এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন :-

 সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন :-


10 mm =1 cm

100 cm = 1 m (মিটার)Convert

1″ = 25.4 mm

1″ = 2.54 cm

39.37″ = 1 m

12″ = 1′ Fit

3′ = 1 Yard (গজ)

1 Yard = 36″

72 Fit = 1 bandil.

রডের পরিমান নির্ণয় করার পদ্ধতি

10 mm = 0.616 kg/m = 3 suta

12 mm = 0.888 kg/m = 4 suta

16 mm = 1.579 kg/m = 5 suta

20 mm = 2.466 kg/m = 6 suta

22 mm = 2.983 kg/m = 7 suta

25 mm = 3.854 kg/m = 8 suta

রডের ওজন

৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।

১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।

১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।

১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।

২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।

২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।

২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।

উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ।আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .

8 mm -7 feet -1 kg

10 mm -5 feet -1 kg

12 mm -3.75 feet – 1 kg

16 mm -2.15feet -1kg

20 mm -1.80feet -1kg

22mm -1.1feet -1kg

রডের মাপ ফিট মেপে kg বের করা হয় ………

এই সুত্রটি মনে রাখুন ( রডের ডায়া^2 / 532.5 ) যেকোনো ডায়া রডের এক ফিটের ওজন বাহির হবে . এখনে অবশ্যই রডের ডায়া মিলি মিটারে উল্লেখ করতে হবে।


* ১ টি ইটে = ০.১১ cft খোয়া হয়।

* ১০০ টি ইটে = ১১ cft খোয়া হয়।

* ১০০০ টি ইটে = ১১১.১১ cft খোয়া হয়।

বালির হিসাব

* ১০৯ ফিট = ১২.২৫cft,

* ১০০ sft ৫” গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* ১০০ sft ১০” গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ৪ ব্যাগ। বালু লাগে ২৪ cft।


ঢ়ালাই এর হিসাব

* ১০০ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ১৭ ব্যাগ, বালু ৪৩ cft, খোয়া ৮৬ cft লাগে।

* ১ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ০.১৭, বালু ০.৪৩ cft, খোয়া ০.৮৬ cft লাগে।

গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে।

০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে।

গাথুনী এর প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়।

নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়।সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট।

এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে।কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।

ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।* ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি।

* ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।

* ১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। সিলিং প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।

* প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।

* মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২”*৪ ১/২”*২ ৩/৪”)

মসলাসহ = (১০”*৫”৩”)


===================================

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাথমিক হিসাব নিকাস জানুনঃ

1. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন= ৪১০ টি।

2. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন=১১.৭৬=১২ টি

3. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ৫০০ টি।

4. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ১৪.২৮ টি।

5. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের ফ্লাট সোলিং এর জন্য ইটের প্রয়োজন=৩১ টি।

6. এক বর্গমিটার সোলিং এ চিকন বালির প্রয়োজন=০.০১৫ ঘনমিটার

7. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের হেরিং বোন বন্ডের জন্য ইটের প্রয়োজন=৫২ টি।

8. এক. বর্গমিটার হেরিং বোন বন্ডের জন্য চিকন বালির প্রয়োজন=০.০৩ ঘনমিটার

9. ইটের গাঁথুনীর কাজে শুকনা মসল্লা এর পরিমাণ=৩৫%

10. এক ঘনমিটার সিমেন্ট=৩০ ব্যাগ….

11. এক বর্গমিটার নীট সিমেন্ট ফিনিশিং এর জন্য(NCF) সিমেন্টের প্রয়োজন=২.৭-৩ কেজি

12. ডিপিসি এ পাডলোর পরিমাণ সিমেন্টের ওজনের ৫% অর্থাৎ প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের জন্য ২.৫ কেজি।

13. এক ঘনমিটার এম,এস রডের ওজন =৭৮৫০ কেজি বা ৭৮.৫০ কুইন্টাল

14. এক ব্যাগ সিমেন্টের ওজন=৫০ কেজি এবং আয়তন=০.০৩৪৭ ঘনমিটার

15. এক ব্যাগ হোয়াইট সিমেন্টের ওজন=৪০ কেজি

16. আবাসিক দালানের জন্য বাসযোগ্য ক্ষেত্রফল প্লিন্থ ক্ষেত্রফলের ৫০%-৫৬% হওয়া উচিত।

17. ১ রানিং মিটার দৈর্ঘে এন্ড এজিং এ ইটের পরিমাণ=১/.১২৭=৮ টি।

18. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি মিটার এম.এস.রড এর ওজন নির্ণয়ের সুত্র =d2/১৬২.২ কেজি।

19. এক ঘনমিটার ছোট সাইজের খোয়ার জন্য ইটের প্রয়োজন ৩২০ টি এবং বড় সাইজের খোয়ার জন্য ৩০০ টি।

20. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি কেজি এম.এস.রড এর র্দৈঘ্য নির্ণয়ের সুত্র =১৬২.২/d2 মিটার

21. নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য চালনা দুরুত্ব ৩০ মিটার এবং উত্তোলন দুরুত্ব ১.৫ মিটার।

22. কম্প্রেশন বারে হুক ছাড়া ল্যাপিং ২৪D এবং হুকসহ ৪৪D আবার, টেনশনে হুক ছাড়া ল্যাপিং ৩০D এবং হুকসহ ৬০D.

23. জলছাদের কাজে খোয়া,চুন,সুরকির অনুপাত=৭:২:২

24. সেপটিক ট্যাংক এর নুন্যতম প্রস্থ ৬০সেমি এবং তরলের নুন্যতম গভীরতা ১ মিটার।

25. সোক ওয়েলের নুন্যতম ব্যাস ৯০ সেমি এবং গভীরতা ইনভার্ট সমতল হতে ১.৫ মিটার।

26. কালভার্ট এর স্প্যান ৬ মিটারের কম এবং ব্রিজের স্প্যান ৬ মিটারের বেশি

27. ব্রিজ এর স্ল্যাবকে ডেকস স্ল্যাব বলে।

28. ঢেউটিনের প্রমাণ দৈর্ঘ্য: (১.৮০,২.২০,২.৫০,২.৮০,৩.২০)মিটার এবং প্রস্থ ০.৮০মিটার এবং ঢেউয়ের গভীরতা ১৮ মি.মি

29. এক মিটার এম.এস অ্যাঙ্গেলের ওজন=০.০০৭৮৫A কেজি

30. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ২০ ব্যাগ

31. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় ইট বহন করে 333 টি

32. একটি এক টনি ট্রাক কাঁচা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ১৩.৩৩ ব্যাগ।


#civilengineeringcreativity #engineeringformulas #engineeringstudy #EngineeringWorld

এ অক্ষর দিয়ে ৪০টি হোমিও ঔষধের সিঙ্গেল সিম্পটম।  (ঔষধের নাম ও ২টি প্রধান লক্ষন)

 🪴🪴🪴এ অক্ষর দিয়ে ৪০টি হোমিও ঔষধের সিঙ্গেল সিম্পটম। 

(ঔষধের নাম ও ২টি প্রধান লক্ষন)


1 Aconitum Napellus ~হঠাৎ ভয় বা আতঙ্কে অসুস্থতা, প্রচণ্ড জ্বরের শুরুতে অস্থিরতা

2 Arnica Montana~ আঘাত বা চোটের ব্যথা, শরীর স্পর্শ করলে সহ্য হয় না

3 Arsenicum Album ~অতি দুর্বলতা ও অস্থিরতা, সামান্য পরিমাণে বারবার পানি পান

4 Argentum Nitricum ~ভয় ও দুশ্চিন্তা থেকে ডায়রিয়া, উচ্চ স্থানে ভয়

5 Alumina ~কোষ্ঠকাঠিন্য, শুকনো মল বের করতে প্রচণ্ড কষ্ট

6 Aloe Socotrina ~হঠাৎ হঠাৎ পাতলা ডায়রিয়া, টয়লেট থেকে বের হতে না হতেই আবার চাপ

7 Antimonium Crudum~ অতিরিক্ত খাবারে অরুচি ও বমি, জিভে সাদা আবরণ

8 Antimonium Tartaricum ~বুকে প্রচুর কফ জমে শ্বাসকষ্ট, দুর্বল কাশি

9 Apis Mellifica~ হঠাৎ ফুলে যাওয়া, পোকার কামড় বা অ্যালার্জিতে চুলকানি

10 Aurum Metallicum~ হতাশা ও আত্মহত্যার চিন্তা, হাড়ে হাড়ে ব্যথা

11 Asarum Europaeum~ ক্ষুদ্র শব্দেও অসহ্য কষ্ট, স্নায়বিক অতিসংবেদনশীলতা

12 Anacardium Orientale ~দ্বৈত চিন্তা (এক কাজ করতে চাই, আবার না চাই), নিষ্ঠুরতা

13 Agaricus Muscarius ~অনিয়ন্ত্রিত নাচুনি বা কাঁপুনি, ঠাণ্ডায় স্নায়বিক ব্যথা

14 Angustura Vera ~পেশীতে কঠিন ব্যথা ও খিঁচুনি, দাঁত ঘষা

15 Anhalonium ~বিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন, মাদকাসক্তির মত অনুভূতি

16 Abrotanum~ বাচ্চাদের খিদে থাকলেও শুকিয়ে যাওয়া, জোড়ায় ব্যথা

17 Absinthium ~খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়া, স্মৃতিভ্রংশ

18 Acetic Acid ~অতিরিক্ত দুর্বলতা ও রক্তশূন্যতা, প্রচণ্ড তৃষ্ণা

19 Actaea Racemosa (Cimicifuga)~ প্রসূতির স্নায়বিক উত্তেজনা, জরায়ুর ব্যথা

20 Adonis Vernalis~ হৃদযন্ত্র দুর্বলতা, ফোলা পা

21 Aethusa Cynapium~ শিশু দুধ খেলেই বমি করে ফেলে, চোখ ঘুরে যায়

22 Agnus Castus ~যৌনশক্তি হ্রাস, স্মৃতিশক্তি দুর্বল

23 Aletris Farinosa ~নারী বন্ধ্যাত্ব ও অতিরিক্ত দুর্বলতা, জরায়ুর দুর্বলতা

24 Allium Cepa ~নাক দিয়ে পানি ঝরা, চোখ দিয়ে পানি পড়লেও জ্বালা করে না

25 Allium Sativum~ হজমের গোলযোগ, রসুনজাতীয় খাবারে অরুচি

26 Alumen ~কঠিন কোষ্ঠকাঠিন্য, মলদ্বারের শিরা ব্যথা

27 Ammonium Carbonicum ~শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যায়, স্থূল মানুষে সমস্যা

28 Ammonium Mur ~ডান দিকের কোমরে ব্যথা, পাইলস

29 Ammonium Phos ~গাঁটে ব্যথা ও দুর্বলতা, প্রস্রাবে ফসফেট

30 Amylenum Nitrosum ~হঠাৎ গরম অনুভব, রক্তমুখে উঠা

31 Anemone Pulsatilla (Pulsatilla)~ অশ্রুসিক্ত ও নরম স্বভাব, তৈলাক্ত খাবার সহ্য হয় না

32 Anemone Hepatica (Hepatica)~ কাশি ও গলায় টনটন ভাব, শ্বাসকষ্ট

33 Angustura Officinalis ~দাঁত ব্যথা, পেশীতে টান

34 Anthracinum~ মারাত্মক ফোঁড়া ও ক্ষত, গ্যাংগ্রিন প্রবণতা

35 Apocynum Cannabinum ~শরীরে পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া

36 Aquilegia Vulgaris ~মাথা ঝিমঝিম, হালকা বিষণ্নতা

37 Aralia Racemosa ~মধ্যরাতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি

38 Aranea Diadema ~নির্দিষ্ট সময়ে জ্বর, আর্দ্র আবহাওয়ায় অসুস্থতা

39 Arum Triphyllum ~মুখে ঘা ও জ্বালা, নাক মুখে ক্ষত

40 Asclepias Tuberosa ~বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট, কাশি।


ডা:মো:ফরহাদ হোসেন

চেম্বার:জার্মান হোমিও কেয়ার। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল,হাউজিং ১নাম্বার গেট,ABC স্কুলের পাশে।

থানা+জেলা:জয়পুরহাট সদর।

হেল্পলাইন-01955507911

বসে বসে স্বপ্ন দেখলেই সফল হওয়া যায় না! সফল উদ্যোক্তা হতে হলে — দরকার সঠিক দিক, সঠিক কাজ, আর অটল মানসিকতা! সফল হতে চাও? তবে এই ৯টি উপায় এখনই নিজের জীবনে লাগু করো!,,, D X N ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বসে বসে স্বপ্ন দেখলেই সফল হওয়া যায় না! সফল উদ্যোক্তা হতে হলে — দরকার সঠিক দিক, সঠিক কাজ, আর অটল মানসিকতা! সফল হতে চাও? তবে এই ৯টি উপায় এখনই নিজের জীবনে লাগু করো!


বর্তমান সময়ে অনেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে শুধু আইডিয়া থাকলেই হয় না — দরকার পরিকল্পনা, অধ্যবসায়, এবং শেখার মানসিকতা।


এখানে এমন ৯টি কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো, যেগুলো একজন সাধারণ মানুষকে অসাধারণ উদ্যোক্তায় পরিণত করতে পারে:


১. সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:

আপনি কোথায় যেতে চান? ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি স্পষ্ট না থাকে, তবে পথ হারানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। লক্ষ্য না থাকলে কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসে না।


২. শেখার মানুষিকতা তৈরী করতে হবে 

প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখুন — বই পড়ে, অনলাইন কোর্স করে, সফল ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা শুনে। একটানা শেখার অভ্যাসই আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।


৩. ঝুঁকি নিতে শিখুন:

ভয়কে জয় করতে না পারলে কিছুই সম্ভব নয়। সফল উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে ভয় পান না, কারণ তারা জানেন —

“No risk, no reward!”


