এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

আপনি যদি সিচুয়েশনের ভিক্টিম হতে না চান, কারো সাধ্য নেই আপনাকে ভিক্টিম বানিয়ে রাখবে।

 আপনি যদি সিচুয়েশনের ভিক্টিম হতে না চান, কারো সাধ্য নেই আপনাকে ভিক্টিম বানিয়ে রাখবে।


না বলে দিন।

বলে দিন এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। 

আমার পক্ষে অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। 

অবহেলা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

মানসিক আর শারিরীক অ্যাবিউজ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। 

Learn to say "no" and learn to leave. 


বাবা বলবে আমাদের সম্মানের কথা চিন্তা করলি না, মা বলবে আমি মরে গেলে বুঝবি, বয়ফ্রেন্ড/হাজব্যান্ড বলবে তুমি আমার জন্য এটুকু মেনে নিতে পারবেনা? এটুকু অপমান সহ্য করতে পারবেনা?  যতই ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করুক তারপরও আপনি নিজের গ্রাউন্ড ধরে রাখবেন। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের ট্র্যাপে পড়বেন না। মনকে শক্ত রাখুন। 


যে মেয়ে নিজের ইমোশনকে সাইডে সরিয়ে রেখে পরিস্থিতিকে বিচার করতে শিখে যায় তাকে ভিক্টিম বানানো, তার সাথে অন্যায় করা, বা তাকে অ্যাবিউজ করা অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। 


তবে তার সাথে আপনাকে এটাও মেনে নিতে হবে যে আত্মীয়স্বজন, সমাজ আপনাকে অভদ্র, অসভ্য, বেয়াদব বলতেই পারে। কেউ কেউ আপনাকে স্বার্থপর বলতেই পারে। 


সেগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিন। কারণ যখন আপনি দিনের পর দিন সাফার করছিলেন, কাঁদছিলেন, নিজে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন এদের কেউ আপনার খুঁটি হয়ে দাড়ায়নি। আপনার এদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই।


নিজের পায়ে দাড়ান। জ্ঞান অর্জন করুন। এর বিকল্প নেই। নিজেকে নিজে সাপোর্ট দেওয়া শিখুন। বেসিক লাইফ স্কিল গুলো ডেভেলপ করুন। টেকনোলজিতে ভাল হন। বই পড়ুন। নিজের পার্সোনালিটিতে ধার দিন। 


সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে ভাবুন, যারা আমার মন থেকে যত্ন করে, তাদের জন্য আমি জীবনও দিয়ে দিতে পারি- কিন্তু যারা আমাকে দিনের পর দিন ভুক্তভোগী বানায়, কষ্ট দেয়, আমার জীবনকে অসহনীয় বানিয়ে দেয় তাদের জন্য আজ থেকে আমার এফোর্টের পরিমাণ শূণ্য। 


I have always heard that I am so lucky. Ofcourse I am lucky! Thanks to Almighty! <3  But,

have you ever given a thought on the fact that may be there is a little portion of luck that came with the life choices I made. The choice of believing in my gut feeling; choice of not being a victim of the situation; choice of following my judgment that I gained from experience?


আপনার পার্সোনালিটি যদি এরকম হয় যে কেউ আপনার মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে পারবে। একটু চোখ গরম করলেই আপনি আপনার কলিজা সিদ্ধ করে মসলা দিয়ে ভুনা করে দিয়ে দিবেন, আর আড়ালে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদবেন আর নিজের ভাগ্য কে দোষ দিবেন, তাহলে দোষটা আসলে আপনারই।


যারা অযৌক্তিক, এবং অন্যায় ভাবে কম্প্রোমাইজ করতে চায়না, তারা করেও না।


যারা করে তাদের মনের জোর নেই।

তারা অজুহাত দেয়, আমরা বাধ্য হয়েছি করতে। অমুক তমুক কারণে। 

আপনাকে একটা সত্যি কথা বলি মিলিয়ে নেন- যে মন থেকে কিছু করতে চায় সে সত্যি সত্যি চাইলে এভারেস্টও জয় করতে পারে। সবচেয়ে ভঙ্গুর মানসিক অবস্থা থেকেও ঘুরে দাড়িয়ে নিজের জন্য নিজে স্ট্যান্ড নিতে পারে। 

খোঁজার মত খুঁজলে সৃষ্টিকর্তা নিজে রাস্তা মিলিয়ে দেন। এটা নিজের জীবন থেকে শিখেছি। 


তবে এটাও সত্যি সবার মনের জোর থাকেনা। আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই মনের জোর থাকেনা। আর এটা কোন ক্রাইম না, মনে জোর না থাকা। এটা কোন খারাপ কিছু্ও না। 

কিন্তু এই পৃথিবীর সিস্টেম কি জানেন তো?

শক্তের ভক্ত নরমের যম।

Survival of the fittest.

পৃথিবীর সিস্টেমটা কোমল মনের মানুষদের জন্য তৈরিই নয়। 


এইজন্যই, যতটা সম্ভব নিজেকে ফিট করে গড়ে তুলুন। নিজের গাট ফিলিং কে বিশ্বাস করতে শিখুন।

জীবনে আপনি হয়তো অনেক ভুল করেছেন, সেই ভুলগুলো নিয়ে আক্ষেপ না করে সেটা থেকে যা শিখেছেন সেটা পরবর্তীতে কাজে লাগান। 

ওভারথিংকিং, ইমোশনাল আউটবার্স্ট, অভিমান, এক্সপেক্টেশন এগুলো যতটা সম্ভব মিনিমাল করে ফেলুন।


জীবনে শুধু নিজের কাছ থেকে এক্সপেক্ট করবেন। 

অন্য কারো কাছ থেকে না।

নিজে কতটা ডেভেলপড হতে পারলেন, নিজের মাইলস্টোনগুলো কতটা অ্যাচিভ করতে পারলেন, নিজের সাথে অবহেলা করলেন কিনা! 


আর নিজেকে বাদে অন্য যাদেরকে ভালবাসবেন, যত্ন করবেন, একদম আনকন্ডিশনালি করবেন। তাদের কাছ থেকে বিনিময়ে কতটুকু পেলেন সেই হিসাব মাথায় রেখে করবেন না। 

আর যদি তারা আপনার ভালবাসার মর্যাদা রাখতে না পারে, অসম্মান করে, অ্যাবিউজ করে- সেখান থেকে without regret বেড়িয়ে আসবেন।


সারাজীবন কাঁদতে কাঁদতে একসাথে থাকার পর এই আক্ষেপ করবেন না- যে সারাজীবন শুধু অন্যদের জন্য করেই গেলাম, নিজে কিছু পেলাম না!

নিজের জন্য যে আপনি কিছু করেননি এটাও কিন্তু আপনারই চয়েজ ছিল। 

শেষ কথা মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ কারো প্লেটে খাবার বেড়ে দেয়না। আপনার যেটা দরকার সেটা নিজ উদ্যোগে তেড়েফুড়ে করে নিতে হয়। 

সুতরাং, make yourself strong women! 

