এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ৩১-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ৩১-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সবকিছু করবে সরকার - পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী। 


ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশীপ চালু করতে চায় বাংলাদেশ - আইএমও মহাসচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বলেছেন শেখ হাসিনা। 


হেলপার যেন ড্রাইভার হয়ে গাড়ি না চালায় সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। 


আসন্ন ঈদ-উল আযহায় কোরবানির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে - সাংবাদিকদের জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। 


 বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো দেশে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।


ভারতের জম্মুতে বাস দুর্ঘটনায় তীর্থযাত্রী নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে অন্তত ২২।


বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে পোল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

কিংবদন্তি রোমান্টিক কবি আলেক্সান্দার  পুশকিন  তাকে রুশ ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি ও আধুনিক সাহিত্যের জনক বলা হয়।

 কিংবদন্তি রোমান্টিক কবি আলেক্সান্দার  পুশকিন 

তাকে রুশ ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি ও আধুনিক সাহিত্যের জনক বলা হয়।

রুশ ভাষার স্বর্ণ যুগের কবির মৃত্যু দিবসে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

কবি পুশকিন তৎকালীন জার শাসকের বিরুদ্ধে কবিতা লিখে নির্বাসিত হতে হয়েছে! তিনি শুধু একজন নন, তার উপন্যাস, কাব্যিক উপন্যাস, কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, রূপকথা , সাহিত্য আন্দোলন , রোমান্টিকতা, বাস্তববাদী লেখক হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন পৃথিবীর বুকে।

তার রোমান্টিক কবিতায় লিখেছেন ‍ঃ- 


তৃষ্ণার্ত ভিড় আপনার কোমল শোকে,

আপনার ঘনিষ্ঠতা যা আমাকে নেশা করে

এবং জ্বলন্ত, মধুর আকাঙ্ক্ষার জিহ্বা,

আবেগ যার ওয়াইন সন্তুষ্ট না।

তবে সেই গল্প দিয়ে কাটা,

লুকোও, তোমার স্বপ্ন বন্ধ করে দাও:

এর শিখা আমি জ্বলতে ভয় করি,

আমি তোমার গোপন রহস্য জানতে ভীত ।


কবি পুশকিন ৬ জুন ১৭৯৯ সালে রুশ  রাশিয়ার মস্কোতে এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, সের্গেই লভোভিচ পুশকিন, অভিজাত পুশকিন পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার প্রমাতামহ ছিলেন মধ্য-আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জেনারেল আব্রাম পেত্রোভিচ গ্যানিবাল। তিনি ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন এবং সারস্কোয়ে সেলো লাইসিয়াম থেকে স্নাতকত্ব লাভ করার সময় অবধি সাহিত্য মহলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।


কবি পুশকিন লাইসি থেকে স্নাতকত্ব লাভের পর পুশকিন তার বিতর্কিত কবিতা "ওড টু লিবার্টি" আবৃত্তি করেন, যা রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার কর্তৃক তার নির্বাসন দানের অন্যতম কারণ। জারের রাজনৈতিক পুলিশ বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে, লেখা প্রকাশ করতে অক্ষম থাকা অবস্থাতেই পুশকিন তার সবচেয়ে বিখ্যাত নাটক বোরিস গোদুনোভ লিখেছিলেন। তার কাব্যিক উপন্যাস, ইউজিন ওনেজিন, ১৮২৫ থেকে ১৮৩২ সালের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে লিখিত হয়।


স্বদেশের প্রেমের কবিতায় তিনি লিখেছেন ঃ-


এটি ছিল তার স্বদেশে, সেই নীল আকাশের নীচে

সে, শুকনো গোলাপ ...

অবশেষে তিনি মারা গেলেন, একটি নিঃশ্বাস তুই

কৈশোরের ছায়া যা কেউ স্পর্শ করে না;

কিন্তু আমাদের মধ্যে একটি লাইন আছে, এটি একটি অতল গহ্বর।

আমি আমার অনুভূতিকে বৃথা চেষ্টা করার চেষ্টা করেছিলাম:

মৃত্যুই বলেছিল ঠোঁট অন্ধকার

এবং, আমি তাকে উদাসীনভাবে উপস্থিত হয়েছি।

আমি তখন তাকে উত্সাহিত আত্মার সাথে ভালবাসি,

সাসপেন্সে আমি কাকে ভালবাসি,

অনেক অসীম, প্রেমময় দুঃখের সাথে,

নীরব শাহাদাত, প্রলাপ সহ।

প্রেম আর শোকের কি হল? ওহ আমার আত্মায়

নিষ্পাপ, দরিদ্র ছায়ার জন্য

হারিয়ে যাওয়া দিনের সুখের স্মৃতির জন্য,

আমার কোনও অশ্রু নেই, এমন কোনও সংগীত নেই যা তার নাম রাখে।


মস্কোতে জন্মগ্রহণ কারী পুশকিন ধাত্রী ও ফরাসি শিক্ষকগণের নিকট শিক্ষা লাভ করেন এবং দশ বছর বয়স অবধি মূলত ফরাসি ভাষায় কথা বলতেন। তিনি গৃহভৃত্যগণ এবং তার আয়া, আরিনা রদিওনোভনা, যার প্রতি তিনি তার নিজের মায়ের চেয়ে বেশি অনুরক্ত ছিলেন, তাদের মাধ্যমে রুশ ভাষার সাথে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন। সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে সারস্কোয়ে সেলোতে, মর্যাদাপূর্ণ ইম্পেরিয়াল লাইসিয়ামের প্রথম স্নাতক শ্রেণীর অংশ হিসেবে যখন তিনি পড়া শেষ করেন, ইতোমধ্যে তার প্রতিভা রুশ সাহিত্য জগৎ অবগত হয়ে যায়। বিদ্যালয় শেষে পুশকিন, রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রাণবন্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল বুদ্ধিজীবী তরুণদের সংস্কৃতিতে ডুব দেন। ১৮২০ সালে তিনি তার প্রথম দীর্ঘ কবিতা, রুসলান এবং লুডমিলা প্রকাশ করেন, যার বিষয় ও শৈলী নিয়ে বহু বিতর্ক হয়।


লাইসিয়ামে থাকাকালীন, পুশকিন, আলেকজান্ডার পেত্রোভিচ কুনিৎসিনের কান্টীয় উদারনৈতিক ব্যক্তিত্ববাদী শিক্ষা দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন এবং পরবর্তীতে ১৯ অক্টোবর কবিতায় পুশকিন তাকে স্মরণ করেন। পুশকিন এছাড়াও ফরাসি জ্ঞানের চিন্তায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখেন, বিশেষ করে দিদেরো এবং ভলতেয়ার, যাদেরকে তিনি বর্ণনা করেছেন এভাবে "নতুন পথের প্রথম অনুসারী এবং ইতিহাসের অন্ধকার আধারে দর্শনের প্রদীপ আনয়নকারী ।


পুশকিন ধীরে ধীরে সামাজিক সংস্কার সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ওঠেন এবং সাহিত্যিক সংস্কারবাদীদের জন্য একজন মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। এর ফলে সরকার তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় এবং ১৮২০ সালের মে মাসে তাকে রাজধানী ত্যাগ করতে হয়। তিনি প্রথমে ককেসাস ও ক্রিমিয়া ও পরবর্তীতে কামিয়ানকা এবং মলদোভার কিশিনাউ এ যান, যেখানে তিনি একজন ফ্রিম্যাসন হয়ে ওঠেন।


তিনি ফিলিকি ইটেরিয়া নামক একটি গোপন সংগঠনে যোগ দেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গ্রীসে উসমানীয় শাসন উৎখাত এবং একটি স্বাধীন গ্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তিনি গ্রিক বিপ্লব দ্বারা অনুপ্রাণিত হন এবং যখন উসমানীয় তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি গণজাগরণের ঘটনাগুলো একটি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখেন।


কবি পুশকিন ২৬ মে ১৮৩৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে মৃত্যুবরণ করেন।

শিক্ষণীয় গল্প: ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শিক্ষণীয় গল্প:

একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল। 


একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত। 


পুরো দুই বছর ধরে,এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন। 


অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য  গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না। 


দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।


বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ,তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি! আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুল গুলিকে তুমি নিজের অজান্তে প্রতিদিন যখন আমরা ফিরে যাই,

তুমি তাদের জল দাও।

আমি দু'বছর ধরে ওখান থেকে ফুল তুলে এনে আমার টেবিলের সাজিয়ে রাখি। তুমি অপূর্ন না হতে তাহলেই ফুল ফুটতো না, এ ফুল আমি পেতাম না 


গল্পের নৈতিক:

আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বতন্ত্র ত্রুটি রয়েছে। এগুলি নিয়ে খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই। জীবনকে নিজের ছন্দে, নিজের মতো করে চলতে দেয়া উচিত। এতে জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। ত্রুটিযুক্ত মানুষের ভেতরে যে সৎ গুনাবলী আছে, সেগুলোর সদব্যবহার যদি আমরা করতে পারি তাতে সুন্দর হয় সমাজ, সমৃদ্ধ হয় দেশ।


ব্রিটিশ আমল থেকে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের এই অভিনেতা, চেনেন তো?

 ব্রিটিশ আমল থেকে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের এই অভিনেতা, চেনেন তো?

ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—তিন আমলেই অভিনয় করা মানুষ মাসুদ আলী খান। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র—তিন মাধ্যমেই বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন সবার চেনা। গুণী এই অভিনয়শিল্পী গতকাল শুক্রবার পেয়েছেন ‘মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৪’। তাঁর অভিনেতা হয়ে ওঠার গল্প শোনাচ্ছেন আলতাফ শাহনেওয়াজ


মঞ্চে রানাপ্রতাপ সিংহ নাটকের অভিনয় চলছে। মানিকগঞ্জের জামির্ত্তা সত্যগোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে রাত নামলেও হ্যাজাকের আলোয় মাঠটি তখন দিনের চেয়েও উজ্জ্বল। মঞ্চে গুটিসুটি পায়ে উঠল দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া ছোট্ট এক ছেলে। অভিনয় আর কী, মঞ্চে উঠে দরাজ গলায় গান গাইল। তাতেই ধন্য ধন্য পড়ে গেল। 


‘গলাডা কী সোন্দর! এইডা কার পোলা?’


‘চিনো না? ধানবাড়িয়ার আরশাদ আলীর পোলা।’


লোকজন যখন এসব বলাবলি করছিল, ছোট্ট বালক মাসুদ তখন উত্তেজনা আর আনন্দে আটখানা। নাটক শেষে সে মেকাআপও তুলল না, বাড়ি ফিরে সে বেশেই ঘুমিয়ে পড়ল। পরদিন স্কুলেও গেল ওই সাজে—যেন বরাবরই সে চারণ বালক!


‘ভবিষ্যতে আমি যে অভিনেতাই হব—সেদিনই বোধ হয় নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল,’ বললেন মাসুদ আলী খান। আমাদের দেশের জীবিত অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তিনিই সম্ভবত এখন সবচেয়ে বয়স্ক। তাঁর বয়স এখন ৯৪ বছর।


‘এত বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন…আপনি তো জাতীয় বাবা’ বলতেই আমাদের সংশোধন করে দিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা, ‘না না, বাবা ছাড়িয়ে আমি এখন দাদা।’


১৯৯৯ সালে পেয়েছিলেন প্রথম মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার। আর এবার রজতজয়ন্তীর বছরে পেলেন ‘আজীবন সম্মাননা’। সেই উপলক্ষেই দিন কয় আগে তাঁর গ্রিন রোডের বাসায় গিয়েছিলাম আমরা। ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল শ পাঁচেক নাটকে অভিনয় করা মানুষটি চেয়ারে বসে আছেন। সামনে ওয়াকার। আট বছর আগে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই ওয়াকার তাঁর সঙ্গী। বললেন, ‘এখনো অভিনয় করি, তবে শুয়ে শুয়ে। হাঁটতে তো পারি না। কিছু মনে করতেও কষ্ট হয়।’


ড্রামা সার্কেল প্রযোজিত দৃষ্টি নাটকে

স্মৃতি মনে করতে কষ্ট হয় বলেই কি পুরোনো ছবির অ্যালবামে খোঁজেন ফেলে আসা দিন? মাসুদ আলী খানের বসার ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল টেবিলে একতাড়া সাদাকালো ছবি। সবই নাটকের। আমাদের হাত থেকে ছবিগুলো নিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেন, ‘এই সবই ড্রামা সার্কেলের নাটকের ছবি। এই যে রক্তকরবীর শো…এই যে লায়লা সামাদ… এই যে আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান নাটকে আমি, মাঝখানে কেয়া চৌধুরী, তারপর বুলবুল আহমেদ…আর এই যে কালো চুলে যাকে দেখছেন, সে কে বলুন তো?’


প্রশ্নটি তিনি করলেন, উত্তরও তিনিই দিলেন। এর মধ্যেই এই অভিনেতার মুখে বাঁকা চাঁদের মতো একফালি হাসি ফুটেছে। ভাবছি, কালো চুলের এমন মাসুদ আলী খানকে কি আমরা কখনো দেখেছি!


মাসুদ আলী খান, ১৯৬০

মাসুদ, মাখন অথবা নিজাম


সনদপত্রে মাসুদ আলী খানের জন্মসাল ১৯৩১। তবে তাঁর কাছ থেকে জানা গেল, ‘আমার জন্ম এরও দুই বছর আগে, মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে, নানাবাড়িতে।’


বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকুরে। থাকতেন কলকাতায়। মা সিতারা খাতুন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মাসুদ তৃতীয়। মা তাঁকে আদর করে ডাকতেন ‘মাখন’ আর বাবা ‘নিজাম’। আমাদের সঙ্গে গল্প করতে করতে মানিকগঞ্জের মাঠঘাট আর কলকাতার পথে পথে যেন ছুটে বেড়াচ্ছিলেন বাবা-মায়ের সেই মাখন বা নিজাম।


‘বাবা গান গাইতেন ও লিখতেন। বাদামি রঙের একটা বাঁধানো খাতায় সেই গান তুলে রাখতেন মা। আমাদের বাড়িতে গ্রামোফোন ছিল। আঙ্গুরবালা, হরিমতির গান বাজত। সেসব শুনে শুনে খুব ছোট থেকেই আমি গলায় গান তুলে নিতে পারতাম,’ স্মৃতি হাতড়ে শৈশবে চলে গেছেন মাসুদ। ‘ক্লাস টু পাস করে আমরা কলকাতা চলে গেলাম। দেশভাগের পরের বছর ১৯৪৮ সালে আবার এ বাংলায় ফিরে এলাম। তখন আমি নাইনে পড়ি। মানিকগঞ্জে নয়, কুমিল্লায় বড় বোনের বাড়িতে আমার ঠাঁই হলো। তখন আমি ফুটবল খেলি আর গলা ছেড়ে গাই, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে তোমারে করেছে রানী।’


তাহলে কি নাটক তাঁর জীবনে ছিল না এ সময়?


মাথা ঝাঁকালেন মাসুদ আলী খান, ছিল। স্কুলের বার্ষিক নাটকগুলোতে তিনি ছিলেন অপরিহার্য অভিনেতা। আর কুমিল্লাবাসের সময় ভার্নাল থিয়েটারের সাহজাহান নাটকেও অভিনয় করেছিলেন।


মাসুদ আলী খান বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন সবার চেনাছবি: কবির হোসেন

প্রেম এসেছিল নীরবে


১৯৪৯ সালে মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক পড়তে চলে এলেন ঢাকা। তবে এর আগে তাঁর জীবনে ‘প্রেম এসেছিল নীরবে’। কুমিল্লায় যে বাড়িতে থাকতেন, তার মালিকের মেয়ে রুবী। তাঁকে দেখে তরুণ মাসুদ আলী খানের মনে অনুরাগ জন্মাল। কিন্তু রুবীকে মুখ ফুটে কখনো বলতে পারেননি সে কথা।


মজার ব্যাপার হলো, ১৯৫৫ সালে তাহমিনা খান নামে যাঁকে বিয়ে করেন, তাঁর ডাকনামও রুবী! ‘নামের কারণেই বোধ হয় তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম,’ বলতে বলতে হেসে ফেললেন মাসুদ আলী খান। তাঁর স্ত্রী তখন পাশে বসে হাসিমুখেই শুনছিলেন এ গল্প।


ঢাকায় ‘বখে’ যাওয়া


‘ঢাকায় আজিমপুরে বড় ভাই মাহবুব আলী খানের মেসে এসে উঠলাম।’ পড়াশোনার পাশাপাশি এ সময় ডাক ও টেলিফোন বিভাগে কাজও জুটিয়ে ফেললেন। ‘পড়াশোনা লাটে উঠল। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিলাম না। সবাই বলল, আমি বখে গেছি।’


এক বছর বাদে ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ।


সেই ‘বখে’ যাওয়া জীবনেই প্রথম মার্ক্সবাদের সংস্পর্শে আসেন মাসুদ আলী খান। ‘তখন শুধু রাত জেগে পোস্টার মারতাম।’ এর মধ্যেই যুক্ত হন শহীদ সাবের, বদরুল হাসান, ফওজুল করিম, মেসবাহ-উল হক, মন্টু খানদের গড়ে তোলা সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অগ্রণী শিল্পী সংঘ’-এর সঙ্গে।


সেই উত্তাল সময়ের গল্প আরও বিশদে জানতে চাই আমরা। কিন্তু অস্ফুট স্বরে, সলজ্জ ভঙ্গিতে মাসুদ আলী বললেন, ‘কিছুই যে মনে নেই!’