৪. সময়কে নিয়ন্ত্রণে নিন:

প্রতিদিনের ২৪ ঘণ্টা সবার সমান, কিন্তু সফলরা তাদের সময়কে সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহার করেন। সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনাই আপনার প্রতিদিনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।


৫. যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান:

ভালো কথা বলার, বুঝিয়ে বলার, ও অন্যদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার ক্ষমতা একজন উদ্যোক্তার জন্য অপরিহার্য।

মানুষ আপনার সঙ্গে ব্যবসা করবে, আপনার পণ্যের সঙ্গে নয় — এটা ভুলে গেলে চলবে না।


৬. সমস্যা খুঁজে সমাধান দিন:

বাজারে হাজারো সমস্যা আছে — আপনি কি তার একটিরও কার্যকরী সমাধান দিতে পারবেন না?

সফল উদ্যোক্তা সেই, যে মানুষের সমস্যার সমাধান করে।


৭. আর্থিক শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করুন:

ইনকাম, খরচ, প্রফিট মার্জিন, ইনভেস্টমেন্ট — এসব বোঝা না গেলে ব্যবসা টিকবে না। উদ্যোক্তাকে হতে হয় একজন দক্ষ অর্থ ব্যবস্থাপকও।


৮. নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখুন:

অনেক সময় ব্যর্থতা আসবে, অন্যরা উপহাস করবে, পরিবার সমর্থন নাও করতে পারে — কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস হারালে কিছুই সম্ভব নয়। বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার শক্তি।


 ৯. ধৈর্য ধরুন এবং কনসিস্টেন্ট থাকুন:

রাতারাতি কিছু হয় না। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কাজ করেও অনেক সময় ফল আসে না — তখনই ধৈর্য ধরতে হবে। যারা অপেক্ষা করতে পারে, সাফল্য তাদের কাছেই ধরা দেয়।


সফল উদ্যোক্তা হওয়া কোনো অলৌকিক বিষয় নয়। এটা সম্ভব — যদি আপনি এই ৯টি বিষয় নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারেন ।


এখন বলুন , আপনি কোন পয়েন্টে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান?

সবচেয়ে মিথ্যা কবিতাছত্র, কিন্তু সবচেয়ে বাস্তব তার অর্থ

 সবচেয়ে মিথ্যা কবিতাছত্র, কিন্তু সবচেয়ে বাস্তব তার অর্থ

কবি মুতানাব্বী বলেন,

               بعيني رأيت الذئب يحلب نملة ........... ويشرب منها رائباً وحليبا

অর্থাৎ, আমি নিজের চোখে দেখলাম, একটি নেকড়ে বাঘ একটি পিঁপড়ের দুধ দোয়াচ্ছে, আর সে তার দই ও দুধ পান করছে!

তিনি বলেন, এটা সবচেয়ে মিথ্যা কবিতাছত্র এই জন্য যে, নেকড়ে দুধ দোয়াতে জানে না, আর আসলে পিঁপড়া দুধ দেয় না।

পক্ষান্তরে সবচেয়ে বাস্তব তার অর্থ এই জন্য যে, একদা আমি কূফা শহরের বাজারে এক মাছ-বিক্রেতা গরীব মহিলার পাশে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন বিশাল ধনী ও অহংকারী লোক এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল, 'এক রতল মাছের দাম কত?' মেয়েটি বলল, 'পাঁচ দিরহাম স্যার!' ধনী লোকটি বলল, 'দূর! এক রতলে এক দিরহাম (নাও)।' মেয়েটি বলল, 'স্যার! মাছ আমার নয়। (এর মালিক অন্য একজন।) আর আমি এক রতলে পাঁচ দিরহাম ছাড়া বিক্রি করতে পারব না।' তা শুনে ধনী ব্যক্তিটি বলল, 'আমাকে দশ রতল মাছ দাও।'

এ কথা শুনে মহিলাটি খুব খুশি হলো এবং ধারণা করল যে, সে তাকে পঞ্চাশ দিরহাম প্রদান করবে। কিন্তু সে তাকে মাছ দিলে তা গ্রহণ ক'রে দশ দিরহাম ছুঁড়ে দিল এবং পিঠ ফিরে যেতে লাগল। মহিলাটি তাকে ডাক দিল, 'স্যার, স্যার!' আর সে অবস্থায় সে কেঁদে ফেলল। কিন্তু ধনী লোকটি কোন সাড়া দিল না। তা দেখে আমিও তাকে ডাক দিলাম, কিন্তু সে আমাকেও সাড়া দিল না। এই জন্য আমি এই কবিতাছত্রটি রচনা করলাম।

'নেকড়ে' বলতে আমার উদ্দেশ্য হলো ধনী লোকটি, আর 'পিঁপড়ে' হলো মাছ-বিক্রেতা গরীব মহিলাটি।

কি সুন্দর এই কবিতাছত্রটি! আর কতই না বাস্তব তার উদাহরণ আমাদের এই যুগে!

'কিছু বিবেক এমনও মরে আছে যে, লক্ষ টাকার বেতনে কর্মরত অফিসার ৩০০ টাকা উপার্জনকারী গরীব শ্রমিকদের কাছ থেকেও ঘুস বা তোলা আদায় ক'রে থাকে।'

বিশ লাখ টাকার গাড়ি-ওয়ালা ধনী লোক কোন ভিক্ষুক দেখে দুটি টাকা চলে যাওয়ার ভয়ে ভিতর থেকে গাড়ির কাঁচ বন্ধ ক'রে দেয়।

                             'আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব, 

                      দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব।

                   এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি, 

                         রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি।'

**************************************

সংগ্রহ ও অনুবাদ >> আব্দুল হামিদ আল-ফাইযি আল-মাদানি

আদম (আঃ) এবং হাওয়া (আঃ) এর ​বিয়ে এবং মোহর​

 আদম (আঃ) এবং হাওয়া (আঃ) এর ​বিয়ে এবং মোহর​

▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬

প্রশ্ন: আদম (আঃ) এবং হাওয়া (আঃ) এর বিয়ে কে পড়িয়েছেন এবং তাদের বিয়ের মোহর কত ছিল?


উত্তর:

আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে হাওয়া আ. কে আদম আ. এর স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,

وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَـٰذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ

"এবং আমি আদমকে বললাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা ইচ্ছা তৃপ্তিসহ খেতে থাক। কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে।" (সূরা বাকারা: ৩৫)


আদম আ. ও হাওয়া আ. এর বিয়ে ও স্বামী-স্ত্রীর হওয়ার ব্যাপারে এর চেয়ে বড় সাক্ষ্য আর কিছু হতে পারে না। সুতরাং এতটুকু জানাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। 


কিন্তু কে তাদের বিয়ে পড়িয়েছেন, তাদের মোহরানা কত ছিল এসব খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে কিছু হাদিস উল্লেখ করা হলেও বিজ্ঞ মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিতে সেগুলোর পক্ষে নির্ভরযোগ্য ও প্রামাণ্য কোনও সূত্র নেই। 


যেমন:


●  এ মর্মে কুসতুলানী কর্তৃক সংকলিত আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়াহ কিতাবে (১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫) একটি হাদিস উল্লেখিত হয়েছে। তা হল,

أن الله ـ سبحانه ـ لما خَلق آدمَ خلق له حواءَ من ضِلَع من أضلاعه اليسرى وهو نائم فلما استيقظ ورآها سكَن إليها ومدّ يده إليها فمنعته الملائكةُ حتى يؤدِّي مهرَها، فقال: وما مهرُها؟ قالوا: تصلِّي على محمد ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثلاثَ مرات.

"আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করলেন। অত:পর যখন তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন তখন তার বাম পাঁজরের একটি হাড্ডি থেকে হাওয়া আ. কে সৃষ্টি করলেন। তিনি  ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে হাওয়াকে দেখে তিনি মনে প্রশান্তি অনুভব করলেন। তাই তাকে স্পর্শ করার জন্য হাত বাড়ালে ফেরেশতাগণ তাকে মোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্পর্শ করতে নিষেধ করলেন।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর মোহর কি?

ফেরেশতাগণ বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ৩ বার  দরুদ পাঠ।"


●  ইবনুল জাওযি (মৃত্যু: ৭৯৫ হিজরি) তার 'সালওয়াতুল আহযান' কিতাবে উল্লেখ করেন,

أنها لما سمعتْ كلام الملائكة طلبت مَهرها من آدم، فسأل ربَّه كم يُعطيها؟ فقال: صل على حبيبي محمد بن عبد الله عشرين مرة، ففعل، وجاء في بعض الروايات أن اللهَ زوّجه إيّاها وخطب في ذلك خطبة.

"হাওয়া আ. ফেরেশতাদের কথোপকথন শোনার  আদম আ. থেকে তার মোহর চাইলেন। তখন তিনি আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, কত মোহর দিবেন?

আল্লাহ বললেন, “তুমি আমার হাবিব মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ এর উপর ২০ বার দরুদ পাঠ করো।” তাই তিনি তাই করলেন।


●  অন্য বর্ণনায় এসেছে, স্বয়ং আল্লাহই আদম-হাওয়ার বিয়ে পড়িয়েছেন এবং বিয়েতে খুতবা পাঠ করেছেন!

 

কিন্তু উক্ত গ্রন্থদ্বয় এসব হাদিসের কোনও সনদ (বর্ণনা সূত্র) উল্লেখ করেন নি বা এগুলো গ্রহণযোগ্য-অগ্রহনযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেন নি।


●  কোন কোন বর্ণনায়, ১০০ বার দরূদ পড়ার কথাও এসেছে। আরও বলা হয়েছে, ৭০ বার দরুদ পাঠ করার পর তার নি:শ্বাস শেষ হওয়ায় আল্লাহ তাআলা ৩০ বার দরুদ পড়া বাকি রেখেছেন। আর সেখান থেকেই মোহরকে দুভাগ করা হয়েছে: একভাগ নগদ আর একভাগ বাকি।


বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা শাইখ রশিদ রেজা রহ. বলেন,

ما ذُكِرَ في ذلك كذب صريح لا حاجة لإطالة الكلام في رده

“এ ব্যাপারে যে সব কথা বলা হয়েছে সেগুলো স্পষ্টই মিথ্যাচার। সুতরাং তার জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে লম্বা আলোচনার প্রয়োজন নাই।” আর তিনি, ৩ বা ২০ বার দরুদ পড়ার হাদিসকে জইফ বা দুর্বল বলেছেন।

------------------

আদম আ. এর বিয়েতে মোহরের রেওয়ায়েতের শব্দ এবং মহরের পরিমাণ নিয়ে কয়েক ধরণের কথা পাওয়া যায়। যেমন:

- কোন বর্ণনায় তিনবার।

- কোন বর্ণনায় দশবার।

- কোন বর্ণনায় বিশবার।

- আবার কোথাও একশবার।

- এমনকি এক হাজারবার দরূদ পড়ার কথাও পাওয়া যায়। 

- আবার শত বা হাজারের বর্ণনায় এক শ্বাসে পড়ে শেষ করার শর্তও রয়েছে। এবং এমন কথাও আছে যে, হযরত আদম আ. সত্তর বা পাঁচশ বার পর্যন্ত একশ্বাসে পড়তে পেরেছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, এটা মহরে মুয়াজ্জাল (বিয়ের সময় তাৎক্ষণিক আদায়যোগ্য মহর) আর বাকি মহর তোমার দায়িত্বে রইল পরে আদায় করতে হবে।

এগুলো কোনটার পক্ষেই হাদিস নাই। সুতরাং এসব বর্ণনার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করারও প্রয়োজন নেই। 

[সূত্র, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ ১/৫০, বুসতানুল ওয়ায়িজীন: ৪৭৮, ইআনাতুত ত্বালিবীন ৩/৩৯৫। অনুবাদ : মাওলানা মাজিদুর রহমান]


মোটকথা, আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে হাওয়া আ. কে আদম আ. এর স্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে এতটুকু জনাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিয়ে সংক্রান্ত বিস্তারিত কোন কিছুই বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নয়।


তাছাড়া এসব বিষয় আমাদের ঈমান, আমল ও আহকামের সাথে মোটেও সম্পৃক্ত নয়। তাই এসব বিষয় না জানলেও ইনশাআল্লাহ আমাদের কোন ক্ষতি হবে না। আল্লাহু আলাম।

والله أعلم بالصواب

▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬

উত্তর প্রদানে:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব


Abdullahil Hadi

ফিটকিরি ব্যবহারে রয়েছে আশ্চর্য রকমের উপকারিতা এবং একই সাথে স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও গৃহস্থালির কাজে অনন্য উপকারিতা। 

 ★ ফিটকিরি ব্যবহারে রয়েছে আশ্চর্য রকমের উপকারিতা এবং একই সাথে স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও গৃহস্থালির কাজে অনন্য উপকারিতা। 


তো চলুন আজকে ফিটকিরির বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই


★  ত্বক ও সৌন্দর্যে ফিটকিরি


১. ব্রণ দূর করে ফিটকিরি গুড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান।


২. ত্বকের ছিলা ভাব দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে প্রতিদিন মুখ ধুয়ে নিন।


৩. চুলকানি কমায়  ফিটকিরি পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিন।


৪. ত্বক মসৃণ করে  স্নানের পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে গোসল করুন।


৫. দাড়ি কামানোর পর জীবাণুনাশক কাজ করে  ফিটকিরি ব্লক ভিজিয়ে মুখে ঘষুন।


৬. পায়ের ফাটা গোড়ালি সারায়  ফিটকিরি পানি দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন, এরপর তেল মেখে ফেলুন।


৭. ত্বকের জ্বালা ও পোড়া কমায় আক্রান্ত স্থানে ফিটকিরি পানি লাগান।


★  ক্ষত ও সংক্রমণ প্রতিরোধে


৮. ছোট কাটা-ছেঁড়া দ্রুত সারায়  ভেজা ফিটকিরি সরাসরি ক্ষতে লাগান।


৯. অতিরিক্ত ঘাম কমায় বগলে ফিটকিরি পানি লাগান।


১০. ইনফেকশন প্রতিরোধ করে  ক্ষতস্থানে ফিটকিরি গুড়া ছিটিয়ে দিন।


১১. ফোড়া শুকায় গরম পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে তুলা দিয়ে লাগান।