Make yourself stronger <3 


Courtesy:  Self Confidence

রূপালি পর্দার রহস্যনায়িকা"

 "রূপালি পর্দার রহস্যনায়িকা"


রূপের চেয়ে মায়া, কণ্ঠের চেয়ে নীরবতা—এই দুইয়ে মিশে গিয়েছিল এক কিংবদন্তির নাম। তাঁর চুলের ঢেউ, চোখের ভাষা আর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার দৃশ্যই যেন একরকম বিদ্রোহ।


১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল, অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলার গবিন্দপুরে জন্ম রোমার। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবী, মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে রোমা ছিলেন পঞ্চম। শৈশবে তিনি ছিলেন চুপচাপ, আত্মভোলা আর একটু গোঁয়ার। কথা কম বলতেন, কিন্তু চোখে ছিল বিদ্রোহের আগুন।


পাবনার মেয়েরা যেখানে সেলাই আর রান্না শিখতো, রোমা সেখানে বই পড়ে, আয়নাতে নিজের চোখের ভাষা পড়তো।


১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগুন লেগে গেল পূর্ববঙ্গে। দাশগুপ্ত পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তারা চলে আসে কলকাতায়, ঠাঁই হয় ভবানীপুরের এক ছোট বাড়িতে। অর্থকষ্ট, নতুন শহর, অচেনা জীবন—সব মিলিয়ে এক তীব্র ধাক্কা।


এই কলকাতার ভিতরেই ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছিল এক নায়িকা, যার চোখে তখনো ছিল শুধুই নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা।


মাত্র ১৫ বছর বয়সে রোমার বিয়ে হয়ে যায় দেবনাথ সেন-এর সঙ্গে, যিনি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট আদিনাথ সেনের ছেলে। বিয়ের পর নতুন পরিচয়—সুচিত্রা সেন। এখান থেকেই শুরু হয় বদলের আরেক অধ্যায়।


নতুন সংসার, নতুন শহর আর অজানা এক টান—পর্দার প্রতি, অভিনয়ের প্রতি। দেবনাথ সেন শুরুতে কিছুটা সংশয়ে থাকলেও পরে স্ত্রীকে সাহস দেন। তিনিই সুচিত্রাকে প্রথম নিয়ে যান অভিনয়ের জগতে।


১৯৫২ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, ‘শেশ কত দিন’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রবেশ। তবে বড় সাফল্য আসে ১৯৬৩ সালে, ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে জুটি বেঁধে।


১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ' সাড়ে চুয়াত্তর ' সিনেমা তে জুটি বাঁধেন উত্তম কুমার এর সাথে। এটি বক্স অফিসে হিট হয়।

 এখান থেকেই জন্ম নেয় বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি—উত্তম-সুচিত্রা।


তাদের পর্দার প্রেম ছিল এমন, যা বাস্তবেও অনুভব করতেন দর্শকরা। কিন্তু বাস্তবে? তারা কখনো প্রেম করেননি। সুচিত্রা ছিলেন ততোধিক গম্ভীর, লাজুক এবং নিজেকে গুটিয়ে রাখা মানুষ। এখানেই রহস্যের শুরু।


সুচিত্রা ছিলেন বাংলার প্রথম অভিনেত্রী যিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছিলেন—১৯৬৩ সালে মাদার ইন্ডিয়া-র আগে তিনি 'সাত পাকে বাঁধা' ছবির জন্য মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্মানিত হন।

১৯৭২ শিল্পকলায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পদ্মশ্রী লাভ করেন।

২০১২ চলচ্চিত্র অভিনয়ে আজীবন কৃতিত্বের জন্য বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার ও ২০১৪ সালে ফিল্মফেয়ার ইস্ট লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (মরণোত্তর) জিতেছেন।


তবু এই নারী ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন নিঃসঙ্গ। তিনি মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেন, সাক্ষাৎকার দিতেন না, পুরস্কার নিতে যেতেন না।

তাঁর চারপাশে তৈরি হয় এক অদৃশ্য দেয়াল—যার ভেতরে প্রবেশ ছিল সবার জন্য নিষিদ্ধ।


১৯৭৮ সাল। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে, ‘প্রণয় পাসা’ ছবির পর হঠাৎ করেই তিনি ঘোষণা দেন—আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন না।

কলকাতা সিনেমা জগত যেন থমকে গেল।


এরপর তিনি সরে গেলেন সম্পূর্ণ গোপন জীবনে। এক আশ্রমিকের মতো জীবন, শুধুই নীরবতা। কেউ জানত না, তিনি কোথায় থাকেন, কী করেন, এমনকি কেমন আছেন।

সুচিত্রা যেন নিজেকে মুছে দিলেন সুচিত্রা থেকেই।


২০১৪ সালের ১৭ জুলাই, ৮৩ বছর বয়সে সুচিত্রা সেন মারা যান।

তাঁর শেষকৃত্যেও ছিল নিষ্ঠুর নির্জনতা। কোনো ক্যামেরা ঢুকতে পারেনি। এমনকি মৃত্যুর পরেও তিনি রেখে গেলেন এক গভীর রহস্য।


তিনি চেয়েছিলেন, মানুষ যেন তাঁকে শুধুই রূপালি পর্দার সুচিত্রা হিসেবেই মনে রাখে। বাস্তবের কোনো ছায়া যেন না পড়ে স্মৃতির ছবিতে।


সুচিত্রা সেন একমাত্রিক নন। তিনি ছিলেন রোমাঞ্চকর, আত্মনিবেদিত, আত্মগোপনে অভ্যস্ত এক চরিত্র। তিনি ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের অপছন্দের জন্য বিখ্যাত, আবার পরিচালক অসিত সেনের ‘জীবনের আলো’ও।


তাঁর জীবন যেন এক অসমাপ্ত চিত্রনাট্য—যার অনেকগুলো পাতা আজও নিখোঁজ।

আর ঠিক সেখানেই তো তৈরি হয় রহস্য, থ্রিল আর বিস্ময়।


সুচিত্রা সেন—একজন মানুষ নন, তিনি এক পুরনো ফিল্ম রীল, যার প্রতিটি ফ্রেমে ছায়া, নীরবতা আর অপার মুগ্ধতা।


জন্ম দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম এই আইকন কে, বাঙালির মনের মণিকোঠায় আপনি প্রজ্জ্বলিত দীপ হয়ে রয়ে যাবেন আগামী কয়েক শত যুগ। 


কলমে ✍️ সুরজ মন্ডল

©️Mr. Hotch Potch


ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন..


আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -

https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b


WhatsApp Channel 

https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I


Follow Us on Instagram 

https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx


#hiatoy #incenthistory #HistoryUncovered #Heroen #SuchitraSen #bengalifilmindustry #tollywood

তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেনের প্রথম নায়ক  মনে পড়ে সেই সমর রায়কে? 

 তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেনের প্রথম নায়ক 

মনে পড়ে সেই সমর রায়কে? 


'সাত নম্বর কয়েদী' (১৯৫৩) ছবিতে রোমান্টিক জুটি ছিলেন সমর রায় -সুচিত্রা সেন । সমর রায় চলচ্চিত্রে যোগ দেন ১৯৪৫ সালের দিকে । 

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো - বর্মার পথে ( ১৯৪৭ ) , মন্দির (১৯৪৭ ) , সাবিত্রী সত্যবান , রাজমোহনের বৌ, সুনন্দার বিয়ে,  নিরক্ষর , স্বয়ং সিদ্ধা , অনামী , সাত নম্বর কয়েদী , মধুরাতি , 

চলাচল - প্রভৃতি । 'স্বয়ং সিদ্ধা' ছবিটি ছিল হিন্দি ছবি ,এই ছবিতে সমর রায়ের অসাধারণ অভিনয় দেখে বোম্বের বিখ্যাত অভিনেতা ইয়াকুব ১৯৫১ সালে ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় । উদ্দেশ্য ছিল , ইয়াকুবের পরবর্তী ছবিতে সমর রায়কে নায়ক করা । সমর রায় ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত অসম্ভব জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন । 

