিউটেশন:


প্রশ্ন: মিউটেশন কী?

উত্তর: মিউটেশন হলো জমির মালিকানা পরিবর্তনের নথিভুক্তি প্রক্রিয়া। নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মিউটেশন করা আবশ্যক।


১০. দলিলের জালিয়াতি:

প্রশ্ন: জাল দলিলের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তর: জাল দলিলে ভুল বানান, অস্পষ্ট তথ্য, মিথ্যা স্বাক্ষর, এবং অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে।


১১. দলিল যাচাই:

প্রশ্ন: জমির দলিল যাচাই করার সর্বোত্তম উপায় কী?

উত্তর: সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলের মূল কপি এবং খতিয়ানের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন।


ভূমি অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার ভূমি অফিসে গিয়ে দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।

আইনজীবীর পরামর্শ: একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।


বি:দ্র: তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রাখুন।


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৯-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৯-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় আজ মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ - প্রভাতি শাখায় ক্লাশ হওয়ায় খোলা থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।


কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন  দেখতে পায় না - শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেদেশের আইনে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। 


গতকাল আইপিএল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংস-এর নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৮-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৮-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


সারাদেশে চলমান তীব্র তাপদাহে জনজীবনে অস্বস্তি - আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


তীব্র তাপদাহের মধ্যে আজ খুলছে দেশের সব স্কুল-কলেজ - বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি ও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম।


ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি  - শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন ওবায়দুল কাদের।


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন।


‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি’ দিবসে আজ ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান।


কম্বোডিয়ার এক সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ২০ সৈন্য নিহত।


 সিলেটে বাংলাদেশ ও ভারত নারী দলের মধ্যে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আজ।

রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কথায় গাঁথা সুরের মেলা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ১। Internet আবিষ্কৃত হয় 1969 সালে।

২। Email আবিষ্কৃত হয় 1971 সালে।

৩। Hotmail আবিষ্কৃত হয় 1996 সালে।

৪। Google আবিষ্কৃত হয় 1998 সালে।

৫। Facebook আবিষ্কৃত হয় 2004 সালে।

৬। Youtube আবিষ্কৃত হয় 2005 সালে।

৭। Twitter আবিষ্কৃত হয় 2006 সালে।

৮। বিশ্বে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৬৯সালে

৯। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার চালু হয়

১৯৯৩ সালে।

১০। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার সবার

জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে।

১১। বাংলাদেশে 3g চালু হয় 14

OCTOBER,2012।

১২। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম

কম্পিউটার "IBM-1620 ‘ যা স্থাপিত হয়

বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনে ১৯৬৪

সালে।

১৩। ২১মে ২০০৬ সালে কক্সবাজারের

ঝিলংজা-তে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের

মাধ্যমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলে

যুক্ত হয়।

১৪। বাংলাদেশর বিজ্ঞানীরা

প্রথমাবারের মতো ‘জীবনরহস্য‘ উন্মোচন

করেছেন মহিষের।

১৫। ২০১৩সালে দেশি পাটের জীবন রহস্য

উন্মোচনে নেতৃত্ব দেন ড মাকসুদুল আলম।

১৬। ১৯৮১ এপসন কোম্পানি সর্বপ্রথম

ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রচলন করেন তার

নামঅসবর্ন-১।

১৭। বিশ্বের একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘরটি

অবস্থিতযুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়।

১৮। বাংলা সামাজিক মাধ্যম ‘‘বেশত‘‘ চালু

হয় ২৮ ফ্রেব্রু ২০১৩।

১৯। বাংলাদেশের ‘টেলিফোন শিল্প

সংস্থা লিমিটেড(টেশিস) কর্তৃক তৈরী

প্রথম ল্যাপটপ --এর নামদোয়েল।

২০। জাতিসংঘ রেডিও বাংলা যাত্রা শুরু

করে ২১ ফ্রেব্রু:২০১৩।

২১। বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্চিন

‘‘পিপীলিকা‘‘ উদ্ধোধন করা হয় ১৩এপ্রিল,

২০১৩।

২২। বাংলাদেশে দ্রুত গতির ইন্টারনেট

‘‘ওয়াইম্যাক্স‘ চালু হয় >>June,2009, Banglalion।

২৩। বাংলাদেশে কবে , কোথায় সাইবার

ক্যাফে চালু হয় ১৯৯৯ সালে,বনানীতে।

২৪। বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন

কোম্পানীর সিটিসেল ডিজিটাল, ১৯৯৩

সাল।

২৫। বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল

টেলিফোন ব্যবস্থা চালূ হয় ৪ জানুয়ারী,

১৯৯০।

২৬। বাংলাদেশে কখন থেকে কার্ড ফোন

চালূ হয় ১৯৯২ সালে।

২৭। প্রথম ডিজিটার জেলা যশোর।

২৮। প্রথম ওয়াই ফাই নগর সিলেট।

২৯। সাইবার সিটি সিলেট।

৩০। প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

মিঠাপুকুর ,রংপুর।

=> GIF এর পূর্ণরূপ — Graphic Interchangeable

Format

=> BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap

=> JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert

Group

=> PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network

=> Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity

=> HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer

Protocol

=> HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer

Protocol Secure

=> URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator

=> IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol

=> VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information

Resource Under Seized

=> UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile

Telecommunication System

=> RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming

=> AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave

=> SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File

=> AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec

=> JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor

=> JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive

=> MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll

=> 3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation

Partnership Project

=> 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project

=> MP4 এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 video file

=> SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module

=> 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation

=> GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile

Communication

=> CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple

Access

=> AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding

=> SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash

=> WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video

=> WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio

=> WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio

1) GOOGLE : Global Organization Of Oriented

Group Language Of Earth

2) YAHOO : Yet Another Hierarchical Officious

Oracle

3) WINDOW : Wide Interactive Network

Development for Office work Solution

4) COMPUTER : Common Oriented Machine

Particularly United and used under Technical and

Educational Research

5) VIRUS : Vital Information Resources Under

Siege

6) UMTS : Universal Mobile Telecommunications

System

7) AMOLED: Active-matrix organic light-emitting

diode


 ★OLED : Organic light-emitting diode

9) IMEI: International Mobile Equipment Identity

10) ESN: Electronic Serial Number

11) UPS: uninterrupted power supply

12) HDMI: High-Definition Multimedia Interface

13) VPN: virtual private network

14) APN: Access Point Name

15) SIM: Subscriber Identity Module

16) LED: Light emitting diode

17) DLNA: Digital Living Network Alliance

18) RAM: Random access memory

19) ROM: Read only memory

20) VGA: Video Graphics Array

21) QVGA: Quarter Video Graphics Array

22) WVGA: Wide video graphics array

23) WXGA: Wide screen Extended Graphics Array

24) USB: Universal serial Bus

25) WLAN: Wireless Local Area Network

26) PPI: Pixels Per Inch

27) LCD: Liquid Crystal Display

28) HSDPA: High speed down-link packet access

29) HSUPA: High-Speed Uplink Packet Access

30) HSPA: High Speed Packet Access.

কথায় গাঁথা সুরের মেলা 


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৭-০৪-২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৭-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:…


প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান। 


ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক - পারস্পরিক সহযোগিতায় ৫টি দলিল স্বাক্ষরিত। 


উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে - আবারো হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের। 


জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডে সহায়তা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে - বার্লিনে জলবায়ু সংলাপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বললেন সাবের হোসেন চৌধুরী। 


মাদক পাচার ও মাদকের অপব্যবহার শীর্ষক মরিশাসে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। 


ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 


বিপিএল ফুটবলে আজ দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি খেলা।

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সিমেন্ট এর বস্তার গায়ে উপাদান এর পরিমাণ দেয়া থাকেঃ আসুন দেখে নেই এর কার্যাবলি কি এবং কেমন......

 সিমেন্ট এর বস্তার গায়ে উপাদান এর পরিমাণ দেয়া থাকেঃ আসুন দেখে নেই এর কার্যাবলি কি এবং কেমন......


১। লাইম বা চুন (CaO) : সিমেন্টে প্রায় ৬৩% চুন থাকে। ক্যালসিয়াম সিলিকেট ও ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট তৈরির জন্য পর্যাপ্ত চুন থাকা আবশ্যক। এর পরিমাণ কম হলে সিমেন্টের শক্তি হ্রাস পায় এবং জমাটবদ্ধতার সময় ত্বরান্বিত করে। চুনের পরিমাণ অধিক হলে সিমেন্ট খুঁতযুক্ত হয় এবং এর প্রসারণ ও সংসক্তি হারিয়ে ফেলে।


২। সিলিকা (SiO2) : সিমেন্টে প্রায় ২২% সিলিকা থাকে। এটা চুনের উপস্থিতিতে ডাই-ক্যালসিয়াম সিলিকেট ও ট্রাই- ক্যালসিয়াম সিলিকেটে রূপান্তরিত হয়। এটা সিমেন্টের শক্তি বৃদ্ধি করে।


৩। অ্যালুমিনা (Al2O3) ঃ সিমেন্টে প্রায় ৭% অ্যালুমিনা থাকে। এটা ক্লিংকার গঠনের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং সিমেন্টের অন্যান্য যৌগকে সহজে পানির সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটা সিমেন্টের জমাটবদ্ধতা ত্বরান্বিত করে। এটার আধিক্য সিমেন্টকে দুর্বলকরে।


৪। ম্যাগনেশিয়া (MgO) : সিমেন্টে ম্যাগনেশিয়ার পরিমাণ ২% এর অধিক হওয়া উচিত নয়। এটার আধিক্য সিমেন্টের জন্য ক্ষতিকর এবং এটা সিমেন্টের শক্তি কমিয়ে দেয় ।


৫। আয়রন অক্সাইড (Fe2O3) : সিমেন্টে আয়রন অক্সাইডের পরিমাণ প্রায় ৩%। এটা সিমেন্টের কাঠিন্য ও শক্তি উন্নত করে।সিমেন্টের বর্ণও এটার উপর নির্ভর করে। আয়রন অক্সাইড উচ্চতাপে ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনার সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাই ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনোফেরাইট গঠন করে। এ যৌগটির উপরই সিমেন্টের শক্তি ও কাঠিন্য নির্ভর করে।


৬। ক্যালসিয়াম সালফেট (CaSO4) বা জিপসাম : সিমেন্টে ক্যালসিয়াম সালফেটের পরিমাণ প্রায় ৮%। এটা জিপসাম (CaSO4, 2H2O) হিসেবে সিমেন্ট ক্লিংকারের সাথে মিশিয়ে মিহি পাউডারে পরিণত করা হয়। এটা সিমেন্টের জমাটবদ্ধতার গতি মন্থর করে । সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে ৩-৪% জিপসাম মিশালে প্রাথমিক জমাটবদ্ধতার সময় 30 মিনিটের কম হয় না এবং চূড়ান্ত জমাটবদ্ধতার সময় ১০ ঘণ্টার অধিক হয় না ।


৭। সালফার ট্রাই-অক্সাইড (SO) : সালফার ট্রাই-অক্সাইডের পরিমাণ ২% এর অধিক হওয়া অনুচিত। এর আধিক্য সিমেন্টকে খুঁতযুক্ত করে।


৮। ক্ষারকীয় দ্রব্য : ক্ষারকীয় দ্রব্যের পরিমাণ ১% এর অধিক হওয়া অনুচিত। সিমেন্টের কাঁচামালে যে ক্ষারকীয় দ্রব্য থাকে পোড়ানোর সময় তা দূরীভূত হয়। এটার আধিক্য নির্মাণকে লোনাক্রান্ত করে।



গৌড় মালদহের ভুলে যেতে বসা এক ইতিহাস... 

