এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

স্ক্যাবিস (Scabies)  এক ধরনের চর্মরোগ

 ****  স্ক্যাবিস (Scabies)  এক ধরনের চর্মরোগ। এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের কারণে হয়ে থাকে এবং তীব্র চুলকানি ও ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে।


**** স্ক্যাবিসের কারণ:


1. পরজীবী মাইট – Sarcoptes scabiei ত্বকের নিচে ঢুকে ডিম পাড়ে, যা ত্বকের প্রতিক্রিয়ার ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি তৈরি করে।


2. সংক্রমণ – সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে, একসঙ্গে ঘুমালে, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে অথবা পোশাক, বিছানার চাদর ও তোয়ালের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।


**** লক্ষণ:

- প্রচণ্ড চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বেশি হয়।

- লালচে ফুসকুড়ি বা গুটি (বুদবুদ বা ক্ষত হতে পারে)।

- আঙুলের ফাঁকে, কবজি, কনুই, বগল, কোমর, নাভির চারপাশ, যৌনাঙ্গ, বুক ও নিতম্বে বেশি দেখা যায়।

- শিশুদের ক্ষেত্রে তালু ও পায়ের পাতায় হতে পারে।

- দীর্ঘমেয়াদী হলে চামড়া মোটা ও খসখসে হতে পারে।


**** প্রতিকার ও চিকিৎসা:


✅ ঔষধ ও মলম:


1. Permethrin 5% ক্রিম – আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৮-১০ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।


2. Ivermectin ট্যাবলেট – গুরুতর ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়।


3. Sulfur ointment – কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য।


4. Antihistamines (যেমন Cetirizine, Loratadine) – চুলকানি কমানোর জন্য।


✅ বাড়িতে করণীয়:


ব্যবহৃত বিছানার চাদর, জামাকাপড়, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।


পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা নিতে হবে, কারণ স্ক্যাবিস সহজেই ছড়ায়।


নখ ছোট করে কাটতে হবে যাতে চুলকানোর সময় জীবাণু সংক্রমণ না হয়।


আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিশেষভাবে পরিষ্কার রাখা জরুরি।


**** সতর্কতা:


নিজে ওষুধ ব্যবহার না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।


চিকিৎসা শুরু করলে চুলকানি কমতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।


অপরিষ্কার বা ভিড়যুক্ত জায়গায় সাবধান থাকতে হবে, কারণ এটি খুব দ্রুত ছড়ায়।

কিছু মানুষ আছেন যারা সচেতনভাবেই তাদের ফোনটি সাইলেন্ট মুডে রাখেন

 বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে ফোনের রিংটোন ও নোটিফিকেশন এক মুহূর্তের জন্যও থামে না, সেখানে কিছু মানুষ আছেন যারা সচেতনভাবেই তাদের ফোনটি সাইলেন্ট মুডে রাখেন— এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কলের অপেক্ষায় থাকলেও। এই অভ্যাস শুধু কাকতালীয় নয়, বরং এটি তাদের জীবনধারার একটি সচেতন সিদ্ধান্ত।


এ ধরনের ব্যক্তিদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, যা তাদের কর্মপদ্ধতি, ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং মানসিক প্রশান্তির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সর্বদা ফোন সাইলেন্টে রাখা ব্যক্তিদের ৮টি আকর্ষণীয় অভ্যাস—

১. তারা নিজেদের সময় ও মনোযোগের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখেন।


ফোনের প্রতিটি নোটিফিকেশন বা রিংটোনের ওপর নির্ভরশীল না থেকে, তারা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মেসেজ ও কল চেক করেন। এটি তাদের কাজের প্রতি মনোযোগী করে তোলে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাঘাত এড়াতে সাহায্য করে।


২. গুরুত্বপূর্ণ কলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখেন।


সাইলেন্ট ফোন মানে দায়িত্বহীনতা নয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ কল মিস না করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখেন, যেমন— বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কলের আগে মেসেজ করতে বলা, নির্দিষ্ট সময়ে কল চেক করা, বা ক্যালেন্ডারে রিমাইন্ডার সেট করা।


৩. এলোমেলো নোটিফিকেশনের ওপর নির্ভরশীল নন।


তারা টু-ডু লিস্ট বা ডিজিটাল ক্যালেন্ডারের সাহায্যে কাজের তালিকা তৈরি করেন, যাতে রিংটোন বা নোটিফিকেশন ছাড়াই কাজের ধারা অব্যাহত থাকে। এটি তাদের সংগঠিত ও স্বনির্ভর হতে সহায়তা করে।


৪. বাস্তব জীবনের মুহূর্তে গভীরভাবে উপস্থিত থাকেন। 


যেহেতু তাদের ফোনের স্ক্রিন ক্রমাগত জ্বলজ্বল করে না, তাই তারা সামনাসামনি কথোপকথনে গভীর মনোযোগ দিতে পারেন। এটি তাদের সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।


৫. তারা সুস্পষ্টভাবে সীমারেখা নির্ধারণ করেন।


সাইলেন্ট মুডে ফোন রাখার কারণে কেউ ভুল বোঝাবুঝির শিকার না হয়, সে জন্য তারা আগেভাগেই পরিচিতদের জানিয়ে দেন— “আমার ফোন সাধারণত সাইলেন্টে থাকে, তাই মেসেজ করুন”। এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা তৈরি করে।


৬. তারা "ফিয়ার অব মিসিং আউট" (FOMO) থেকে মুক্ত। 


অনেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস হওয়ার ভয়ে ফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল থাকেন, কিন্তু সাইলেন্ট মুড অনুসরণকারীরা বুঝতে পারেন যে সত্যিই জরুরি কিছু হলে মানুষ অন্য উপায়েও যোগাযোগ করবে। ফলে তারা অযথা উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।


৭. তারা প্রতিদিন ছোট ছোট বিরতি নিয়ে ডিজিটাল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।


সব সময় ফোন বাজছে না বলে তারা নির্বিচারে ডিজিটাল বিশ্বে ডুবে থাকেন না। তারা বই পড়া, কাজ করা বা অবসর উপভোগ করার সময় সম্পূর্ণভাবে সেটিতে মনোযোগ দিতে পারেন।


৮. তারা নির্দিষ্ট সময়ে গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করেন। 


সাইলেন্ট ফোন মানে যোগাযোগ এড়ানো নয়। বরং তারা নির্দিষ্ট সময়ে ফোন চেক করে আরও মনোযোগী হয়ে উত্তর দেন, যা কথোপকথনকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলে।

_________________

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর  গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়। 

 মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর  গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়। 


ঐ সময় জ্বরের কারণ হিসেবে underlying Infection চিন্তা করে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেলাইয়ের জায়গার একটা অংশ কিছুটা আদ্র থাকায় সেখানে ইনফেকশন চিন্তা  করা হয়। প্রথমে এম্পেরিয়াল এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয় কিন্তু রোগীর তেমন উন্নতি নেই। বরং শরীরের গলার নিচে-বুকে-পিঠে বিভিন্ন জায়গায় Rash দেখা। গাইনোকলজিস্ট Antibiotic এর Drug Reaction চিন্তা করে Antibiotic বন্ধ করেন। 


পরবর্তীতে আদ্র জায়গা থেকে Swab নিয়ে কালচারের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু কালচারে কোন গ্রোথ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েক দফায়  এন্টাবায়োটিক পরিবর্তন করা হয়। এর পাশাপাশি ব্লাড কালচার করা হয় সেখানেও কোনো গ্রোথ পাওয়া যায় নি। এছাড়া জ্বরের কারণ খোঁজার জন্য টিবি সহ সম্ভাব্য অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।


যেহেতু ডেঙ্গু সিজন চলছে ডেঙ্গু টেস্টও করা হয়েছিল ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ, Platelet count নরমাল। 


এর মধ্যে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কল দেয়া হয় মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার এসেও কোনো ক্লোজ খুঁজে পাচ্ছেন না। 

এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করা হল কিন্তু উন্নতি নেই। 


এর মধ্যে রোগীর CBC পরীক্ষায় দেখা যায় যে wbc কাউন্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে। জন্ডিস দেখা দিয়েছে, বিলিরুবিন বেশি। এলবুমিন ও কমে যাচ্ছে। 


Procalcitonin level, HBsAg, Anti HCV সহ অনেক টেস্ট করা হয়েছিল সব নরমাল। এদিকে Albumin দিয়েও Albumin লেভেল নরমালে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাই করেও রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে না

কিন্তু কেন এমন হলো তার কোন ব্যাখ্যা ও দিতে পারছেন না ডাক্তাররা। 


সবশেষে উনারা বলেন যে, Septicemia থেকে Multiorgan failure এর দিকে যাচ্ছে পেশেন্ট। 


ঐ মুহূর্তে ডা. খাইরুল ভাইয়ার ডাক পড়ে। ভাইয়া ওয়ার্ডে গিয়ে পেশেন্ট কে দেখেন। একেবারে শুরু থেকে হিস্ট্রি নেন এবং প্রশ্ন করে পাওয়া একটা ক্লু থেকে ডায়াগনোসিস করেন। সেই মুহূর্তে ভাইয়া মোবাইলে থাকা পেশেন্টের Rash এর ছবি টা আমাকে দেখান। 


পেশেন্টের হিস্ট্রি + Rash এর ছবি টা দেখে আমার মনে পড়ে যায় ১/২ বছর আগে বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট Prof. Dr. Akhil Ranjon Biswas  স্যারের শেয়ার করা দুটি কেইস হিস্ট্রি পড়েছিলাম Haematology Society of Bangladesh এর ওয়েবসাইটে। এবং এই পেশেন্টের Rash ও স্যারের শেয়ার করা পেশেন্টের Rash এর ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে। 


তখন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম, উনার ডায়াগনোসিস কি Blood Transfusion Associated GVHD(Graft Versus Host Disease)?  


তখন ভাই জানালেন যে পেশেন্টের সিজারের সময় ব্লাড ডোনেট করে তার আপন ভাই। কেউ আসলে সেই হিস্ট্রি টা নেন নি। সবাই আসলে সিজার পরবর্তী জ্বরের কারণ হিসেবে Infective cause চিন্তা করছিলেন। তাই কোনো কনক্লুসনে আসতে পারছিলেন না কেইস টি নিয়ে। যেহেতু অনেক টেস্ট অলরেডি করা হয়ে গেছে এবং ভাইয়াও অতীতে এমন কেইস দেখেছেন তাই উনি আগ বাড়িয়ে ব্লাড ট্রান্সফিউসন হিস্ট্রি নিয়েছেন এবং ডায়াগনোসিস করতে পেরেছিলেন। আর বাইরে থেকে এলবুমিন দেয়া সত্ত্বেও পেশেন্টের এলবুমিন লেভেল কমে যাচ্ছিল তার  কারণ হিসেবে ভাইয়া বললেন এক্ষেত্রে Protein loosing Enteropathy হয়। 


কিন্তু GVHD এর মর্টালিটি রেইট যেহেতু অনেক বেশি, এই পেশেন্ট আসলে সার্ভাইভ করার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। (আমি পূর্বে যে দুটো কেইস পড়েছিলাম সেই দুজনই মারা যান। একজনের ক্ষেত্রে ব্লাড ডোনার ছিলেন আপন ভাই, আরেকজনের ক্ষেত্রে আপন ছেলে।) 


এই মহিলার শেষ CBC তে WBC count ছিল মাত্র ২৩০/মাইক্রো লিটার (!!!)। Neutrophil 08%,  Lymphocyte 90%. ESR= 45.


পরবর্তীতে তাকে হেমোটলজি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান হেমোটলজি ওয়ার্ডে ভর্তি এই  পেশেন্ট দেখানোর জন্য এবং ঐ সময় অধ্যাপক ডা. আখিল রন্জন বিশ্বাস স্যারও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই পেশেন্টের বেডে গিয়ে পেশেন্ট কে পাওয়া যায় নি। কারণ উনিও GVHD এর মত একটি Grievous condition এর নিকট হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন। 


আল্লাহ মেহেরবানী করে রোগী কে বেশেহত নসীব করুন। 

ডা. খাইরুল ভাইয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ কেইস টি শেয়ার করার জন্য। এর আগে TA-GVHD এর সেইম আরেকটি কেইস ভাইয়া ডায়াগনোসিস করেন যেখানে Open Heart Surgery এর পর পেশেন্টের জ্বর এবং Rash দেখা দেয়। সার্জারীর সময় নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেন ঐ পেশেন্ট এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মরণঘাতী এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। 


Take_Home_Message: 

নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিকটাত্মীয়ের রক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারনত Blood Transfusion এর ২ দিন থেকে ৩০ দিন পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। Immunocompromised গ্রহীতার ক্ষেত্রে রিস্ক সবচেয়ে বেশি থাকে, তবে দৃশ্যত সুস্থ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও Rarely এমনটা ঘটে থাকে। 


এর বিস্তারিত ব্যাখা দিতে গিলে অনেক বড় হয়ে যাবে লেখা। সংক্ষেপে বললে, নিকটাত্মীয়ের সাথে আপনার HLA matching থাকায় আপনার রক্তে থাকা T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) ডোনারের রক্তে থাকা T cell কে নিজের/Self হিসেবে মনে করবে, তাই তাকে কিছু করবে না। কিন্তু ডোনারের T cell আপনার শরীরে প্রবেশের পর আপনার দেহ কোষগুলো কে Non self/Foreign হিসেবে মনে করবে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গুলো ধ্বংস করতে শুরু করবে। যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা উন্নত বিশ্বেই ৯০% এর বেশি। তবে মাত্র ১% এরও কম কেইসে এটা ঘটে থাকে, অর্থাৎ খুব রেয়ার। কিন্তু হলে  যেহেতু রক্ষা নেই, তাই নিকটাত্মীয়ের রক্ত এভয়েড করাই যুক্তিযুক্ত। 


বোঝার সুবিধার্থে সাধারন ভাষায় বললে,

বাইরের রাষ্ট্রের কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ধরুন বাংলাদেশ বিজিবির পোশাক পরে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈনিকরা এদেশে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ বিজিবি  ঐ সকল সৈনিক কে নিজেদের লোক মনে করে কিছুই  করল না। এই সুযোগে ঐ সৈনিকরা এদেশে বংশবৃদ্ধি করলো এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ দের মারতে থাকলো। ঠিক এটাই ঘটে TA-GVHD তে।   

*বিজিবি= গ্রহীতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) 

*সৈনিক= দাতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)


♦বিশেষ করে আপন ভাই/বোন, বাবা /মা, ছেলে/ মেয়ে, ভাতিজা/ভাতিজি,  ভাগিনা/ভাগিনী  থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপন ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়ে TA-GVHD হয়ে মারা গেছেন এমন কেইসও আছে।


এফসিপিএস মেডিসিনে গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক Dr. Khairul Islam  (MBBS,MCPS,FCPS) ভাই। ভাই শুধু ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞই নন, ক্লিনিসিয়ান হিসেবেও খুবই ভালো। একাডেমিক ও মানবিক একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সবসময় বিভিন্ন কেইস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেইস নিয়ে কৌতুহল থাকায় শুনতে/জানতে ভালো লাগে এবং থিংকিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেদিন ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।


বি: দ্র: ইংরেজিতে একটা কথা আছে,, Knowledge increases by Sharing, not by Saving! এই সিরিজের সবগুলো লিখাই একাডেমিক আলোচনার জন্য। প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য/অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে করতে পারেন। 