'বর্মার পথে' ছবিটি ১৯৪৭ সালে মুক্তি পায় , এই ছবিতে সমর রূপকের চরিত্রে অভিনয় করলেও পাহাড়ি বেদে সম্প্রদায়ের কাছে লালিত পালিত হওয়ার কারণে ওর নাম হয় ঝুমরু । ছবিতে ঝুমরুরূপী সমর রায়কে ভালোবাসে দুই যুবতী - বেশ রোমান্টিক গল্পের এই ছবিটি দেখার স্মৃতি আজও মন থেকে সরে 

যায়নি । 

সমর রায় তাঁর যুগে ছিলেন সফল নায়ক, রোমান্টিক 

নায়ক । 'বর্মার পথে' ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত  'নিরক্ষর' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্মৃতিরেখা বিশ্বাস, সন্ধ্যারাণী, ছবি বিশ্বাস, ধীরাজ ভট্টাচার্য, অপর্ণা দেবী, আশু বসু, ফণি রায়, সাধন সরকার, নিভাননী দেবী প্রমুখ শিল্পীরা। 

১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মধুরাতি' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ও গীতশ্রী। 

'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে  তাঁর বিপরীতে ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও যমুনা সিংহ । 'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে  সমর রায় ছিলেন সত্যবানের চরিত্রে । 

১৯৪৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'চলার পথে' ছবিতে সমর রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেন দেবী মুখার্জি ও বনানী চৌধুরী। 

১৯৪৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'হেরফের' ছবিতে সমর রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেন - দীপ্তি রায়, স্বাগতা দেবী, সন্ধ্যারাণী, ছায়া চৌধুরী, মায়া দাস, রেখা রায়, অবনী মজুমদার, গোপাল চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রাবতী দেবী প্রমুখ। 

১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'রাজমোহনের বউ' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন - জ্যোস্না গুপ্তা, ঝর্ণা দেবী, গৌরী দেবী প্রমুখ। ১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'সুনন্দার বিয়ে' ছবিতে সমর রায়ের বিপরীতে ছিলেন অনুভা গুপ্তা। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'চলাচল' ছবিতে সমর রায়ের সহশিল্পীরা হলেন - অরুন্ধতী দেবী, নির্মল কুমার, অসিতবরণ, তপতী ঘোষ, অনিল চট্টোপাধ্যায়, প্রভাত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রাবতী দেবী প্রমুখ। 

ছবিটি রিলিজের পরে রূপাঞ্জলি'তে লেখা হয়েছিল - 'সমর রায় তাঁর সুন্দর দেহাবয়াব সত্যবানকে যেন জীবন্ত করে তুলেছে ।'                

সমর রায় -সুচিত্রা সেন জুটির স্মরণীয় ছবি 

'সাত নম্বর কয়েদি'।

সুকুমার দাশগুপ্ত পরিচালিত সাত নম্বর কয়েদি ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল

১৯৫৩ সনের ৭ ফেব্রুয়ারী।  

কাহিনি -মণি বর্মা। 

প্রযোজনা ও পরিচালনা - সুকুমার দাশগুপ্ত।

গীতিকার- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার। 

সুরকার - কালিপদ সেন।  

চিত্রশিল্পী - বঙ্কু রায়। 

সম্পাদনা - শ্রী কমল গাঙ্গুলী। 

শিল্পনির্দেশক - শ্রী সত্যেন রায় চৌধুরী। 

রূপসজ্জা - শ্রী নিতাই সরকার ও 

বসন্ত দত্ত। 

সহকারী পরিচালক - 

শ্রী নীতিশ রায়, বিমল শী, বিজয় বসু। 

নিবেদিত  - এস, এম প্রোডাকসন্স। 


ভূমিকায়  -

জহর গাঙ্গুলী, ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, 

কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, 

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামলাহা,

প্রভা দেবী, মলিনা দেবী, ছবি রায়, সমর রায়, 

মিহির ভট্টাচার্য্য, তপেন, শরৎ, সিদ্ধেশ্বর, নকুল, 

বিজয় বসু, আদিত্য, গণেশ, শিবু মুখোপাধ্যায়, 

মঞ্জুলা, আশা দেবী, অনিল 

এবং

নবাগতা সুচিত্রা সেন।


সাত নম্বর কয়েদি ছবির গান -

১.

সুরধুনী নয় তো নদী ধন্বন্তরি তেল, 

যেথা যমে টানে সেথায় হানে 

যমের বুকেই শেল 

দাদা গো, নিজের চোখেই যাও দেখে এই 

ভানুমতীর খেল। 

এক শিশিতেই ব্যাধি বালাই 

হাঁক ছেড়ে কয় পালাই পালাই 

সারবে ব্যামো যে গতিতে ছোটে তুফান মেল 

দাদাগো, নিজের চোখেই যাও দেখে এই 

ভানুমতীর খেল। 

রাখলে ঘরে একটি শিশি 

হাসেন দেঁতো খুড়ো বেতো পিসি 

আর গয়না চাওয়ার বায়না ভুলে 

ভাঙ্গে মানের দেল 

ভাঙ্গে বৌয়ের মানের দেল। 

মূল্য যে এর এক আধুলি 

দাদা গো, যাওনা  নিয়ে এই মাধুলি 

আর এমন সুযোগ ছাড়া মানেই 

একটুতে ট্রেন ফেল। 

২.

এই মালা যে চাও 

তুমি এই মালা যে চাও 

কি দাম দেবে নেবার আগে 

একটু ভেবে নাও। 

তুমি একটু ভেবে নাও 

এ মালা চাই যে দিতে 

তুমি কি পারবে নিতে ? 

নেবে তো দামটা আগে দাও। 

নেবে কি নেবে না তা একটু ভেবে নাও 

তুমি একটু ভেবে নাও। 

এ মালা আমারই থাক কি লাভ তোমার দিয়ে 

আমি তবু থাকব খুশী গন্ধ টুকু নিয়ে, 

তার গন্ধ টুকু নিয়ে, 

আকাশে যে চাঁদ জাগে 

দূরে তা ভালই লাগে 

তারে কি চাইলে কাছে পাও?

৩.