১২. চুলকানিযুক্ত চর্মরোগ উপশম করে ফিটকিরি পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিন।


১৩. পায়ের ফাঙ্গাস দূর করে  ফিটকিরি পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিন।


১৪. গৃহপালিত পশুর ক্ষত সারায়  ক্ষতস্থানে ফিটকিরি পানি লাগান।


১৫. পানির জীবাণু নাশ করে পানিতে সামান্য ফিটকিরি দিয়ে রেখে পরিস্কার করে নিন।


১৬. পানির ময়লা পরিষ্কার করে ফিটকিরি মিশিয়ে রাখলে ময়লা নিচে জমে যাবে।


১৭. কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করে  ধোয়ার পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে নিন।


১৮. স্নানঘরের দুর্গন্ধ কমায় ফিটকিরি পানি ছিটিয়ে দিন।


১৯. জুতা দুর্গন্ধমুক্ত করে  জুতায় ফিটকিরি গুড়া ছিটিয়ে দিন রাতে।


২০. শৌচাগারের দুর্গন্ধ দূর করে  ফিটকিরি পানি ছিটিয়ে দিন।


২১. বাথটবের পানি জীবাণুমুক্ত করে  গোসলের পানিতে ফিটকিরি দিন।


২২. মাছ পরিষ্কার করার পর গন্ধ দূর করে  ফিটকিরি পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।


★  মুখ ও দাঁতের যত্নে


২৩. দাঁতের ব্যথা কমায়  ফিটকিরি পানি দিয়ে কুলি করুন।


২৪. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে গার্গল করুন।


২৫. মাড়ির ইনফেকশন ও রক্তপাত বন্ধ করে  ফিটকিরি গুলানো পানি দিয়ে কুলি করুন।


২৬. ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে  অল্প পরিমাণ ফিটকিরি গুড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।


২৭. গলা ব্যথা ও কাশি উপশম করে  হালকা গরম পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে গার্গল করুন।


২৮. চোখের প্রদাহ কমায়  ফিটকিরি গুলানো পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে চোখ ধুতে পারেন।


২৯. চুল পড়া কমায়  ফিটকিরি পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।


৩০. ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে  ফেসপ্যাকের সাথে ফিটকিরি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হয়।


★  ফিটকিরি হলো সহজলভ্য কিন্তু অসাধারণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, জীবাণুনাশ, গৃহস্থালি কাজ সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার আপনাকে দেবে চমকপ্রদ ফলাফল।


টিম: সাইকোলজি এবং বিজ্ঞানের অজানা তথ্য

কানের সমস্যা ✍️ ডাঃ তানভীর আহমেদ (ডিএইচএমএস ঢাকা)

 অনেকই এসে বলে কানে ফোটানো ঔষধ আছে?

একটু কানে দিয়ে দেন তো! বিপদ এখানেই --


মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ভেতর কান সবচেয়ে সূক্ষ্ম, জটিল এবং রহস্যময়। বাইরের পৃথিবীর শব্দ কিভাবে ভেতরে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তা দেখলেই বোঝা যায়—এটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি!


Outer Ear – Pinna শব্দ তরঙ্গ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে ভেতরে।

সেখান থেকে Ear Canal শব্দ তরঙ্গ পৌঁছে দেয় Eardrum (Tympanum) পর্যন্ত।


এই পাতলা ঝিল্লিটি যখন সামান্য শব্দ তরঙ্গেই কেঁপে ওঠে, তখন সেই কম্পন এক অদ্ভুত চেইন রিঅ্যাকশনের মতো ভেতরের তিনটি ক্ষুদ্র হাড়ে পৌঁছে যায়।


🔸 Hammer (Malleus) 

🔸 Anvil (Incus)

🔸 Stirrup (Stapes) 


এই ক্ষুদ্র ossicle-গুলো একে অপরকে আঘাত করে কাঁপন পৌঁছে দেয় Cochlea নামক সর্পিল আকারের অঙ্গটিতে। এখানে তরল নড়ে ওঠে, আর সেই তরঙ্গকে রূপান্তরিত করে Auditory Nerve, যা মুহূর্তেই শব্দকে বিদ্যুৎগতিতে পাঠিয়ে দেয় মস্তিষ্কে।


এ যেন এক রহস্যময় সঙ্গীতের সুরঙ্গপথ—যেখানে সামান্য ক্ষতিই চিরস্থায়ী নীরবতার কারণ হতে পারে!


---


অনেকেই কান পরিষ্কারের নামে বা "ঔষধ ফোটানো"-র নামে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা অন্য রাসায়নিক ফেলে দেন।

কিন্তু জানেন কি❓

👉 সামান্য মাত্রাতিরিক্ত ফোঁটাতেই Eardrum ফেটে যেতে পারে

👉 ভেতরের সূক্ষ্ম হাড় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

👉 এমনকি স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে


কান কখনোই পরীক্ষামূলক রাসায়নিক ব্যবহার করার জায়গা নয়। এটি প্রকৃতির সবচেয়ে স্পর্শকাতর যন্ত্র।


---


হোমিওপ্যাথিতে এমন কিছু অসাধারণ ঔষধ আছে, যা কানের সমস্যা নিরাপদে ও কার্যকরভাবে নিরাময় করতে পারে—


✅ Belladonna – হঠাৎ কানে তীব্র ব্যথা, লালচে ভাব, প্রদাহ হলে দারুণ কার্যকর।

✅ Pulsatilla – কান থেকে ঘন বা হলদে স্রাব, শিশুদের কানের সমস্যা ও ঠান্ডাজনিত কানে ব্যথায় উপকারী।

✅ Chamomilla – দাঁতের ব্যথার সাথে কানে ব্যথা বা শিশুদের কান ব্যথায় আশ্চর্যজনক কাজ করে।

✅ Hepar Sulph – কান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বা প্রদাহ হলে কার্যকর।

✅ Silicea – দীর্ঘদিনের কান থেকে স্রাব ও কান ফোড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক।

✅ Ferrum Phos – কানের প্রদাহের প্রাথমিক পর্যায়ে খুব উপকারী।


এই ঔষধগুলো শুধু উপসর্গ নিরাময় করে না, বরং কানের ভেতরের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে রক্ষা করে দীর্ঘস্থায়ী নিরাময় দেয়।


---


আপনার কান প্রকৃতির এক আশ্চর্য রত্ন। না জেনে ফোঁটানো কিছু দেওয়া মানেই তাকে চিরতরে ক্ষতি করে ফেলার ঝুঁকি।


✍️

ডাঃ তানভীর আহমেদ

(ডিএইচএমএস ঢাকা)

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ৩১/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার---জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব--আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির বৈঠক


* নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরলেও তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন --- ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন

 

* নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা --- প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার প্রতিশ্রুতি

 

* গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি--হামলার সাথে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না, দ্রুততার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন করার আশ্বাস---বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিন্দা।

 

* সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর --- বললেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

 

* ইসরাইলি বিমান হামলায় ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির হুথিগোষ্ঠী


* এবং সিলেটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী নেদারল্যান্ডসকে ৮ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ---থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব- ১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আজ ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ  ৩০-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ  ৩০-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরলেও তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন --- ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন। 

 

নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা --- প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার প্রতিশ্রুতি। 

 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি --- হামলার সাথে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না, দ্রুততার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন করার আশ্বাস --- বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিন্দা। 

 

নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার --- জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব --- আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির বৈঠক। 

 

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ ও বিচারের দাবিসহ নানা কর্মসূচিতে দেশে আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত। 

 

সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর --- বললেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

 

গাজায় ইসরাইলি হামলা জোরদার --- ইসরাইলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক জানালো গাজায় গণহত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে দেশটি। 

 

এবং সিলেটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১৩৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ৩০/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এআই এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের মতো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন --- মন্তব্য সিইসির


* জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের পটভূমি দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে রাজধানীতে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স-২০২৫


* বিএনপি সরকার গঠন করলে আন্তর্জাতিক কনভেশন অনুসারে গুম প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হবে --- জানালেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান 


* জমে উঠেছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম --- জাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ


* ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত অধিকাংশ শুল্ককেই অবৈধ ঘোষণা করলো একটি মার্কিন আপীল আদালত 


* আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনিদের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের  


* এবং আজ সিলেটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ

সকালের সংবাদ শিরোনাম

 ২৯/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

....................................................


* জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৪ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন --- আগামী রমজানের আগেই ভোট


* গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

 

* গত ছয় মাসে একশো ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে দেশ

 

* জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

 

* নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টাকারীরা রাজনীতিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ---মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের


* ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুন:বহালের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানী 


* এবং আজ বিহারে পুরুষ এশিয়া কাপ হকির উদ্বোধনী ম্যাচে মালয়েশিয়ার মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সকালের সংবাদ শিরোনাম

২৮/০৮/২০২৫

 আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশ প্রণয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন


* ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন   


* তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ 

         

* আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু


* চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও উস্কানিমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সরকারের   


* গাজায় ইসরাইলী হামলায় ১২ জন ত্রাণ সংগ্রহকারীসহ অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত


* এবং থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে চার-এক গোলে হারালো বাংলাদেশ

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ  ২৭-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ  ২৭-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশ প্রণয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন।

 


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করলো নির্বাচন কমিশন --- রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে আগামীকাল --- জানালেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব।   

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি আপিল বিভাগের --- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ --- বললেন প্রধান বিচারপতি।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু।

 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও উস্কানিমূলক কার্যক্রমের চিহ্ন দেখামাত্র প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ। 

 

নানা আয়োজনে দেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত।  

 


আজ থেকে কার্যকর হয়েছে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক।  

 

এবং থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে চার-এক গোলে হারালো বাংলাদেশ।

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ২৭/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* মানবিক বিপর্যয় রোধে নিরবচ্ছিন্ন তহবিল যোগানোর আহ্বানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রোহিঙ্গা সংকটের ওপর তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন--রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান ওআইসির


* খাল দখলকারী ভূমিদস্যুদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না --- হুঁশিয়ারী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার


* তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ শুনানী শুরু


* ডাকসু নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা --- স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী 


* দেশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী


* গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের জোড়া বিমান হামলার নিন্দা জানালো জাতিসংঘ


* এবং আজ থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে নেপালের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ

সকল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ২৬/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

..................................................


* রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

 

* বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলো ওয়াশিংটন  --- রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ১১টি পশ্চিমা দেশের

 

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে--- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণা

 

* জানুয়ারি মাসেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সব বই বিতরণ করা হবে--- জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

 

* দেশে তৈরি জীবন রক্ষাকারী সকল ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার --- উচ্চ আদালতের রায়

 

* বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে ৫৬তম মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ

 

* গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ছয় সাংবাদিকসহ ২২জন নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ


* এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ৩৫-২৯ গোলে হারিয়ে ৩৬-তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতে নিলো বাংলাদেশ আনসার

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ  ২৫-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ  ২৫-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম 


রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার।

 

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলো ওয়াশিংটন  --- রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ১১টি পশ্চিমা দেশের।

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে   --- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণা।

 

জানুয়ারিতে প্রাথমিকের সব বই বিতরণ করা হবে  --- জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

 

দেশে তৈরি জীবন রক্ষাকারী সকল ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার --- উচ্চ আদালতের রায়।

 

গাজায় সর্বশেষ ইসরাইলি হামলায় চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন নিহত।

 

এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ৩৫-২৯ গোলে হারিয়ে ৩৬-তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতে নিলো বাংলাদেশ আনসার।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ : ২৫-০৮-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ : ২৫-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম

....................................................


* রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপ শুরু – আজ যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। 


* অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ -- সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ


* বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত – ঢাকায় এক চুক্তি ও পাঁচ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। 


* সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু


*অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত।  


* যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো গাজীপুরের ভোগড়া থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ।  


* গত ছয় তারিখে হামলা শুরুর পর গাজার জাইতুন ও সাবরা নগরে এক হাজারের বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল


* এবং থিম্পুতে সাফ অনুর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে নেপালকে হারালো বাংলাদেশ

সকল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ২৪/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে আজ কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন


* আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন – জানালেন সিইসি

 

* বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঢাকায় আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ --- সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত

 

* রংপুরে, কিডনি, ক্যান্সার ও হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য পাঁচশো ৬০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করবে সরকার – জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা


* যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য -- বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব


* ইরানে মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ব্যর্থ হওয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করলো পেন্টাগন

 

* এবং আসন্ন আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি --- আজ থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ২৩/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

....................................................


* রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক এজেন্ডার শীর্ষে রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ দূতের


* ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বক্তৃতা সম্প্রচারের ব্যাপারে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ---  জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং 


* জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি, এনসিপিসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল 


* দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও 

উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার---যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে আগামীকাল স্বাক্ষরিত হবে সমঝোতা স্মারক। 


* ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে বিএনপি --- জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


* গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত। 


* আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি ট্রাম্পের। 


* এবং  এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের জন্য লিটন দাসকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা ।

সকালের সংবাদ শিরোনাম

 ২২/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সংশোধন অধ্যাদেশ- ২০২৫ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ


* রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে আগামী রবিবার থেকে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হবে -- যোগদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা --- জানালেন প্রেস সচিব


* জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনকে 'ঐতিহাসিক দলিল' ঘোষণা এবং তা জুলাই বিপ্লব-২০২৪ হিসেবে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের


* জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় পাঁচটি মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া এবং একজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করাসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২


* গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী


* জনগণের সরকার না আসা পর্যন্ত গণতন্ত্রের যাত্রাপথ ঝুঁকিমুক্ত নয় --- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান


* ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির আওতায় সাড়ে পাঁচ কোটি বৈধ 


*এবং থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আজ ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ  ২১-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ  ২১-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সংশোধন অধ্যাদেশ- ২০২৫ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

 

রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে আগামী রবিবার থেকে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হবে -- যোগদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা --- জানালেন প্রেস সচিব।

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনকে 'ঐতিহাসিক দলিল' হিসেবে ঘোষণা এবং তা জুলাই বিপ্লব-২০২৪ হিসেবে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের। 

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় পাঁচটি মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া এবং একজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করাসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

 

গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী ।

 

জনগণের সরকার না আসা পর্যন্ত গণতন্ত্রের যাত্রাপথ ঝুঁকিমুক্ত নয় --- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ইসরাইল আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করছে --- ফিলিস্তিনি হামাস গ্রুপের অভিযোগ। 


এবং থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আগামীকাল ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সকালের সংবাদ শিরোনাম

 ২১/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর ---অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।


* জুলাই সনদ বিষয়ে মতামত জমা দেওয়ার সময় আগামীকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত বৃদ্ধি --- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলীয় মতামত জমা বিএনপি’র


* আগামী পাঁচ বছরে জাপান, কোরিয়া ও ইউরোপে দক্ষ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে --- আশাবাদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার।


* সরকারি অনুদান প্রাপ্ত জুলাইয়ের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের সংবেদনশীল থাকার পরামর্শ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার


* জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ এবং পুনর্বাসন অধ্যাদেশ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ 


* গাজা দখলের উদ্দেশ্যে ইসরাইলের পরিকল্পিত স্থল আক্রমণের প্রথম ধাপ শুরু --- গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলী হামলায় ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত  


* এবং অস্ট্রেলিয়ায় TOP END টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আজ মেলবোর্ন স্টারস একাডেমীর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ “এ” দল।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২০-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ ২০-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে  ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষরিত --- অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ। 

 

আগামী পাঁচ বছরে জাপান, কোরিয়া ও ইউরোপে দক্ষ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে --- আশাবাদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার। 

 

 সরকারি অনুদান প্রাপ্ত জুলাইয়ের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের সহানুভূতিশীল থাকার পরামর্শ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার। 

 

 রংপুরে শহিদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা --- শহীদ আবু সাঈদ এই প্রজন্মের প্রতিবাদী কণ্ঠ, তাঁর আত্মত্যাগ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের অনুপ্রেরণা --- বললেন  এলজিআরডি ও সমবায় উপদেষ্টা ।

 

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো আজ।

 

জুলাই আন্দোলনের মামলায় হাইকোর্টে জামিন হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাতুর জামানের জামিন স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।

 

গাজায় ইসরাইলের পরিকল্পিত স্থল অভিযান আরো ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে --- হুঁশিয়ারী জাতিসংঘের।

 

এবং সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক ‍ভুটানকে ৩-১ গোলে হারালো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ।

সকল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ২০/০৮/২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম

....................................................


* মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা ও সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন --- মন্তব্য প্রধান উপদেষ্টার

 

* আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন --- সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জানালেন ইইউ রাষ্ট্রদূত

 

* প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ --- বললেন আইন উপদেষ্টা

 

* বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার


* বহু প্রতীক্ষিত তৃতীয় তিস্তা সেতু জনসাধারণ ও যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে আজ


* আফগানিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় ১৭ শিশুসহ ৭১ জন নিহত

 

* এবং আজ থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক ভুটানের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ  ১৯-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ  ১৯-০৮-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা ও সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন --- মন্তব্য প্রধান উপদেষ্টার।

 

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন --- সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জানালেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

 

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ --- বললেন আইন উপদেষ্টা।

 

মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সরকার দেশের জলাশয় রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাবে ---- বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

 

বহু প্রতীক্ষিত তৃতীয় তিস্তা সেতু জনসাধারণ ও যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে  আগামীকাল।

 

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আহ্বানের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

 

এবং অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজে নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইককে ২২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ এ দল।

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 ১৯/০৮/২০২৫ সকালের শিরোনাম 

আজকের সংবাদ শিরোনাম

....................................................


* জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ---

 মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীকে পরিবেশের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান


* চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের

কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে- জানালো নির্বাচন কমিশন


* রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আগামী সোমবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হতে

যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন


* বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির আওতায় চলতি মৌসুমে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ

পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ


* ২০১৬ সালে গাজীপুরে জঙ্গি অভিযানের নামে সাত জনকে হত্যার ঘটনায়

পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


* গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধ বিরতি ও জিম্মি

মুক্তি দেওয়ার সর্বশেষ প্রস্তাবে সম্মত হামাস


* এবং আজ কেয়ার্নস-এ তিন ম্যাচ ওডিআই ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটিতে

স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা

শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

নারীদের মাঝে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ স্বাভাবিক একটি ফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়া

 নারীদের মাঝে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ স্বাভাবিক একটি ফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়া


। অনেকেই ভাবেন সাদা স্রাব মানেই রোগ, আসলে বিষয়টি একেবারেই তা নয়। মাসিক চক্র চলাকালীন সময়ে শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হালকা সাদা বা স্বচ্ছ স্রাব স্বাভাবিক। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভ্যাজাইনাকে আর্দ্র রাখা, জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা এবং স্পার্মের মোবিলিটি সহজ করা।

সাদা স্রাবের রং এর উপর ক্যারেক্টার দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন এটি নরমাল নাকি এবনরমাল।

যদি ও অনেকে নরমাল সাদা স্রাবকে রোগ বানিয়ে ইনকাম করে খাচ্ছেন। 🤣🤣🤣


সাদা ডিসচার্জ (White):

সব সময় সাদা স্রাব রোগ নয়। মাসিকের আগে-পরে, বিশেষ করে ওভুলেশনের সময়, হরমোনের প্রভাবে সাদা স্রাব বেড়ে যায়। এটি কোনো সমস্যা নয়। তবে যদি সাদা স্রাব ঘন হয়ে চিজের মতো হয়, সঙ্গে তীব্র চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থাকে, তবে সেটি ক্যান্ডিডা বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে হতে পারে।


স্বচ্ছ ডিসচার্জ (Clear):

স্বচ্ছ, পাতলা ও টানটান স্রাব ওভুলেশন সময় খুব স্বাভাবিক। এটি ওভুলেশনের সময়ের সংকেতও দেয়। এতে কোনো দুর্গন্ধ বা অস্বস্তি না থাকলে একে রোগ ভাবার প্রয়োজন নেই।


হলুদ ডিসচার্জ (Yellow):

হলুদ রঙের স্রাব সাধারণত ইনফেকশনের দিকে ইঙ্গিত করে। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া বা ট্রাইকোমোনাস সংক্রমণের কারণে হলুদ স্রাব হয়। সঙ্গে দুর্গন্ধ, জ্বালাপোড়া বা ব্যথা থাকলে এটিকে অবশ্যই প্যাথলজিকাল ধরা হয়।


সবুজ ডিসচার্জ (Green):

সবুজ স্রাব বেশিরভাগ সময় গুরুতর সংক্রমণের লক্ষণ। সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল বা ট্রাইকোমোনাস ইনফেকশনে এই ধরনের ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়। এটি সবসময় রোগের চিহ্ন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

কেন মৃগেল মাছ চাষ করবেন? 

 ✨ কেন মৃগেল মাছ চাষ করবেন? 

🐟সহজ উপায়ে লাভজনক মাছ চাষের দারুণ সুযোগ,মিঠাপানির মাছ চাষে মৃগেল মাছ (Mrigal Carp) একটি জনপ্রিয় নাম। গ্রাম থেকে শহর—সবখানেই এই মাছের চাহিদা অনেক বেশি। স্বাদে ভালো, চাষে সহজ আর বাজারমূল্যও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক ও উদ্যোক্তা এখন মৃগেল মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন।


🔹 মৃগেল মাছের বৈশিষ্ট্য


মৃগেল মাছ মূলত তলদেশে (Bottom Feeder) খাবার খোঁজে।


এরা পচা পাতা, শেওলা, ডিট্রিটাসসহ প্রাকৃতিক খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে।


চাষের জন্য খুব বেশি কৃত্রিম খাবারের প্রয়োজন হয় না।


শরীর লম্বাটে, মাথা ছোট, আর আঁশ চকচকে – বাজারে সহজেই চেনা যায়।


🔹 মৃগেল মাছ চাষের সুবিধা


1. সহজে চাষযোগ্য – সাধারণ পুকুরে সামান্য যত্নেই বড় হয়ে ওঠে।


2. দ্রুত বৃদ্ধি – এক বছরে গড়ে ১ থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত বড় হয়।


3. খাদ্য খরচ কম – যেহেতু প্রাকৃতিক খাবার বেশি খায়, তাই কৃত্রিম খাদ্যের খরচ বাঁচে।


4. পলিকালচারে উপযোগী – রুই, কাতল, সিলভার কার্পের সঙ্গে মিশ্র চাষে খুব ভালো ফলন দেয়।


5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি – সহজে রোগে আক্রান্ত হয় না, ফলে মৃত্যুহার কম।


6. বাজারে কদর বেশি – গ্রাহকদের কাছে সবসময় চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়।


🔹 চাষের উপযুক্ত পরিবেশ


মাঝারি গভীরতার (৪–৬ ফুট) পুকুর মৃগেল চাষের জন্য উপযুক্ত।


পরিষ্কার পানি, পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির ব্যবস্থা থাকতে হবে।


pH ৭–৮ এর মধ্যে থাকলে মাছ ভালো বৃদ্ধি পায়।


🔹 খাদ্য ব্যবস্থাপনা


প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি গুঁড়া ভুষি, সরিষার খৈল, চালের কুঁড়া ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে।


সপ্তাহে অন্তত একবার পুকুরে সার দেওয়া উচিত, যাতে প্রাকৃতিক খাদ্য বৃদ্ধি পায়।


🔹 বাজার ও লাভ


এক বছরের মধ্যে বাজারে তোলা যায়, আর বাজারে এর দাম রুই-কাতলের কাছাকাছি বা কখনও বেশি হয়।


পলিকালচারে মৃগেল চাষ করলে প্রতি বিঘায় মোট মাছের উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়।


সামগ্রিকভাবে এটি একটি কম খরচে বেশি লাভজনক মাছ।

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ইন্দিরা রোড: নামের আড়ালের গল্প, পুরনো দিনের স্মৃতি আর আজকের ইন্দিরা রোড,,,,,ঢাকার গণপরিবহন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ইন্দিরা রোড: নামের আড়ালের গল্প, পুরনো দিনের স্মৃতি আর আজকের ইন্দিরা রোড


ঢাকার ব্যস্ততার এক কেন্দ্র ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে যে রাস্তাটা শহুরে জীবনের সঙ্গে মিশে আছে, সেটাই ইন্দিরা রোড। নামটা শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন—এটা কি ইন্দিরা গান্ধীর নামে? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো ‘ইন্দিরা’র গল্প আছে?


নামকরণের আসল গল্প (মিথ বনাম সত্য)


বছরের পর বছর ধরে প্রচলিত ধারণা ছিল, রাস্তাটির নাম ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে। কিন্তু প্রামাণ্য সূত্রে এ দাবি মেলে না। বরং, এলাকায় একসময় বসবাস করা ধনী ব্যবসায়ী দ্বিজদাস (বা দ্বিজনাথ/দ্বিজদাস) বাবু–এর জ্যেষ্ঠ কন্যা ইন্দিরা–র অকালমৃত্যুর স্মরণে রাস্তাটির নাম রাখা হয় ইন্দিরা রোড। তাদের বাড়ির ভেতরেই ইন্দিরার সমাধি ছিল—এই লোককথাটিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বর্ণনা হিসেবে চলে আসছে। 


“ইন্ডিয়া রোড” নাকি “ইন্দিরা রোড”?


স্থানীয় ও সরকারি নথিতে স্বীকৃত নাম ইন্দিরা রোড (Indira Road)—“ইন্ডিয়া রোড” নয়। প্রশাসনিক রেফারেন্সে এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায়, 


কোথায় এই ইন্দিরা রোড?


ফার্মগেট-খামারবাড়ি এলাকায় এটি মূলত পূর্ব–পশ্চিম সংযোগ সড়ক; কাছেই মেট্রোরেলের ফার্মগেট স্টেশন ও তেজগাঁওয়ের ব্যস্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেজগাঁও-ফার্মগেট করিডর দ্রুত বদলে গিয়ে ঢাকার ‘সিবিডি’–র রূপ নিচ্ছে—তারও একটা ধারাবাহিক অংশ এই ইন্দিরা রোড। 


ইন্দিরা রোডের উল্লেখযোগ্য (পুরনো ও বর্তমান) স্থাপনা


তেজগাঁও কলেজ — ঠিকানা: ১৬, ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাস্তাটির পরিচয়ের বড় অংশ। 


খামারবাড়ি এলাকা (কৃষি প্রশাসনিক জোন)—কাছাকাছি কৃষি-সম্পর্কিত একাধিক অফিস, ব্যাংক শাখা ও দপ্তর থাকায় এই করিডর বরাবরই কর্মব্যস্ত। 


ফুটপাতের হাট/খোলা বাজারের সংস্কৃতি—বছর কয়েক আগে ইন্দিরা রোডের ফুটপাতে পোশাক-খাবার-নিত্যপণ্যের জমজমাট বাজার নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট হয়; পথের নাগালেই ‘দৈনন্দিন ঢাকা’। 


> আরো আশপাশ: মনিপুরীপাড়া, রাজাবাজার, কাওরান বাজার, পান্থপথ—সব মিলিয়ে ইন্দিরা রোড বরাবর চলাচল, বাজার-সুবিধা, শিক্ষা–স্বাস্থ্য–অফিস সংযোগ তৈরি হয়েছে এক ‘ওয়াকেবল’ শহুরে করিডর। 


অতীতের নাম কী ছিল?


উপলব্ধ নির্ভরযোগ্য উৎসে ইন্দিরা রোডের কোনো আলাদা/সরকারি ‘পূর্বনাম’ পাওয়া যায় না। সবচেয়ে প্রচলিত বয়ান হলো—দ্বিজদাস বাবুর কন্যা ইন্দিরার নামে প্রথম থেকেই এই রাস্তার নামকরণ। ফলে “আগে এর নাম কী ছিল?”—এই প্রশ্নে নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক শিরোনাম আমরা পাই না; বরং উপরের লোককথা–ইতিহাসই মূলধারা। 


কেন এই গল্প গুরুত্বপূর্ণ?


ঢাকার রাস্তার নামগুলো কেবল সাইনবোর্ড নয়—এগুলো শহরের স্মৃতি–রাজনীতি–সমাজ–ব্যবসার সুতোগুলো জুড়ে রাখে। ইন্দিরা রোডের নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই শহর লোকজনের ব্যক্তিগত ইতিহাসও ধারণ করে, শুধু ‘বড়’ রাজনীতির স্মারক নয়। আর আজকের দিনে তেজগাঁও–ফার্মগেট করিডরের দ্রুত রূপান্তরও দেখায়, পুরনো স্মৃতির পাশে নতুন নগর—দুইয়ে মিলে গড়ে ওঠে ‘ঢাকা’। 


ঢাকার ইন্দিরা রোড কেবল একটি রাস্তা নয়, এটি শহরের ইতিহাস ও স্মৃতির বাহক। নামকরণের আড়ালে রয়েছে এক স্থানীয় পরিবারের ব্যক্তিগত বেদনা, আবার এ পথের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তেজগাঁও কলেজ, খামারবাড়ি, রাজাবাজার–মনিপুরীপাড়া—ঢাকার নগর জীবনের প্রতিদিনের ব্যস্ততা।


আজকের আধুনিক মেট্রোরেল আর সিবিডি উন্নয়নের ভিড়ে হয়তো প্রাচীন গল্পগুলো আড়াল হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ইন্দিরা রোড মনে করিয়ে দেয়—ঢাকা শুধু ইট-পাথরের নগর নয়, এর প্রতিটি রাস্তা ও নামের ভেতর লুকিয়ে আছে মানুষের স্মৃতি, গল্প আর আবেগ।


👉 তাই ইন্দিরা রোডকে জানলে, আমরা আসলে ঢাকারই এক টুকরো হৃদয়কে জানতে পারি।


_________________


1. 🛣️ আপনি কি কখনো ইন্দিরা রোডে থেকেছেন বা এখানে কোনো স্মৃতি আছে? সেটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন?


2. 📸 ইন্দিরা রোডের আপনার পুরনো কোনো ছবি বা অভিজ্ঞতা থাকলে কমেন্টে দিতে পারেন—আমরা শেয়ার করবো।


3. 🤔 আপনার মতে ঢাকার কোন রাস্তাটির নামকরণ সবচেয়ে আকর্ষণীয় গল্প বহন করে?


4. 🏙️ আজকের আধুনিক ঢাকায় ইন্দিরা রোডের কোন দিকটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি টানে—বাজার, কলেজ, নাকি লোকাল লাইফ?


_________________________________


লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||

এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||


___________________________


#IndiraRoad #DhakaHistory #Farmgate #Tejgaon #Monipuripara #DhakaStreets #UrbanDhaka #ঢাকার_ইতিহাস #ইন্দিরা_রোড #ফার্মগেট #তেজগাঁও

#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম #ইন্দিরারোডেরনামকরণেরইতিহাস

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

দাঁড়িয়ে পানি পান: প্রচলিত ধারণা বনাম বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা

 দাঁড়িয়ে পানি পান: প্রচলিত ধারণা বনাম বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা🔲🔷💧


💧💧​দাঁড়িয়ে পানি খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং সরাসরি ব্লাডস্ট্রিমে চলে যায় ❌

​এই দাবির পক্ষে সরাসরি কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। মানবদেহের পরিপাকতন্ত্র এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, আপনি যেকোনো ভঙ্গিতেই পানি পান করুন না কেন, তা একই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।

​➡️ পানি প্রথমে খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছায়, এরপর তা ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রে শোষিত হয়।

➡️ কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করা। আপনি যখনই পানি পান করেন, কিডনি সেই পানিকে ফিল্টার করে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়।


💧💧​দেহে পানির সঠিক শোষণ হয় না এবং তা অ্যাসিডিটির কারণ হয় ❌

​এটিও একটি ভুল ধারণা। আপনি দাঁড়িয়ে বা বসে যেভাবেই পানি পান করুন না কেন, পানির শোষণ প্রক্রিয়া একই থাকে।

​➡️ শরীরের ভেতরের পরিবেশ এবং হজম প্রক্রিয়া কোনো নির্দিষ্ট ভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল নয়।

➡️ পাকস্থলীর pH বা অ্যাসিডিটি মূলত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা খাবার বা পানীয়ের ভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।


💧💧​হাড়ের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায় ❌

​এই ধারণাটিও ভুল। দাঁড়িয়ে পানি খেলে ক্যালসিয়াম দ্রুত প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

​➡️ মানবদেহে ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়া খুবই জটিল এবং এর সঙ্গে হরমোন ও ভিটামিন ডি জড়িত। এটি পানি পান করার ভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল নয়।

➡️ অস্টিওপোরোসিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যার সঙ্গে পুষ্টির অভাব, হরমোনজনিত সমস্যা, বয়স এবং জেনেটিক কারণ জড়িত। দাঁড়িয়ে পানি পানের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।


💧💧​নার্ভ সিস্টেমে স্ট্রেস বাড়ে ❌

​দাঁড়িয়ে পানি পান করলে ভেজিটেটিভ নার্ভ সিস্টেম উত্তেজিত হয় এবং হার্টবিট বাড়ে—এই দাবিটি সরাসরি কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। এই সিস্টেম শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম যেমন হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, তবে এর সঙ্গে দাঁড়িয়ে পানি পান করার কোনো সম্পর্ক নেই।


💧🔷​ধর্মীয় উপদেশ: ইসলামে বসে পানি খেতে বলা হয়েছে ✅

​এটি একটি ধর্মীয় উপদেশ। ইসলামে বসে পানি পান করাকে সুন্নত বলা হয়েছে, যার পেছনে স্বাস্থ্যগত সুবিধার চেয়ে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক কারণ বেশি গুরুত্ব পায়। এটি শিষ্টাচার ও বিনয়ের অংশ হিসেবে পালন করা হয়।


​শেষ কথা

🌿​দাঁড়িয়ে পা

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

মাউন্ট ওমুরো (Mount Omuro): জাপানের এক অনন্য নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি।। 

 মাউন্ট ওমুরো (Mount Omuro): জাপানের এক অনন্য নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি।। 



জাপান প্রকৃতি ও আগ্নেয়গিরির দেশ। এখানকার অসংখ্য পর্বতচূড়ার মধ্যে মাউন্ট ফুজি যেমন বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে, তেমনি অনন্য আকৃতির জন্য সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাউন্ট ওমুরো (Mount Omuro)। এটি শিজুওকা প্রিফেকচারের ইতো শহরে, ইজু উপদ্বীপে (Izu Peninsula) অবস্থিত এক নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি।


🔸ভৌগোলিক অবস্থান ও উচ্চতা


মাউন্ট ওমুরোর উচ্চতা প্রায় ৫৮০ মিটার (১,৯০০ ফুট)। অন্যান্য উঁচু আগ্নেয়গিরির তুলনায় এটি ছোট হলেও এর সৌন্দর্য অসাধারণ। পর্বতটির গঠন সম্পূর্ণ গোলাকার, যেন সবুজে মোড়া এক বিশাল ঢিপি। দূর থেকে একে অনেক সময় বড় একটি সবুজ বাটির মতো দেখা যায়, যা দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।


🔸আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য


এটি একটি নিস্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি, অর্থাৎ বহু বছর আগে বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর সৃষ্টি হলেও বর্তমানে এর কোনো কার্যকলাপ নেই।


পাহাড়ের ক্রেটার অংশ (গহ্বর) আজও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তবে সেটি ভেতরে ঢুকে নেই; বরং চারপাশের ঢাল নরম সবুজ ঘাসে ঢাকা।


এর ঢাল এতটাই সমান ও নিখুঁত যে দেখতে অনেকটা কৃত্রিম পাহাড়ের মতো মনে হয়।


🔸পর্যটন আকর্ষণ


মাউন্ট ওমুরো শুধু একটি ভূতাত্ত্বিক নিদর্শন নয়, বরং জাপানের একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। প্রতি বছর দেশি-বিদেশি হাজারো ভ্রমণকারী এখানে আসে। এর কয়েকটি বিশেষ দিক হলো—


1. চেয়ারলিফট বা কেবল লিফট

পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শীর্ষে উঠতে কেবল লিফট ব্যবহার করা হয়। এতে ভ্রমণকারীরা সহজেই ক্রেটারের ধারে পৌঁছে যেতে পারেন।


2. প্যানোরামিক দৃশ্য

পাহাড়ের উপরে উঠে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ উপভোগ করা যায়। এখান থেকে স্পষ্ট দেখা যায়—


▫️দূরে মাউন্ট ফুজি


▫️বিশাল প্রশান্ত মহাসাগর


▫️এবং নিকটবর্তী ইজু দ্বীপপুঞ্জ।


3. ক্রেটার পথচারী পথ

শীর্ষে উঠে পর্যটকরা ক্রেটারের চারপাশ ঘুরে দেখতে পারেন। পুরো চক্কর দিতে প্রায় ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে।


4. ধনুক-বাণ অভিজ্ঞতা (Archery)

ক্রেটারের ভেতরে ঐতিহ্যবাহী ধনুক চালানোর (কিউদো) বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যা জাপানের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এক অভিনব সুযোগ।


🔸সাংস্কৃতিক গুরুত্ব


মাউন্ট ওমুরো স্থানীয় মানুষের কাছে শুধু প্রাকৃতিক নিদর্শন নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতি বছর বিভিন্ন উৎসব ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এর সবুজে ঢাকা মসৃণ ঢাল জাপানি শিল্পী, ফটোগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্যও একটি জনপ্রিয় বিষয়।


🔸মাউন্ট ওমুরো জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়ের এক অসাধারণ উদাহরণ। এর গোলাকার নিখুঁত আকৃতি, শীর্ষ থেকে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, এবং অনন্য পর্যটন সুবিধা একে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যারা জাপানে ভ্রমণ করতে চান, বিশেষ করে শিজুওকা প্রিফেকচার ঘুরে দেখতে চান, তাদের জন্য মাউন্ট ওমুরো এক অবশ্য দর্শনীয় স্থান।


Geography zone- ভূগোল বলয় 

#geography #viral #model 

#geographyzone #follower

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"

 এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"


এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।


অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হল এক ধরণের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, যেখানে ব্যাকটেরিয়ার মতো অণুজীবগুলি তাদের হত্যা বা বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি ওষুধের প্রভাব সহ্য করার ক্ষমতা বিকাশ করে।


এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য অভিযোজিত হয় এবং বিবর্তিত হয়।


এই অভিযোজনের মধ্যে জিনগত পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে তোলে, প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াকে সংখ্যাবৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়তে দেয়।

যদিও প্রতিরোধ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত ব্যবহার এর বিকাশকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করে।


ধরুন, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। আপনি খেলেন ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেল। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করল নিজেরা নিজেরা।


তারা ভাবল, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।

এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করে না!


সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকে না। তিনি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ওই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।


আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করে না, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হাসপাতাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবে না। সামান্য সর্দিতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।


উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। "মেডিসিনের বাইবেল" নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,

"This organism is registant against this Drugs in the subcontinent'' অর্থাৎ এই জীবাণুটি উপমহাদেশের এই ওষুধগুলোকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।


টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ জল খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়ে বেশি জরুরি। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা। আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা।


রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসিতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Azithromycin, Cefixime, Cefuroxime অথবা Levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কত দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষুধটি ১ ডোজ খাবেন, সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।  


চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।

   সংগৃহীত ও পরিবর্তিত

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

ডাক্তারদের দেওয়া সাধারণ টেস্ট ও তাদের ফুল ফর্ম

 ”ডাক্তারদের দেওয়া সাধারণ টেস্ট ও তাদের ফুল ফর্ম”


CBC – Complete Blood Count → রক্তে হিমোগ্লোবিন, সাদা রক্তকোষ, প্লাটিলেট ইত্যাদি জানতে


ESR – Erythrocyte Sedimentation Rate → শরীরে ইনফেকশন বা প্রদাহ আছে কিনা


RBS – Random Blood Sugar → যেকোনো সময়ের রক্তে সুগার


FBS – Fasting Blood Sugar → খালি পেটে সকালের রক্তে সুগার


PPBS – Post Prandial Blood Sugar → খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরের রক্তে সুগার


HbA1c – Hemoglobin A1c → গত ৩ মাসের গড় রক্তে সুগার


 LFT – Liver Function Test → লিভারের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা


KFT / RFT – Kidney/Renal Function Test → কিডনির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা


Lipid Profile – রক্তে কোলেস্টেরল, HDL, LDL, ট্রাইগ্লিসারাইড চেক


TSH, T3, T4 – Thyroid Hormone Tests → থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা চেক


CRP – C-Reactive Protein → শরীরে ইনফেকশন বা প্রদাহ চেক


PSA – Prostate Specific Antigen → প্রোস্টেট ক্যান্সার বা সমস্যা চেক (পুরুষদের)


VDRL – Venereal Disease Research Laboratory → সিফিলিস রোগ চেক


HbsAg – Hepatitis B Surface Antigen → হেপাটাইটিস বি ভাইরাস চেক


Anti-HCV – Hepatitis C Virus Antibody → হেপাটাইটিস সি ভাইরাস চেক


HIV Test – Human Immunodeficiency Virus Test → এইডস ভাইরাস চেক


Urine R/E – Urine Routine & Microscopic Exam → প্রস্রাবের সাধারণ টেস্ট


Stool R/E – Stool Routine & Microscopic Exam → পায়খানার সাধারণ টেস্ট


ECG – Electrocardiogram → হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম পরীক্ষা


ECHO – Echocardiography → হৃদপিণ্ডের আল্ট্রাসাউন্ড


EEG – Electroencephalogram → মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম পরীক্ষা


X-Ray – Radiograph → হাড়, ফুসফুস ইত্যাদি দেখা


CT Scan – Computed Tomography → শরীরের ডিটেইলড ছবি


MRI – Magnetic Resonance Imaging → মস্তিষ্ক, স্নায়ু, জয়েন্ট ইত্যাদি দেখা


Widal Test – টাইফয়েড পরীক্ষা


Dengue Test (NS1 / IgG / IgM) – ডেঙ্গু ভাইরাস চেক


MP Test – Malaria Parasite Test → ম্যালেরিয়া চেক


ABO & Rh – Blood Group & Rh Factor → রক্তের গ্রুপ ও Rh পজিটিভ/নেগেটিভ

ইমাম হুসাইন (আ.)’র মাথা কোথায় দাফন করা হয়?,,,,স্রষ্টার সৃষ্টির সেবাই - ধর্ম

 ইমাম হুসাইন (আ.)’র মাথা কোথায় দাফন করা হয়?