বাঁ থেকে (দাঁড়ানো): জামাতা নাজির আহমেদ খান, মেয়ে নাজমা খান, পুত্রবধূ মুতরিবা শিরিন, ছেলে মাহমুদ আলী খান। (নিচে বাঁ থেকে) নাতনি অমি, নাতনি শ্রেয়া, মাসুদ আলী খান, স্ত্রী তাহমিনা খান ও নাতি অয়নছবি: পারিবারিক অ্যালবাম থেকে

ড্রামা সার্কেলের দিনগুলো


আরও অনেক কিছুই তাঁর মনে নেই । একসময় যে ‘ড্রামা সার্কেল’–এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন, এটা মনে থাকলেও কোথায় মহড়া করতেন, কীভাবে নাটক করতেন এবং কোন কোন প্রযোজনায় অংশ নিয়েছেন—এসব আর সেভাবে মনে নেই।


হেদায়েত হোসাইন মোরশেদের ‘ড্রামা সার্কেল: প্রসঙ্গকথা এবং একক বজলুল করিম’ লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৫৬ সালে মাকসুদুস সালেহীন ও বজলুল করিম গড়ে তোলেন ড্রামা সার্কেল। দলটিকে বলা হয় ঢাকার প্রথম আধুনিক নাট্যদল। প্রায় শুরু থেকেই দলটির সঙ্গে ছিলেন মাসুদ আলী খান। ড্রামা সার্কেলের হয়ে রক্তকরবী, বহিপীর, রাজা ও রাণী, ইডিপাস, আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান, দৃষ্টিসহ বহু নাটকে অভিনয় করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে দলটি পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত এখানে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল।


অভিনয়ের পাশাপাশি কখনো কখনো নাট্যপরিচালনাও করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে বাংলা একাডেমি মঞ্চে তাঁর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তাসের দেশ।


বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩ আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) উপস্থাপক হানিফ সংকেত, শিল্পী রফিকুন নবী, মাসুদ আলী খান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। গতকাল রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারের দ্য গ্রেস মিলনায়তনেছবি: সাজিদ হোসেন

মঞ্চ থেকে ছোট-বড় পর্দায়


১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন স্থাপিত হওয়ার পর পর নূরুল মোমেনের নাটক ভাই ভাই সবাই দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক। আর সাদেক খানের নদী ও নারী দিয়ে বড় পর্দায় হাতেখড়ি। এই চলচ্চিত্রে নায়ক আসগর চরিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন।


এরপর পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় নানা চরিত্র করে চেনামুখ হয়ে ওঠেন মাসুদ আলী খান।


অনেক সিঁড়ি পেরিয়ে


ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে মাহমুদ আলী খান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী। আর মেয়ে নাজমা খান ধানমন্ডির বাসিন্দা। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে শুরু করেন পর্যটন করপোরেশনের চাকরি। আর ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন আরও এক যুগ। এর পর থেকে অভিনয়ই তাঁর ‘পেশা’। আলাপের শেষ বেলায় হাসির ছলে যেমনটা বললেন, ‘অভিনেতার চাকরি করি।’


পাটখালী' নামকরণের ইতিহাস,,,,

'পাটখালী' নামকরণের ইতিহাস

-------------------------------------------

'পাটখালী' শব্দটি খালী প্রত্যয়যুক্ত একটি সাধিত শব্দ। 

পাট বা কোষ্টা বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সোনালী আঁশের উদ্ভিদ বলে পরিচিত ও শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী একটি ফসল। এক গবেষণায় দেখা যায়, দক্ষিণ মাগুরার এই স্থানটির মাটি, পাট চাষের জন্য অধিক উপযোগী এবং উপমহাদেশে পাট চাষের শুরু হতে, পাট উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই স্থানটির নাম করণে 'পাট' শব্দটি 'সোনালী আঁশ' অর্থেই সমীচীন।


খাল থেকে খালী।

খাল শব্দের অর্থ দীর্ঘ খাত, জলপ্রবাহের খাই। শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত খাত থেকে, যার অর্থ গভীর নালা। খাল বা গভীর নালাকে ক্ষুদ্র বোঝাতে খালি/খালী ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে 'খালী' প্রত্যয়যুক্ত দুটি জেলাসহ একাধিক উপজেলা ও স্থানের নাম রয়েছে। নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কুমারখালী, বোয়ালখালী, মহেশখালী, কালুখালী।

সুতরাং বলা যেতে পারে এখানে পাট সংশ্লিষ্ট ছোট খাল ছিল। যেখানে চৈত্র-বৈশাখে পানিশূন্য অবস্থায় পাট বোনা হত অথবা বর্ষা মৌসুমে পাট পঁচানো হতো বলে স্থানটিকে ডাকা হতো পাটের খাল। সময়ের পরিক্রমায় এবং উচ্চারণের সুবিধার্থে যা বর্তমান 'পাটখালী'


পাটখালী নাকি পাটোখালী

-------------------------------------

'নদী' শব্দটি লিখিত শুদ্ধরূপ হলেও আমরা কিন্তু উচ্চারণ করে থাকি 'নোদি'

বাংলা ভাষায় এরূপ অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো লিখিত রূপের বাইরে (ও) কার উচ্ছারণরীতি হয়। অনুরূপ তিন বা তার অধিক বর্ণে গঠিত শব্দের মধ্য-‘অ’-এর আগে যদি অ, আ, এ এবং ও-কার থাকে তবে সে-ক্ষেত্রে সে ‘অ’-এর উচ্চারণে ‘ও’-কারের প্রবণতা থাকে সমধিক। এমন কিছু শব্দ নিম্নরূপ:

লিখিতরূপ   উচ্চারণরীতি 

বামন           বামোন্

কানন           কানোন্‌ 

রাবণ            রাবোন্‌

বামনখালী   বামোনখালি

সাগরদাঁড়ি   শাগোরদাড়ি

পাটখালী     পাটোখালি

শতখালী      শতোখালি

কতদিন        কতোদিন

শব্দগুলোর উচ্চারণরীতিতে মধ্য বর্ণে 'ও' কার হলেও লিখিতরূপ কিন্তু 'ও' কার বিহীন। আলোচ্য

'পাটখালী' গ্রামটির লিখিত যাবতীয় নথিপত্র, দলিলদস্তাবেজেও তদ্রূপ 'পাটখালী' বানানটি 'ও' কার ছাড়া ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই লিখিতরূপে 'পাটখালী' লেখা যুক্তিযুক্ত, যা উচ্চারণরীতিতে পাটোখালী উচ্চারিত হয়।


আযম জোয়ারদার

পাটখালী

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ৩০-০৫-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ৩০-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাচ্ছেন। 


বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় এখন দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম বাংলাদেশ - আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী। 


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়লাভ। 


ঘূর্ণিঝড় রিমাল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছে সরকার - বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী - ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সহায়তা অব্যাহত। 


জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার জোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


দেশের স্বার্থ বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে গণমাধ্যমসহ সকলের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান।


হামলা বন্ধে আইসিজের আদেশ সত্ত্বেও দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরাইলের প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত।


আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

প্রাচীন পেশা 'ভিস্তিওয়ালা' ঢাকা থেকে যেভাবে বিলুপ্ত হল.. ভিস্তিওয়ালা কারা

 ## প্রাচীন পেশা 'ভিস্তিওয়ালা' ঢাকা থেকে যেভাবে বিলুপ্ত হল..

## ভিস্তিওয়ালা কারা?


১৮৭৮ সালে ঢাকা শহরে আধুনিক সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়। এর আগে ঢাকায় খাবার পানির উৎস ছিল পুকুর, কুয়া, নদী। সে সময় কিছু লোক টাকার বিনিময়ে মশকে (চামড়ার ব্যাগ) করে ঢাকা শহরের বাসায় বাসায় খাবার পানি পৌঁছে দিতেন। এ ধরনের পেশাজীবীদের বলা হত ভিস্তিওয়ালা বা 'সুক্কা'।


‘ভিস্তি আবে ভিস্তি’ এরকম হাঁক দিয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি সরবরাহ করত।


অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ঢাকায় সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল না।


তখনকার ঢাকা জেলা কালেক্টরকে সুপেয় পানির জন্য ১৫০ রুপি বরাদ্দ দেয়া হত। অথচ মাত্র দুই রুপিতেই সে সময় চাল পাওয়া যেত।


স্বাস্থ্যসম্মত পানির অভাবের জন্যই এত বিপুল অর্থ সে সময় বরাদ্দ দেওয়া হত। কারণ সে সময় সুপেয় পানির অভাবে কলেরার প্রাদুর্ভাব ছিল বেশি।


অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের ঢাকা সমগ্র গ্রন্থে বলা হয়েছে, ১৮৭১ সালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ঢাকাবাসীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কাজ চলে খু্বই ধীর গতিতে।


নবাব আবদুল গণি ও তার ছেলে খাজা আহসান উল্লাহ সম্মিলিতভাবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য এক লাখ টাকা দান করেন। নগরবাসীর উপর করের বোঝা দেওয়া হবে না এই শর্তে নবাব আবদুল গণি টাকা দিয়েছিলেন।


কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে যায় কাজ।


পরে ১৮৭৪ সালের আগস্ট মাসে রাজপ্রতিনিধি লর্ড নর্থব্রুক ঢাকায় ওয়াটার ওয়ার্কসের ভিত্তি স্থাপন করেন।


ধীরগতিতে এই প্রকল্পের কাজ চলছিল আর একসময় পৌরসভার টাকা শেষ হলেও প্রকল্পের কাজ তখনও শেষ হয়নি।


পরে সরকার বাধ্য হয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য আরও ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


অবশেষে ১৮৭৮ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। এই প্রকল্প থেকে দৈনিক পানি সরবরাহের ক্ষমতা ছিল দুই লাখ গ্যালন।


এর মাধ্যমে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়।


পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে ঢাকায় ‘ওয়াসা’ নির্মাণের ফলে সুপেয় পানির আর অভাব রইল না। এতে নগরবাসীর সুপেয় পানিসহ স্বাস্থ্যসম্মত পানির অভাব ঘুচে যায়।


ষাটের দশক পর্যন্ত মোটামুটি দাপটের সাথেই ভিস্তিওয়ালারা ঢাকায় পানি সরবরাহের এই কাজ করেন।


ইতিহাসের বিভিন্ন বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালের পর থেকেই মূলত ঢাকায় ধীরে ধীরে এই পেশাজীবীদের অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকে।


উন্নত জাতের হলুদ চাষ পদ্ধতি।

 উন্নত জাতের হলুদ চাষ পদ্ধতি।


হলুদ স্বল্প পরিশ্রমে, অল্প ব্যয়ে, পানি জমে থাকে না, এমন  ছায়াযুক্ত স্থানে অতি সহজে  চাষ করা সম্ভব। ছায়াযুক্ত পরিবেশে দেশি বা উন্নত জাতের  হলুদ চাষ করা যায়।  তবে উন্নত জাতের হলুূদ চাষে ফলন বেশি হয় এবং তাতে আয়ও বেশি হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, নানা জাতের হলুদ রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দুইটি জাতের  হলুদ উদ্ভাবন করেছে। এ দু’টি জাত ডিমলা ও সুন্দরী। এ দু’টি জাতের চাষাবাদ পদ্ধতি  প্রায় একই রকমের  চৈত্র মাসের শুরু থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত হলুদ বীজ বপন করা যায়।


জমি প্রস্তুতকরণ ও বপন:


হলুদ চাষে হলুদের কন্দ বীজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতি হেক্টরে ২২০০ থেকে ২৪০০ কেজি কন্দের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি কন্দের দুটি চোখ জরুরি। ভালোভাবে জমি তৈরি করার পর দেশি লাঙ্গল বা বপনের জন্য হাতে টানা লাঙ্গল দ্বারা ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে পাঁচ থেকে সাত সেন্টিমিটার গভীর করে ২৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্থাপন করতে হয়। এরপর  দুই লাইনের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে মাটি দিয়ে বীজ কন্দগুলোকে একটু উঁচু করে ঢেকে দিতে হয়। এতে দুই লাইনের মাঝে নালার মতো তৈরি হয় যা দিয়ে পানি সরে বা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যায়। বীজ বপনের প্রায় একমাস পরে চারা গজায়। বহুবর্ষী বৃক্ষের ছায়ায় চাষের ক্ষেত্রে গাছ থেকে এমন দূরত্ব হলুদ চাষ করতে হবে যাতে শিকড় কাটা না পরে।


সার প্রয়োগ :


হলুদ চাষে প্রতি হেক্টরে সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো- টিএসপি ১৮০ কেজি,  এমওপি ২০০ কেজি এবং ইউরিয়া ২২০ কেজি প্রতি হেক্টর এসব  সার  ছাড়াও জমিভেদে হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ১০ টন জৈব সার জমিতে প্রয়োগ করা যায়। শেষ চাষে টিএসপির পুরো অংশ এবং  এমওপি সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হয়। অতঃপর বীজ বপনের ৫০ থেকে ৬০ দিন পর আগাছা পরিষ্কার করে দুই সারির মাঝে অর্ধেক ইউরিয়া প্রয়োগ করে কোদাল দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হয়। দ্বিতীয় উপরি প্রয়োগের আরও ৫০ থেকে ৬০ দিন পর বাকি এমওপি, ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হয়।


অন্যান্য পরিচর্যা:


মাটি অধিক শুষ্ক হলে সেচের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিবার সেচের পর জমিতে জো আসার সাথে সাথে মাটির উপরের চটা ভেঙে দেওয়া উচিত। অতিবৃষ্টির সময় গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গাছের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে, সময় মতো আগাছা দমন করতে হবে। গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হয়।


ফসল সংগ্রহ:


হলুদ লাগানোর ৯ থেকে ১০ মাস পর যখন হলুদের কা- পর্যন্ত  শুকিয়ে যায়, তখন হলুদ সংগ্রহ করতে হয়। সুন্দরী জাতের হলুদ, ডিমলা জাতের চেয়ে প্রায় একমাস আগে উত্তোলন করা যায়।


হলুদ গাছ ছায়া  সইতে পারে। তাই বসতবাড়ির আঙিনায় ফল বাগানে হলুদের চাষ করা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানে অনেকে হলুদ চাষ করে বাড়তি লাভ করছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের জার্মপ্লাজম সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে বহু স্তরবিশিষ্ট ফল বাগানে নারিকেল ও লেবু গাছের নিচে হলুদ চাষ করে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নারিকেলের সাথে পেয়ারা ও হলুদ চাষ করা যেতে পারে। পাহাড়ে হলুদ ক্ষেতের মধ্যে আন্তঃফসল হিসেবে শিমুল, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি লাগানো হয়।


বালাই ব্যবস্থাপনা:


হলুদ গাছের পোকার চেয়ে রোগের আক্রমণ বেশি হয় এবং এর মধ্যে হলুদের কন্দপচা রোগ প্রধান। তবে পাহাড়ে সম্প্রতি পাতা ঝরা রোগ ও  অন্যান্য রোগ ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। 

কন্দ পচা রোগ : কন্দ পচা এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগটি প্রায়ই হলুদ ক্ষেতে দেখা যায়। এ রোগের ফলে প্রথমে হলুদ গাছের গোড়ার দিকের পাতা হলুদ হতে শুরু করে। ক্রমে উপরের পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়। শেষে মাটির নিচে কন্দ পচতে শুরু করে। একপর্যায়ে পুরো  কন্দ বা মোথাই  পচে নষ্ট হয়। পচা মোথা  থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।


ব্যবস্থাপনা: 


জমি থেকে অতিরিক্ত পানি যাতে জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আক্রান্ত গাছ জমি থেকে তুলে ধ্বংস করতে হবে। রোগ দেখা মাত্র ক্ষেতে ছত্রাকনাশক (রিডোমিল গোল্ড, ডায়থেন এম ৪৫) প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম পরিমাণ গুলে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে। ১৫ দিন পর পর তিন থেকে চার বার স্প্রে করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বীজের জন্য রোগমুক্ত হলুদ গাছ থেকে কন্দ তুলতে হবে। আক্রান্ত জমিতে পরের বছর আর হলুদ চাষ করা ঠিক হবে না।


পাতা ঝলসা বা লিফ ব্লচ রোগ: 


এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগের ফলে প্রথমে পাতা ফ্যাকাশে রং ধারণ করে। পাতার দু পাশেই ছোট ছোট অসংখ্য দাগ দেখা যায়। পরে দাগগুলো একত্র হয়ে পাতা ঝলসানো মতো দেখা যায়। শেষে আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে।


ব্যবস্থাপনা: 


এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আক্রান্ত পাতা জমি থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ রোগ দেখা মাত্র ক্ষেতে    ছত্রাকনাশক (ফলিকুর ১০ মিলি বা ২০ গ্রাম ডাইথেন এম ৪৫) প্রতি ১০ লিটার পানিতে গুলে ১৫ দিন পরপর তিনবার পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। বীজের জন্য অবশ্যই রোগ মুক্ত হলুদ গাছ থেকে কন্দ তুলতে হবে, কন্দ তোলার পর বীজ হিসেবে তা মজুদের আগে ব্যাভিস্টিন দিয়ে শোধন করে নিতে হবে।


পাতায় দাগ রোগ: 


সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এ রোগ বেশি দেখা যায়। নভেম্বর মাসে এ রোগে আক্রান্ত গাছের পাতা শুকাতে শুরু করে। এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগের ফলে প্রথমে পাতায় ধূসর কেন্দ্র বিশিষ্ট বাদামি দাগ সৃষ্টি হয়। দাগের চারপাশে গাঢ় বাদামি বেষ্টনী থাকে, তার পাশে থাকে হলুদ রঙের আভা। ধীরে ধীরে দাগগুলো একত্রে মিলে বড় পাতাকে পুড়িয়ে ফেলে।


ব্যবস্থাপনা : 


এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আক্রান্ত পাতা জমি থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগ দেখা মাত্র ক্ষেতে  ছত্রাক নাশক (ফলিকুর ১০ মিলি বা ২০ গ্রাম ডায়থেন  এম ৪৫) প্রতি ১০ লিটার পানিতে গুলে ১৫ দিন পরপর তিনবার পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।  কন্দ তোলার পর বীজ হিসেবে তা মজুদের আগে ব্যাভিস্টিন দিয়ে শোধন করে নিতে হবে। আক্রান্ত জমিতে পরের বছর আর হলুদ চাষ করা ঠিক হবে না।

হলুদ প্রক্রিয়াজাতকরণ : হলুদ কাঁচা ও শুকনো দুই অবস্থাতে বিক্রি করা যায়। শুকানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। হলুদ তোলার পর হলুদ পরিষ্কার করে একটি বড় পাত্রে প্রতি ১০০ কেজি কাঁচা হলুদের সাথে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খাবার সোডা মিশিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পানিতে সেদ্ধ করতে হয়। গরম পানি থেকে হলুদ উঠিয়ে ১২ থেকে ১৫ দিন কড়া রোদে শুকাতে হবে। শুকিয়ে গেলে শুকনো হলুদ হাতের চাপে মট করে ভেঙে যাবে। ভালোভাবে না শুকালে সেভাবে ভাঙবে না। শুকানোর পর তা হলুদ ভাঙানো  কলে নিয়ে গুঁড়া করতে হবে। না করলে পলিথিনের বস্তায় ভরে ঘরের শুকনো জায়গায় মজুদ করে রাখতে হয়।


হলুদ বীজ উৎপাদন ও মজুদ ব্যবস্থাপনা :  


বীজ হলুদের জন্য ক্ষেত থেকে প্রথমে সুস্থ ও রোগমুক্ত গাছ থেকে হলুদ তুলতে হবে। তারপর সেগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করে মজুদের ব্যবস্থা নিতে হয়। মজুদের জন্য চালার নিচে সুবিধামতো  কোন জায়গায় গর্ত করে গর্তের ভেতর চারপাশে শুকনো খড় বিছিয়ে থলিতে হলুদ ভরে মজুদ রাখতে হয়। তবে বালি দিয়ে মজুদ করা যায়। এজন্য প্রথমে হলুদ মজুদের জায়গায় তিন থেকে চার সেন্টিমিটার পুরু করে বালির স্তর বানাতে হবে। এরপর এর উপরে ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পুরু করে হলুদ বিছাতে হবে।  হলুদের উপর নিম বা বিষকাটালী  পাতার পাতলা স্তর দিয়ে ঢেকে তার উপরে আবার ৩-৪ সেন্টিমিটার পুরু বালুর স্তর দিয়ে ঢেকে রাখলে ভালো হয়। এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। এমনকি বীজ মজুদের আগে ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করে নিলে মজুদ করা কন্দের পচা কমে। বীজের পরিমাণ বেশি হলে এভাবে কয়েকটি স্তরে হলুদ রাখা যেতে পারে।


লেখক : 

কৃষিবিদ অসিত কুমার সাহা

প্রাক্তন উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জ।

বুড়ো না হওয়ার ফর্মুলা 

 " বুড়ো না হওয়ার ফর্মুলা " 🌹


আমি বুড়ো হতে চাই না। এই বুড়ো টুড়ো আমার একদম না-পসন্দ । কিন্তু পৃথিবীটা এত জোরে ঘুরছে যে ফট করে এক একটা বছর পেরিয়ে যাচ্ছে । বয়স naturally  বেড়ে যাচ্ছে । বয়সের পেছনে লাথি মারতে ইচ্ছে করছে। 


এই কারনে সকালে ঘুম থেকে ওঠেই প্রথমে বিছানা কে কষে একটা লাথি মারি। ওই বিছানা টা বহুত ঢ্যামনা। বলে -- আরে,  আর একটু শুয়ে থাকো। আরাম করো। আমি কিন্তু বেশ ভালোই জানি --- আরাম হারাম হ্যায় ! যত আরাম --তত বুড়ো । 


অনেক ভেবে আমি একটা ফর্মুলা বের করেছি। ফর্মুলা টা খুব simple ----সব সময় ভাবতে হবে :: hey man,  never become old-- you are always ever green gold. 