আজি এই সন্ধ্যায় বল তো কি মন চায় 

চল ঐ বনছায় 

যে কথাটি মরমে জেগে আছে সরমে 

তোমারে শোনাতে কাছে চাইগো। 

গুণগুণ অলি গায় কলি তাই ফুটল 

পরাণের বাঁশিটি যে সুরে ভ'রে উঠল 

আনন্দ দিল দোল 

অনুরাগ হিল্লোল 

তুমি শোন আমি গান গাইগো। 

পাশাপাশি আজ মোরা জেগে রব দুজনে 

মুখরিত হবে প্রেম শপথের কূজনে 

জেগে রব দু'জনে, 

তুমি আছ পাশে তাই সবই ভাল লাগে আজ 

ভূবন ভরিয়া যেন বসন্ত জাগে আজ 

এই শুভ লগনে চাঁদ জাগে গগনে 

তুমি ছাড়া কেহ মোর নাই গো। 


ছবির কাহিনি -

দাগি আসামী সত্যকিংকর জেল থেকে

ছাড়া পেয়ে ফিরছিল ঘরের দিকে ।

পথে চোর ধরার কলরব শুনে তার 

পাপজীবনের সাধারণ অভ্যাসে সে গিয়ে লুকালো 

এক ঘরে। সে সেখানে পেল

সদ্যমৃতা এক নারীর কাছে এক ফুটফুটে মেয়ে।

সত্যবাবু মেয়েটিকে এনে তুলল তারই রক্ষিতা বিনোদিনীর ঘরে।

মেয়েটিকে পেয়ে বিনোদিনীর

মাতৃহৃদয়ও কেমন নাড়া দিয়ে উঠল, 

তাই সে মায়ায় পড়ে গেল শিশুটির।

মেয়েটির নাম রাখা হলো অরুণা। 

একদিন সত্যর পেশার কথা নিয়ে ঝগড়া হলো বিনোদিনীর সঙ্গে আর তারই 

পরিণামে সে অরুণাকে নিয়ে ঘর বাঁধল অন্যত্র।

সত্য এখন অরুণার পিতা। 

মেয়েকে যাতে ছোট না হতে হয় 

সে জন্য সে ভদ্র হবার চেষ্টা করে এবং

প্রথমে চাকরি ও পরে ব্যবসা করে 

ক্রমে সে ধনী হয়ে উঠল। 

নিজের নামটাও দিল সেই  সঙ্গে বদলে। 

এতদিনে অরুণা বেশ বড় হয়েছে। 

সে এখন কলেজে পড়ে। 

বিনোদিনী রোজ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে

একবারটি করে দেখে যায় স্নেহে পরা মেয়েটিকে। কলেজের মেয়ে অরুণার সঙ্গে পরিচয় হলো ধনী চন্দ্র কান্ত বাবুর পুত্র রমেনের সঙ্গে। 

সত্য জানল তা। সে তাদের বিয়ের কথা

ভাবতেই বিনোদিনীর জন্য মনটা 

কেমন করে উঠল। 

সে বিনোদিনীর খোঁজ পেল না। 

বিনোদিনী গাড়ি চাপা পড়েছে অরুণারই গাড়িতে। বিনোদিনীর মৃত্যুকালে অরুণা জেনেছিল 

সে তার মা। অরুণার সঙ্গে রমেনের

বিয়ের রাতে প্রকাশ পেল এককালে

সত্যকিংকর দাগি চোর ছিল।

বাপ ছেলেকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলেন।

রমেন পিতার শাসন না মেনে অরুণাকে 

বিয়ে করায় চন্দ্রকান্ত তাকে ত্যাজ্যপুত্র করলেন। সত্যকিংকর শপথ করে জানাল

অরুণা তার নিজের মেয়ে নয়, 

কুড়িয়ে পাওয়া। 

তাই অরুণার কোনো অপরাধ নেই। 

সত্য অরুণার পিতৃপরিচয় খুঁজে বার করল

কিন্তু তবুও রমেন, 

অরুণার ওপরে সত্যের কোনো অধিকার 

মানতে চাইল না। সত্য, রিক্ত সত্য,

ব্যথাহত মনে বেরিয়ে পড়ল নিরুদ্দেশের পথে। অরুণার পিতৃপরিচয় একটি রহস্য সৃষ্ট হয়েছে, 

যা এই ছবির একটি সুন্দর রহস্য। 

এ ছবিতে রমেনের ভূমিকায় ছিলেন 

সমর রায়। আর 

নবাগতা সুচিত্রা সেন ছিলেন অরুণার চরিত্রে।                


লিয়াকত হোসেন খোকন 

LEAQUAT HOSSAIN KHOKON. 


ছবি -  'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে ( ১৯৫২ ) সমর রায়ের সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও যমুনা সিংহ ।

কর্ম অনুসারে ফল পেতে হয় সবাইকে ।

 *** যে যেমনটা দেবে ঠিক তেমনটাই ফিরে আসবে । ভালো বীজ বপন করলে ফল মিঠা , খারাপ হলে স্বাদ পানসে । জীবনের হিসেব জীবন দিয়েই মিটিয়ে যেতে হয় । কর্ম অনুসারে ফল পেতে হয় সবাইকে ।


পর জন্ম আছে কিনা জানা নেই তবে পাপ পূর্ণ‍্যের হিসেব নিকেষ ইহ জন্মেই চুকিয়ে যেতে হয় । এই জগৎ সংসার দেয়া নেয়ার খেলাঘর । ঢিল ছুড়লে পাটকেল খেতেই হবে । কাউকে কষ্ট দিলে কোন না কোন ভাবে সেই কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসে নিজের কাছে ।


 কখনো কাউকে অজান্তে কষ্ট দিয়ে ফেললে সচেতন মানুষ তার জন্য অনুতপ্ত হয় , আত্মগ্লানিতে ভোগে এবং নিজের ভুলের  জন্য অনুশোচনা করে । অযাচিত ভুল করেও কিন্তু এই অনুতাপ , আত্মগ্লানি ও অনুশোচনার মাধ‍্যমেই মানুষ কষ্ট দেয়ার ফল ভোগ করে । আর জেনেশুনে কাউকে দুঃখ কষ্ট দিয়ে থাকলে একদিন সেই কষ্ট নিজের জীবনে ফিরে আসে কোন না কোন ভাবে । আগুন খেলে বিষ্ঠা অঙ্গার হতে বাধ্য । বিষবৃক্ষ বপন করলে তাতে কখনো সোনা ফলে না , ফলটা বিষ-ই হবে তাছাড়া গত‍্যন্তর নেই । তেমনি ভালো কর্মের ফল সবসময় ভালোই হয় । 


কথায় আছে "যেমন কর্ম তেমনি ফল" কথা মোটেও মিথ‍্যে নয় । কর্ম ভালো তো ফল ভালো আর কর্ম খারাপ তো তার ফলও খারাপ হবে । ঠিক তেমনি ভালোবাসা দিয়ে খারাপকেও জয় করা যায় তবে ভালোবাসা হতে হবে নিখাদ । কাউকে গভীর ভাবে ভালোবাসলে প্রতিদানে ভালোবাসাটাই ফিরে আসে । একটা পশুকে ভালোবাসলে সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বিপদে পরতে দেখলে সেই পশুটিও তার জীবন দিয়ে প্রভুকে রক্ষা করে , এটা গল্প নয় এমন অনেক বাস্তব ঘটনার কথা আমরা শুনেছি । 


অনেক সময় মানুষ উপকারীর উপকার ভুলে গিয়ে বেইমানি করে কিন্তু পশুরা তাদের বিশ্বস্ততাকে কালিমালিপ্ত হতে দেয় না । সমস্তটাই হয় ভালোবাসার জোরে । ন‍্যায় নীতি,আচার আচরণ , সততায় শুদ্ধ থাকলে কখনো ঢেড়া পিটিয়ে সম্মান আদায় করে নিতে হয়না , তার সুন্দরতায় সবাই তাকে শ্রদ্ধা ও যোগ্য সম্মান দেয় । আর গায়ের জোরে , নিজের প্রসংশা নিজে করে ঢেড়া পিটিয়ে জোর করে যারা সম্মান পেতে চায় তারা অসম্মান ছাড়া আর কিছু কখনোই পায়না । সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান করতে জানতে হয় তবেই সম্মান পাওয়া যায় । তাই যে যতটা দিতে পারবে ঠিক ততটাই ফিরে পাবে ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা , শত্রুতা কিংবা মিত্রতা , শ্রদ্ধা কিংবা অবজ্ঞা ***


                                  মণিদীপা সরকার

মাত্র ১০ টাকায় অসাধারণ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় ঢাকার এই হাসপাতালগুলোতে।  নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হলো, MD ZAKIR HOSSAIN ফেইসবুক থেকে নেওয়া  

 মাত্র ১০ টাকায় অসাধারণ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় ঢাকার এই হাসপাতালগুলোতে।  নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হলো, যেখানে মাত্র ১০ টাকার টিকিটে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। 


১. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল


ঠিকানা: কুর্মিটোলা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা-১২১৬

ফোন: +880-2-55062350

ওয়েবসাইট: http://kurmitolahospital.gov.bd


২. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল


ঠিকানা: শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭

ফোন: 02-58151368, 02-48120079

ইমেইল: nins@hospi.dghs.gov.bd

ওয়েবসাইট: https://www.nins.gov.bd


৩. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটি (নাক-কান-গলা) অ্যান্ড হসপিটাল


ঠিকানা: লাভ রোড, বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮

ফোন: 02-8878155

ইমেইল: nient@hospi.dghs.gov.bd

ওয়েবসাইট: https://nient.gov.bd


৪. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (DMCH)


ঠিকানা: বকশিবাজার, ঢাকা-১২০৩

ফোন: 02-9668690

ওয়েবসাইট: https://www.dmc.gov.bd


৫. মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল


ঠিকানা: মুগদা, ঢাকা-১২১৪

ফোন: 02-7215400

ওয়েবসাইট: https://mmch.gov.bd


৬. শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল


ঠিকানা: শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭

ফোন: 02-9122560

ওয়েবসাইট: https://shsmc.gov.bd


৭. জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল


ঠিকানা: শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭

ফোন: 02-9137292

ওয়েবসাইট: https://www.nhf.gov.bd


৮. জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল


ঠিকানা: মহাখালী, ঢাকা-১২১২

ফোন: 02-9893491

ওয়েবসাইট: https://www.nicrh.gov.bd


এই হাসপাতালগুলোতে সকাল বেলা বহির্বিভাগে (OPD) মাত্র ১০ টাকায় টিকিট কেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়। ওষুধও অনেক সময় বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।


৯. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল


ঠিকানা: শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ


ফোন নম্বর:


০২-৫৮১৫১৩৬৮


০২-৪৮১২০০৭৯


০২-৪৮১১৮৮০৮


ইমেইল: nins@hospi.dghs.gov.bd


ওয়েবসাইট: https://www.nins.gov.bd


১০. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটি (নাক-কান-গলা) অ্যান্ড হসপিটাল


ঠিকানা: লাভ রোড, বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮, বাংলাদেশ


ফোন নম্বর: ০২-৮৮৭৮১৫৫


ইমেইল: nient@hospi.dghs.gov.bd


ওয়েবসাইট: https://nient.gov.bd


#neuroscience

অনুগল্প dreamfullife ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 প্রাইমারি স্কুলটার কাছে এসে থমকে দাঁড়ালেন গৌরী দেবী। ৩২-৩৩ বছর আগে যখন নতুন বউ হয়ে এই গাঁয়ে আসেন তখন এখানেই গ্রামের মানুষ তাসা, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে নেচে-গেয়ে প্রায় এক ঘন্টা কাটিয়ে দিয়েছিল। প্রথম দিন এমন রাজকীয় অভ্যর্থনা খুব কম মেয়ের কপালেই জোটে।

   পরে গৌরী দেবী জেনেছিলেন, সমস্ত ব্যবস্থাই করে রেখেছিল তাপসের বন্ধু হাফিজুল। শিলিগুড়িতে একসঙ্গে বি.টেক পড়তো ওরা। হাফিজুলের বাড়ি উত্তরবঙ্গের রাজা ভাত খাওয়ায়।  অসম্ভব বড়লোকের ছেলে।

   স্কুল মাঠের মাঝখানে একজন মাস্টারমশাই চেয়ারে বসে ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছেন। বাচ্চারা প্রায় মৌমাছির মত ঘিরে ধরেছে শিক্ষককে। কয়েকজন দুষ্টু ছেলে স্যারকে কেন্দ্র করে গোল হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

   গৌরী দেবীকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাস্টার মশাই উঠে এলেন। কাছে এসে আপাদমস্তক দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না! কার বাড়ি যাবেন?

  ভালো করে দেখলেন ছেলেটিকে গৌরী দেবী। প্রায় বছর চারেক কাটিয়েছিলেন এখানে। এখানকার অনেকেই তখন চিনে ফেলেছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো এখনও চিনতে পারবেন। কিন্তু না। এরা ইয়াং জেনারেশন। ২৮-৩০ বছরের যুবক। ঠিক চিনতে পারলেন না।

 মাস্টারমশাই এর প্রশ্নের উত্তর  চট করে দিতে পারলেন না গৌরী দেবী। মুখ ফুটে বলতে পারলেন না কার বাড়ি যাবেন। তাপস বাবুর বাড়ি যাবেন এটা বলতে কেমন বাঁধো বাঁধো ঠেকলো। তাপসকে আর তার দু'বছরের ছেলে তনুময়কে ফেলে যে অবস্থায় ডিভোর্স নিয়ে সে জার্মানি চলে গেছিল সেটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ছিল তখন। 

   প্রায় কুড়ি বছর কাটিয়ে প্রচুর পয়সা নিয়ে যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন তিনি তার সমস্ত আপনজনকে হারিয়েছেন। মা গত। ছোটবেলা থেকেই বাবা নেই। এক পিসি ছিলেন তিনিও মারা গেছেন।

    এই জার্মানি যাওয়া তার নিজের মা ও তখন সাপোর্ট করেননি। তিনি রেগে বলেছিলেন, এত বড়ো ঘরে তোর বিয়ে দিলাম। জামাই কলেজে পড়ায়। এরপরে আর কি লাগে! বাচ্চাটার কথা তো ভাবতে হবে নাকি! তখন গৌরী কারো কথাই কানে তোলেনি, মায়ের কথাও না। ফলে রেগে তিনি আর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি।

   সে সময় গৌরীরও অত্যন্ত অভিমান হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে বিদেশে পি.এইচ.ডি করার সুযোগ পেয়েছিল সে। শুধু সুযোগ নয়, লাখ টাকার উপর মাসে মাসে দেবেন তারা। এমন সুযোগ সে কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায়নি। এমন সুযোগ জীবনে চট করে আসেও না। নিজস্ব আইডেনটিটি কে না তৈরি করতে চায়!

   তাপস যখন প্রথম কথাটা শোনে তখন বলেছিল, মাত্র দু'বছরের ছেলে! 

   তখন গৌরী কোন কিছুই শোনেনি। তাপসকে ডিভোর্স দিয়ে ছেলে ফেলে মাকে কাঁদিয়ে সে জার্মানি চলে যায়। প্রতিজ্ঞা করে যায় কোনদিন সে দেশে ফিরবে না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না। মরে গেলেও না।

   কিন্তু রিটায়ার এর পর সমস্ত কাজকর্ম ফুরিয়ে গেলে জার্মানিতেই একদম একা হয়ে যান গৌরী দেবী। তখনই তার মনে পড়ে দেশের কথা। ছেলের কথা। 

   ফিরে এসে নিউ টাউনে কোটি টাকার ফ্ল্যাটও কেনেন। সন্ধ্যে হলেই নিয়ম করে সিটি সেন্টারে যান। মানুষজন দেখেন। কোলাহল শোনেন অগনিত লোকের। 

   কিন্তু একাকীত্ব বড় ভয়ংকর। নিজেকেই নিজের কাছে শত্রু করে তোলে। একটা সময় মারাত্মক ভয় চেপে বসে বুকে। হতাশা গ্রাস করে। মৃত্যু ভয় ঘিরে ধরে। সামান্য একটা সাহায্যের হাত তখন ভীষণ দরকার। মনে হয় টাকা নয়, পাশে মানুষ দরকার,  একান্ত আপনজন দরকার।

  তিনি যেদিন প্রথম ভাবেন ঝামালডাঙ্গা, তাপস, ছেলেকে একবার দেখতে যাবেন, লুকিয়ে হলেও নিজের ছেলেকে দেখতে যাবেন, নিজের বরকে দেখতে যাবেন সেদিন ভেতরে ভেতরে খুব আনন্দ হয়েছিল। এক্সাইটেড ছিলেন ক'দিন। 

    কিন্তু আজ যখন সেই প্রাইমারি স্কুলের কাছে এসে দাঁড়ালেন তখন যেন পৃথিবীর সমস্ত লজ্জা তাকে ঘিরে ধরল। নিজেকে অপরাধী মনে হল।

  মাস্টার মশাই আবার জিজ্ঞেস করল, কোথা থেকে এসেছেন? কার বাড়ি যাবেন?

