এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কুমড়ার ফল পচা না কড়া নষ্ট হওয়ার কারন।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কুমড়ার ফল পচা না কড়া নষ্ট হওয়ার কারন।


যারা কুমড়ার চাষ করেন তাদের অনেককেই একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আর সেটা হচ্ছে- কুমড়ার কড়া বা ছোট ফল পচে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা মারা যাওয়া।


★যে সকল কারনে কুমড়ার কড়া নষ্ট হতে পারে:


১. পরাগায়ণ না হওয়া।

২. মাছি পোকার আক্রমণ।

৩. ক্যালশিয়ামের অভাব।

৪. ছত্রাকের আক্রমণ।

৫. মাটিতে শক্তি/উর্বরতার অভাব।

৬. গাছের দুর্বলতা।

৭. মাটিতে রসের অভাব।


প্রধানত প্রথম তিনটি কারনে কুমড়ার ফল বা কড়া পচে যায়। তাই এই তিনটির বিস্তারিত বর্ণনা ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ


★ পরাগায়ণ না হওয়া:


অতিরিক্ত কীটনাষক ব্যবহারের ফলে মৌমাছি বা প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার কারনে পরাগায়ণে সমস্যা হচ্ছে। পরাগায়ণ না হলে কচি কড়া বাঁচাতে পারে না মারা যায়।


লক্ষণ:


* কড়াগুলো একেবারে ছোট অবস্থায় মারা যাবে। স্ত্রী ফুল ফোটার পর সে কড়া আর একটুও বড় হবে না।


* কচি কুমড়ার ফুলের অংশ থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বোটা পর্যন্ত কালো হয়ে পচে/শুকিয়ে যাবে।


সমাধান:


* হাত দিয়ে কৃত্রিমভাবে পরাগায়ণ করা। কুমড়া ফুল ভোর ৩.০০টা থেকে ভোর ৪.০০টা পর্যন্ত ফুটতে শুরু করে এবং ভোর ৫.০০টা থেকে ৬.০০ টার মধ্যে সর্বোচ্চ ফুল ফোটে। ফুল সাধারণত ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ফুটন্ত অবস্থায় থাকে। ফুটন্ত ফুল সকাল ৮.০০টা থেকে বন্ধ হওয়া শুরু করে এবং ১১.০০টার মধ্যে সম্পূর্ণ ফুল বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য মিষ্টি কুমড়ার কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৮.০০টার মধ্যে করতে হবে।


সদ্যফোটা পুরুষ ফুল ছিঁড়ে পুংরেণুসমৃদ্ধ পুংকেশর রেখে পাপড়িগুলো ছিঁড়ে ফেলতে হয়। এরপর পুংরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে হালকাভাবে সামান্য একটু ঘষে দিতে হয়।


* ক্ষেতের চারিদিকে ফুল গাছ, সরিষা বা শিম গাছ লাগানো যায়।


★ মাছি পোকার আক্রমণ:


ফলের মাছি পোকা কচি কুমড়াএর ভেতরে অভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম ছেড়ে দেয়। এতে কুমড়া পচে নষ্ট হয়ে যায়।


লক্ষণ:


* কুমড়া একটু বড় হয়ে পচবে।

* ক্ষেতে মাছি পোকার উপস্থিতি দেখা যাবে।

* কুমড়ার গায়ে ফুটো করার সময় বাদামি রঙ্গের আঠা বের হতে দেখা যায়।

* ফলের আক্রান্ত স্থানে ফুটো ও ফল বাকা হয়ে যেতে পারে।

* আক্রান্ত ফলটি কাটলে কীড়া দেখতে পাওয়া যাবে।


পরীক্ষা:


* কচি কুমড়া ছিড়ে তার ফুটো করা স্থানটি নির্বাচণ করুন, ব্লেড অথবা আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে চোচা ছুলাই করতে থাকুন আর ভেতর দিকে খুবই শক্তি দিয়ে চাপ দিন। দেখবেন, খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা লম্বা সুচালো টাইপের ডিম বের হয়ে আসবে।


* অনেক সময় আক্রান্তের শেষ পর্যায়ে ফুটোটা বড় হয়ে যায়, সেখানে অনেক মাছি একসাথে লেগে থাকে। সেখানে ক্ষুদ্র ডিম বা কীড়ার উপস্থিতিও পাওয়া যায়। কুমড়া পচে গেলে সেটা কেটে ফেললে ভেতরে একটু বড় বড় কিলবিলে পোকা পাওয়া যায়, এরা লাউ/মিষ্টি কুমড়ার ভেতরের নরম অংশ খেয়ে বেচে থাকে।

এই ধরনের কীড়ার উপস্থিতি না দেখলে অযথা মাছি পোকার দোষ দিয়ে কোন লাভ নাই।


* ফল বিকৃত হবে এবং ফল না বাড়ার কারণে ফলন কমে যায়।


সমাধান:


* ভালোভাবে জমি চাষ করতে হবে। পোকা আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। কচি ফল গুলোকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।


* সঠিক নিয়মে ফেরোমন ফাদ স্থাপন করা এবং তার ডিটারজেন্ট পানি নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে।


* বিষ টোপ ব্যবহার করেও মাছি পোকা দমন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিষ টোপ তৈরি করার জন্য 100 গ্রাম থেঁতলানো কুমড়ার সাথে ১০০ গ্ৰাম পানি দিয়ে ০.২৫ গ্ৰাম ডিপটেরেক্স মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মাটির পাত্রে ঢেলে টপ বা ড্রামের কাছে রেখে দিন দেখবেন বিভিন্ন রকম পোকা এর মধ্যে আসবে এবং মারা পড়বে। এই বিষ টোপ এর কার্যকারিতা তিন থেকে চার দিন ধরে থাকে। চার দিন পর পর এটি পরিবর্তন করে দিতে হবে।


* আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।


★ জমিতে ক্যালশিয়ামের অভাব হলে:


লক্ষন:


১। আক্রান্ত গাছে প্রথমে কচি কুমড়ার নিচের দিকে পঁচন দেখা দেয়। ধীরে ধীরে পুরো ফলটিই পঁচে যায়


২। সাধারণত আম্লীয় মাটিতে বা ক্যালসিয়ামের অভাব আছে এমন জমিতে এ রোগ দেখা যায়।


সমাধান:


* ক্ষেতে পরিমিত সেচ দেয়া ।


* গর্ত বা পিট প্রতি ৫০ থেকে ৮০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করা ।


* মাটি পরীক্ষা করে চারা রোপনের ১৫ দিন পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করলে পরপর আর তিন বছর প্রয়োগ করতে হবেনা।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৪ -০২-২০২৪,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৪ -০২-২০২৪ 


আজকের শিরোনাম:


জার্মানির মিউনিখে ফলপ্রসূ সফরের ফলে বিশ্ব দরবারে শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার বলিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে - সংবাদ সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না - সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দৃঢ়ভাবে বললেন শেখ হাসিনা।


ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয় সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি। 


বাংলাদেশের সুপারিশের ভিত্তিতে ৩১শে মার্চের মধ্যে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত।


ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


লিবিয়ায় আটক আরো ১৪৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে।


ইউক্রেনে হামলা ও রুশ বিরোধীদলীয় নেতার মৃত্যুকে ঘিরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচশোর বেশি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের।


বিপিএল ক্রিকেটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্লে-অফ এ গেল ফরচুন বরিশাল।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

BREB কিভাবে গভীর সাগরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে আসে,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 BREB কিভাবে গভীর সাগরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে আসে?