Practically বয়স বাড়বে কিন্তু mentally বয়স কে রুখে দেয়া যায় । সবুজ রঙে নিজেকে মাখিয়ে নেয়া যায় । বয়স সত্তর তো মন  পঁচিশ । খূব সোজা। গাছ গাছালি করো-- নিন্দা থেকে সরো-- বউকে জড়িয়ে ধরো-- হঠাও যত বাজে -- শরীর লাগাও কাজে ! 


উঠতি বয়সের সবুজ ছেলে মেয়ে গুলো দাদু ডাকলে ব্যথা পাই। উনিশ বছরের লাস্যময়ী মেয়েকে বলি -- শোনো অনন্যা, তুমি আমাকে ভালোবাসবে ? নির্বিষ মিশবে ? এই বুড়োর হাত ধরবে ? এক ঘন্টা আমার সাথে গল্প করবে ? আমাকে পঁচিশে ফেরাতে পারবে ? যদি পারো তবে " দাদু" ডাকো হাজার বার -- আপত্তি নেই ! 


আমার পাঁচ বছরের দুষ্টু নাতনি আমাকে বলে --- এই পিন্টু, চলে এসো। খাবার রেডি। 

আমি বেশ খুশি হই।  বলি -- আসছি দিদি -- এই আসছি। এত ভালো লাগে " পিন্টু " ডাকটা , কী বলবো ! সবুজ হয়ে যাই ।

এভাবে ইয়াং থাকি। হলদেটে হই না। সবুজে ভরপুর। কাটছে সকাল দুপুর , --মেজাজে । 


এখনো ধান্দা করি-- টাকার। monthly  extra money-- সবচেয়ে দামি honey  !  পকেটে টাকা তো মনটা ফুরফুরে-- বয়স যায় উড়ে -- বউ ভালোবাসে -- পুত্রবধূ চা নিয়ে আসে -- পুত্র পাশে বসে -- ছোট্ট নাতনি খিলখিলিয়ে হাসে । 


যে গোমড়া, সে একটা বোকা দামড়া। সংসারে হাসতে হয়। যতই বুড়ি হোক , বউ কে জড়িয়ে ধরতে হয় । ছেলেকে বলতে হয় -- আগে আমি তোর বন্ধু, তারপর বাপ -- পুত্রবধূ কে বলতে হয় :: তুই আমার exactly  ভালো মেয়ে , কোন মাছ তোর খেতে ভালো লাগে , বলে দে , আজ বাজার থেকে সেই মাছ -ই আনবো ! আর নাতনি কে বলতে হয় -- বড় দি , তোমার একটা খেলনা চাই ? 

     


    আশ্চর্য! এভাবে বেঁচে দেখেছি -- বয়স যত বাড়ছে -- আমি তত ইয়াং হচ্ছি -- হতাশা সরছে-- আকাশ পরিস্কার-- বয়স পালাচ্ছে দুদ্দাড়! 

    বলেছিলাম না , বয়সের পেছনে লাথি ! মারতে পেরেছি ভাই। 


আমার সত্তর বছর" বয়স" টা বলছে -----তুই শালা নাম্বার ওয়ান নচ্ছার-- ছেড়ে দে -- আমি পালাই ! বাপরে তোর কী দম ! তুই শালা বয়সের যম ! চালিয়ে যা ! 


এ কথা সত্যি-- শরীর কে বিশ্বাস নেই। কখন যে নাভিশ্বাস উঠবে। আছে কোনো  fixed date  ?

তাই ভাই বোনেরা, আর কোরবেন না লেট।  আমার সামান্য বুদ্ধি-বোধ -- তবুও সনির্বন্ধ অনুরোধ-- ভালো লাগলে কথা গুলো নিয়ে নিন , আর ভালো না লাগলে , এই শালার বুড়োকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। 


দিচ্ছি না উপদেশ--আপাতত কথা শেষ -----------।              

------------------------ চলি  !! 


সংগৃহীত 

অচল মামলা সচল করা’র গল্প!,,,,, রকমারী গল্ল ফেইসবুক থেকে

 ‘অচল মামলা সচল করা’র গল্প!

(যারা বুঝাপড়া না করেই মামলা করতে চান!  তারা সময় নিয়ে হলেও গল্পটা পড়বেন)


‘গাজী সেরাজদ্দিন', দাদার আমলে অনেক জায়গা-সম্পত্তি ছিল। বাবার আমলেই বিক্রি শুরু। নিজের আমলে তলানিতে তলিয়ে যায় সম্পত্তি। পাতিলের তলার ভাতে যে কারণে ‘কণা’ থাকে সে কারণে তলানির সম্পত্তিতেও সমস্যা থাকে। গাজী সেরাজদ্দিন মামলা করতে আসেন সদরে। এক আইনজীবী কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন ‘মামলা চলে না’। আইনজীবীর কথায় সেরাজদ্দিন খুশি হয়নি। কাগজপত্র ফেরত নিতে চাইলেই, আইনজীবী সাহেব,

- আমার পরামর্শ ফি?

- আমি তো আপনার পরামর্শ নিলাম না।

- কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে আমার সময় নষ্ট হয়েছে, সেই সময়ের মূল্য?

- সময় নষ্ট তো আমারও হয়েছে।


বে-কায়দায় পড়ে গেলে কোনো উকিলই মক্কেলের সাথে কথায় কুলিয়ে উঠতে পারেন না। মক্কেল কাগজপত্র নিয়ে চলে গেল পাশের চেম্বারে। পাশের চেম্বারে লোকজন গিজগিজ করছে। বাবার সাথে মাঝে মাঝে সদরে আসার কারণে সেরাজদ্দিনকে অনেকেই চেনে। উকিল সাহেবের নজর পড়তেই,

- গাজী সাহেব কী কারণে সদরে?

- আর বলবেন না, এক মাঠে মড়া উকিলের কাছে এসেছিলাম মামলা করতে। আমার দিনটাই মাটি করে দিলো। সারা দিন কাগজ নাড়াচাড়া করে এখন কয়, মামলা চলে না।

- কে বলে মামলা চলে না। চালাতে জানলেই চলতে শুরু করবে। খরচপাতি একটু বেশি লাগে, এই আর কী!


বেশি খরচ দিতেই চলতে শুরু করে মামলা। অচল মামলা সচল রাখতে গিয়ে উকিল সাহেব কখনো চঞ্চল, কখনো অস্থির এবং কখনো গম্ভীর হয়ে উঠতেন। উকিল সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে এরকম বিপরীত আচরণ করতেন সেরাজদ্দিনও। উকিল সাহেবের অস্থির ভাব দেখে স্বস্তির ভাব নিয়ে মামলার হালচাল জানতে চাইত সেরাজদ্দিন। উত্তরে আইনজীবী,

- অচল মামলা তো, বড় কষ্ট করে সচল রাখতে হচ্ছে।


সেরাজদ্দিনও মানুষ, হাবভাব দেখেই উকিল সাহেবের কষ্ট বুঝতে পারেন। উকিলের কষ্ট বুঝতে পারেন বলেই অন্যান্য মক্কেল যেখানে ১০ টাকা খরচ করে, সেখানে সেরাজদ্দিন খরচ করেন ২০ টাকা। নিজের পেটের খরচ কমিয়ে উকিল সাহেবের খরচ বাড়িয়ে দেন। বছর পাঁচেক পর মামলা দো-তরফাসূত্রে খারিজ হয়ে যায়।

- এত ভালো মামলা খারিজ হয়ে গেল?

উকিল সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত কণ্ঠে প্রশ্ন করেন সেরাজদ্দিন।

- হাকিম মামলা বোঝে না।

বিজ্ঞের মতো উত্তর দেয় বিজ্ঞ আইনজীবী।

- এখন কী করতে হবে?

বিষণ্ণ বদনে প্রশ্ন করেন সিরাজদ্দিন।

- আপিল করতে হবে।

বিজ্ঞের মতো উত্তর দেন আইনজীবী সাহেব।


আপিল দায়ের করতেই আবার চলতে শুরু করে মামলা। উভয় কোর্টের উকিল এক ব্যক্তি হলে কী হবে, নিম্ন আদালত আর আপিল আদালত এক নয়। আপিল আদালত বড় আদালত, খরচও বড়। সর্ব প্রকারের খরচ বাড়িয়ে দেয়া সত্ত্বেও উকিল সাহেবের খাটাখাটির কোনো মূল্যায়ন না করে বছর কয়েক পর বিজ্ঞ বিচারক নির্মমভাবে আপিলও খারিজ করে দেন।

-ওদের (হাকিমদের) মাথায় কিচ্ছু নেই। কী বই পড়ে হাকিম হয়েছে, বুঝতে পারলাম না। আমার ক্ষমতা থাকলে এসব মাথাবিহীন হাকিমদের বান্দরবান পাঠিয়ে দিতাম।


সেরাজদ্দিন কৈফিয়ৎ চাওয়ার আগেই সেরাজদ্দিনকে শুনিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে হাকিমের মাথা ও বিদ্যা-বুদ্ধির স্বল্পতা নিয়ে অনেক কথা বলেন বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেব। আবার আপিল হয়। আবার খারিজ হয়, হয় রিভিশনও। রিভিশনও শেষ হয়। এক দিন শেষ হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। মামলা চলাকালে মক্কেলের জ্বালা উকিল বুঝল- উকিলের জ্বালা মক্কেল বুঝল। দু’জনের মিলিত জ্বালা গত ২২ বছরেও বুঝল না বিচারক। মামলা সাথে সাথে জোয়ান সেরাজদ্দিন গাজীর টানটান চামড়াও ঢিলেঢালা হয়। ‘গাজী সেরাজদ্দিন’ নামটিও একসময় সংক্ষিপ্ত আকারে হয়ে পড়ে ‘ছিরোগাজী’।


শেষ বিচারের ভার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে এখন উকিলের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পালা। এক থলে কাগজপত্র নিয়ে গাজী সেরাজদ্দিন সে-ই আইনজীবীর চেম্বারের সামনে দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল, যে-ই আইনজীবী বলেছিলেন, মামলাটি চলে না। সেদিন প্রথম আইনজীবীর পারিশ্রমিক না দিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে চলে গিয়েছিল সেরাজদ্দিন। প্রথম আইনজীবীর অবজারভেশন যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণের জন্য মামলার ওপর পরোক্ষ নজর রাখতেন প্রথম আইনজীবীও। গাজী সেরাজদ্দিন ছিরোগাজী খেতাবসহ দ্বিতীয় আইনজীবীর চেম্বার থেকে বিদায় হয়ে যাওয়ার সময় খোঁচা দিয়ে,

- গাজী সাহেব, মামলার খবর কী?

প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হন্ হন্ করে বের হয়ে যায় ছিরোগাজী। উত্তর দেন দ্বিতীয় আইনজীবী। কারণ, প্রথম আইনজীবীর কথার খোঁচা লেগেছিল দ্বিতীয় আইনজীবীর গায়েও। দ্বিতীয় আইনজীবী প্রথম আইনজীবীর কাছে এসে,

- আপনি তো বলেছিলেন ‘মামলাই চলে না’। আমি ২২ বছর চালাইলাম। জুনিয়ার থেকে সিনিয়র হলাম, ছেলে-মেয়ে মানুষ করলাম, বাড়ি করলাম, গাড়ি করলাম, (বৃদ্ধাঙ্গুলি মুখের কাছে নিয়ে) আপনি কী করছেন?


- (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, মনে মনে) ঠিকই তো, মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেল, কিছুই তো করতে পারলাম না।

অচল মামলা সচল রাখতে কোনো কোনো আইনজীবীর ভাগ্যের চাকা খুলে গেলেও বন্ধ হয়ে পড়ে ক্লায়েন্টের জীবনের চাকা। ‘গাজী সেরাজদ্দিন’ সুন্দর নামটিও মামলাবাজ ‘ছিরোগাজী’তে রূপান্তর হয়ে এলাকায় হয়ে পড়েছিলেন উপহাসের পাত্র।

---------------------------------------------


এবার সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। ফি দিয়ে সঠিক পরামর্শ নিবেন নাকি চটকদার, মিষ্টি  কথায় মুগ্ধ হয়ে ২২ বছর পার করে শূন্য হাতে বাড়ী ফিরবেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো মানুষ উচিত কথা শুনতে পছন্দ করেনা। উচিত কথা বললে মামলা মোকদ্দমা পাওয়া যায় না বা কম পাওয়া যায়। বরং মক্কেল যে প্রাপ্তি সংবাদ শুনতে চায়, সেটা বললে উপরের ঘটনার মত বেশী ফি আদায় করা যায়।


ধন্যবাদ Rokon ভাই।

স্যারের মেসেজ 29/05/2025

 স্যারের মেসেজ ২৯/০৫/২০২৪


আজকে আবহাওয়ার অবস্থা ভালো সকলের DPL সমস্ত প্রোডাক্ট মেলায় একটা ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করুন মিনিমাম দোকান থাকবে ৩০ টা।,,,,,,,,,,,,,,,

সুপারভাইজার ভাই আপনারা সকলের সাথে ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেন এবং মেজারমেন্ট কালেকশন করেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার বানিয়ে দিন।,,,,,,,,,,,,,,,,,

আজ সারাদিন যারা কাজ করবেন তারা শুধুমাত্র DPL মেজারমেন্ট নিয়ে কাজ করবেন।


এ মাসে মাত্র ১১ জন লোক সেল করতেছে বাদবাকি লোকের কোন সেল নাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব sales করার জন্য.. সেলস না করতে পারলে তারা অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজতে পারেন।,,,,,,,,,,, 

প্রিয় সেলস লিডারগন । 

সবার প্রতি সালাম ও শুভেচ্ছা। 

ব্রি ধান ৭৫ একটি সল্প মেয়াদি  ধান।  রংপুর, দিনাজপুর,  ঠাকুরগাঁও,  জয়পুরহাট, নীলফামারি  ও বগুড়ার যে এলাকা তে আমন ধান করার পরে আলু বা শরিষা অথবা  আগাম সবজি  আবাদ করে ঐ এলাকাতে  ব্রি ধান ৭৫ ব্যাপক ভাবে আবাদ হয়।এছাড়া যশোর চুয়াডাঙ্গা আগাম   সবজি আবাদের জন্য ৭৫ ধান আবাদ করে থাকে।   এই অঞ্চলের সেলস প্রতিনিধিরা একটু মেহনত করলে  ৭৫ ধান আরও কিছু  বিক্রয় করা সম্ভব হবে।  ব্রি ধান  ৯৩ বা সর্না -৫  উত্তর অঞ্চলের সব জেলাতেই আবাদ হয়।  বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আপনারা অনেক ভাল করছেন।  আমরা আশাবাদী আপনারা আরও ভাল করবেন। 

ধন্যবাদ।

,,,,,


সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৯-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৯-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


১৪ হাজার তিনশো কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন - ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধগুলো বর্ষার আগেই দ্রুত মেরামত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।


ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি - দুর্যোগ কবলিত মানুষের সহায়তায় সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম শুরু।


আগামীকাল ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে পটুয়াখালী যাবেন প্রধানমন্ত্রী - জানালেন ওবায়দুল কাদের।


তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ - সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।


সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি অপতথ্য ও অপপ্রচার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালনের ওপর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ।


নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।


আজ দেশের বিভিন্ন ভেন্যুত অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের পাঁচটি খেলা।

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৮-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৮-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। 


রিমালে এ পর্যন্ত নিহত ১০ জন; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ — ব্রিফিংয়ে জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।


ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


সম্প্রতি রাফার ক্যাম্পে আক্রমণের জন্য ইসরাইলের প্রতি নতুন করে বিশ্বব্যাপী নিন্দা।


আজ ডালাসে টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৭-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৭-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল - বাতাসের গতিবেগ ছিলো সর্বোচ্চ ১১১ কিলোমিটার। 


সঠিক পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের ফলে ঘূর্ণিঝড়ে তেমন প্রভাব পড়েনি - বললেন আবহাওয়াবিদ।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বৃষ্টিপাত।


আদালতের রায় কার্যকর করতে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনবে সরকার - পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।


কোনো সাংবাদিক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে সরকার - জানালেন ওবায়দুল কাদের।


প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর।


রাফার কাছে শরণার্থী শিবীরে ইসরাইলী হামলায় অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত।


ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভ সূচনা।

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৬-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৬-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে - মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার - জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। 


ঢাকাবাসীকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে কাজ করছে সরকার - বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপনি বিতানসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


দেশজুড়ে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫-তম জন্মজয়ন্তী।


কোনো দলের নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা সরকারের নেই - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


