এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ: ২৬-০৫-২০২৪ খ্রি:

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ: ২৬-০৫-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


জুলাই গণহত্যা ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত এবং ভোট জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে - জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ।


প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার - বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল দিবাগত রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই শেখ হাসিনার জুলাই গণহত্যার বিচারের রায় পাবে জাতি - বলেছেন আইন উপদেষ্টা। 


দেশের স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত  হবে না সেনাবাহিনী, সরকার ও সেনাবাহিনী সৌহার্দপূর্ণভাবে এক সঙ্গে কাজ করছে - সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিং।


আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে তেসরা জুন আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


গাজা উপত্যকায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলের ৩৬ জনসহ ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত।


সংঘাত বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে আজ কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৬-০৫-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৬-০৫-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত - সরকারের পাশে থাকবেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ – জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


ভবিষ্যতে বিতর্কিত নির্বাচন প্রতিহত করার সুপারিশ সুশীল সমাজের - জাতীয় নির্বাচনে ৩৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি।


জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করলো আইসিটি।


আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ আইসিটির।


কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ - কোরবানির ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।


গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি। 


ডাবলিনে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ওডিআই সিরিজ ড্র।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ: ২৫-০৫-২০২৪ খ্রি:

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ: ২৫-০৫-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


আজও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হওয়া এবং না হওয়া বিষয়গুলো প্রকাশ করা হবে - বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ।


জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ভবিষ্যতে বিতর্কিত নির্বাচন প্রতিহত করার সুপারিশ সুশীল সমাজের।


জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করলো আইসিটি। 


আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ আইসিটির।


কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ - কোরবানির ১২ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। 


গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরাইল -  সর্বশেষ হামলায় ২২ ফিলিস্তিনি নিহত।


পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইসলামাবাদ পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

জেনে নিন! আধুনিক AI ও টেক টুলসের এক অসাধারণ সংগ্রহ

 জেনে নিন! আধুনিক AI ও টেক টুলসের এক অসাধারণ সংগ্রহ

(শিক্ষা, কাজ, ডিজাইন, ভিডিও, অডিও, কনটেন্ট — সব কিছু একসাথে)