 গৌড় মালদহের ভুলে যেতে বসা এক ইতিহাস... 


গৌড় বাংলার এককালীন রাজধানী এবং অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি নগর যার অবস্থান বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। এটি লক্ষণাবতী বা লখনৌতি নামেও পরিচিত। প্রাচীন এই দুর্গনগরীর অধিকাংশ পড়েছে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় এবং কিছু অংশ পড়েছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। শহরটির অবস্থান ছিল গঙ্গানদীর পূর্ব পাড়ে, রাজমহল থেকে ৪০ কিমি ভাটিতে এবং মালদার ১২ কিমি দক্ষিণে। তবে গঙ্গা নদীর বর্তমান প্রবাহ গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে অনেক দূরে।

পাণিনির ব্যাকরণে, কৌটিল্যের অর্থ শাস্ত্রে বাৎসায়নের কামসূত্রে গৌড়পুর বা গৌড়ের নাম পাওয়া যায়। বাৎস্যায়নের কামসূত্র-এ গৌড়ের সমৃদ্ধির কথা বিশেষভাবে জানা যায়। এই গ্রন্থমতে বঙ্গ থেকে দক্ষিণ কলিঙ্গ পর্যন্ত গৌড়ের বিস্তার ছিল। হর্ষবর্ধনের অনুশাসনলিপি থেকে জানা যায়, মৌখরীর রাজা ঈশান বর্মণ গৌড়বাসীকে পরাজিত করে সমুদ্র পর্যন্ত বিতারিত করেন। এই লিপি অনুসারে ধারণা করা যায়, গৌড় সুমুদ্রের নিকটবর্তী এলাকায় ছিল। রাষ্ট্রকূট-রাজ প্রথম অমোঘবর্ষের অনুশাসনলিপিতে মুর্শিদাবাদকে এর একটি অঞ্চল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এই অনুশাসনে এক বলা হয়েছে 'গৌড়-বিষয়'। সম্ভবত এই 'গৌড়-বিষয়' থেকে গৌড়দেশ নামটি সৃষ্টি হয়েছিল। বরাহমিহির তাঁর বৃহৎ-সংহিতা গ্রন্থে গৌড়কে পুণ্ডবর্ধন, সমতট, তাম্রলিপ্ত প্রভৃতি অঞ্চল থেকে পৃথক এলাকা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।


ইতিহাস:-


শক্তিসঙ্গমতন্ত্র মতে গৌড়ের অনুসারে গৌড় ছিল বিস্তীর্ণ জনপদ। কুর্ম ও লিঙ্গপুরাণ মতে, সূর্যবংশীয় শ্রাবস্তী পুত্র বংশক গৌড়দেশে শ্রাবস্তী নগরী তৈরি করেন। বর্তমানে এই প্রাচীন নগরী অযোধ্যা প্রদেশের অন্তর্গত। স্কন্দপুরাণে  সারস্বত, কনোজ, উৎকল, মিথিলা ও গৌড় অঞ্চলের বসবাসকারী ব্রাহ্মণদেরকে বলা হয়েছে পঞ্চগৌড় ব্রাহ্মণ। এর ভিতরে মিথিলা ও বঙ্গের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ছিল গৌড়। বাণভট্টের শ্রীহর্ষচরিতে পাওয়া যায়, রাজ্যবর্ধন ও হর্ষবর্ধনের সময় গৌড়ে নরেন্দ্রগুপ্ত নামক একজন রাজা ছিলেন।


আধুনিক ঐতিহাসকদের মতে খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রাজা স্কন্ধগুপ্ত (৪৫৫-৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দ)-এর মৃত্যুর পর পরবর্তী অযোগ্য শাসকরা রাজত্ব করেন। এই সময় গুপ্তরাজ বংশের উত্তরাধিকারদের মধ্যে আত্মকলহের সুযোগে সাম্রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে একাধিক রাজবংশের উত্থান ঘটে। হুনরা গান্ধার, পাঞ্জাব থেকে শুরু করে মালব পর্যন্ত দখল করে। এর পাশাপাশি দক্ষিণে বলভীর  মৈত্রবংশ, থানেশ্বররের পুষ্যভূতি বংশ, কনৌজের মৌখরীবংশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। এই রাজ্য দুটি হলো- স্বাধীন বঙ্গরাজ্য ও স্বাধীন গৌড়রাজ্য।


৫২৫ থেকে ৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে বঙ্গরাজ্য প্রবল দাপটে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সময় পৃথক রাজশক্তি হিসেবে গৌড় ততটা শক্তিশালী ছিল না। এরপর চালুক্য-রাজ কীর্তিবর্মণ-এর আক্রমণে বঙ্গরাজ্য হীনবল হয়ে পড়ে। কিন্তু গৌড় শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয় এবং বঙ্গরাজ্যের একটি অংশ গৌড়রাজ্য দখল করে। এই সময় উত্তর ভারতের রাজা মৌখরী গৌড়রাজ্য বারবার আক্রমণ করতে থাকে।  মৌখরী রাজ বংশের ঈশান বর্মণ গৌড় রাজাকে পরাজিত করে, তাঁর রাজ্য থেকে বিতারিত করেন। একই সময় চালুক্য রাজারাও গৌড় আক্রমণ করা শুরু করে। ফলে অচিরেই গৌড়রাজ্য ক্ষীণবল হয়ে পড়ে।


গৌড়রাজ্যের এই হীনাবস্থার ভিতরে শশাঙ্কের গৌড়ের রাজা হন। সম্ভবত তিনি মগধ ও গৌড়ের অধিপতি মহাসেনের অধীনে মহাসামন্ত হিসেবে কিছুদিন রাজ্য শাসন করেন। তিনি উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গের গুপ্তবংশীয় শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে, ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে গুপ্তশাসকদের নিয়ন্ত্রণ থেকে গৌড়কে মুক্ত করে একটি স্বাধীন রাজ্যের পত্তন ঘটিয়েছিলেন। গঞ্জামের তাম্রলিপি থেকে জানা যায়, শশাঙ্ক ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ। ধারণা করা হয়— পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গা'র (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেলস্টেশনের কাছে কর্ণসুবর্ণ ছিল।


শশাঙ্কের মৃত্যুর পর কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মন কর্ণসুবর্ণকে নিজের রাজ্যভুক্ত করেছিলেন। ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর শশাঙ্কের মানবদেব নামক এক পুত্র রাজ্য পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর জয়নাগ নামক জনৈক সামন্ত গৌড়ের সিংহাসনে বসেন। তিনি  ভাস্করবর্মনের অধিকারভুক্ত থেকে কর্ণসুবর্ণকে মুক্ত করেন। এই রাজা নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন। তবে জয়নাগ সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানা যায় না।


সেন শাসনামলে লক্ষ্ম‌ণাবতী বা লখনৌতি উন্নতি লাভ করে।লক্ষনাবতী নগরের নামকরণ করা হয়েছে সেন রাজা লক্ষ্মণ সেনের নামানুসারে। সেন সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনের আগে গৌড় অঞ্চলটি পাল সাম্রাজ্যের অধীনের ছিল এবং সম্ভবত রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল এর প্রশাসনিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ শহর থেকে দশ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় ও পাণ্ডুয়া (প্রাচীন নাম গৌড়নগর ও পাণ্ডুনগর )। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ যুগে পাল বংশের রাজাদের সময় থেকে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে (৬০৫ বঙ্গাব্দে) মুসলমান শাসকেরা গৌড় অধিকার করবার পরেও গৌড়েই বাংলার রাজধানী থেকে যায়। ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ (৭৫৭ বঙ্গাব্দ) থেকে রাজধানী কিছুদিনের জন্য পাণ্ডুয়ায় স্থানান্তরিত হলেও ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে (৮৬০ বঙ্গাব্দে) আবার রাজধানী ফিরে আসে গৌড়ে, এবং গৌড়ের নামকরণ হয় জান্নাতাবাদ।

অনুমান করা হয় ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে এটি বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মধ্যে বিজয়নগর (বিজয় সেনের এর প্রতিষ্ঠিত নগর) ও গৌড় সবথেকে নগরায়িত বলে সুপরিচিত ছিল।


বড় সোনা মসজিদ বা বারো দুয়ারী:-


গৌড়ের স্থাপত্য কীর্তিগুলির মধ্যে এটি সবথেকে বড়। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এটির নির্মাণ কার্য্য শুরু করলেও তিনি এ কাজ সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। তার পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন (নুসরাত শাহ) ১৫২৬ সালে এই কাজ সম্পন্ন করেন। এর উচ্চতা ২০ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৬৮ ফুট ও প্রস্থ ৭৬ ফুট।


দাখিল দরওয়াজা:-


এটি গৌড় দুর্গে প্রবেশের প্রধান দ্বার। এটি ৬০ ফুট উঁচু ও ৭৩ ফুট চওড়া এই দরওয়াজাটি ছোট ছোট ইট ও পাথর দিয়ে তৈরী করেছিলেন সম্ভবতঃ সুলতান রুকনউদ্দীন (বারবক শাহ)। ভিতরের পথটি বেশ চওড়া, তাই সওয়ারী সহ হাতি অনায়াসে এই দরওয়াজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারতো। এই দরজার দুপাশ থেকে তোপধ্বনি করে সুলতান ও ঊর্ধ্বতন রাজপুরুষদের সম্মান প্রদর্শন করা হত। তাই এই দরওয়াজার আর এক নাম সেলামী দরওয়াজা।


লোটন মসজিদ:-


কোতোয়ালি দরওয়াজা থেকে ১ কিমি উত্তরে রয়েছে এই লোটন মসজিদ। এখানে ইঁটের উপর রংবেরঙের মীনার কারুকার্য ছিল, বর্তমানে যার প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই, তবে খুব ভাল করে দেখলে বোঝা যায় এর সামান্য অস্তিত্ব । ছাদের গম্বুজের নিচের দিককার সৌন্দর্য অপূর্ব।


লুকোচুরি দরওয়াজা:-


১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দে (১০৬২ বঙ্গাব্দে) বাংলার সুবেদার শাহ সুজা গৌড় দুর্গে প্রবেশ করবার জন্য এই লুকোচুরি দরওয়াজাটি তৈরি করেন। উচ্চতা ৬৫ ফুট ও চওড়া ৪২ ফুট। দুইদিকে প্রহরীদের ঘর ও ওপরে নহবতখানা আছে।


কদম রসুল মসজিদ:-


লুকোচুরি ফটক বা দরোয়াজা দিয়ে গৌড় দুর্গে ঢোকার পর ডানদিকে রয়েছে কদমরসুল সৌধ। এখানে রয়েছে হজরত মুহাম্মদের পদচিহ্ন, যেটা সুদূর আরব থেকে পীর শাহ জালাল ইয়েমেনী এনেছিলেন পাণ্ডুয়ার বড় দরগায়, সেখান থেকে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এটিকে নিয়ে আসেন গৌড় দুর্গে। তার পুত্র সুলতান নসরত শাহ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে (৯৩৭ বঙ্গাব্দে) একটি কষ্ঠি পাথরের বেদির ওপর পদচিহ্নটি স্থাপন করে তার ওপর কদম রসুল সৌধ নির্মাণ করেন।