ভারতের গুজরাটে একটি বিনোদন পার্কে অগ্নিকাণ্ডে ৯টি শিশুসহ কমপক্ষে ২৭ জনের প্রাণহানি। 


গতরাতে টেক্সাসে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

কঠিন বাস্তবতা সাল ২০৮০ 

 কঠিন বাস্তবতা

🕛 সাল ২০৮০ 🕛

বিছানায় শুয়ে শুয়ে বোরিং হয়ে গেছি । বেড বক্সের উপর থেকে চশমাটা হাতরে নিলাম আর খাটের পাশ থেকে লাঠিটা নিয়ে নাতনীর ঘরে গেলাম গল্প করব বলে। গিয়ে দেখি, ল্যাপটপে কিছু একটা করছে। আমি যেতেই বলল, দাদুন তুমি ! বসো বসো। আমি টিউশনে যাবো। বসলাম ওর ঘরে। ল্যাপটপটা খোলাই ছিল। চশমা চোখে দিয়েও ভালো দেখতে পারি না। হঠাৎ মনে পড়ল আজ কত যুগ ধরে ফেসবুকে যাই না। অথচ যে ছেলেটা না এখনকার বুড়োটা একসময় দিন রাত ফেসবুকে চ্যাটিং, ছবি আপলোড দেওয়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো। অনেক কষ্টে পাসওয়ার্ডটা মনে করলাম। আইডিটা লগ ইন করে দেখি ইনবক্সে ৮৬৭৮ টা ম্যাসেজ। আইডিটা চেনাই যাচ্ছে না। সব অপরিচিত লাগছে। ফ্রেন্ড সংখ্যা ছিল ৪৭৮৮ জন। কিন্তু এখন চ্যাট লিস্টে আছে ২৮ জন। বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় হয়ত ওরাও আর ফেসবুক চালায় না। ইনবক্সে ঢুকতেই আমার ক্লোজ কয়েকটা ফ্রেন্ডের ম্যাসেজ। বন্ধু শরীরটা ভালো নেই। বেশিদিন হয়ত বাঁচব না। ম্যাসেজটা ছিল ৫ বছর আগে। খবর পেয়েছি ৪ বছর আগেই সে মারা গেছে। আমার বেস্টিও ৯ বছর আগে মারা গেছে। ওর সাথে চ্যাটিং গুলো পড়ে খুব ভালো লাগছিল। গ্রুপে ফ্রেন্ডদের সাথে কত মজা, আড্ডা এ সবই পড়ে আছে। ওদের অধিকাংশইই মারা গেছে। এরপর চ্যাট লিস্টের একদম শেষে পেলাম তার ম্যাসেজ। হ্যা আমার সেই পুরোনো "একতরফা" ভালোবাসা। ওর কোন খবরই জানি না। কত ভালোবাসতাম দুজন দুজনকে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে বিয়েটা হয়নি । আজ অনেক দিন পর তার কথা মনে পড়ছে। তার আইডিটায় ঢুকলাম লাস্ট পোস্ট ছিল ১৬ বছর আগে। তার নাতনীর সাথে ছবি। আরো একটু নিচে যেতে দেখলাম তার ফ্যামিলির ছবি। সে, তার স্বামী, মেয়ে, ছেলে আর নাতী- নাতনী। খুব হ্যাপি ফ্যামিলি। ওকে যেদিন শেষ দেখেছিলাম - চুলগুলো সেই রকম স্টাইল দেওয়া, পড়নে লাল শাড়ী ছিল , ভাগ্যক্রমে এখন তার ছিল অন্য। কিন্তু এখন এই ছবি গুলোতে সাদা শাড়ি পড়া, চুলগুলো সব সাদা। কিছু কিছু আবার মেহেদী দিয়ে লাল করা। হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রীনে নিজের ছবিটা দেখলাম। হ্যা আমিও তো বুড়ো হয়ে গেছি। ও দেখলে নিশ্চয়ই বলত, বুড়ো দাদু। আচ্ছা ও কি আজও বেচে আছে ? জানি না ! ওর আইডিটায় শেয়ার করা একটা পোস্ট পেলাম। একজন ওর আইডির স্ক্রীনশট দিয়ে লিখেছে, এই দাদী গতকাল আনুমানিক বিকেল ৫ টায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন , উনি যেনো সর্গ লাভ করেন এই আমার পার্থনা। পোস্ট পড়েই থমকে গেলাম। পাঁচ বছর আগের পোস্ট। ও মারা গেছে তাহলে ? হায়রে !. কোথায় সেই একসাথে বাঁচবো বলে কথা দেওয়া দিনগুলো। অজান্তেই চোখের কোনে পানি এলো। এরপর পরিচিত ফ্রেন্ডদের আইডিটা দেখছিলাম। ওদের আইডিটা এখনো প্রানবন্ত। কিন্তু ওরা প্রানবন্ত না। অনেকেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে। যে ফ্রেন্ডটা রোজ নতুন নতুন সেলিফি আপলোড দিত ও ২০ বছর আগে ক্যান্সারে মারা গেছে। খবর শুনে দেখতে গেছিলাম। মজার মজার জোক্স পোস্ট করা ফ্রেন্ডটার খবর জানি না। লেখক ফ্রেন্ডটা ৮ বছর আগেও একটা পোস্ট দিয়েছে ওর ছেলে ওকে বৃদ্ধা আশ্রমে ফেলে এসেছে এই নিয়ে। ওর সাথে যোগাযোগ নেই। এরপর আমার আইডিটায় গেলাম। এত ট্যাগের ভিড়ে নিজের শেষ পোস্টটা পাচ্ছিলাম না। এইতো অনেক কষ্ট খুঁজে পেয়েছি ৩৩ বছর আগে আমার স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলাম। সেই খানকার কয়েকটা পিক। আরো প্রিভিয়াস পোস্টগুলো পড়ে কখনো হাসলাম। কখনো কাঁদলাম।

হঠাৎ নাতনী ডাক দিল দাদু আমি রেডি। টিউশনে যাব। ল্যাপটপ দাও।

আমি: ল্যাপটপ নিয়ে টিউশনে যাবি?

নাতনী: আরে তুমি আদি যুগের মানুষ বোঝো না? আমরা তো ভার্চুয়াল ক্লাস করি।

আমি: ওহ! তা বই খাতা লাগে না?

নাতনী: ধূর! কি বল? ক্লাস করতে বই খাতা লাগে?

আমি: ওহ! লাগে না?

নাতনী: তোমাদের সময় লাগতো?

আমি: হ্যা লাগতো তো। তবে তখন আমরা বইয়ে পড়তাম দেশে ভার্চুয়াল ক্লাস হবে।

নাতনী: হা হা হা। টিউশনে খাতা - কলম লাগতো! দারুন ফানি! আচ্ছা আমি যাই টিউশন শেষে তোমাদের কালের গল্প শুনবো।

হ্যা এখনকার আধুনিক আমরা ২০৮০ সালের আদিম আমরা। আমাদেরও ওই যুগের ছেলে মেয়েরা আদি কালের মানুষ বলবে। 

"জানিনাা ২০৮০ সাল পর্যন্ত বাঁচবো কি না ! 😅

যদি বেঁচে থাকি তাহলে টাইমলাইন এ এসে লেখাটা আরো একবারের জন্য পড়বো 🙂❤️, আর এই সুন্দর দিনগুলোর কথা মনে করবো"।

#copiedpost

রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

ব্যাখ্যা,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 #ব্যাখ্যাঃ বন্ধুগণ,চাকরি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে চাকর থেকে।চাকর তুর্কী শব্দ, এর মানে হল দাসত্ব।ইংরেজ শাসনামলে যখন আমরা আক্ষরিক অর্থেই দাস ছিলাম তখন তারা  শাসনকার্যের সুবিধার্থে আমাদের দেশীয় লোক নিয়োগ দিত নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী হিসাবে।আর এই দেশের মানুষের মূল সমস্যাই হল সাদা চামড়ার মানুষ দেখলে হুশ হারায়ে ফেলে। তাদের পাংখাপুলার, বাবুর্চি, ঝাড়ুদার, আয়া সব হত উপমহাদেশীয়। তাদের কাছে আমাদের লেভেল ছিল ওই পর্যন্তই এবং সবচাইতে অদ্ভূত ব্যাপার হল, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও তারা ওভাবেই তৈরি করল যেন শিক্ষিত হবার পর সবাই চাকর হতে পারে।পাখি উড়ে গেলেও যেমন পালক ফেলে যায় তেমন ইংরেজরা চলে গেলেও তাদের তৈরি সিস্টেম থেকে গেল।বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকেই ভাল চাকর হিসাবে গড়ে তোলা শুরু হল।বর্তমানে একজন মানুষের সাফল্যের মাপ- কাঠিই হল ভাল একটা চাকরি।আমি ফেসবুকে অনেক কেই দেখি নিজের জব নিয়ে ব্র্যাগ করতে।নিজের বসের সাথে সেলফি দিতে বা ছবি দিয়ে আনন্দে গদগদ হয়ে যেতে।প্রমোশন নিয়ে নাচতে।কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে আপনার সাথে আপনার বাসার কাজের বুয়ার স্পেসিফিক তফাৎ নেই। কিভাবে?ওকে মিলিয়ে দেখেন, বুয়া মাস শেষে বেতন পায়, আপনিও পান।বুয়া কামাই দিলে বুয়ার বেতন কাটেন, সেইম গোজ টু ইউ।বুয়া রান্না বান্না ধোয়া মোছা করে কারণ তার কাজে এটুকু শিক্ষাই যথেষ্ট।আপনি অংক ইংরেজী হিসাব বিজ্ঞানে ভাল।কারণ আপনার কাজে ওসব শিক্ষা লাগে।বুয়া লেট করে আসলে আপনি তাকে গালমন্দ করেন, আপনি লেট করে একদিন অফিসে যান দেখি।এখন, বুয়ার রান্না ভাল হলে, বা কাজ ভাল হলে আপনি তার বেতন বাড়িয়ে দেন, এবং তাকে ভাল দুইটা কথা বলেন। এখন আপনার জায়গায়   আপনার বস আর বুয়ার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করে দেখেন।আলটিমেটলি চাকরি জীবি মানেই চাকর, বস মানেই মালিক।শব্দের বলার ধরণ আর ভাষাটাই বদলায় অর্থ বদলায় না।আপনাকে একদিন মাথায় হাত  বুলিয়ে আদর করার মানে কিন্তু এই না যে আপনি বিরাট কিছু হয়ে গেছেন।এটা হল আপনাকে নবউদ্যমে লাথি মারার পূর্বপ্রস্তুতি।আপনার কাজের বুয়া না পোষালে আপনার বাসার কাজ লাথি মেরে ভাগতে পারে।আপনি এত সহজে চাকরি ছাড়তে পারবেন না।তাইলেই বোঝেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাকরীজীবির পজি শন বুয়ারও নিচে।জানি সবগুলো কথা সবজায় গায় খাটে না।ভিন্নতা থাকবেই কিন্তু ভিন্নতা উদাহরণ হতে পারে না।এটাও বলতে পারেন, দেশে এত লোক বেকার হেন তেন।আমি বলব বেকার না থেকে নিজে চেষ্টা করে কিছু করলেই পারে।যারা চাকরিজীবি চিন্তা করে দেখেন, আপ- নাদের বেশির ভাগের মালিকই আপনার তুলনায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় অনেক নিচে।তারা আপনাকে চাকরী দেবার মত হেডাম দেখাইতে পারলে আপনার কি হাত পায়ের কমতি আছে নাকি?কিন্তু আমি জানি আপনারা পারবেন না।মায়ের দুধ ছাড়ার পর থেকেই আপ- নাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে ভাল চাকর হবার।মোটিভেশন স্পীচও আপনারা এই ব্যাপারেই শোনেন যে কিভাবে ভাল চাকর হতে পারব, কিভাবে ভাল কাজ পাব।একজন মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে সফল হবে তার সীমাটা সে নিজেই নির্ধারণ করে।আমার সোনার বাংলা দেশের ছেলেদের দৌড় চাকরি পর্যন্তই। পাশের  দেশ ভারত এই চাকরির চক্কর থেকে ধীরে ধীরে বাইরে আসছে।ওদের দেশে অসংখ্য স্টার্ট আপ হয়। ফ্লিপকার্ট, জাবং, ট্রিভাগো। ছোট ছোট পোলাপান কলেজ পাশ করার আগেই মিলিয়ন ডলারে খেলে।শুধু অ্যাপ দিয়ে মিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রী দাড় করিয়ে ফেলে।আমাদের দেশ এখান থেকে বের হতে পারবে না সহজে।বাপের থাকলে বসে খাবে আর না থাকলে চাকর হবে। তবে অনেকেই এখন চেষ্টা করছে নিজে কিছু করার। তবে সেই চেষ্টাটা খুব নগণ্য আর যারা করছে তাদের অধিকাংশই শো অফ করে আর একজন আরেক জনের পিছে লেগেই সময় পায় না।No hard feelings.আপনার পেশা নিয়ে বলার অধিকার আমার নাই।আমি জাস্ট আত্ম উপলদ্ধ্বিটা বললাম।butthurt হবার কিছু নাই।আল্লাহ মহান।আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।জয় হোক দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং এদেশের জনগণের।আল্লাহ সহায় হোন।আমিন। 


মোঃআবুল কালাম আযাদ,

                       এডভোকেট, 

জজ কোর্ট,লক্ষ্মীপুর।বাংলাদেশ।  

মোবাঃ০১৭১৬৫৫৫৩১২

লিওনার্দো ভিনন্ঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের ছবি বলা হয়,,,,, কিন্তু টর্চ লাইট দিয়ে খুঁজলপও সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়াটা কঠিন,,,,

 🔴 লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর


সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু


মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য


খুজে পাওয়াটা কঠিন!


কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক


মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং


তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে


গেছেন অসংখ্য রহস্যের.........


১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন।


১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক


ভাবে মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর সময় নিয়ে আকা


মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান!


অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি


সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল.......


ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়,


এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর। অবাক করার বিষয়


হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল


থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি


পরিবর্তন করে!


এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা!


১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে


মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা


মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন


প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা!


কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!!


রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি


১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে


দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি


ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বলেছিল সে চোরকে


দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়। প্রায় ৩৫০ বছর


আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!!


১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া


যায়। লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের


জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ


কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য


এতো টাকা খরচ!!


এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা


কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০


মিলিয়ন ডলার।


টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!!


মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও


দিয়ে যাননি। ২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে


অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে


দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে


ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা


জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ


করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা


শুরু করেন।


২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার


ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন


ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন


যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর


৪০ মাইক্রোমিটার।


অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা!


পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার


ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে


লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।


সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই


আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা


পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে


দিয়েছে!


সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে


মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।


মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে


হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে


মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে।


মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে


হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে


তাকালেই সে হাসি গায়েব!


সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার


ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি


ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার


করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা শ্রী


তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।"


যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার


এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে


সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি


বোঝাতে চেয়েছিলেন?"


প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র


উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।


অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে


দেয়ার মত!


ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা


দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।


সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি


তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির


জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে


দেখেছিলেন!


ছবিটা একটা এলিয়েনের!!


ভিনগ্রহের এলিয়েন.....!!😲😲


কালেক্টেড



মুশফিকা ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া

 আমি সিনেমা যে খুব বুঝি তা নয়, তবে সময় পেলে ভালো মুভি খুজি। আজও "কেহনা হি কেয়া" গানটা শুনতে শুনতে ইচ্ছে হলো মানি রাতনামের "Bombay" মুভিটা দেখি। জিরো এক্সপেকটেশন নিয়ে দেখতে বসলাম। আমি মুভিটার ব্যাকস্টোরি জানতাম না। দেখার আগেও সার্চ দেই নি। প্রথম অর্ধেকে একটা ক্লিশে একটা প্রেমকাহিনী যেখানে প্রেমের বিরোধিতা করায় দুটো ছেলেমেয়ে ঘর ছেড়ে বোম্বে চলে যায় নিজেদের একটা দুনিয়া বানানোর জন্য৷ দুই পরিবার তাদের প্রেমে মোটেই রাজী থাকে না কারণ দুজনের ধর্ম আলাদা। চিঠির মাধ্যমে ত্যাজ্য, মৃত ইত্যাদি বলে। খুব ই নরমাল স্টোরি সেকেন্ড হাফে এতোটা ড্রাসটিক্যাল চেঞ্জ দেখাবে অকল্পনীয় ছিলো। হার্ডহিটিং কিছু মুভি থাকে না যা আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবে দেখ বাস্তব এই মুভিটাও তেমন। ৯২/৯৩ এ ইন্ডিয়াতে হয়ে যাওয়া কমিউনাল রাওট গুলো এতোটা বাস্তবিক ভাবে দেখবো অকল্পনীয় ছিলো। যে পরিবারের ভয়ে তারা বোম্বেতে এলো সেই পরিবার তো তাদের আপন করে নিলো কিন্তু পারিপার্শ্বিক দাঙ্গা ফাসাদে সব হারিয়ে ফেললো তারা। সুখের সংসার মুহূর্তেই পুড়ে গেলো। 


কিছু মোমেন্ট গুলো এতোটা বাস্তবিক রুপে দেখানো হয়েছে যে দেখতে গেলে বারবার এক প্রশ্নই মাথায় আসছিলো, "মানুষ কি তার মনুষত্ব ঠিকিয়ে রেখেছে!" আবার কিছু মোমেন্ট এমন ছিলো যেখানে আপনাকে ফিল করাবে না মনুষ্যত্ব এখনো আছে। দুটো উদাহরণ দেই; একটি সিন ছিলো যেখানে দুটো ছয় বছরের বাচ্চাকে ছু রি ধরে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিলো তাদের ধর্ম। এরপর তাদের উপর কেরোসিন ঢেলে দিচ্ছিলো৷ আরেকটা সিন ছিলো যেখানে একজন মুসলমান নামায পড়ছিলো, তার ঘরে আগুন জ্বলছে একজন হিন্দু তাকে বলছে বের হয়ে যা। সে তার নামাজের পাটি উঠাতে নিবে তখন হিন্দু মানুষটি তার নামাজের পাটিটি উঠিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটছে যেনো দুজনের প্রাণ বাঁচে। কিন্তু তারা বাঁচলো না একই সাথে পুড়ে মরলো। ডিরেক্টরের থট প্রসেসে আমি মুগ্ধ। এই সিনেমাটা না দেখলে এমন মিশ্র অনুভূতি কখনোই হতো না। যারা দেখেন নি অবশ্যই একবার দেখবেন। মুভি শেষে একটা মিশ্র অনুভূতি হবে, তবে সেই অনুভূতিটা অনেক সুন্দর।


বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানীর লেখা বই পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে রাখা

 ভাবা যায়!!! 

বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানীর লেখা বই পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে রাখা হয়। আর সেখানে, তাঁকে বাঙালি চিনেও না, নামও শুনেনি হয়তো অনেকে। নিচের লেখাগুলোতে সেটাই স্পষ্ট-


"বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, "সে সেরা। আমি তার কাছে কিছুই না।"


"সায়েন্স ওয়ার্ল্ড" নামে একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ২০০৭ সালে জামাল নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ফিচার ছাপিয়েছিল। বাংলাদেশের কোনো ম্যাগাজিনে উনাকে নিয়ে লেখা এটিই ছিলো প্রথম ও শেষ ফিচার।


"কৃষ্ণবিবর" নামে উনার একটি বই আছে যেটা বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর ।


শুধু এটাই নয়, "কৃষ্ণবিবর" "দ্য আল্টিমেট ফেইট অব ইউভার্স" "রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি" বইগুলো অক্সফোর্ড কেমব্রিজ আর হার্ভার্ড এর মত বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও ১০০ টারও বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পড়ানো হয়।

কিন্তু যে দেশে তিনি জন্মেছিলেন, সেই বাংলাদেশের কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বই থেকে কোন লেকচার দেয়া হয় বলে আমার জানা নেই...


২০০১ সালে যখন পৃথিবী ধ্বংস হবার একটা গুজব উঠেছিল তখন জামাল নজরুল ইসলাম অংক কষে বলেছিলেন পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছুটে চলে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।


স্টিফেন হকিং কে চিনে না এমন মানুষ খুব কম আছে। উনার লেখা "আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম" বইটি এক কোটি কপিরও বেশী বিক্রি হয়েছে সারাবিশ্বে । সে বইটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে।


কিন্তু এই বইটি প্রকাশের প্রায় ৫ বছর আগেই ১৯৮৩ সালে জামাল নজরুল ইসলাম "দ্যা আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স" বইটি লিখেছিলেন। দুটো বই-ই প্রায় একই সব টপিকের উপর লিখা। ব্লাকহোল, ওয়ার্ম হোল, সুপারনোভা, কসমিক রেডিয়েশন, প্যারালাল ইউনিভার্স, বাটারফ্লাই ইফেক্ট ইত্যাদি সব জোতিপদার্থর্বিজ্ঞানীয় ব্যাপারগুলোই ঘুরেফিরে দুটো বইতেই উঠে এসেছে। কিন্তু তুলনামূলক বিচারে জামাল নজরুল ইসলামের বইটিকেই বিশ্বখ্যাত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগন অধিক মূল্যায়ন করেছেন, যেটি প্রকাশিত হয়েছিল হকিং এর বইয়েরও প্রায় ৫ বছর পূর্বে।

অথচ হকিং এর বই নিয়ে যতটা না মাতামাতি সারাবিশ্বে হয়েছে, তার ছিঁটেফোঁটাও হয়নি জামাল নজরুল ইসলামের কোন বই নিয়ে.. কেনো? পরে বলছি।

বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের ৭ জন শ্রেষ্ট বিজ্ঞানীর নাম বলতে গেলে সে তালিকায় নাকি জামাল নজরুলের নামও চলে আসবে।

বিশ্বের বুকে বাংলার গর্ব জামাল নজরুল ইসলাম। 


১৯৮১ সালে লন্ডনের লাখ টাকা বেতনের চাকরি এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে মাত্র ৩ হাজার (২৮ শত) টাকা বেতনের চাকরি নিয়ে তিনি চলে আসেন মাতৃভূমি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। তাই সব সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দেশে চলে এসেছিলেন।


সংগৃহীত: মহাকাশের যত কথা

পিরামিড রহস্য ৪

 পিরামিড রহস্য ৪


৭ পিরামিড তৈরির সবচেয়ে সমস্যা ছিল পাথর বহন। বিশাল বিশাল পাথরের চাঁই বহুদূর থেকে নিয়ে আসার মতো যন্ত্রপাতি আর প্রযুক্তি সেকালে আদৌ কি ছিল?


 এ প্রশ্নের উত্তর মিলতে সময় লেগেছে। তাই হয়তো মিসর নিয়ে মানুষ এত এত রহস্যের জাল বুনেছে।


 বেশির ভাগ পিরামিড তৈরি হয়েছে এমন সব জায়গায়, যার আশপাশে প্রচুর পাথরের জোগান আছে।


বহুদূর থেকে আসলে বয়ে আনা হয়নি পাথর। আনা হয়েছে আশপাশ থেকে। যেমন খুফু গ্রেট পিরামিড কেন গিজায় বানালেন। তাঁর বাবা স্নেফেরুর পিরামিডগুলো বানিয়েছিলেন।


দাশুরে। এর কাছাকাছি কোনো জায়গায় খুফু পিরামিড বানাতে পারতেন। তা না করে তিনি কেন গিজায় পিরামিড বানালেন, তার কারণ আগেই বলেছি —


 পাথরের পর্যাপ্ত জোগান। আসলে দাশুরের আশপাশের খনিগুলোতে পাথরের জোগান শেষ হয়ে গিয়েছিল।


তাই গিজাকে বেছে নেন খুফু। পর্যাপ্ত পাথরখনির কারণেই। সবাই এ সুবিধাটা পায়নি। দূর থেকেও পাথর বহনের নজির আছে পিরামিডগুলোতে। পাথর সহেজ নৌপথে পরিবহন করা যায়।


ভেলাজাতীয় জিনিস কিংবা বড় বড় নৌকা তৈরি করতে পারত মিসরীয়রা। ভাসমান কাঠ দিয়ে তৈরি করত ভেলা বা নৌকা। তার ওপর পাথরগুলো বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হতো নদীতে। সেসব ভেলার সঙ্গে দড়ি বেঁধে গুন টানার মতো টেনে নেওয়া হতো নদীর কিনার থেকে। কখনো কখনো গবাদিপশুও ব্যবহার করা হতো গুন টানার কাজে। তাই চুনাপাথরের খনি অনেক দূরে হলেও সমস্যা ছিল না।


তবে অল্প দূরত্বে নেওয়াও কম কঠিন কাজ নয়। এই কঠিন কাজটা মিসরীয়রা করার জন্য একটা বিশেষ জিনিস তৈরি করেছিল। পাথরের চেয়ে বড় মাপের কাঠের মাচা তৈরি করা হয়েছিল। মাচাগুলো অনেকটা বিশালাকার স্লেজ গাড়ির মতো। পাথরের চাঁইগুলো ঢালু জায়গা থেকে গড়িয়ে তোলা হতো মাচার ওপর।


 নৌকার নিচে পানি আছে। পানি ঠেলে সহজেই নৌকা বাওয়া যায়। মাচাগুলো চলে কীভাবে? তা-ও আবার শুকনা বালুর ওপর।


প্রথমে মাচা চলার রাস্তায় পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে বালুকে শক্তপোক্ত করা হতো, যাতে ধসে না যায়, তার ওপর রাখা হতো গাছের গুঁড়ি। সেই গুঁড়িগুলোর ওপর দিয়ে চালিয়ে দড়ি বেঁধে টেনে নেওয়া হতো। বহু লোক একসঙ্গে দড়ি বেঁধে কিংবা ঠেলে পাথর গড়িয়ে নিত।


 তাই কাজটা কঠিন হলেও অসাধ্য ছিল না। মনে রাখতে হবে, একেকটা বড় আকারের পিরামিড বানাতে ১০ হাজারের বেশি লোক কাজ করেছেন একসঙ্গে।


 তাঁদের মিলিত শক্তি কম নয়। তা সত্ত্বেও পিরামিড যখন উঁচু হতে হতে কয়েক শ ফুট হয়ে গেছে, তখন অত উঁচুতে কীভাবে তোলা হতো পাথর?


আসলে এ নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদেরাও দ্বিধাবিভক্ত। অনেকগুলো তত্ত্ব তাঁরা খাড়া করেছেন। সেগুলোর প্রতিটিই যুক্তিযুক্ত। তবে এটা ঠিক, সব পিরামিড একই পদ্ধতিতে তৈরি হয়নি। দিন যত এগিয়েছে, বদলেছে কৌশলের ধরন।


পিরামিড তৈরির একটা জনপ্রিয় তত্ত্ব হলো র‌্যাম্প থিওরি। এ পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হতো ঢালু পথ, যা পিরামিড কাঠামোর সঙ্গে লাগানো। এটা দেখতে গ্যারেজে গাড়ি ঢোকানোর জন্য পথের মতো। সমতল ঢালু পথ। এই পথে পাথরগুলোকে টেনে ওপরে ওঠানো হতো।


আরেকটা হলো সুইচব্যাক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনেকটা জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে পিরামিডের চারপাশে তৈরি করা হতো র্যাম্পগুলো। অনেকটা প্যাঁচানো ধাপহীন সিঁড়ির মতো। পিরামিডের নির্মাণকাজ শেষ হলে ধ্বংস করে ফেলা হতো সব কটি র‌্যাম্প।


অন্যদিকে পিরামিডের চারপাশে পরিখা খননেরও একটা কারণ বের করে ফেলেছেন গবেষকেরা।


 পিরামিডের চারপাশে বড় পাথরগুলো সরানোর কাজটাও কম ঝক্কির ছিল না। তাই ভেলায় বেঁধে সহজেই এপাশ থেকে ওপাশ করানো যেত পরিখার পানিতে ভাসিয়ে।

সংগৃহীত. 

১০০ টি কালজয়ী ভারতীয় বাংলা ছবি, শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দেখতে পারেন

 ♦️( ১০০ টি কালজয়ী ভারতীয় বাংলা ছবি, শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দেখতে পারেন)

অন্যতম সেরা একশত ভারতীয় বাংলা সিনেমা: আমার দেখা ভারতীয় উওমহাদেশে সবচেয়ে সমৃদ্ধ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। সেইখান থেকে একশত সিনেমা তালিকা করা ককষ্টসাধ্য ব্যাপার(নিচের সিরিয়াল মান অনুযায়ী নয়) 


১.পথের পাঁচালী(১৯৫৫)- সত্যজিৎ রায়

২.মেঘে ঢাকা তারা(১৯৬০)- ঋত্বিক ঘটক

৩.অপুর সংসার(১৯৫৯)- সত্যজিৎ রায়

৪.দেবী(১৯৬০)- সত্যজিৎ রায়

৫.নায়ক(১৯৬৬)- সত্যজিৎ রায়

৬.ইন্টারভিউ(১৯৭১)- মৃনাল সেন

৭.অযান্ত্রিক(১৯৫৮)- ঋত্বিক ঘটক

৮.বাঞ্চারামের বাগান(১৯৮০)- তপন সিনহা

৯.অশনী সংকেত(১৯৭৩)- সত্যজিৎ রায়

১০.আকালের সন্ধানে(১৯৮০)- মৃনাল সেন

১১.সাত পাকে বাঁধা(১৯৬৩)-অজয় কর 

১২.গনদেবতা(১৯৭৮)- তরুন মজুমদার

১৩.গল্প হলেও সত্যি(১৯৬৬)- তপন সিনহা

১৪.মহানগর(১৯৬৩)-সত্যজিৎ রায়

১৫.সোনার কেল্লা(১৯৭৪)- সত্যজিৎ রায়

১৬.পরশ পাথর(১৯৫৮)- সত্যজিৎ রায়

১৭.গোপী ঘাইন বাঘা বাইন(১৯৬৯)- সত্যজিৎ রায়

১৮.পদাতিক(১৯৭৩)- মৃনাল সেন 

১৯.যুক্তি তক্কো আর গপ্পো(১৯৭৪)- ঋত্বিক ঘটক

২০.হীরক রাজার দেশে(১৯৮০)- সত্যজিৎ রায়

২১.পারমিতার একদিন(১৯৯৯)- অপর্ণা সেন

২২.বাড়িওয়ালী(১৯৯৯)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

২৩.উৎসব(২০০০)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

২৪.পদ্মা নদীর মাঝি(১৯৯৩)- গৌতম ঘোষ

২৫.অরন্যের দিনরাত্রি(১৯৭০)- সত্যজিৎ রায়

২৬.একদিন প্রতিদিন(১৯৭৯)- মৃনাল সেন

২৭.সতী(১৯৮৯)- অপর্ণা সেন

২৮.আবহমান(২০১০)-  ঋতুপর্ণ ঘোষ

২৯.লাল দরজা(১৯৯৭)- বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

৩০.শব্দ(২০১৩)- কৌশিক গাঙ্গুলী

৩১.কাঞ্চনজঙ্ঘা(১৯৬২)- সত্যজিৎ রায়

৩২.সাড়ে ৭৪(১৯৫৩)- অগ্রদূত

৩৩.উত্তর ফাল্গুনী(১৯৬৩)- অসিত সেন 

৩৪.আগুন্তক(১৯৯১)- সত্যজিৎ রায়

৩৫.পরমা(১৯৮৫)- অপর্ণা সেন

৩৬.চোখের বালি(২০০৩)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

৩৭.সুবর্ণ রেখা(১৯৬৫)- ঋত্বিক ঘটক

৩৮.চারুলতা(১৯৬৪)- সত্যজিৎ রায়

৩৯.হাঁসুলি বাঁকের উপকথা(১৯৬২)- তপন সিনহা

৪০.ঊনিশে এপ্রিল(১৯৯৫)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

৪১.কলকাতা ৭১(১৯৭২)- মৃণাল সেন

৪২.দহন(১৯৯৭)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

৪৩.বসন্ত বিলাপ(১৯৭৩)- দিনেন গুপ্ত

৪৪.জলসাঘর(১৯৫৮)- সত্যজিৎ রায়

৪৫.অপুর পাঁচালী(২০১৪)- কৌশিক গাঙ্গুলী

৪৬.এন্টনি ফিরিঙ্গি(১৯৬৭)-  সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় 

৪৭.জতুগৃহ(১৯৬৪)- তপন সিনহা

৪৮.অপরাজিত(১৯৫৬)- সত্যজিৎ রায়

৪৯.জন অরন্য(১৯৭৬)- সত্যজিৎ রায় 

৫০.বেলাশেষে(২০১৫)- নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

৫১.ইচ্ছে(২০১১)- নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

৫২.আমার ভুবন(২০০২)- মৃণাল সেন 

৫৩.সহজ পাঠের গপ্পো(২০১৭)- মানস মুকুল পাল

৫৪.দাদার কীর্তি(১৯৮০)-  তরুন মজুমদার 

৫৫.মুক্তধারা(২০১৩)- নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

৫৬.জাতিস্মর(২০১৪)- সৃজিত মুখোপাধ্যায়

৫৭.আসা যাওয়ার মাঝে(২০১৫) আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত

৫৮.দ্য জাপানিজ ওয়াইফ(২০১৪)- অপর্ণা সেন 

৫৯.আলো(২০০৩)- তরুন মজুমদার

৬০.কোমল গান্ধার(১৯৬১)- ঋত্বিক ঘটক

৬১.সোনার পাহাড়(২০১৮)- পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

৬২.চতুষ্কোন(২০১৪)- সৃজিত মুখোপাধ্যায়

৬৩.অন্তহীন(২০০৯)-অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী

৬৪.প্রাক্তন

৬৫.শুভ মহরত

৬৬.বালিকা বধূ

৬৭.হারানো সুর(১৯৫৭)- অজয় কর

৬৮.আকাশ কুসুম(১৯৬৫)-  মৃনাল সেন

৬৯.কাবুলিওয়ালা(১৯৫৭)- তপন সিনহা 

৭০.ঝিন্দের বন্দী(১৯৬১)- তপন সিনহা

৭১.ঘরে বাইরে(১৯৮৪)- সত্যজিৎ রায়

৭২.গয়নার বাক্স(২০১৩)- অপর্ণা সেন

৭৩.যুগান্ত(১৯৯৫)- অপর্ণা সেন

৭৪.গনশত্রু(১৯৮৯)- সত্যজিৎ রায়

৭৫.আরেকটি প্রেমের গল্প(২০১০)- কৌশিক গাঙ্গুলী

৭৬.চিত্রাঙ্গদা(২০১২)- ঋতুপর্ণ ঘোষ

৭৭.লাঠি(১৯৯৬)- প্রভাত রায়

৭৮.কালপুরুষ(২০০৫)- বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

৭৯.পরশুরামের কুঠার(১৯৮৯)- নবেন্দু চট্টোপাধ্যায় 

৮০.উত্তরা(২০০০)-বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত 

৮১.সবার উপরে(১৯৫৫)-  অগ্রদূত

৮২.সপ্তপদী(১৯৬১)- অজয় কর 

৮৩.নৌকাডুবি

৮৪.হঠাৎ বৃষ্টি

৮৫.তাহাদের কথা(১৯৯২)- বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত 

৮৬- অর্ন্তঞ্জলি যাত্রা(১৯৮৭)- গৌতম ঘোষ 

৮৭.যমালয়ে জীবন্ত মানুষ(১৯৫৮)- প্রফুল্ল চক্রবর্তী

৮৮.হসপিটাল(১৯৬০)- সুশীল মজুমদার

৮৯.ভানু গোয়েন্দা জহর এসিট্যান্ট(১৯৭১)- পুর্নেন্দু রায় চৌধুরী

৯০.বিদ্যাসাগর(১৯৫০)- কালী প্রসাদ ঘোষ 

৯১.ভানু পেল লটারি(১৯৫৮)- 

৯২.চৌরঙ্গী(১৯৬৮)- পিনাকি ভূষণ 

৯৩.দ্বীপ জ্বেলে যাই(১৯৫৯)- অসিত সেন 

৯৪.জ্যেষ্টপুত্র(২০১৯)- কৌশিক গাঙ্গুলী 

৯৫.হামি(২০১৮)- নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

৯৬.নিমন্ত্রন(১৯৭১)- তরুন মজুমদার 

৯৭.আদালত ও একটি মেয়ে(১৯৮২)- তপন সিনহা

৯৮.মনের মানুষ(২০১০)- গৌতম ঘোষ 

৯৯.সবুজ দ্বীপের রাজা(১৯৭৩)- তপন সিনহা

১০০.বাইশে শ্রাবণ(২০১১)- সৃজিত মুখোপাধ্যায়

©হৃদয় সাহা


কোন ছবি গুলো বাদ পরেছে যা এ লিস্টে আসার মত তা কমেন্টে জানিয়ে দিন ❤️

সংগৃহীত

জন্মদিনে স্মরণঃ  ও ম র  খৈ য়া ম

 জন্মদিনে স্মরণঃ  ও ম র  খৈ য়া ম


"রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে

প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে

বই, সে তো অনন্ত যৌবনা।"