  গৌরীদেবী যেন চমকে উঠলেন। একটু ভেবে নিয়ে বললেন, আমি রেডক্রস কর্মী, এখানে তাপসবাবু বলে এক প্রফেসর থাকেন। উনার বাড়ি।

  ছেলেটি আর কোন বাক্য ব্যয় না করে তর্জনী উঁচু করে মাঠের পাশে দোতলা বাড়িটি দেখিয়ে দিয়ে বলল, উনি তো বেঁচে নেই! যান।

  তাপস নেই! কথাটা শুনে বুকের ভেতরটা কেমন দুমড়ে-মুচরে উঠল। 

  গৌরীদেবী বাড়ির লোকেশনটি জানতেন। তখন একতলা  ছিল। দোতলা দেখে তার সন্দেহ হয়েছিল। এখন কনফার্ম হলেন।

  যা হয় হবে ভেবে গৌরীদেবী মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে বাড়িটিতে প্রবেশ করলেন। উঠুনের মাঝে এসে দাঁড়ালেন। দেখলেন চারিদিকে তাকিয়ে।

  এমন সময় একটি টুকটুকে সুন্দরী বউ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?

  গৌরীদেবী ভালো করে দেখলেন বউটিকে। তারপর বললেন, তুমি বুঝি এ বাড়ির বউ! আমি রেডক্রস থেকে এসেছি। আশেপাশের কোন অভুক্ত পরিবার আছে কিনা সমীক্ষা করতে। ভাবলাম তোমরা সাহায্য করতে পারবে।

  বউটি ফুরুত করে দৌড়ে গিয়ে একটি চেয়ার এনে বসতে দিয়ে বলল, বসুন।

  গৌরীদেবী ব্যস্ত হয়ে বললেন, না না বসবো না। আমার সময় নেই। আরো কয়েকটি গ্রামে যেতে হবে। বলেই ফিরে দাঁড়ালেন।

  এবার বউটি অনুরোধ করে বলল, একটু দাঁড়ান, বলেই আবার ফুরুত করে দৌড়ে চলে গেল ঘরের মধ্যে। 

  অনেকক্ষণ পর হাতে একটি সিঁদুরের কৌটো নিয়ে ফিরে এসে দুঃখিত হয়ে বলল, কিছু মনে করবেন না। দাদাবাবু একটু আগে ফোন করেছিলেন। বাড়িতে কেউ নেই। বৌদি বাপের বাড়ি গেছে। আপনাকে এই সিঁদুরের কৌটোটি দিতে বললেন। আর আপনাকে এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও বারণ করেছেন। বলেই বউটি আবার ঝড়ের বেগে দৌড়ে ঢুকে গেল ঘরে।

 গৌরীদেবী বিনা বাক্য ব্যয়ে কৌটোটি হাতে নিয়ে ভালো করে দেখলেন। দেখলেন, এটি তার শাশুড়ি দিয়েছিলেন তাকে।

   গৌরীদেবী মারাত্মক অবাক হলেন। তাহলে ঐ মাস্টারমশাই কে? তারই ছেলে! তমাল! চিনে ফেলেছে তাকে!

  লজ্জায় দ্রুতপায়ে পথে এসে দাঁড়ালেন গৌরীদেবী। মনে পড়ে প্রথম যখন আসেন কতো লোক ছিল তখন! শ্বাশুড়ি-শশুর কি সুন্দর সেজে গুঁজে দাঁড়িয়ে ছিল এখানেই। এখানেই তাপস বলেছিল, এই দেখো আমাদের বাড়ি।

  অনেকটা পথ এগিয়ে ছিলেন। হঠাৎ শুনুন, এই শব্দটি শুনে পিছন ফিরে তাকাতেই গৌরীদেবী দেখলেন, বাড়ির সেই বউটি তার দিকেই দৌড়ে আসছে আবার।

  কাছে এসে বৌটি হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, আমার নাম অপলা। আপনার বৌমা! মিথ্যে বলার জন্য আমায় ক্ষমা করবেন। আমি কোনদিন কাউকে মিথ্যে বলিনি। আপনার ছেলের জন্য বলতে বাধ্য হয়েছি।

   আপনার ছেলে কথাটা শুনে গৌরীদেবীর বুকের মধ্যে কে যেন হঠাৎ হাতুড়ি দিয়ে সজরে আঘাত করে গেল। বন্যার জলের মতো চারিদিক থেকে ধেয়ে আসতে লাগল চোখের কোন বেয়ে জল।

  গৌরীদেবী অপলাকে পিছে ফেলে ধীরে ধীরে চলতে শুরু করলেন আবার। টপ টপ করে পড়তে লাগলো গাল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা চোখের জল। 

  এবার অপলা, দৌড়ে এসে সামনে দু'হাত তুলে দাঁড়িয়ে বলল, একটু দাঁড়ান মা!

  গৌরীদেবী চোখ বুঁজে থমকে দাঁড়ালেন। দীর্ঘদিন পর তিনি মা ডাক শুনলেন। ঝরঝর করে চোখের জল ঝরে বুক ভিজে গেল তার।

  অপলা রাস্তার উপরেই মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে দু'পায়ে হাত রেখে প্রণাম করে বলল, আপনার ছেলেকে দূর থেকে একবার আশীর্বাদ করে যান। ও শুধু সারাদিন মা মা করে। একবার। শুধু একবার। 


সোনার সিঁদুরের কৌটো

#বাবুরাম_মন্ডল ✍🏻


#foryourpage

 #100k 

#highlight 

#post 

#fbpost

#সংগৃহীত 

#dreamfullife 

#followerseveryone 

#viralpost2025

#everyoneシ゚

 #viralreels 

#অনুগল্প 

#everyone 

সংগৃহীত

অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় পিজি হাসপাতালের বিভিন্ন টেস্টের খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং বেশ অথেন্টিক! 

 অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় পিজি হাসপাতালের বিভিন্ন টেস্টের খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং বেশ অথেন্টিক! 