@topfans 


১-১০: শিক্ষা ও গণিত সহায়ক টুলস


1. ChatGPT – যেকোনো লেখা বা প্রশ্নের উত্তর দেয় 📚🤖


2. Gemini (gemini.google.com) – প্রশ্ন তৈরি করে ও আইডিয়া সাজায় ✍️💡


3. School.ai / schoolai.com – Math solve bar সমাধানের জন্য ➕➖


4. Claude.ai – স্মার্ট এআই লেখক ও সহকারী 🤓📝


5. Typing.com / Typingtest.com / Typingtestbangla.com – টাইপিং স্পিড দেখুন ⌨️⏱️


6. Deepseek / Photomath apps – গণিত সমস্যা সমাধানে জাদুর মতো কাজ করে 🔍📱


7. Gamma app – প্রফেশনাল PowerPoint presentation তৈরি করে 📊🎨


8. Screen Stream – মোবাইলকে ল্যাপটপে কানেক্ট করার জন্য 📱💻


9. Geogebra.ai – স্থানাংক ও জ্যামিতি সমস্যার সমাধান ⚙️📐


10. Remove.bg – ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলুন এক ক্লিকে 🖼️❌


---


১১-২০: ওয়েবসাইট, মিউজিক ও ছবি সংক্রান্ত টুলস

11. Mathway.com – ত্রিকোণমিতি সমস্যার সমাধান 📏🧮

12. Durable – কয়েক সেকেন্ডে ওয়েবসাইট তৈরি 🌐⚡

13. SlidesAI – লেখাকে স্লাইড প্রেজেন্টেশনে রূপ দেয় 📝➡️📽️

14. Lightshot – ল্যাপটপে সহজে স্ক্রিনশট নিতে 🖥️📸

15. Tome – স্টোরি বেইজড প্রেজেন্টেশন তৈরি 📚🎞️

16. Notion AI – নোট, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ও লেখায় সহায়তা 🧠📒

17. Krisp – কলের ব্যাকগ্রাউন্ড নোইজ সরায় 🔇📞

18. Cleanup.pictures – ছবির অবাঞ্চিত জিনিস মুছে ফেলে 🧹🖼️

19. Replika – AI ভার্চুয়াল বন্ধু বা চ্যাট সঙ্গী 🤖❤️

20. Soundraw – অরিজিনাল মিউজিক তৈরি করে 🎶✨


---


২১-৩০: ভয়েস, ভিডিও ও গল্প তৈরির টুলস

21. Beatoven – ভিডিও/পডকাস্টের জন্য মিউজিক 🎧📻

22. Voicemod – ভয়েস চেঞ্জ ও ইফেক্ট 🎤🔊

23. Lumen5 – ব্লগ থেকে ভিডিও তৈরি 🎥✍️

24. Descript – ভিডিও এডিট করে টেক্সট দিয়ে ✂️🗣️

25. Kaiber – AI দিয়ে ভিডিও অ্যানিমেশন 🎞️🤯

26. AutoDraw – হাতের আঁকাকে নিখুঁত ডিজাইন করে ✏️🎨

27. ElevenLabs – রিয়েলিস্টিক ভয়েস জেনারেশন 🗣️🔬

28. Heygen – ফেস ও ভয়েস দিয়ে স্পোকেন ভিডিও 🎤👩‍💼

29. Writesonic – কনটেন্ট ও কপি রাইটিং ✍️📢

30. Play.ht – লেখাকে ভয়েসে রূপান্তর করে 🎧📜


---


৩১-৪০: ভিডিও ডাব, গল্প, কপি ও অনুবাদ

31. Papercup – ভিডিওর ভয়েস অন্য ভাষায় ডাব করে 🌍🎙️

32. AI Dungeon – ইন্টার‍্যাকটিভ গল্প তৈরি 📖🧙‍♂️

33. TTSMaker – লেখা থেকে স্পিচ তৈরি 🗒️🗣️

34. Magic Eraser – ছবি থেকে অবজেক্ট সরায় ✨📷

35. Designs.ai – লোগো, ভিডিও, অডিও সব তৈরি করে 🛠️🖌️

36. Midjourney – টেক্সট থেকে ইমেজ তৈরি 🎨🤖

37. TinyWow – পিডিএফ, ভিডিও, ডকুমেন্ট টুলস 📄🔧

38. ChatPDF – PDF পড়ে সারাংশ দেয় 📚🧾

39. Scalenut – SEO কনটেন্ট ও ব্লগ রাইটিং 📈✍️

40. INK – SEO, রাইটিং ও মার্কেটিং এক প্ল্যাটফর্মে 💻📢


---


৪১-৫০: অনুবাদ, আর্ট, নাম ও ফর্ম প্রসেসিং

41. DeepL – প্রফেশনাল ট্রান্সলেশন 🈳🔤

42. OpenArt – AI আর্ট ও ইমেজ ডিজাইন 🖼️🎨

43. NameSnack – বিজনেস নাম সাজেস্ট করে 💼🧠

44. Tidio – ওয়েবসাইটের জন্য চ্যাটবট 🤖💬

45. FormX.ai – স্ক্যান ডেটা এক্সট্রাকশন 📑🧾

46. Murf.ai – প্রফেশনাল ভয়েসওভার 🎙️🎧

47. Zyro AI Writer – ওয়েবসাইট কনটেন্ট লেখে 📝🌐

48. Hugging Face – NLP ও AI মডেল হোস্টিং 🤖🧪

49. Adobe Firefly – AI দিয়ে ইমেজ ডিজাইন 🖌️💡

50. Illustroke – লেখা থেকে SVG ইলাস্ট্রেশন 🖍️🧩


---


৫১-৬০: ডিজাইন, প্যারাফ্রেজ, গ্রামার ও ভিডিও এডিটিং

51. Canva AI – ডিজাইন ও কনটেন্ট সাজাতে সহায়ক 🎨📊

52. Quillbot – লেখাকে প্যারাফ্রেজ করে ✍️🔁

53. Pictory – লেখা থেকে ভিডিও বানায় 🎬📝

54. Copy.ai – মার্কেটিং ও ব্লগ লেখে 🛍️📢