এই অভূতপূর্ব কাজটি সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে করা যায়। যৌক্তিকভাবে প্রশ্ন আসেই যে, সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল কি এবং কিভাবে এই ক্যাবলের সাহায্যে হাজার হাজার ভোল্ট দ্বীপাঞ্চলে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে? প্রথমে সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল মহাশয়ের পরিচয়টা আপনাদের নিকট তুলে ধরতে চাই।


সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল হল এক প্রকার পাওয়ার ট্রান্সমিশন ক্যাবল যার মাধ্যমে পানির গভীরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব। “সাবমেরিন” শব্দের অর্থ হল জলের নীচে। আর এই ক্যাবলটি নদী, লেক, সাগরের নীচে পাতানো থাকে। তাই পাওয়ার ক্যাবল শব্দযুগলের সাথে সাবমেরিন শব্দটি যুক্ত হয়ে হল সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল। যেসব দেশে সাগরের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় সেসব দেশে এই ক্যাবল বহুলভাবে প্রচলিত।


গঠন প্রকৃতি নিয়ে বিস্তারিত লিখে আর্টিকেলটিকে বোরিং করা ইচ্ছে আমার নেই। শুধু এতটুকু বলব, সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল তিন কোর কপার বা এলুমিনিয়াম কন্ডাক্টরবিশিষ্ট এবং ক্রস লিংকড পলিথিন (XLPE) ইন্সুলেশন লেয়ার দিয়ে তৈরি। এতে একটি অয়েল চ্যানেলও থাকতে পারে যেন ওভারহিটিং অবস্থায় ক্যাবলটি ঠান্ডা হতে পারে। তবে ক্যাবল নষ্ট হবার চিন্তার দরুণ এই চ্যানেল খুব কম ব্যবহার করতে দেখা যায়।


এবার নিশ্চয় সবার মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে যে, এই ক্যাবলের সাহায্যে কত ভোল্টেজ সঞ্চালন করা সম্ভব?


সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের মাধ্যমে ৩৩ কিলোভোল্ট থেকে ৫০০ কিলোভোল্ট পর্যন্ত পাওয়ার ট্রান্সমিশন সম্ভব। এই ক্যাবলের সাহায্যে হাই ডিসি ভোল্টেজও সরবরাহ করা সম্ভব।


সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে কিভাবে দ্বীপাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়?


জাতীয় গ্রীড সাবস্টেশন থেকে ৩৩-৫০০ কিলোভোল্ট লাইন জলের গভীরে সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে দ্বীপাঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়। এখন এত উচ্চমাত্রার ভোল্টেজ আমরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারব না। তাই দ্বীপাঞ্চলে একটি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয় যা গ্রীড থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে আসা হাজার লক্ষ ভোল্টকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় এনে গ্রাহকদের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।


বাংলাদেশে কি সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়?


বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে ১০৩০ টি প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে যার মাধ্যমে ২.৫ লক্ষ ফ্যামিলি উপকৃত হচ্ছে। এই লাইনগুলো নদীর তলদেশে পাতানো রয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে, সন্দ্বীপ উপজেলাকে বিদ্যুতায়িত করতে সরকার সাগরের তলদেশে ১৫ কিঃমিঃ সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল স্থাপন করে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চরাঞ্চলের ২০,০০০ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার পদ্মা নদীর তলদেশে সাবমেরিন পাওয়ার ক্যাবল প্রতিস্থাপন করেছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত এই লাইনের দৈর্ঘ্য ১ কিঃমিঃ।


এই ক্যাবলের সাহায্যে জল বিদ্যুতায়িত হবার কোন সম্ভবনা আছে কি?


উত্তর অনেকটাই জোর দিয়ে বলে যায় সম্ভবনা নেই। কারণ এতে হাই লেবেলের ইন্সুলেশন লেয়ার দেয়া থাকে। আর যদি লাইনে লিকেজও হয় তাহলে সেটা অটো-রিক্লোজারের সাহায্যে সেন্স করা মাত্রই বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাবে।


ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই বাস্তবের রসাত্নক আলোচনার সাথে তুলনা করে পড়া। আর এতে খুব সহজে বুঝা যায় এবং মনেও থাকে। কেমন হবে যদি এরকম গল্পে গল্পে ইলেকট্রিক্যাল এর ৮টি ইবুক পাওয়া যায়? 


নবীন যারা তারা ভাবছেন ভাইবা কিভাবে ফেস করবেন? কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন? শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীই নয় কর্মরত ভাইদেরও অনেক সময় কাজের সুবিধার জন্য থিওরি রিভাইস করা লাগে!


নবীন ও অভিজ্ঞ ভাইদের কথা চিন্তা করে আমার লিখা ৮টি ই-বুকঃ


📘Ebook1: ইলেকট্রিক্যাল যখন এ বি সি এর মত সহজ


📘Ebook2: সাবস্টেশন এবং সুইচগিয়ারের ময়নাতদন্ত


📘Ebook3: ইন্ডাস্ট্রিয়াল জটিল টপিকের সরল আলোচনা


📘Ebook4: পাওয়ার সিস্টেম নিয়ে আড্ডা


📘Ebook5: চা এর আড্ডায় পি এল সি


📘Ebook6: ট্রান্সফরমার মহাশয়ের খুটিনাটি


📘Ebook7: ডিসি সার্কিট নিয়ে মজার বই


📘Ebook8: ইলেকট্রনিক্স এত মধুর কেন?


সামান্য সম্মানির বিনিময়ে ই-বুকগুলো (সফটকপি) ইনবক্সে নক দিন অথবা what's app +8801741994646



তিল চাষ পদ্ধতি।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 তেল জাতীয় ফসল তিল চাষ পদ্ধতি।


তিল খুবই জনপ্রিয় এক তেলবীজ | খাবারের তেল হিসাবে সরিষার তেলের থেকেও তিলের তেল কিন্তু বেশ স্বাস্থ্য উপকারী।

তিলের ইংরেজি নাম হলো Sesame এবং তিলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Sesamum indicum. তিল অন্যান্য ফসলের থেকেও তিল চাষ খুবই সহজ। যেকোন পরিত্যক্ত জমিতে তিলের চাষ করা যায় এবং তিল চাষের তেমন খরচও হয় না।


তিলের জাত:


বর্তমানে উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ পাওয়া যায়।

অধিক ফলন পেতে উন্নত জাত যেমন- বিনা তিল-৩, বিনা তিল-৪, বারি তিল-৩ এবং বারি তিল-৪ খুবই উপযোগী।


জমি ও মাটি:


বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি তিল চাষের জন্য উপযুক্ত তবে পানি নিস্কাশনের সুবিধাযুক্ত অন্যান্য মাটিতেও তিল চাষ করা যেতে পারে।


জমি তৈরিঃ


জমির প্রকারভেদে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে জমি প্রস্তুত করতে হবে।


বপনের সময়: 


তিল খরিফ ও রবি (১৬ অক্টোবর-১৫ মার্চ বা কার্তিক-ফাল্গুন) উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়। খরিফ-১ মৌসুমে অর্থাৎ ফাল্গুন-চৈত্র মাসে (মধ্য-ফেব্রুয়ারি হতে মধ্য-এপ্রিল), খরিফ-২ মৌসুমে অর্থাৎ ভাদ্র মাসে (মধ্য-আগস্ট হতে মধ্য-সেপ্টেম্বর) তিলের বীজ বপনের উত্তম সময়।