পিজি হাসপাতালের কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি কত?  পোস্টে জেনে নিন বিস্তারিত। 


পিজি হাসপাতাল (BSMMU) – পরীক্ষার ফি তালিকা


রক্ত পরীক্ষাসমূহ:


CBC: আউটডোর ৩০০ টাকা, ইনডোর ২০০ টাকা

PBF: ২০০ টাকা

Hb% / TCDC / প্লাটিলেট কাউন্ট (প্রতি টেস্ট): ১০০ টাকা

ESR: ১০০ টাকা

রেটিকুলোসাইট কাউন্ট: ৫০০ টাকা

PT / APTT: ৩০০ টাকা

D-Dimer: ৮০০ টাকা


বায়োকেমিস্ট্রি:


সিরাম বিলিরুবিন (মোট/ডাইরেক্ট): ১০০ টাকা

SGPT / ক্রিয়েটিনিন: ১০০ টাকা

ইউরিয়া / ইউরিক এসিড / ক্যালসিয়াম: ১০০ টাকা

LDH: ৪০০ টাকা

RBS / FBS: ৫০ টাকা

HBsAg স্ক্রিনিং: ২০০ টাকা

ইলেক্ট্রোলাইটস: ৩০০ টাকা

আয়রন: ৩০০ টাকা

ফেরিটিন: ৫০০ টাকা

TIBC: ৩০০ টাকা

ভিটামিন-ডি: ২,৫০০ টাকা


মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি:


Anti-HIV (1+2): ৫০০ টাকা

Anti-Chikungunya IgM: ৭০০ টাকা

ডেঙ্গু NS1: ৭০০ টাকা

ডেঙ্গু IgG/IgM + চিকুনগুনিয়া IgM: ১,২০০ টাকা

ডেঙ্গু Ag NS1 Ag + চিকুনগুনিয়া IgM: ১,৮০০ টাকা

Chlamydia অ্যান্টিবডি: ৭২০ টাকা

MMR অ্যান্টিবডি (৩টি): ২,৬০০ টাকা


হিস্টোপ্যাথোলজি:


জরায়ু ও অ্যাডনেক্সা: ১,৯০০ টাকা

ওভারিয়ান টিউমার: ১,৯০০ টাকা

মাসটেক্টমি: ১,৯০০ টাকা

থাইরয়েড টিউমার: ১,৯০০ টাকা

কিডনি: ১,৯০০ টাকা

টেস্টিকুলার টিউমার: ১,৯০০ টাকা

হাড়ের টিউমার: ১,৯০০ টাকা


বিশেষ পরীক্ষা:


ইমিউনোফেনোটাইপিং (Acute Leukemia): ১২,০০০ টাকা


MRD (B-ALL/T-ALL): ১৬,০০০ টাকা


Hb-Electrophoresis: ১,২০০ টাকা


CD-19 লেভেল: ২,০০০ টাকা


দ্রষ্টব্য: সময় ও নীতিমালার কারণে ফি পরিবর্তিত হতে পারে। সঠিক তথ্যের জন্য BSMMU-র অফিসে যোগাযোগ করুন।


#pghospital #MedicalTests #pgbangaladesh

ছবিতে নেপথ্যগায়িকা হতেই এসেছিলেন সুচিত্রা সেন ! তবে কিভাবে হলেন মহানায়িকা !

 ছবিতে নেপথ্যগায়িকা হতেই এসেছিলেন সুচিত্রা সেন ! তবে কিভাবে হলেন মহানায়িকা !


সুচিত্রা সেন। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল তিনি জন্ম নিলেন পাবনায় দাদামশাইয়ের বাড়িতে। ৮৩ বছর বয়সে ২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি সকালবেলা তাঁর জীবনাবসান হয় কলকাতায়। এই মেয়ে যখন জন্মেছিলেন তখন কে জানত, এই মেয়ের জীবনাবসান হবে কলকাতায়।


কে জানত, এই মেয়ের অর্ধেক জীবন কাটবে স্বনির্বাসনের নিশ্ছিদ্র অন্তরালে ! তাঁকে আসতে আসতে বুড়ো হতে দেখেনি কেউ। কেউ কি সত্যিই কোনও দিন জানতে পেরেছিল, যে এই মেয়ের মরদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশাআনে পৌঁছবে কফিনবন্দি হয়ে, পাছে কেয়াউ তাঁকে দেখতে না পায়। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে রাস্তায় নেমেছিল মানুষের ঢল। তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখঅর জন্য। দেশ বিদেশ থেকে উড়ে এসেছিল শোকবার্তা। কারণ তিনি সুচিত্রা সেন। বাংলা সিনেমা শুধু নয় ভারতীয় সিনেমার গর্ব সুচিত্রা সেন। তাঁর কথা বলার ছন্দ ছিল একেবারেই অন্যরকম। তিনি ছিলেন টলিউডৈর রানি। আর সেই জন্যই নিজের ইমেজ ধরে রাখতে তিনি সরে গিয়েছিলেন অন্তরালে।


গায়ের রঙ চাপা হওয়ায় দাদামশাই জগবন্ধু দাশগুপ্ত নাম রেখেছিলেন কৃষ্ণা। সুচিত্রা সেনরা নয় ভাইবোন ছিলেন। সুচিত্রা সেন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। রমা জন্মাল পাটনায়, বড় হল পাবনায়। আর কাজ করলো কলকাতায়। পড়াশুনো পাবনাতেই। ১৯৪৯ এর বসন্ত বিকেল। বিয়ে হয় রমার। বিয়ের পর তাঁর নাম হয় রমা সেন। বিয়ের পর, মুনমুন সেনের জন্মের পর সুচিত্রা সেন আসেন স্টুডিয়ো পাড়ায়। তাও জানেন কি করতে? নেপথ্যগায়িকা হতে। তিনি চেয়েছিলেন নেপথ্যগায়িকা হতে। কিন্তু ভাগ্য তাঁর জন্য ঠিক করে রেখেছিল অন্য কিছু। সে সময় নিজের ছবি 'সংকেত'-এর জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন পরিচালক অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর কাছে খবর যায়, যে টলি পাড়ায় এক অসামান্য সুন্দরী এসেছেন। রমা সেনকে অডিশনে ডাকেন অর্ধেন্দু। তিনি সিলেক্টও হন নায়িকার চরিত্রের জন্য। তবে ছবিটা সুচিত্রা সেন করেননি। তনি বাড়িতে ফিরে ফোন করে পরিচালককে জানান, আমি সিনেমায় নামছি না। অন্য নায়িকা খুঁজুন।


তবে টলিউড কিন্তু ছেড়ে দেয়নি রমাকে। তাঁকে আবার ডাকা হল 'শেষ কোথায়' ছবির জন্য। এখানে রমা কাজও শুরু করলেন নায়িকা হিসেবে। তবে টাকার অভাবে এই ছবির শুটিং বন্ধ হয়ে গেল। তবে সে সময় রমার কাজের খুব দরকার। যে কাজ একদিন তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই কাজ ছাড়া আজ তাঁর চলবে না। তখন তাঁকে ডেকে পাঠান পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্ত। তিনি তখন ছবি বানাবেন "সাত নম্বর কয়েদি"। কে নেই সেই ছবিতে-- ছবি বিশ্বাস, কমল নিত্র, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নায়ক কে? জানতে চাইল রমা। পরিচালক জানিয়েছিলেন, 'সমর রায়'। নতুন অভিনেতা। বিচলিত হয়ে সুচিত্রা সেন বলেছিলেন, "আমিও তো নতুন। খুব রিস্ক নিচ্ছেন কিন্তু।" পাশে ছিলেন সহকারী পরিচালক নীতিশ রায়। তিনি বললেন, "রমা দেবী আজ থেকে আপনি সুচিত্রা !" "সাত নম্বর কয়েদি"র চুক্তিপত্রে রমা সই করল, সুচিত্রা সেন নামে। ঠিক এক বছর পর ১৯৫৪ সালে পর পর ৯টা ছবিতে সই করলেন সুচিত্রা সেন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। নিজের দক্ষতায় শক্ত করেছেন পায়ের তলার মাটি। তাই তো আজ এতগুলো বছর হয়ে গেলেও মানুষ ভুলতে পারেননি সুচিত্রা সেনকে।


- Collected

ব্যবসায়ী বনাম উদ্যোক্তা: বেকিং দৃষ্টিকোণ থেকে পার্থক্য কোথায়?