ইমাম হোসাইন (আ.) এবং অন্যান্য শহীদের মাথা কোথায় দাফন করা হয় তা নিয়ে শিয়া ও সুন্নিদের ইতিহাস গ্রন্থে এবং শিয়াদের হাদীস গ্রন্থে প্রচুর মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এ ব্যাপারে যেসব মতামত উল্লেখ করা হয়েছে তা যথেষ্ট বিশ্লেষণের দাবি রাখে। বর্তমানে শিয়াদের কাছে গ্রহণযোগ্য মত হলো ইমাম হোসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের কয়েকদিন পরে তাঁর পবিত্র মাথা দেহের সাথে সংযুক্ত করে কারবালার মাটিতে দাফন করা হয়। বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন মত নিচে উল্লেখ করা হলো :


শিয়া আলেমদের মধ্যে এ মতটি হলো সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ। আল্লামা মাজলিসি (র.) এ মতের প্রসিদ্ধির কথা ব্যক্ত করেছেন। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৪৫)


এক: মিশর (কায়রো)


বর্ণিত হয়েছে, ফাতেমী খলীফাগণ যারা চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে শুরু করে সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত মিশরে রাজত্ব করেন এবং শিয়া ইসমাঈলী মাযহাবের অনুসারী ছিল তারা ইমাম হোসাইন (আ.)-এর পবিত্র মাথা সিরিয়ার ফারাদীস শহর থেকে আসকালান, অতঃপর কায়রোতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ৫০০ বছর পর ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মুকুট নামে একটি মাযার তৈরি করে। (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৮ম খণ্ড, পৃ. ২০৫)


মাকরীযী মনে করেন, ৫৪৮ সালে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মাথা আসকালান থেকে কায়রোতে স্থানান্তরিত হয়। তিনি বলেন : ‘আসকালান থেকে পবিত্র মাথা বের করার সময় দেখা যাচ্ছিল যে, তার রক্ত টাটকা এবং এখনো শুকায়নি। আর মেশকের মতো একটি সুগন্ধি ইমামের পবিত্র মাথা থেকে বের হচ্ছিল। (মাআ রাকবিল হোসাইনী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৩৭)


আল্লামা সাইয়্যেদ মুহসিন আমিন আমেলী (গত শতাব্দীর প্রসিদ্ধ শিয়া আলেম) আসকালান থেকে মিশরে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মাথা স্থানান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে বলেন : ‘মাথার সমাধিস্থলে একটি বড় মাযার তৈরি করা হয়েছে। আর তার পাশে একটি বড় মসজিদও তৈরি করা হয়েছে। ১৩২১ হিজরিতে ঐ জায়গা আমি যিয়ারত করি। আর বহু নারী-পুরুষকে সেখানে যিয়ারত করতে ও কান্নাকাটি করতে দেখতে পাই। ’ তিনি আরো বলেন : ‘একটি মাথা আসকালান থেকে মিশরে স্থানান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে ঐ মাথাটি ইমাম হোসাইন (আ.)-এর নাকি অন্য কোন ব্যক্তির এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। (লাউয়ায়িজুল আশজান ফি মাকতালিল হোসাইন (আ.), পৃ. ২৫০)


আল্লামা মাজলিসী (র.) মিশরের একটি দলের বরাত দিয়ে সেখানে ‘মাশহাদুল কারীম’ নামে একটি বড় মাযার থাকার প্রতি ইঙ্গিত করেন। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৪৪)


দুই. রিক্কা


ফোরাত নদীর তীরে একটি শহরের নাম হলো রিক্কা। কথিত আছে, ইয়াযীদ ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মাথা আবু মুহিতের বংশধরের কাছে পাঠায়। (আবু মুহিতের বংশধর উসমানের আত্মীয় ছিল এবং ঐ সময় রিক্কা শহরে বাস করত)। তারা ইমামের পবিত্র মাথা একটি বাড়িতে দাফন করে যা পরবর্তীকালে মসজিদে রূপান্তরিত হয়। (মাআ রাকবিল হোসাইনী, পৃ. ৩৩৪, তাজকেরাতুল খাওয়াস, পৃ. ২৬৫)


তিন. কুফা


সাব্ত ইবনে জাওজী এ মতের প্রবক্তা। তিনি বলেন : ‘আমর বিন হারিস মাখজুমী, ইবনে যিয়াদের কাছ থেকে ইমামের পবিত্র মাথা নেয় এবং গোসল দেয়ার পর কাফন পরিয়ে ও সুগন্ধি মাখিয়ে স্বীয় বাড়িতে দাফন করে। (তাজকেরাতুল খাওয়াস পৃ. ২৫৯)


চার. মদীনা


‘তাবাকাতে কুবরা’র লেখক ইবনে সা’দ এ মতটি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন : ‘ইয়াযীদ ইমামের মাথাকে মদীনার শাসক আমর বিন সাঈদের জন্য পাঠায়। আমর ঐ পবিত্র মাথাটিকে কাফন দেওয়ার পর বাকী গোরস্তানে হযরত ফাতেমা (সা.)-এর মাযারের পাশে দাফন করে। (ইবনে সাদ, তাবাকাত, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১১২)


এ মতটিকে আহলে সুন্নতের কতিপয় পণ্ডিত ব্যক্তি (যেমন খাওয়ারেজমী ‘মাকতালুল হোসাইন (আ.)’ গ্রন্থে এবং ইবনে এমাদ হাম্বালী ‘শুজুরাতুত যাহাব’ গ্রন্থে) গ্রহণ করেছেন। (মাআ রাকবিল হোসাইনী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৩০-৩৩১)


এ মতের ব্যাপারে সবচেয়ে বড় ত্রুটি হলো, হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর কবর ছিল অজ্ঞাত। অতএব, কিভাবে সম্ভব যে, তাঁর কবরের পাশে দাফন করা হতে পারে।


পাঁচ. সিরিয়া


সম্ভবত বলা যেতে পারে, অধিকাংশ সুন্নি আলেমের মতে, ইমামের পবিত্র মাথা সিরিয়ায় দাফন করা হয়েছে। এ মতে বিশ্বাসীদের মধ্যেও মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়। সেসব মতামত নিচে উল্লেখ করা হলো :


ক. ফারাদীস শহরের প্রধান গেটের পাশে দাফন করা হয়। পরবর্তীকালে সেখানে ‘মাসজিদুর রাস’ তৈরি করা হয়।


খ. উমাইয়া জামে মসজিদের পাশে একটি বাগানে দাফন করা হয়।


গ. দারুল ইমারায় দাফন করা হয়।


ঘ. দামেশ্কের একটি গোরস্তানে দাফন করা হয়।


ঙ. তুমা শহরের দরজার পাশে দাফন করা হয়। (মাআ রাকবিল হোসাইনী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৩১-৩৩৫)


ছয়: নাজাফে হযরত আলী (আ.)-এর মাযারের পাশে


আল্লামা মাজলিসি (র.)-এর বক্তব্য থেকে এবং কতগুলো হাদীস বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় যে, ইমামের মাথা নাজাফে হযরত আলী (আ.)-এর মাযারের পাশে দাফন করা হয়েছে। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৪৫) কিছু কিছু হাদীসে এসেছে, ইমাম জাফর সাদিক (আ.) স্বীয় সন্তান ইসমাইলকে সাথে নিয়ে নাজাফে ইমাম আলী (আ.)-এর যিয়ারত করে নামায পড়ার পর ইমাম হোসাইন (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে সালাম দিতেন। অতএব, এসব হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর সময়কাল পর্যন্ত ইমাম হোসাইন (আ.)-এর পবিত্র মাথা নাজাফেই ছিল। (কামিলুজ জিয়ারাত, পৃ. ৩৪)


অন্যান্য হাদীসও এ মতটিকে সমর্থন করে। এমনকি শিয়াদের গ্রন্থসমূহে ইমাম আলী (আ.)-এর মাযারের পাশে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর পবিত্র মাথা যিয়ারত করার জন্য দুআ’ও উল্লেখ করা হয়েছে। (মাআ রাকবিল হোসাইনী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩২৫-৩২৮)


ইমামের পবিত্র মাথা নাজাফে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : ‘আহলে বাইত (আ.)-এর একজন ভক্ত সিরিয়ায় ইমামের পবিত্র মাথা চুরি করে ইমাম আলী (আ.)-এর মাযারের পাশে নিয়ে আসে। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৪৫) অবশ্য এ মতের ব্যাপারে একটি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। আর তা হলো, ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর সময়কাল পর্যন্ত ইমাম আলী (আ.)-এর মাযার সবার কাছে পরিচিত ছিল না।


অন্য এক হাদীসে এসেছে, ইমামের পবিত্র মাথা দামেশ্কে কিছু দিন রাখার পর কুফায় ইবনে যিয়াদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সে জনগণের বিদ্রোহের ভয়ে এ নির্দেশ দেয় যে, ইমামের পবিত্র মাথা যেন কুফা থেকে বের করে নাজাফে হযরত আলী (আ.)-এর মাযারের পাশে দাফন করা হয়। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৭৮) পূর্ববর্তী মতের ব্যাপারে যে ত্রুটি উল্লেখ করা হয়েছে এখানেও সে ত্রুটি প্রযোজ্য।


সাত. কারবালা


সাদুক (র.) হযরত আলী (আ.)-এর মেয়ে এবং ইমাম হোসাইন (আ.)-এর বোন ফাতেমা থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ করেন, কারবালায় দেহ মোবারকের সাথে মাথা সংযুক্ত করা হয়েছিল। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৫তম খণ্ড, পৃ. ১৪০) তবে মাথা সংযুক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন রকম দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করা হয়েছে।


সাইয়্যেদ বিন তাউসসহ কেউ কেউ এটিকে একটি অলৌকিক বিষয় হিসেবে মনে করেন এবং বলেন, আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় ক্ষমতাবলে অলৌকিকভাবে এ কাজটি করেন। আর এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। (সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, পৃ. ৫৮৮)


আবার কেউ কেউ বলেন, ইমাম সাজ্জাদ (আ.) সিরিয়া থেকে ফেরার সময় চল্লিশতম দিনে (সাইয়্যেদুশ শোহাদা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩০৪) অথবা অন্য কোন এক দিনে ইমামের পবিত্র মাথা কারবালায় তাঁর দেহের পাশে দাফন করেন। (লুহুফ, পৃ. ২৩২)


কিন্তু ইমামের মাথা একেবারে তাঁর দেহ মোবারকের সাথে সংযুক্ত করে নাকি তাঁর দেহের পাশে দাফন করা হয়েছে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। এছাড়া সাইয়্যেদ ইবনে তাউসও এ ব্যাপারে বেশি প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। (ইকবালুল আ’মাল, পৃ. ৫৮৮)


একদল বলেন, ইমাম হোসাইন (আ.)-এর পবিত্র মাথা ইয়াযীদের আমলে তিন দিন দামেশকের প্রধান দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। অতঃপর সেখান থেকে নামিয়ে সরকারি মূল্যবান বস্তুর সংরক্ষণাগারে রাখা হয়। উমাইয়া শাসক সুলায়মান বিন আবদুল মালেকের শাসনকাল পর্যন্ত ইমামের পবিত্র মাথা সেখানেই থাকে। এরপর সুলায়মান ঐ মাথাকে কাফন পরিয়ে দামেশকে মুসলমানদের গোরস্তানে দাফন করে। অতঃপর সুলায়মানের উত্তরাধিকারী উমর বিন আবদুল আজীজ (খেলাফত : ৯৯-১০১ হি.) গোরস্তান থেকে ঐ পবিত্র মাথাকে বের করে নিয়ে আসেন এবং সেটাকে কী করেন তা কারো জানা নেই! কিন্তু তিনি যেহেতু শরীয়তের বাহ্যিক আমলের প্রতি অনুগত ছিলেন সেহেতু যথাসম্ভব ঐ পবিত্র মাথাকে কারবালা পাঠিয়েছিলেন। (মাকতালুল খাওয়ারেজমী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৫)


পরিশেষে বলতে চাই, কোন কোন সুন্নি মনীষী, যেমন, শাব্লানজী এবং সিব্ত ইবনে জাওজীও এক রকম স্বীকার করেছেন যে, পবিত্র মাথা কারবালায় দাফন করা হয়েছে। (মাআ রাকবুল হোসাইনী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩২৪, ৩২৫)


আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুমা


স্রষ্টার সৃষ্টির সেবাই - ধর্ম


BMW মোহাম্মদ

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

Infinix ব্যবহারকারী? এই ১০টি Pro Level ফিচার একবারও ব্যবহার করেছেন?

 ”Infinix ব্যবহারকারী? এই ১০টি Pro Level ফিচার একবারও ব্যবহার করেছেন?”


অনেকেই Infinix ফোনকে শুধু "কমদামি" ফোন বলে অবহেলা করে, কিন্তু এই ফোনে এমন কিছু Premium Feature আছে যেগুলো Samsung-এও নেই। নিচের সেটিংগুলো একবার অন করেই দেখুন 


১. XHide – আপনার গোপন ফাইল/ছবি লুকান

`Phone Master → XHide → PIN সেট করে প্রয়োজনীয় ফাইল Add করুন`


২. Freezer – RAM ফ্রি করার জন্য Best ফিচার

`Settings → Special Function → Freezer`

 যেকোনো অ্যাপ Freeze করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে আর চলবে না।


৩. Lightning Multi-Window (Split Screen)

`Settings → Special Function → Lightning Multi-window`


৪. Magic Button (Gaming Trigger)

`Game Mode → Magic Button` → Volume keys কে Gaming Trigger হিসেবে সেট করুন।


৫. Social Turbo (WhatsApp এর জন্য All-in-One ফিচার)

`Settings → Special Function → Social Turbo`

 WhatsApp Call Recorder, Status Saver, Voice Changer সব এক জায়গায়।


৬. Smart Panel (Floating Quick Apps)

`Settings → Display → Smart Panel` → Enable করুন


৭. Eye Care + Anti-Peeping Screen

`Settings → Display → Eye Care` → Enable + Schedule করুন


৮. Power Boost + Marathon Mode (Battery কে Long Lasting করুন)

`Settings → Battery Lab → Power Boost / Ultra Power Mode`


৯. Notification LED (কল / মেসেজ এর সময় লাইট ঝলকানো)

`Settings → Display → Notification Light`


১০. Fingerprint Quick Action

`Settings → Security → Fingerprint → Quick Launch`

 দ্রুত Apps/Others Shortcut Assign করুন


Infinix ফোনে যদি উপরের ফিচারগুলো ঠিকভাবে সেট করা থাকে, তাহলে আপনি সত্যিকারের “Pro Level” সুবিধা পাবেন – আর ফোনও আগের তুলনায় অনেক স্মার্ট ভাবে কাজ করবে।

রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন

 "রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন?"


অনেকেই জানেন না কোন রোগ হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে। এখানে সহজভাবে রোগ ও ডাক্তার অনুযায়ী গাইডলাইন দেওয়া হলো 


সাধারণ সমস্যা


জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা, ডায়রিয়া → মেডিসিন ডাক্তার / জেনারেল ফিজিশিয়ান


শিশুর অসুখ (০–১৪ বছর বয়স) → পেডিয়াট্রিশিয়ান (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ)


বয়সজনিত সাধারণ সমস্যা (বৃদ্ধদের) → জেরিয়াট্রিশিয়ান


অঙ্গভিত্তিক রোগ

হৃদরোগ, বুক ধড়ফড়, হার্ট ব্লক, হার্ট অ্যাটাক → কার্ডিওলজিস্ট (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)


শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুস সমস্যা, কাশি দীর্ঘদিন ধরে → পালমোনোলজিস্ট (ফুসফুস বিশেষজ্ঞ)


পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, লিভার, কিডনি বা হজম সমস্যা → গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট (পেট/লিভার বিশেষজ্ঞ)


কিডনি রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, ডায়ালাইসিস → নেফ্রোলজিস্ট (কিডনি বিশেষজ্ঞ)


হাড়, জয়েন্ট ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, ভাঙা হাড় → অর্থোপেডিক সার্জন


চোখের সমস্যা, কম দেখা, ছানি, চশমা লাগবে কিনা → অপথ্যালমোলজিস্ট (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)


কান, নাক, গলা ব্যথা, শ্রবণ সমস্যা, টনসিল → ইএনটি ডাক্তার


দাঁত, মাড়ি ব্যথা, দাঁত ওঠানো/সেট করা → ডেন্টিস্ট (দন্ত চিকিৎসক)


 বিশেষ রোগ


ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হরমোন সমস্যা → এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট (হরমোন বিশেষজ্ঞ)


ত্বকের সমস্যা, একজিমা, চুল পড়া, ব্রণ, এলার্জি → ডার্মাটোলজিস্ট (ত্বক বিশেষজ্ঞ)


মস্তিষ্ক, স্নায়ু, মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, স্ট্রোক → নিউরোলজিস্ট (স্নায়ু বিশেষজ্ঞ)


মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন, ঘুমের সমস্যা → সাইকিয়াট্রিস্ট (মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ)


ক্যান্সার, টিউমার → অঙ্কোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ)


মহিলা রোগ (পিরিয়ড সমস্যা, গর্ভধারণ, ডেলিভারি) → গাইনোকোলজিস্ট


প্রসবের সময় বাচ্চা বের করার অপারেশন → অবসটেট্রিশিয়ান


চর্ম যৌন রোগ, এইডস, যৌন সমস্যা → ভেনেরিওলজিস্ট / চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ


সার্জারি


অ্যাপেন্ডিক্স, গলস্টোন, টিউমার অপারেশন → জেনারেল সার্জন


ব্রেইন টিউমার, মাথায় আঘাত, মস্তিষ্ক অপারেশন → নিউরোসার্জন


হৃদযন্ত্রের বাইপাস, হার্ট সার্জারি → কার্ডিয়াক সার্জন


প্লাস্টিক সার্জারি, পোড়া জায়গার চিকিৎসা → প্লাস্টিক সার্জন


চোখের অপারেশন (ছানি/লেজার ইত্যাদি) → অকুলার সার্জন


প্রথমে যদি নিশ্চিত না হন → জেনারেল ফিজিশিয়ান/মেডিসিন ডাক্তার দেখান, উনি সঠিক স্পেশালিস্টে রেফার করবেন।


সব সময় রোগ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বেছে নিন, এতে সঠিক চিকিৎসা দ্রুত পাওয়া যায়।

একটু খেয়াল করুন—সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে কি করেন?

 একটু খেয়াল করুন—সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে কি করেন?


নাহ, দাঁত ব্রাশ না। আপনার আঙুল টাচ করে ফোনে। নোটিফিকেশন আসে, চোখ চকচক করে ওঠে। মাথায় একটা হালকা আনন্দের ভাব।


এটাই ডোপামিন।

একটা ছোট্ট ‘হিট’।

মস্তিষ্ক বলে, “ভালো লাগছে, আবার করো!”


কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ‘ভালো লাগা’টা আসলে একটা কন্ট্রোলড ডিজাইন?

এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর অ্যালগরিদম আপনাকে না জেনে একটা ট্র্যাপে ফেলে রাখে।


টিকটক কেন ননস্টপ প্লে করে?

ইনস্টাগ্রাম কেন “Scroll End” বলে কিছু নেই?

Facebook কেন “Memories” দেখায়?


এইসব কিছুই—পিওর সায়েন্স অব মেন্টাল হ্যাকিং।


আপনি আর কন্ট্রোলে নেই।

আপনার মস্তিষ্ক এখন প্ল্যাটফর্মগুলোর হাতে রিমোট কন্ট্রোল।


২০ মিনিটের জন্য সব অফ। শুধু নিজের সাথে কানেক্টেড থাকবো।

দেখলাম— একবার শুরু করলেই, সময়, ফোকাস, পিস—সব ফিরে আসে।


আপনার জন্য আমার রোডম্যাপ:


🧭 ১. প্রতিদিন ১৫ /২০  মিনিট “Digital Pause” নিন।

🧭 ২. ফোনে স্ক্রিন টাইম আলার্ম সেট করুন।

🧭 ৩. দিনে ৩০ মিনিট “No Dopamine Hour” চালু করুন।

🧭 ৪. রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে সব নোটিফিকেশন বন্ধ করুন।


শুরুতে কঠিন লাগবে। মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করবে। শরীর ‘ফেক আনন্দ’ খুঁজবে। কি 

কিন্তু মনে রাখবেন— আপনি রোবট না।


আমি এই নিয়মগুলো ফলো করে নিজের প্রোডাক্টিভিটি কয়েকগুন গুণ বাড়িয়েছি,

আর স্ট্রেস ৭০% কমিয়েছি।


আমার এক ট্রেইনি ছিল—প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা স্ক্রল করতো। আজ সে একটা স্টার্টআপ চালাচ্ছে, কারণ এখন ওর ‘mind’ ওর নিজের কন্ট্রোলে।


ভাবুন তো— আপনি সকালবেলা উঠে ডিভাইস নয়, নিজের লাইফের ওপর কন্ট্রোল নিয়ে দিন শুরু করছেন। মন শান্ত, মাথা ক্লিয়ার,, আর কাজ শেষ হচ্ছে ঠিক সময়মতো।


এটাই হতে পারে আপনার নতুন সুপার পাওয়ার।


আজ যদি আপনি সিদ্ধান্ত না নেন—আগামীকালও অন্য কেউ আপনার মাথা দিয়ে আয় করবে। আপনার সময়টাই তাদের বিজনেস মডেল।


এখন সিদ্ধান্ত আপনার—


আপনি "Device" কন্ট্রোল করবেন,

নাকি "Device" আপনাকে কন্ট্রোল করবে?


©

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

আমার মতো ছাত্র বুয়েট আর দ্বিতীয়টি পাবে না, আর আসবেও না। আমিই শেষ

 বুয়েটের সমাবর্তনে এক যুবক বক্তৃতা দিতে গিয়ে বললেন—

“আমার মতো ছাত্র বুয়েট আর দ্বিতীয়টি পাবে না, আর আসবেও না। আমিই শেষ


আমি আজ বেরিয়ে যাচ্ছি। আমার মতো আর কোনো ছাত্র এই বুয়েটে ভর্তি হতে পারবে না। আজ আমি গর্বিত যে এত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমি ছাত্র ছিলাম।”

কথা বলতে বলতে তার চোখ থেকে অবিরাম জল পড়ছিল। তখন একজন প্রফেসর তাকে জিজ্ঞেস করলেন—

“তোমার গর্বিত হওয়ার কারণ কী?”

জবাবে ছেলেটি বলল—

“কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে একচালা এক বস্তির ঘরে আমার জন্ম। হ্যাঁ, আমি বস্তিরই ছেলে। বাবা যখন মারা যান, আমি তখন খুব ছোট। আমাকে বড় করে মানুষ করার জন্য আমার মা দিনের বেলায় ভিক্ষা করতেন আর রাতে এক বাসায় ঝির কাজ করতেন। আমি ওই বস্তিরই স্কুলে পড়তাম। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলাম।

মায়ের একার রোজগারে সংসার চলত না, তাই আমি কমলাপুর স্টেশনে বাদাম বিক্রি করতাম। স্টেশনে বাদাম নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় কোথাও কোনো পড়ে থাকা ইংরেজি পত্রিকা কাগজ কুড়িয়ে এনে পড়ার চেষ্টা করতাম। আমি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হই, বস্তির স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পাই।

আমার পড়াশোনার আগ্রহ দেখে একজন ভদ্রলোক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আজ সেই ভদ্রলোকের জন্যই আমি এত দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। এর জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই।

আজ আর আমার মা বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতাম—‘মা, তোমার বাদাম বিক্রি করা ছেলে বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে।’ কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—তিনি তো আর নেই।

তবুও আমার একটাই পরিচয়—আমি বস্তির ছেলে। এই কথা বলতে আমার কোনো দ্বিধা হয় না।”

কথা শেষ করে আবারও চোখ মুছলেন ছেলেটি।


#Thebogura #BUET

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

Bangladesh Weather Observation Team- BWOT ((ফেইসবুক থেকে নেওয়া)) আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, রাত ১০:৩০ টা

 ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে প্রায় শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টি বলয় " স্পিড "


নোট : বলে রাখা ভালো, এই বৃষ্টি বলয়টি দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব,  দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল বা উপকূলীয় জেলা গুলোতে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে, ফলে ভারিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকার নিচু এলাকা সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। 


এটি একটি আংশিক বৃষ্টি বলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয় সারাদেশে সক্রিয় হতে পারবেনা। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সক্রিয় হয়ে যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  এবং এই বৃষ্টি বলয় টি দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বেশ বৃষ্টি ঘটাতে পারে। 


এটি চলতি বছরের ১১ তম বৃষ্টি বলয় ও ৭ তম মৌসূমী বৃষ্টি বলয়। 


সর্বাধিক সক্রিয়ঃ খুলনা > বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ (বিশেষ করে এই সকল বিভাগের যত দক্ষিণে তত বেশি সক্রিয়)


মাঝারি সক্রিয় : ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ 

কম সক্রিয় : রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ। 


নাম :  শক্তিশালী মৌসুমী বৃষ্টি বলয় "স্পিড"। 

টাইপ : আংশিক বৃষ্টি বলয়। 


কাভারেজ : দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা। 

ধরন : মৌসূমী বৃষ্টি বলয়

সময়কাল : ২১ শে অগাস্ট হতে ২৫ শে অগাস্ট ২০২৫। 

সর্বাধিক সক্রিয়: ২২ টু ২৪ শে অগাস্ট। 


কালবৈশাখী : নেই

বজ্রপাত :  প্রায় স্বাভাবিক 

বন্যা : দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নিচু এলাকা ভারিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। 


একটানা বর্ষন : আছে বেশি সক্রিয় এলাকায়

সিস্টেম : স্থল সার্কুলেশন/লঘুচাপ থাকতে পারে। 

ঝড় :  এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের উপর বড় কোন ঝড়ের সম্ভাবনা নেই তবে দমকা হাওয়া থাকতে পারে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূল ও বৃষ্টিবাহী এলাকায়। 