বীজের হার ও বপন পদ্ধতি:


ছিটিয়ে বপনের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ৭.৫-৮.০ কেজি এবং সারিতে বপন করার জন্য হেক্টর প্রতি  ৬.০-৭.০ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ১২ ইঞ্চি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৫-২.০ ইঞ্চি রাখতে হবে।


সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি:


প্রতি একরে ৪০-৫০ কেজি ইউরিয়া,  

৫২-৬০ কেজি টিএসপি,  

১৬-২০ কেজি এমওপি এবং 

৪০-৪৫ জিপসাম সার 

শেষ চাষের পূর্বে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। জমি প্রস্তুতের শেষ চাষের পূর্বে অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পর গাছে ফুল আসার সময় ফসলে উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া জমিতে জিংক ও বোরন ঘাটতি এলাকায় একর প্রতি যথাক্রমে ৪ কেজি হারে জিংক সালফেট ও ৩ কেজি হারে বরিক এসিড প্রয়োগ করতে হবে।


সেচ ও নিস্কাশন:


তিল চাষের জন্য সাধারণত সেচের প্রয়োজন হয় না। বীজ বপনের সময় মাটিতে রসের অভাব থাকলে একটি হালকা সেচ দিয়ে বীজ গজানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পর ফুল আসার সময় জমি শুষ্ক হলে একবার এবং ভীষণ খরা হলে ৫৫-৬০ দিন পর ফল ধরার সময় আর  একবার সেচ দিতে হবে। তিল ফসল জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না, তাই জমির মধ্যে কিছুদুর পর পর নালা কেটে বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে ফসলকে রক্ষা করতে হবে।


আগাছা দমন এবং মালচিং:


অধিক ফলন পেতে হলে জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। চারা অবস্থায় প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত গাছের বৃদ্ধি ধীর গতিতে হতে থাকে। ফলে এ সময় জমির আগাছা দ্রুত বেড়ে তিল গাছ ঢেকে ফেলতে পারে। তাই এ সময় একটি নিড়ানী দিতে হবে। তাছাড়া বীজ বপনের পূর্বেই জমি থেকে ভালভাবে আগাছা পরিস্কার করে নিতে হবে।


বালাই ব্যবস্থাপনা:


কান্ড পঁচা রোগ, বিছা পোকা ও হক মথ তিল ফসলের বেশ ক্ষতি করে।


কান্ড পঁচা রোগ: এ রোগের আক্রমন কমানোর জন্য বীজ বপনের পূর্বে ২-৩ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।  জমিতে কান্ডপঁচা রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে বাজারে প্রচলিত ছত্রাকনাশক পাওয়া যায় যেমন বেভিষ্টিন বা ডাইথেন এম-৪৫ দুই গ্রাম হারে বা রোভরাল এক গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর ২-৩ বার ফসলে স্প্রে করে রোগটি দমন করা যেতে পারে।


বিছাপোকা: এ পোকা ডিম পাড়ার সাথে সাথে ডিমসহ পাতা ছিড়ে কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে বা ডিজেলে ডুবিয়ে মেরে ফেলা যেতে পারে। পোকার আক্রমন বেশি হলে নাইট্রো ৫০৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. মিশিয়ে স্প্রে করেও বয়স্ক কীড়া দমন করা যেতে পারে।


জলাবদ্ধতা বা অতিরিক্ত আর্দ্রতা তিল গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে দ্রুত গোড়া পঁচা রোগ হয়ে তিলগাছ মরে যায়। এ জন্য তিল চাষের জমি প্রস্ত্ততের সময় পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।



দেওবন্দিয়্যাত ও মওদুদী মতবাদ-এই দুইয়ের মধ্যে কী পার্থক্য ?,,,, মিসবাহ উদ্দিন আবুবকর ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আমিন উকাড়বি রহ. এর কাছে এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করল, “হযরত, দেওবন্দিয়্যাত ও মওদুদী মতবাদ-এই দুইয়ের মধ্যে কী পার্থক্য ? 

তখন তিনি তাকে সরাসরি জবাব না দিয়ে প্রথমে হযরত মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভি রহ. এর লেখা ‘হায়াতুস সাহাবা’ পড়তে দিলেন। আর বললেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এটা পড়ে আমার সাথে দেখা করতে আসবে।’

লোকটি ‘হায়াতুস সাহাবা’ পুরোটা পড়ে সাক্ষাত করতে এলো। এবার তিনি তাকে আবুল আলা মওদুদির লেখা ‘খেলাফত ও মুলুকিয়াত’ পড়তে দিলেন। আর বললেন, ‘এটাও এক সপ্তাহের মধ্যে পড়ে আমার সাথে দেখা করতে আসবে।’

লোকটি হযরতের কথা মেনে এটাও পড়লো। এরপর দেখা করতে এলো। তখন হযরত জিজ্ঞেস করলেন, ‘দুটো বই পড়ার পর তোমার মনের অনুভূতি কী হয়েছিল?’ 

সে জবাবে জানালো, ‘হায়াতুস সাহাবা পড়ার পরে আমার অন্তরে সাহাবায়ে কেরামের প্রতি প্রবল-প্রগাঢ় মুহাব্বত সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এই ‘খেলাফত ও মুলুকিয়াত’ পড়ার পরে আমার অন্তরে সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষ জন্ম নিয়েছ।’

হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আমিন উকাড়বি রহ. তখন বললেন, ‘এই দুই বই পড়ার পরে তোমার মনে যেই অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে, এটাই দেওবন্দিয়্যাত ও মওদুদিয়্যাতের মাঝে পার্থক্য। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভালোবাসার আরেক নাম দেওবন্দিয়্যাত। আর সাহাবাদের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণের অপর নাম মওদুদি মতবাদ। এ দুই চিন্তাধারার পার্থক্য সংক্ষেপে বোঝার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট।’


আলোচক : হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইলয়াস ঘুম্মান হাফিযাহুল্লাহ

অনুবাদ : আবদুল্লাহ আল ফারুক

(কমেন্টের ঘরে ভিডিও ক্লিপ রয়েছে।)

نسخ


মরহুম মাওলানা মওদূদীর  ইসমতে আম্বিয়ার প্রতি বিষেদগার!,,,,,, মিসবাহ উদ্দিন আবুবকর ফেইসবুক থেকে নেওয়া একটি গবেষণা মূলক পোস্ট

 ✒️ মরহুম মাওলানা মওদূদীর  ইসমতে আম্বিয়ার প্রতি বিষেদগার! 