 ব্যবসায়ী বনাম উদ্যোক্তা: বেকিং দৃষ্টিকোণ থেকে পার্থক্য কোথায়?

বাংলা ভাষায় আমরা প্রায়ই দুইটি শব্দ ব্যবহার করি—ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা। বেকিং জগতে এই দুই চরিত্রের অস্তিত্ব বেশ স্পষ্ট। কেউ কেক বিক্রি করেন শুধু লাভের জন্য, আবার কেউ কেক বানান একটা গল্প বা সমাধান নিয়ে। চলুন দেখি—বেকিং দুনিয়ায় এই দুইজনের চিন্তা, উদ্দেশ্য এবং কাজের ধরণে ঠিক কোথায় ভিন্নতা।

🎂 বাজারভিত্তিক বনাম সমস্যা-ভিত্তিক উদ্যোগ

ব্যবসায়ী সাধারণত বাজারে আগে থেকেই যে কেক বিক্রি হচ্ছে, তা-ই বানান।

উদ্যোক্তা খোঁজেন, কোথায় গ্রাহক সমস্যায় আছেন—তা বুঝে কিছু নতুন ও অর্থবহ তৈরি করেন।

উদাহরণ: মাসুদা আপা দেখলেন, পাশের দোকানের চকোলেট ট্রাফেল কেক খুব চলে। তিনিও সেটাই বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করলেন।

অন্যদিকে নুসরাত খেয়াল করলেন, নারায়ণগঞ্জে কেউ হালাল সনদপ্রাপ্ত, এলার্জি-ফ্রি কেক বানায় না। তিনি তাই শুরু করলেন eggless ও nut-free বার্থডে কেক তৈরি।

💸 লাভের দৃষ্টিভঙ্গি: আজই বিক্রি বনাম কালকের ব্র্যান্ড

ব্যবসায়ী চায়, আজ কেক বেচে লাভ আসুক।

উদ্যোক্তা ভাবেন, “আজ কম হলেও, কাল যেন নাম শুনে মানুষ অর্ডার দেয়।”

উদাহরণ: রাহিম ভাই প্রতিদিন ১০টা কেক বানান—দাম কম, ডিজাইন সাধারণ। অর্ডার সবসময় থাকে।

রুকাইয়া একদিনে মাত্র ২টা কেক বানান—নিজ হাতে ডিজাইন করেন, ক্রিমে গল্প বলেন। অর্ডার কম, কিন্তু কাস্টমার রিটার্ন করে বারবার।

🔧 অনুকরণ বনাম উদ্ভাবন

ব্যবসায়ী অন্যের ডিজাইন কপি করেন, যেমন Pinterest বা YouTube দেখে হুবহু মিলিয়ে দেন।

উদ্যোক্তা রাও করে কিন্তু নিজেদের কিছুটা নিজস্ব স্টাইল গড়ে তোলেন—হোক সেটা স্থানীয় উপাদানে তৈরি স্বাদ বা নিজ হাতে আঁকা ফুল।

🛠️ ঝুঁকি ও সাহস

ব্যবসায়ী ভুল করতে চান না। সেফ রেসিপি, কম খরচ, নির্ভরযোগ্য উপায়েই কেক বানান।

উদ্যোক্তা জানেন, নতুন ফ্লেভার বা টেক্সচারে কাজ করতে গেলে ঝুঁকি আছে—কিন্তু নাহলে ব্র্যান্ড তৈরি হবে না।

আর সবচেয়ে মজার কথা কি জানেন, সাধারনত মানুষ ভুল করে শিখে আর হোম বেকিং এর বেকার রা টাকা লস করে শিখে🤭

🎯 উদাহরণ: জিনাত আপা সবসময় ভ্যানিলা বা চকোলেট ফ্লেভারে সীমাবদ্ধ।

তানহা শুরু করলেন পান্ডান কেক ধীরে ধীরে ভিন্ন স্বাদের জন্য পরিচিত হচ্ছেন।

👥 টিম ও কাজের ধরন

ব্যবসায়ী খোঁজেন সহকারী বেকার বা হেলপার, যারা নিদিষ্ট নিয়মে কাজ করবে।

উদ্যোক্তা চান টিমমেট—যারা তার স্বপ্ন বুঝবে, প্রয়োজনে আইডিয়াও দেবে।

📢 সেলস বনাম ব্র্যান্ড

ব্যবসায়ী দিন শেষে ভাবেন, “আজ কয়টা কেক বিক্রি হলো?”

উদ্যোক্তা ভাবেন, “আজ কয়জন আমার কেককে মনে রাখবে?”

🎯 উদাহরণ: রুবেল ভাইয়ের পাউন্ড কেক প্রতি মাসে ৫০+ বিক্রি হয়, কিন্তু কেউ নাম জানে না।

আর সাবিহার “শাদুলিপি কেকস”—তাঁর লেখা কাস্টমাইজড কবিতা-কেক এখন বিয়েতে, জন্মদিনে, এমনকি বিদায় উপলক্ষেও যাচ্ছে।

🌍 প্রভাব: শুধু খাবার না, অনুভবও

ব্যবসায়ী শুধু লাভ দেখেন।

উদ্যোক্তা ভাবেন—"আমার কেক কি কাউকে হাসিয়েছে? মায়ের জন্মদিনে মেয়ে কীভাবে চোখ ভিজিয়ে বলল—‘মা, এটা তোমার গল্প বলা কেক!’”

শেষ কথা:

বাংলাদেশের বেকিং জগতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা—উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু যদি আপনি তরুণ হন, স্বপ্ন দেখেন, কিছু আলাদা করতে চান—তাহলে শুধু কেক বানাবেন না, গল্পও বলুন।

সমস্যা খুঁজে সমাধান দিন। লাভ তখন এমনিতেই আসবে।


আপনি কেমন? কেক বেচেন, না ভালোবাসা পরিবেশন করেন? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!😊

⭕️লেখা 

নুসরাত শারমিন 


@RR Pastry


 https://www.facebook.com/share/18vYYjmLf4/

সংক্ষেপে মায়াযম চেনার উপায়-

 সংক্ষেপে মায়াযম চেনার উপায়-

 ১। মানব দেহে ছয়টি খোলা পথ বা রাস্তা আছে। যেমন- নাক, কান, চোখ, মুখ, পায়ুপথ ও প্রস্রাবের রাস্তা। এই ছয়টি খোলা পথে যদি ক্ষত, দুর্গন্ধযুক্ত রক্ত, রজঃ, শুক্র, ঘাম, পানি, রস-কষ, বিষাক্ত পুঁজ, বিষাক্ত শ্লেষ্মা দেখা যায় তা হলে মনে করতে হবে তিনি সিফিলিটিক রোগী। 

২। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের তৈরী দেহে স্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক গঠন যেমন- আঁচিল, টিউমার, পলিপাস, উপত্বক বৃদ্ধি, নডিউল, তিলক, লাইপোমা, কড়া, চর্মে বিভিন্ন প্রকার দাগ, রস, রক্ত ও বাত প্রবণ ইত্যাদি দেখা যায়, তা হলে মনে করতে হবে তিনি সাইকোটিক রোগী। 

৩। সিফিলিটিক ও সাইকোটিক রোগী ছাড়া পৃথিবীতে যত রোগী আছে সবই সোরিক রোগী। এই সোরার উপর ভর করে সিফিলিস ও সাইকোসিস ধ্বংসলীলা খেলে রোগী দেহে টিউবারকুলার বা মিক্সড মায়াযমের জন্ম হয়েছে।

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...