চিকামসজিদ :-


এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই স্থাপত্যটি ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে (৮৫৭ বঙ্গাব্দে) তৈরি। পূর্বে এটি সম্ভবত সমাধিস্থল ছিল। তবে কথিত আছে যে সম্রাট হুসেন শাহ এটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করতেন। স্থাপত্যটির ভিতরের দেয়ালে অনেক হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি রয়েছে। পরবর্তী কালে এখানে চামচিকার উপদ্রব শুরু হলে এর নাম হয় চামকান মসজিদ বা চিকা(চামচিকা থেকে) মসজিদ।


বিশেষ অনুরোধ :

সংগৃহীত তথ্যে কোনো ভুল থাকলে দয়া করে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। এই পোস্টটি করার উদ্দ্যেশ্য অতীত ইতিহাস কে জানার চেষ্টা ও তার স্বল্প পরিসরে বিস্তার, যদি কারো কে কিছু সংযোজন করতে হয় ইনবক্স বা কমেন্ট এ আহ্বান জানাই।

পোকা চেনার উপায় : 

 মিলিবাগ দমনে করণীয়।


পোকা চেনার উপায় : 


চুনের মত সাদা বর্ণের এবং মোম জাতীয় পাউডার দ্বারা নরম দেহ আবৃত থাকে।


ক্ষতির ধরণ : 


এরা কচি ফল, পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়, ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়া দেখা যায়।এর আক্রমণে পাতা ঝরে যেতে থাকে এবং ডাল মরে যায়।এভাবে এক সময় পুরো গাছই মরে যায়।


ব্যবস্থাপনা :


আক্রান্ত গাছ টি, প্রথমেই অন্যান্য গাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে।


আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন: ইমিটাফ বা, এডমায়ার বা, টিডো বা, নাইট্রো )

১ লিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে আক্রান্ত স্থানে।


ওষুধ স্প্রে করার সঠিক সময়: 


বিকাল/সন্ধ্যা বেলায়। (রোদের ভেতরে কখনো কীটনাশক স্প্রে করা যাবে না।এতে পাতা বার্ন হয়ে যাবে।)


যে ডাল গুলো বেশি মিলিবাগ আক্রান্ত সেই ডাল গুলো গাছ থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে।


পূর্ব-প্রস্তুতি :


নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।গাছের ডাল গুলো রেগুলার চেক করুন।সাদা সাদা মতো কিছু দেখলে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।

প্রতি ১০ / ১৫ দিন পর পর নিম তেল স্প্রে করুন সব গাছে।


মিলিবাগ দমনে ঘরোয়া উপায়:


সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় (ডিটারজেন্ট বা লিকুইড ভিম বা স্যাম্পু মেশানো পানি বেশি ভালো হয়)

অথবা নিম তেল আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুঁড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

আক্রান্ত অংশ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করতে হবে।


খুব জোরে পানি স্প্রে করেও প্রাথমিক অবস্থায় এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


বি.দ্রঃ একদম কম আক্রান্ত হলে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলেই হয়, কিন্তু আক্রান্ত বেশি হলে গাছ ফেলে দিতে হবে অথবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে।

কবিত্ব যে মারাত্মক একটা অসুখ সে বিষয়ে তাঁর মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না

 কবিত্ব যে মারাত্মক একটা অসুখ সে বিষয়ে তাঁর মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না। মনে করতেন প্রতিভা এক ধরনের পাগলামি। অথচ যেদিন বায়রণের' Corsair ' প্রকাশ হল সেদিন বিক্রি হল দশ হাজার কপি। সেকাল কেন একালেও কোন কবির কবিতার বই একদিনে অত কপি বিক্রি স্বপ্ন।


লোকে বায়রণের কবিতা পড়তেন মন্ত্রমুগ্ধের মত, কবিতাই ছিল তাঁর অসাধারণ জনপ্রিয়তার মূল কারণ, কবিতার নায়ক হিসেবে পাঠকরা বায়রণকে ভেবে নিতেন। স্বয়ং গ্যেটে বায়রণ সম্পর্কে বলেছিলেন লোকে ইংরেজরা যাই বলে বলুক ইংল্যান্ডের সত্যি যদি কিছু দেখাবার থাকে তবে শেকসপীয়রের পরে বায়রণ।হয়ত বায়রণের কবিতার প্রথম দিকের দ্যুতি আজ আর নেই,কবিত্বের বিচারে তিনি শেলী,কীটসের নীচে! কিন্তু রোম্যান্টিক কবির মূর্তি হিসেবে নিঃসঙ্গ এবং রহস্যময় জীবন কাটানোর জন্য বায়রণ চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। তখন বায়রণের পর পর কাব্যগ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়েছে।শেলী,কিটসের মত দুজন তরণ আব্যপ্রয়াসী অপলক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলেন বায়রণকে।তারা মনে করতেন বায়রণ তাদের চেয়ে অনেক বড় কবি। স্বয়ং কিটস বলেছিলেন " হায় আমি যদি বায়রণের মত লিখতে পারতাম। 


কাব্য প্রতিভা প্রকাশের আগেই বায়রণের প্রেমিক প্রতিভার বিকাশ।ষোলো বছর বয়সে প্রথমবার উন্মত্ত ভালবাসায় পড়েছিলেন। প্রেমিকার নাম মেরি সাওয়ার্থ।ট্রিনিটি কলেজে পড়ার সময় কবিতার বই প্রকাশ হল বায়রণের। আপত্তি উঠল সেই বই নিয়ে, নিজের হাতে বায়রণ বইয়ের সব কপি পুড়িয়ে ফেললেন। মেয়েরা সত্যি চুম্বকের মত তাঁকে টানত, অনেক রমণীর সাথে বায়রণ সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে সর্বাগ্ৰে নাম করতে হয় ক্যারোলিনের। বায়রণকে চোখে দেখার আগে তিনি তিনি তাঁর কবিতা পড়ে তাঁর সম্বন্ধে জেনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। নির্লজ্জতা ছিল ক্যারোলিনের, বায়রণের প্রতি উন্মাদ ভালবাসা জানাতে তিনি কখনও স্থান কাল পাত্রের তোয়াক্কা করেন নি।সব পার্টিতে বায়রণের কণ্ঠলগ্না হয়ে থাকতেন।এমন কি নিজের সব রত্ন অলঙ্কার প্রেমিক কে দিতে চেয়েছিলেন। উভয়ের প্রকাশ্য প্রেমলীলায় দেশে ঢি-ঢি পড়ে গেল। তবে শ্রেষ্ঠ কবি আর অভিজাত পরিবারের রমণীর প্রেমে এল বাধা এল, লন্ডনে গসিপ চর্চার বিষয় বায়রণের প্রেম। সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত তিক্ত হল। ওদিকে বায়রণকে বিয়ে করলেন অ্যান ইসাবেলা মিলব্যাঙ্ক।


তবে তারা সুখী হননি,মিলব্যাঙ্ক একদিন বায়রণ কে ছেড়ে গেলেন।মানুষ হিসেবে বায়রণ ছিলেন সংবেদনশীল,স্বভাবে বেপরোয়া হলেও উদার, অভিমানী।একের পর এক কাব্যগ্ৰন্থে তখন অসমান্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীতে সবার সব দিন সমান যায় না। বায়রণের জন্য ইংল্যান্ড আর নিরাপদ নয়।কারণ নেপোলিয়ন কে তিনি পছন্দ করতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠল সেই সব অভিযোগ প্রায় রাজদরবারে পৌঁছে যায়। তবে আদালতের কাঠগড়ায় না উঠলেও জনগণের বিচারে তিনি দোষী। শেষ পর্যন্ত কবি যেদিন মাতৃভূমি ছাড়লেন সেদিন বায়রণ কে দেখে অসংখ্য রমণী চোখের জল ফেলে।প্রেমিকারা বায়রনের জন্য কী-ই না করেছে। যেমন এক অভিজাত পরিবারের সুন্দরী মহিলা বায়রনকে প্রেম নিবেদন করার জন্য বালকের ছদ্মবেশ ধরেছিল। আবার কেউ প্রেম নিবেদনের জন্য  ইংল্যান্ড থেকে ইতালি পর্যন্ত পুরো রাস্তা তার পিছু নিয়েছিল।

সেই বছর বায়রণের শ্রেষ্ঠ কাব্য 'ডন'প্রকাশিত হয়।জেনিভায় এসে শেলীর সাথে বন্ধুত্ব হল।প্রবাসেও তিনি অনেক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।কুমারীর থেকে বিবাহিতা রমণীর সাথে তাঁর সম্পর্ক হয়েছে।গ্ৰীসের প্রতি তীব্র ভালবাসা ছিল তখন তুর্কীদের আক্রমনে গ্ৰীস বিপর্যস্ত। সেইসময় শরীর অসুস্থ হয়, মৃত্যুর আগে বারবার বলেছেন কেন একবার দেশে ফিরলেন না। তবে মাতৃভূমিতে না ফিরলেও ভাবপ্রবণ জনপ্রিয় ইংরেজ কবি লর্ড বায়রন- ‘ইংল্যান্ডের রোমিও’ হিসেবে জনপ্রিয়।ইংরেজি সাহিত্যের সর্বকালের সর্বাধিক আলোচিত কবিদের একজন লর্ড বায়রন। প্রয়াত হয়েছিলেন  ১৯ এপ্রিল বয়স তখন মাত্র ৩৬ বছর ।কবির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।।


পুস্তক ঋণ,বরণীয় মানুষ,স্মরণীয় বিচার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

Immage courtesy- Wikipedia

জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার: আজ ২২ এপ্রিল। ১৯০৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন 

 জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার:


আজ ২২ এপ্রিল। ১৯০৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন 

জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার (২২ এপ্রিল, ১৯০৪-ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৯৬৭)। তিনি ছিলেন একজন পদার্থবিদ এবং ম্যানহাটন প্রকল্পের পরিচালক। এই ম্যানহাটন প্রকল্পই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়।


জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার নিউ ইয়র্ক সিটিতে ২২ এপ্রিল, ১৯০৪-এ এলা ফ্রিডম্যান, একজন শিল্পী এবং জুলিয়াস এস. ওপেনহেইমার, একজন টেক্সটাইল ব্যবসায়ীর কাছে জন্মগ্রহণ করেন। ওপেনহাইমাররা ছিল জার্মান-ইহুদি অভিবাসী কিন্তু ধর্মীয় ঐতিহ্য বজায় রাখে নি। ওপেনহাইমার নিউইয়র্কের এথিক্যাল কালচার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। যদিও জে. রবার্ট ওপেনহেইমার বিজ্ঞান এবং মানবিক উভয়ই সহজে আঁকড়ে ধরেছিলেন (এবং বিশেষত ভাষায় ভাল ছিলেন), তিনি ১৯২৫ সালে হার্ভার্ড থেকে রসায়নে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন।


