এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

দুপুরে খেতে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। ওয়েটারকে জিজ্ঞাসা করলাম "কি আছে?",,,,,, ফেইসবুক গল্প

 দুপুরে খেতে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। ওয়েটারকে জিজ্ঞাসা করলাম "কি আছে?" 


সে শুরু করলো কাচ্চি, তেহেরী, বিরিয়ানি দিয়ে। আমি তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম "ভাতের সাথে কি আছে বলেন?" সে এবার ২য় দফায় শুরু করলো গরু, খাসি, মুরগী দিয়ে। শেষ করলো ইলিশ, মাগুর, মলা মাছে গিয়ে। হোটেলে খেতে গেলে কখনো আমি মাছ মাংস কিছু খাই না। হোটেলের খাবার মানেই মরা ধরা পচা সব কিছুর সমাহার। একমাত্র ভর্তা ভাজিটাই মোটামুটি নিরাপদ।


আমি জিজ্ঞাসা করলাম "ভর্তা ভাজি নাই?" 


সাথে সাথে দেখলাম তার চেহারায় সব উৎসাহ হারিয়ে গেলো। সে বুঝে নিয়েছে, আমি গরিব কাস্টমার। তারে টিপস দিতে পারব না। সে অন্যদিকে ফিরে কোনরকম বললো "আছে"! 


আমি বললাম "আলুভর্তা, ডাল আর লালশাক আনেন!" অর্ডার দিয়ে ১৫ মিনিট বসে রইলাম। এরপর খাবার আসলো। গরিব কাস্টমার নিয়ে তার এতো মাথা ব্যাথা নাই। এর মধ্যে একবার আরেকটা আলুভর্তা আনার জন্য ডাকতে লাগলাম। তার খবর নাই। মনে হয় কাছে গিয়ে রিকুয়েষ্ট করতে হবে। এরপর মর্জি হলে আনবে। আমার খাওয়া শেষ হয়ে গেল। এরপর সে আলুভর্তা আনলো। ভর্তার প্লেটটা রেখেই সে চলে গেল। 'খেলে খান, না খেলে নাই' স্টাইলের ভাব। আমি হাত ধুয়ে বিল দিতে গেলাম কাউন্টারে। অন্য কাস্টমারের বেলায় সে সাথে এসে কাউন্টারে বিল বলে দিচ্ছে, আর কাষ্টমারের পেছনে দাড়িয়ে থাকছে। কাষ্টমার পেছনে ঘুরেই তাকে দেখে টিপস দিচ্ছে। আমার বেলায় সে আসলো না। দূর থেকে বিল বললো। এসব আলুভর্তা, ডালের কাস্টমার সে গুনায় ধরে না। আমি তাকে ডাকলাম৷ হাতে ১০০ টাকা দিয়ে বললাম "আলুভর্তা ডাল খেলাম বলে পাত্তা দিলেন না।" সে লজ্জায় নিয়ে একটা হাসি দিয়ে, 'না না স্যার 'বলে পারলে মাথা নুয়ে মাটিতে ঢুকিয়ে দিবে অবস্থা! এরপর আমি বললাম "১০ টাকা রেখে ৯০ টাকা দেন।" তার মুখের মানচিত্র আবার বদলে গেল।


আমারে তুই আলুভর্তা দিতে গিয়ে ঘুরাইলি, আমি তর ইমোশন নিয়ে খেললাম। হিসাব কাটাকাটি।

বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রশিল্পী নিভাননী চৌধুরীর আজ ১১২-তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।

 বাংলাদেশের প্রথম নারী চিত্রশিল্পী নিভাননী চৌধুরীর আজ ১১২-তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।


কথায় আছে ‘আকাশে চাঁদ উঠলে ঢেকে রাখা যায় না’। দেশের আকাশে প্রথম চাঁদ উঁকি দেয় চাঁদপুরে। জায়গাটির নামেই রয়েছে এর স্বার্থকতা। যেমন জাপানে প্রথম সূর্যোদয় হয়। এ কারণে জাপানের আরেক নাম ‘নিপ্পন’। চিত্রনিভা চৌধুরী হলেন সেই চাঁদ। যার পূর্ণ আলোয় আলোকিত হয়েছে আমাদের শিল্পাঙ্গণ।


২৭ নভেম্বর, ১৯১৩ সালে চিত্রনিভা চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের চাঁদপুরে। তিনি এই দেশের প্রথম মহিলা চিত্রশিল্পী। যদিও ঢাকার নবাব পরিবারের আরেকজন মহিলা চিত্রশিল্পী মেহেরবানু খানমের দুটি চিত্রকর্ম ১৯২০ সালে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ছাপা হয়। এছাড়া আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, এমনকি অন্য কোনো মহিলা শিল্পীরও। সে হিসেবে উল্লেখযোগ্য চিত্রনিভা।