[ সৈয়দ মুজতবা আলী / ওমর খৈয়ামের কবিতার ভাবানুবাদ  ]


গিয়াসউদ্দিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল খৈয়াম নামটি যেমন বড়, ঠিক তেমনি এ নামের মানুষটি অনেক বড় বড় কাজ করে গেছেন। হ্যাঁ, ওমর খৈয়ামের কথাই বলা হচ্ছে।


তিনি একইসাথে একজন দার্শনিক, কবি, গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ। রসকষহীন গণিত নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। আবার তিনিই লিখেছেন মধুর সব কবিতা। চতুষ্পদী কবিতার সেই অমর সংকলন ‘রুবাইয়াৎ’। 


আধুনিক বীজগণিতের ভিত্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। কাজ করেছেন ইউক্লিডীয় জ্যামিতি নিয়েও। ভূগোল, বলবিদ্যা, খনিজবিজ্ঞান, আইন, এমনকি সঙ্গীতও বাদ যায়নি তাঁর জ্ঞানপিপাসার তালিকা থেকে। জীবনের শেষ দিকে এসে হয়েছেন শিক্ষক; শিক্ষাদান করেছেন ইবনে সিনার দর্শন ও গণিত বিষয়ে। তিনি সত্যি অসাধারণ, অতুলনীয়, অনুপম; তিনি ওমর খৈয়াম।


তাঁর বাবা ইব্রাহিম খৈয়াম ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর মায়ের নাম জানা যায় না। 


ওমর খৈয়াম ভাগ্যবানই ছিলেন বলা চলে। কারণ তিনি ইসলামের স্বর্ণযুগে জন্মগ্রহণ করেন। সে যুগে ইসলাম ছিল সকল ধরনের গোঁড়ামি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা বিবর্জিত। আর মুসলমানরাও ছিল মুক্তমনা ও জ্ঞানপিপাসু। 


ওমরের বাবা ইব্রাহিমও তেমনই একজন মুসলিম ছিলেন, যিনি ছেলের জন্য জরাথ্রুস্টর ধর্মে বিশ্বাসী এক শিক্ষক বামান্যর বিন মারযবানকে নিয়োগ দেন। এই বামান্যরই কিশোর ওমরকে গণিত, বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ে শিক্ষা দেন। 


১০৬৬ সালে, অর্থাৎ যে বছর ওমর আঠারো বছরের কিশোরে পরিণত হন, সে বছরই তাঁর পিতা এবং শিক্ষক উভয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পিতা এবং পিতৃতুল্য শিক্ষকের মৃত্যুতেও ভেঙে না পড়ে সংসারের হাল ধরেন তিনি। 


১০৬৮ সালে তিনি সমরখন্দে চলে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার বন্ধু ও সে শহরের গভর্ণর আবু তাহিরের অধীনে কাজ শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই ওমরের অসাধারণ গাণিতিক জ্ঞান দেখে তাঁকে সরকারি অফিসে চাকরি দেন তাহির। এর কয়েক মাস পরই ওমর রাজার কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। এই সময়ে তিনি বীজগণিত চর্চা করতে থাকেন।


বীজগণিত দিয়েই নিজের গবেষণা জীবন শুরু করেন খৈয়াম। ১০৭০ সালে তিনি তার জীবনের অন্যতম সেরা কাজ, ‘ডেমনস্ট্রেশন অব প্রবলেমস অব অ্যালজেবরা অ্যান্ড ব্যালেন্সিং’ প্রকাশ করেন। 


ওমর খৈয়াম একজন অসাধারণ কবি ছিলেন। তাঁর ‘রুবাইয়াৎ’ পড়লে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। এটি একটি কবিতা নয়, শত শত কবিতার সংকলন। ইতিহাসবিদ সাঈদ নাফসির মতে, ‘রুবাইয়াতে’ প্রায় ২,০০০ চতুষ্পদী কবিতা আছে, যেগুলোর সব বর্তমানে পাওয়া যায় না। তবে সর্বনিম্ন সংখ্যাটিও বলে, ওমর প্রায় ১২০০ এর মতো চতুষ্পদী কবিতা লিখেছেন। তাঁর এই কবিতার সংকলন ১৯ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত অবহেলিতই ছিল। 


১৮৫৯ সালে এডওয়ার্ড ফিটজগেরাল্ড এই কবিতা সংকলনের ইংরেজি অনুবাদ ‘রুবাইয়াৎ অব ওমর’ প্রকাশ করলে ওমরের কবি খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর কবিতাগুলো পশ্চিমা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। এমনকি তাঁর নিজ দেশের চেয়েও বেশি!


ওমর খৈয়ামের জীবনের অনেক দিকই আমাদের অজানা। তাঁর অনেক কাজও দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারিয়ে গিয়েছে কালের স্রোতে। 


১১৩১ সালের ৪ ডিসেম্বর ওমর খৈয়াম তাঁর জন্মস্থান নিশাপুরে মৃত্যুবরণ করেন। 


দীর্ঘকাল তাঁর কবরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৯৬৩ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে তাঁর কবর খুঁজে পাওয়া যায় এবং তা নিশাপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সে স্থানটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। 


ওমর খৈয়াম ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মে পারস্যের বিখ্যাত বাণিজ্যিক শহর নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।


সৌদি আরবে লাভা টিউবে ১০ হাজার বছরের মানুষ বসত 

 সৌদি আরবে লাভা টিউবে

১০ হাজার বছরের মানুষ বসত 

**********************

আগ্নেয়গিরির লাভা সমতলে এগোবার সময় বাইরের দিকটি ঠান্ডা ও কঠিন হবার পর  ভেতরের লাভা বয়ে বের হয়ে গেলে ওখানে  সুড়ঙ্গের মতো গুহা রেখে যেতে  পারে। একেই বলা হয় লাভা টিউব।  সাধারণভাবে এমন কোনো কোনো লাভা টিউব যে প্রাচীন মানুষের আশ্রয় হয়েছে , তার প্রমাণ মিলেছে।   সম্প্রতি সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম  অঞ্চলে উম জিরসান  এলাকায়  মরুর মধ্যে এমনি একটি লাভা টিউবে ১০ হাজার বছর ধরে দফায় দফায় মানুষ বাসের বিস্তারিত প্রমাণ তো মিলেছেই , ওই নানা সময়ে এই এলাকার পরিবেশ নিয়েও জানা গেছে।  বাইরে খাঁ খাঁ রোদের  মরুতে প্রাচীন  জীবনের কোনো চিহ্ন না টিকলেও লাভা টিউবের ভেতর ঠান্ডা ও সুরক্ষিত পরিবেশে তার অভাব  ছিলোনা। আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে প্লস ওয়ান জার্নালের এবছরের এপ্রিল সংখ্যায় ম্যাথু স্টুয়ার্ট প্রমুখের নিবন্ধে। উম জিরসানের লাভা টিউবটি প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা , সব থেকে চওড়া জায়গায় ৪৫ মিটার প্রশস্ত , আর স্থান  বিশেষে ৮-১২ মিটার উঁচু।  মাঝে দুটি জায়গায় ধস থাকায় এটি তিন টুকরায় বিভক্ত ,  এছাড়া দুই প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ সম্ভব। ভেতরে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ আর খননে বিভিন্ন স্তর থেকে  পাওয়া গেছে মানুষ ও প্রাণী  হাড়ের ফসিল , পাথর দিয়ে তৈরি নানা  হাতিয়ার, আর গুহার শিলায়  প্রাচীন মানুষের খোদাই করা ছবি। হাড়গুলোর  বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের একটি  ছিল আইসোটোপিক বিশ্লেষণ। কোনো জিনিসে এটমগুলো একাধিক নানা আইসোটোপের রূপে থাকতে  পারে , নিউট্রন কণিকার সংখ্যায় প্রভেদ অনুযায়ী। এতে একই এটমের  বিভিন্ন আইসোটোপ কী অনুপাতে আছে তার সঙ্গে এর জীবৎকালের পরিবেশের সম্পর্ক আছে বলে এই অনুপাত থেকে সেই প্রাচীন পরিবেশের খবর আমরা পাই। ওভাবে উদ্ভিদভোজী প্রাণীর হাড়ের আইসোটোপ অনুপাত  থেকে বোঝা যাচ্ছে তারা   তাজা ঘাস আর গুল্ম খেয়ে বড় হয়েছে। সাত হাজার বছরের মতো  আগের দিকের  মানুষের হাড়ে এই অনুপাত সে সময় প্রচুর   মাংস-নির্ভর   খাদ্য প্রমাণ করছে -তা  পোষা পশু চারণের জীবিকার  আলামতও দিচ্ছে । অর্থাৎ বন্য পশুকে গৃহপালিত করার কৃষি-কৌশলটি ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে এসে গিয়েছিলো, অথবা অন্য জায়গা থেকে গৃহপালিত পশু আনা  হয়েছিল। । আরো কয়েক হাজার বছর পরের মানুষের হাড়ে আইসোটোপ অনুপাত দেখাচ্ছে মানুষের খাবারে খেজুর, ডুমুর, ও গম যোগ হয়েছে। এতে  এ সময় মরুদ্যান- নির্ভর চাষের কৃষি এখানে চালু হয়ে গেছে এমন সাক্ষ্যই মেলে। ফসিল হাড় ও অন্যান্য জিনিসগুলোর বয়স নির্ণয় করা হয়েছে খুব সুক্ষ সব বৈজ্ঞানিক উপায়ে।  কার্বন ডেটিং এবং অপ্টিক্যালি স্টিমুলেটেড লুমিনেসেন্স পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে যেখানে যেটি প্রযোজ্য। সাত হাজার আগের থেকে  মানুষের হাড় পাওয়া  গেছে - খুব সম্ভব বন্য হায়েনা ইত্যাদি এসে কবর ওলোটপালোট করার কারণে। পাথরের হাতিয়ার অবশ্য ১০ হাজার বছর আগে থেকেই পাওয়া গেছে। শিলার ওপরে আঁকা  ছবিগুলোতে মানুষ এবং পোষা ভেড়া ,ছাগল, কুকুর, ও গরুর ছবিই প্রায় সব. বেশ   সরলীকৃত করে আঁকা হলেও গরুর  সোজা সামনের দিকে  লম্বা শিং , ভেড়ার অনেকখানি ঘোরানো বাঁকা শিং ইত্যাদি অতিরঞ্জনের স্টাইলের মধ্য দিয়ে পশুর জাতগুলো ধরা পড়ছে। বিভিন্ন  কালের হলেও মনে হচ্ছে একই রকম অবসিডিয়ান পাথরের ধারালো সরু অস্ত্র দিয়ে শিলার ওপর রেখা খোদাই করে ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে-  বার্নিশ করা কালচে শিলার পিঠে কিছু রঙিন রেখা। ''' মানুষের পায়ের আওয়াজ'' বইটি দুনিয়ার নানা জায়গার নানা প্রত্ন-স্থানে আবিষ্কৃত প্রাগৈতিহাসিক  মানুষের জীবনের এমনি উদ্ঘাটনগুলো সামনে এনেছে তাদের নানা গল্পে। নিচের পেইজ নাম সার্চ করে আমার লেখক পেইজে গিয়ে বইটি সেখানেই পড়তে বা অর্ডার করতে পারবেন। পেইজটি ফলো করে,  পোস্টটি লাইক শেয়ার মন্তব্য করে  যোগ দিলে খুশি হবো।  



ছোট ছোট টিলার বুক চিরে তৈরী করা ইরানের আশ্চর্য গ্রাম,কান্দোভান " The Laleh Kandovan 

 " ছোট ছোট টিলার বুক চিরে তৈরী করা ইরানের আশ্চর্য গ্রাম,কান্দোভান " The Laleh Kandovan 


**********************************************


পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দেশের মধ্যে এমনই কিছু গ্রাম রয়েছে যা সত্যিই বেশ অদ্ভুত। কোনোটা প্রাকৃতিক কারণে এবং কোনটা মনুষ্য সৃষ্ট কারণে সেই গ্রামগুলি অনন্য এক নজির স্থাপন করেছে। এরকমই আরও একটি গ্রামের অজানা তথ্য শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে।


 কান্দোভান গ্রাম, ইরান ::--


প্রথমবার এই গ্রাম দেখার পর আপনি অবাক হবেন এটা এক রকম নিশ্চিত। চারিদিকে জমাট বাধা পাথরের স্থাপত্য গুলি দেখলে মনে হবে পাথররা আপনাকে বলছে শক্ত নিরেট প্রস্তর শহরে আপনাকে স্বাগত।


ইরানের পূর্ব আজারবাইজানের ওস্কু উপশহরের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবহুল ও ঐতিহাসিক গ্রামের নাম কান্দোভান। তাব্রিজ শহর থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, ওস্কু শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সাহান্দ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামটি।


সাহান্দ পর্বতের চমৎকার আবহাওয়া এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গ্রামটির শোভা আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বের প্রস্তরময় বা পাথুরে গুহাময় তিনটি বিখ্যাত গ্রামের একটি হলো কান্দোভান। এ বিষয়টি কান্দোভানকে নজিরবিহীন সৌন্দর্যে ভূষিত করেছে। কান্দোভনের আরেকটি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য হলো এখানে মানুষজন ভালোভাবেই বসবাস করে অর্থাৎ এখানে জীবনের সকল আয়োজন রয়েছে।


ইরানের কান্দোভন পল্লীতে জীবনের সাড়া আছে সেই বহুকাল আগে থেকেই। পৃথিবী বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিকগণ এই গ্রামটিকে ইসলাম-পূর্ব যুগ থেকেই মানব বাস উপযোগী ছিল বলে মনে করেন। এখানে রয়েছে বড় বড় টিলা। এসব টিলার কোনো কোনোটির উচ্চতা চল্লিশ মিটারের মতো। 


এইসব সুউচ্চ টিলাগুলির বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে বসতবাড়ি ,গোয়ালঘর, গুদাম এবং ছোটো ছোটো কামরা। আক্ষরিক অর্থে দেখতে খুবই সুন্দর এগুলো। আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার পর্যটকগণ এই গ্রামটির পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখে এটিকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলোর তালিকাভুক্ত করেছেন।


কান্দোভানের গ্রামে মসজিদ, হাম্মাম, মাদ্রাসা, যাঁতাকলসহ সকল প্রয়োজনীয় সুবিধাদি রয়েছে। যে গুহাটিতে মসজিদ আছে ওই গুহাটি এখানকার সবচেয়ে বড় গুহা বা গহ্বর। প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে পাঁচবার নামাজ সম্পন্ন হয় এই মসজিদে।


কান্দোভান গ্রামে ইরানের শীতপ্রধান অন্যান্য পার্বত্য এলাকাগুলোর মতো কোথাও কোথাও মূল কক্ষেও ইরানের বিখ্যাত তন্দুর রুটি তৈরির চুল্লি রয়েছে। তবে কান্দোভানের অধিকাংশ পরিবার সাধারণত ঘরের বাইরেই তন্দুর তৈরির চুল্লি ব্যবহার করেন।


কান্দোভানের উপত্যকাগুলো বিশেষ করে উত্তর এবং দক্ষিণের শ্যামল উপত্যকাগুলো ইরানের পার্বত্য অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো আবহাওয়াময় অঞ্চল। এ উপত্যকায় মোটামুটি বড় একটা নদী এবং অনেকগুলো ঝর্ণাধারা বর্তমানে বহমান। 


এই ঝর্ণাগুলো এই অঞ্চলে বসবাসকারী অধিবাসীদের বিশুদ্ধ জলের প্রধান উৎস। কান্দোভানের ঝর্নার খনিজ জলের কিছু ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা মনে করেন কিডনির পাথর দূর করার ক্ষেত্রে এই ঝর্ণার জল খুবই কার্যকর। কান্দোভানের আশেপাশের উপত্যকাগুলো পশুপালনের জন্যে খুবই উপযোগী। এই অঞ্চলের বেশ কিছু অধিবাসীদের অন্যতম উপজীবিকা এই পশুপালন।


উন্নত পৌষ্টিক গুনসম্পন্ন মধু এবং দুগ্ধজাত পণ্যাদির জন্যে কান্দোভানের রয়েছে বিশ্বজোড়া সুনাম। এখানকার স্থাপত্যগুলোও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি বর্তমানে ইরানের একটি অন্যতম বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। দূর দূরান্তের পর্যটকরা ইরান ভ্রমণে এলে অবশ্যই এই স্থানটিকে রাখেন তাদের পর্যটনের তালিকায়। ইরানের জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় কান্দোভানের নাম বহু আগেই স্থান পেয়েছে।


 এই কান্দোভানের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পাথরে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রামটিতে রয়েছে " The Laleh Kandovan "  নামে পাথরের তৈরি একটি আন্তর্জাতিক মানের পাঁচতারা হোটেল। যে হোটেলটিতে ইরানে আগত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মীরা এবং এই স্থানে আগত বিভিন্ন উচ্চপদস্থ অফিসাররা বসবাস করে থাকেন।

#জ্ঞান৷ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যখন রিকশা চালক (গর্বিত শিক্ষার্থী)

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যখন রিকশা চালক (গর্বিত শিক্ষার্থী)


"রাজশাহীতে প্রাইভেট টিউশনিতে পয়সা কম, তাই প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় এসে রিকশা চালাই।" রিকশার প্যাডেল ঘোরাতে ঘোরাতে খুব সহজেই এ কথাগুলো বললেন মো. মনিরুজ্জামান।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত এই শিক্ষার্থী প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবেই নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশেনার খরচ যোগাড় করছেন। গত মাসের শেষ সপ্তাহে মগবাজার থেকে পরিবাগ যাওয়ার পথে তিনি আরোহী প্রতিবেদককে জীবন যুদ্ধের এই গল্প শোনান।


মনির জানান, রাজশাহীতে নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রী প্রাইভেট পড়ালেও মাসে দুইশ-পাঁচশো টাকার বেশি পাওয়া যায় না। অথচ ঢাকায় প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে তিনি প্রায় হাজার টাকা আয় করেন। মনির বলেন, ‘এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমটা একটু বেশিই হয়। কিন্তু সৎ পথে থেকে কম সময়ে এত টাকা আয় করার অন্য কোনো উপায় আমি পাইনি।’ এরপরও মনিরের আক্ষেপ যে তিনি শুধু টাকার অভাবে বোনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অনার্স’ পড়াতে পারেননি। বাধ্য হয়ে এখন তারা বাড়ির পাশের কলেজে ‘ডিগ্রি’ পড়ছেন।


এসএসসি পাশ করার পরই মনির প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় রিকশা চালানো শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি শুধু মিরপুর এক নম্বরের তাইজুল মিয়ার গ্যারেজের রিকশাই চালান এবং ওই গ্যারেজেই থাকেন।