▶️ মরহুম মওদূদী হযরত ইউনুস (আ.) এর প্রতি রেসালাতের দায়ীত্ব পালনে শৈথিল্যকে যুক্ত করে দেন এবং ইউনুস (আ.) এর শৈথিল্যতাকেই সম্প্রদায়ের উপর থেকে আযাব সরে যাওয়ার কারণ সাব্যস্ত করেন। তদুপুরী এই শৈথিল্যতাকেই খোদায়ী রোষের কারণ বলে সাব্যস্ত করেন।


(যা সম্পুর্ণ কোরআন সুন্নাহ বিরোধী)


 এব্যাপারে মুফতী মুহাম্মাদ শফি  রহ. তাফসীরে মারেফুল কুরআনে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করেছেন।  আমি এখানে হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা কররবো। ইনশাআল্লাহ। 


⛔ "এক্ষেত্রে মাওলানা  মওদূদীর কঠিন বিভ্রান্তি ঘটে গেছে । তিনি হযরত ইউনুস (আ) এর প্রতি রেসালতের দায়িত্ব পালনে শৈথিল্যকে যুক্ত করে দেন এবং পয়গম্বরের শৈথিল্যটাকেই সম্প্রদায়ের উপর থেকে আযাব সরে যাবার কারন সাবস্ত করেন । তদুপরি এই শৈথিল্যটাকেই খোদায়ই রোষের কারন বলে সাব্যস্ত করেন। সুরা – আম্বিয়া ও সুরা সাফফাতে এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে । তা এরুপঃ


(“ কেরাআনের ইঙ্গিত এবং ইউনুস (আ.) এর গ্রন্থের বিস্তারিত বিশ্লেষণের প্রতি লক্ষ করলে বিষয়টি পরিষ্কার জানা যায় যে,


 ইউনুস (আ.) দ্বারা রেসালতের দায়ীত্ব পালনে যৎসামান্য ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি হয়তো অধৈর্য হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই নিজের অবস্থান ছেড়ে দিয়েছিলেন।


 সেজন্য আযাবের লক্ষণাদি দেখেই যখন তার সঙ্গী সাথীগণ তাওবা-এস্তেগফার আরম্ভ করে দেয়, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। কুরআনে আল্লাহ তায়ালার যেসব মূলনীতির কথা বলা হয়েছে, তাতে একটি নিদৃষ্ট ধারা এও রয়েছে যে, আল্লাহ কোন জাতি-সম্প্রদায়কে ততক্ষণ পর্যন্ত আযাবে লিপ্ত করেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের উপর স্বীয় প্রমানাদি পরিপূর্ণ ভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেন। 


সুতরাং নবীর দ্বার যখন রেসালাতের দ্বায়ীত্ব পালনে ত্রুটি হয়ে যায় এবং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের পূর্বে তিনি নিজেই যখন স্থান ত্যাগ করেন, তখন আল্লাহর ন্যয়নীতি তার সম্প্রদায়কে সেজন্য আজাব দান করতে সম্মত হয়নি।


 (তাফহীমুল কোরআনঃ মাও. মওদূদী. পৃষ্ঠা ৩১২, - জিলদ-২")


➡️ এখানে সর্ব প্রথম লক্ষ করার বিষয় এই যে, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের পাপ থেকে মা’সুম (নিষ্পাপ) হওয়ার বিষটি এমন একটি সর্ব সম্মত বিশ্বাস, যার উপ সমগ্র উম্মতের ঐক্যমত বিদ্যমান। এর বিশ্লেশনে  কিছু আংশিক মতবিরোধও রয়েছে যে, এই নিষ্পাপত্ব কি সগীরা কবিরা সর্ব প্রকারের গুনাহ থেকেই, না শুধু কবীরা গুনাহ থেকে? তাছাড়া এই নিষ্পাপত্বে নবুওয়াত প্রাপ্তির পুর্বেকার সময়ও অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা? কিন্তু এতে কোন সম্প্রদায় বা ব্যক্তি কাহারোই কোন মতবিরোধ নেই যে, নবী রসূলগণের কেহই রেসালাতের দায়ীত্ব পালনে কোন রকম শৈথিল্য করতে পারেনা। তার কারণ  নবী-রসূলগণের জন্য এর চাইতে বড় পাপ আর কিছুই হতে পারেনা যে, যে দায়ীত্বে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে নির্বচন করেছেন, তাঁরা নিজেই তাতে শৈথিল্য করে বসেন। এটা সেই মর্যাদাগত দায়ীত্বের প্রকাশ্য খেয়ানত, সাধারণ শালীনতা সম্পন্ন মানুষের পক্ষেও সম্ভব নয়। এহেন ত্রুটি থেকেও যদি নবীগণ নির্দোষ না হবেন, তবে অন্যান্য পাপের নিষ্পাপ হলেই বা কি লাভ!


কিন্তু এখানে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, মওদূদী সাহেব যে বিষয়টি কোরআন কারীম ও হযরত ইউনুস আঃ এর সহিফার বিশ্লেষণের উদৃতিক্রমে উপস্থাপন করেছে, তা সহীফায়ে ইউনুসে থাকলেও থাকতেপারে, কিন্তু মুসলমানদের নিকট  তার কোন গুরুত্ব ও গ্রহনযোগ্যতা নেই।


 তবে এ ব্যাপরে কোরআনী ইঙ্গিত একটিও নেই। বরং ব্যাপারটি হলো এই যে, কয়েকটি প্রেক্ষিত জড়ো করে তা থেকে এই সিদ্ধান্ত বের করা হয়েছে একান্তই জবরদস্তিমুলকভাবে। প্রথমত ধরে নেওয়া হয়েছে যে, ইউনুস (আ.) এর কওমের উপর থেকে আযাব রহি হয়ে যাওয়ার  ব্যাপারটি আল্লাহ ত’আলার সাধারণ রীতির বিরুদ্ধে হয়েছে।


অথচ এমন মনে করা আয়াতের পুর্বাপর ধারাবাহিকতারও সম্পুর্ণ বিরোধী। তদুপরি তাফসীরশাস্ত্রের গবেষক ইমামগণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেশনেরও পরিপন্থি। তারপর এর সাথে এ কথাও ধরে নেওয়া হয়েছে যে, ঐশী রীতি এ ক্ষেত্রে এ কারণে লঙ্ঘন করা হয়েছে যে, স্বয়ং নবী দ্বারা রেসালাতের দ্বায়ীত পালনে ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল, তৎসঙ্গে একথাও ধরে নেওয়া হয়েছে যে, নবীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নির্ধারিত স্থান ত্যাগ করার জন্য একটা বিশেষ সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্ত তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্বীনের প্রতি আহবান করার  দায়িত্ব থেকে বেরিয়ে পড়েছেন।


 সামন্যতম বিচার বিশ্লেশনও যদি করা হয়, তবে একথা প্রমানিত হয়ে যাবে যে, কোরআন সুন্নাহর কোন ইঙ্গিত এসব মনগড়া প্রতিপাদ্যের পক্ষে খুজে পাওয়া যায়না। স্বয়ং কুরআনের আয়াতে বর্ণনা ধারার প্রতি লক্ষ করুন, আয়াতে বলা হয়েছে - فلو لا كانت قرية آمنت فنفعها الا قوم يونس এর পরিষ্কার মর্ম এই যে, পৃথিবীর সাধারণ জনপদের অধিবাসীদের সম্পর্কে আফসোসের প্রকাশ হিসাবে বলা হয়েছে যে, তারা কেনইবা এমন হলোনা যে, এমন সময় ঈমান নিয়ে আসত যে সময় পর্যন্ত ঈমান আনলে তা লাভজনক হতো! অর্থাৎ, আযাব কিংবা মৃত্যুতে পতিত হওয়ার আগে যদি ঈমান নিয়ে আসত, তবে তাদের ঈমান কবুল হয়ে যেত। কিন্তু ইউনুস (আ.) এর সম্প্রদায় তা থেকে সতন্ত্র। কারণ তারা আযাবের লক্ষণাদি দেখে আযাবে পতিত হওযার পুর্বেই যখন ইমান নিয়ে আসে, তখন ঈমান ও তাওবা কবুল করা হয়। আয়াতের প্রকৃষ্ট অর্থ প্রতীমান করে যে, এখানে কোন ঐশী রীতি লংঘন করা হয়নি; বরং একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালার নিয়ম অনুযায়ী তাদের ইমান ও তাওবা কবুল করে নেওয়া হয়েছে। অধীকাংশ মুফাচ্ছিরগণ তাদের তাওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারটি সাধারণ খোদায়ী রীতি অনুযায়ী হওয়ার কথাই বলে।