‘চিত্রনিভা’ নামটি শিল্পের আচ্ছাদনে জড়ানো। এই শিল্পীর চিত্রশৈলি দেখে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর (নিভাননী) নতুন নামকরণ করেন ‘চিত্রনিভা’। সেই থেকে রবীন্দ্রনাথ প্রায় রসিকতা করে বলতেন: ‘তোমার নামকরণ করলুম এখন বেশ ঘটা করে আমাদের খাইয়ে দাও’। নন্দলাল বসুর শুরুর দিকের প্রিয় ছাত্রী চিত্রনিভাকে শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থীরা আলপনায় বিশেষ খ্যাতি দেখে ‘আলপনাদি’ বলে সম্বোধন করতেন। চিত্রকলা ছাড়া তিনি দেওয়াল-চিত্র ও মাটির কাজেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কলাভবন প্রাঙ্গণে অবস্থিত ‘কালোবাড়ি’ তৈরির সময় রামকিংকরের সাথে তিনি ‘শিবের বিয়ে’ শীর্ষক ম্যুরালের কাজ করেছেন।


আজ ভেবে অবাক হতে হয়, সেই তমশাচ্ছন্ন সময়ে যখন বাড়ির মেয়েরা বাইরে পড়াশোনার সুযোগ পেতেন না, তখন চিত্রনিভা শান্তিনিকেতনে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, মানুষ গুহাতন্ত্র থেকে মুক্তির সনদ পেয়েছে, কিন্তু পরিবারতন্ত্র থেকে সবাইকে মুক্তির সনদ প্রদান করা হয় না।  পুত্রবধূদের জন্য এই সনদ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বটে। সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছেন, ‘মানুষ জন্মের পর থেকে স্বাধীন’। কিন্তু পুত্রবধূরা সম্ভবত পরাধীনতার শ্লেষ বহন করে চলেন। মেয়েরা বিয়ের পর ‘পরিবার’ নামক পিঞ্জরে প্রবেশ করে আর বের হবার ব্যর্থ চেষ্টা করেন না। কারণ তাঁরা জানেন এই পিঞ্জরে প্রবেশাধিকারের জন্য সরকারি রেজিস্ট্রেশন বা সামাজিক সনদ লাগে। উল্লেখ্য বিজয়ী পুরুষ ইতিহাস লেখে। সেই ইতিহাসের ভিড়ে যদি কতিপয় মহিয়সী নারীর সামান্য অবদান ফাঁকফোকর গলে জায়গা করে নিতে পারে সেটাই নারী মুক্তির পথ বলে আমরা মনে করি। যে কারণে সংসারে নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎদের তালিকা খুব বড় নয়। এই উপমহাদেশে আমাদের রয়েছেন বেগম রোকেয়া। তাঁর কথা নারী জাতির জন্য তো বটেই সমগ্র জাতির জন্য শিরোধার্য। তাদেরও জীবন পরিবারতন্ত্র, সংসারতন্ত্রের ভিতর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল। তাঁরাও পরিবারের, সংসারের জানালা-দরজা খুলেছিল তবে অবলা নারীর মতো নয়। তাঁরা খুলে দিয়েছিল সূর্যবাতির আলো দেখতে এবং সমাজকে দেখাতে। স্রষ্টার আলোতে পক্ষপাতিত্ব নেই তবু পিছিয়ে পড়া নারীরা মনে করেন সব আলো পুরুষের জন্য বরাদ্দ। আমরা জানি বৈদিক যুগেও নারী-পুরুষের সমান অধিকার ছিল। উপরন্তু আজকের গল্প সেই আলোর স্ফুরণ চিত্রনিভা চৌধুরী।


তাঁর পিতা ডাক্তার ভগবানচন্দ্র বসুর অকাল প্রয়াণের পর সবাই মামার বাড়ি মুর্শিদাবাদ চলে যান। আমরা এখানে ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টি ফেলে দেখতে পাই, তাঁর মামার বাড়িতে শিল্প ও সংগীতচর্চার ব্রত পালিত হতো প্রায় নিয়মিত। এখানেই চিত্রনিভার শিল্পবীজের অঙ্কুরোদম। তবে কিছুদিন পর তাঁর মা শরৎকুমারী দেবী নিজের পুত্রকন্যাদের নিয়ে আবার চাঁদপুর এসে বসবাস শুরু করেন। তখন লামচর নোয়াখালীর জমিদার ঈশ্বরচন্দ্র চৌধুরীর মধ্যমপুত্র নিরঞ্জনের জন্য তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মনোরঞ্জন চৌধুরী পাত্রী দেখতে তাদের বাড়ি আসেন। তখন ছোট্ট নিভাননীর আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তার ভাইয়ের জন্য বিয়ের দিন ধার্য করে যান। সেই সূত্রে জমিদার পরিবারে বালিকা বধূ নিভাননীর আগমন। তিনি শ্বশুরবাড়ি এসে দেখেন বড় লাইব্রেরি। সেখানে প্রচুর বইপত্র, পত্রিকায় রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এবং নন্দলাল বসুর আঁকা দেখে তিনি মুগ্ধ হন।