Dr. Fahim Uddin

Khulna Medical College

Session: 2012-2013 


♣যদি ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিকটাত্মীয় থেকেও বাধ্য হয়ে ব্লাড নিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ডোনারের ব্লাড Irradiation করে গ্রহীতার শরীরে দেওয়া হয়।


পড়াশেষে Done লিখুন এবং জনস্বার্থে শেয়ার করুন।©

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৮-০৩-২০২৫ খ্রি

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৮-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


বেইজিং এ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর বৈঠক --- বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহায়তায় চীনের প্রতি আহ্বান।


জলবিদ্যুৎ, পূর্বাভাস এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত বাংলাদেশ ও চীন --- বেইজিং এ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ।


ঢাকা ও বেইজিং এর মধ্যে ৯ চুক্তি স্বাক্ষর।


সারাদেশে পালিত হলো পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা ।


ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে রাজধানী ছাড়া অব্যাহত রয়েছে নগরবাসীর --- অনেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায়।


ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনা দেশকে কারবালায় পরিনত করেছিল --- মন্তব্য বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের।


শক্তিশালী সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি --- ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের আশঙ্কা।


এবং চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৮-০৩-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৮-০৩-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


চীনে চারদিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে এখন বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা --- আজ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং-এর সঙ্গে।


রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এশিয়ার দেশগুলোকে এক হতে হবে --- চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরামে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


সম্মেলনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করতে এশীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। 


ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করলেন পবিত্র লাইলাতুল কদর।


শুরু হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা নয় দিনের ছুটি --- প্রিয়জনের টানে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত।


২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে আদালত।


এবং যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে উপনীত হতে ইউক্রেনকে একটি অস্থায়ী প্রশাসনে ন্যাস্ত করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিমত।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৭ - ০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৭ - ০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এশিয়ার দেশগুলোকে এক হতে হবে --- চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরামে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


সম্মেলনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করতে এশীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।  


বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানি করতে রাশিয়ার আগ্রহ।


আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর --- ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছেন এ রাত ।


আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা নয় দিনের ছুটি --- প্রিয়জনের টানে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত।


২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে আদালত।


এবং গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত -- ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত।

আমরা যা দেখি, তা আসলে ১৫ সেকেন্ড আগেই ঘটে গেছে—এই কথা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে, কি

 আমরা যা দেখি, তা আসলে ১৫ সেকেন্ড আগেই ঘটে গেছে—এই কথা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।  


যখন আমরা কোনো কিছুর দিকে তাকাই, তখন আসলে সেই বস্তু থেকে আলো বেরিয়ে এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়। চোখ সেই আলোকে গ্রহণ করে সেটাকে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিণত করে মস্তিষ্কে পাঠায়। এরপর মস্তিষ্ক সেই সংকেত বিশ্লেষণ করে আমাদের সামনে একটা ছবি তৈরি করে। এই পুরো প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হয়, কিন্তু এতে সামান্য পরিমাণ সময় লেগে যায়। সাধারণত, আমাদের মস্তিষ্ক এবং চোখ একসঙ্গে কাজ করে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করে ফেলে, কিন্তু অনেক দূরের কোনো বস্তু দেখলে এই সময় অনেক বেশি হতে পারে।  


আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। যদি আমরা খুব কাছের কিছু দেখি, তাহলে তার আলো আমাদের চোখে আসতে খুবই কম সময় লাগে। কিন্তু যদি আমরা অনেক দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকাই, তাহলে তার আলো আমাদের কাছে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়। যেমন ধরো, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগে। অর্থাৎ, আমরা যে সূর্য দেখি, সেটি আসলে ৮ মিনিট আগের সূর্যের চেহারা।  


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এত বড় সময়ের দেরি অনুভব হয় না, কারণ আমাদের চারপাশের বস্তুর আলো খুব দ্রুত আমাদের চোখে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কও খুব দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করে ফেলে। তবে তত্ত্বগতভাবে, আমরা সবসময় অতীতকেই দেখি। আমাদের চোখ থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত সংকেত পৌঁছাতে এবং সেটাকে সম্পূর্ণরূপে বোঝাতে কিছুটা সময় লাগে। তাই আমরা যা কিছু দেখছি, তা আসলে একটু আগেই ঘটে গেছে।  


এটা এমন, যেন আমরা একটি লাইভ ভিডিও কল দেখছি, যেখানে ইন্টারনেট একটু স্লো, আর কিছু দৃশ্য আমাদের কাছে কয়েক সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছাচ্ছে। বাস্তবে হয়তো এই দেরি ১৫ সেকেন্ড নয়, তবে কিছুটা দেরি যে হচ্ছে, তা বিজ্ঞান নিশ্চিত করে। মহাবিশ্বের বৃহৎ প্রেক্ষাপটে, আমরা আসলে অতীত দেখছি, বর্তমান নয়।

জানুন আর একজন মহাকাশচারীর অজানা কাহিনী

 জানুন আর একজন মহাকাশচারীর অজানা কাহিনী


পৃথিবীকে ৫ হাজার বার প্রদক্ষিণ করা এই মানুষ টার সাথে ৩১১ দিন ধরে কেউ যোগাযোগ করেনি। কারন এই মানুষটা যে দেশের নাগরিক ছিল সেই দেশ টাই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই ৩১১ দিন ধরে ৫ হাজার বার পৃথিবীকে চক্কর কাটতে হয়েছিল। হতভাগা এই মহাকাশ চারির নাম সর্গেই কনস্ট্যানটিনোভিচ ক্রিকালেভ । প্রথম জীবনে যিনি ছিলেন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পরবর্তীকালে তিনি রকেট সায়েন্টিস্ট হিসাবে যোগদান করেন,তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে । ধিরে ধিরে তিনি প্রশিক্ষন নিয়ে হয়ে উঠেন একজন মহাকাশচারি।মোটামুটি ভাবে আমরা সবাই জানি মহাকাশে প্রতিটি দেশেরই কিছু স্যাটেলাইট এবং কিছু দেশের স্পেসেস্টেশন থাকে, সেখানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথিবী থেকে ইঞ্জিনিয়ার দের মহাশূন্যে পাঠানো হয়।

সেই কারণে ১৯৯১ সালের মে মাসে ক্রিকালেভ কে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় MIR স্পেস স্টেশনটির রুটিন চেক আপের জন্য। ক্রিকালেভ মহাশূন্যে পারি দেয়ার সময় থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন জুরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। ফলে ক্রিকালেভ যে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য মহাশূন্যে থাকতে গেছিল।কিন্তু দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা এবং বৈদেশিক চাপে ভেঙ্গে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, তৈরি হয় রাশিয়ান ফেডারেশন নামে এক নতুন দেশ, যার ফলে আগের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়।ক্রিকালেভের কাছে শুধু একটাই রেডিও বার্তা পৌছায়, এখন আর কেউ তোমার মিশনের দায়িত্বে নেই। এবার যতদিন না নতুন করে কেউ তোমার সাথে যোগাযোগ করে তুমি অপেক্ষা করো। এর পর পৃথিবীর সাধে সম্পুর্ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এবার ভাবুন পৃথিবী থেকে ৪০০-৪৫০০ কিলোমিটার উপরে আপনি শুধু একা, কথা বলার কেউ নেই, আর কোনো দিন পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই।

          

      এদিকে খাবার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে, অক্সিজেন লেবেলও কমে আসছে, পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবার ভাবুন রোজ ৪০০ কিলোমিটার উপর থেকে আপনি দিন ও রাত্রি হতে দেখছেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১৬ বার গোটা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছেন,অথচ পৃথিবীর থেকে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ টুকু করছে না।এমন নির্জন এবং ভয়ঙ্কর জেলখানায় ৩১১ দিন কাটিয়েছেন ক্রিকালেভ।

   

     এবার আসি এর কারণ কি ছিল? পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় ক্রিকালেভ ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক কিন্তু মহাশূন্যে থাকা কালীন সময়ে ক্রিকালেভর দেশটাই উধাও হয়ে গেছিল । পৃথিবী থেকে একটা গোটা দেশ উধাও হয়ে যায়, তাই টেকনিক্যালি ক্রিকালেভর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব ছিল না, তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কেউই উদ্যোগ নেয়নি।সে প্রতিদিন পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো যাতে অপর প্রান্ত থেকে কেউ সারা দেয়। এই ভাবেই কেটে যাক প্রায় দশটা মাস।

        

    অবশেষে আচমকা পৃথিবী থেকে সারা আসে এবং ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে ৩১১   দিন মহাশূন্যে জেল কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন। কিন্তু টানা প্রায় দশ মাস মহাশূন্যে থাকার ফলে ক্রিকালেভের চেহারা, ওজন, দৈহিক ক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থা অনেকটাই পাল্টে যায়, প্রায় আট মাস সময় লেগেছে তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে।এর পরেও তিনি বহু বার মহাকাশে গেছেন। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবসর জীবন যাপন করছেন।


#science #astronaut #radiostation #SunitaWilliams #spacestation 

#sergei_krikalev 

#sovietunion #india

#bengali #astronautsinspace #astronautlife #fbpost #viral

আসেন এক জমিদারের নাতির পারিবারিক কাহিনী শুনি।  

 আসেন এক জমিদারের নাতির পারিবারিক কাহিনী শুনি।  


সেই কথিত জমিদারের নাম তজির উদ্দিন, বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার ৩ নং আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে। এলাকার মানুষজন তাকে চিনতো “জুয়ারি তজির” নামে। তার নেশাই ছিলো জুয়া খেইলা বেড়ানো। তবে সেই জুয়া খেইলাও ভাগ্যের কোন খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারেন নাই। ভিটে বাড়ি আর সাকুল্যে ৩/৪ বিঘা কৃষি জমিই ছিলো তার মোট সহায় সম্পত্তি। শেষ বয়সে অনেক কস্টে জীবন কাটাইসেন, কেননা তার ছয় সন্তানের কেউই তার দেখভাল করে নাই। 


তজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী আকেদার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেদের নাম রাজু, সাজু এবং শাহজাহান। মাশাল্লাহ তিনজনের একজনেরও স্থায়ী আয় উপার্জনের কোন বন্দোবস্ত নাই। টুকটাকা কৃষিকাজ আর এদিক সেদিক দালালি করে জীবন ধারণ করতো। মান্ধাতার আমলের টিনের ঘরে ছিলো তাদের বসবাস। মেঝ পোলা সাজু মিয়ার ঘরেই জন্ম নেয় আমাদের আলোচিত জমিদারের নাতি সারজিস আলম। 


সারজিসের নানাবাড়ি নোয়াখালী। স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে সাজু মিয়া লক্ষীপুর থেকে নোয়াখালী গিয়ে কিভাবে বিয়ে করলো? আসলে সাজু মিয়া যায় নাই। সারজিসের নানা মক্তবের হুজুর হিসেবে সারজিসদের এলাকাতেই থাকতো। উনার মেয়ে বাকেরাকে বিয়ে করে সারজিসের বাবা। তবে বিয়েটা সাধারণ বিয়ে ছিলো না, ছিলো সালিশী বিয়া। কারণ সারজিস তখন তার মায়ের পেটে। আর গভীরে গেলাম না, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই কাফি! 


সারজিসের বাবা চলতো মূলত দালালি করে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি এসব পাইয়ে দিবে বলে এলাকার নিরীহ লোকজনের থেকে টাকা নিয়ে মেরে দেয়াই ছিল তার মূল পেশা। ভুক্তভোগী অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও এর কাছে লিখিত অভিযোগও করসে এটা নিয়ে। এর পাশাপাশি লুচ্চামি এবং লাম্পট্যের জন্যও উনি বিখ্যাত। বছর দুয়েক আগেও ক্লাস নাইনের এক মেয়েকে চাপে পড়ে বিয়ে করে ঘরে তুলসিলো, কিছুদিন পর আবার তাড়িয়েও দিসে। 


সারজিস পড়াশোনা করসে পাল্টাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। বাপের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্লাস নাইনে থাকতেই এক মেয়ের সাথে ইটিশ পিটিশ করার কারণে সালিশ-দরবার তার বিরুদ্ধেও হইসিলো। এসএসসি পাশ করার পর মানুষজনের অনুদানের টাকায় বিএএফ শাহীন কলেজে পড়তে ঢাকায় আসে। কলেজে পড়াকালীন থাকতো মেসে, চারজন মিলে এক রুম শেয়ার করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ই আগস্ট পরবর্তী সেই জমিদারের নাতি সারজিসকে আপনারা সবাই চিনেন এবং জানেন।      


এবার সারজিসের বর্তমান হাল হকিকত নিয়ে কিছু বলি। ৫ই আগস্টের পর আলাদিনের চেরাগ পাওয়া সারজিসকে আর ঠেকায় কে? তার পরিবারকে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় নিয়ে আসছে। তাদের ঢাকায় এখন দুইটা বাসা। একটা এলিফ্যান্ট রোডের তেলের পাম্পের পাশে এবং আরেকটা সেগুন বাগিচায়। কিছুদিন আগে বিয়ে করসে স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে, স্বভাবতই যেটা বাল্যবিবাহ হবার কথা। এর আগে অবশ্য ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক মেয়ের (সঙ্গত কারণেই নাম গোপন রাখলাম) সাথে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, মেয়ের বাবার নাম হামিদুল। হাতে টাকা কড়ি আসার পর সেই মেয়েকে বাদ দিয়ে বাচ্চা এক মেয়েকে বিয়ে করসে। সার্বক্ষনিক চলাচল করে হাইব্রিড এস্কোয়ার ব্রান্ডনিউ গাড়িতে। মাঝে মাঝে ল্যান্ডক্রুজারেও চড়তে দেখা যায়। 


সারজিসের বাপ ও চাচাদের দাপটে এলাকার মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। বিশেষত যারা অভিযোগ করসিলো সেই ভুক্তভোগীরা এলাকাছাড়া। সারজিসের বাপ তো এখন বড় লেভেলের দালাল। পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সচিবালয়ে নানান তদ্বির, টেন্ডারবাজি, কমিশন আর বদলি বাণিজ্য করেই দিন কাটে তার। সারজিসের দুই মামা সুজন আর সুমনও সারজিসের কল্যাণে করে পিঠে খাচ্ছে। আর নিজে কি পরিমান কামাইসে সেটার হিসাব বের হইতে বেশিদিন সময় লাগবে না। দেখা যাবে তাদের কেউই প্রকাশ কইরা দিল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে!  


এই হইলো আমাদের জমিদারের নাতি সারজিস আলমের আমলনামা। আর সে কিনা ফেসবুকে বক্তব্য দেয় তার দাদা যে পরিমাণ সম্পদ রেখে গেসে তা দিয়ে একটা ইলেকশনও করে ফেলতে পারবে! অল্প বয়সে একটা পোলা এতো বড় বাটপার কেমনে হয় সেটা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। বাপের ঠিকুজি পাওয়ার পর সেই দ্বিধা ভঙ্গ হইসে। এ তো এক্কেরে বাপকা বেটা, সিপাইকা ঘোড়া। ভন্ডামি আর বাটপারি জন্মগত ভাবেই নিয়ে আসছে, বাকিটা ডাস্টবিন শফিকের ট্রেনিং!