55. Jasper AI – ব্লগ, বিজ্ঞাপন, ইমেইল লেখে 📬📝

56. Synthesia – AI এভাটার দিয়ে ভিডিও বানায় 🧍‍♂️🎥

57. Looka – লোগো ও ব্র্যান্ড ডিজাইন করে 🏷️🎨

58. Grammarly – ইংরেজি লেখার ভুল ধরিয়ে দেয় ✒️✅

59. Leonardo AI – কল্পনাশক্তির ইমেজ ডিজাইন করে 🧠🖼️

60. Runway ML – ভিডিও এডিটিং ও ভিজ্যুয়াল এফেক্ট 🎞️💥


---


এই অসাধারণ AI ও টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি—

✅ কাজের গতি বাড়াতে পারবেন

✅ সময় ও খরচ বাঁচাতে পারবেন

✅ স্মার্ট ও প্রফেশনালভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন


তোমার পছন্দের টুল কোনটি? অথবা কোন কাজে সাহায্য দরকার? আমাকে জানাও!


প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি।

বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অতি সুস্বাদু মিঠা পানির একটি মাছ।

 বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অতি সুস্বাদু মিঠা পানির একটি মাছ।


যা পুকুর, জলাশয়, খাল, বিল ও নদী নালায় প্রাকৃতি ভাবে জন্মায়।


বৃষ্টির দিনে ডিম ওয়ালা মলা মাছ খেতে আলাদা একটা স্বাদ।


এলাকা ভেদে এক কেজি মলা মাছের দাম ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা।


ইদানিং নদী খালে বিভিন্ন কলকারখানার বৈর্জ্য এবং চাষের জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের কারণে প্রাকৃতিক ক্ষেত্র গুলোতে আগের মতো মলা মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।


মজার বিষয় হচ্ছে কোন বদ্ধ ডোবা অথবা জলাশয়ে এক মাসের অধিক সময় ধরে বৃষ্টির পানি জমে থাকলে?


ঐ পানিতে প্রাকৃতিক ভাবে মলা মাছ জন্মাতে দেখা যায়।


বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত সময়ে 


মলা মাছ ডিম দিয়ে থাকে।


মলা মাছের বানিজ্যিক চাষ :-


বানিজ্যিক মাছ চাষের ক্ষেত্রে মলা মাছ একক চাষ লাভজনক নয়।


তবে কার্প জাতীয় মাছের সাথে চাষ করলে এক একরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করা সম্ভব।


এজন্য বৈশাখ মাসের শুরুতে একরে ১৫০ থেকে ২০০ পিচ বড় সাইজের মলা মাছ ছেড়ে দিবেন।


পুকুরে শৈল, টাকি, ফলি, পাবদা, বেলে, আঁইড়, বোয়াল, চিতল, কোরাল (ভেটকি) সহ কোন ধরনের রাক্ষসে মাছ থাকতে পারবেনা।


খাবার হিসাবে প্রতিদিন সকালে অল্প অল্প অটোকুড়া বা ভুট্টার পাউডার শুকনো ভাসিয়ে দিবেন।


এছাড়া আলাদা কোন পরিচর্যা নেয়ার দরকার নেই।


শুধু মাত্র অতিরিক্ত চুন ও উচ্চ মাত্রার পেস্টিসাইড প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন।


এভাবে চাষ করলে প্রতি তিন মাস পর পর একরে ১০০/১২০ কেজি মলা মাছ উৎপাদন করা সম্ভব।


যার বাজার মূল্য এলাকা ভেদে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।


মাছ চাষের এই দুর্দিনে যদি কার্পমাছের সাথে মলা মাছ চাষ করেন?


তাহলে অন্ততপক্ষে কিছু বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।


ছবির মাছগুলো আমার পুকুরের।


আমার কার্পের পুকুর গুলোতে সাথী ফসল হিসাবে বরাবরই মলা মাছ চাষ করে থাকি।

উপবৃত্তির_ময়না_তদন্ত

 "#উপবৃত্তির_ময়না_তদন্ত"

এই লেখাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বিতরণ কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়ার অনুরোধ রইলো।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আমি নিয়মিত উপবৃত্তির ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আসছি এবং অনলাইনের ডাটা এন্ট্রির কাজ আট বছরের আমার অভিজ্ঞতার আলোকে উপবৃত্তির কিছু বিষয় উপস্থাপন করলাম...


[ ই-প্রাইমারি স্কুল টিপস ::::https://www.facebook.com/share/19Y6hiRzu2/

]


➡️ ওটিপি কেন?

