এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

হয় যদি বদনাম হোক আরো  আমি তো এখন আর নই কারো -  স্মরণ-            চির সবুজ অভিনেতা                 জাফর ইকবাল

 হয় যদি বদনাম হোক আরো 

আমি তো এখন আর নই কারো -


 স্মরণ-


           চির সবুজ অভিনেতা 

               জাফর ইকবাল

----------------------------------------------------

অভিনেতা জাফর ইকবাল ১৯৭০ সালে কবরীর নায়ক হয়ে চিত্র সম্পাদক ও পরিচালক বশীর হোসেনের 'আপনপর' ছায়াছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন।


ছিলেন আশির দশকের বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি একাধারে একজন সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা।


জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সালে ঢাকায়। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও ছোট বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ সঙ্গীতশিল্পী।


জাফর ইকবাল ১৯৬৬ সালে প্রথম একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন। তাঁর কণ্ঠে 'হয় যদি বদনাম হোক আরো' গানটি একসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।


জাফর ইকবাল বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সরাসরি অংশগ্রহন করেন।


সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। তিনি আবদুস সামাদের চিত্রগ্রহন ও পরিচালনায় ‘সূর্যগ্রহন’ ও এর সিকুয়াল ‘সূর্যসংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে অভিনয় করেন।


১৯৭৫ সালে ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় তাঁকে সে প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।


স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের রাগী, রোমান্টিক, জীবন-যন্ত্রণায় পীড়িত কিংবা হতাশা থেকে বিপথগামী তরুণের চরিত্রে তিনি ছিলেন পরিচালকদের অন্যতম পছন্দ।


সামাজিক প্রেমকাহিনী ‘মাস্তানে’র নায়ক জাফর ইকবাল রোমান্টিক নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। ‘নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে এক গ্রামীন তরুণের চরিত্রেও দর্শক তাঁকে গ্রহণ করে।


জাফর ইকবাল একশোরও কম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যার বেশিরভাগই ছিল ব্যবসা সফল। 


১৯৮৯ সালে জাফর ইকবাল অভিনীত ত্রিভূজ প্রেমের ছবি ‘অবুঝ হৃদয়’ দারুণ ব্যবসা সফল হয়। এ ছবিতে চম্পা ও ববিতার বিপরীতে তাঁর অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।


ববিতার সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল দর্শক নন্দিত। এই জুটির বাস্তব জীবনে প্রেম চলেছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় হতাশ হয়েই জাফর ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জোর গুঞ্জন উঠেছিল।


ববিতার বিপরীতে আনুমানিক পনেরটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।


জাফর ইকবাল অভিনীত এক মুঠো ভাত, ভাই বন্ধু, অবদান, সাধারণ মেয়ে, একই অঙ্গে এত রূপ, ফকির মজনুশাহ, দিনের পর দিন, বেদ্বীন, অংশীদার, মেঘবিজলী বাদল, সাত রাজার ধন, আশীর্বাদ, অপমান, নয়নের আলো, গৃহলক্ষ্মী, ওগো বিদেশিনী, প্রতিরোধ, সিআইডি, মর্যাদা, সন্ধি প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়। 


সোনিয়া-জাফর ইকবাল দম্পতির দুই সন্তান।


পারিবারিক অশান্তির কারনে জাফর ইকবাল মানসিক ভাবে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েন। 


অতিরিক্ত সুরাপান ও অনিয়ম জীবন যাপনের ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ফলে নষ্ট হয়ে যায় তাঁর হার্ট এবং কিডনি। 


১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


-- মেসবা খান

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...