(আপনি যা বলসেন তার প্রমাণ কি? উপরে ঠিকানা ঠিকুজি সব দেয়া আছে, ইচ্ছা থাকলেই খোঁজ নিতে পারবেন। আর নাইলে জমিদারের নাতিকে বলেন তার বাপ-দাদার ইনকাম ট্যাক্স ফাইলটা প্রকাশ করতে)

গোপন_টিপস: টমেটো, মরিচ, বেগুন, গোলাপ ইত্যাদি গাছকে শক্তিশালী ও অধিক ফলনশীল করার কৌশল:

 #গোপন_টিপস: টমেটো, মরিচ, বেগুন, গোলাপ ইত্যাদি গাছকে শক্তিশালী ও অধিক ফলনশীল করার কৌশল:

গাছের ভালো ফলনের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেও আপনি সহজেই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে গাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে পারেন। এখানে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং এদের উপকারিতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

🧪 উপাদান ও তাদের ভূমিকা--

১. এপসম লবণ (Epsom Salt) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
👉এপসম লবণ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট (MgSO₄) সমৃদ্ধ। ম্যাগনেশিয়াম গাছের ক্লোরোফিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা গাছের সবুজাভ ও সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এছাড়া, এটি ফুল ও ফলের গুণমান বৃদ্ধি করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ গাছের সবুজ রং বৃদ্ধি করে, কারণ ম্যাগনেশিয়াম ফটোসিন্থেসিসে সহায়ক।
✅ টমেটো ও মরিচ গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ও ফল ধরতে সাহায্য করে।
✅ সালফার গাছের এনজাইম সক্রিয়তা বাড়িয়ে ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি করে।

২. বেকিং সোডা (Baking Soda) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
👉 বেকিং সোডা মাটির অম্লতা (pH) সামান্য হ্রাস করে, যা ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে টমেটো ও বেগুনের পাতায় যে পাউডারি মিলডিউ, ব্লাইট ও ছত্রাকের আক্রমণ হয়, তা প্রতিরোধে এটি কার্যকর।

↗️ উপকারিতা:
✅ ছত্রাকজনিত রোগ কমায়।
✅ পাতা ও ফুলের রঙ সতেজ রাখে।
✅ মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহজে গ্রহণ করতে পারে।

৩. ডিমের খোসা (Crushed Eggshells) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
ডিমের খোসায় প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃) থাকে, যা মাটির ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং ব্লোসসম-এন্ড রট (Blossom End Rot) প্রতিরোধ করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ ফলের পচন (ব্লোসসম-এন্ড রট) প্রতিরোধ করে।
✅ মাটির ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা গাছের শিকড়কে মজবুত করে।
✅ এটি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মাটিতে পুষ্টি সরবরাহ করে।

৪. কলার খোসা (Banana Peel) - ১টি (চূর্ণ করে):

✅ কেন দরকার?
👉কলার খোসায় প্রচুর পটাশিয়াম (K) ও ফসফরাস (P) থাকে, যা গাছের ফুল ও ফল ধরার হার বাড়ায় এবং গাছকে রোগ প্রতিরোধী করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ ফলন বৃদ্ধি করে, কারণ পটাশিয়াম গাছের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
✅ গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি উন্নত করে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
✅ ফসফরাস গাছের ফুল ধরার হার বাড়িয়ে দ্রুত ফল ধরতে সাহায্য করে।

৫. ২ লিটার পানি।

🔄 কিভাবে ব্যবহার করবেন?

1️⃣ সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
2️⃣ মিশ্রণটি ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে পুষ্টি ভালোভাবে পানির সাথে মিশে যায়।
3️⃣ প্রতি ২ সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ায় এই তরল সার ঢালুন।
4️⃣ সকালবেলা বা সন্ধ্যায় প্রয়োগ করুন, যাতে রোদে পুষ্টি নষ্ট না হয়।

🌱 অতিরিক্ত টিপস:

✅ মালচিং (Mulch) ব্যবহার করুন: গাছের গোড়ায় খড়, শুকনো পাতা বা কাঠের গুঁড়ো বিছিয়ে রাখলে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়।
✅ সঠিক জলসেচ দিন: বেশি পানি দিলে শিকড় পচে যেতে পারে, তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি দিন।
✅ গাছের পুরনো ও হলুদ পাতাগুলো ছেঁটে ফেলুন, যাতে বাতাস চলাচল ভালো হয় এবং রোগ কমে।
✅ টমেটো, মরিচ, ও বেগুন গাছে খুঁটি দিন, যাতে গাছের ডাল ভেঙে না যায়।

↗️এই প্রাকৃতিক সার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

✅ এটি সম্পূর্ণ জৈবিক, ফলে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয় না।
✅ রাসায়নিক সারের তুলনায় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।
✅ দীর্ঘমেয়াদে মাটির গুণমান বাড়ায় ও ফসলের স্বাদ উন্নত করে।
✅ ফলন বেশি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।

↗️ উপসংহার:
এই প্রাকৃতিক সারটি টমেটো, মরিচ, বেগুন ইত্যাদি গাছের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি গাছের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফলন নিশ্চিত করে। নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে আপনি সহজেই উচ্চ ফলনশীল, স্বাস্থ্যকর ও সুগন্ধি সবজি উৎপাদন করতে পারবেন!

আপনার সবজির বাগানে এই মিশ্রণ ব্যবহার করে দারুণ ফলাফল পেতে পারেন! 🌿🍅🫑🍆🧅

#প্রাকৃতিকসার #সবজিবাগান #জৈবসার #গার্ডেনিং #অর্গানিকফার্মিং @topfans #everyonefollowers

সকলের জন্য শুভ কামনা -- চাষা আলামিন জুয়েল।

চাঁদ নিয়ে কনফিউশন?

 চাঁদ নিয়ে কনফিউশন? 


তাহলে বলি, চাঁদ মূলত পৃথিবীর কক্ষপথে ৫ ডিগ্রী হেলে থাকে, তবে এই কক্ষপথ মাঝে মাঝে উপর নিচ করতে থাকে। মাঝে মাঝে যখন পৃথিবীর কক্ষপথ ও চাদের কক্ষপথ সমান্তরালে আসে তখন রাহু বা কেতু পয়েন্টে (০ ডিগ্রী বা ১৮০ ডিগ্রী এংগেল) পূর্ণগ্রহন বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। 


বাদ বাকি সকল অবস্থানেই, সূর্য পৃথিবী চাঁদ অন্য একটা এংগেল করে থাকে,  ফলে চাদকে সর্বদাই সূর্যের উপরে বা নিচে দেখা যায়৷ 


চাঁদ সূর্যের মত পূব আকাশেই উদিত হয় এবং পশ্চিম আকাশে অস্ত যায়। তবে নতুন চাঁদ সূর্যের ৫৩ মিনিট পরে উদিত হয় এবং প্রতিদিন ৫৩ মিনিট করে পেছাতে থাকে। এভাবে করে প্রতিদিন চাঁদ ও সূর্যের উদয় অস্তের সময় পার্থক্য বাড়তে থাকে৷ 


আমি জানি এগুলা হুদা কথায় বোঝা কষ্টকর, ভিজুয়ালাইজেশন দেখাতে পারলে ভালো হত, ভবিষ্যতে একদিন দেখাবো ইন শা আল্লাহ। 


অমাবশ্যার দিন সূর্য আর চাঁদ প্রায় একই সময়ে অস্ত যায় এবং চাদের আলোকিত পৃষ্ঠ পৃথিবীর উলটো দিকে থাকায় চাঁদ দেখা পসিবল হয়না। 


দ্বিতীয় দিনে, চাঁদ প্রায় সূর্য ও পৃথিবীর সাথে ৮.৫ ডিগ্রী বা তার বেশী কোন করে থাকে এবং প্রায় ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। এ সময় চাঁদ দেখা যায়। প্রশ্ন হল আমরাতো সবসময় চাঁদ দেখিনা,কেন? 


উত্তর জটিল, আসলেই জটিল। যাদের কল্পনা শক্তি প্রবল তারা অনুধাবন করতে পারেন। আমি কিন্ত বলেছি চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথ সাধারণত ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হেলে থাকা যা উপর নিচ (টিল্ডিং/শিফটিং করে) করতে থাকে। ফলে উপর থেকে নিচে ১০ ডিগ্রী পর্যন্ত কৌণিক ব্যবধান তৈরী হতে পারে। তাই চাঁদ সর্বোচ্চ ৫৩ মিনিট আগে/পরে ডুববে। অমাবশ্যার আগের দিনগুলিতে আগে আগে ডুবে আর পরের দিনগুলিতে পরে ডুবে৷  আবার এই হিসাব কিন্ত একদম শুরুর দিন এক্সাক্ট পয়েন্ট থেকেই হিসাব করা হয়েছে, কিন্ত সময় গণনার সূক্ষ্ম ব্যবধানে এটা প্রতিনিয়ত সামান্য করে পরিবর্তন হয়। তাই আজকে চাদের পজিশন কোথায় তার উপর ভিত্তি করে হিসাব নিকাশ করতে হবে। তাই সেই এংগুলার ডিস্টেন্স এর হিসেব অনুযায়ী ঠিক ৫৩ মিনিট হবে না তার কম বেশী হবে তা হিসাব করতে হবে। এইগুলা ৩ডি মডেলে বোঝা সহজ, আমার কথাগুলি অনেকের মাথার উপর দিয়ে যাবে। 


যাইহোক হিসেব করে দেখা গেছে, ৩০ তারিখে চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে প্রায় ১ ঘন্টার উপর এবং আট ডিগ্রীর কাছাকাছি এংগেলে অবস্থান করবে, ফলে খুবই চিকন প্রস্থের একটা কম উজ্জ্বল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা আছে৷ এই সম্ভাবনা প্রায় ৮০ ভাগ। একই দিনে সৌদী আরব আর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। 


তবে একটা মজাদার ব্যাপার লক্ষ্য করা যাবে। আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপ সমূহে ২৯ তারিখেই চাঁদ দেখার সম্ভাবনা পূরণ হতে চলেছে। কানাডা USA তে ২৯ তারিখ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় ৭০/৮০ ভাগ৷ ভালো কথা এই পার্সেন্টেজ সায়েন্টিফিক নয়, শুধু ধারণা দেয়ার জন্য বলা।


এই পোস্টে আপনারা ৩০ তারিখের এক্সাক্ট সময় ব্যবধান ও কৌনিক ব্যবধান কল্পনা করতে পারেন। 


যদি ২৯ তারিখে আমেরিকাতে চাঁদ দেখা যায় তবেতো অনেকেরই ৩০ তারিখে সৌদী আরবের আগে আগে ঈদ করতে হতে পারে। আপনারা রেডিতো?

সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :

 সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :


প্রিয় অভিভাবক,

কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি জানি, আপনারা খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।


👉একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, যারা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে শিল্পী হবে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই।


👉একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।


👉একজন সংগীতশিল্পী হবে, যে রসায়নে কত নম্বর পেয়েছে তাতে তাঁর ভবিষ্যতে কিছু আসে-যায় না ৷


👉একজন খেলোয়াড় হবে, তাঁর শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি।


👉যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।


👉তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে যেন তারা মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড় কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।


👉আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন যে, সে পরীক্ষায় যত নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তার বিচার করবেন না!


👉প্লিজ, এই কাজটি করুন, যখন এটা করবেন দেখবেন যে, আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে!


👉একটি পরীক্ষা কিংবা একটি পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধা কেড়ে নিতে পারবে না ৷


👉প্লিজ, আরেকটা কথা মনে রাখবেন যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, প্রফেসর বা আইনজীবীরাই একমাত্ৰ সুখী মানুষ নন!

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা কম রাখতে হবে।

 রমজান মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফের ফজিলত, নিয়ম ও পদ্ধতি

ই‘তিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট স্থানে নিজেকে সংযত রাখা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ দশকে এটি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় আমল।


🌟 ই‘তিকাফের ফজিলত ও গুরুত্ব

✅ রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নত:


রাসুলুল্লাহ (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন (সহিহ বুখারি: 2026)।


মৃত্যুর বছর তিনি ২০ দিন ই‘তিকাফ করেন (সহিহ বুখারি: 2040)।


✅ লাইলাতুল কদর পাওয়ার সুযোগ:


শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়া যায়, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ (সূরা কদর: ৩-৫)।


✅ গুনাহ মাফের সুযোগ:


ই‘তিকাফ করা ব্যক্তি দুনিয়ার ব্যস্ততা থেকে দূরে থেকে আল্লাহর ইবাদতে সময় কাটান, যা গুনাহ মাফের বড় সুযোগ।


✅ দুই ঈদের মধ্যে ই‘তিকাফ করলে জান্নাত লাভ:


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

"যে ব্যক্তি ঈদের দিন পর্যন্ত ই‘তিকাফ করবে, সে দুটি ঈদের মধ্যবর্তী সময় জান্নাতে কাটাবে।" (সহিহ ইবনে মাজাহ: ۱۷۸১)


📌 ই‘তিকাফের নিয়ম ও শর্তাবলি

✅ নিয়ত করা জরুরি:


আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ই‘তিকাফের সৎ নিয়ত করতে হবে।


✅ স্থান:


পুরুষদের জন্য মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও ই‘তিকাফ সহিহ নয় (সূরা বাকারা: ১৮৭)।


নারীরা নিজ ঘরের নির্ধারিত নামাজের স্থান বা কোনো নির্জন কক্ষ ই‘তিকাফের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।


✅ সময়সীমা:


ই‘তিকাফ রমজানের ২০ রমজান সূর্যাস্তের পর শুরু হয় এবং ৩০ রমজানের সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার পর শেষ হয়।


✅ ইবাদত:


কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দোয়া-দরুদ, জিকির-আজকার, ইস্তিগফার ও ইসলামী জ্ঞান চর্চা করা উত্তম।


✅ মসজিদ থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ (যদি প্রয়োজন না হয়):


ওজু, গোসল, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।


জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা কম রাখতে হবে।


📖 ই‘তিকাফের পদ্ধতি (Step-by-Step Guide)

📌 ১. ই‘তিকাফের নিয়ত করুন

🕌 "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজানের শেষ দশকের সুন্নত ই‘তিকাফ করার নিয়ত করছি।"


📌 ২. নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করুন

✅ পুরুষদের জন্য মসজিদে নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়া এবং ইবাদতে মগ্ন থাকা।

✅ নারীদের জন্য নিজ ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে নির্জনে ইবাদত করা।


📌 ৩. অধিক ইবাদতে সময় ব্যয় করুন

📖 কুরআন তিলাওয়াত করুন।

🕋 অধিক পরিমাণে দোয়া ও ইস্তিগফার করুন।

🤲 বিশেষত লাইলাতুল কদরের রাতগুলোতে ইবাদতে মনোযোগ দিন।


📌 ৪. অহেতুক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকুন

🚫 অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, হাসি-ঠাট্টা, মোবাইল ব্যবহার পরিহার করুন।

🎧 যদি ইসলামিক লেকচার বা দোয়া শোনা হয়, তবে তা হালাল ও শিক্ষামূলক হতে হবে।


📌 ৫. নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ই‘তিকাফ পালন করুন

✅ ৩০ রমজানের সন্ধ্যায় বা ঈদের চাঁদ দেখার পর ই‘তিকাফ শেষ করুন।


🎯 উপসংহার

ই‘তিকাফ হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম সেরা উপায়। এটি আমাদের জীবনের গুনাহ মাফের, আত্মশুদ্ধির ও লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জনের এক বিশাল সুযোগ। আমরা যেন সুন্নতের অনুসরণে রমজানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করি এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদতে কাজে লাগাই।