ওপেনহাইমার তার পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং জার্মানির গোটিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ডক্টরেট অর্জনের পর, ওপেনহাইমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং বার্কলেতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়ান। তিনি একজন সু-সম্মানিত শিক্ষক এবং একজন গবেষণা পদার্থবিদ উভয়ের জন্যই সুপরিচিত হয়েছিলেন - একটি সাধারণ সমন্বয় নয়। ১৯৪০সালে, ওপেনহাইমার ক্যাথরিন পিউনিং হ্যারিসনকে বিয়ে করেন এবং তাদের জ্যেষ্ঠ সন্তানের জন্ম হয়। হ্যারিসন, বার্কলেতে একজন উগ্র ছাত্র, ওপেনহাইমারের বন্ধুদের মধ্যে অনেক কমিউনিস্টদের একজন ছিলেন।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খবর আসে যে নাৎসিরা পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও আমেরিকানরা ইতিমধ্যে পিছনে ছিল, তারা বিশ্বাস করেছিল যে তারা নাৎসিদের প্রথমে এত শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করার অনুমতি দিতে পারবে না। ১৯৪২ সালের জুনে, ওপেনহাইমারকে ম্যানহাটন প্রকল্পের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছিল, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের দল যা একটি পারমাণবিক বোমা তৈরিতে কাজ করবে।ওপেনহাইমার নিজেকে এই প্রকল্পে নিক্ষেপ করেছিলেন এবং নিজেকে শুধুমাত্র একজন উজ্জ্বল বিজ্ঞানীই নয়, একজন ব্যতিক্রমী প্রশাসক হিসেবেও প্রমাণ করেছিলেন। তিনি লস আলামোস, নিউ মেক্সিকোর গবেষণা কেন্দ্রে দেশের সেরা বিজ্ঞানীদের একত্রিত করেন।


তিন বছরের গবেষণা, সমস্যা সমাধান এবং মূল ধারণার পর, প্রথম ছোট পারমাণবিক যন্ত্রটি ১৬ জুলাই, ১৯৪৫-এ লস আলামোসের ল্যাবে বিস্ফোরিত হয়। তাদের ধারণা কাজ করে প্রমাণ করার পরে, ট্রিনিটি সাইটে একটি বড় আকারের বোমা তৈরি করা হয়েছিল এবং বিস্ফোরিত হয়েছিল। এক মাসেরও কম সময় পরে, জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল ।


বোমাগুলো যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল তাতে অস্থির ওপেনহাইমার। তিনি নতুন কিছু তৈরি করার চ্যালেঞ্জে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মধ্যে প্রতিযোগিতায় এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলেন যে তিনি-এবং অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানী এই প্রকল্পে কাজ করছেন-এই বোমাগুলির কারণে যে মানবিক ক্ষতি হবে তা বিবেচনা করেননি।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর, ওপেনহাইমার আরও পারমাণবিক বোমা তৈরির বিরোধিতা শুরু করেন এবং বিশেষভাবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী বোমা তৈরির বিরোধিতা করেন, যা হাইড্রোজেন বোমা নামে পরিচিত।

দুর্ভাগ্যবশত, এই বোমাগুলির উন্নয়নে তার বিরোধিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তি কমিশনকে তার আনুগত্য পরীক্ষা করতে বাধ্য করে এবং ১৯৩০-এর দশকে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কমিশন ১৯৫৪ সালে ওপেনহাইমারের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।


১৯৪৭ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত, ওপেনহেইমার নিউ জার্সির প্রিন্সটনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৩ সালে, পারমাণবিক শক্তি কমিশন পারমাণবিক গবেষণার উন্নয়নে ওপেনহেইমারের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাকে মর্যাদাপূর্ণ এনরিকো ফার্মি পুরস্কার প্রদান করে।


ওপেনহাইমার তার অবশিষ্ট বছরগুলি পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা এবং বিজ্ঞানীদের সাথে সম্পর্কিত নৈতিক দ্বিধাগুলি পরীক্ষা করে কাটিয়েছেন। ওপেনহাইমার ১৯৬৭ সালে ৬২ বছর বয়সে গলার ক্যান্সারে মারা যান।

জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৯ কৌশল-??

 জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৯ কৌশল-??


>>>১. মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে।


২. বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।


৩. ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।


৪. যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।


৫. পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।


৬. ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম।


৭. রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।


৮. এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়।


৯. দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।


নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।

><>এই বিষয় গুলো লক্ষ করলে কমে যাবে আপনার বিদুৎ বিল

><>ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন



কলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন‌ই শুরু হয় না তাঁদের জন্য।

 কলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন‌ই শুরু হয় না তাঁদের জন্য।

কলগেট জিনিসটা আগে মাজন ছিল না, ছিল সাবান। কি ভাবছেন, ছিল সাবান, হয়ে গেল টুথপেস্ট? না না, একটা লোকের পদবি ছিল কলগেট। ইংল‍্যাণ্ডের লোক ছিলেন রবার্ট কলগেট ( ১৭৫৮ - ১৮২৬)। তাঁর বৌয়ের নাম ছিল সারা বাউলস। রবার্ট সাহেব ছিলেন কৃষিজীবী মানুষ। কিন্তু তাঁর দোষ ছিল তিনি পলিটিক্স নিয়ে ভাবতে ভালবাসতেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের গুণগ্রাহী ছিলেন আর আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থক। এই অপরাধের দরুণ ইংল্যান্ডের বুকে আর তাঁর থাকার সুবিধা হল না। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। তাড়া খেয়ে চাটিবাটি গুটিয়ে রবার্ট সাহেব বৌ বাচ্চা সমেত পাড়ি দিলেন আমেরিকায়। সেখানে মেরিল্যান্ড প্রদেশের বাল্টিমোরে ঠাঁই নিলেন। সেটা ১৭৯৮ এর মার্চ মাস। ওখানে তিনি আরেকটি লোকের সঙ্গে পার্টনারশিপে সাবান আর মোমবাতি তৈরির কারখানা ফাঁদলেন। পরে চলে গেলেন নিউ ইয়র্কের ডেলাওয়ার কাউন্টিতে। পার্টনারশিপ কারবার দু বছরের বেশি টিঁকল না। তারপর তাঁর ছেলে উইলিয়াম কলগেট একটা সাবান তৈরির কারখানায় শিক্ষা নবিশিতে লাগলেন। সেটা ১৮০৪। এই উইলিয়াম কলগেট (২৫ জানুয়ারি, ১৭৮৩ - ২৫ মার্চ, ১৮৫৭) গোড়াপত্তন করলেন কলগেট পামোলিভ কোম্পানির। ১৯৫০ এর দিকে কপিরাইটার অ্যালিসিয়া টোবিন বিজ্ঞাপন করেছিলেন It Cleans Your Breath While It Cleans Your Teeth"। আর ক্রমেই দাঁতের মাজন হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল কলগেট। এমনকি অতি সাধারণ মানুষের কাছে কলগেট হয়ে গেল দাঁতের মাজনের প্রতিশব্দ।

এখন কলগেট পামোলিভ একটা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ এ জানা গিয়েছে চৌত্রিশ হাজার কর্মচারী এই সংস্থায় বেতনভুক হিসেবে কাজ করে। এই কোম্পানির নেট আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার, আর এদের সম্পত্তির মোট অর্থমূল‍্য হল ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার। কলগেট পামোলিভ কোম্পানির হেড কোয়ার্টারের ঠিকানা হল ৩০০, পার্ক অ্যাভিনিউ, মিডল টাউন, ম‍্যানহাটান, নিউ ইয়র্ক, ১০০২২, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। 

আজ থেকে ২১৮ বছর আগে ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম কলগেট সাবান আর বাতি তৈরির   ব‍্যবসা ফাঁদেন। তার চৌদ্দ বছর পর তিনি সাবান তৈরির কারখানা খুললেন। গোড়ায় অবশ‍্য তিনি একটা সাবান তৈরির কারখানায় বয়লার ঘরে শিক্ষা নবিশ হিসাবে কাজ শিখেছিলেন। আজ থেকে ১৫১ বছর আগে ১৮৭৩ এ উইলিয়াম কলগেট মারা যাবার অনেকদিন পর কাচের জারে করে সুগন্ধি টুথপেস্ট বিক্রি শুরু করে কলগেট। ১৮৯৬ তে সেই টুথপেস্ট টিউবে ভরে বিক্রি করা শুরু হল। 

গোড়ায় পামোলিভ বলে কিছু ছিল না। ১৮৯৮ তে পাম তেল আর অলিভ তেল থেকে সাবান তৈরির ফরমূলা তৈরি করলেন বারডেট জে জনসন। তিনি উইসকনসিন প্রদেশের মিলাওয়াকিতে পামোলিভ নামে কারবার ফা়ঁদলেন। ১৯২৮ এর পহেলা জুলাই কলগেট আর পামোলিভ আর পীট একজোট হল। আর ১৯৫৩ তে কারবারের নাম হল কলগেট পামোলিভ।

কলগেটের গোড়াপত্তন করেছিলেন যিনি এটি তার ছবি,, ছবিটি কলগেটের মৃত্যুর অনেক পরে আঁকা।

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৬-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৬-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


সকল প্রকার আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং যুদ্ধকে "না" বলতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 


ব্যাংককের ডুসিট প্রাসাদে থাইল্যাণ্ডের রাজা ও রানীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাত - থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আজ - পরে অনুষ্ঠিত হবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন। 


বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং দলের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


যেকোনো মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে - দৃঢ়তার সাথে বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ।


শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি । 


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ।


গতরাতে হায়দ্রাবাদে আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৩৫ রানে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে।

সদ্যভূমিষ্ট বাসযাত্রীদের জন্য ভ্রমণ টিপস-

 সদ্যভূমিষ্ট বাসযাত্রীদের জন্য ভ্রমণ টিপস-


১. লোকাল বাস আপনার বাপের সম্পত্তি না, যে আপনার জন্য সুন্দর করে ব্রেক করে খাড়ায়ে থাকবে। সে চলবে আপন গতিতে। আপনাকে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তালে তাল মিলে গেলেই বাসে চট করে উঠে পড়তে পারবেন। বাসের রড ধরে ঝুলে বাসে উঠার জন্য পেশি শক্তি বাড়ান। বাসার বারান্দার রড ধরে ঝুলোঝুলির অভ্যাস করুন।


২. আপ পেহলে আপ পেহলে এই স্বভাব থাকলে লোকাল বাসের পা দানিতেও জায়গা পাবেন না। তাই হাম পেহলে হাম পেহলে স্বভাব বানাতে হবে। কনুইয়ের গুঁতা মেরে পায়ে পারা দিয়ে উঠে পড়তে হবে।


৩. কোনটা কোন রুটের বাস ইহা বুঝতে হলে হেলপারের কন্ঠের দিকে মন দিন। সে একনাগাড়ে বাসের গতিপথ বলতেই থাকবে। আপনার যাত্রা পথ মিলে গেলে লাফ দিয়ে উঠে পড়ুন।


৪. বাসে উঠার পর হেলপার চেষ্টা করবে আপনাকে ঠেলে বাসের শেষ মাথায় নিয়ে যাবার। সদ্য প্রসূত বাসযাত্রীরা কখনই বাসের শেষ মাথায় যাবেন না। বাসের ভীড় ঠেলে নামার ক্ষমতা আপনাদের এখনো হয়নাই। এইটা দীর্ঘ সাধনার ব্যাপার। বাসের সামনের দিকে গ্যাট মেরে দাঁড়িয়ে থাকুন। হেল্পার চিল্লাতে চিল্লাতে ক্লান্ত হয়ে অন্য কাউকে ভেতরে ঢুকাবে।