মনির বলেন, "এই কাজটি কখনোই আমার খারাপ লাগেনি। কাজ তো কাজই। আমি তো আর চুরি-ছিনতাই করছি না।"


কয়েক বছর আগে মাস তিনেকের জন্য চাকরিও করেছিলেন মনির। কিন্তু পরীক্ষার আগে ছুটি না পাওয়ায় তিনি সেটি ছেড়ে দেন। মনির আরো জানান, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে মাস্টার্স শেষ হওয়ার পর তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নেবেন।


তুমি এই নষ্ট সমাজের একজন আদর্শ শিক্ষার্থী। জীবনে সফলতার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করো এই কামনা করি।


সকল তথ্য পেতে দেখুন:-

 www.eduicon.com

২০১৪ ইং

নিজ  পারিবারিক চাহিদায় স্বয়ংসম্পূর্ন আনতে যেভাবে পরিকল্পনা করা যেতে পারেঃ

 নিজ পারিবারিক চাহিদায় স্বয়ংসম্পূর্ন আনতে যেভাবে পরিকল্পনা করা যেতে পারেঃ


*খাদ্য চাহিদাঃ


১)২টা গাভী।

২)৬টা মুরগী ১টা মোরগা।

৩)২বিঘা জমি ধান চাষ।

৪)একটা পুকুর।

৫)সবজি আঙিনা চাষ।


*বস্ত্র চাহিদা(উৎপাদন)ঃ


১)সেলাই ম্যাশিন(ম্যানোয়াল)।


*আদর্শ বাসস্থানঃ


১)বাড়ি সীমানা বেড়া/প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়া।

২)বাড়িতে উঠান রাখা।

৩)বাড়ির আঙ্গিনায় হালকা পাঁচ মিশালী সবজি চাষের ব্যাবস্থা করন।

৪)বাড়িতে টিউবয়েল স্থাপন/কুপ/হাউজ স্থাপন।

৫)সৌর বিদ্যুৎ শক্তি ও বায়োগ্যাস ব্যাবহার করা যেতে পারে।


*চিকিৎসাঃ


১)ফাস্ট এইড বক্স।

২)ঔষধি গাছ রোপন ও প্রয়োগ।

৩)নানা ঔষধি বই ও ম্যাটারিয়াল সংরক্ষন।

৪)কমন কিছু অসুস্থতা, যেমনঃ জ্বর, সর্দিকাশি,হাত,পা,বুক,মাথা ও শরীর ব্যাথা,কাটাছেড়া,চর্ম,চুলকানি এবং ঘাঁ ও ফোঁড়া ও গোটা ইত্যাদি বিষয়ের প্রাকৃতিক শুশ্রূষাময় প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি জেনে রাখা।


*শিক্ষাঃ


১)পারিবারিক লাইব্রেরী।

২)পারিবারিক হালাকা পয়েন্ট(যেখানে পারিবারিক ভাবে ইলম অর্জনের বা ইলম শেয়ারের ব্যাবস্থা থাকবে)

৩)মাদ্রাসা নির্মান।(সামাজিক ভাবে কয়েকটি পরিবার মিলে)।

সংগৃহীত

স্যারের মেসেজ ২৫/০৫/২০২৪ শনিবার সারাদিন

 স্যারের মেসেজ ২৫/০৫/২০২৪ শনিবার সারাদিন 

যারা টি-শার্টের ছবি দেননি তারা ছবি দেন,,,,,,,
যারা সকাল নয়টার ভিতরে মার্কেট উপস্থিত হবেন না তাদেরকে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করে দেবেন সুপারভাইজারদেরকে বিশেষ ভাবে জানানো হলো,,,,,,,,,,,
৯:১০ এর ভিতরে যাদের নোট থাকবে না এবং নির্দিষ্ট রুটে পৌঁছাবে না তাদেরকে বিশেষভাবে লিভ এপ্লিকেশন দিয়ে দিবেন ওইদিনের জন্য,,,,,,
৯:১০ এর ভিতরে যাদের নোট থাকবে না এবং নির্দিষ্ট রুটে পৌঁছাবে না তাদেরকে বিশেষভাবে লিভ এপ্লিকেশন দিয়ে দিবেন ওইদিনের জন্য,,,,,,

একই কাজ যদি একই মাসে দুইয়ের অধিক থাকে তৃতীয় দিন ফুল ডে এপসেন্ট করে দিবেন।,,,,,,,,
রোড প্লান অনুযায়ী লোকেশন চেক করবেন লোকেশনে পাওয়া না গেলে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন,,,,,,
উপরের নির্দেশনা শুধু এক মাস বা একদিনের জন্য নয় যতদিন চাকরি করবেন ততদিন নির্দেশনা মেনে চলতে হবে যে মেনে চলবেন না ওকে কোম্পানি নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আসতে হবে।।।,,,,,,
সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আগামীকাল রবিবার কোম্পানি তরফ হইতে আপনাদের কাছে যেসব লজিস্টিক আছে সেগুলো কি অবস্থায় আছে তার ছবি আমাদের বিএনপি গ্রুপে প্রদান করবেন কোম্পানির তরফ থেকে যা কিছু আছে মোটরসাইকেল ব্যাগ, কাটার ,কাঁচি ,টেপ, ইত্যাদি।,,,,,,,,
যারা sales  করতে পারবেন না তারা প্রতি  শনিবারে ৩০ টা করে মেজারমেন্ট সিট জমা দিবেন...!

রাসেল স্যারের নির্দেশ,,,,,,,,,,,

@⁨PE FAHIM FUHAD D45005⁩ @⁨PE নাজমুল ❌ ভাই ঢাকা গাজীপুর D25729⁩ @⁨~Shohag Hossain⁩...

পরের শনিবারে আপনারা ৩০ টা মেজারমেন্ট জমা দিবেন,,,,,,,,,
RFL SWR, cPVC Pro & Sulov:

Area SWR CPVC Sulov
Dhaka (Motijhil, Jatrabari) 50k
Dhaka (Mirpur ,Mohammadpur ) 50k
Bogra 50k,,,,,,,,
এস ডাবলু আর সিপিভিসি প্রো সুলভ পাইপ ।।যাত্রাবাড়ী মতিঝিল মিরপুর মোহাম্মদপুর ।।বগুড়া ।।এইসব এলাকায় বেশি বেশি মেজারমেন্ট নিতে হবে। প্রতিটা মেজারমেন্টে তিনটে প্রোডাক্টটি দশটা দশটা দশটা মোট ৩০ টা থাকবে।,,,,,,,,


শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৫-০৫-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৫-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


রাজধানীতে বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপনিবিতানসহ ৪টি বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন আজ প্রধানমন্ত্রী।


সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় ৩ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড।


অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক শাস্তি পেতেই হবে - বললেন ওবায়দুল কাদের।


আওয়ামী লীগ সরকার সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে - তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য।


নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী।


রাফাহতে অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় মানার জন্য ইসরাইলের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান।


টেক্সাসের প্রেইরি ভিউতে আজ রাতে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ২৪-০৫-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ২৪-০৫-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


যারা জনগণের ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না - ১৪ দলের সভায় বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এমপি আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকারীদের প্রায় সনাক্ত করে ফেলেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা - জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০২১’ প্রদান।


নিজ শহর মাশহাদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দাফন।


টেক্সাসে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।

শর্করা— মানুষের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

 শর্করা— মানুষের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আলু, ধান, ভুট্টা, গম, চিনি— এমন সব জনপ্রিয় তারকাদের আড়ালে অনেকটা বিস্মৃতপ্রায় এক আদি শর্করার উৎস। মানকচু। বনে–জঙ্গলে বেড়ে ওঠা মানকচু দেখেই আমরা অভ্যস্ত। তবে এর চাষের নিদর্শন পাওয়া গেছে এশিয়ার অনেক প্রাচীন জনগোষ্ঠীর মধ্যে। 


পলিনেশিয়া ও অস্ট্রোনেশীয়ার আদি কৃষিতে শর্করার উৎস হিসাবে যে চারটি প্রধান কচুর প্রজাতি চাষ করা হতো তার মধ্যে মানকচু একটি। এখনও ওশেনিয়া, মাদাগাস্কার, তাইওয়ানের অনেক এলাকায় মানকচুর চাষ হয়। এবং সেসব এলাকায় বিয়ে থেকে শুরু করে সামাজিক উৎসব এমনকি ধর্মীয় উৎসবেও মানকচু থেকে তৈরি করা খাবারের চল রয়েছে। 


আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ভাত বা ধান যেভাবে আমরা দেখি এই পর্যায়ে আসতে বুনো ধানকে নিয়ে অনেক সাধনা করতে হয়েছে। বুনো ধানকে পোষ মানানোর এই কঠিন শ্রম ও সময়সাধ্য প্রক্রিয়া বলে দেয়, শর্করার জন্য দানা শস্যের আগে কন্দ জাতীয় শস্য মানুষের খাদ্য তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কারণ তার চাষ প্রক্রিয়া সহজ। আবার চাষ না করলেও অনুকুল পরিবেশে আপনা আপনিই জন্মায় এসব উদ্ভিদ। 


খনার বচনে আছে— ‘ওলে কুটি মানে ছাই, এইরূপে কৃষি করগে ভাই’। খনার বিস্তৃতি অনুযায়ী ধারণা করা যায় শ্রীলঙ্কা, বাংলা, আসাম, উড়িষ্যা এসব অঞ্চলেও মানকচুর চাষের প্রচলন ছিল। তবে খাদ্য তালিকায় কচু বা মানকচুর নিচু জাতে নেমে আসার কারণটা বোধহয় উপমহাদেশে একের পর এক দুর্ভিক্ষ। যখন শোষকের গ্রাসে হারানো চাষের ফসলের নাগাল না পেয়ে মানুষকে প্রাণ ধারণ করতে হয়েছিল আপনজালা এসব উদ্ভিজ্জ খাদ্যের ওপর। পুর্বজদের অভিজ্ঞতার সেই বিতৃষ্ণা আমাদের স্মৃতিতেও প্রবাহমান। তাই শাকপাতা–কচুঘেঁচু এত বৈচিত্রময় সম্ভার ও গুণাগুণ নিয়েও এদেশে আভিজাত্য বিরোধী বলে বিবেচিত হয়। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা উৎসবের খাবার হিসেবে এদের ব্যবহার সাধারণত দেখা যায় না। 


বুনো মানকচু চাষের প্রাচীন নথি পাওয়া গেছে ইন্দোচীন অঞ্চলে, খ্রিস্টের জন্মেরও ১৩০০ বছর আগে। ফিলিপাইনে কচু জাতীয় ফসলকে বলা হতো ‘বিমা ফসল’। ঝড়, বন্যা, খরা তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালীন শর্করার চাহিদা মেটাতো বলেই এমন নাম। বাংলাদেশেও কৃষি জমির আইলে মানকচুর পাতা বা গাছ পুঁতে দিয়ে ভূমি পূজা করার চল আছে। প্রার্থনা করা হয় ফসল যেন মানকচুর মতো পুষ্ট ও বড়সর হয় আর ঝড়–জলেও টিকে থেকে খাদ্য জোগায়। 


পুর্ণিমার রাতে ভরা জোয়ারের সময় বীজ বুনলে মানকচুর ফলন ভালো হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেক কৃষক। আবার বীজ রোপনের সময় কৃষক যদি নিজের শরীর না চুলকান তাহলে সেই কচু খেলে গলাও চুলকাবে না এমন ধারনাও রয়েছে অনেক আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে। ঋতুস্রাবের সময় কোনো নারীর প্রচণ্ড পেট ব্যাথা হলে তাকে মানকচুর একটা বড় পাতার ওপর বসিয়ে রাখা হয়। এতে ব্যাথা কমে আসে বলে মনে করেন নেগরিটোস জাতির নারীরা। এ ছাড়া দাঁতে ব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায়, ক্ষত নিরাময়ে, সন্তান প্রসবে, প্রসুতি মায়েদের পথ্য হিসেবে মানকচুর নানা রকম ব্যবহার সমগ্র এশিয়া জুড়েই প্রচলিত। তাগবানোয়া আদিবাসীদের মধ্যে বাতের ব্যাথার চিকিৎসায়ও মানকচুর ব্যবহার দেখা রয়েছে। আসাম, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও অনেক এলাকায় মানকচুর পাতার ডাঁটার রস দিয়ে সাপে কাটার চিকিৎসা করা হয়। 


মৃণালিনী দেবী আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত রেসিপি মানকচুর জিলাপি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় খাবার। এ ছাড়াও মানকচুর ভর্তা, তরকারি সহ নানান উপাদেয় পদের অভাব নেই আমাদেরও। 


নবপত্রিকার অষ্টম পত্রিকা মানকচু। মানকচুর অধিষ্ঠাত্রী দেবী চামুণ্ডা বা চামুণ্ডেশ্বরী। চণ্ড ও মুণ্ড নামক অসুর বধের জন্য সন্ধিক্ষণে তিনি আবির্ভূত হন। সার্বজনীন দুর্গাপূজায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লগ্ন ধরা হয় এই সন্ধি পূজার লগ্নটিকে। মানকচুর গাছকে প্রতীক হিসেবে রেখে এই সময় সেই আদিম দেবী চামুণ্ডার আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 


চামুণ্ডা মূলত তন্ত্রের দেবী। অষ্টমাতৃকা তথা আদি মাতৃশক্তির প্রত্যেকের আট জন করে সহচরী ছিলেন। যাদের বলা হয় ৬৪ যোগিনী বা ডাকিনী। আবার বৌদ্ধ ধর্মেও ৬৪ যক্ষিণীর কথা উল্লেখ আছে। ডাক বা যোগ শব্দের আক্ষরিক অর্থ প্রজ্ঞা বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান। এই ডাকিনীদের একজন হিসেবে চামুণ্ডার আরাধনা করা হতো। প্রতিমার দিক থেকেও অন্য দেবীদের সঙ্গে চামুণ্ডার পার্থক্য স্পষ্ট। অস্থিচর্মসার, ভেতরে ঢুকে যাওয়া পেট, কোটরাগত চোখ— যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুদুত! ভারতের হিমাচল প্রদেশে চামুণ্ডার একটি বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বড় কালীতলা মন্দিরেও চামুণ্ডার পূজা করা হয়। কথিত আছে, এই মন্দিরে দেবীর সামনে ইংরেজদের তাড়ানোর শপথ নিতেন বিপ্লবীরা। অন্য আরেক মতে, চামুণ্ডাকে সরাসরি আদি মাতৃকা বা সপ্ত মাতৃকার অংশ বলে মনে করা হয়। ভারতের বিন্ধ্য অঞ্চলের অরণ্যচারী আদিবাসীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান দেবী হিসেবে পূজিত হন চামুণ্ডা। 


বেশ কিছু শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৬ শতাব্দীর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ডাকিনী বিদ্যা বা শক্তি সাধনা শেখানো হতো ভারতবর্ষে। পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রাতিষ্ঠানিক সনাতন ধর্ম থেকে এর বিচ্যুতি ঘটে। চামুণ্ডার আরাধনা হয়তো শাক্ত ও তন্ত্রের শেকড়ের সঙ্গে আধুনিক ধর্মের সেই সন্ধিকেই প্রতিষ্ঠা করে অষ্টমী ও নবমীর মহালগ্নে। আর মানকচু দুর্যোগকালীন শর্করা হয়ে জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রক্ষা করে অনাহারী মানুষের প্রাণ। 


লেখক ও গবেষক— নুসরাত জাহান


তথ্যসূত্র: এথনোবোটানিকাল সার্ভে অফ এডিবল এরোয়েড, চিরঞ্জীব বনৌষধি, যোগিনী কাল্ট ইন ওডিশা


আমি একজন মা

 এক ভদ্র মহিলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন পাসপোর্ট করাতে। অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"

মহিলা বললেন, "আমি একজন মা।"

"আসলে শুধু মা তো কোনো পেশা হতে পারেনা, তাহলে আমি লিখে দিচ্ছি আপনি একজন গৃহিনী।"


মহিলা খুব খুশী হলেন। পাসপোর্টের কাজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হলো।


অনেকদিন পর, এবারে পাসপোর্টটা renew করা দরকার, যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। আবার পাসপোর্ট অফিসে আসলেন। দেখলেন আগের সেই অফিসার নেই। খুব ভারিক্কি, রুক্ষ মেজাজের এক লোক বসে আছেন।


যথারীতি ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"


মহিলা চট করে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন।


কয়েক মুহূর্ত ভেবে বললেন, "আমি একজন গবেষক। নানারকম চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি। আমরা প্রতিটি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ সাধন করি, শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। বয়স্কদের নিবিড় পরিচর্যা করি ও খেয়াল রাখি। সুস্থ পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে নিরলস শ্রম দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামোগত ভিত মজবুত করি।"


মহিলা বলে যাচ্ছেন, "প্রতিটি মূহুর্তেই আমাকে নানারকমের চ্যালেঞ্জের ভিতর দিয়ে যেতে হয় এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, আমার সামান্য ভুলের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।"


মহিলার কথা শুনে অফিসার একটু নড়ে চড়ে বসলেন। মহিলার দিকে এবার যেন একটু শ্রদ্ধা আর বিশেষ নজরে তাকালেন। অনেক কৌতূহল নিয়ে অফিসারটি জিজ্ঞেস করলেন, "ম্যাডাম, আসলে আপনার মূল পেশাটি যদি আরেকটু বিশদভাবে বলতেন?"


"আমাদের রিসার্চ প্রজেক্ট তো আসলে সারাজীবন ধরেই চলে। সর্বক্ষণ আমাকে ল্যাবরেটরি এবং ল্যাবরেটরীর বাইরেও কাজ করতে হয়। এই কাজের চাপে আমার নাওয়া খাওয়ায় ঘুমের সময়ের ঠিক থাকে না। সব সময় আমাকে কাজের প্রতি সজাগ থাকতে হয়। এই তো আজকাল আমি সমাজবিজ্ঞান, পারিবারিক স্বাস্থ্য আর নৈতিকতা বিকাশ এই তিনটি ক্ষেত্রেই একসাথে কাজ করছি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল প্রকল্পগুলোর অন্যতম।"


অফিসার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মহিলার কথা শুনছেন। এমন গুণী, বিস্ময়কর মহিলা। প্রথমে কিন্তু মনে হয়েছিল খুবই সাধারণ।


"প্রতিদিন আমাকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা আবার কোনো কোনো দিন আমাকে ২৪ ঘন্টাই ল্যাবে কাজ করতে হয়। পৃথিবীর সব পেশাতেই কাজের পর ছুটি বলে যে কথাটি আছে আমার পেশাতে সেটা একেবারেই নেই। ২৪ ঘন্টাই আমার অন কল ডিউটি।"


এও কিভাবে সম্ভব, অফিসারটি ভাবতেই পারছেন না!