🌟 আল্লাহ আমাদের সবাইকে ই‘তিকাফের মাধ্যমে গুনাহ মাফের সুযোগ দান করুন, আমিন! 🤲

অসম্মান :~ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য      চতুর্থ ও শেষ পর্ব

 অসম্মান :~ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য

     চতুর্থ ও শেষ পর্ব


আপনার মটকা চা তো ভালোই খেতে এর দাম কত ? অতনুর বাবা সবার কাছ থেকে দাম নিয়ে আমাদের দিকে ঘুরে বললেন ৩০ টাকা করে। হাতে ধরে রাখা মাটির গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে বললাম, এই গ্লাসগুলো কি আপনি অর্ডার দিয়ে বানান ? ওপাশের টেবিল দুটো পরিষ্কার করতে করতে অতনুর বাবা বললেন, সাধারণত মৃৎশিল্পীদের কাছে চালু মাপের ভাঁড় আর গ্লাস থাকে, আমার এই গ্লাসগুলো ১০০ এম এল এর বলে স্পেশালি অর্ডার দিতে হয়। কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে গ্লাসে আবার চুমুক দিয়ে বললাম, আপনার একা হাতে দোকান সামলাতে অসুবিধা হয় না ? একা সামলাবো কেন গোপাল থাকে তো। সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলাম গোপাল কে ? অতনুর বাবা বললেন, গোপাল আমার ছেলের মত ! ওই তো এই দোকান সামলায় !! অতনুর বাবার ছেলের মত কথা শুনে মা চা খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন আমি কিছু বুঝতে না পেরে বললাম, সে কোথায় ? অতনুর বাবা আমাদের দিকে ঘুরে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে বললেন, এখন ও ওর বাড়িতে, ১১ টার সময় ওকে ছেড়ে দিই আবার তিনটের দিকে আমি যখন বাড়ি যাই ও তার আগে এসে পাঁচটা পর্যন্ত একা দোকান সামলায় তারপর আমি আবার পাঁচটা সোয়া পাঁচটায় এসে দু'জনে মিলে রাত দশটা পর্যন্ত দোকান সামলাই।

চায়ের গ্লাসে পরপর দু'বার চুমুক দিয়ে একটু ভেবে বললাম, গোপালকে আপনার ছেলের মত বললেন আপনার নিজের কোন সন্তান নেই ! অতনুর বাবা আমার কথায় বোধহয় অসন্তুষ্ট হলেন তাই তিনি বললেন, আপনি হঠাৎ আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে জানতে চাইছেন কেন বলুন তো ? আমি তো আপনাকে চিনি না আগে কখনো দেখেছি বলেও তো মনে হয় না।

কথা ঘুরানোর জন্য তাড়াতাড়ি বললাম, না না ওই যে আপনি বললেন না আপনার ছেলের মত তাই হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে ফেললাম কিছু মনে করবেন না বলে গ্লাসের বাকি চাটা শেষ করে পকেট থেকে ১০০ টাকা বার করে ওনার হাতে দিয়ে মাকে বললাম চলো যাই। মা তখনো আস্তে আস্তে চা খাচ্ছেন,

ভদ্রলোক চেয়ার থেকে উঠে টেবিলের ড্রয়ার টেনে ১০০ টাকার নোটটা সেখানে রেখে ৪০ টাকা হাতে নিয়ে ড্রয়ারটা বন্ধ করে বললেন, আমার ২৭ বছরের একটা ছেলে আছে যে সকাল সন্ধ্যে টিউশনি করে আবার টোটোও চালায় আর গোপালতো বলে বললেন, ও শুনতেও পায় না কথাও বলতে পারেনা বলে আমার হাতে চল্লিশ টাকা ফেরত দিয়ে বললেন, ২০২২ সালের পুজোর আগে ও আমার দোকানে এসেছিল কাজ চাইতে। তখন গোপালের বয়স ১৭-১৮ বছর হয়তো ছিল, ও হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছিল কিন্তু আমি ওর সেই বলা কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না বলে ওকে চলে যেতে বলি। ও তখন ওর পকেট থেকে একটা কাগজ আর পেন বার করে বেশ খানিকটা লিখে আমার হাতে সেটা ধরিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। দোকানে তখন খরিদ্দারের চাপটা কম ছিল বলে কাগজটা চোখের সামনে খুলে দেখি তাতে লেখা ছিল, আমি গোপাল, ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি তারপর বাবা মারা গিয়েছিলেন বলে আর পড়া হয়নি। আজ দশ দিন ধরে মা খুব অসুস্থ হসপিটালের ডাক্তার দেখিয়েছি হসপিটাল থেকে যে ওষুধ দিয়েছে তাতে মার অসুখ সারছে না, বাজার থেকে যে ওষুধ কিনব তার টাকা নেই বাড়িতে খাবারও কিছু নেই ! আমি যেখানেই কাজ খুঁজতে যাচ্ছি কথা বলতে পারি না আর শুনতে পাই না বলে কেউ কাজ দিচ্ছে না !! আপনিও ফিরিয়ে দিলে মাকে বাঁচাতে পারবো না। কাগজটা সেদিন হাতে নিয়ে গোপালের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল, ২০২০ সালে আমার ছেলে অতনু তার মাকে হারিয়ে পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল, অবশ্য তার কারণও ছিল বলে অতনুর বাবা বলতে লাগলেন, আমি বাইরে কাজ করতাম বলে বছরে তিন চারবার বড় জোর বাড়িতে আসতাম, ছেলের প্রকৃত গার্জিয়ান ছিল তার মা। আমাকে সব সময় দেখতো না বা দরকারের সময় পেতো না বলে ছেলের অভিমান ছিল আমার উপর !

সেই সব সময়ের সঙ্গী তার মা হঠাৎ করে করোনাতে মারা যাওয়াতে ছেলে আমার নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে মার ছবির সামনে রাত দিন বসে থাকতো !! ছেলের অবস্থা দেখে আমি বাইরের কাজ ছেড়ে দিয়ে আমার নিঃসন্তান বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে যখন বললাম, বিশ্বনাথ মারা যাবার পর (বিশ্বনাথ আমার ভগ্নিপতি) তোকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম তখন তুই যেতে চাসনি।

আজ আমার অতনু তার মাকে হারিয়ে দিন দিন ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে, তুইতো ওর পিসিমা, আজ আর আমাকে ফিরিয়ে দিস না, চল বলে বোনের হাত দুটো ধরে বলেছিলাম, অতনু যদি তোর সন্তান হতো তাহলে এই সময় তুই তাকে অবহেলা করতে পারতিস ? সেদিন বোন আর কিছু না বলে কাপড়চোপড় গুছিয়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসে সব সময় ছেলের পাশে থেকে তার সাথে কথা বলে বলে আস্তে আস্তে সেই ডিপ্রেশন থেকে তাকে বার করে আনতে পেরেছিল শুধুমাত্র উপরওয়ালা সহায় ছিলেন বলেই বলে অতনুর বাবা আবারো বললেন, সেদিন গোপালের মা দশ দিন ধরে অসুস্থ সেটা সত্যি কি মিথ্যে যাচাই না করেই গোপালের লেখা কাগজটা পড়ে ভেবেছিলাম, যার বাবা এমনিতেই নেই তার যদি মা না থাকে তাহলে সন্তানকে সামলাবে কে ! সেদিন হাজার টাকা গোপালের হাতে দিয়ে গোপালের লেখা কাগজটার উল্টো পিঠে লিখে দিয়েছিলাম, আগে বাড়িতে গিয়ে মাকে একটা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াও তারপর চাল ডাল কিনে খাও, মা সুস্থ হয়ে উঠলে তখন তুমি কাজে এসো।

গোপাল সেদিন টাকাটা নিয়ে কাগজটা পড়ে কপালে ঠেকিয়ে ঝপ করে আমাকে একটা প্রণাম করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিসব খানিকটা বলে-টলে চলে গিয়েছিল।

চারদিন পর গোপালের কথা মাথা থেকে টোটালি আউট হয়ে গিয়েছিল, সেদিন সকাল ন'টা সাড়ে নটা হবে ঠিক পুজোর আগে বলে দোকানে চাপও বেশি আমি ব্যস্ততার সঙ্গে দোকানদারি করছি হঠাৎ দেখি গোপাল আমার দোকানের সামনে এসে পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে আমার হাতে দিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রইল। দোকানে তখন খদ্দেররা একটার পর একটা অর্ডার দিচ্ছে আমি তার মধ্যেও কাগজটা খুলে দেখলাম তাতে লেখা ছিল, মা এখন অনেকটা সুস্থ আমি কি আজ থেকে কাজ করতে পারি ? সেদিন আমি হেসে যেই মাথা নেড়েছিলাম গোপাল সঙ্গে সঙ্গে সেদিনই কাজে লেগে গিয়েছিল।

সেই থেকে গোপাল রয়ে গেছে, ও এখন ভোর পাঁচটায় এসে নিজে দোকান খুলে সকালে যারা হাঁটতে বেরোয় কিংবা বাস ট্রেনের প্যাসেঞ্জারদের চা করে খাওয়ায়। আমি বাড়ির বাজার করে টিফিন খেয়ে গোপালের টিফিন নিয়ে দোকানের যা মালপত্র লাগে সেসব নিয়ে দোকানে আসি যখন তখন সাড়ে আটটা নটা বেজে যায়।

গোপাল টিফিন খাওয়ার পর দু'জনে একসঙ্গে এগারোটা পর্যন্ত দোকানদারি করে ওকে ছেড়ে দিই। তিনটের আগে ও এসে দোকান সামলায় আমি বাড়ি চলে যাই আবার পাঁচটার পর দোকানে এসে রাত দশটা পর্যন্ত একসঙ্গে দু'জনে সামলাই। বললাম গোপালকে কত টাকা দেন ?

নিঃসংকোচে অতনুর বাবা যেটা বললেন আমি আর মা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না !

অতনুর বাবা বললেন, দোকানের বেচাকেনার বেশিরভাগটাই গোপাল করে বলে ওকে ১৩ হাজার টাকা করে দেই তবে নগদে ওর হাতে দেই মাসে ১১ হাজার আর দু হাজার করে প্রতিমাসে পোস্ট অফিসে ওর একটা পাঁচ বছরের রেকারিং অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি সেখানে জমা দেই যাতে পাঁচ বছর পর ওই টাকাটা ওর কাজে লাগে। বললাম গোপালকি এখনো কাগজে লিখে লিখে তার বক্তব্য বলে ? অতনুর বাবা একটু হেসে বললেন, এখন ওর হাত নাড়া আর চোখের ইশারা দেখলেই বুঝতে পারি ও কি বলতে চায়।

অতনুর বাবার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো চুপ করে শুনতে শুনতে মনে হলো, চায়ের দোকানের মালিক কিংবা টোটো চালায় বলে কাউকে অসম্মান করা উচিত না কারণ, আমরা জানিই না সমাজের প্রতি তাদের অবদান কতটা।

এইজন্যেই বোধহয় নন্দিনী বলেছিল, অতনুর বাবার সাথে একবার দেখা করতে।


মা উঠে দাঁড়িয়েছেন দেখে আমিও চেয়ার ছেড়ে উঠে চা খাওয়া মাটির গ্লাস দুটো নিয়ে দোকানের বাইরে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে সামনের টেবিলে রাখা জলের জগ নিয়ে হাত ধুয়ে মাকে দোকান থেকে যখন হাত ধরে নামাচ্ছি তখন অতনুর বাবা বললেন, চা যদি ভালো লেগে থাকে আবার আসবেন। অতনুর বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে বললাম, এখন চা খেতে আপনার দোকানে প্রায়ই আসতে হবে। অতনুর বাবা কিছু না বুঝে হেসে বললেন, অবশ্যই আসবেন।

যেখানে অতনু আমাদের টোটো থেকে নামিয়ে দিয়েছিল সেই পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মা বললেন, অতনুর বাবার কথা শুনে তোর কি মনে হলো ? একটুখানি চুপ করে থেকে বললাম, দু'জনের কথা শোনার পর আমার মনে হয়েছে, বাবা এবং ছেলে দু'জন দু'জনকে খুবই ভালোবাসে কিন্তু সেটা কখনোই একে অন্যের সামনে প্রকাশ করে না ! সম্পর্কটা বোঝা যায় তখন যখন ওরা একে অন্যের ব্যাপারে অন্য কাউকে বলে !! এছাড়াও আমার মনে হয়েছে, দু'জনের মানসিকতাও খুব ভালো তার প্রমাণ, আজ অতনুর বাবার দোকানটা ছিল বলে গোপালের মত একটা ছেলের ভবিষ্যৎ...

মা আমাকে মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বললেন, সেটাতো ঠিকই কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বৌমাকে কি বলবি ? কি আবার বলবো বলে বললাম, বলবো, এর আগে আমি নিজে যেসব ছেলের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিলাম এ ছেলে বা তার পরিবার তাদের থেকে অনেকাংশে ভালো বলে মিনুকে এও বলবো, তুমি তোমার মেয়ের সাথে কথা বলে বুধবারের জায়গায় দিন ১৫ সময় নিয়ে নাও, আমাদের একমাত্র মেয়ের বিয়েটা আমরা অনুষ্ঠান করেই করব আর কাল-পরশুর মধ্যে মেয়েকে বল অতনুর বাবা আর তার পিসিমাকে আসতে বিয়ের ফাইনাল কথা বলার জন্য।

         সমাপ্ত   

  ।সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 


আজকের সংবাদ শিরোনাম


গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত।


জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস --- আজ বোয়াও সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা।


পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ --- যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে  সারাদেশে পালিত হবে এ রাত।  


ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততর সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।


একাত্তর আর চব্বিশ ভিন্ন নয়, বরং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে --- মন্তব্য এনসিপি আহ্বায়কের।


এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপর নতুন কোরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা।

সালাতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন কখন কিভাবে করতে হয় এবং এ সম্পর্কে ১০টি হাদীস"

 "সালাতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন কখন কিভাবে করতে হয় এবং এ সম্পর্কে ১০টি হাদীস"

➖➖➖➖➖➖➖➖➖


সহীহ বুখারীর সালাত অধ্যায় সহ আরও বহু হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের ৪টি স্থানে রাফউল ইয়াদাইন বা দু হাত তোলার কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সে স্থানগুলো হল:⤵️


১. তাকবীরে তাহরীমার সময়, 

২. রুকুতে যাওয়ার সময়,

৩. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় এবং

৪. তৃতীয় রাকায়াতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময় ।


যারা আমল করবে তারা সুন্নাহ বাস্তবায়ন করার কারণে সওয়াবের অধিকারী হবে। কেউ না আমল করলেও তার নামায শুদ্ধ হবে কিন্তু সুন্নাহ বাস্তবায়নের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে।


■■উক্ত স্থানগুলোতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে নিচে ১০টি হাদীস পেশ করা হল⤵️


✔১)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন স্বলাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন । আর যখন রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলতেন । কিন্তু সিজদাহর সময় এমন করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৩ অধ্যায়: স্বলাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো, হাদীস নং-৭৩৫ ।(তাও:পাব:)


✔২)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন স্বলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরকম করতেন । আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরকম করতেন এবং সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন । তবে সিজদাহর সময় এরকম করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৪ অধ্যায়: তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু হতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো । 