অর্থাৎ এখানে দেখা যাচ্ছে নিভাননী ভাগ্যবতী ছিলেন। তিনি এমন এক শ্বশুরবাড়ি পেয়েছিলেন যেখানে শিল্পচর্চা, পড়াশোনার অবারিত সুযোগ ছিল।  যদিও ‘শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি’ এই বাক্যটি এখনও পুরুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু আমরা যখন নিভাননীর বিবাহিত জীবনে দৃকপাত করি তখন সেখানেও এরূপ দেখতে পাই।


উপরন্তু চিত্রনিভার ক্ষেত্রে আরেকটু ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে শিল্পশিক্ষার জন্য শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শান্তিনিকেতন হচ্ছে এক প্রকাণ্ড শিল্পবৃক্ষ। এই বৃক্ষের ছায়াতে রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ আছে। সেই ছায়াতলেই হয় চিত্রনিভার আশ্রয়স্থল। সেখানে গুরুদেব তাঁর থাকা-খাওয়া ও ছবি আঁকা, গান শেখার বন্দোবস্ত করে দেন। প্রতিদিন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নন্দলাল বসুর কাছে পাঠিয়ে দিতেন। চিত্রনিভা চৌধুরীর ‘স্মৃতিকথা’ গ্রন্থের প্রথম পর্বের সূচনায় আমরা দেখি তিনি তাঁর প্রতিদান দিয়েছেন এভাবে: ‘আমার ধ্যানের ঋষি রবীন্দ্রনাথ, আমার ধ্যানের আশ্রম শান্তি নিকেতন’- এই শিরোনামে। 


গুরুদেবের কাছে ছাত্রছাত্রীদের ছিল অবারিত দ্বার। তিনি সব সময় বলতেন, ‘তোমাদের যখন যা বুঝতে ইচ্ছা হয় আমার কাছে এসে বুঝে নিও।’ চিত্রনিভার স্মৃতিকথায় মাস্টার মশাই নন্দলাল বসুর কথাও বিশেষভাবে উঠে এসেছে। তিনি নন্দলাল বসুর প্রয়াণে লিখেছেন: ‘তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো দেখতেন, তাই আজ তাঁর মৃত্যুতে আমরা পিতৃহীন হলাম। তাঁর শেখাবার পদ্ধতি ছিল একেবারে আলাদা। তিনি খুব অল্প কথায় সহজভাবে আমাদের বোঝাতেন।’


চিত্রনিভা চৌধুরী শান্তিনিকেতনের প্রথম মহিলা শিক্ষক। যদিও কিছুকাল পর তিনি নোয়াখালী শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন এবং সংসার সামলানোর পাশাপাশি সেখানে চিত্রকলা ও সংগীতের স্কুল শুরু করেন। সেই সময় ঢাকায় তাঁর ভাশুর ডা. জে. কে. চৌধুরীর বসার ঘরে তিনি যে দেয়ালচিত্র আঁকেন সেটি ছিল তখন বাংলার সবচেয়ে বড় দেয়ালচিত্র । দেশ বিভাগের পরে, তিনি আবার তাঁর শিশু পুত্রকন্যাদের নিয়ে শান্তিনিকেতনে থাকতে শুরু করেন। তবে কলাভবনের সেই চাকরি আর ফিরে পাননি। ঐ সময়ে তাঁর অসংখ্য চিত্রসম্ভারে চিত্রশালা ভরে ওঠে। ১৯৫৭ সালে তাঁর ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার্থে কলকাতায় স্বামীর কর্মস্থলে চলে আসেন। এখানে এসে বিদ্যাসাগর বাণীভবনের শিল্প বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। সত্যিকার্থে চিত্রনিভার শিল্প সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমন ঘটনা আমাদের সমাজে দুর্লভ বলতে হবে। সম্ভবত ইংরেজি সাহিত্যের জনক জিওফ্রে চসার-এর এই বাণীটি ফ্রেমবন্দি ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়িতে: ‘What is better than wisdom? Woman. And what is better than a good woman? Nothing.’


৯ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে প্রচারবিমুখ নির্মোহ এই মহান শিল্পীর প্রয়াণ ঘটে। তাঁর সৃষ্টির প্রয়াণ নেই। যুগপৎ শিল্পেও তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে চিরকাল।


তথ্য সূত্র : চারুকলা-৬, রাজ্য চারুকলা পর্ষদ মাস্টার মশাই, নন্দলাল বসু, চিত্রনিভা চৌধুরী স্মৃতিকথা, চিত্রনিভা চৌধুরী কৃতজ্ঞতা: রাইজিংবিডি

একটা কুকুরের সব সময়ের জন্য ভাবনা ছিলো শুধু তার সুখকে ঘিরে।  তার চাহিদা ছিলো বেশির থেকে বেশি