৫. অবশ্যই পকেট ও মোবাইল সাবধান। নিজের গাড়িতে মোবাইল মানিব্যাগ ব্যাক পকেটে রাখলেও এখানে বুক পকেটে বা হাতে ধরে রাখুন। পকেটমার লোকাল বাসের অপরিহার্য অংশ।


৬. মহিলা যাত্রীদের জন্য ইঞ্জিনের উপর বসার ব্যবস্থা থাকে। গরম ইঞ্জিনের উপর বসার প্রাকটিস করতে বাসায় হটব্যাগের উপর বসে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।


৭. অফিস যাত্রীরা সাথে করে জুতার কালি নিয়ে নিন। বাসে আপনার জুতা মানে সবার পাপোষ। সবাই আপনাকে পারায়ে যাবে। নতুন বা পালিশ করা জুতা দেখলে মানুষের পারাতে আরো বেশি ভাল্লাগে। ইহা প্রমাণিত সত্য।


৮. বাসের দুলুনিতে দাঁড়িয়ে থাকাও আর্ট। প্রথম প্রথম এক হাতে বাসের রড ধরে ভাব দেখাতে যাবেন না। দুই হাতে রড ধরুন। পারলে সিটের মাথা খাঁমচে ধরে দাঁড়াতে পারেন। তা না হলে ব্রেকের সাথে সাথে সামনে চিৎপটাং হয়ে যাবেন।


৯. বাস থামলে নামবো এই চিন্তা জীন্দেগিতেও করবেন না। লোকাল বাসের ব্রেক থাকেনা, থাকলেও কই থাকে ড্রাইভার জানেনা। তাই চলা অবস্থাতেই নামা লাগবে। অবশ্যই বাম পা দিয়ে নামবেন। তা না হলে রাস্তার মধ্যেই সটান হয়ে পড়ে যাবেন। ভাগ্য খারাপ হলে চাকার তলায় যাওয়াও বিচিত্র না।


আপাতত পরামর্শগুলো মাথায় নিয়ে বাসে চড়ার ট্রাই করুন। আশা করা যায় আপনার যাত্রা মালয়শিয়ানj এয়ারলাইন্সের মত আরামপ্রদ হবে। হ্যাপি ট্রাভেলিং।


Collected

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৫-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৫-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:…


আজ ইউএনএসক্যাপ - এর ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন থাইল্যান্ডে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা- জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি দক্ষতা ও প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আগ্রহ যুক্তরাজ্যের।


বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান।


মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ বাংলাদেশি - মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশনসহ ২৮৮ সদস্য নিজ দেশে ফিরবেন আজ ও আগামীকাল।


রাঙ্গামাটিতে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।


ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো জ্যামাইকা।


হায়দ্রাবাদে আজ আইপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দিনের একমাত্র খেলায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু মোকাবেলা করবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের।

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পর্তুগাল সম্পর্কে ২১টি তথ্য যা আপনি জানতেন না

 পর্তুগাল সম্পর্কে ২১টি তথ্য যা আপনি জানতেন না: 🇵ঙঙঙঙঃওঔ তার বর্তমান সীমান্ত স্থাপন করে।

২। পর্তুগীজ ভাষা 9 টি দেশের সরকারী ভাষা, যার মধ্যে পর্তুগাল নিজেই, ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, এবং অন্যান্য।

৩। পর্তুগাল বিশ্বের বৃহত্তম কর্ক উৎপাদক, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি কর্ক সাপ্লাইয়ের জন্য দায়ী।

৪. লিসবনের ভ্যাস্কো দা গামা সেতু ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু, যা ১০ মাইল (১৭.২ কিলোমিটার) জুড়ে বিস্তৃত।

৫। পর্তুগাল বিশ্বের সেরা মানের ওয়াইন উৎপাদক, পোর্ট ওয়াইন, ভিনহো ভার্দে, এবং ডরো ওয়াইন জন্য পরিচিত।

৬. পর্তুগালের কোইম্ব্রা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, যা ১২৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

৭. পর্তুগীজ দ্বীপ মাদেইরা তার নববর্ষের প্রাক্কালে উদযাপনের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম আতশবাজি প্রদর্শনীর একটি সমন্বিত।

৮. পর্তুগাল ইউরোপের সবচেয়ে পশ্চিমী বিন্দু, কাবো দা রোকা, যা আটলান্টিক মহাসাগরের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।

৯। পর্তুগীজ শহর বিডোস তার বার্ষিক চকোলেট উৎসবের জন্য পরিচিত, যা সারা বিশ্ব থেকে আগত দর্শকদের আকর্ষণ করে।

১০। পর্তুগালের আলগারভ অঞ্চল তার অত্যাশ্চর্য সৈকত, নাটকীয় ক্লিফ এবং চিত্রময় মাছ ধরার গ্রামের জন্য বিখ্যাত।

১১। আজুলেজো, ঐতিহ্যবাহী পর্তুগীজ সিরামিক টাইলস, বিল্ডিং, গির্জা এবং এমনকি ট্রেন স্টেশনগুলি সারা দেশে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

১২. বিখ্যাত পর্তুগীজ প্যাস্ট্রি, প্যাস্টেল ডি নাটা, 18 তম শতাব্দীতে ক্যাথলিক সন্ন্যাসীদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।

১৩। পর্তুগালের জাতীয় প্রতীক বার্সেলোস এর মোরগ, যা ভাগ্য, সততা, এবং অখণ্ডতার প্রতীক।

১৪। লিসবনের সাও জর্জ ক্যাসল শহরের প্যানোরামিক দৃশ্য প্রস্তাব করে এবং 2,000 বছর আগের ইতিহাস আছে।

১৫। লিসবনের ভ্যাস্কো দা গামা টাওয়ার একটি পালতোলা নৌকা মাস্তুলের মত আকৃতির এবং এটি পর্তুগালের সবচেয়ে উঁচু ভবনগুলির মধ্যে একটি।

১৬। পর্তুগালের অনুসন্ধানের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে, ভ্যাস্কো দা গামা, ফার্দিনান্ড ম্যাগেলান, এবং বার্টোলোমেউ ডায়াসের মতো এক্সপ্লোরার আবিষ্কারের যুগে নেতৃত্ব দেয়।

১৭। পোর্তো শহর তার ঐতিহাসিক কেন্দ্র, ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত পোর্ট ওয়াইন সেলার এবং আইকনিক ডম লুইস আই ব্রিজ এর জন্য পরিচিত।

১৮। পর্তুগাল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বুকশপ লিভ্রারিয়া বারট্র্যান্ডের বাসভূমি, যা 1732 সালে লিসবনে খোলা হয়েছিল।

১৯। পর্তুগীজ দ্বীপ পোর্তো সান্তো 1492 সালে আমেরিকার পথে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের প্রথম অবতরণ স্থান বলে মনে করা হয়।

২০। পর্তুগীজ রান্নায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবারের ডিশ রয়েছে, যার মধ্যে আছে বাকালহাউ (নোনতা কড), গ্রিল করা সার্ডিন, এবং সামুদ্রিক খাবারের ভাত।

২১। পর্তুগাল 1867 সালে যুদ্ধকালীন অপরাধ সহ সমস্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে, এটি এটি করার প্রথম দিকের দেশগুলির মধ্যে একটি করে তোলে।

মুঘল সাম্রাজ্যের একমাত্র নারী শাসক।

 মুঘল সাম্রাজ্যের একমাত্র নারী শাসক।


মুঘল সম্রাজ্ঞী নুর জাহান ছিলেন ভারতের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীদের একজন। 


জন্মের সময় তার নাম দেয়া হয়েছিল মিহরুন নিসা। কিন্ত স্বামী মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পরে তাঁর নাম পাল্টে রেখেছিলেন নুর জাহান (জগতের আলো)। ইংল্যান্ডে রাণী প্রথম এলিজাবেথের জন্মের কয়েক দশক পরে তাঁর জন্ম। কিন্তু রাণী এলিজাবেথের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ এক সাম্রাজ্য শাসন করেছেন নুর জাহান।


ষোড়শ শতকের শুরু হতে পরবর্তী প্রায় তিনশ' বছর ধরে ভারতবর্ষ শাসন করেছে মুঘলরা। তারা ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী রাজবংশ। মুঘল সম্রাট এবং মুঘল রাজ পরিবারের নারীরা ছিলেন শিল্প, সঙ্গীত এবং স্থাপত্যকলার বিরাট সমঝদার। তারা বিশাল সব নগরী, প্রাসাদোপম দূর্গ, মসজিদ এবং সৌধ তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।


কিন্তু পুরো মুঘল রাজবংশের একমাত্র নারী শাসক নুর জাহানকে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে এখনো ছড়িয়ে রয়েছে অনেক লোকগাঁথা।


উত্তর ভারতের আগ্রা এবং উত্তর পাকিস্তানের লাহোর, মুঘল আমলের দুটি বড় নগরী। এই দুই জায়গাতেই নুর জাহান সম্পর্কে শোনা যাবে অনেক কিংবদন্তী।


প্রবীন নারী এবং পুরুষ, ট্যুর গাইড থেকে শুরু করে ইতিহাসে আগ্রহী মানুষ আপনাকে জানাবে কিভাবে জাহাঙ্গীর এবং নুর জাহান পরস্পরের প্রেমে পড়েন। কিভাবে নুর জাহান একটি মানুষ খেকো বাঘকে মেরে রক্ষা করেছিলেন একটি গ্রামের মানুষকে।


যদিও নুর জাহানের প্রেম, তার সাহসিকতার অনেক কাহিনী ছড়িয়ে আছে, মুঘল প্রাসাদের অন্দরমহলে তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা, প্রতিপত্তি এবং আকাঙ্খার সম্পর্কে বিস্তারিত খুব কমই জানা যায়।


নুর জাহান ছিলেন একজন কবি, একজন দক্ষ শিকারি এবং খুবই সৃজনশীল এক স্থপতি। আগ্রায় তার তৈরি করা নকশাতেই নির্মাণ করা হয়েছিল তার বাবা-মার সমাধি সৌধ। পরে এই স্থাপত্য রীতিই নাকি তাজ মহলের স্থাপত্য নকশার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।


মুঘলদের পুরুষ শাসিত জগতে নুর জাহান ছিলেন এক অসাধারণ নারী। কোন রাজকীয় পরিবার থেকে তিনি আসেননি। কিন্তু তারপরও সম্রাটের হারেমে তার উত্থান ঘটে এক দূরদর্শী রাজনীতিক হিসেবে। তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের সবচেয়ে প্রিয়তম স্ত্রীতে পরিণত হন। বিশাল মুঘল সাম্রাজ্য আসলে তিনি এবং সম্রাট জাহাঙ্গীর মিলে একসঙ্গেই শাসন করতেন।


নুর জাহানের জন্ম হয়েছিল ১৫৭৭ সালে কান্দাহারের কাছে (আজকের আফগানিস্তানে)। তার পরিবার ছিল ইরানের এক অভিজাত বংশের। কিন্ত সাফাভিদ রাজবংশের অসহিষ্ণুতার কারণে তাদের সেখান থেকে পালিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যে এসে আশ্রয় নিতে হয়।