ইউনুস (আ.) এর স্থান ত্যাগ করার কথাটি তাফসীরে রুহুল মাআনী এভাবে উল্লেখ করা হয়-


▶️ "ইউনুস (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে এজন্য চলে যাচ্ছিলেন যে, তিনি সম্প্রদায়ের কঠিন বিরোধিতা এবং কুফরীর উপর হঠকারিতা সত্ত্বেও সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত রেসালাতের আহবান জানাতে থাকার ফলাফল প্রত্যক্ষ করে নিয়েছিলেন।" বস্তুত তার এ সফর ছিল হিজরত হিসাবেই। অথচ তখনও তিনি হিজরতের অনুমতি লাভ করেননি। এতে পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে যে, তার প্রতি ভর্ৎসনা আসার কারন রেসালাত ও দাওয়াতের দায়িত্বে শৈথিল্য প্রদর্শন ছিল না; বরং অনুমতির পূর্বে হিজরত করাই ছিল ভৎর্সনার কারন। মি. মদূদীকে কোন কোন ওলামা তার এই ভুলের ব্যাপারে অবহিত করলে সে সূরা-সাফ্‌ফাতের তাফসীরে স্বীয় মতবাদের সমর্থনে অনেক তাফসীরবিদের বক্তব্যও উদ্বৃত করেছে, যেগুলোর মধ্যে ওহাব ইবনে মুনাব্বিহ প্রমুখের ইসরাঈলী রেওয়ায়েত সমূহ ছাড়া অন্য কোনটির দ্বারাই তার এ মতবাদের সমর্থন প্রমানিত হয় না যে, হযরত ইউনুস (আঃ) এর দ্বারা (মা'আযাল্লাহ) রেসালাতের দায়িত্ব সম্পাদনে শৈথিল্য হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া জ্ঞানবান বিজ্ঞ লোকদের একথা অজানা নেই যে, তাফসীরবিদগন নিজেদের তাফসীরে এমনসব ইসরাঈলী রেওয়ায়েতসমূহও উদ্বৃত করে দিয়েছেন, যেগুলোর ব্যাপারে তাদের সবাই একমত যে, এসব রেওয়ায়েত প্রামান্য কিংবা গ্রহনযোগ্য নয়। শরীয়তের কোন হুকুমকে এগুলোর উপর নির্ভরশীল করা যায় না। ইসরাঈলী রেওয়ায়েত মুসলিম তাফসীরবিদদের গ্রন্থেই থাক বা ইউনুস (আঃ) এর উপর এহেন মহা অপবাদ আরোপ করা যেতে পারে না যে, তার দ্বারা রেসালাতের দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য হয়েছে। ইসলামের কোন তাফসীরকার এহেন কোন মত গ্রহনও করেন নি। (তাফসীরে মা’আরীফুল কোরআন বঙ্গানুবাদ , সৌদি সরকার কর্তৃক প্রকশিত, পৃষ্ঠা নং ৬১৭-১৮- ১৯)


জ্ঞাতব্য : মওদূদী সাহেব তার রচনাসমূহের মাঝে নবী,  সাহাবী ও ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চরম অবমাননাকর ও কুরআন সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়েছেন। তন্মধ্যে তার রচিত খেলাফত ও মুলুকিয়াত বইয়ে আম্বিয়ায়ে কেরাম ও খুলাফায়ে রাশেদার বিরুদ্ধে এতটাই ঘৃণ্য বক্তব্য দিয়েছে যা তার গোমরাহীর স্পষ্ট প্রমান বহন করে। 

সেক্ষত্রে সে এমন সব তথ্য উদৃত করেছে বাস্তবতার সাথে যার কোন মিল নেই। বরং সব জালিয়াতিপূর্ণ। 

উলামায়ে কেরাম তন্নতন্ন খুঁজেও তার সত্যতা পায়নি। এসব বিষয় দিবলোকের ন্যায় স্পষ্ট হওয়ার পরও তার অনুসারীরা তার অন্ধ সমর্থনে লিপ্ত রয়েছে এবং উলামায়ে হক্কানীর উপর তোহমত দিয়ে যাচ্ছে ।

আল্লাহ তাদেরকে সহি বুঝ দান করুন।



আমরা কি শয়তানের ফাদে পড়ছি!,,,,,,,, salsabil ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমরা কি শয়তানের ফাদে পড়ছি!?


আলেমগণ শয়তানের ফাদ/ষড়যন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পোষন করেন। শয়তান চায় মানুষ শিরক, কুফরসহ, যিনা, দুনিয়ায় সমৃদ্ধির মায়ায়, দ্বীনের পথ হতে বিরত থাকুক!

কিন্তু মুমিনদের যখন এসব পন্থায় বিরত রাখতে সক্ষম হয় না তখন সে চেষ্টা করে - তাদের নফল আমলে উৎসাহী করতে যেন ফরজ আমল ও দ্বীনের দাওয়াত, জেহাদ হতে বিরত রাখতে পারে!!


আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, তিন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের বাসায় এলেন। তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। অতঃপর যখন তাঁদেরকে এর সংবাদ দেওয়া হল তখন তাঁরা যেন তা অল্প মনে করলেন এবং বললেন, ’আমাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তুলনা কোথায়? তাঁর তো আগের ও পরের সমস্ত গোনাহ মোচন করে দেওয়া হয়েছে। (সেহেতু আমাদের তাঁর চেয়ে বেশী ইবাদত করা প্রয়োজন)।’ সুতরাং তাঁদের মধ্যে একজন বললেন, ’আমি সারা জীবন রাতভর সালাত পড়ব।’


দ্বিতীয়জন বললেন, ’আমি সারা জীবন রোযা রাখব, কখনো রোযা ছাড়ব না।’ তৃতীয়জন বললেন, ’আমি নারী থেকে দূরে থাকব, জীবনভর বিয়েই করব না।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, ’’তোমরা এই এই কথা বলেছ? শোনো! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি। কিন্তু আমি (নফল) রোযা রাখি এবং রোযা ছেড়েও দিই, নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যাই। আর নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’’


[সহীহুল বুখারী ৫০৬৩, মুসলিম ১৪০১, নাসায়ী ৩২১৭, আহমাদ ১৩১২২, ১৩০১৬, ১৩৬৩১


শয়তান বুঝতো সাহাবীদের দিয়ে কুফর, শিরক, যিনার পথে অনুপ্রাণিত করতে পারবে না। তাদের ব্যক্তিগত নেক (ওয়াসওয়াসা দ্বারা) আমলে উৎসাহী করছিল যেন তারা  দ্বীনের ব্যক্তি পর্যায়ের আমলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, দাওয়াত ও জেহাদের মত বড় কাজ হতে বিরত রাখা সহজ হয়।