 একটা কুকুরের সব সময়ের জন্য ভাবনা ছিলো শুধু তার সুখকে ঘিরে। 

তার চাহিদা ছিলো বেশির থেকে বেশি।


 নিজের কাছে যা ছিলো তা নিয়ে কখনও সে সুখী ছিলো না।

 একদিন লোভী এই কুকুর একটি সেতু পার হচ্ছিলো, তার মুখে তখন একটি হাড় ছিলো,সেতুটি ছিলো একটি নদীর উপরে। 


সেতু পার হওয়ার সময় নিচে পানিতে তার ছায়া দেখতে পেলো। 

নিজের ছায়াটি দেখে সাথে সাথেই কুকুরটি থেমে গেলো, 

এ ছায়াটি তাকে বেশ ভাবনায় ফেলে দিলো: 'আরে, ওই কুকুরটার মুখেও দেখছি একটি হাড়, তা-ও আবার আমারটার চেয়েও বড়ো। 


এবার লোভী কুকুরটি ওই হাড়টি পেতে চাইলো। 

আর হাড়টি পাওয়ার জন্য যে কোনোকিছু করতে সে ছিলো একপায়ে খাড়া। 

কোনো রকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই তার ছায়া-কুকুরটির উপর ঝাপিয়ে পড়লো, কারণ সে তো কুকুরটিকে আরেকটি কুকুর মনে করেছিলো।


 যখনই শীতল পানিতে সে ডুব দিলো, তখনই তাকে হতাশ হতে হলো; কারণ ওখানে কোনো কুকুরই ছিলো না, হাড়ও ছিলো না।

 এখন আমও গেলো, ছালাও গেলো নদীর পানির তোড়ে তার নিজের হাড়টিও ভেসে দূরে চলে গেলো। 


আহা! বেচারা লোভী কুকুর! সে তার ছায়া-কুকুর থেকে যা নিতে চেয়েছিলো তা তো পেলই না; সেই সাথে তার মুখের আসল হাড়টিও হারালো।


✅আপনার যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকুন। 

অন্যের ধন,সম্পদ ও খ্যাতির প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে নিজের যোগ্যতায় যা কিছু অর্জিত হবে তাতেই প্রশান্তি নিয়ে বাচুন।

 মনে রাখতে হবে "লোভে পাপ আর পাপে অপমৃত্যু"।।

হজরত উসমান (রাঃ) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 হজরত উসমান (রাঃ) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত। তাই একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- আপনি জান্নাত ও জাহান্নাম স্মরণ করে এত কাঁদেন না, যতটুকু কাঁদেন কবর দেখে, এর কারণ কী?

 তিনি বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। এখানে যদি কেউ রক্ষা পেয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। 

আর এখানে কেউ যদি রক্ষা না পায় তাহলে পরবর্তী সব ঘাঁটি তার জন্য খুব কঠিন হবে।

তিনি আরও বললেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, মেরাজের রজনীতে আমি যত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি তার মধ্যে কবরের আজাবই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। 

হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবরের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দিও 

আমার প্রিয় ভাইকে আল্লাহ জান্নাত বাসি করুন, 

------------------------------( আমিন)

(তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং-২৩০৮)

 

حضرت عثمان رضی اللہ عنہ جب کسی قبر کے پاس کھڑے ہوتے تو اتنا روتے کہ داڑھی تر ہو جاتی۔  تو ایک دفعہ ان سے پوچھا گیا کہ تم جنت اور جہنم کو یاد کرکے اتنا نہیں روتے لیکن قبر کو دیکھ کر روتے ہو، اس کی کیا وجہ ہے؟


 ♐♐♐♐♐♐

  انہوں نے کہا کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا قبر آخرت کی پہلی بنیاد ہے۔  اگر کوئی یہاں سے فرار ہو جائے تو اس کے لیے اگلے تمام اڈے آسان ہو جائیں گے۔ 

 اور اگر کوئی یہاں نہیں بچا تو اس کے بعد کے تمام اڈے اس کے لیے بہت مشکل ہوں گے۔

 انہوں نے یہ بھی کہا کہ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا کہ میں نے معراج کی رجنی میں جو سب سے ہولناک چیز دیکھی وہ عذاب قبر ہے۔ 

 اے اللہ ہم سب کو قبر کے سخت عذاب سے نجات عطا فرما 

 اللہ میرے پیارے بھائی کو سلامت رکھے۔ 

 -------------------------------------------- (آمین)

 (ترمذی شریف، حدیث نمبر-2308

লাল_পাঁড়ের_সাদা_শাড়ি ফেইসবুক গল্প

 থমথমে শিকদার বাড়ি। কারো মুখে কোন কথা নেই। এ বাড়ির সবচেয়ে কনিষ্ঠ কন্যা চৈতালীর আজ বিয়ে ছিলো। কিন্ত বর আসেনি। আজ থেকে ছয়মাস আগে মোর্শেদ মির্জার ছেলে আশরাফ মির্জার সাথে চৈতালীর আংটি বদল হয়েছিল। এতদিন তারা দেখা সাহ্মাৎ করেছে। ভালো একটা বোঝােপড়াও হয়েছিলো তাদের মধ্যে। বিয়ে ভাঙার হলে আগেই বলতে পাড়তো, আজ এরকম নাটক করে মান সম্মান  খাওয়ার মানে কি?? রাগে দপদপ করছে শিকদার বাড়ির মানুষ। একহাত দেখে নিবে বলে শাসাচ্ছে মির্জাদের। 

সকলের সম্মুখে মাথা নত করে আছে মোর্শেদ মির্জা। হ্মমা চাওয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই। তবে শিকদার বাড়ির লোকজনের ভাব- গতিক ভাল লাগছে না। কি করে বসে বোঝা মুশকিল। হ্মুনাহ্মরেও তিনি ছেলের মনের কথা বুঝতে পারেন নি। গতকাল অবধি ছেলেকে দেখে মনে হয়েছে সে চৈতালী বিনে কিছু বুঝে না। সেই ছেলে যে পালিয়ে যাবে কে জানতো? একবার হাতের কাছে পাক ছেলেকে তার কি করা লাগে তার জানা আছে। তার আগে এখান থেকে বের হতে হবে।  শিকদার দের মাথা এখন গরম। কি করতে কি করে ফেলে বলা যায় না। তবে চৈতালীর জন্য খারাপ লাগছে তার।  কি সুন্দর মেয়েটা। নাটক সিনেমা বা উপন্যাসের মত তার যদি আর একটা ছেলে বা ভাতিজা থাকতো তাহলে চৈতালীকে আজ তার সাথে বিয়ে দিতো। আফসোস নেই। থাকার মধ্যে ঐ কুলাঙ্গার ছেলেই আছে। 


বিছানায় স্তব্দ হয়ে বসে আছে চৈতালী। কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত সে ভেবেছিলো আশরাফ মজা করছে। ঠিক চলে আসবে।  তবে কয়েক মিনিট আগে আসা আশরাফের মেসেজে পুরো দুনিয়া উল্টে গেছে চৈতালীর। মেসেজে আশরাফ লিখেছে- 

চৈতালী 

তুমি হয়তো এতহ্মন খবর পেয়ে গেছো আমি পালিয়েছি। বিশ্বাস করতে পারছো না তাই না?? আমি জানি আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। গত ছয়মাস তোমার সাথে নাটক করেছি। তোমাকে মিথ্যা সংসারের স্বপ্ন দেখিয়েছি। কিন্তু এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিলো না। আমি মিতু নামে একটা মেয়েকে ভালবাসি।  দু বছর আগে আমরা গোপনে বিয়েও করছি। মিতু আমার ক্লাসমেইট।  আমরা সেইম এজের বলতে পারো। বাবাকে মিতুর কথা বলেছিলাম।  বাবার ধারণা মিতুর বয়স বেশী। ছেলের বউ হবে কমবয়সী। তাই ২৫ বছরের আমার জন্য ১৭ বছরের তোমাকে পছন্দ করলেন। মিতুর সাথে আমার সম্পর্ক কলেজ থেকে৷ এই আমার জন্য ও জীবনে হাজার টা বিয়ে ভেঙেছে।  ওর মনে কিভাবে কষ্ট দিতাম বলো? পারলে আমাকে মাফ করে দিও। তোমার মন ভাঙ্গার কোন ইচ্ছা আমার ছিলো না। কিন্তু  আমি ও নিরউপায় ছিলাম। 

 

 আশরাফ


চলবে...................🍁


লাল_পাঁড়ের_সাদা_শাড়ি

সূচনা_পর্ব

লেখকঃসামিরা_আক্তার

জুলিয়া রবার্টস সম্প্রতি তার বয়স হয়ে যাওয়া এবং অল্পবয়সী দেখানোর জন্য— তার অনেক সহকর্মীর মতো— বয়স না-লুকানো নিয়ে খোলামেলা আলাপে বলেছেনঃ

 জুলিয়া রবার্টস সম্প্রতি তার বয়স হয়ে যাওয়া এবং অল্পবয়সী দেখানোর জন্য— তার অনেক সহকর্মীর মতো— বয়স না-লুকানো নিয়ে খোলামেলা আলাপে বলেছেনঃ


“আমি আত্মসম্মানের সাথেই বুড়ো হচ্ছি, মজা পাচ্ছি এতে, নিজেকে প্রশান্ত লাগছে আগের তুলনায়।


বুবস-লিফটিং বা বোটক্সের শরণাপন্ন হই না, জানি এতে হলিউড-স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমি আমার ক্যারিয়ারকে ঝুঁকিতে ফেলছি। যদি বয়স্ক দেখানোর কারণে তারা আমাকে ফিল্মে আর নিতে না-চায়, ভেবে নেবো— ঠিকাছে, আমার মতো জীবন নিয়ে আমি ভালো আছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেয়ে কাজ করাকে গুরুত্বপূর্ণ না-ভাবা।


প্রচুর মাকে চিনি আমি, যারা জীবন সামলাতে ভীষণ বেগ পাচ্ছেন তাদের চেহারা নিয়ে অন্যে কী ভাবছে এই ভাবনা ভাবতে গিয়ে। এটা ভয়ানক সমস্যা। আমি ওই নারীদেরকে ভীষণ পছন্দ করি, যারা ক্যারিয়ার, পরিবার, সবদিক সামলাতে যেয়ে পরিশ্রমের দাগ চেহারায়-দেহে মেখেই দেখতে চমৎকার। সত্যি বলতে কী, আমার ভয় অন্যখানে।


আমি ভয়ে থাকি, আমার সন্তানদেরকে মানুষ করতে পারছি কিনা, তাদের সুন্দর আচারব্যবহারকে দুর্বলতা ভেবে অন্যরা তাদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কিনা। আমার কাছে— শুধুমাত্র নিজে রূপবতী থাকার চেয়ে আমার পরিবারকে রূপবতী করে তোলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


আমার যা অর্জন, এ নিয়েই নিজেকে ভাগ্যবতী ভাবি। আমার স্বামী এবং বাচ্চাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার সুন্দরতম মুহূর্ত ওগুলো নয় যেগুলো আমি চলচ্চিত্রের সেটে কাটাই, বরঞ্চ ওই মুহূর্তগুলোই যেসব আমি পরিবারের সাথে ব্রেকফাস্টে কাটাই নানান খুনসুটিতে-অভিযোগে-আলাপে-অনুযোগে-মমতায়-অভিমানে-স্নেহে-ভালোবাসায় এবং সুখে।


মুহূর্তগুলো স্বপ্নের মতো!"

অন্তর্জাল 🖤

ও বাজান চল যাই চল ___জসীম উদ্‌দীন (পদ্মাপার কাব্যগ্রন্থ)

 ও বাজান চল যাই চল

___জসীম উদ্‌দীন (পদ্মাপার কাব্যগ্রন্থ)


ও বাজান, চল, যাই চল

মাঠে লাঙল বাইতে,

গরুর কাঁধে লাঙল দিয়া

ঠেলতে ঠেলতে ঠেলতে।

মোরা লাঙল খুঁড়ে ফসল আনি

পাতাল পাথার হইতে,

সব দুনিয়ার আহার জোগাই

সেই না ফসল হইতে,

আর আমরা কেন খাইতে না পাই

পারো কি কেউ কইতে।


বউ দিয়াছে গলায় দড়ি সাতদিন না খাইতে,

ভুখের জ্বালা সইতে, কবরখানায় রইতে;

এবার লাঙর দিয়ে খুঁড়ি মাটি তারি দেখা পাইতে।

মোরা, মাঠ চিরি ভাই! লাঙল দিয়ে,

মোদের বুক চেরা তার চাইতে,

মাঠ চিরিলে ফসল ফলে,

ও ফসল ফলে না বুক হইতে।

এবার মাটি খুঁড়বরে ভাই, ফসল নাহি পাইতে,

ও মাটি খুঁড়ে দেখব আর কতদূর কবরখানায় যাইতে।

সুদক্ষিণার আরেক নাম ছিল পূর্ণিমা। দাদা দিদিদের সাহচর্যে বড়ো হচ্ছিলেন পূর্ণিমা তথা সুদক্ষিণা

 সুদক্ষিণার আরেক নাম ছিল পূর্ণিমা। দাদা দিদিদের সাহচর্যে বড়ো হচ্ছিলেন পূর্ণিমা তথা সুদক্ষিণা। একটু বড়ো হওয়ার পরেই তাঁর রূপের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। আশ্চর্য এক সৌন্দর্য! পরিবারের মধ্যে তখন বেশ জল্পনা, এ মেয়ে তো রাজরানীর মতো রূপ নিয়ে এসেছে। সত্যিই রাজরানী হলেন।


 পাত্র উত্তরপ্রদেশের হরদৈ জেলার জমিদার, পণ্ডিত জ্বালাপ্রসাদ পাণ্ডে। তিনি পারিবারিক দিক থেকে জমিদার হলেও একজন আই সি এস অফিসারও ছিলেন। ঠাকুরবাড়ির সুন্দরী মেয়ে সুদক্ষিণার যথার্থ দোসর। ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মেয়েদের মতো ‘পুণ্য’ পত্রিকায় তিনিও লিখেছিলেন। তবে রান্নার লক্ষ্ণৌ প্রণালী নিয়ে। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত  সুখী ছিলেন। জমিদারি পরিচালনা, ঘোড়ায় চড়া, বন্দুক ছোঁড়া, ইংরেজি ভাষাচর্চা — সবটাই স্বামীর সঙ্গেই আয়ত্ত করেছিলেন। মাত্র সাতাশ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়ে, বিরাট বৈভবের মধ্যে একলা হয়ে পড়েন তিনি। যেন রহস্যময় সৌরজগতে একলা চাঁদের আলো। সেইসময়ের এক বিধবা, নিঃসন্তান , সুন্দরী যুবতী!


 ভেবেই নেওয়া হয়েছিল, পণ্ডিত জ্বালাপ্রসাদ পাণ্ডের জমিদারির অবশেষটুকুও থাকবে না। অথচ, গল্পটা ঠিক উল্টো হল। ঠাকুরবাড়ির এই মেয়েটি কলম ধরলেন না সেইভাবে। কিন্তু ঘোড়ায় চড়ে, হাতে বন্দুক নিয়ে জমিদারি এলাকা পরিদর্শন করে বেড়াতেন। অচিরেই তিনি নিজে হয়ে উঠলেন হরদৈ জেলার জমিদার। কাউকেই পরোয়া করতেন না সুদক্ষিণা। আসলে জীবন তাঁকে বেপরোয়া হতেই শিখিয়েছে। সুদক্ষিণার কীর্তির কথা বাংলাদেশে সুপরিচিত ছিল না। অথচ সুদূর উত্তরপ্রদেশে ঠাকুরবাড়ির একটি মেয়ে ঠিক চিত্রাঙ্গদার মতো স্নেহবলে মাতা ও বাহুবলে পিতা হয়ে উঠলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁদের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে, এমনটাই ভেবেছিলেন সকলে। বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু সকলের ধারণা মিথ্যে প্রমাণ করে বীরাঙ্গনার মতো ব্যক্তিত্ব নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন রানি সুদক্ষিণা। ঘোড়ায় চড়ে প্রজাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনতে যেতেন। বিচার করতেন শক্ত হাতে। তাঁর আমলকে সকলে বলত, রামরাজত্ব! 


বেশ কয়েকজন তেজস্বী ডাকাতকে নিয়ে রক্ষীবাহিনী তৈরি করেছিলেন তিনি। ইংরেজ সরকার রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছিল। উত্তরপ্রদেশে তাঁকে ‘মুকুটহীন রানি’ বলা হত। ইংরেজ সরকার তাঁকে তিনবার ‘মহারানি’ খেতাব দিতে চেয়েছিল। তিনবারই পূর্ণিমা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’ বইতে চিত্রা দেব এমন কথা লিখেছেন। বিদ্যার প্রতি অমোঘ টান থেকেই ভাষাকে সম্মান জানাতে পেরেছিলেন সুদক্ষিণা। উত্তরপ্রদেশের অনগ্রসর মেয়েদের জন্য একটি বালিকা বিদ্যালয়ও স্থাপন করেছিলেন। পূর্ণিমা নামে ‘দ্য ইন্ডিয়ান ভিলেজ গার্ল’ নামে একটি অর্কেস্ট্রায় সুরও দিয়েছিলেন। এখনও হয়তো উত্তরপ্রদেশের বুধাওন, হরদৈ জেলার অতীত স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছেন রানি সুদক্ষিণা, ঠাকুরবাড়ির একটি মেয়ে!

তথ্যসূত্র

ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব

সংগৃহীত গল্পটি যারা পড়েনি তাদের জন্য :-,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সংগৃহীত গল্পটি যারা পড়েনি তাদের জন্য :-


ফ্রান্ৎস কাফকা কখনো বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের পার্কে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখলেন যে তার প্রিয় পুতুলটি হারিয়ে কাঁদছিল। সেই মেয়েটি এবং কাফকা, দু’জনে মিলে খুব খুঁজলেন হারিয়ে যাওয়া পুতুলটিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তা।

কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তাঁরা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে।

কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন কাফকা ছোট্ট মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, ‘এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’। সে চিঠিতে লেখা ছিল, ‘দয়া করে তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনী তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’

এভাবেই শুরু হয়েছিল একটি গল্পের, যা চলেছিল কাফকার মৃত্যু পর্যন্ত।

ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কাফকার নিয়মিত দেখা হতো। আর যখনই দেখা হতো তখনই কাফকা একটি চিঠি দিতেন মেয়েটিকে, বলতেন সেই একই কথা, ‘চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’, এবং পড়ে শোনাতেন তার প্রিয় পুতুলের বিশ্ব-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা খুব যত্নের সাথে, যে বর্ণনাগুলো মেয়েটিকে ভীষণ আনন্দ দিত।

এর কিছুদিন পর একদিন কাফকা একটি পুতুল কিনলেন এবং মেয়েটিকে দিলেন। বললেন, ‘এই নাও, তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল।’

মেয়েটি বললো, ‘এই পুতুলটি মোটেও আমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের মতো দেখতে নয়।’

কাফকা তখন মেয়েটিকে আরও একটা চিঠি দিলেন যেটাতে তার প্রিয় পুতুলটি তাকে লিখেছে, ‘ভ্রমণ করতে করতে আমি অনেক পাল্টে গিয়েছি।’

ছোট্ট মেয়েটি তখন নতুন পুতুলটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল এবং অপার আনন্দে ভাসল।

এর এক বছর বাদে কাফকা মারা যান।

বহু বছর বাদে, সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন অনেক বড় হয়ে গেছে, তখন সে সেই পুতুলটির ভিতরে একটি ছোট্ট চিঠি পায়। কাফকার সই করা ছোট্ট সে চিঠিটিতে লেখা ছিল, ‘Everything you love will probably be lost, but in the end, love will return in another way . ’   .........

ফ্রান্ৎস কাফকা ছিলেন একজন জার্মান ভাষার উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।

ঈশপ (Aesop) ছিলেন এক প্রখ্যাত গ্রিক উপন্যাসকার ও গল্পকার,

 ঈশপ (Aesop) ছিলেন এক প্রখ্যাত গ্রিক উপন্যাসকার ও গল্পকার, যিনি প্রায় ২৫০০ বছর আগে বাস করতেন। তাঁর রচনা ও উপদেশগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলতে থাকলেও তাঁর জীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে, তিনি যে ধরনের গল্প রচনা করেছিলেন তা আজও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। ঈশপের কর্ম সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিচে আলোচনা করা হলো:


১. ঈশপের পরিচয়: ঈশপ ছিলেন একজন দাস, যিনি গ্রীসের সাদী অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিহাস নেই, তবে তিনি প্রাচীন গ্রীসে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।


২. ঈশপের গল্পের ধরন: ঈশপের রচনা সাধারণত ছোট গল্প বা উপকথা হিসেবে পরিচিত, যা সাধারণত পশুদের মাধ্যমে মানবীয় গুণাবলী এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে। তাঁর গল্পগুলিতে সাধারণত একথা বলার চেষ্টা করা হয় যে, চরিত্র বা ঘটনাগুলির মধ্যে শিক্ষা লুকানো থাকে।


৩. ঈশপের কাল্পনিক চরিত্র: ঈশপের গল্পগুলোতে মূলত পশুদের চরিত্র থাকে, যেগুলি মানুষের মতো আচরণ করে এবং মানবিক গুণাবলী প্রতিফলিত করে। তাঁর গল্পগুলিতে শিয়াল, শূকর, খরগোশ, হাতি, বাজপাখি ইত্যাদি পশুদের গুরুত্ব ছিল।


৪: নৈতিক শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি: ঈশপের গল্পগুলির মূল উদ্দেশ্য ছিল মানব সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ এবং ভালো আচরণ শেখানো। তাঁর গল্পগুলোতে লোকদের বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য, আত্মবিশ্বাস, দুর্বলতা এবং প্রকৃত শৌর্য সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।


৫: বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয়তা: ঈশপের গল্পগুলো শুধুমাত্র প্রাচীন গ্রীসে জনপ্রিয় ছিল না, তা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রচনা মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগেও অনেক পঠন-পাঠনে প্রভাবিত করেছে।


৬: উল্লেখযোগ্য গল্প: ঈশপের কিছু বিখ্যাত গল্পগুলির মধ্যে "শিয়াল ও আঙুর", "কচ্ছপ ও খরগোশ", "মিষ্টি মুখ, তৃষ্ণা" এবং "গাভী ও তার বাচ্চা" অন্তর্ভুক্ত। এই গল্পগুলো খুব সহজ ভাষায় লেখা, যা সহজে মানুষের মনের মধ্যে প্রভাব ফেলতে সক্ষম।


৭: ঈশপের শিক্ষা: ঈশপের গল্পগুলো প্রমাণ করে যে, ভালো আচরণ, সততা, পরিশ্রম, এবং বিচক্ষণতা সর্বদা পুরস্কৃত হয়। তিনি প্রচুর সময় ধরে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যা মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।


৮: আধুনিক সংস্করণ: ঈশপের গল্পগুলো যুগে যুগে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং তাঁর শিক্ষাগুলো এখনো আধুনিক সমাজে মূল্যবান হয়ে উঠেছে। তাঁর গল্পগুলির আধুনিক সংস্করণও বিভিন্ন শিক্ষামূলক বইয়ে দেখা যায়।


৯: ঈশপের চরিত্রের প্রভাব: ঈশপের গল্পগুলোতে তার অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও চরিত্ররা আজও প্রভাব বিস্তার করে। পৃথিবীজুড়ে শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক গল্প হিসাবে ঈশপের নাম উচ্চারিত হয়।


১০: ঈশপের সাংস্কৃতিক অবদান: ঈশপের গল্প শুধু সাহিত্যের দিক থেকে নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর গল্পগুলো নানা সমাজের নানা মানুষের মধ্যে সংলাপ তৈরি করেছে, যা বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


ঈশপের গল্পগুলি সময় ও স্থান অতিক্রম করে আজও সমানভাবে মানুষের মনে বেঁচে আছে। তার সহজ, সরল ভাষা এবং গভীর শিক্ষা আজও আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...