হাদীস নং-৭৩৬ ।(তাও:পাব:)


✔৩)আবু কিলাবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাঃ) কে দেখেছেন, তিনি যখন স্বলাত আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তার দুহাত উঠাতেন আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখনও তার উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও তার উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরুপ করেছেন। সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৪ অধ্যায়: তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু হতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো । হাদীস নং-৭৩৭ ।(তাও:পাব:)


✔৪)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) কে তাকবীর দিয়ে স্বলাত শুরু করতে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলতেন তখন তার উভয় হাত উঠাতেন এবং কাঁধ বরাবর করতেন । আর যখন রুকুর তাকবীর বলতেন তখনও এরকম করতেন । আবার যখন সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তখনও এরকম করতেন এবং রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলতেন । কিন্তু সিজদাহয় যেতে এরকম করতেন না । আর সাজদা হতে মাথা উঠাবার সময়ও এমন করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৫ অধ্যায়: উভয় হাত কতটুকু উঠাবে । হাদীস নং-৭৩৮ ।(তাও:পাব:)


✔৫)নাফি (রাহঃ) হতে বর্ণিত যে, ইবনু উমার (রাঃ) যখন স্বলাত শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং দু’হাত উঠাতেন আর যখন রুকু করতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন । অতঃপর যখন সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন এবং দু’রাকাত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন । এ সমস্ত আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হতে বর্ণিত বলে ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন । এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালাম ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন । ইবনু তাহমান আইয়্যুব ও মুসা ইবনু উকবাহ (রাঃ) হতে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৬ অধ্যায়: দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠানো। হাদীস নং-৭৩৯ ।(তাও:পাব:)


✔৬)সালিম এর পিতা ইবনে উমার (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন স্বালাত আরম্ভ করতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমনকি তা একেবারে তার উভয় কান বরাবর হয়ে যেত। আর রুকু করার পূর্বে এবং যখন রুকু থেকে উঠতেন (তখনও অনুরুপভাবে হাত উঠাতেন)। কিন্তু উভয় সিজদার মাঝখানে তিনি হাত উঠাতেন না। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৪৭ ।(ই.ফা.বা)


✔৭)ইবনে উমার (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন স্বালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমনকি তা তার উভয় কাঁধ বরাবর হয়ে যেত। তারপর তাকবীর বলতেন। পরে যখন রুকু করার ইরাদা করতেন তখনও অনুরুপ করতেন। আবার রুকু থেকে যখন উঠতেন তখনও অনুরুপ করতেন। কিন্তু সিজদা থেকে তখন মাথা তুলতেন তখন এরুপ করতেন না। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৪৮ ।(ই.ফা.বা)


✔৮)আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাদ্বিঃ) কে দেখলেন, যখন স্বালাত আদায় করতে দাঁড়ালেন, তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উঠালেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করলেন তখন উভয় হাত উঠালেন। আর রুকু থেকে যখন মাথা উঠালেন তখন আবার হাত উঠালেন এবং (পরে) বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরুপ করতেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৫০ ।(ই.ফা.বা)


✔৯)মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকবীর (তাকবীরে তাহরীমা) বলে উভয় হাত কান বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকু করতেন তখনও কান বরাবর উভয় হাত উঠাতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা তুলে ‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন তখনও অনুরুপ করতেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৫১ ।(ই.ফা.বা)


✔১০)ওয়াইল ইবনে হুজর (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছেন যে, তিনি যখন স্বালাত শুরু করলেন তখন উভয় হাত উঠিয়ে তাকবীর বললেন। রাবী হাম্মাম বলেন, তিনি উভয় হাত কান বরাবর উঠালেন। তারপর কাপড়ে (গায়ের চাদরে) ঢেকে নিলেন। তারপর তার ডানহাত বামহাতের উপর রাখলেন। তারপর রুকু করার সময় তার উভয় হাত কাপড় থেকে বের করলেন। পড়ে উভয় হাত উঠালেন এবং তাকবীর বলে রুকুতে গেলেন। যখন ‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বললেন তখন উভয় হাত তুললেন। পরে উভয় হাতের মাঝখানে সিজদা করলেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে নাভির উপরে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখা এবং সিজদায় উভয় হাত মাটিতে কান বরাবর রাখা। 

হাদীস নং-৭৮১ ।(ই.ফা.বা)

আল্লাহু আলাম


------------------------

উত্তর প্রদানে:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন  আব্দুল জলীল

দাঈ, জুবাইল, সৌদি আরব

@followers #চলমান_ধর্ম_বনাম_চূড়ান্ত_ধর্ম #hilights #islam #salah

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৬-০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৬-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস --- গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।


মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


বাংলাদেশ রেলওয়েকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার --- জানালেন রেলওয়ে উপদেষ্টা।


ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততর সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।


১৯৭১ এবং ২০২৪ ভিন্ন নয়, বরং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে --- মন্তব্য এনসিপি আহ্বায়কের।


গাজায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত।


এবং ওয়েলিংটনে পঞ্চম ও শেষ ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে  হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড।

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

দান-ছদকা:

 দান-ছদকা:

বেতন এর টাকাকে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার পরামর্শ- 


ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের। সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হযেছিল, যেন নিশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।


একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।


কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা ছদকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে ছদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন? 


যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল ছদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল।


সুবহানাল্লাহ! কসম করে বললে মোটেও ভুল হবে না, তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।


কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে ইনশাআল্লাহ। 


কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।


আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে ছদকা নির্ধারণ করত।


আল্লাহর কসম! ‘ছদকা কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। ছদকা কর এবং ছবরের সাথে চল- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।


নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ ছদকার জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছওয়াব পাবেন যে পরিমাণ ছদকাকারী পেয়েছে। আর ছদকাকারীর ছওয়াবে কোনো কমতি আসবে না।


আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে ছদকা করতে থাকবে। আপনি ছওয়াব পেতে থাকবেন।


যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধরিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) ছদকার জন্য নির্ধারণ করুন।


যদি ছদকাকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার ছদকা ফকিরের হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে যায়। তাহলে অবশ্যই ছদকা গ্রহণকারীর তুলনায় ছদকাদানকারী অনেক গুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।


◾ছদকা দানের উপকারিতা:-


ছদকা দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।


১. ছদকা জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।

২. ছদকা আমলের মধ্যে উত্তম আমল।

৩. ছদকা কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং ছদকা-আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।

৪. ছদকা আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।

৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল ছদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।

৬. ছদকা পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রবর্ধক।

৭. ছদকা কেয়ামতের দিন ছদকাকারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।

৮. ছদকা কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় নিরাপত্তা হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখে।

৯. ছদকা গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।

১০. ছদকা উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।

১১. ছদকা দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং ছদকার ছওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।

১২. ছদকা দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।

১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। ছদকাকারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।

১৪. ছদকা দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।

১৫. ছদকা দোয়া কবুল এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।

১৬. ছদকা বালা-মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সততরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।

১৭. ছদকা হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।

১৮. ছদকা চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।

১৯. ছদকা আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।

২০. ছদকার প্রতিদান পাওয়া যায়- চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।


শেষকথা: এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম ছদকা হল, এই কথাগুলো ছদকার নিয়তে প্রচার করা।


#আমার #আমার #এই

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৬-০৩-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৬-০৩-২০২৫

আজকের শিরোনাম:


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ --- ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেশের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা।


দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার --- জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান।


নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত --- রাত সাড়ে দশটা থেকে এক মিনিট পালিত হয় প্রতীকী ব্ল্যাকআউট।


ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, বেতন-বোনাস না দিয়ে মালিকদের কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না --- জানালেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।


কৃষ্ণ সাগরে নৌ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়া ও ইউক্রেন।


এবং শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের খেলায় ভারতের সাথে গোল শূণ্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ:  ২৫ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ:  ২৫ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:…


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আগামীকাল --- বিস্তারিত কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করবে জাতি।


দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার --- মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান।


নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত --- রাত সাড়ে দশটা থেকে এক মিনিট পালিত হবে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট ।


ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, বেতন-বোনাস না দিয়ে মালিকদের কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না --- সাফ জানিয়ে দিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।

সকাল ৭ টার সংবাদ  তারিখ ২৫-০৩-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭ টার সংবাদ 

তারিখ ২৫-০৩-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউটসহ বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ জাতি পালন করবে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস।


আগামীকাল মহান স্বাধীনতা দিবস - রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর করবেন প্রধান উপদেষ্টা।


দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু।


অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি স্বাক্ষরিত।


ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার - ঈদের আনন্দ শেয়ার করে নিতে প্রিয়জনের কাছে ছুটছেন নগরবাসী।


সচেতনতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বান জানালেন বিত্রনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


গাজা থেকে সকল ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি যুক্ত করে নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিল মিশর। 


শিলং-এ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

বিখ্যাত আর্য গণিতবিদ, পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট (

 বিখ্যাত আর্য গণিতবিদ, পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট ( ৪৭৬–৫৫০ খ্রিস্টাব্দ ) প্রথমবারের মত নিখুঁতভাবে পাই ( π) এর গাণিতিক মান প্রকাশের জন্য যিনি প্রথমবারের মত এটিও আবিস্কার করেছিলেন যে পাই এর মান নির্দিষ্ট নয় বরং এটি একটি অমূলদ তথা আসন্ন সংখ্যা।তার বিখ্যাত গ্রন্থ আর্যভাটিয়া এর দ্বিতীয় অধ্যয় গণিতপাদ এর দশ নং শ্লোক এ তিনি ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে লিখেছিলেন-


চতুরাধিকং শতম্ অষ্টগুনম্ দ্বষষ্টিস্তথা সহস্রাণাম্।

আয়ুতদ্বযবিস্কম্ভস্ব আসন্নো বৃত্তপরিণাহ।।

(আর্যভাটিয়া ২।১০)  


অর্থাৎ চতুরাধিকং শতম মানে যদি ১০০ এর ৪ বেশীকে(১০০+৪=১০৪) অষ্টগুনম বা ৮ গুন করে তাকে দ্ব ষষ্টি বা ৬২ এর সহস্রাণাম বা ১০০০ গুন = ৬২০০০ এর সাথে যোগ করা হয় তাহলে আয়ুতদ্ব বা ১০০০০ এর ২ গুন তথা ২০০০০ একক ব্যাস বিশিষ্ট বৃত্তের পরিধি পাওয়া যাবে।


এখানে বৃত্তের পরিধি হল (১০৪*৮+৬২০০০)এবং ব্যাস হল ২০০০০।


আমরা জানি π=পরিধি/ব্যাস।

তাহলে এখানে পাই এর মান পাই-


(১০৪*৮+৬২০০০)/২০০০০=

৬২৮৩২/২০০০০


অর্থাৎ ৩.১৪১৬!!!!


এবং তিনি বলেও দিয়েছেন এই মান "আসন্নো" মানে আসন্ন অর্থাৎ দশমিক এর পরে চলতেই থাকবে,এখানেই শেষ নয়।


এছাড়াও, আর্যভট্ট ধ্বনিসংক্রান্ত সংখ্যার স্বরলিপির একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন যেখানে সংখ্যাগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণ-স্বরবর্ণের মনোসিলেবল দ্বারা উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী ভাষ্যকার যেমন ব্রহ্মগুপ্ত তার কাজকে গণিতা ("গণিত"), কালক্রিয়া ("সময়ের গণনা") এবং গোলাপদা ("গোলাকার জ্যোতির্বিদ্যা") এ ভাগ করেছেন । তাঁর বিশুদ্ধ গণিত আলোচনা করে যেমন বর্গ এবং ঘনমূলের নির্ণয় , জ্যামিতিক পরিসংখ্যানগুলি তাদের বৈশিষ্ট্য এবং পরিমাপ সহ , গনোমনের ছায়ায় গাণিতিক অগ্রগতি সমস্যা , দ্বিঘাত সমীকরণ , রৈখিক এবং অনির্ধারিত সমীকরণ।আর্যভট্টের সাইন টেবিল এবং ত্রিকোণমিতির উপর তার কাজ ইসলামের স্বর্ণযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল ।তার কাজগুলো আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং আল-খোয়ারিজমি এবং আল-জারকালিকে প্রভাবিত করেছে। তার গোলাকার জ্যোতির্বিদ্যায়, তিনি গোলাকার জ্যামিতিতে সমতল ত্রিকোণমিতি প্রয়োগ করেন এবং সৌর, চন্দ্রগ্রহণের হিসাব দেন। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে নক্ষত্রের আপাত পশ্চিমমুখী গতি গোলাকার পৃথিবীর তার নিজের অক্ষের আবর্তনের কারণে । আর্যভট্ট আরও উল্লেখ করেছেন যে চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহের উজ্জ্বলতা প্রতিফলিত সূর্যালোকের কারণে।


আর্যভট্টীয় বইটির গোলপাদ অংশে আর্যভট্ট উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবী নিজ অক্ষের সাপেক্ষে ঘোরে। তিনি পৃথিবীর আক্ষিক গতির হিসাবও করেছিলেন। তার হিসেবে পৃথিবীর পরিধি ছিল ৩৯,৯৬৮ কিলোমিটার, যেটা সে সময় পর্যন্ত বের করা যেকোন পরিমাপের চেয়ে শুদ্ধতর (ভুল মাত্র ০.২%)। সৌর জগৎে গ্রহগুলোর কক্ষপথের আকৃতি তার ভাষ্যে ছিল উপবৃত্তাকৃতির, এক বছর সময়কালের প্রায় সঠিক একটি পরিমাপ করেছিলেন, সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সঠিক কারণ উল্লেখ করা এবং তার সময় নির্ধারণ করা।


প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দুটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মাঝে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। আর্য-সিদ্ধান্তের কোন পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে।


আর্যভট্টের কাজের অধিকাংশই তিনি করেছিলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কেউ কেউ বলেছেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবেও আর্যভট্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন।


পুনের আইইউসিএএ - তে আর্যভট্টের মূর্তি 🙏


✍️ অজানা ভারতবর্ষ Discover India 🇮🇳 Repost.