পিতা-মাতার জন্ম স্থানের ঐতিহ্য আর মুঘল রীতি-নীতি, এই দুটির আবহে বেড়ে উঠেন তিনি। নুর জাহানের প্রথম বিয়ে হয় এক মুঘল রাজকর্মচারীর সঙ্গে। তার স্বামী ছিলেন এক সেনা কর্মকর্তা। স্বামীর সঙ্গে তিনি পূর্ব ভারতের বাংলায় চলে আসেন। সেখানেই তার একমাত্র ছেলের জন্ম হয়।


তবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে নুর জাহানের স্বামীর চাকুরি যায়। এক লড়াইয়ে নিহত হন নুর জাহানের স্বামী।

বিধবা নুর জাহানকে পাঠানো হয় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের হারেমে। সেখানে নুর জাহান অন্য মুঘল নারীদের আস্থা এবং বিশ্বাসের পাত্র হয়ে উঠেন। ১৬১১ সালে সম্রাজ জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরের বিশতম পত্নী।

সেই সময়ের মুঘল রাজদরবারের রেকর্ডে খুব কম নারীর কথাই উল্লেখ আছে। তবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্মৃতিকথায় ১৬১৪ সালের পর থেকে তার সঙ্গে নুর জাহানের বিশেষ সম্পর্কের উল্লেখ আছে বার পার। তিনি নুর জাহানের এক অনুরাগময় চিত্রই একেঁছেন তাতে। নুর জাহান সেখানে বর্ণিত হয়েছেন একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী, চমৎকার সেবাদাত্রী, বিজ্ঞ পরামর্শদাতা, দক্ষ শিকারি, বিচক্ষণ কূটনীতিক এবং শিল্পবোদ্ধা হিসেবে।

অনেক ইতিহাসবিদের মতে জাহাঙ্গীর ছিলেন এক মদমত্ত সম্রাট, যার সাম্রাজ্য পরিচালনায় কোন মনোযোগ ছিল না। আর সে কারণেই নাকি তিনি এর ভার ছেড়ে দিয়েছিলেন স্ত্রীর হাতে। কিন্তু এটি পুরোপুরি সত্য নয়।

এটি সত্য যে জাহাঙ্গীর পানাসক্ত ছিলেন, তিনি আফিমও গ্রহণ করতেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে তার স্ত্রী নুর জাহানকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। কিন্তু সেটার কারণেই নুর জাহান মুঘল সাম্রাজ্য শাসনের সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাপারটা তা নয়। কার্যত নুর জাহান এবং জাহাঙ্গীর ছিলেন পরস্পরের পরিপূরক। স্ত্রী যে সাম্রাজ্য শাসনে তার পাশে আসন নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে জাহাঙ্গীরের কোন অস্বস্তি ছিল না।

তাদের বিয়ের পরপরই নুর জাহান প্রথম যে রাজকীয় ফরমান জারি করেছিলেন তা ছিল এক রাজকর্মচারীর জমির অধিকার রক্ষায়। সেখানে তিনি স্বাক্ষর করেন নুর জাহান পাদশাহ বেগম নামে, যার অর্থ নুর জাহান, সাম্রাজ্ঞী।

তিনি যে সার্বভৌম এবং তার ক্ষমতা যে বাড়ছে, এটি ছিল তারই ইঙ্গিত।

১৬১৭ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং তাঁর নাম লেখা মূদ্রা স্বর্ণ এবং রৌপ্য ছাড়া হয়। সেসময়ের মুঘল রাজদরবারের লেখক, বিদেশি কূটনীতিক, বণিক এবং পর্যটকরা উপলব্ধি করতে শুরু করেন যে মুঘল সাম্রাজ্য পরিচালনায় তার একটা বিরাট প্রভাব আছে।

একজন রাজকর্মচারী একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন তার লেখায়। নুর জাহান একদিন রাজপ্রাসাদের বারান্দায় দেখা দিয়েছিলেন। এটি এর আগে পর্যন্ত কেবল পুরুষদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল।

শিকারে বের হওয়া থেকে শুরু করে নিজের নামে রাজকীয় মূদ্রা এবং রাজকীয় ফরমান জারি, বড় বড় রাজকীয় ভবনের নকশা তৈরি, দরিদ্র নারীদের কল্যাণে ব্যবস্থা গ্রহণ, এরকম নানা কাজে নুর জাহান তার স্বাক্ষর রেখেছেন। যা ছিল সেকালের নারীদের মধ্যে ব্যতিক্রম।

তার স্বামীকে যখন জিম্মি করা হয়, তখন নুর জাহান তাকে রক্ষায় সেনাবাহিনীর অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন, যা তাকে ইতিহাসের পাতায় আর জনমানস চিরদিনের জন্য স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে।


Apni Janen Ki?-আপনি জানেন কি? 

সূত্র-বিবিসি


মোটাতাজাকরন খাদ্য তালিকা ও কিছু টিপস, কম সময়ে সুন্দর ও সর্বচ্ছ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে নিচের টিপস ফলো করুন, 

 ## মোটাতাজাকরন খাদ্য তালিকা ও কিছু টিপস,

কম সময়ে সুন্দর ও সর্বচ্ছ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে নিচের টিপস ফলো করুন, 

প্রথমে গরুর ওজন নির্ণয় করুন,তাহলে কৃমির ঔষধ ও খাদ্য দিতে সুবিধা হবে,

ওজন মাপার সূত্র-দৈর্ঘ্য*(বুকের বেড়ের) ২ (ইঞ্চি)এবার ৬৬০ দিয়ে ভাগ করুন,তাহলে কেজির হিসাব পেয়ে যাবেন,

ক্ষুরা,তড়কা,বাদলার টিকা প্রয়োগ করুন,

প্রথম অবস্থায় ১০০ কেজির জন্য ১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য প্রয়োগ করুন,গরু যখন অনেকটা মোটাতাজা হয়ে যাবে তখন ১০০ কেজির জন্য ১ কেজি দানাদার খাদ্য প্রয়েগ করবেন,

গরুকে কখনো ভাত বা খুদের জাউ খাওয়ানো উচিত নয়,কারন এতে অনেক গরুর পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে পেট ফুলে যায়,কখনো কখনো এর ফল খুব খারাপ হয়,

১০০ কেজির জন্য প্রতিদিন ৪-৫ কেজি কাঁচাঘাস খাওয়াবেন,যাদের আপদ কালীন সময়ে কাঁচাঘাস থাকেনা তারা সাইলেজ ব্যবহার করতে পারেন,

গরুকে প্রতিদিন গোসল করান, 

গরুকে ইউ এম এস খাওয়ান,শুধু ইউ এম এসের কারনে প্রতি দিন ২৫০ গ্রাম করে মাংস বাড়বে,

ইউ এম এস তৈরীর নিয়মঃ-

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

১০০ কেজি শুকনো খড়,৫০ কেজি পানি,২৫ কেজি চিতাগুড়,৩ কেজি ইউরিয়া সার,

এটি তৈরির ২ ঘন্টা পরেও খাওয়ানো যাবে,৩ দিন পরেও খাওয়ানো যাবে,১০০ কেজির জন্য ১ কেজি ইউ এম এস খাওয়াবেন,ইউ এম এস খাওয়ানোর ১ ঘন্টা আগে ও পরে পানি খাওয়াবেন না,এবং পাত্রে পানি থাকলে ইউ এম এস দিয়ে মিশিয়ে খাওয়াবেন না,

শুধু শুকনো খড় না খাওয়ানোটাই ভাল,এতে পেট ভরলেও তেমন বেশি স্বাস্থ্য বাড়ে না, অনেকে বলবেন শুকনো খড়ে আমাদের গরু মোটা হয়,আসলে আপনার গরু মোটা হয়েছে দানাদার,খৈল ও কাঁচাঘাসের কারনে,শুকনো খড়ে গরু মোটা হলেও তা পরিমানে কম হয়,তাই বেশি লাভবান হতে চাইলে শুকনো খড়কে ইউ এম এস প্রক্রিয়া করে খাওয়ান,

গরুকে ওজন অনুসারে সুসমদানাদার,কাঁচাঘাস, ইউ এম এস বব্যবহার করলে গরুকে কোন ভিটামিন ইনজেকশন, হরমোন ইনজেকশন বা ভিটামিন পাউডার ব্যবহার করার দরকার হয় না,তবে কেউ করতে চাইলে সেটা তার নিজস্ব ব্যপার,

মোটাতাজা গরুর ১০০ কেজি রেশন তৈরীর ফর্মুলা ফলো করুন,কারো কারেকশন থাকলে বলবেন,

গমের ভূষি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৩০ কেজি

ভুট্রা ভাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,২০ কেজি

রাইচ পালিশ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১৫ কেজি

ডাউলের ভূষি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৭কেজি

সরিষার খৈল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১০ কেজি

সয়াবিন খৈল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১০ কেজি

চিতাগুড়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৩ কেজি

ডিসিপি পাউডার,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৩ কেজি

আয়োডিন লবন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,২ কেজি

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

মোট,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১০০ কেজি


শেয়ার করে নিজের টাইম লাইনে রাখুন,

collected


মহাকবি ফেরদৌসীর বিখ্যাত কাব্য 'শাহনামা'র আলোচিত চরিত্র 'রুস্তম' লোককথা থেকে বাস্তবে!

 মহাকবি ফেরদৌসীর বিখ্যাত কাব্য 'শাহনামা'র আলোচিত চরিত্র 'রুস্তম' লোককথা থেকে বাস্তবে!


মহাকবি ফেরদৌসীর বিখ্যাত কাব্য 'শাহনামা'র সবচেয়ে আলোচিত কাহিনী 'সোহরাব-রুস্তম'। রুস্তম ইরানের লোককাহিনীর সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। লোককথায় তিনি আবহমান কিংবদন্তির মহাবীররূপে উপস্থাপিত হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে মানুষের মুখে মুখে বছরের পর বছর সোহরাব রুস্তম গল্পটি চর্চা হয়ে আসছে। এই কাহিনী এতই জনপ্রিয় যে, মানুষ একে সত্য হিসেবে ধরে নিয়েছে যেনো ইতিহাসের কোনো অবিচ্ছেদ্য অংশ। সত্যিকার অর্থে এটি মহাকবি ফেরদৌসীর একটি কাহিনীকাব্য।


জন্মগতভাবেই রুস্তম অনেক ব্যতিক্রমী গুণসম্পন্ন। তার সে গুণগুলোই তাকে আলাদা ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান দিয়েছে লোককথায়। শাহনামায় বিচিত্র সব ঘটনা ঘটিয়ে ব্যতিক্রমী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রুস্তম। কৈশরে সে তার রাজা মেনুচির সাদা হাতিকে হত্যা করেছিল শুধু গজা দিয়ে। নারিমানের ছেলে সাম তার দাদা। আর তার কাছ থেকেই রুস্তম উত্তরাধিকার সূত্রে বীরত্বের অধিকারী। 