অপর হাদীসে রয়েছে -

আবুল ‘আব্বাস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাযি.) হতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ আমাকে কি জানানো হয়নি যে, তুমি রাত ভর ‘ইবাদাতে জেগে থাক আর দিনভর সিয়াম পালন কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, তা আমি করে থাকি। 


তিনি ইরশাদ করলেনঃ একথা নিশ্চিত যে, তুমি এমন করতে থাকলে তোমার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাবে এবং তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তোমার দেহের অধিকার রয়েছে, তোমার পরিবার পরিজনেরও অধিকার রয়েছে। কাজেই তুমি সিয়াম পালন করবে এবং বাদও দেবে। রাতে জেগে ‘ইবাদাত করবে এবং ঘুমাবেও। (১১৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৮৬)


কোন ব্যক্তি একটানা রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ে, সিয়াম আদায় করে ফলে তার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে, চক্ষু নষ্ট হবে। স্ত্রী, পারিবারিক অধিকার ক্ষু্ন্ন হবে, দাম্পত্য কলহ হতে পারে, রিযিকে পেরেশানিতে পড়তে পারে, কর্মকক্ষেত্রে অকার্যকর হবে দুর্বলতা ও অনীহার কারনে।


ফলে দাওয়াত ও জেহাদের বড় ফজিলত হতে বিরত রাখা যাবে এভাবে দ্বীন ইসলামের প্রসারে ভূমিকা রাখা হতে বিরত রাখা যাবে!!


আল্লাহ বলেন- তারপর আমরা তাদের পিছনে অনুগামী করেছিলাম আমাদের রাসূলগণকে এবং অনুগামী করেছিলাম মার্‌ইয়াম-তনয় ঈসাকে, আর তাকে আমরা দিয়েছিলাম ইঞ্জীল এবং তার অনুসারীদের দিয়েছিলাম করুণা ও দয়া। আর সন্ন্যাসবাদী—এটা তো তারা নিজেরাই আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি (রব) তাদেরকে এটার বিধান দেইনি; অথচ এটাও ওরা যথাযথভাবে পালন করেনি। অতঃপর তাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছিল, তাদেরকে আমরা দিয়েছিলাম তাদের পুরস্কার। আর তাদের অধিকাংশই ছিল ফাসিক। (সুরা হাদীদ-২৭)


এখানে ঈসা আলাইহিস সালাম-এর প্রতি ঈমান আনয়নকারী হাওয়ারীগণের বিশেষ গুণ বৰ্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যারা ঈসা আলাইহিস সালাম অথবা ইঞ্জিলের অনুসরণ করেছে, আমি তাদের অন্তরে স্নেহ ও দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছি। তারা একে অপরের প্রতি দয়া ও করুণাশীল কিংবা সমগ্র মানবমণ্ডলীর প্রতি তারা অনুগ্রহশীল। এখানে ঈসা আলাইহিস সালাম-এর সাহাবী তথা হাওয়ারিগণের দুটি বিশেষ গুণ উল্লেখ করা হয়েছে; তা হচ্ছে, দয়া ও করুণা। এরপর তাদের আরেকটি অভ্যাস বর্ণিত হয়েছে যা তারা আবিস্কার করে নিয়েছিল। আর যা আল্লাহ তাদের উপর আবশ্যিক করে দেন নি। আর সেটা হচ্ছে, সন্যাসবাদ বা দ্বীনের ইবাদতকে শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তি আমলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। 


অনেক দ্বীনি ভাইয়ের মধ্যে এই জিনিসটা বিদ্যমান - নফল আমলে খুবই আগ্রহী, ফরজ দাওয়াত ও অন্যায়ের প্রতিবাদের ক্ষেত্রে নিরব। নিজগৃহে তাহাজ্জুদ ঠিকই পড়ছে কিন্তু গৃহে তাগুতের অনুসরন চলছে সেই বিষয়ে নিরব।


অথচ আল্লাহ বলেন- আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে রাসুল পাঠিয়েছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো ও ‘তাগুত’ বর্জন করো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মানুষকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং কিছুসংখ্যকের জন্য বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছিল। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৬)


আসলে তাহাজ্জুদ পড়ার চেয়ে তাগুতের বিরোধিতা জরুরি ও কঠিন। তাহাজ্জুদ, নফল  আমলে অনেকে প্রশংসা করবে আর তাগুতের বিরোধীতায় নির্যাতন, জুলুমের সম্ভাবণা প্রবল থাকে।


আবার কেউ আছে এমন - বাবা, মায়ের সেবা ও মেহমানদারী করা উত্তম তাই তাদের প্রিয় বাজার করা ও রান্না করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দেয়! অথচ তাদের এসব স্বজনেরা দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।


আল্লাহ বলেন- 

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা কুফরকে ঈমানের উপর প্রাধান্য দেয়। তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে, তারাই হবে যালেম’’। (সূরা তাওবা: ২৩) 


অথচ এই সময়ে বহু বড় দ্বীনী আমল করতে পারতো! সাহাবীরা কি তাদের সন্তান, পিতামাতাকে ভালোবাসতেন না, রসুল (সা:) ও সাহাবীরা খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। তাদের মেহমানগনও অল্পতে তৃপ্ত হতেন ও দ্বীনের প্রয়োজনে সময় ব্যয় করাই উত্তম মনে করতেন! অনেকে খেলাকে হালাল ভেবে - ঘন্টার পর ঘন্টা এসব নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। এমনকি খেলোয়াড়েদের দ্বীনদারিতা, ইসলামী চিন্তাবোধ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনায় সময় অতিবাহিত করে। অথচ তাদের নিকট রসুলের (সা:) চারিত্রিক আদর্শ রয়েছে কুরআন, সুন্নাহ যার মাধ্যমে দ্বীনে আহ্বান সহজ ও উত্তম!


অনেককে দেখি মাসয়ালাগত দ্বন্দ্ব ও আলেমের সমালোচনা, শেষ জমানা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটায় অথচ আকীদার পরিশুদ্ধ করতে অনাগ্রহী। আপনি মরলে পরকালের পথে যাত্রা শুরু - আকীদা পরিশুদ্ধ না করে শেষ জমানা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মিডিয়া, ইউটিউব সত্য-মিথ্যার তথ্য নিয়ে কি লাভ হবে!?