"আপনার হয়তো বা জানতে ইচ্ছে করছে, বিনিময়ে কি পাই? এ চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প পরিচালনায় আমার সেই অর্থে কোনো পারিশ্রমিক নেই। পরিবারের সবার মুখে হাসি আর পারিবারিক প্রশান্তিই আমার পারিশ্রমিক। আর আমার কাজের পুরষ্কার হিসেবে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছি তিনটা স্বর্ণপদক!"


অফিসার হতভম্ব, এ কেমন নি:স্বার্থ কাজ পাগল!


"এবার আমি বলি, আমার পেশা কি?"


অফিসার এতক্ষণ যেন এই উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন!


"আমি একজন মা। এই পৃথিবীর অতিসাধারণ এক মা।"


মহিলার কথা শুনে গম্ভীর অফিসারটি এবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন, চেষ্টা করেও আর নিজের চোখে জল আটকাতে পারছেন না। তাঁর নিজের মায়ের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি খুব সুন্দর করে ফর্মের সব কাজ শেষ করে, মহিলাকে একদম সিঁড়ির দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন।


তারপর নিজের অফিস রুমে এসে বসলেন, ড্রয়ার হাতড়ে একটি ধূসর হয়ে যাওয়া ছবি বের করলেন। ক্ষনিকের নীরবতা, অপলক নয়নে তাকিয়ে, বিড়বিড় করে আপন মনে ডাকছেন,


মা, মা গো....


#কপি

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

প্রেম   ও   বিরহের  কবি   :   ওমর  খৈয়াম 

 প্রেম   ও   বিরহের  কবি   :   ওমর  খৈয়াম 

  

বিশ্বখ্যাত কবি ও মহামনীষী ওমর খৈয়ামের অমোঘ পংক্তি --- ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে

প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে।

বই , সেতো অনন্ত যৌবনা।’


ওমর খৈয়াম। যার সম্পূর্ণ নাম গিয়াসউদিন আবুল‌ ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ছিলেন একজন পারস্যের প্রেম ও বিরহের কবি, গণিতবিদ, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ১০৪৮ খ্রীস্টাব্দের ১৮ মে ইরানের নিশাপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন তাঁবুর কারিগর ও মৃৎশিল্পী। ছোটবেলায় তিনি বালি শহরে সে সময়কার বিখ্যাত পণ্ডিত শেখ মুহাম্মদ মানসুরীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণ করেন।


ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছুটা সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালক শহরে। সেখানে তিনি বিখ্যাত মনীষী মোহাম্মদ মনসুরীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফ্ফেক নিশাপুরির শিক্ষা গ্রহণ করেন। জীবনের পুরো সময় জুড়ে ওমর তার সব কাজ করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তিনি দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় হলে মালিক-শাহ-এর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন করতেন।


ইসফাহান শহরে ওমরের দিনগুলি খুবই কার্যকর ছিল। কিন্তু আততায়ীর হাতে সুলতান মালিক শাহ-এর মৃত্যুর পর তার বিধবা পত্নী ওমরের ওপর রুষ্ট হলে ওমর হজ্ব করার জন্য মক্কা ও মদিনায় চলে যান।পরে তাকে নিশাপুরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। নিশাপুরে ওমর গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক তার বিখ্যাত কাজগুলো সম্পন্ন করেন। তিনি নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে পরিচিত ৷


ওমর খৈয়ামের কবিতা সমগ্র, যা ওমর খৈয়ামের রূবাইয়াত নামে পরিচিত, তার জন্য। তার কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তার গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। মার্কিন কবি জেমস রাসেল লোয়েল ওমর খৈয়ামের রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলোকে বলেন ‘চিন্তা-উদ্দীপক পারস্য উপসাগরের মনিমুক্তা।’

ওমর খৈয়াম ঠিক কতগুলো রুবাই লিখে গেছেন তার সঠিক হিসাব কারো জানা নেই। তার অমর গ্রন্থ ‘রুবাইয়াৎ-ই-খৈয়াম’-এ ৭২২ টি রুবাই পাওয়া যায়। তার এই রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলো প্রথমবারের মত ইংরেজিতে অনূদিত হয় ১৮৫৯ সালে। এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ডের এই অনুবাদের সুবাদেই ওমর খৈয়াম বিশ্বব্যাপী কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই অনুবাদের মাধ্যমে ফিটজেরাল্ড নিজেও খ্যাতিমান হয়েছেন। তার এই অনুবাদ গ্রন্থ দশ বার মুদ্রিত হয়েছে এবং ওমর খৈয়াম সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার প্রবন্ধ ও বই লিখিত হয়েছে। বাংলায় প্রথম ‘রুবাইয়াৎ-ই-খৈয়াম’ অনুবাদ করেন বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


ফার্সি কাব্য-জগতে ওমর খৈয়াম এক বিশেষ চিন্তাধারা ও বিশ্বদৃষ্টির পথিকৃৎ। তিনি এমন সব চিন্তাবিদ ও নীরব কবিদের মনের কথা বলেছেন যারা সেসব বিষয়ে কথা বলতে চেয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তা চেপে গেছেন। কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার নামে বা তার কবিতার অনুবাদের নামে নিজেদের কথাই প্রচার করেছেন। আবার কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার মধ্যে নিজের অনুসন্ধিৎসু মনের জন্য সান্ত্বনাও খুঁজে পেয়েছেন।

এই বিশ্বখ্যাত কবি ও মহামনীষী জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে ১১৩১ সালে ৪ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ 💝💝💝💝🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻


(লেখা: তপু দেবনাথ)


রাশিয়ায় এমন একটি গ্রাম রয়েছে জনশ্রুতি যেখান থেকে কেউ নাকি জীবিত হয়ে ফিরে আসে না

 রাশিয়ায় এমন একটি গ্রাম রয়েছে জনশ্রুতি যেখান থেকে কেউ নাকি জীবিত হয়ে ফিরে আসে না




। বিজ্ঞানীরাও এই রহস্য সমাধানে অনেক গবেষণা করেছেন। আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ গ্রামটিকে মৃতদের শহর বলে ডাকে।


এই গ্রামটি রাশিয়ার উত্তর ওশেটিয়ার একটি নির্জন এলাকায় অবস্থিত। গ্রামটির নাম ডারগাভস। স্থানীয় মানুষদের ধারণা অনুযায়ী এটি এমন এক জায়গা যেখানে শুধু মৃতরাই বাস করেন।


গ্রামটিকে ঘিরে রয়েছে পাঁচটি খাড়া পাহাড়। আর গ্রামের ঘরগুলো সব পাহাড়ি পাথরে তৈরি করা হয়েছে।গ্রামটি দেখতেও খুবই সুন্দর। কিন্তু কেউ এই গ্রামে যেতে সাহস পান না। কারণ এর আরেক নাম মৃতদের শহর। যেখানে শুধু মৃতদেহরাই বাস করে। একথা বিশ্বাস করা হয় যে স্থানীয় মানুষরা ওই গ্রামের ঘরগুলোতে তাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনদের মৃতদেহগুলো রেখে আসেন।


ছোট্ট পাহাড়ি এই গ্রামটিতে এমন অসংখ্য ভবন আছে যেগুলোতে ভূগর্ভস্থ ঘরও আছে। এই গ্রামের কয়েকটি ভবনে চারটি পর্যন্ত তলা আছে। এই ভূগর্ভস্থ ঘরগুলিতে মৃতদেহ রাখা হয়।

 আসলে এটি বিশাল একটি গোরস্থান। এই ভবনগুলোর প্রতিটি তলায় মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। সমগ্র গ্রামটিতে প্রায় ৯৯টি ভবন আছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচ শ বছর আগে সেই ১৬ শতক থেকেই এই ভবনগুলোতে মৃতদেহ করব দেওয়া হতো। এখনো সমানভাবে এভাবেই মৃত মানুষদের কবরস্থ করা হয়, গ্রামের এই ভবনগুলিতে।


স্থানীয়দের বিশ্বাস যারা একা এই ভবনে যায় তারা আর কখনো জীবিত ফিরে আসে না। আর এ কারণেই এই গ্রামে কখনো কোনো পর্যটকও যাননি। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে এখানকার আবহাওয়া ক্ষণেক্ষণেই বদলে যায়। যা ভ্রমণকারীদের জন্য উপযোগী নয়। ফলে রহস্য থাকলেও পর্যটকদের আনাগোনা একেবারে নেই বললেই চলে।

স্থানীয়দের মধ্যে এই গ্রামটিকে নিয়ে একটি অদ্ভুত বিশ্বাস প্রচলিত আছে। তাদের বিশ্বাস ১৮ শ শতকে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের গুরুতর অসুস্থ আত্মীয়দেরকে এই গ্রামের ভবনগুলোতে রেখে আসতেন। 


তাদেরকে সময়ে সময়ে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করা হতো। কিন্তু মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে বের হতে পারতেন না।

বিশেষজ্ঞ প্রত্মতাত্ত্বিকদের মতে মৃতদেরকে সেখানে নৌকাকৃতির কফিনে ভরে কবর দেওয়া হতো। এই বিশ্বাস থেকেই এমনটা করা হতো যে এতে মৃতদের জন্য স্বর্গে যাওয়া সহজ হবে। নৌকাকৃতির কফিন তাদেরকে স্বর্গে পৌঁছে দেবে। যদিও এই ধারণা বিজ্ঞানীরা একটি কুসংস্কার বলে মনে করেন।


গবেষকরা প্রতিটি ভূগর্ভস্থ স্থানের সামনে একটি করে অগভীর কুয়ো দেখতে পেয়েছেন। মৃতদের কবর দেওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজনরা ওই কুয়োয় কয়েন ফেলত। কোনো কয়েন যদি অন্য একটি কয়েনের সঙ্গে লেগে উচ্চ আওয়াজ তৈরি করত তাহলে গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করত মৃত ব্যক্তি স্বর্গে যাবেন। বিজ্ঞানীদের মতে এ ধারণা নেহাতই কাকতালীয়

©

আানোয়ার ভাই

 ভাই আনোয়ার চাচতো চাচতো ভাই



বিদ্যাসাগরেরও আগে তিনি বিধবা বিবাহের জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন

 বিদ্যাসাগরেরও আগে তিনি বিধবা বিবাহের জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ। কে তিনি? 


আজ শোনাব এমন একজনের কাহিনি যাঁর সম্পর্কে হিন্দু ইন্টেলিজেন্সার লিখেছিল দি মোস্ট ভারচুয়াস বাবু। বলা যায় তিনি ছিলেন ‘রথসচাইল্ড অফ ক্যালকাটা‘। শিবনাথ শাস্ত্রীর মতে তাঁর মতো সত্‍ ও বিনয়ী ব্যবসায়ী ছিলেন বিরল। তিনি মতিলাল শীল। ১৭৯২ সালে, কলকাতায়, এক সুবর্ণবণিক পরিবারে জন্ম তাঁর। পিতা চৈতন্যচরণ শীল ছিলেন চীনাবাজারে কাপড়ের ব্যবসায়ী। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরে পিতৃহীন হয়ে পড়ায় বেশিদূর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ হয়নি তাঁর। খুব অল্প বয়সেই ইংরেজ কোম্পানির অধীনে সামান্য বেতনের চাকরি দিয়ে জীবন শুরু। সতেরো বছর বয়সে ১৮০৯ সালে বিয়ে হল সুরতী বাগানের মোহন চাঁদ দে-র কন্যা নাগরী দাসীর সঙ্গে। শ্বশুরের পরামর্শে ১৮১৫ সালে ফোর্ট উইলিয়ামে কর্মচারী হয়ে যোগ দেন। পরে গুদাম-সরকার হন। এরপরে ফোর্ট উইলিয়ামের চাকরি ছেড়ে কিছুদিনের জন্য বালিখালের কাস্টমস দারোগার চাকরি করেন। কিন্তু বাণিজ্য তাঁর জন্মগত। তাই ১৮১৯ সালে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা সামান্য কিছু মূলধন নিয়ে শুরু করলেন ব্যবসা। কীসের? বোতল-ছিপির কারবার। বিয়ার রপ্তানীকারী হাডসন সাহেবকে বোতল ছিপি জোগাতেন মতিলাল। পাশাপাশি সুতির কাপড় আর লোহা আমদানির বিনিময়ে ব্রিটিশদের রপ্তানি করতেন নীল, চিনি, রেশম, চাল, নুন। এইভাবে মতিলাল এদেশীয় ও বিদেশীয় বাণিজ্যিক লেনদেনে একটা যোগসূত্রের কাজ করে অর্থ রোজগার করেছিলেন প্রচুর। তাঁর দক্ষতার কারণে ব্রিটিশরা তাঁকে 'বানিয়ান' পদে নিয়োগ করল। আপন উপার্জিত অর্থে কিনে ফেললেন প্রায় বারো-তেরোটা কার্গো জাহাজ যা পাড়ি দিত সূদুর অস্ট্রেলিয়ার উপকূল পর্যন্ত। শুধু তাইই নয়, তিনিই এদেশে প্রথম স্টিম ইঞ্জিন তৈরি করিয়ে ছিলেন। 


মতিলাল শীল শুধু উপার্জনই করেননি, তাঁর খ্যাতির কারণই ছিল অকাতরে দান করার জন্য। ঊনবিংশ শতকের বাংলায় সমাজকল্যাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে বেলঘরিয়ায় তৈরি করেছিলেন ভিক্ষাজীবীদের জন্য আশ্রম। দৈনিক পাত পড়ত অন্তত পাঁচশো জনের। এখনও আছে সেই আশ্রম, যেমন আছে হুগলীর গঙ্গাপাড়ে বাবু মতিলাল শীল ঘাট। অন্যদিকে শেয়ার কেনাবেচা, নগদ ও সুদের কারবারও করতেন কিন্তু তা মোটেও সমকালীন সুদখোরদের বাণিজ্যের মতো ছিল না। বরং মতিলালের টাকা ধার দেওয়ার পদ্ধতিটি ছিল অনেকটাই আজকের ব্যাঙ্কিং ও বিমা ব্যবস্থার পূর্বসূরী। ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যেও মতিলাল ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। মিশনারী-বিমুখ হিন্দু ছাত্রদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য স্বনির্ভর উদ্যোগে ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন বাবু মতিলাল শীল ফ্রি কলেজ। পরে এর সঙ্গে যোগ হয় স্কুল। শিক্ষাদান ও পাঠ্যক্রম কিন্তু ছিল আধুনিক। প্রথমে ফাদার ফ্রান্সিস জেভিয়ারের (আজকের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ) প্রতিষ্ঠান দেখত এর পঠন-পাঠন। কিন্তু নির্দেশ ছিল ধর্মের দিক দিয়ে ছাত্রদের প্রভাবিত করা যাবে না। কাজেই পরে যখন অভিযোগ ওঠে যে জেসুইট পাদ্রীরা সে নিয়ম মানছেন না তখন মতিলাল শীল পরিচালনার দায়িত্ব দেন রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জিকে। কলেজের ব্যয় তখনকার দিনে বার্ষিক ১২ হাজার টাকা আসত মতিলাল শীলের ট্রাস্ট থেকে। পড়ুয়া পিছু নেওয়া হত বার্ষিক এক টাকা সাম্মানিক ব্যয়।

বিদ্যাসাগরের আবির্ভাবের পূর্বেই মতিলাল শীল নিজের মতো করে বিধবা বিবাহ প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন। ১৮৩৭ সালে ঘোষণা করেছিলেন প্রথম বিধবা বিবাহকারীকে তিনি বিশ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন। সোচ্চার হয়েছিলেন বাল্যবিবাহ রোধে। ছিলেন সতীদাহ প্রথার ঘোরতর বিরোধী। নারীকল্যাণ ও নারীশিক্ষার সমর্থক ছিলেন প্রবলভাবে। হীরা বুলবুল নামে এক পতিতার পুত্রের হিন্দু কলেজে ভর্তি হওয়াকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সমাজে বেশ আলোড়ন উঠেছিল। তখন মতিলাল শীল বউবাজারের রাজা রাজেন্দ্র দত্তের সঙ্গে পরামর্শ করে গড়ে তুললেন হিন্দু মেট্রোপলিটান কলেজ। কতটা ব্যতিক্রমী ও নিজের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকলে একজন মানুষ এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিতে পারেন! 


মতিলাল শীলের কাছে কলকাতাবাসী তথা বাঙালির যে কতখানি ঋণ, তার জ্বলন্ত প্রমাণ কলকাতা মেডিকেল কলেজ। যে জমির ওপর বর্তমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অবস্থিত, সেই পুরো ভূখণ্ডটাই এবং সঙ্গে এককালীন ১২ হাজার টাকা দান করেছিলেন মতিলাল শীল। পরিবর্তে তাঁর নামাঙ্কিত ওয়ার্ডে দেশীয় লোকজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল ব্রিটিশ সরকার। পরে ফিমেল ওয়ার্ড শুরু করার জন্য আবারও দিয়েছিলেন এক লক্ষ টাকা। কুষ্ঠরোগীদের পৃথক চিকিৎসার জন্য গড়ে তুলেছিলেন ডিস্ট্রিক্ট চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। 


১৮৫৪ সালের ২০ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বঙ্গসন্তান। কিন্তু শেষ জীবনে নানা প্রকার আইনি ঝামেলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবুও তাঁর ভূমিকার কথা শিরোধার্য। তিনি ছিলেন রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের মধ্যবর্তী কালের মানুষ। তৎকালীন সমাজ গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনেকটাই। সমাজকল্যাণ থেকে চিকিৎসার উন্নতি, নারীকল্যাণ থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বনির্ভর উদ্যোগ - বঙ্গজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল মতিশীলের অবদান। আর তাঁর এই অর্থের উৎস ছিল দাপুটে বাণিজ্য। ব্রিটিশ বণিকদের সাথে আপন বুদ্ধির জোরে সমানে সমানে পাল্লা লড়ে এই বাঙালি ব্যবসাকে দিয়েছিলেন সাফল্যের নতুন সংজ্ঞা। তবুও ব্যবসায়ী মতিলাল শীলের থেকে দানবীর মতিলাল শীল সর্বদাই অধিক স্মরণীয় কারণ আজও তাঁর ট্রাস্টের টাকাতেই বেলঘরিয়ার আশ্রম ও মতিলাল শীল ফ্রি কলেজ পরিচালিত হয়।


তথ্যসূত্র - 

ক্যালকাটা, দ্য লিভিং সিটি -সুকান্ত চৌধুরী (সংকলিত)


হিস্ট্রি অফ দি বৈশ্যজ অফ বেঙ্গল-প্রমথনাথ মল্লিক

উইকিপিডিয়া


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...