হাইপেশিয়া: ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ ও দর্শনের আলো

 হাইপেশিয়া: ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ ও দর্শনের আলো


হাইপেশিয়া—এক বিস্ময়কর নাম, ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ, দার্শনিক ও আবিষ্কারক। শুধু গণিতেই নয়, তিনি দর্শন ও বিজ্ঞানেরও পথিকৃৎ ছিলেন। বলা হয়, তিনিই হাইড্রোমিটার আবিষ্কার করেছিলেন, যা তরলের ঘনত্ব পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।


জন্ম ও শিক্ষা


হাইপেশিয়ার জন্ম ৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে (কিছু মতানুসারে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে) আলেকজান্দ্রিয়ায়। তার পিতা ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক ও গণিতবিদ থিওন। তিনিই ছিলেন হাইপেশিয়ার প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। গণিত, দর্শন এবং সাহিত্য—প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অগাধ জ্ঞান অর্জন করেন।


শিক্ষা ও প্রভাব


হাইপেশিয়ার প্রধান কাজ ছিল শিক্ষাদান। তিনি আলেকজান্দ্রিয়ার মানুষের কুসংস্কার ও অন্ধত্ব দূর করার লক্ষ্যে অসংখ্য লেকচার দিতেন। তার জ্ঞান ও যুক্তিবাদিতা শুধু আলেকজান্দ্রিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।


ধর্ম ও রাজনীতির সংঘাত


হাইপেশিয়া কোনো আব্রাহামিক ধর্ম অনুসরণ করতেন না; তিনি ছিলেন প্যাগান দর্শনের অনুসারী। সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল দুই শক্তির মধ্যে—একদিকে রোমান সম্রাট ওরেস্টেস, অন্যদিকে খ্রিস্টান চার্চের আর্চবিশপ সিরিল।


ওরেস্টেস ছিলেন হাইপেশিয়ার অনুরাগী, তিনি নিয়মিত তার বক্তৃতা শুনতে যেতেন। এটি সিরিলের জন্য সহ্য করা কঠিন হয়ে উঠল। সিরিল লক্ষ্য করলেন, হাইপেশিয়ার লেকচার শুনতে তার বাড়ির সামনে গাড়ির বহর লেগেই থাকত। ক্রমেই তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।


নৃশংস হত্যা


সিরিল হাইপেশিয়াকে ডাইনী ঘোষণা করেন। তখনকার ধর্মান্ধ খ্রিস্টানরা ডাইনী সন্দেহভাজন কাউকে পেলেই নির্মমভাবে হত্যা করত। হাইপেশিয়াও তাদের রোষানলে পড়লেন। একদিন উন্মত্ত জনতা তাকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করল।


হাইপেশিয়া: ধর্মান্ধতার বলি


হাইপেশিয়া ছিলেন ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ, দার্শনিক এবং সাহিত্যবিশারদ, যিনি ধর্মান্ধতার নির্মম বলি হন।


হাইপেশিয়ার কিছু অমর উক্তি


🔹 "নিজের চিন্তাকে নিজের মতো করে সংরক্ষণ কর। সে চিন্তা যদি ভুলও হয়, তাও ভালো—নিজে চিন্তা না করার চেয়ে।"


🔹 "রূপকথাকে জানা উচিত রূপকথা হিসেবে, পুরাণ কাহিনিকে শেখা উচিত পুরাণ কাহিনী হিসেবে। আর অলৌকিক ঘটনাকে বোঝা উচিত কল্পনার মতো করে। কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসকে সত্য হিসেবে শিক্ষা দেওয়ার মতো ভয়ানক কিছু নেই।"


🔹 "প্রতিটি ধর্মই প্রতারণাপূর্ণ। একজন আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ব্যক্তি তা কখনোই গ্রহণ করতে পারে না।"


হাইপেশিয়া শুধুই এক নারী গণিতবিদ নন, তিনি ছিলেন যুক্তির প্রতীক, বিদ্যার আলো, এক বিপ্লবী চিন্তানায়িকা। কিন্তু কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার কাছে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তবুও, তার জ্ঞান আজও মানুষকে যুক্তিবাদ ও সত্যের পথে আলো দেখায়।


#হাইপেশিয়া #গণিত #দর্শন #বিজ্ঞান #প্রথম_নারী_গণিতবিদ #অভিনয়

ইলেকট্রিক ফ্যানের বিদ্যুৎ বীল হিসাব

 

১. যদি ফ্যানের পাওয়ার রেটিং ৭৫ ওয়াট হয়:

প্রতি ঘণ্টায় খরচ =  কিলোওয়াট = 0.075 kWh

১২ ঘণ্টায় খরচ =  = 0.9 kWh (ইউনিট)

এক মাসে (৩০ দিনে) খরচ =  = 27 ইউনিট

২. যদি ফ্যানের পাওয়ার রেটিং ৯০ ওয়াট হয়:

প্রতি ঘণ্টায় খরচ =  = 0.09 kWh

১২ ঘণ্টায় খরচ =  = 1.08 kWh

এক মাসে (৩০ দিনে) খরচ =  = 32.4 ইউনিট

বিল হিসাব (বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ইউনিট রেট অনুযায়ী)

বাংলাদেশে গড়ে প্রতি ইউনিট ৭ টাকা ধরা হলে:

৭৫ ওয়াট ফ্যানের মাসিক বিল =  = 189 টাকা

৯০ ওয়াট ফ্যানের মাসিক বিল =  = 227 টাকা

 ডা.হুমায়ূন বিশ্বাস স্যারের লেখা থেকে সংগ্রহ  ডিএইচএমএস পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হিসেবে  মেটেরিয়া মেডিকা ১ম বর্ষ সিনাঃ Cina Maritime(Cina)

 ডা.হুমায়ূন বিশ্বাস স্যারের লেখা থেকে সংগ্রহ 

ডিএইচএমএস পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হিসেবে 

মেটেরিয়া মেডিকা ১ম বর্ষ


সিনাঃ Cina Maritime(Cina)

🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐


🖌️প্রুভারের নামঃ 

ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান


🖌️উৎসঃ 

ইহা একটি বৃক্ষ যার ফুল সবুজ হলুদ, এই গাছের বীজ হতে মূল আরক তৈরী হয়।


🖌️প্রাপ্তিস্থানঃ 

রাশিয়া, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, ভারতের কাশশ্মীরে পাওয়া যায়।


🖌️সমনামঃ 

ওয়ার্মসীড (Worm seed), আর্টিমিসিয়া কন্ট্রা, কির্মালা, সোমরাজ বীজ।


🖌️উপশমঃ 

শিশুকে কোলে নিয়া বেড়াইলে, নড়াচড়ায়, পেট চাপিয়া শয়নে, মাথা নাড়িলে, দুলাইলে, চোখ রগড়াইলে।


🖌️বৃদ্ধিঃ 

রাতে, নিদ্রাকালে, মধ্যরাতের পূর্বে, অপরিচিত লোক দেখিলে, খোলা বাতাসে, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা পানি নাড়লে, হাই তুলিলে, টিকা দিলে, পূর্ণিমাতে, মিষ্টি জিনিস খেলে, রাগের পর, বেশী খেলে, কোন কিছুর দিকে এক দৃষ্টে তাকালে, ক্রিমি বাড়লে, সূর্যের তাপে, গরমকালে, স্পর্শে।


🖌️ক্রিয়াস্থলঃ 

অন্ত্র, মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড পাকস্থলী, মুত্রথলি, চোখ, বামদিকে ও শিশুদের পীড়ায়।


🖌️ধাতুগত লক্ষণঃ 

চোখের চারদিকে কালিমা, একটি গাল লাল, অপরটি ফ্যাকাশে, বদমেজাজী, সোরা ধাতু।


🖌️রোগের কারণঃ 

ক্রিমি বিশেষতঃ গোল কৃমি (Round Worm), মিষ্টি খেলে, অতিরিক্ত আহার, সহজপ্রাচ্য নয় এমন খাবার খেলে যেমন কয়লা, চারকল, চক, পাথরের টুকরা ইত্যাদি।


🖌️অনুপূরকঃ 

এন্টিম-টার্ট, ক্যাল-কার্ব, ড্রসেরা,র‍্যাটেনহিয়া।


🖌️ক্রিয়ানাশকঃ 

ক্যাস্ফর, ক্যাপসিকাম, চায়না ইপিকাক।


✒️চরিত্রগত লক্ষণঃ


📌১. সিনা প্রধানতঃ শিশুদের কৃমি বা কৃমিজনিত উপসর্গ

নিবারনের ব্যবহৃত হয়।


📌২.কোন লক্ষণের সহগামী লক্ষণ হিসাবে হাই উঠে বা কেহ হাই তুলিলো রোগীরও হাই উঠে।


📌৩.চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, একগাল লাল অন্যগাল ফ্যাকাশে।


📌৪.নিদ্রাবস্থায় দাঁত কড়মড় (দাঁতে দাঁত ঘষা) করে এবং জাগ্রত অবস্থা ১ নাকের মধ্যে সড় সড়, করিতে থাকে বলিয়া অনবরত নাক খোঁটে ঘুমের মধ্যে কাঁদে ও কথা বলে।


📌৫.শিশু এক পাশ থেকে আর এক পাশে হাত ছুঁড়তে থাকে।


📌৬.শিশু হঠাৎ নিদ্রা থেকে জেগে উঠে কোন দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চিৎকার করে কাঁদিতে থাকে।


📌৭.শিশুদের গায়ের গন্ধ টক টক।


📌৮.মাথায় অত্যন্ত স্পর্শকাতর তার জন্য শিরঃপীড়া সময় মহিলারা চুল ঝুলাইয়া রাখে, বাধতে পারে না, শিশুরা মাথা আচড়াইতে দেয় না পর্যায়ক্রমে মাথা ও তলপেটে ব্যথা মাথা সামনের দিকে নোয়াইলে (Stooping) উপশম।


📌৯.মিষ্টি খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা এবং বিভিন্ন অপাচ্য খাদ্য (চক, চারকল কয়লা, মাটি, পাথরের টুকরা) খাওয়ার ইচ্ছা।


📌১০.রোগী হামাগুড়ি (Knee Elbow Pasition) হইয়া পাছা উচু করিয়া ঘুমায়, উপুড় হইয়া ঘুমায়।


📌১১.দোল দিতে থাকিলে শিশু শান্ত হইয়া ঘুমাইয়া যায়।


📌১২.জিহবা পরিষ্কার।


📌১৩.জ্বরে মুখমন্ডল ঠান্ডা কিন্তু হাত দুটি গরম।


📌১৪.রাক্ষুসে ক্ষুধা ও পিপাসাহীনতা, যত পায় তত খায়। খাইয়া তাহার আশ মিটে না, আরো চাহিতে থাকে, খাইতে না পারলে চিবাইয়া চিবাইয়া ফেলিয়া দিতে থাকে। খাবার দেখিলে নড়িতে চায় না, খাবার লইয়া বসিয়া থাকে। খাইতে না দিলে ক্রমাগত ঘ্যান ঘ্যান করিয়া বাড়ী শুদ্ধ লোককে অতিষ্ট করিয়া তোলে।


📌১৫.রাক্ষুসে ক্ষুধার সহিত কোন কোন সময় ক্ষুধা হীনতা ও থাকে। 


📌১৬.মাতৃ দুধে অনিচ্ছা। 


📌১৭.মৃগী রোগের আক্রমনের পূর্বে ও পরে মাথা ব্যথা করে।


📌১৮. শিশুরা পড়তে বসলে মাথা ব্যথা করে, সেলাই করলে মাথা ও চোখে যন্ত্রনা হয়। 


📌১৯. শিশুরা রাতের নিদ্রায় বিছানায় প্রস্রাব করে (Nocturnal Enuresis) পূর্ণিমা রাতে উহা বৃদ্ধি পায়।


📌২০. প্রস্রাব ঘোলা, কিছুক্ষণ পর সাদা হইয়া যায়।


📌২১. মুখে পানি জমে।


📌২২. ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র এবং পরিমাণে বেশী।


📌২৩. অত্যন্ত ক্রুদ্ধ স্বভাব, জেদী, একগুঁয়ে।


📌২৪. কোলে থাকিতে চায়।


📌২৫. অপরিচিত ব্যক্তির সহিত কথা বলিতে চায় না, কেহ তাহার মুখের দিকে তাকাইলে বিরক্ত হইয়া ক্রুদ্ধ হইয়া পড়ে।


📌২৬. শিশু ক্রমাগত লিঙ্গ ঘাটে।


📌২৭. নানা রকম জিনিসের বায়না ধরে, দিলে গ্রহণ করে না।


📌২৮. অদ্ভুত ধারণা মনে করে যেন সে কোন অন্যায় কাজ করেছে।


📌২৯. ভাল ব্যবহারের শিশুরাও অসুস্থ হয়ে খিটখিটে হয়ে পড়ে।


সিনার মানসিক লক্ষণঃ

================


চরিত্রগত লক্ষণের ২৩-২৯ পর্যন্ত


কৃমিতে সিনার ব্যবহারঃ

================


সিনা প্রধানতঃ শিশুদের কৃমি (গোলকৃমি) বা কৃমিজনিত উপসর্গে ব্যবহৃত হয়। শিশু নিদ্রাবস্থায় দাঁত কড়মড় করে। জাগ্রত অবস্থায় নাক চুলকায়, গায়ে টক গন্ধ, মুখে পানি জমে। ঘুমের মধ্যে কাঁদে ও কথা বলে। কৃমির সহিত রাক্ষুসে ক্ষুধা, গুহ্যদ্বারে চুলকানি।


সিনার শিশু- শিশু অত্যন্ত বদরাগী, একগুয়ে, ঘ্যানঘ্যানে প্রকৃতির, রাত্রে ছটফট করে, নিদ্রাবস্থায় খুব জোরে চীৎকার করিয়া উঠে, দাঁত কড়মড় করে, প্রস্রাব অত্যন্ত ঘোলা, নাকে চুলকানির ফলে নাক খোটে বা ডলে। সর্বদা দোল খেতে চায়। স্পর্শ, আদর বা কোলে উঠতে চায় না। অনেক কিছু চায় কিন্তু দিলে সব কিছু ছুড়ে ফেলে।

স্বামীপেডিয়া

 ------- স্বামীপেডিয়া 😃

১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):

এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। 

২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):

এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। 

৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):

এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।

৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):

এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।

৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):

এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। 

৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):

এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। 

৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):

এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।

১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): 

এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।

১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):

এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে।

গরু ও মহিষের  হিটে (গরম হবার)  আসার লক্ষণ:

 গরু ও মহিষের  হিটে (গরম হবার)  আসার লক্ষণ:


লেজ নাড়ানো: গাভী ঘন ঘন লেজ নাড়ায়।

খাবার গ্রহণে অনীহা: গাভী স্বাভাবিকের চেয়ে কম খাবার গ্রহণ করে।


বারবার ডাকাডাকি করা (Repeated bellowing)।


লেজ উত্তোলন করা।


যৌনাঙ্গের ঠোঁট ফুলে যাওয়া এবং লালচে হওয়া।


ঘন, লম্বাটে এবং স্বচ্ছ রস নির্গত হওয়া।


ঘন ঘন প্রস্রাব করা (Micturition)।


অস্থিরতা দেখা দেওয়া, অন্য পশুর গন্ধ শোঁকা এবং তাদের ওপরে চড়ে বসা।


প্রজননের সঠিক সময়: 


গরমের ১০-১২ ঘণ্টা পর, গাভী অন্য গাভী বা ষাঁড়কে তার ওপর চড়তে দেয়—এটিই কৃত্রিম প্রজননের (AI) সঠিক সময়।


স্বাভাবিক প্রজনন বা কৃত্রিম প্রজনন (AI) গরমের প্রথম লক্ষণ দেখার ১০-১২ ঘণ্টা পরে করানো উচিত, তবে সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টার মধ্যে।


যদি সন্ধ্যায় গরমের লক্ষণ দেখা যায়, তবে পরের দিন সকালে কৃত্রিম প্রজনন করানো উচিত।


যদি পরের দিন সকালে গরম অব্যাহত থাকে, তবে একই দিনে আবার কৃত্রিম প্রজনন করা যেতে পারে।


যদি পশু গর্ভধারণ না করে, তবে ১৮-২১ দিনের মধ্যে পুনরায় গরমে আসবে।


প্রজননের ২১ দিন পর পুনরায় গরমের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা উচিত, বিশেষ করে ভোরবেলা বা রাতের শেষ দিকে।


মহিষের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হবে, কারণ তাদের গরমের লক্ষণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় না। সাইলেন হিট থাকে।


কৃত্রিম প্রজনন (AI) প্রক্রিয়া:


প্রাণী চিকিৎসক বা খামারি বা প্রজনন কর্মী প্রথমে গাভীর হিটের লক্ষণগুলি পরীক্ষা করবেন: 

এরপর, একটি জীবাণুমুক্ত ক্যাথেটারের মাধ্যমে উন্নত জাতের ষাঁড়ের সিমেন গাভীর জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয়।


এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ দক্ষতা এবং পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন।


কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা:


উন্নত জাতের পশু উৎপাদন: কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে উচ্চ উৎপাদনশীল গাভী উৎপাদন করা যায়।


রোগমুক্ত পশু পালন: এই পদ্ধতিতে রোগমুক্ত ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করা হয়, যা গাভীকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।


উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত গাভী বেশি দুধ দেয় এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা খামারের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।


সহজলভ্যতা: উন্নত জাতের ষাঁড়ের সিমেন সহজেই পাওয়া যায়, যা খামারিদের জন্য সুবিধাজনক।


কৃত্রিম প্রজননের কিছু বিবেচ্য দিক:


সঠিক সময় নির্ধারণ: গাভীর হিটের সঠিক সময় নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


পরিচ্ছন্নতা: কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়াটি জীবাণুমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করা উচিত।


দক্ষতা: এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য দক্ষ পশু চিকিৎসক বা খামারির প্রয়োজন।

আমি মুসলিম হতে চাই! মিজানুর রহমান আজহরী ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমি মুসলিম হতে চাই! 