সুস্পষ্ট  বুঝেন - বিশ্বের সকল মাসয়ালা সকল আলেম জানবে না। রসুল (সা:) যেভাবে সকল হাদীস জানতেন ও আমল করতেন, সাহাবীদের পক্ষে তা সম্ভব ছিল না! কিন্তু সকলের আকীদা ও আদর্শ একই ছিল! তেমনি বর্তমানে কোন ব্যক্তিই সাহাবীদের মত হবে না, কিন্তু আকীদা ও আদর্শ একই হতে হবে! তাই আমাদের আহ্বান হবে - নিজ চরিত্র বা পছন্দনীয় আলেমের দিকে নয় বরং রসুলের (সা:) জীবনীর দিকে। যার চরিত্র ছিল কুরআনের অনুরুপ। তাই কোন ব্যক্তির আকীদা বিশুদ্ধ হলে তার কিছু ভুলকে অজুহাত করে সত্যি দ্বীন গ্রহন হতে বিরত থাকা হল - শয়তান ও ফেরাউনদের নীতির অনুসরণ করা।


ফেরাউনকে যখন দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া হয় -  তখন ঈমান আনার পরিবর্তে উল্টো যুক্তি দিল-


ফির‘আউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মাঝে লালন পালন করিনি? আর তুমি তোমার জীবনের অনেক বছর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেছ’। (সুরা শুআর-১৮)


এছাড়া মুসা (আ:) দ্বারা ভুলবশত হত্যাকান্ডের সমালোচনা করে যা ইসলাম গ্রহনের সাথে সম্পর্কিত ছিল না! যদি মেনেও নিই মুসা (আ:) ভুল করেছিল কিন্তু তার দ্বীনের দাওয়াত ছিল বিশ্বজাহানের রবের হতে যা নির্ভুল। অপরদিকে সবচেয়ে বড় গোনাহের অন্যতম হল - রসুলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। উহুদে খালিদ বিন ওয়ালিদের (রা:)  বিরোধিতায় সাহাবীরা শহীদ হোন ও স্বয়ং রসুল (সা:) রক্তাক্ত হোন। যখন তিনি দ্বীন গ্রহন করলেন, রসুল (সা:) তাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তিনি হয়ে উঠেছিলেন আল্লাহর তরবারী। মুসলিমরা ওনার নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল, পরস্পর মিলে করেছিলেন রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যের বিজয়!!


এই যুগে শয়তানের ধোকা হতে মুমিনদের সর্তক হতে হবে-


সবাই যখন হজে যাচ্ছিল তখন হুসাইন (রা:) পবিত্র ভূমি ও হজের ভূমি হতে দূরে কুফায় যাচ্ছিলেন- উম্মাহর বুকে চেপে বসা রাজতন্ত্র ও জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার করতে ফলশ্রুতিতে তিনি শহীদ হোন। হাজারও হাজী সাহাবী, তাবেয়ীর নাম ও অবদান অনেকে জানে না। কিন্তু আজও জান্নাতি যুবকদের সর্দার হুসাইন (রা:)। মুমিনদের উদাহরণ ও আদর্শ।


শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কবিতা :আজকাল নিয়ম করে মাইল চার হাঁটি।,,,,মেহের উল্লাাহ ফেইসবুক থেকে

 আজকাল নিয়ম করে মাইল চার হাঁটি।


শরীর চর্চা নয়—


ওরকম বিলাসিতা করার সুযোগ


আমাদের জীবনে তেমন আসে না৷


হাঁটি, কারণ আমার কিছু টাকা জমানো দরকার।


অফিসের উল্টোপাশে—


বাবু ভাইয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়


খুব চমৎকার একটা বিরিয়ানি হয়।


লাঞ্চ আওয়ারে কলিগেরা সব


আয়েশ করে খেতে যায়।


আমাকেও ডাকে


আমি নানান ছুঁতো দেখাই;


খুব খেতে ইচ্ছে করে, কিন্ত—


আমার যে কিছু টাকা জমানো দরকার।


ডিসেম্বর মাস আসলেই বেড়ে যায়


বুকের ধড়ফড়ানি;


ছেলের স্কুলের বন্ধুরা বেড়াতে যাবে


কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন অথবা সাজেক।


ছেলেটা আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়।


খুব খারাপ লাগে,


তবু দু’হাজার টাকা বের করে দিতে পারি না।


আমাকে কিছু টাকা জমাতে হয়।


বাবা তো মারা গেছেন


মাস শেষে তার পেনশানের টাকাটা


বেশ কাজে দেয়।


মাসে অন্তত দু’বার গোশতো খাওয়া হয়।


আজকাল—


সেই টাকাতেও আর হাত দিই না৷


মুখ বুজে ফেলে রাখি বিছানার নিচে।


আমি জানি— আমাকে কিছু টাকা জমাতে হবে।


মদিনা যাওয়ার আমার বড় শখ!


তাই অল্প অল্প জমাতে থাকি টাকা


আস্তে আস্তে বাড়ে আমার সঞ্চয়—


অনেক চাপা কষ্ট, দুঃখ আর সংগ্রামের পরে।


স্বপ্ন তো আকাশছোঁয়ার—


কিন্তু সঞ্চয় যে ভারি স্বল্প!


কেউ কি জানো—

ঠিক কতো টাকা হলে মদিনা যাওয়া যায়?

©



কেমন ছিলো হাজার বছর আগে আমাদের বাংলা ভাষা,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রারম্ভে যদি পিছে তাকিয়ে দেখি কেমন ছিলো হাজার বছর আগে আমাদের বাংলা ভাষা? 


ছবি: নওগাঁ জেলার মঙ্গলবাড়ির ভীমের পান্টির গায়ে এগারোশ বছর আগে লেখা বাণীসমূহ। বাংলার আদি কোন লিপিতে লেখা। হ্যাঁ এটাও বাংলায়। পড়তে পারছেন কি? পারার কথা না! 


(এই ব্যাপারে বিস্তারিত অন্য পোষ্টে আছে। 'Apu Nazrul ভীমের পান্টি' লিখে সার্চ দিলেই পাবেন)


এবার দেখুন হাজার বছর আগে লেখা চর্যাপদের একটি বাংলা কবিতায় এক দুঃখী কবি তার সংসারের নিত্য অভাবের ছবি কিভাবে এঁকেছেনঃ


"টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী

হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী

বেঙ্গ সংসার বডহিল জাএ 

দুহিল দুধ কি বেন্তে ষামায়।"


কবি বলেছেন, টিলার উপরে তাঁর ঘর, সেখানে কোনো প্রতিবেশী নাই। হাঁড়িতে ভাত নাই, প্রতিদিন উপোস করেন। ব্যাঙ এর মতো সংসার বাড়ছে, দুধ দোয়ানো হয়েছে, কিন্তু লাভ নাই। দোয়ানো দুধ আবার যেন ফিরে যাচ্ছে গাভীর বাঁটে।


বুঝা গেলো তখনকার জনবিরল বাংলার তূলনামূলক নিরাপদ স্থান টিলার উপর ঘর বাঁধা কবির জীবনে একাকীত্বও ছিলো দু:খের অন্যতম উৎস। অভাবী কবির লেখা বলছে তখনও ভাতই ছিলো বাঙ্গালীর প্রধান খাদ্য কিন্তু তাও কবির নিয়মিত জুটতোনা। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর প্রচলন ছিলোনা তার উপর চিত্তবিনোদনের অভাব, কবি তাই সারাবছর খালি পেটে টিলার উপরে বসে বসে কবিতা লিখেন আর বছর বছর ব্যাঙ এর মত সংসারের সাইজ বাড়ান। লাষ্ট লাইনটা আমার কাছে মেটাফোর বা রূপক মনে হয়েছে। এমন আলসে লোকের গরু-গাভী থাকার কথা না। থাকলেও বাঘের পেটে যাবার কথা! 