পারস্যের লোককাহিনী মতে, রুস্তম বিয়ের পর তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসে। স্ত্রী যখন প্রসব বেদনায় কাতর, তখন যুদ্ধে যেতে হয় রুস্তমকে। রুস্তম যাওয়ার সময় বলে যায় সন্তান হওয়ার খবর যেন তাকে জানানো হয়। কিন্তু তার স্ত্রী কন্যা সন্তান হওয়ার মিথ্যা সংবাদ দেয়। কারণ পুত্র সন্তানের সংবাদ দিলে রুস্তম তাকে নিয়ে যুদ্ধবিদ্যা শেখাবে এবং হয়তো সে যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যাবে। এমন আশঙ্কা করেই স্ত্রী লুকিয়েছিল পুত্র সন্তানের খবর। পরবর্তীতে যুদ্ধের ময়দানে পিতা-পুত্রের যুদ্ধের এর হৃদয়বিদারক দৃশ্যে পিতার হাতে মৃত্যু হয় সন্তানের। এমন ঘটনার কারণেই ঘটে গেছে সোহরাব-রুস্তমের সেই ট্র্যাজেডি।


রুস্তম নায়কোচিত অভিযান চালিয়ে কোহেকাফের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। রুস্তমের আরেকটি বিখ্যাত কৃতিত্ব হচ্ছে পারস্যের অপদেবতা 'অকভান'-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। অকভান দেখতে কিছুটা বন্য গাধার মতো, যে দ্রুত ভোল পাল্টে মানুষের সর্বস্ব লুট করত। এ অপদেবতার অত্যাচারে রাজ্যের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। চিন্তিত হয়ে পড়েন রাজা। শেষে এর প্রতিকারের ভার মহাবীর রুস্তমকে দেওয়া হয়। রুস্তম তাকে হত্যা করে প্রজাদের বিপদমুক্ত করেন। এ ছাড়া রুস্তম ড্রাগনের সঙ্গেও যুদ্ধ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। এসব গল্প লোককাহিনী হলেও মানুষের কাছে এর আবেদন চিরন্তন। 


ছবি: ইরানের খোরাসান প্রদেশের Mashhad city তে মহাবীর রুস্তম এবং তার ঘোড়া Rakhsh.


তথ্যসূত্র:

ক। ফেরদৌসীর শাহনামে রোস্তম ও সোহরাবের গল্পে ট্র্যাজেডি, ইব্রাহিমি, মোখতার ও তাহেরি, আবদুল্লাহ।  । ইতিহাস সংস্কৃতি ও শিল্প গবেষণা জার্নাল

খ। উইকিপিডিয়া। 

গ। মহাবীর রুস্তম, রাজেশ পাল।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বহুমুখী প্রতিভার নিরিখে পিকাসোর সঙ্গে তাঁর তুলনা করেছিলেন বিষ্ণু দে।

 বহুমুখী প্রতিভার নিরিখে পিকাসোর সঙ্গে তাঁর তুলনা করেছিলেন বিষ্ণু দে। তিনিই একসময়ে শ্যামবাজারে কাপড়ের দোকানে কাজ করেছেন, শাড়ি কেনাবেচা করতে গিয়ে বুঝে গিয়েছিলেন নানা পেশার মানুষের রঙের পছন্দ-অপছন্দ! গতানুগতিক শিল্পী হতে কোনওদিন মন সায় দেয়নি। অনেকবার  বিদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ পেয়েও দেশের বাইরে যাননি। তিনি বিরলগোত্রের সেই চিত্রশিল্পী যাঁর আঁকা ছবি মধ্যবিত্ত বাঙালির বাড়িতে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তিনি যামিনী রায়।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


খুব ভাল প্রতিকৃতি আঁকতে পারতেন যামিনী রায়,যথেষ্ট ভাল রোজগার হত। কিন্তু গতানুগতিক শিল্পী তিনি হতে চাননি। গ্ৰামের পটুয়া ও মৃৎশিল্পীদের মূর্তি দেখে তাঁর মনে শিল্পী হওয়ার বাসনা জাগে। সেসব দেখে তাঁর বাবা তাঁকে পাঠালেন কলকাতার মামার বাড়িতে। ষোলো বছর বয়সে যামিনী রায় ভর্তি হলেন গভর্নমেন্ট স্কুল অফ আর্টসে। পাশ্চাত্য রীতির ছবি আঁকেন যামিনী, তাঁর দক্ষতায় খুব খুশি অধ্যক্ষ পার্শি ব্রাউন। কিন্তু ছাত্র যামিনী বড় অনিয়মিত। সাহেব প্রিন্সিপাল একদিন ক্লাসে এসে দেখেন, যামিনী ক্লাস না করে জানালার খড়খড়ি তুলে চৌরঙ্গির বহমান জীবন দেখছেন। এ ভাবে সময় নষ্ট করছ! অকুণ্ঠ তরুণ বলেন, ক্লাসে প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকতে হবে, কিন্তু বাইরের দৃশ্য তো বিরাট বিশাল, তাই তাকে এই খড়খড়ির ফ্রেমে আটকে দেখছি!


আর্ট স্কুলের গিলার্ডি সাহেবের কাছে যামিনী শিখে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্য রীতির অঙ্কন - পদ্ধতি ও তেল রং-এ আঁকা। কিন্তু অচিরেই জল রংয়ের নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ছবি আঁকতে লাগেন। এক সময়ে ফরাসি কার্ভপন্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। তবে ৩৪ বছর বয়সে সেই যে নিজস্ব পদ্ধতি অবলম্বন করলেন বাকি জীবনটা সেই পদ্ধতিতে এঁকে যান। সমতল কাগজ ছেড়ে অসমতলের বুননের ক্যানভাসে ছবি আঁকা শুরু করেন। অতঃপর পল্লিমানব চিত্রিত হতে লাগল মহাপুরষের সমমর্যাদায়।


© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


 যামিনী রায়ের জন্ম বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় গ্ৰামে। যামিনী যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের বংশধর।পিতা রামতারণ,মা জননী নগেন্দ্রবালা। পিতার মধ্যেও ছবি আঁকার প্রবণতা ছিল। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত যামিনীর জীবনে প্রবল অনটন। আর্ট কলেজে পড়ার সময় থেকেই কলকাতার অনেক জায়গায় কাজের ব্যাপারে ঘুরেছেন। উত্তর কলকাতাতেই পনেরো বার বাড়ি পালটাতে হয়েছে। শিল্পের সাধনে যামিনী ছিলেন অনন্ত উৎসাহী এক ছাত্র। যখন খুব নাম হয়েছে, তখনও বলতেন, কাকে কী শেখাবেন! নিজেই এখনও শেখার জন্য অস্থির হয়ে আছেন। 


একসময়ে আবার করে দেখলেন পটের ছবি। সেই ঐতিহ্য আপনার শিল্পের মাধুরী মিশিয়ে গড়ে তুললেন নিজস্ব স্টাইল । ১৯৩৭ এর প্রর্দশনী যামিনী রায় কে রসিক মহলের সামনে এনে দেয়। সুহৃদ পেলেন বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ দত্তদের । বিষ্ণু দে তাঁকে তুলনা করেন পাবলো পিকাসোর সঙ্গে। বিষ্ণু দে’র ভাষায়, ‘ধূসর তিনি আনেন নদীর পলিমাটি থেকে, সিঁদুর-রঙ পান মেয়েদের পুণ্যাচারের সিঁদুর থেকে, নীল তো চাষের নীল, আর শাদা হচ্ছে সাধারণ খড়ির রঙ এবং কালো তিনি মেশান সুলভ ভুষো থেকে।’ তিনি ছবি আঁকেন খবরকাগজে, চটে চাটাইয়ে, ছেঁড়া কাপড়ে, তালপাতা-নারকেলপাতায়, এক ছবি মুছে দিয়ে তার উপরেই আঁকেন অন্য ছবি। আবার তাঁর অসামান্য কীর্তি রামায়ণ সিরিজ আঁকেন উত্তর কলকাতার ‘রসগোল্লা ভবন’-এর লম্বা হলঘরে বসে।


বাগবাজারের বাড়িতে অন্তরঙ্গ জনেরা পড়সি, কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় ‘রবীন্দ্রনাথের ছবি’ নামে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলেন যামিনী রায়। রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বিস্তর সমালোচনার আবহে প্রকাশিত সেই প্রবন্ধ পড়ে আনন্দিত কবি চিঠি লিখেছিলেন শিল্পীকে, ‘তোমাদের মতো গুণীর সাক্ষ্য আমার পক্ষে পরম আশ্বাসের বিষয়।’ কলকাতার এগজিবিশনে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছেন, জিভে প্যারালিসিস, কথা বলতে পারেন না। যামিনী রায় দেখলেন, তাঁর আঁকা ছবি দেখে গগনেন্দ্রনাথের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।


 যামিনী রায় বিশ্বে পরিচিত হয়েছেন এক্ষেত্রে ' বি নিকলস এর 'ভার্ডিকট অন ইন্ডিয়া ' বইয়ের বড় ভূমিকা।

  তাঁর অসংখ্য ছবি সারা পৃথিবীর রসিকদের সংগ্ৰহে। সরল মানুষ,সরল জীবনযাপন। সাঁওতাল রমণী,বাংলার বধূ, মায়ের কোলে শিশু ছাড়াও যিশু -পশুপাখি চিত্রশালা যামিনী রায়ের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। তাঁর ছবিতে বাঙালি জীবনে প্রাণস্পন্দন,গ্ৰাম উঠে এসেছে জীবন্ত হয়ে। যামিনীর শিল্পকর্ম দেখতে স্বয়ং গাঁধীজির আগ্রহ সত্ত্বেও দেখাতে যাননি যামিনী রায়। বলেছিলেন "গাঁধীজি যদি ছবিই দেখতে চান, আমার স্টুডিওতে আসবেন। এটুকু সম্মান কি শিল্পী হিসেবে আশা করা যায় না"?

 ভারত সরকার শিল্পী যামিনী রায় কে পদ্মভূষণ সম্মান দেয। ললিত কলা অ্যাকাডেমি 'ফেলো' নির্বাচিত করে। তিনি কী সত্যিই যশ,খ্যাতি অর্থ চেয়েছিলেন!  না, চাননি তো এ সব। তিনি নিজের কাজটাই করে গিয়েছেন হৃদয় দিয়ে আবেগে, আবেশে। থেকেছেন কখনও একাকী, প্রকাশ্যে, অন্তরালেও। 


পটুয়াদের চিত্রকলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজস্ব চিত্রশৈলী গড়ে তোলেন। গত শতকের চল্লিশের দশকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে যামিনী রায়ের নাম পৌঁছে যায় ইউরোপীয় মানুষজনের ঘরে ঘরে। লন্ডন-নিউ ইয়র্কের শিল্পরসিকদের মুখে মুখে চর্চিত হতে থাকেন তিনি।  ১৯৭২-এ আজকের দিনে প্রয়াণ ঘটে শিল্পীর।তাঁকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

সংকলনে ✍🏻 অরুণাভ সেন।।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


#JaminiRoy

#Painter

#DeathAnniversary 

#ModernArt

#dhrubotaraderkhonje 

#legendary 


পুস্তক ঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার,সেরা বাঙালি শতক বারিদবরণ ঘোষ ও আনন্দবাজার পত্রিকায় শিশির রায়ের নিবন্ধ

মার্ক জাকারবার্গের ফেইসবুক পোস্ট

 I just shared Meta's quarterly earnings and it's been an exciting start to the year. The new version of Meta AI brings us another step closer to building the world's leading AI. We improved our glasses by adding video calling and AI that can see what's going on around you. And we launched Meta Horizon OS to expand the virtual and mixed reality ecosystem.


