এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

হাসন রাজাঃ বাংলাদেশের  বিখ্যাত এক মরমী কবি

 হাসন রাজাঃ

বাংলাদেশের  বিখ্যাত এক মরমী কবি

-----------------------------------------------------

লোকে বলে বলেরে

ঘর বাড়ি ভালো না আমার

কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার...

বিখ্যাত এই  মরমী গানের  কবি ও সাধক হাসন রাজা। হাসন রাজা  ১২৬১ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ ও ১৮৫৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। উনার প্রকৃত নাম ছিল দেওয়ান হাসন রজা চৌধুরী। 


তাঁর পিতার নাম দেওয়ান আলী রজা চৌধুরী। হাসন রাজার পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয়ই ছিল অযোধ্যাবাসী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হাসন রাজারা পরে  ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাঁরা সুনামগঞ্জ আসেন এবং সেখানেই জমিদারি পত্তন করে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন।


হাসন রাজার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। মাত্র পনেরো বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে সংসার ও জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত হয়। যৌবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৌখিন ও ভোগবিলাসী, কিন্তু পরিণত বয়সে সব বিষয়-সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে দরবেশ জীবন যাপন করেন।


 তাঁরই উদ্যোগে সুনামগঞ্জ হাসন এম ই স্কুল, অনেক ধর্ম-প্রতিষ্ঠান ও  আখড়া স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী ছাত্রের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও তিনি করতেন।


প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও হাসন রাজা ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি সহজ-সরল সুরে আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় এক হাজার আধ্যাত্মিক গান রচনা করে সুর দিয়ে নিজ আখড়ায় পরবেশন করতেন। 


স্থানীয় বাউল-ফকিরেরা পর্যায়ক্রমে  সেসব গান গেয়ে হাসন রাজাকে আরও বেশি  পরিচিত করে তোলে। হাসন রাজা ছিলেন একজন ঐশীপ্রেমী এবং সেই প্রেমে মাতোয়ারা হয়েই তিনি সকল  গান রচনা কতেন।


 তাঁর গানে প্রেম ও বৈরাগ্যময় আধ্যাত্মিক চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। তাঁর গানগুলি যেন হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের একটি মিলন ক্ষেত্র। তাই সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষজন তার গানের প্রতি গভীর আগ্রহী। 


তিনি গানের ভণিতায় নিজেকে ‘পাগলা হাসন রাজা’, ‘উদাসী’, ‘দেওয়ানা’,  ‘বাউলা’ ইত্যাদি বলে অভিহিত করেছেন। এক সময়ে তিনি কৈশোর ও যৌবনে শ্রীকৃষ্ণের নানাবিধ লীলায় অভিনয়ও করেছেন।


হাসন রাজার মুখ্য পরিচয় একজন মরমি কবি হিসেবে। তাঁর সম্পর্কে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার ভারতীয় দর্শন কংগ্রেসের অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে বলেছিলেন: ‘পূর্ববঙ্গের একজন গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধসূত্রেই বিশ্ব সত্য।


বর্তমানে হাসন রাজার যাবতীয় গানের সংগ্রহ গুলো  হাছন উদাস (১৯০৭), শৌখিন বাহার, হাছন বাহার ইত্যাদি গ্রন্থে তাঁর গানগুলি পর্যায়ক্রমে  সংকলিত হয়েছে।


 ১৯২২ সালের ৬ই ডিসেম্বর মরমী কবি গীতিকার ও সুরকার হাসন রাজা ইহকাল ত্যাগ করে পরপারে চলে যান। 


এই মহান মানুষটিকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

(Alim Al Rashid)

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...