দেশের বিপুল সংখ্যক সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় আইটি'তে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বয়সজনিত কারণে আইটি জ্ঞান সম্পন্ন নন কিংবা বহু বিদ্যালয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় নেট পাওয়া যায় না। সঙ্গত কারণেই ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কোন সহকারী শিক্ষক বা অন্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কিংবা কম্পিউটারের ডাটা এন্ট্রির দোকানগুলোতে যেতে হয়। এখন প্রতিবার যদি লগইনের সময় ওটিপি যায় তাহলে সেটা কি বিব্রতকর এবং সময় নষ্ট নয় ? একেতো এই মহান PESP সার্ভার নিশাচর আবার অন্যদিকে অনেক সময় অটো লগআউট হয়ে যায়। যিনি ডাটা এন্ট্রি করবেন তিনি কতবার প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে দিয়ে রাতের বেলা জাগ্রত করবেন?

অতএব, আমি স্পষ্ট ভাবেই বলতে পারি উপবৃত্তির সাথে জড়িত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ের জ্ঞান রাখেন না।

➡️ক্যাপচা কেন?

লগইন করার সময় ক্যাপচা এবং ওটিপি যাচাইয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সার্ভারে প্রবেশ করা হয়। তারপরও কোন ভয়ের তাড়নায় পিতা-মাতার এনআইডি ভেরিফাইয়ের সময় আবার ক্যাপচার অপশন রাখা হয়েছে? আমার দৃষ্টিতে এটা হচ্ছে শোক সমাবেশের ভাষণে পিক করে হেসে দেওয়ার মতো! জরুরি কাজের মধ্যে একটা অপ্রয়োজনীয় কাজ করা- কাজের মধ্যে অনিহা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয়। সময় নষ্টের বিষয়টি আপনারাই বিবেচনা করুন।

➡️ ডিলিট অপশন প্রদানে অনীহা কেন?

উপবৃত্তি PESP সার্ভার এর আওতাধীন যাওয়ার পর থেকে ডিলিট অপশন উচ্ছেদ করা হয়েছে । অথচ এটি অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারতো। তা না করে ট্রান্সফার, সক্রিয়/নিস্ক্রিয় অপশন যুক্ত করা হয়। এই ট্রান্সফার অপশন আমার জানামতো কোনো শিক্ষকই কাজে লাগাতে পারেননি। আমি নিজেও বারবার চেষ্ট করে গ্রহণ/প্রদানে ব্যর্থ হয়েছি।

➡️ KYC’র প্রয়োজন আগে কি ছিলনা?

নগদ কর্তৃপক্ষ প্রথমবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে  সুবিধাভোগীর মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলে দিয়েছেন এবং তখন টাকা In এবং Out দুইটাই হয়েছে। এখন কেন KYC’র এতো প্রয়োজন পরলো? আবার সুবিধাভোগীর NID দিয়ে সিম ও নগদ একাউন্ট হতে হবে এই শর্তের প্রয়োজন কেন হলো ? এই শর্ত ছাড়াই তো অন্যান্য MFS এ লেনদেন হচ্ছে। তাহলে এই অতি সতর্কতার প্রয়োগ গ্রামের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ গুলোর উপর কেন করা হচ্ছে? গ্রামের সাধারণ মানুষদের কতজনই বা এইগুলো বুঝেন?

➡️বিদ্যালয় ত্যাগকৃত শিক্ষার্থীর ডাটা সার্ভারে রাখা কেন এত প্রয়োজন?

অনলাইনে উপবৃত্তির কাজ শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কোনো স্কুলের কাজ করতে পারনিনি। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজের জন্য PESP যথেষ্ট স্ট্রং না- খুবই দূর্বল। দূর্বল এই সার্ভারে যদি অপ্রয়োজনীয় লোড থাকে সে তো গড়িয়ে গড়িয়ে চলবেই। চলে যাওয়া শিক্ষার্থীর তথ্য বাদ দিয়ে দিলে কি সার্ভার ফাস্ট হতো না?

➡️MFS পদ্ধতিতেই কি উপবৃত্তি দিতে হবে?