"একজন বিধর্মী মুসলিম হবে, এখন সেই কোন মুসলিম হতে হবে"!!!!??? 


১. আমি কি, শিয়া" মুসলিম হবো!? 

২. আমি কি তাবলীগ পন্থী মুসলিম হবো!? 

 ৩. আমি সাদ পন্থী মুসলিম হবো!? 

৪. আমি কি আলিয়া "মুসলিম হবো!? 

 ৫. আমি তরিকা পন্থী " মুসলিম হবো!? 

  ৬. আমি কি জামাত " মুসলিম হবো!? 

 ৭. আমি কি ইলিয়াছী " মুসলিম হবো!? 

৮. আমি কি চরমোনাই " মুসলিম হবো!? 

৯. আমি কি হেফাজত মুসলিম হবো!? 

১০. আমি দেওবন্দী মুসলিম হবো!? 

১১. আমি কি  সুন্নি মুসলিম হবো!? 

১২. আমি কি পীর পন্থী মুসলিম হবো!? 

১৩. আমি কি যুবায়ের পন্থী মুসলিম হবো!? 

১৪. আমি কওমীয় মুসলিম হবো!? 

১৫.  আমি কি মওদুদী মুসলিম হবো!? 

 ১৬. আমি কি মাইজভান্ডারী মুসলিম হবো!? 

 ১৭. আমি কি নকশোবন্দী মুসলিম হবো!? 

১৮. আমি কি মোহাম্মদী" মুসলিম হবো!?

১৯. আমি কি খারেজী মুসলিম হবো!? 

২০. আমি কি মুতাযিলাহ, মুসলিম হবো!? 

২১. আমি কি মুরজিয়াহ, মুসলিম হবো!? 

২২. আমি কি মুনকিরে হাদিস" মুসলিম হবো!? 

২৩. আমি কি আশ"আরী মাতুরিদী 

২৪. আমি কি ইখওয়ানী মুসলিম হবো!? 

২৫. আমি কি হিযবুত তাওহীদ" মুসলিম হবো!? এবং 

২৬. আমি কি দেওয়ানবাগী মুসলিম হবো !? ইত্যাদি........... 

# এই রকম আর-ও কিছু দলের নাম বলা সম্ভব,,,, 


যারা বলেন শুধু মুসলিম পরুচয় দিতে হবে, 

এখন তাদের নিকট আমার জিগ্যেসা, 

এত গুলো দল থেকে আমি কোন মুসলিম দলে ভর্তি হবো !???


বিঃ দ্রব্যঃ- আমাম হতে,  আমরা সবাই মোহাম্মদী" / আহলে হাদিস ( রাসূলের অনুসারী / কুরআন এবং সহি হাদিসের অনুসারী) মুসলিম হতে হবে...

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

আজ আমি আনন্দের সংজ্ঞা কি সেটা জানি। আর সেই আনন্দ নিয়েই আমি আমৃত্যু থাকতে চাই। 

 নাইজেরিয়ান তেল কোম্পানীর মালিক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ফেমি ওতেদোলা একবার এক রেডিও ইন্টারভিউতে তার জীবনের অজানা অনেক কিছু জানাচ্ছিলেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে উপস্থাপক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কি এমন কোনো স্মৃতি আছে, যখন আপনার মনে হয়েছিল আপনি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ?’ 


ওতেদোলা বললেন, "আমার জীবনে আমি সুখের খোঁজে চারটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তারপর অবশেষে আমি সত্যিকারের সুখের খোঁজ পেয়েছি। 


প্রথম পর্যায় ছিল যত পারা যায় ধনসম্পদ উপার্জন। কিন্তু সবকিছু অর্জন করেও আমি সুখের দেখা পাইনি। 


এরপর দ্বিতীয় পর্যায় ছিল দামি ও বিলাসবহুল জিনিসপত্র কেনা। আমার কাছে মনে হতো এর মাধ্যমে আমি সুখ পাব। কিন্তু এবারও আমি সুখের দেখা পেলাম না।   


এরপর তৃতীয় পর্যায়ে বড় বড় প্রজেক্ট নিজের করে নেয়া শুরু করলাম। একটা সময় নাইজেরিয়া ও আফ্রিকার ৯৫% ডিজেলের সাপ্লাইয়ার ছিলাম আমি। আফ্রিকা ও এশিয়ায় সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল আমার। কিন্তু এরপরও আমি সুখ পেলাম না।


এই অবস্থায় একদিন আমার এক বন্ধু অনুরোধ করল ২০০ প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্য হুইলচেয়ার কিনে দিতে। 


বন্ধুর অনুরোধে আমি তখনই ২০০ হুইলচেয়ার কিনে ফেললাম। কিন্তু আমার বন্ধু বলল আমি নিজেই যেন বাচ্চাদের হাতে হুইলচেয়ারগুলো তুলে দিই। তাই বন্ধুর সাথে আমি সভাস্থলে উপস্থিত হলাম। 


আমি গিয়ে বাচ্চাদের হাতে হুইলচেয়ার তুলে দিলাম। হুইলচেয়ার পেয়ে তারা আনন্দের সাথে এখানে ওখানে ছুটাছুটি করতে লাগল। একেকজনের মুখে সে কি অপার্থিব হাসি। যেন এর চেয়ে আনন্দের দিন তাদের জীবনে আর আসেনি। 


এসব দেখে নিজের মধ্যে কেমন এক আনন্দ অনুভূত হলো। মনে হলো জীবনে আগের চারটি পর্যায় পার হয়েও, সবকিছু পেয়েও , এতটা আনন্দ কখনও হয়নি। 


এরপর যখন আমি অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে যাব হঠাৎ এক বাচ্চা আমার পা জড়িয়ে ধরল। আমি তার কাছ থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম, কিন্তু বাচ্চাটি আরও শক্ত করে পা ধরে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। 


আমি হাঁটু গেড়ে বসে বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার কি আর কিছু দরকার?’  


বাচ্চাটি বললো, ‘আমি আপনার চেহারাটা ভালোভাবে মনে রাখতে চাই। যদি জান্নাতে আমাদের দেখা হয় সেদিনও যেন আমি আপনাকে চিনতে পারি আর আজকের এই দিনটির জন্য আরও একবার ধন্যবাদ দিতে পারি।’ 


ছোট বাচ্চার জবাবে ফেমি ওতেদোলার দুচোখের জল বাঁধ ভেঙ্গে গেলো। ছোট বাচ্চাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।


ফেমি ওতেদোলা বলেন, ছোট্ট এই ঘটনা আমাকে কেবলই আনন্দিতই করেনি, বরং সেদিন থেকে আমার কাছে জীবনের অর্থই পাল্টে গিয়েছে। আজ আমি আনন্দের সংজ্ঞা কি সেটা জানি। আর সেই আনন্দ নিয়েই আমি আমৃত্যু থাকতে চাই। 


 ডাক্তার সুৃামাইয়া সিমু পেইজ থেকে সংগৃহীত

শিক্ষকতায় আপনি কেন এলেন তা নিজের কাছে স্পষ্ট রাখুন

 শিক্ষকতায় আপনি কেন এলেন তা নিজের কাছে স্পষ্ট রাখুন। চাকরি, টাইম-পাস অথবা পার্টটাইম জব হিসেবে নয়, শিক্ষকতাকে একটি মহান সেবা বা মিশন হিসেবে গ্রহণ করুন। তাহলেই আপনি শিক্ষকতায় ভালো করবেন।

'অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা' নয়, 'আলোকিত মানুষ গড়ার জন্যে শিক্ষা'- এ নীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়ান।

ক্লাসে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করুন।

সময়মতো ক্লাসে আসুন। দেরি করে ক্লাসে এসে স্লাইডের মাধ্যমে চটজলদি পড়িয়ে ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা পরিহার করুন।

বড় হওয়ার স্বপ্ন ও লক্ষ্য শিক্ষার্থীর মনে এঁকে দিন।

এ লক্ষ্য অর্জনে তার ঘাটতিগুলোকে সহজভাবে নিন। তার যে কিছু অনন্য মেধা, গুণ ও যোগ্যতা আছে তা খুঁজে পেতে তাকে সাহায্য করুন।

এক শিক্ষার্থীকে কখনোই অন্য শিক্ষার্থীর সাথে তুলনা করবেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই অনন্য। তাদের এ অনন্যতাকে গুরুত্ব দিন। সর্বতোভাবে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করুন।

শিক্ষার্থীদের নাম জানুন ও মনে রাখুন।

'অ্যাই ছেলে/ অ্যাই মেয়ে' কিংবা রোল নম্বর ধরে ডাকবেন না। নাম ধরে ডাকলে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়।

শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কের সীমা বজায় রেখে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। তবে রসিকতা করে নিজের ব্যক্তিত্বকে ক্ষুণ্ণ করবেন না।

বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের সাথে কথায়, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে শালীন ও মার্জিত আচরণ করুন। শোভন সীমা বজায় রাখুন।

ক্লাস নেয়ার আগে হোমওয়ার্ক করুন, প্রস্তুতি নিন। যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন তার আপডেটেড কারিকুলাম সম্পর্কে অবহিত থাকুন।

প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করুন।

প্রতিটি ক্লাস নেয়ার আগে পাঁচ মিনিট চোখ বন্ধ করে মনের পর্দায় দেখুন- ক্লাসে সবাই আপনার পড়ানো বুঝতে পারছে, আপনার সান্নিধ্য তাদেরকে আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করছে, আপনার কথাগুলো তারা মনোযোগ দিয়ে শুনছে, উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আপনাকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করছে। দেখবেন, বাস্তবেও তা-ই হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের নীতিকথা বলার আগে নিজে তা অনুসরণ করুন। তাহলেই আপনার কথার শুভপ্রভাব তাদের ওপর পড়বে।

কোনো পড়া বোঝানোর সময় শিক্ষার্থীদের মতামত নিন- আসলেই তারা বুঝতে পারছে কিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্যকে আরো সহজ এবং গল্প ও উদাহরণসমৃদ্ধ করুন।

নিজেকে শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিয়ে গিয়ে ধৈর্য সহকারে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

কোনো শিক্ষার্থী পড়া বুঝতে না পারলে তাকে গালমন্দ করবেন না। তার ওপর বিরক্তও হবেন না; বরং ক্লাসের পরে সুবিধাজনক সময়ে পড়া বুঝিয়ে দিন। প্রশান্ত থাকুন, তাহলে তার মতো করে তাকে বোঝাতে পারবেন।

নিজের লেখা বই/ নোট পড়তে বাধ্য করবেন না। অন্য লেখকদের বইকে প্রাপ্য সম্মান দিলে আপনার সম্মানও বেড়ে যাবে।

যে বিষয় পড়াচ্ছেন তা কত জটিল/ কঠিন এবং সে-বিষয়ে সাধারণত কেউ ভালো করতে পারে না- এ ধরনের কথা বলে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাবেন না। শিক্ষক হিসেবে আপনার দেয়া সাহস শিক্ষার্থীদের সে-বিষয়ের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে।

আর মনোযোগ যে-কোনো কঠিন বিষয়কে সহজ করে তোলে।

শিক্ষার্থীদের কাছে কোনো শিক্ষককে নিয়ে কটু মন্তব্য করবেন না।

প্রশংসা করতে না পারলে মৌন থাকুন।

কোন শিক্ষকের চেয়ে কোন শিক্ষক ভালো পড়ান/ কে বেশি জনপ্রিয়- এ জাতীয় প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না।

ক্লাসে কম পড়িয়ে নিজের কোচিং বা ব্যাচে পড়তে প্রলুব্ধ করা বা বাধ্য করা থেকে বিরত থাকুন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রান্তে জড়াবেন না। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন নিতে প্রলুব্ধও করবেন না। অন্যায় করা আর অন্যায়ে ইন্ধন দেয়া-দুটোই অপরাধ।

কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে বলুন- এর উত্তর আপনি পরে জেনে জানাবেন। এতে আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। ভুল উত্তর দেয়া/ গোঁজামিল দেয়া বা এরকম প্রশ্ন কেন করেছে ভেবে রাগান্বিত হওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ভালো রেজাল্টধারীদের প্রতি সুনজর দিতে গিয়ে যারা অপেক্ষাকৃত কম ভালো করছে, তাদের প্রতি অমনোযোগী হবেন না। আপনার একটু সহযোগিতা ও চেষ্টা তাদেরকেও এগিয়ে নেবে।

ব্যক্তিগত রোষের কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে কম নম্বর দেয়ার মতো অন্যায় করবেন না। এ ব্যাপারে সচেতন ও সংযত থাকুন। আসলে ক্ষমা সর্বোত্তম গুণ এবং স্রষ্টা ক্ষমাশীলকে পছন্দ করেন।

দীর্ঘদিন কোনো শিক্ষার্থী আপনার ক্লাসে অনুপস্থিত অথবা অনিয়মিত থাকলে নিজ উদ্যোগে তার ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করুন।

জন্মদিনে কেক, ফাস্ট ফুড, চকলেট স্কুলে আনতে উদ্বুদ্ধ না করে শিক্ষার্থীদের গাছ লাগানো, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বা যে-কোনো সৎকর্মে অনুপ্রাণিত করুন।

শিক্ষার্থীদেরকে অপদার্থ, নালায়েক, মূর্খ, বোকা- এ জাতীয় নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। ইতিবাচক কথার মাধ্যমে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করুন।

বকাঝকা ও গালিগালাজের মাধ্যমে মানসিক অত্যাচার কিংবা শারীরিক শাস্তি আসলে শিক্ষক হিসেবে আপনার পরাজয়কেই প্রমাণিত করে। তাই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝে সংশোধনের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

কথা শোনে না, পড়তে চায় না, অমনোযোগী-শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে এভাবে ঢালাও অনুযোগ না করে তাদের প্রতি সমমর্মী হোন, তাদেরকে মনোযোগী করে তোলার কৌশলগুলো নিয়ে ভাবুন ও পদক্ষেপ নিন।

জনপ্রিয় শিক্ষক হওয়ার বাসনা থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যক্তিগত ফোনালাপ বা তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকুন।