Here's the transcript of what I said:


It's been a good start to the year -- both in terms of product momentum and business performance. We estimate that more than 3.2 billion people use at least one of our apps each day, and we're seeing healthy growth in the US. I want to call out WhatsApp specifically, where the number of daily actives and message sends in the US keeps gaining momentum and I think we're on a good path there. We've also made good progress on our AI and metaverse efforts, and that's where I'm going to focus most of my comments today.

 

So let's start with AI. We're building a number of different AI services, from Meta AI, our AI assistant that you can ask any question across our apps and glasses, to creator AIs that help creators engage their communities and that fans can interact with, to business AIs that we think every business eventually on our platform will use to help customers buy things and get customer support, to internal coding and development AIs, to hardware like glasses for people to interact with AIs, and a lot more.

 

Last week we had the major release of our new version of Meta AI that is now powered by our latest model, Llama 3. And our goal with Meta AI is to build the world's leading AI service both in quality and usage.

 

The initial rollout of Meta AI is going well. Tens of millions of people have already tried it. The feedback is very positive and, when I first checked in with our teams, the majority of feedback we were getting was people asking us to release Meta AI for them wherever they are. We've started launching Meta AI in some English-speaking countries, and we'll roll out in more languages and countries over the coming months.

 

You all know our product development playbook by this point. We release an early version of a product to a limited audience to gather feedback and start improving it, and then once we think it's ready then we make it available to more people. That early release was last fall and with this release we're now moving to that next growth phase of our playbook. We believe that Meta AI with Llama 3 is now the most intelligent AI assistant that you can freely use. And now that we have the superior quality product, we're making it easier for lots of people to use it within WhatsApp, Messenger, Instagram, and Facebook.

 

Now in addition to answering more complex queries, a few other notable and unique features from this release: Meta AI now now creates animations from still images, and now generates high quality images so fast that it can create and update them as you're typing which is pretty awesome. I've seen a lot of people commenting about that experience online and how they've never seen or experienced anything like it before.

 

In terms of the core AI model and intelligence thats powering Meta AI, I'm very pleased with how Llama 3 has come together so far. The 8B and 70B parameter models that we released are best-in-class for their scale. The 400+B parameter model that we're still training seems on track to be industry-leading on several benchmarks. And I expect that our models are just going to improve further from open source contributions.

 

Overall, I view the results our teams have achieved here as another key milestone in showing that we have the talent, data, and ability to scale infrastructure to build the world's leading AI models and services. And this leads me to believe that we should invest significantly more over the coming years to build even more advanced models and the largest scale AI services in the world. As we're scaling capex and energy expenses for AI, we'll continue focusing on operating the rest of our company efficiently.But realistically, even with shifting many of our existing resources to focus on AI, we'll still grow our investment envelope meaningfully before we make much revenue from some of these new products. 

 

I think it's worth calling out that we've historically seen a lot of volatility in our stock during this phase of our product playbook -- where we're investing in scaling a new product but aren't yet monetizing it. We saw this with Reels, Stories, as News Feed transitioned to mobile and more. And I also expect to see a multi-year investment cycle before we've fully scaled Meta AI, business AIs, and more into the profitable services I expect as well. Historically, investing to build these new scaled experiences in our apps has been a very good long term investment for us and for investors who have stuck with us. And the initial signs are quite positive here too. But building the leading AI will also be a larger undertaking than the other experiences we've added to our apps, and this is likely going to take several years.

 

On the upside, once our new AI services reach scale, we have a strong track record of monetizing them effectively. There are several ways to build a massive business here, including scaling business messaging, introducing ads or paid content into AI interactions, and enabling people to pay to use bigger AI models and access more compute. And on top of those, AI is already helping us improve app engagement which naturally leads to seeing more ads, and improving ads directly to deliver more value. So if the technology and products evolve in the way that we hope, each of those will unlock massive amounts of value for people, and business for us over time.

 

We're seeing good progress on some of these efforts already. Right now, about 30% of the posts on Facebook feed are delivered by our AI recommendation system. That's up 2x over the last couple of years. And for the first time ever, more than 50% of the content people see on Instagram is now AI recommended. AI has also been a huge part of how we create value for advertisers by showing people more relevant ads, and if you look at our two end-to-end AI-powered tools, Advantage+ Shopping and Advantage+ App Campaigns, revenue flowing through those has more than doubled since last year.

 

We're also going to continue to be very focused on efficiency as we scale Meta AI and other AI services. Some of this will come from improving how we train and run models. Some improvements will come from the open source community -- where improving cost efficiency is one of the main areas I expect that open sourcing will help us improve, similar to what we saw with Open Compute. We'll also keep making progress on building more of our own silicon. Our Meta Training and Inference Accelerator chip has successfully enabled us to run some of our recommendations-related workloads on this less expensive stack, and as this program matures over the coming years we plan to expand this to more of our workloads as well. And of course as we ramp these investments, we will also continue to carefully manage headcount and other expense growth throughout the company.

 

Now in addition to our work on AI, our other long term focus is the metaverse. It's been interesting to see how these two themes have come together.

 

This is clearest when you look at glasses. You know, I used to think that AR glasses wouldn't really be a mainstream product until we had full holographic displays -- and I still think that's going to be awesome and the long term mature state of the product. But now it seems pretty clear that there's also a meaningful market for fashionable AI glasses without a display. Glasses are the ideal device for an AI assistant because you can let them see what you see and hear what you hear, so they can have full context on what's going on around you as they help you with whatever you're trying to do. Our launch this week of Meta AI with Vision on the glasses is a good example where you can now ask questions about things you're looking at.

 

Now, one strategy dynamic that I've been reflecting on is that an increasing amount of our Reality Labs work is going towards serving our AI efforts. We currently report on our financials as if Family of Apps and Reality Labs were two completely separate businesses, but strategically I think of them as fundamentally the same business with the vision of Reality Labs to build the next generation of computing platforms in large part so that way we can build the best apps and experiences on top of them. Over time, we'll need to find better ways to articulate the value that's generated here across both segments so it doesn't just seem like our hardware costs increase as our glasses ecosystem scales while all the value flows to a different segment.

 

The Ray-Ban Meta glasses we built with Essilor Luxottica continue to do well and are sold out in many styles and colors, so we're working to make more and release additional styles as quickly as we can. We just released the new cat-eye Skyler design yesterday, which is more feminine, and in general, I'm optimistic about our approach of starting with classics and expanding with an increasing diversity of options over time. If we want everyone to use wearable AI, I think eyewear is a bit different from phones or watches in that people are going to want very different designs. So I think our approach of partnering with the leading eyewear brands will help us serve more of the market.

 

I think a similar open ecosystem approach will help expand the virtual and mixed reality headset market over time as well. We announced that we're opening up Meta Horizon OS, the operating system we've built to power Quest. As the ecosystem grows, I think there will be sufficient diversity in how people use mixed reality that there will be demand for more designs than we'll be able to build. For example, a work-focused headset may be slightly less designed for motion but may want to be lighter by connecting to your laptop. A fitness-focused headset may be lighter with sweat-wicking materials. An entertainment-focused headset may prioritize the highest-resolution displays over everything else. A gaming-focused headset may prioritize peripherals and haptics, or a device that comes with Xbox controllers and a Game Pass subscription out of the box. 

 

Now, to be clear, I think that our first-party Quest devices will continue to be the most popular headsets as we see today, and we'll continue focusing on advancing the state-of-the-art tech and making it accessible to everyone. But I also think that opening our operating system will help grow the ecosystem even faster.

 

In addition to AI and the metaverse, we're seeing good improvements across our apps. I touched on some of the most important trends with WhatsApp growth in the US and AI-powered recommendations in our feeds already, but I wanted to mention that video continues to be a bright spot. This month we launched an updated full-screen video player on Facebook that brings together Reels, longer videos, and live content into a single experience with a unified recommendation system. On Instagram, Reels and video continue to drive engagement, with Reels alone now making up 50% of time spent within the app.

 

Threads is growing well too. There are now more than 150M monthly actives, and it continues to generally be on the trajectory I hoped to see. And of course my daughters would want me to mention that Taylor Swift is now on Threads -- that one was a big deal in my house.

 

Okay, that's what I wanted to cover today. I'm proud of the progress we've made so far this year, we've got a lot more execution ahead to fulfill the opportunities ahead of us. A big thank you to all of our teams driving all these advances, and to all of you for being on this journey with us.

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

গরম যখন চরমে

 হযরত মুসা (আ.) এর আমলে দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি বন্ধ ছিলো। তাঁর উম্মতরা তাঁর কাছে এসে বললো "হে নবী, আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন, এই বৃষ্টিহীন গরম আর সহ্য হয় না"।


হযরত মুসা (আ.) সবাইকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করতে শুরু করলেন।


দোয়া করার সাথে সাথে রোদের তীব্রতা আরো বেড়ে গেলো।


হযরত মুসা (আ.) অবাক হলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-


আল্লাহ, বৃষ্টির জন্য দোয়া করলাম, তুমি রোদের তেজ বাড়াইয়া দিলা।


আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব আসলো-


- এই জমায়েতে এমন এক ব্যক্তি আছে, যে চল্লিশ বছর যাবত আমার নাফরমানী, আমার বিরোধীতা করছে, একটি দিনের জন্যও আমার বাধ্য হয়নি। তাঁর কারনেই বৃষ্টি আসা বন্ধ আছে।


হযরত মুসা (আ.) জমায়েতের দিকে তাকিয়ে, সেই অচেনা, অজানা লোকটিকে বের হয়ে যেতে বললেন।


সেই লোকটি ভাবলো, এখন যদি বের হয়ে যাই, তবে সবার সামনে পাপী হিসেবে লজ্জা পাবো। আর যদি থাকি, তবে বৃষ্টি আসা বন্ধ থাকবে।


নিজের ইজ্জত বাঁচানোর স্বার্থে সে আল্লাহর কাছে দোয়া করলো "আল্লাহ, চল্লিশ বছর আমার পাপ গোপন রেখেছেন, আজকে সবার সামনে বেইজ্জতি করবেন না। ক্ষমা চাচ্ছি"।


একদিকে দোয়া শেষ হলো, অন্যদিকে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো।


হযরত মুসা (আ.) আবারো অবাক হয়ে জিজ্জাসা করলেন-

আল্লাহ, কেউ তো জমায়েত থেকে বের হলো না, তবে বৃষ্টি দিয়ে দিলা যে?


আল্লাহ জবাব দিলেন-

- যার কারণে বৃষ্টি আসা বন্ধ ছিলো, তাঁর কারনেই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি।


চল্লিশ বছরের পাপ, দশ সেকেন্ডে ক্ষমা...


হযরত মুসা (আ.) জিজ্জাসা করলেন-

- লোকটির নাম পরিচয় তো কিছুই জানালেন না।


আল্লাহ বললেন-

- যখন পাপে ডুবে ছিলো, তখনই জানাই নাই, এখন তওবা করেছে, এখন জানাবো? পাপীদের পাপ আমি যথাসম্ভব গোপন রাখি, এটা আমার সাথে আমার বান্দার নিজস্ব ব্যাপার।


অথচ আমরা নিজেরা পাপী হয়েও প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে কারো না কারো নামে বদনাম / গীবত করতেই থাকি। 


আল্লাহ আমাদের সকলের ছোট-বড় সকল পাপ মাফ করে দিন!

আমিন।

সংগৃহিত


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...