এই যখন অবস্থা এরই মধ্যে ধরুন আপনি হঠাৎ টাইম মেশিনে চেপে চলে গেলেন হাজার বছর আগের বাংলায়। আপনার মাথাটা কিন্তু ২০২৩ সালের। ঢাকা শহর না কিন্তু; কারণ হাজার বছর আগে ঢাকা শহর এখন যেখানটায় সেখানটায় জলাভূমিতে পূর্ণ অসংখ্য এঁদো ডোবা ভিন্ন কিছু ছিলোনা। তাই হয়তো গেলেন প্লাইস্টোসিন যুগে গড়া রাঢ়, হরিকেল, পুন্ড্র, ত্রিপুরা বা বরেন্দ্রের কোথাও। রাস্তাঘাটে হাটছেন, দূরে দূরে শন-বাঁশ আর খড়ের ঘরবাড়ি। চারপাশে কদাচিৎ দু-চারটা লেংটি পড়া লোকজন চোখে পড়ছে। (লুঙ্গি আমাদের আদি পোষাক নয়, আমাদের আদি পোষাক গামছা আর লেংটি) সবার মাথায় সবার তেল চুপচুপে বাবড়ি চুল বা টিকিভাসা চকচকে টাক। শাড়ি কাপড় প্যাচানো ভদ্রমহিলা থেকে শুরু করে সে যুগের মাতারী কারোরই কাঁচুলী বা ব্লাউজ নাই। থাকবে কেমনে? এসবের আমদানী হলো এই সেদিন। আধুনিক পোষাক পরা আপনি নিজের দিকে তাকান একবার, কত বেমানান আপনি! এইবার গেলেন কথা বলতে, দুই লাইনও বুঝবেন না। ভাষা কিন্তু বাংলাই! লিখে বুঝাবেন? কই লিখবেন? কিসে লিখবেন? এত সহজ না! কলম-কালি-কাগজ সে যুগে এত "সস্তা" না! ধরলাম মাটিতে কাঠি দিয়াই আঁকলেন! কেউ বুঝবেনা। লেখার ধাচ হাজার বছরে পালটে গেছে খোলনলচে! ইন দ্যা মিনটাইম কাঁচারীর থ্রুতে রাজদরবারে খবর চলে গেছে অদ্ভুত এক চিড়িয়ার আগমণের। কোটাল এলো পাইক-পেয়াদা-বরকন্দাজসমেত। এরপর আপনি বিদেশী স্পাই কোটায় শুলে চড়বেন না হাতির পায়ের তলে যাবেন নাকি দরবারের মন জয় করে সভাসদ হয়ে সাতমহলা প্রাসাদে হেরেম খুলে বসবেন তার কল্পনার ভার নাহয় আপনার উপরই ছেড়ে দিলাম!


(লেখাটা ৭ বছর আগের। রিপিট করার কারণ দুটো। এক কাল একুশে ফেব্রুয়ারী। দুই পরশু রাতে যা মন চায় তা ট্রিপে যাচ্ছি নওগাঁ। এই ভীমের পান্টির সাথে দেখবো বারো শিবালয়, জগদ্দল বিহার, আগ্রাদিগুন, দিব্যকের স্তম্ভ সহ আরো অনেক কিছু। লিংক কমেন্টে)



আল কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পদার্থবিজ্ঞানঃ

আল কুরআনে পদার্থ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বেশ কিছু  আয়াত থেকে দুইটি আয়াতের(সূরা ইয়াসীন,৩৮-৪০)সামান্য বিশ্লেষণ। 


A.সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে

(সূরা ইয়াসীন আয়াত-৪০)


আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ


১. সূর্যের জন্য সম্ভব নয় যে, সে চাঁদের কাছাকাছি হবে এবং তার ফলে তার আলো শেষ হয়ে যাবে। বরং উভয়ের নিজ নিজ কক্ষপথ ও আলাদা আলাদা গন্ডিসীমা আছে। 


২ সূর্য দিনে ও চাঁদ রাতেই উদিত হয়,মানে ভৌগোলিক অবস্থান  ভেদে এক অঞ্চলে এক এক সময় দৃশ্যমান হয়,আবার কোথাও, কোথাও একাধারে ছয় মাস রাত বা দিন থাকে (মেরু অঞ্চল) কখনও এর ব্যতিক্রম না ঘটা এ কথারই প্রমাণ যে, এ সবের নিয়ন্তা ও পরিচালক একজন আছেন।


৩. বরং এরাও এক নিয়ম-সূত্রে আবদ্ধ হয়ে আছে এবং এক অপরের পরে আসতে থাকে।


৪.كُلٌّ(কুল্লু) বলতে সূর্য, চন্দ্র, অথবা তার সাথে অন্য নক্ষত্রকেও বুঝানো হয়েছে। সব কিছু নিজ নিজ কক্ষপথে পরিক্রমণ করে, তাদের কারো একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয় না।


B.সূর্য তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলমান। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।" 

(সুরা ইয়াসিন: ৩৮)

 

সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ


১.অতীতে মানুষ ভাবতো পৃথিবী স্থির সূর্য তার চারিদিকে ঘুরছে। পরবর্তীতে কোপার্নিকাস, গ্যালেলিও প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ বর্ণনা করেন যে, সূর্য স্থির পৃথিবী তার চারিদিকে ঘুরছে। তার পর আবিস্কৃত হল অত্যাধুণিক দূরবীণ; মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে গেল, আবিস্কৃত হল মহাবিশ্বের সৃষ্টি সংক্রান্ত নানা তত্ত্ব। 


২.দেখা গেল যে সূর্যকে এতদিন স্থির ভাবা হত তা স্থির না; আপন অক্ষের উপর ঘুরছে। এক অস্বাভাবিক দ্রুতিতে ঘুরছে, হিসেব করে দেখা গেল মাত্র ২৫ দিনে এতবড় দেহটাকে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে আসছে। 


৩.আবার পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে প্রচণ্ড গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে। আপাত দৃষ্টিতে সূর্যের কোন পরিক্রমন গতি না থাকলেও দেখা গেছে যে, সে এক বিশাল কক্ষপথে মহাজাগতিক বস্তু নিলয়ের সাথে আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রকে প্রদক্ষিন করছে। অসীম গতিতে এই কেন্দ্রকে একবার ঘুরে আসতে তার সময় লাগে প্রায় ২৫ কোটি বছর। 


৪.সুর্যের এই নানাবিধ গতি আবিস্কৃত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। 


৫.অথচ পবিত্র কোরআন কি অদ্ভুত গাম্ভীর্যের সাথেই না বর্ণনা করেছে সুর্যের এই গতিশীল প্রক্রিয়া। যেখানে বলা হয়েছে ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলমান’।


৬. ১৪০০ বছর আগে অবতীর্ণ এই বাণী, কি করে বলবেন মানব রচিত? যদি বলেন এ তথ্য নবী মোহান্মদ (সাঃ) এর রচিত (যিনি তা কখনো নিজের বলে দাবী করেন নি), তবে অবশ্যই আজকের এই পরিপক্ক বিজ্ঞানকে অবনত হয়ে বলতে হবে, 'সেই বেদুইন মরুচারী কোন মানব শিশু নয়, নিশ্চয়ই কোন অলৌকিক দূত'।


৭."আফালা ইয়া তাদাব্বারুনাল কুরাআনা আম আলা কুলুবিন আকফালুহা।

(৪৭,নং সূরা মুহাম্মদ আয়াত ২৪) অর্থাৎ তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?


উপসংহারঃ

আল্লাহর এ সকল নিদর্শন থেকে ঈমানকে মজবুত করি, করার চেষ্টা করি,নাস্তিকতার ভীড়ে হতাশ না হই। 

হে আল্লাহ! হে আমাদের রব ! আমাদেরকে সত্য অনুধাবণ করার তাওফিক দান করুন।আমিন।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...