বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে কোটি টাকা কেজি!!!
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ শুধু মাছ রপ্তানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মাছের শরীরের এমন কিছু মূল্যবান অংশ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার চেয়েও দামি। এই দামি অংশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে প্রতি কেজি কোটি টাকায়।
এই বিশেষ অংশটির নাম হচ্ছে পিটুইটারী গ্লান্ড!
পিটুইটারী গ্লান্ড কী?
পিটুইটারী গ্লান্ড হলো মাছের মস্তিষ্কের নিচের অংশে থাকা এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র গ্রন্থি, যা বিশেষ হরমোন নিঃসরণ করে। এই গ্লান্ড বিশেষ করে কার্প (Carp) ও ক্যাটফিশ (Catfish) জাতীয় মাছের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটার কাজ কী? কেন এত দামি?
বিশ্বব্যাপী ফিশ হ্যাচারিগুলোতে প্রজনন কার্যক্রমে এই গ্লান্ড থেকে নির্যাস বের করে ব্যবহার করা হয়। এটি প্রজননক্ষমতা বাড়াতে এবং ডিম ছাড়ানোর কাজে ব্যবহার হয়, যাকে বলে Induced Breeding।
এছাড়াও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের গবেষণায় এই গ্লান্ড ব্যবহৃত হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে পিটুইটারী গ্লান্ডের চাহিদা ও মূল্য
• প্রতি কেজি ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৬ থেকে ৬৫ লাখ টাকা!
• ২০২৩ সালে শুধুমাত্র চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে এই গ্লান্ডের চাহিদা ছিল প্রায় ১০০ টন, যার বাজার মূল্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ও সমুদ্র উপকূলে প্রচুর পরিমাণে কার্প ও ক্যাটফিশ জাতীয় মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোর পিটুইটারী গ্লান্ড বিশ্বমানের মানসম্পন্ন।
• ২০২4 সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭.৫ টন পিটুইটারী গ্লান্ড রপ্তানি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার।
• সরকারের সহযোগিতায় যদি পরিকল্পিত সংগ্রহ ও রপ্তানি করা যায়, তবে বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।
রপ্তানি করতে চাইলে যা জানতে হবে
• কোন মাছের গ্লান্ডের চাহিদা বেশি?
• কীভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হয়?
• রপ্তানির বৈধতা, লাইসেন্স ও প্রক্রিয়া কী?
• কোন দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা এবং মূল্য বেশি?
বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পিটুইটারী গ্লান্ডকে পৌঁছে দিন, গড়ুন কোটি টাকার রপ্তানি সাম্রাজ্য!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন