এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

ডাক্তার তানিয়া সুলতানা

 ১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!

নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!

নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!

নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।

নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!

নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।

নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!

নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।

নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।

নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।

নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

__________________________________________

এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

সৌজন্যেঃ ডাক্তার তানিয়া সুলতানা

__________________________________________

বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্টগুলো যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে সংক্ষেপে

T=Thanks

G=Good,

V=Very Good

E=Excellent

T, G, V কিংবা E লিখে কমেন্টস করবেন।

নিয়মিত স্বাস্থ্যতথ্য পেতে অামাদের পেইজে লাইক দিন৷

ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের জানান৷

সৌদি খেজুরের বীজ থেকে চারা তৈরি পদ্ধতি-

 সৌদি খেজুরের বীজ থেকে চারা তৈরি পদ্ধতি- 


১. বীজ সংগ্রহ: সবোর্চ্চ 6 মাস পুরোনো খেজুর থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে। কারণ খেজুর যতো তাজা হবে চারা হওয়ার সম্ভাবনা ততো বেশি। 


২. পানিতে ভিজিয়ে রাখা: দুই দিন পানিতে বীজ গুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে 


৩. টিস্যু পেপার: কয়েক টুকরা টিস্যু পেপার দিয়ে একটি স্তর করে নিয়ে তার উপর বীজ গুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও কয়েক টুকরা টিস্যু পেপার দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে। পানি দিয়ে টিস্যু পেপার ভিজিয়ে নিতে হবে। 


৪. বক্সে স্থানান্তর: টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়ানো বীজ গুলো এবার একটি বক্সে ভরে ঢাকনা আটকে দিতে হবে। অব্যষই নিশ্ছিদ্র ঢাকনা যুক্ত বক্স ব্যবহার করতে হবে। বক্সটি অন্ধকার যুক্ত জায়গায় রেখে দিতে হবে।

 

৫. পর্যবেক্ষণ: ৭-১০ দিন পর পর বক্স খুলে দেখতে হবে, যদি টিস্যু পেপার শুকিয়ে যায় সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। 


৬. ফলাফল: খেজুর বীজ থেকে অংকুর বের হতে ২০-৩০ দিন বা কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। অংকুর বের হয়ে গেলে তখন বীজ গুলো মাটিতে বপন করে দিতে হবে। 


#খেজুর #খেজুর_বীজ #gardenscience #germinationofseeds

কিডনি ড্যামেজ হলে করণীয়?? কিডনি রোগের লক্ষন কি কি 

 👉কিডনি ড্যামেজ হলে করণীয়?? কিডনি রোগের লক্ষন কি কি 👈

==========================================

সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তত্ত্ব মতে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ এ কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তারমধ্যে কিডনি সিস্ট, কিডনি পাথর, একিউট কিডনি ডিজিস, র‍্যাপিডলি ইনক্রিজড কিডনি ডিজিজ, ক্রনিক কিডনি ডিজিস, ইত্যাদি সমস্যা অন্যতম।


কিডনি ডিজিজের লক্ষণ সমূহ: 


১. ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা।

২. বমি বমি ভাব ও বমি।  

৩. পেট ও মাজা ব্যথা।

৪. মূত্রকৃচ্ছতা অথবা প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়া।

৫. হাইপারটেনশন অর্থাৎ হাই প্রেসার হয়ে যাওয়া।  

৬. পায়ের দিকে অথবা পুরো শরীর ফুলে যাওয়া।  

৭. শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়া।  

৮. প্রস্রাব পরিমাণে কমে যাওয়া।

৯. প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া অথবা ঘোলাটে ধরণের প্রস্রাব হওয়া।

১০. দুর্গন্ধ প্রস্রাব হওয়া।  

১১. সাথে জ্বর থাকতে পারে।   


কিডনি ড্যামেজ এর কারণ সমূহ:


১. যদি কোন পেশেন্ট দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস রোগে ভোগেন, তবে অতিরিক্ত রক্তের শর্করা থাকার কারণে কিডনির ফিল্টার ইউনিটগুলো এই শর্করা ফিন্টার করতে করতে এক সময় ক্ষতিগ্রস্ত বা অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই ডায়াবেটিস কে কিডনি ড্যামেজে অন্যতম কারণ বলে গণ্য করা হয়।


২. যদি প্রস্রাব বাধাগ্রস্ত হয় তাহলেও কিডনির ফিলটার ইউনিটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেমন প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি, কিডনিতে পাথর, কিডনিতে সিস্ট, ইত্যাদি কারণবশত প্রস্রাব নিঃসরণ না হলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে।  


৩. যদি কারো প্রেসার হাই থাকে তাহলে নেফ্রনগুলোর উপরে প্রচণ্ড চাপ পড়ে কারণ কিডনি প্রতিদিন প্রায়ই ১৭৬ লিটার ব্লাড ফিল্টার করে তা থেকে দেড় থেকে ২ লিটার প্রস্রাব প্রোডাকশন করে। যদি রক্তের অতিরিক্ত ফ্লুইড থাকে তবে কিডনি এই ফিল্টারের ক্ষমতা আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলে তখন সরাসরি প্রস্রাবের সাথে এই ব্লাড আসতে শুরু করে এবং কিডনি ড্যামেজ হতে শুরু করে।


৪. বিভিন্ন কারণে শরীরে যখন মারাত্মক ইনফেকশন হয় তখন কিডনি দ্রুত ব্লাড ফিল্টার করে সেই বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু শরীরে মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ থাকার কারণে কিডনি আস্তে আস্তে ড্যামেজ হতে শুরু করে এবং ওই বর্জ্য পদার্থগুলো শরীরের চর্মরোগের সৃষ্টি করে কারণ তখন শরীরে ফসফরসের পরিমাণ বেড়ে যায়।  


৫. আবার এই শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন অর্থাৎ বর্জ্য পদার্থ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনিদ্রা চলে আসে সে ক্ষেত্রে কিডনি ড্যামেজ এর সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।  


৬. অনিয়মিত অযাচিত এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথার বড়ি খেলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে এইজন্য ভালো কোন ফিজিশিয়ানের শরণাপন্ন হয়ে যেকোনো ওষুধ খাওয়া উচিত।


৭. ধূমপান মদ্যপান বা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন কিডনি ড্যামেজের একটি অন্যতম কারণ।  


৮. অতিরিক্ত ওজনও কিডনি ড্যামেজের জন্য দায়ী।


প্রতিকার:


> ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

> দৈনিক অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা।  

> হাই প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।  

> নিয়মিত অন্তত আধা ঘণ্টা শরীর চর্চা করা।  

> প্রতিরাতে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমানো।  

> ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।

> সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।

> ধূমপান বা মদ্যপান না করা।

> পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করা।

> শরীরে যে কোন জায়গায় ইনফেকশন অথবা জ্বর হলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিশিয়ানের সাথে দেখা করা ও চিকিৎসা গ্রহণ করা।

> অনিয়ন্ত্রিত অযাচিত বা অযথা ব্যথার ঔষধ বা অন্যান্য ঔষধ গ্রহণ না করা।

চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত!

 চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত!


চীনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, গুগল, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারও ব্যান!

শুরুতে শুনে বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝতে পারছি—ওরা আসলে অনেক আগেই অনেক বড় এক বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে।


আজকের একটি নিউজ দেখে বুকটা কেঁপে উঠল।

দেখলাম, ইস’রা’য়েল এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করে ফি-লি’স্তি,নি মানুষদের টার্গেট করে হ,ত্যা করছে!


AI নিয়ে কাজ করি বলেই মাঝে মাঝেই গভীরে ঘাঁটতে হয়, আর সেখান থেকেই একটা কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় AI-এর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে ডেটা। যত বেশি ডেটা, তত বেশি শক্তিশালী মডেল। আর এই ডেটা আমরা নিজেরাই প্রতিদিন ফ্রিতে দিয়ে যাচ্ছি—একটা বড় মস্ত ভুল করে।


🔹 আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করলেই গুগল আপনার লোকেশন ট্র্যাক করে

🔹 ফেসবুক চায় আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট, যেন আপনাকে আর আপনার নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি চিনে ফেলে

🔹 আপনার ফোনে “Ma”, “Baba”, “Boro Vai” নামে সেভ করা নম্বরগুলো থেকেই তারা বুঝে ফেলে কার সাথে আপনার কী সম্পর্ক

🔹 আপনার ব্রাউজার (ক্রোম) মনে রাখে সব পাসওয়ার্ড, মেইল, ব্রাউজিং হিস্ট্রি—একদম হাতের মুঠোয় আপনার ডিজিটাল লাইফ!


আর আপনি যেসব পারিবারিক ছবি পোস্ট করেন… আপনি ভাবতেই পারবেন না, সেগুলো একেকটা ডেটা পয়েন্ট।

একটা যুদ্ধের সময় এগুলোই আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াবে।


এখন প্রশ্ন হলো—উপায় কী?

🔸 ছোট্ট সমাধান: ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে না দেওয়া

🔸 বড় সমাধান: আমাদের নিজেদের বিকল্প তৈরি করা—যেমন চীন করেছে।


চীনের মতো নিজেদের প্ল্যাটফর্ম না বানালে আমরা কখনোই স্বাধীন নই, শুধু আধুনিক দাস! যাদের হাতে আপনার সবকিছু—তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আগে ভাবুন, আপনার শক্তি আসলে কোথায়?


~ Amir Hossan

Tsinghua University

আলোর কঠিন রূপ: বিজ্ঞানে বিপ্লব আনলো 'সুপার সলিড' ফোটন

 আলোর কঠিন রূপ: বিজ্ঞানে বিপ্লব আনলো 'সুপার সলিড' ফোটন

এক নজরে যুগান্তকারী আবিষ্কারের রহস্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা


আলো—যা যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে ছিল শুধুই শক্তির উৎস, একে ধরা বা স্থির রাখা ছিল কল্পনার অতীত। তবে বিজ্ঞান আজ সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। একদল গবেষক আলোক কণাকে এমন এক নতুন রূপে পরিণত করেছেন, যা একসাথে কঠিন পদার্থের মতো গঠন ধরে রাখে এবং তরলের মতো প্রবাহিত হতে পারে। এই অভাবনীয় রূপান্তর বিজ্ঞানের ভাষায় পরিচিত হচ্ছে “সুপার সলিড লাইট” নামে।


---


আলোর পরিবর্তিত রূপ: কীভাবে সম্ভব হলো?


আলো মূলত ফোটন দিয়ে গঠিত, যা ভরহীন এবং একে অপরের সঙ্গে খুব একটা মিথষ্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয় না। ফলে, এতদিন পর্যন্ত আলোকে ‘জমিয়ে রাখা’ বা ‘স্থির’ করা যায় না বলেই ধরে নেওয়া হতো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি—যেমন বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট এবং লেজার কুলিং—ব্যবহার করে ফোটনদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন যে তারা একটি নির্দিষ্ট গঠনে অবস্থান নেয়।


এই অবস্থায় আলোক কণাগুলো একদিকে কঠিনের মতো অবস্থানগত গঠন রক্ষা করে, আবার অন্যদিকে ঘর্ষণহীন তরলের মত প্রবাহিত হয়—এই দ্বৈত বৈশিষ্ট্যই তাকে “সুপার সলিড” বানিয়েছে।


---


সুপার সলিড কি আসলে?


সাধারণভাবে, কোনো পদার্থ হয় কঠিন, নয়তো তরল। কিন্তু সুপার সলিড একটি বিরল দশা, যেখানে পদার্থ একই সঙ্গে কঠিনের মতো গঠন ও তরলের মতো প্রবাহ ধারণ করে। পরমাণুগুলো একদিকে এক বিন্যাসে সজ্জিত থাকে, আবার অন্যদিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্থানান্তরিত হতে পারে।


এবার এই অনন্য ধর্ম ফোটনের ক্ষেত্রেও প্রমাণিত হলো। যা সত্যিকার অর্থে পদার্থবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী ধারা সৃষ্টি করেছে।


---


এই আবিষ্কারের তাৎপর্য কোথায়?


এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের বাস্তব প্রয়োগের সম্ভাবনা বিশাল ও বহুমাত্রিক:


কোয়ান্টাম প্রযুক্তি: সুপার সলিড ফোটনের মাধ্যমে আলোক-নির্ভর কিউবিট তৈরি সহজ হবে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-কে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে।


তথ্য সংরক্ষণ: আলোকভিত্তিক মেমরি সিস্টেম উদ্ভাবনের পথ সুগম হতে পারে, যেখানে তথ্য দ্রুতগতিতে এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব।


মহাকাশ গবেষণা: অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও কণাপদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় এই নতুন ধারা নতুন জ্ঞান ও ব্যাখ্যার দিগন্ত খুলে দিতে পারে।


---


সমাপ্তি: এক নতুন যুগের সূচনা


আলোর এই নতুন রূপ—সুপার সলিড লাইট—শুধু একটি বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। আগামী দিনে হয়তো এমন যন্ত্র বানানো সম্ভব হবে, যেগুলো আলোক কণাকে নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি করবে নতুন ধরনের পদার্থ বা শক্তি উৎস।


বিজ্ঞানের এই জয়যাত্রা দেখিয়ে দিল, সীমা শুধু আমাদের কল্পনার—জ্ঞান ও গবেষণায় কোনো গণ্ডি নেই।


---


#বিজ্ঞান #আলোকরহস্য #সুপারসলিড #QuantumFuture #ফোটন ##KnowledgeBuzz #ViralScience

সবার শিফা - শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক রোগের মুক্তি

 সবার শিফা - শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক রোগের মুক্তি


সবার শিফা আপনাকে শারীরিক, মানসিক বা আধ্যাত্মিক কোনো সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।


আপনি যদি মাথাব্যথা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অথবা কালো জাদু বা জ্বিনের থেকে মুক্তি চান, তাহলে এই বিশেষ পদ্ধতি আপনাকে আল্লাহর সাহায্যে আরাম দেবে।


কে বলে শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক বা অতিপ্রাকৃত সমস্যার কোনো সমাধান নেই? পবিত্র কোরআন থেকে শিফা মেলে, আর শিফা শুধুই আল্লাহর কাছ থেকে আসে।


যারা শারীরিক বা আধ্যাত্মিক অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, অথবা কালো জাদু বা জ্বিন থেকে মুক্তি চান, তারা ক্বারী আব্দুল বাসিতের কণ্ঠে সূরা আল-রহমান (অনুবাদ ছাড়া) দিনে ৩ বার শুনুন—সকাল, দুপুর, এবং রাত। ৭ দিন ধরে একটানা শুনতে হবে। প্রতিবার শোনার পর, আধা গ্লাস পানি নিন, চোখ বন্ধ করে মনের মধ্যে ৩ বার "আল্লাহ" বলুন এবং ৩ চুমুকে পানি পান করুন।


শোনার পদ্ধতি:


একটি শান্ত ও আরামদায়ক স্থানে বসুন, যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না।

চোখ বন্ধ করুন এবং আল্লাহর উপস্থিতি বা আপনার বিশ্বাসের সর্বোচ্চ শক্তির সাথে নিজেকে সংযুক্ত কল্পনা করুন।

গভীর মনোযোগ দিয়ে চোখ বন্ধ করে অডিও শুনুন।

অডিও শেষ হলে, চোখ খুলুন এবং আধা গ্লাস পানি নিন।

আবার চোখ বন্ধ করুন এবং মনের মধ্যে তিনবার "আল্লাহ" বলুন।

চোখ বন্ধ রেখেই ৩ চুমুকে পানি পান করুন।

শ্রেষ্ঠ ফলাফলের জন্য: দিনে ৩ বার (সকাল, সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর আগে) ৭ দিন পর্যন্ত একটানা "আল্টিমেট রেমেডি" শুনুন।


Whatsapp Call:   01711-592628  - শুধুমাত্র মহিলা দয়া করে


যেকোনো সাহায্যের জন্য, আমাদের ওয়েবসাইটে যান এবং হোয়াটসঅ্যাপ আইকনের মাধ্যমে আমাদের সাথে সরাসরি কল করুন: drishtijoii.com

একমলাটে আদম আ. থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলমান ইতিহাস সিরিজ

 একমলাটে আদম আ. থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলমান ইতিহাস সিরিজ

.

জাতি হিসেবে মুসলিমদের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সেই বর্ণাঢ্য ইতিহাসের সার্থক ও ব্যাপক চিত্রায়ন যাদের কলমে উঠে এসেছে, মাওলানা ইসমাইল রেহান হচ্ছেন তাদেরই একজন। তাঁর রচিত 'তারিখে উম্মতে মুসলিমাহ' গ্রন্থটির অনন্যতা মুসলিম জাতির ইতিহাস সম্পর্কিত অন্যান্য সব রচনা থেকে এটিকে আলাদা একটি পর্যায়ে তুলে দিয়েছে। তাঁর এই বিশাল কাজের সূচনাটি হয়েছে একদম সৃষ্টির গোড়ার সময়টি থেকে। আর সেই শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত—ইতিহাসের এই বিশাল সময়ে মুসলিম উম্মাহর জীবনে যত ঘটনার ঘনঘটা দেখা দিয়েছে, তার সুবিশাল এক দালিলিক তথ্যের সম্ভার এই বইটি। এই সুদীর্ঘ সময়ে উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাষ্ট্রীয়—সবগুলো প্রেক্ষাপটেই ইতিহাসের অজস্র ঘটনাবলি, একের পর এক পটপরিবর্তন কুশলী হাতে লিখে গিয়েছেন এই ঝানু ঐতিহাসিক। 

.

ভাষাশৈলীর প্রাঞ্জলতা আর তথ্যের বিশুদ্ধতায় প্রাণবন্ত ইতিহাসের ঝরঝরে পাঠ বইটিকে খুব অল্প দিনেই এনে দিয়েছে উপমহাদেশজুড়ে সুখ্যাতি। বাংলায় এই অসাধারণ কাজটিকে একঝাঁক মেধাবী অনুবাদকের হাতে নিয়ে এসেছে ইত্তিহাদ । ইতিহাসের বিশাল এবং অনন্য এই কাজটিকে পাঠক পাচ্ছেন ১৭টি খণ্ডে, 'মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস' নামে। ইতিহাসপ্রেমী আর শেকড় সচেতন সবার জন্যই হাইলি রিকোমেন্ডেড। 

.

আলোচিত এই সিরিজটির স্টক ফুরাবার আগেই আপনিও সংগ্রহ করুন । 

.

বই : মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস (১-১৭) 

লেখক : মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল রেহান

প্রকাশক : মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ 

.

উন্নত সংস্করণ—

মুদ্রিত মূল্য : ১০,৮১০৳

অফার মূল্য : ৫৪০৫৳

.

দাওয়াহ সংস্করণ—

মুদ্রিত মূল্য : ৮০০০৳

অফার মূল্য : ৪০০০৳


অথবা কল করুন :

01979764926

বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই। 

 বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই। 


অফিসার লেভেল নয় কারখানার একজন শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীর যা সুযোগ সুবিধা তাই যদি বলি:


১: সাপ্তাহিক বেতন পদ্ধতি। প্রতি বৃহস্পতিবারে বেতন একাউন্টে ঢুকে যাবে, ঝড় তুফান যাই হোক না কেনো। 


২: সাপ্তাহিক হেলথ চেকআপ৷ সাথে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ ফ্রি।


৩: প্রতিদিন ডিউটি শেষে হাফ লিটার দুধের প্যাকেট সবার জন্যে। 


৪: এছাড়া কেউ সিরিয়াস লেভেলের অসুস্থ হলে হলি ফ্যামিলিতে ফ্রি ট্রিটমেন্ট। 


৫: কেউ চাকরি থেকে অবসর নিলে তার পরিবারের যে কেউ সেই চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ। 


৬: চাকরি শেষে ১৫-৩০ লাখ টাকা, PF সহ অন্য সব কিছু বাবদ।


৭: বিশেষ প্রয়োজনে অফিস থেকে এক লাখ টাকা লোন, যা পরবর্তীতে স্যালারী থেকে অল্প অল্প করে কেটে রাখা হয়। 


৮: ফ্রি নাস্তা রেগুলার। 


৯: অবসরের সময় বিশেষ সংবর্ধনা ও উপহার। 


১০: খেলাধুলা, পিকনিক সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা। 


১১: শ্রমিক ইউনিয়ন। 


১২: বাচ্চাকাচ্চা জিপিএ ৫ পেলে ২/৩ বছরের জন্য মাসিক বৃত্তি। 


১৩: প্রফিট শেয়ারিং।


১৪: ওভারটাইম করলে ডাবল স্যালারী ইত্যাদি। 


তারা করোনার সময় জোর করে কর্মী ছাটাই করেনি। সুযোগ দিয়েছে যারা নিজ থেকে ছাড়তে চাইবে তাদের মধ্যে সাধারণ একজন শ্রমিকও সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে যেতে পারবেন।


এমন অসংখ্য সুবিধা তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে থাকে। অথচ দেশীয় অনেক কোম্পানি শত কোটি টাকা লাভের পরেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে ফকিন্নির মত কান্নাকাটি করে। 


গতকালের ভদ্রবেশী মুর্খ চোরগুলো এটাও জানে না যে বাটা একটি ইউরোপীয় কোম্পানি। গণহারে চুরির এ কাহিনির পর এখন যদি বাটা তাদের কারখানা অন্যদেশে সরিয়ে নেয় তখন কাকে দোষারোপ করবেন...?

------------------------

(Collected)

কাঁচা আমের জ্যাম বা জেলি বানানো খুবই সহজ এবং মজার একটি উপায়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:

 কাঁচা আমের জ্যাম বা জেলি বানানো খুবই সহজ এবং মজার একটি উপায়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:


 কাঁচা আমের জ্যাম/জেলি রেসিপি:

উপকরণ:

কাঁচা আম – ৪-৫টি মাঝারি সাইজের (প্রায় ৫০০ গ্রাম)


চিনি – ২ কাপ (পরিমাণ কম/বেশি করা যাবে স্বাদমতো)


লবণ – ১/২ চা চামচ


লেবুর রস ভা ভিনেগার – ১ টেবিল চামচ


পানি – ৪ কাপ


প্রস্তুত প্রণালী:

আম সিদ্ধ করা:


কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নাও অথবা গ্রেট করে নাও।


একটি পাত্রে আমের টুকরোগুলো ও পানি দিয়ে সিদ্ধ করো যতক্ষণ না নরম হয়ে যায় (প্রায় ১০-১৫ মিনিট)।


পিউরি বানানো:


ঠান্ডা হলে আম সিদ্ধ মিশ্রণটি ব্লেন্ড করে মসৃণ পিউরি তৈরি করো বা চালনি দিয়ে চেলে নাও।


জ্যাম রান্না:


একটি প্যানে আমের পিউরি, চিনি, লবণ এবং লেবুর রস একসাথে দিয়ে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল দাও।


চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে কষাতে থাকো। যত চিনি গলে যাবে ও মিশ্রণ ঘন হবে, তত ভালো।


চামচে নিয়ে দেখে নাও – জ্যাম ঠান্ডা হলে জমে আসছে কি না। (এক ফোটা প্লেটে দিয়ে ঠান্ডা করে আঙুল দিয়ে চেক করতে পারো)


শেষ ধাপ:


চাইলে একটু এলাচ গুঁড়ো দিতে পারো স্বাদ বাড়ানোর জন্য।


ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করো।


স্টোর করা:


ঠান্ডা হয়ে গেলে জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করো।


ফ্রিজে রাখলে ২-৩ সপ্তাহ ভালো থাকবে।


চাইলে তুমি এটা জেলি বানানোর জন্য পাতলা করে নিতে পারো এবং স্ট্রেইনার দিয়ে ছেঁকে নিখুঁত জেলির মতো তৈরি করতে পারো।


তুমি কি মিষ্টি স্বাদের পছন্দ করো, না একটু টক-ঝাল-মিষ্টি টাইপ বানাতে চাও? আমি চাইলে সেই রকম এক্সট্রা ফ্লেভারও সাজেস্ট করতে পারি! 😄


#jelly #manharecipes #jamjelly #mangojelly

অহর্নিশ তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

 এম এ ক্লাসের পরীক্ষা দিতে বসে এক সমস্যা হল ছাত্রটির। সেইদিন ছাত্রটির প্রিয় বিষয় দর্শনের পরীক্ষা। সব প্রশ্নের উত্তরই জানা। কিন্তু প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই তিন ঘন্টা সময় চলে গেল। বাড়িতে ফিরে মন খারাপ। ভাবলেন বাকি পরীক্ষা আর দেবেন না। পরিবারের লোকেরা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করাতে বাকি পরীক্ষা দিলেন। ফল বেরোতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করছে সেই ছাত্রটিকে । শোনা যায়, ব্রজেন্দ্রনাথের সেই উত্তরপত্রে পরীক্ষকেরা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ওই একটি উত্তরকেই মৌলিক গবেষণা হিসেবে গণ্য করা যায়।’’ সেনেটে এ নিয়ে জরুরি সভা বসেছিল। কী করা যায় ! সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একটা প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা নম্বর পাবেন, বাকি অলিখিত প্রশ্নের জন্য তার শতাংশের হারে নম্বর ধরে দেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটে এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রথম ও শেষ। তিনিই একমাত্র ছাত্র যিনি ওই বছর দর্শনে প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছিলেন ! ভাবা যায় !

