এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

একজন মানুষ চমক হাসান  ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করলেন-

 একজন মানুষ চমক হাসান  ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করলেন-

"পদার্থবিজ্ঞান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পরে এখন আপনি বাচ্চাদের গান লিখেন। আপনার স্নাতক এর পড়া বিষয়ে কোনো কার্যক্রম করতে দেখলাম না। দেশের রাজস্বের টাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এখন ছং ফং করেন, আর এটা গর্ব করে প্রচার করেন।আপনার উচিত ছিল নাট্যকলা আর্টে পড়া, রিক্সা আর ট্রাকের পেছনে পেইন্টিং করতেন।"

চমক হাসান ভাই সুন্দর করে তার জবাব দিলেন।যে জবাবটি দিলেন তাতে আমার মন ছুঁয়ে গেলে।সত্যিই মানুষ যতো আলোকিত হয়,ততোই বুঝি বিনয়ী হতে থাকে?এক জীবনে চমক হাসান ভাইয়ার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

চলুন তার উত্তরটা শুনে আসি!তার উত্তরটা এজন্য শুনে আসি,পোস্টটা এজন্য করছি-কারণ এতেও সম্ভবত সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের বোধের সামান্যতম হলেও পরিবতর্ন হবে।নতুন করে ভাবতে শিখবে।কি লিখলেন তিনি? 

-

-

-

"ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য। পেশাগতভাবে আমি এখনও একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। গান বা অঙ্ক করি বা না করি সপ্তাহে অন্তত চল্লিশ ঘণ্টা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পেছনে আমাকে দিতেই হয়। এই মুহূর্তে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি, সেটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে পারেন IEEE বাংলাদেশ শাখার আয়োজিত সেমিনারে-।হ্যাঁ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানানোর ইচ্ছে আছে।  'ফুরিয়ার সিরিজ' নিয়ে একটা ভিডিও সিরিজ এপ্রিলে শুরু করবো আশা রাখি।


আপনার বক্তব্যের নোংরা ইঙ্গিতগুলো যদি বাদও দিই, যৌক্তিকভাবেও কতগুলো সিরিয়াস সমস্যা আছে। 

১. আপনি ধরে নিচ্ছেন যে, মানুষ যে বিষয়ে পড়ালেখা করেছে তার সেটা নিয়েই কাজ করতে হবে। জ্বি না- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কোথাও নাই। মানুষের নিজের পছন্দসই কাজ করার স্বাধীনতা আছে। যে যেভাবে ভালো থাকে, থাকতে দিন। রোয়ান এটকিনসন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে সেটা ছেড়ে দিয়ে মিস্টার বিন বানালে, অনুপম রায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে সেটা ছেড়ে দিয়ে গান লিখলে, এঙ্গেলা মার্কেল কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করার পর সেটা ছেড়ে দিয়ে দেশের চ্যান্সেলর হলে, কিংবা হুমায়ূন আহমেদ কেমিস্ট্রির অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে মুভি বানালে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং পৃথিবী সমৃদ্ধই হয়।


২.  দেশের রাজস্ব খাত নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে না। দেশের বাইরে থাকার পরেও দুইভাবে রাজস্ব খাতে ভূমিকা রাখতে পারি। প্রথমত, এখান থেকে রেমিটেন্স পাঠাই।  দ্বিতীয়ত, দেশে বই প্রকাশ করি, যা থেকে প্রকাশক এবং আমার পরিবার উপকৃত হয়। আর বিক্রীত বইয়ের মূল্য সংযোজন কর সরাসরি দেশের রাজস্বে যুক্ত হয়। 


৩.  ফেসবুক দেখে মানুষের জীবনাচরণ বিচার করছেন, যেটা খুবই অগভীর চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। আমার জীবনযাত্রার খুবই ক্ষুদ্র একটা অংশ ফেসবুকে প্রকাশ পায়। ততটুকু, যতটুকু আমাকে আমার অনুরাগী, শুভানিধ্যায়ীদের সঙ্গে যুক্ত রাখবে, যতটুকু তাদের আনন্দ দেবে কিংবা কিছু শেখাবে।  MRI RF Pocket Electric Field analysis নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমার টীম আছে, কনফারেন্স আছে- সেটা ফেসবুকে আমি করি না। অতএব আপনি ফেসবুক দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন যে আমি ইলেক্ট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কিছু করি না। না, এটা ভুল চিন্তা।  


৪.  আপনার শেষ লাইন থেকে বোঝা যায় যে, আর্ট, রিকশা পেইন্টিং, নাট্যকলা এগুলোকে আপনি পদার্থবিজ্ঞান বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নীচু পর্যায়ের কাজ চিন্তা করছেন। হাস্যকর ভাবনা। কবিতা, গান, আর্ট এসব ব্যাপার বিজ্ঞান বা প্রকৌশল থেকে কোনোভাবেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আরও পড়ালেখা করা এবং জানার পরামর্শ রইলো। 

ভালো থাকবেন।"


আপনিও ভালোবাসায় ভালো থাকবেন চমক ভাইয়া।ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন আমাদেরকে গণিতকে এতো ভালোবাসতে শেখানোর জন্য,গানের জন্য লিখার জন্য,মাটির মানুষ হয়ে আমাদের সাথে মিশে যাবার জন্য।♥


(ওমেগা টিউটরস থেকে খুঁজে নিতে পারেন এমবিবিএস ১ম-৫ম বর্ষ, এইচএসসি, এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য হোম টিউটর )

কোন মন্তব্য নেই:

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...