ক্লাস চলাকালে মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখুন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত অবস্থায় বিনোদনের জন্যে ইন্টারনেট, ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ব্যস্ত থাকবেন না।

কোনো শিক্ষার্থী কথা বলতে এলে ধৈর্য ধরে তার কথা শুনুন। সেই মুহূর্তে সম্ভব না হলে বা শিক্ষার্থী পরে কোনো সময় দেখা করতে চাইলে এপয়েন্টমেন্ট দিন।

নিজের রুমের চেয়ে টিচার্স কমনরুমে কথা বলাকে অগ্রাধিকার দিন।

জরুরি নোটিশ বা ডকুমেন্ট আদানপ্রদানের জন্যে 'ফেসবুক গ্রুপ' করতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করবেন না। প্রয়োজনে ই-মেইল করুন।

পিকনিক/ বনভোজন/ আনন্দভ্রমণ/ শিক্ষাসফরে খেয়াল রাখুন- ছাত্রছাত্রীরা চোখের আড়াল হচ্ছে কিনা। সচেতন থাকুন- আনন্দের উন্মাদনায় যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করুন।

হেপাটাইটিস -B রোগের লক্ষন ও প্রতিকার:

 হেপাটাইটিস -B রোগের লক্ষন ও প্রতিকার:


হেপাটাইটিস বি একটি ভাইরাল রোগ। এটি লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এ রোগের কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। এটি প্রধানত রক্ত পরিসঞ্চালন, শারীরিক সম্পর্ক, সুচ বা ইনজেকশনের ব্যবহার কিংবা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে শিশুর মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এর দ্রুত মারাত্মক হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে লিভারের সার্বিক কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।


হেপাটাইটিস বি রোগের লক্ষণ


হেপাটাইটিস বি-এর লক্ষণ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। অনেক সময় রোগী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোনো লক্ষণ অনুভব না-ও করতে পারে, বিশেষত যদি এটি পুরোনো বা ‘ক্রনিক’ হয়ে যায়। তবে সাধারণত হেপাটাইটিস বি-এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো—


পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি: রোগী পেটের ডান পাশে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে, যেখানে লিভার অবস্থিত।


অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা অবসন্নতা: হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগী অনেক সময় অবসন্নতা, অস্থিরতা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন।


ত্বকে হলুদ ভাব বা জন্ডিস: এটি হেপাটাইটিস বি-এর একটি পরিচিত লক্ষণ। ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যেতে পারে।


বমি, বমির অনুভূতি বা অরুচি: খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং বমি বা বমির অনুভূতি হতে পারে।


চামড়ায় লালচে দাগ: কিছু রোগীর ত্বকে লালচে দাগ বা র‌্যাশের মতো পরিবর্তনও দেখা যেতে পারে।


পেট ও পায়ে পানি জমা: দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে পেটে, পায়ে পানি আসতে পারে, রক্তবমি ও কালো পায়খানা হতে পারে।


হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসা


হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর অবস্থার ওপর। কিছু রোগী শুধু স্বাভাবিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন। এখানে হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসার কিছু প্রধান পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো—


অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ: হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের বিস্তার কমাতে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলো ভাইরাসের পুনরুৎপাদন রোধ করে, তবে তা পুরোপুরি নিরাময় করতে সক্ষম নয়। সাধারণত ল্যামিভিউডিন, টেনোফোভির, এন্টাকাভিরের মতো অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি ব্যবহার করা হয়।


ইন্টারফেরন থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারফেরন নামে একটি শক্তিশালী চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, যা ভাইরাসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এটি শট বা ইনজেকশন আকারে দেওয়া হয়।


ভ্যাকসিনেশন: হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর। যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হননি, তাঁদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্ত ও শরীরের অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।


লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন: খুবই গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি, বিশেষ করে যখন লিভারের ফাংশন সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তখন লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন (লিভার প্রতিস্থাপন) একটি বিকল্প হতে পারে।


এটি একটি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া।


ডায়েট এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন: হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগীর সুস্থ জীবনযাপন এবং সঠিক ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাট কম, প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।


নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: ক্রনিক হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হবে। এই পরীক্ষাগুলো রোগের অগ্রগতি এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে সাহায্য করে।


হেপাটাইটিস বি একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, তবে এর প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা সম্ভব। সঠিক সময়ের মধ্যে লক্ষণ চিহ্নিত এবং চিকিৎসা শুরু করলে রোগটি অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। হেপাটাইটিস বি থেকে রক্ষা পেতে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৪-০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৪-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু ---  রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন --- বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউটসহ বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামীকাল জাতি পালন করবে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস।


আগামীকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর করবেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


 অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি স্বাক্ষরিত ---এটিকে মাইলফলক অভিহিত করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার --- ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রিয়জনের কাছে ছুটছেন নগরবাসী।


ইউক্রেন-যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে সৌদি আরবে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।


এবং আগামীকাল শিলং-এ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানোর সেরা কৌশল 🛣️ – নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর গাইড ✅

 🚗 অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানোর সেরা কৌশল 🛣️ – নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর গাইড ✅


অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানো 🚘 অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিশেষ করে যদি রাস্তাটি দুর্গম 🏞️, ট্রাফিক জটযুক্ত 🚦 বা নতুন কোনো শহরে হয় 🏙️। তবে সঠিক কৌশল জানা থাকলে আপনি নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এই আর্টিকেলে, আমরা আলোচনা করব অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানোর সেরা কৌশল, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ ড্রাইভিংয়ে সাহায্য করবে।


🚦 অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি ✅

🗺️ ১. গন্তব্য সম্পর্কে আগে থেকে গবেষণা করুন

অপরিচিত রাস্তায় যাত্রা শুরুর আগে Google Maps 🗺️, Waze 🛰️ বা অন্যান্য ন্যাভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিন। যদি সম্ভব হয়, ঐ এলাকার রাস্তাগুলোর ট্রাফিক রিপোর্ট দেখে নিন 🚦।


⛽ ২. গাড়ির জ্বালানি ও যান্ত্রিক অবস্থা যাচাই করুন

গাড়ির তেল 🔋, পানি 💦, ব্রেক 🛑 এবং টায়ারের বাতাস চেক করুন।

গাড়ির ফুয়েল ট্যাঙ্ক 🔋 পূর্ণ আছে কিনা নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রার জন্য।

ব্যাকআপ হিসেবে অতিরিক্ত টায়ার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখুন।


📢 ৩. প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিন

মোবাইলের চার্জার 🔌 ও পাওয়ার ব্যাংক 🔋 নিন।

জরুরি কন্টাক্ট নাম্বার সংরক্ষণ করুন ☎️।

রাস্তায় ধীরে চলতে হলে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন ⚖️।

🚘 অপরিচিত রাস্তায় নিরাপদে গাড়ি চালানোর সেরা কৌশল


🛑 ১. গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন

অপরিচিত রাস্তায় দ্রুত গাড়ি চালানো বিপজ্জনক হতে পারে ⚠️। অপ্রত্যাশিত বাঁক, খারাপ রাস্তা বা পথচারী 🚶‍♂️ চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সবসময় সীমিত গতিতে চালান ও ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন।


👀 ২. রাস্তার চিহ্ন ও সাইনবোর্ড লক্ষ্য করুন

প্রত্যেক রাস্তায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়া থাকে, যেমন স্পিড লিমিট ⚠️, বাঁক নির্দেশক 🔄, ট্রাফিক লাইট 🚦 ইত্যাদি। এসব লক্ষণ ও চিহ্ন অনুসরণ করুন যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন।


🚨 ৩. আশেপাশের যানবাহনের গতি ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন

পাশের গাড়ির চালকদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন।

দূরবর্তী গাড়িগুলোর ব্রেক লাইট 🔴 দেখে অনুমান করুন সামনে কোনো বিপদ আছে কিনা।

বাইক 🚲 ও পথচারীদের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুন।


🗣️ ৪. স্থানীয় লোকদের সাহায্য নিন

যদি রাস্তায় কোনো সমস্যায় পড়েন, তবে স্থানীয় দোকানদার 🏪, পথচারী 👨‍👩‍👦 বা ট্রাফিক পুলিশ 🚔 এর সাহায্য নিতে পারেন। অনেক সময় ন্যাভিগেশন অ্যাপে ভুল দিকনির্দেশনা থাকতে পারে, তাই স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করুন।


📵 ৫. ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

চালকের আসনে বসে মোবাইল ফোন 📱 ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে। যদি ফোন ব্যবহার করতে হয়, তবে হ্যান্ডসফ্রি 🎧 বা Bluetooth ডিভাইস ব্যবহার করুন।


🌧️ ৬. আবহাওয়া সম্পর্কে জানুন

বৃষ্টি ☔, কুয়াশা 🌫️ বা তুষারপাত ❄️ হলে গাড়ি চালানো আরও কঠিন হতে পারে। তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন ও প্রয়োজন হলে গাড়ির হেডলাইট 🔦 ও ওয়াইপার ব্যবহার করুন।


🔄 ভুল হলে করণীয়

যদি ভুল রাস্তায় চলে যান বা রাস্তা হারিয়ে ফেলেন 😰, তাহলে চিন্তিত হবেন না! নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন –

✅ ধীরগতিতে নিরাপদ স্থানে গাড়ি থামান 🅿️।

✅ Google Maps বা অন্য নেভিগেশন অ্যাপ চেক করুন।

✅ স্থানীয়দের সাহায্য নিন ও ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।


🏆 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

👉 গাড়ি চালানোর দক্ষতা বাড়াতে ড্রাইভিং কোর্স করুন 🚗

👉 যাত্রার আগে রুট প্ল্যানিং করুন 🗺️

👉 জরুরি কন্টাক্ট নম্বর সংরক্ষণ করুন 📞

👉 গাড়ির ইন্স্যুরেন্স ও কাগজপত্র সাথে রাখুন 📄


🔚 উপসংহার

অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানো 🚗 চ্যালেঞ্জিং হলেও সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে এটি সহজ ও নিরাপদ হতে পারে। আগেভাগে পরিকল্পনা করুন, প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখুন, গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও সতর্ক থাকুন। আশা করি এই গাইডটি আপনাকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। নিরাপদ ড্রাইভিং করুন এবং নিরাপদ থাকুন! 🚦✅


🏁 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! 🏁

আপনি কি কখনো অপরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালিয়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কমেন্টে লিখে জানান! 💬👇


#ড্রাইভিং #গিয়ারপরিবর্তন #নতুনড্রাইভার #ড্রাইভিংকৌশল #গাড়িচালানো #ড্রাইভিংটিপস #বাংলাড্রাইভিং #স্মার্টড্রাইভিং #ড্রাইভিংসেফটি #গিয়ারকন্ট্রোল #গাড়িরগতি #ট্রাফিকনিয়ম #ড্রাইভিংস্কিল #সড়কনিরাপত্তা #গাড়িকৌশল #গাড়িচালনাশিক্ষা #ড্রাইভিংলাইসেন্স #গিয়ারশিফটিং #গাড়িমেকানিক #ড্রাইভিংপ্রাকটিস #নিরাপদড্রাইভিং #বাংলাটিপস #ড্রাইভিংগাইড #গাড়িরপরিচর্যা #ড্রাইভিংলাইফ

এখানে ৪টি সুস্বাদু বিস্কুট তৈরির রেসিপি দেওয়া হলো

 

🥐 🫓 🥨 এখানে ৪টি সুস্বাদু বিস্কুট তৈরির রেসিপি দেওয়া হলো 🥨 🫓 🥐

1️⃣ বাটার বিস্কুট (Butter Biscuit)
🫴 উপকরণ:

- ১ কাপ ময়দা


- ১/২ কাপ মাখন (তরল করা)


- ১/৪ কাপ চিনি


- ১/৪ চা চামচ বেকিং পাউডার


- ১/৪ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স


- ১/৪ চা চামচ লবণ


- ১-২ টেবিল চামচ দুধ (ঐচ্ছিক)

🫴 প্রণালী:

1. একটি পাত্রে মাখন, চিনি, এবং ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন।


2. ময়দা, বেকিং পাউডার এবং লবণ একসাথে চেলে মাখন মিশ্রণে যোগ করুন।


3. প্রয়োজন অনুযায়ী দুধ যোগ করে মিশ্রণটি নরম আঠালো ডো তৈরি করুন।


4. ডোটি ছোট ছোট বল বানিয়ে, চপ করে রোল করুন এবং একে একটি বেকিং ট্রেতে রেখে ১৮০°C তাপমাত্রায় ১০-১২ মিনিট বেক করুন।


5. সোনালি হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

------------------------------------------------------------
2️⃣ চকলেট চিপ বিস্কুট (Chocolate Chip Biscuit)
🫴 উপকরণ:

- ১ কাপ ময়দা


- ১/২ কাপ মাখন


- ১/৪ কাপ চিনি


- ১/৪ কাপ ব্রাউন সুগার


- ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা


- ১/২ কাপ চকলেট চিপ


- ১টি ডিম


- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স


- ১/৪ চা চামচ লবণ

🫴 প্রণালী:

1. মাখন, চিনি, ব্রাউন সুগার এবং ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।


2. ময়দা, বেকিং সোডা, এবং লবণ মিশিয়ে এতে যোগ করুন।


3. ভ্যানিলা এসেন্স ও চকলেট চিপ মেশান।


4. মিশ্রণটি ছোট ছোট বল বানিয়ে বেকিং ট্রেতে রাখুন।


5. ১৮০°C তাপমাত্রায় ৮-১০ মিনিট বেক করুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।

-------------------------------------------------------------
3️⃣ নারকেল বিস্কুট (Coconut Biscuit)
🫴 উপকরণ:

- ১ কাপ ময়দা


- ১/২ কাপ নারকেল কুচি


- ১/৪ কাপ মাখন


- ১/৪ কাপ চিনি


- ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার


- ১/৪ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স


- ১-২ টেবিল চামচ দুধ (ঐচ্ছিক)

🫴 প্রণালী:

1. মাখন ও চিনি একসাথে মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন।


2. ময়দা, বেকিং পাউডার, এবং নারকেল কুচি যোগ করুন। প্রয়োজনে দুধ দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন।


3. ডো থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে চপ করে বেকিং ট্রেতে রাখুন।


4. ১৮০°C তাপমাত্রায় ১২-১৫ মিনিট বেক করুন। সোনালি হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

-------------------------------------------------------------
4️⃣ মেন্ডরিন বিস্কুট (Mandarin Biscuit)
🫴 উপকরণ:

- ১ কাপ ময়দা


- ১/২ কাপ মাখন


- ১/৪ কাপ চিনি


- ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার


- ১ চামচ কমলার খোসা (কুচি করা)


- ১ টেবিল চামচ কমলার রস


- ১টি ডিম


- ১/৪ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

🫴 প্রণালী:

1. মাখন এবং চিনি একসাথে ফেটিয়ে নিন।


2. ময়দা, বেকিং পাউডার, কমলার খোসা এবং ডিম মেশান।


3. কমলার রস এবং ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নরম ডো তৈরি করুন।


4. ডোটি ছোট ছোট বল বানিয়ে বেকিং ট্রেতে রেখে ১৮০°C তাপমাত্রায় ১০-১২ মিনিট বেক করুন।


5. ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...