সাগর : বেশিরভাগ সময়েই সাগর বেশ উত্তাল  থাকতে পারে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা, সার্কুলেশন/লঘুচাপ ও বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে। 


পাহাড় ধসঃ এসময় চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকাতে পাহাড় ধ্বসের বেশ আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বান্দরবান কক্সবাজার চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলায়। 


নোট : বৃষ্টিবলয় " স্পিড " চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক থেকে মূলত মেঘলা থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।

বৃষ্টি বলয় "স্পিড" এ অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে একটানা ও দীর্ঘস্থায়ী, ঝাঁকে ঝাকেও হতে পারে বেশ কিছু এলাকায়। 


*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৪০-৬০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে। 


এই বৃষ্টি বলয় টি ২১ শে অগাস্ট দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে ও আগামি ২৫ শে অগাস্ট খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়েই দেশ ত্যাগ করতে পারে। 


বৃষ্টিবলয় স্পিড  চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া দক্ষিণ ও উপকূলীয় অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে বৃষ্টি বিরতির সময় অল্প কিছুটা ভ্যপসা গরম পড়তে পারে কিছু কিছু এলাকায়। এবং উত্তর ও উত্তর মধ্য অঞ্চলে কিছুটা ভ্যাপসা গরম অনুভূতি থাকতে পারে মাঝে মাঝেই। 


"স্পিড"  চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।


স্পিড এর বৈশিষ্ট্য : অধিক সক্রিয় এলাকায় খুবই জোরে মুসলধারে বৃষ্টি ও অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টি হতে পারে। এবং অধিকাংশ বৃষ্টিপাত মধ্যরাত হতে দুপুরের মধ্যে হতে পারে। 


নোট : স্পিড যেহেতু আংশিক বৃষ্টি বলয়, সুতরাং স্পিড চলাকালীন সময়ে দেশের কিছু এলাকায় খুবই কম বৃষ্টিপাত বা বৃষ্টি একেবারে না ও হতে পারে। 


নোট: বৃষ্টি বলয় চালু হওয়া মানে একসাথে সকল এলাকায় বৃষ্টিপাত নয়। মূলত এই সময়সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ সক্রিয় এলাকায় পর্যায়ক্রমে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং কম সক্রিয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও তা পর্যায়ক্রমে ও কম হতে পারে। 


মেঘের অভিমুখ: শুরুতে দক্ষিন পশ্চিম থেকে  উত্তর-পুর্ব দিকে। তারপর এরপর অধিকাংশ এলাকায় পশ্চিম  হতে পুর্ব দিকে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। 


আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় "স্পিড" চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ৫ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।


ঢাকা ৮৫-১৩০ মিলিমিটার, গড়ে ৩দিন

খুলনা ১০০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন

বরিশাল ১৫০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন

সিলেট ৮০-১৪০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন

ময়মনসিংহ ৯০-১২০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন

রাজশাহী ৬০-৮০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন

রংপুর ৫৫-১২০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন

চট্টগ্রাম  ১০০-৩৬০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন।


আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় স্পিড এ চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।


বরিশাল বিভাগ

==========

বরিশাল 150

ভোলা উত্তর 180

ভোলা দক্ষিণ 300

বরগুনা 300

ঝালকাঠি 165

পটুয়াখালী উত্তর 250

পটুয়াখালী দক্ষিণ 300

পিরোজপুর উত্তর 160

পিরোজপুর দক্ষিণ 250

—————————

চট্টগ্রাম বিভাগ

==========

বান্দরবন উত্তর 220

বান্দরবন দক্ষিণ 275

ব্রাহ্মণবাড়িয়া 85

চাঁদপুর 130

চট্টগ্রাম উত্তর 225

চট্টগ্রাম দক্ষিণ 275

কুমিল্লা উত্তর 100

কুমিল্লা দক্ষিণ 150

কক্সবাজার উত্তর 340

কক্সবাজার দক্ষিণ 360

ফেনী 225

খাগড়াছড়ি উত্তর 115

খাগড়াছড়ি দক্ষিণ 160

লক্ষ্মীপুর 200

নোয়াখালী উত্তর 225

নোয়াখালী দক্ষিণ 300

রাঙামাটি উত্তর 115

রাঙামাটি দক্ষিণ 200

—————————

ঢাকা বিভাগ

===========

ঢাকা 85

ফরিদপুর 105

গাজীপুর 90

গোপালগঞ্জ 130

কিশোরগঞ্জ 80

মাদারীপুর 100

মানিকগঞ্জ 85

মুন্সীগঞ্জ 96

নারায়ণগঞ্জ 105

নরসিংদী 85

রাজবাড়ী 95

শরীয়তপুর 100

টাঙ্গাইল 90

——————–

ময়মনসিংহ বিভাগ

=============

জামালপুর 90

ময়মনসিংহ উত্তর 110

ময়মনসিংহ দক্ষিণ 90

নেত্রকোনা 120

শেরপুর 100

—————————


খুলনা বিভাগ

============

বাগেরহাট উত্তর 180

বাগেরহাট দক্ষিণ 280

চুয়াডাঙ্গা 110

যশোর 130

ঝিনাইদহ  115

খুলনা উত্তর 185

খুলনা দক্ষিণ  290

কুষ্টিয়া 75

মাগুরা 100

মেহেরপুর 95

নড়াইল 120

সাতক্ষীরা উত্তর 190

সাতক্ষীরা দক্ষিণ 300

—————————

রাজশাহী বিভাগ

============

বগুড়া 60

জয়পুরহাট 55

নওগাঁ 65

নাটোর 65

নবাবগঞ্জ 75

পাবনা 70

রাজশাহী 75

সিরাজগঞ্জ 80

—————————

রংপুর বিভাগ

=============

দিনাজপুর 65

গাইবান্ধা 55

কুড়িগ্রাম 75

লালমনিরহাট 85

নীলফামারী 90

পঞ্চগড় 120

রংপুর 65

ঠাকুরগাঁও 80

—————————

সিলেট বিভাগ

============

হবিগঞ্জ 80

মৌলভীবাজার 85

সুনামগঞ্জ 140

সিলেট 135

—————————

পশ্চিমবঙ্গ

==========

উত্তর ২৪ পরগণা 180

দক্ষিণ ২৪ পরগণা 300

কলকাতা 250

দিঘা 275

মেদিনীপুর 285

বাঁকুড়া 190

পুরুলিয়া 200

বর্ধমান 160

আসানসোল 170

বহরমপুর 95

মালদা 75

রায়গঞ্জ 75

ইসলামপুর 120

শিলিগুড়ি 150

দার্জিলিং 155

জলপাইগুড়ি 150

কোচবিহার 150

—————————

ওড়িশা

==========

উত্তর উড়িষ্যা 140

পূর্ব-মধ্য  উড়িষ্যা 40

—————————

ঝাড়খণ্ড

==========

উত্তর ঝাড়খণ্ড 150

দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড 190

জামশেদপুর 270

রাঁচি 250

দুমকা 100

—————————

বিহার

========

দক্ষিণ বিহার 95

পূর্ব বিহার 75

উত্তর বিহার 80

—————————

নেপাল

মধ্য নেপাল 100

দক্ষিণ পূর্ব নেপাল 120

—————————

ভুটান

পশ্চিম ভুটান 70

মধ্য ভুটান 68

পূর্ব ভুটান 65

—————————

আসাম

পশ্চিম আসাম 145

মধ্য আসাম 55

পূর্ব আসাম 90

দক্ষিণ আসাম 85

—————————


অন্যান্য

===========

চেরাপুঞ্জি 220

মধ্য মেঘালয় 55

দক্ষিণ পূর্ব অরুণাচল 85

মধ্য ত্রিপুরা 150

ত্রিপুরা-মিজোরান সীমান্ত 85

মণিপুর 75

নাগাল্যান্ড 65

উত্তর মিজোরাম 85

দক্ষিণ মিজোরাম 150

———————–

মিয়ানমার

===========

উত্তর চিন 110

দক্ষিণ চিন 150

মধ্য সাগাইং 140

উত্তর রাখাইন 360

মাগওয়ে 30

-----------------------

বৃষ্টি বলয় এর পূর্বাভাসে যা বিবেচনায় রাখতে হবে:

*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।


নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় "স্পিড" এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।


পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)


[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]


*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।

এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।


ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, রাত ১০:৩০ টা

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

 ২৫ হাজার টাকায় কিছু লাভজনক ব্যবসার যা করতে পারবে নারী-পুরুষ উভয়েই 

 ২৫ হাজার টাকায় কিছু লাভজনক ব্যবসার যা করতে পারবে নারী-পুরুষ উভয়েই 


১. হস্তশিল্প বা ক্রাফট ব্যবসা: হাতে তৈরি জিনিসপত্র যেমন - অলঙ্কার, স্যুভেনিয়ার, ঘর সাজানোর জিনিস ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রি করা। 


২. প্রিন্টেড টি-শার্ট ব্যবসা: বিভিন্ন ডিজাইন দিয়ে টি-শার্ট প্রিন্ট করে অনলাইনে বা স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা। 


৩. মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ: সাশ্রয়ী মূল্যের মোবাইল ফোন চার্জার, হেডফোন, কাভার ইত্যাদি বিক্রি করা। 


৪. ফেসবুক পেইজ পরিচালনা ও ডিজিটাল মার্কেটিং: ছোট ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেইজ পরিচালনা ও ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা যায়। 


৫. কফি শপ বা কফি কর্ণার: অল্প পরিসরে কফি ও হালকা স্ন্যাকস বিক্রি করে কফি শপ শুরু করা যায়। 


৬. কাস্টমাইজড মগ ও গিফট আইটেম: বিভিন্ন ডিজাইন দিয়ে মগ, টি-শার্ট, বা অন্যান্য গিফট আইটেম কাস্টমাইজড করে বিক্রি করা। 


৭. অনলাইন ফুড ডেলিভারি: হোমমেড খাবার বা স্ন্যাকস অনলাইনে বিক্রি করা। 


৮. হেয়ার কেয়ার বা বিউটি প্রোডাক্টস: অল্প পুঁজিতে বিভিন্ন হেয়ার কেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টস অনলাইনে বা ছোট পরিসরে বিক্রি করা। 


৯. অনলাইন পোশাকের ব্যবসা: অল্প পুঁজিতে বিভিন্ন ধরনের পোশাক অনলাইনে বিক্রি করা। 


১০. হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বা গহনা তৈরি: হাতে তৈরি গহনা, যেমন - নেকলেস, কানের দুল, ব্রেসলেট ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করা। 


১১. পুরনো বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রের অনলাইন বেচা-কেনা: পুরনো বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন - বই, জামাকাপড়, খেলনা ইত্যাদি অনলাইনে বিক্রি করা। 


১২. ফাস্ট ফুড কর্ণার: অল্প পরিসরে ফাস্ট ফুড যেমন - বার্গার, স্যান্ডউইচ, নুডলস ইত্যাদি বিক্রি করা। 


১৩. স্টেশনারি সামগ্রীর ব্যবসা: কলম, পেন্সিল, খাতা, কাগজ ইত্যাদি স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রি করা। 


১৪. খেলনার দোকান: শিশুদের জন্য খেলনা, খেলার সামগ্রী বিক্রি করা। 


১৫. ফ্যাশন হাউজ: অল্প পুঁজিতে নিজের ডিজাইন 

করা পোশাক বা এক্সেসরিজ বিক্রি করা। 


১৬. মা ও শিশু পণ্যের দোকান: শিশুদের পোশাক, খেলনা, বেবি কেয়ার সামগ্রী ইত্যাদি বিক্রি করা। 


১৭. ফটোগ্রাফি ব্যবসা: অল্প খরচে ফটোগ্রাফি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। 


১৮. সুগন্ধি তেল বিক্রয়: বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তেল তৈরি ও বিক্রি করা। 


১৯. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যবসা: ঘর পরিষ্কার করা বা লন্ড্রি বিষয়ক ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। 


২০. মোবাইল ফোন সার্ভিসিং: মোবাইল ফোন সারানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। 


২১. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: ছোটখাটো ইভেন্ট বা পার্টি আয়োজনের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। 


২২. গ্রাফিক্স ডিজাইন: গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য কাজ করা যেতে পারে। 


২৩. ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি করা বা ওয়েবসাইট মেইনটেইন করার কাজ করে আয় করা যেতে পারে। 


২৪. কন্টেন্ট রাইটিং: বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখে আয় করা যায়। 


২৫. অনলাইন টিউশন: অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় পড়িয়ে আয় করা যায়। 


এই ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে আপনি বেছে নিন আপনার ব্যবসাটি।


ধন্যবাদ

মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই

 মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই


দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,

- বাবা, ভিতরে আসো!

বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো

- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”

কিছুটা অবাক হয়ে বললাম

- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো? 

বাবা হেসে বললো,

- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”


রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,

- “বউ মা, কে এসেছে?”

বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো

- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?” 


শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!

হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই! 

বাবাকে বললাম,

- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।

বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো

- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”

কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,

- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে! 


কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!

শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম

- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।

শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”

শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,

- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম… 


শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,

- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”

মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!


রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,

- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন! 


দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো

- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”

বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো

- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!” 

আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম

- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না! 


বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল… 


সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!

একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,

- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”

আমি হেসে বললাম

- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!” 

স্বামী একবার বললো,

- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”

একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,

- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…


২ বছর পর…

আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

 

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,

- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!


আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম

- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”


কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,

 - তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

 

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে! 

অবাক হয়ে বললাম,

- কোথাও যাবে নাকি?

স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,

- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!” 


আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে! 

আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…


(সংগৃহীত) 


#facebookviral2025 #viralpost2025 #foryoupageシforyou #foryouシ #awereness #hilights #follower #viralinformation #information

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...