একবার কলকাতা থেকে মুম্বই যাচ্ছেন বিখ্যত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসন। আচমকা দেখেন তাঁর প্রথম শ্রেণির কামরায় এলাহাবাদ স্টেশনে এক বাঙালি ভদ্রলোক উঠে পড়লেন | উঠেই তিনি শুরু করলেন কমলালেবু খাওয়া। থম্পসন ভাবলেন এই গেল ! বাঙালি ব্যাটা এ বার গোটা কামরাটা না কমলালেবুর খোসা ছড়িয়ে নোংরা করে ফেলে। কিন্তু তেমন কিছুই তো ঘটল না।বাঙালি ভদ্রলোকটি একটি প্যাকেটে তুলে রাখলেন কমলালেবুর খোসা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন থম্পসনও। শুরু হল আলাপ।

ইতিহাস নিয়েই শুরু কথাবার্তা। কিন্তু খানিক দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান— ভূ-ভারতে যতগুলি বিদ্যার শাখা আছে, তা সবই উঠে আসতে থাকল আলাপে। ঠিক আলাপ নয়, একতরফা বাঙালি ভদ্রলোকটিই বলে চলেছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড শুধুই শ্রোতা। মুম্বই স্টেশনটাও যেন কেমন তাড়াতাড়ি চলে এল। নামার সময় থম্পসন বলে গেলেন, ‘‘আপনার নাম জানতে চাইছি না। ভারতবর্ষে একজনই আছেন, যাঁর প্রজ্ঞা এমন প্রসারিত। আমি নিশ্চিত, আপনিই সেই ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।’’

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল | ‘আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়’ তাঁর সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘‘তাঁহার ন্যায় পণ্ডিত লোক বহু শত বৎসর ভারতবর্ষে জন্মে নাই এবং শীঘ্রই যে জন্মিবে তাহাও আমার মনে হয় না৷‌’’ ‘সুধীন্দ্রনাথ দত্ত’ জানিয়েছিলেন, ‘‘সক্রেটিস বংশের শেষ কুলপ্রদীপ’’৷‌ ‘চলন্ত বিশ্বকোষ’-এর মত বিশেষণে ভূষিত করেছিলেন ‘বিনয় সরকার’। ব্রজেন্দ্রনাথের প্রয়াণের পর ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ’ লিখেছিলেন, “… ‘সর্ববিদ্যাবিশারদ’ বলিয়া আখ্যা যদি কাহাকেও নিঃসংশয়ে দেওয়া যায় তবে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ তাহার উপযুক্ততম পাত্র।” ১৯৩৫ সালে তিনি ৭২ বছর বয়সে পদার্পণ করলে ভারতীয় দর্শন কংগ্রেস এক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ‘আচার্য শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল সুহৃদবরেষু’ শীর্ষক এক প্রশস্তিবাণী প্রেরণ করেছিলেন। কবিগুরু সেই প্রশস্তিবাণীতে লিখেছিলেন –

‘‘জ্ঞানের দুর্গম উর্ধ্বে উঠেছে সমুচ্চ মহিমায়

যাত্রী তুমি, যেথা প্রসারিত তব দৃষ্টির সীমায়

সাধনা-শিখরশ্রেণী …’’

ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসনের বন্ধু প্যাট্রিক সেডেড বলেছেন, ‘‘Seal was the greatest brain functioning in this planet’’।

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল- কে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য |

© অহর্নিশ

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

=================

বাংলার ইতিহাস জানতে চান ? যদি প্রকৃত ইতিহাস জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই "বাঙ্গালার ইতিহাস" । বাংলার ইতিহাস নিয়ে এইরকম গবেষণামূলক বই একটিও নেই ।

আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MP7d4v

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...