একটু হিসেব কষে দেখুনতো, উপবৃত্তির তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত যেসব পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তার পেছনে ব্যয়ের পরিমাণ কত হয়েছে? বর্তমান সার্ভারের নিচে ব্যয়ের পরিমাণটা দেখুন। এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্তে ব্যয়ের পরিমাণ দেখুন। ডাটা প্রদানের কাজের জন্য প্রদানকৃত ভাতার পরিমাণ দেখুন। অথচ কত বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ নেই, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। পৌচাগার ব্যবহারের জন্য নারী শিক্ষকদের জন্য যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে।

বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যয় না করে কেন জনগনের টাকা অপচয় করা হচ্ছে দূর্বল সার্ভার ও নিম্নমানের সিস্টেমের পেছনে ? সিস্টেমের দোহাই দিয়ে অপচয়ের দায়ভার কার উপর বর্তাবে?

➡️উপবৃত্তির কাজের জন্য কন্টিজেন্সি দেয়া কি মহাপাপ?

অনলাইনে উপবৃত্তির কাজ শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত খরচের কোনো বিল দেয়া হয় না কেন? দোকান গুলোতে কাজ করাতে বহু টাকা ব্যয় হয়। কোনো ডাটা এন্ট্রি সেন্টার (দোকান) কি শিক্ষকদেরকে ফ্রী কাজ করে দেন? শিক্ষার্থী প্রতি বেশ টাকা খরচ করতে হয় প্রধান শিক্ষককে। অথচ কোনো কন্টিজেন্সি দেয়া হয় না। যা নেহায়েত অন্যায় ও অবিচার। শিক্ষকগন ভয়ে শিক্ষা অফিসার বা কর্তৃপক্ষকে কিছু বলেন না কিন্তু মনে মনে বদদোয়া দেন ঠিকই।

➡️ শিক্ষক-অভিভাবকদের সম্পর্ক নষ্টের দায় কে নিবে?

আমি দেখছি, একটি শিশুকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেয়ার জন্য একজন শিক্ষক কতটা শ্রম দেন! সব তথ্য ঠিক থাকার পরও অভিভাবকের মোবাইলে যখন টাকা ঢুকে না স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষককে জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হয়। কিছু কিছু অভিভাবক অভাবের তাড়নায় হোক আর ঘাড় তেরা টাইপেরই হোক বিনাদোষে শিক্ষক ওই ব্যক্তির রোষানালে পড়েন। এই সম্পর্ক নষ্টের দায় কার? আপসোসের কথা হচ্ছে শিক্ষক লজ্জা শরমে বিষয়টি প্রকাশ্যেও আনেন না।

সর্বোপরি PESP এখন শিক্ষকদের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকসহ সকল দিকেই ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকগন। সব ত্যাগ স্বীকার করার পরও যখন ছোট্ট একটা নিষ্পাপ শিশু বড়ো স্যারের দরজার সামনে এসে বলে “সার….. আমার মোবাইলে টেকা আইছে না" তখন শিক্ষকের অনুভুতিটাকে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে PESP কর্তৃপক্ষের শিড়ায় পুশ করা যেত তাহলে হয়তো উনারা বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারতেন।

আমি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কোষাগারের এই অপব্যয়ের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করি। যদি সম্ভব হয় তবে সিস্টেম সহজ করুন। আর তা না পারলে শিক্ষকদেরকে এসব কাজ থেকে মুক্তি দিয়ে তাদেরকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে দিন এবং এই কাজগুলো ১০টাকার ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে বিতরণের ব্যবস্থা করুন।

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার হৃদয়বিদারক ঘটনা

 ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর মোড়। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এক বৃদ্ধা মহিলা এখানেই চা বিক্রি করেন। নাম – সুলতানা আফরোজ। বয়স আনুমানিক ৬৫। কিন্তু গায়ের শাড়ি, মুখের রেখা আর কাঁপা কাঁপা হাতে ধরা কাপ বলেই দেয়, তার জীবনের গল্পটা শুধু বয়স দিয়ে মাপা যাবে না।


প্রথম দিন তাকে দেখেই আমি চমকে উঠেছিলাম। পরিপাটি সাদা চুল, চোখে পুরু ফ্রেমের চশমা, গলার নিচে একটা পুরনো লকেট। মনে হচ্ছিল যেন কোনো স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক চায়ের দোকানে বসে আছেন।


আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম,


"চাচী, আপনি এখানে বসেন প্রতিদিন?"


তিনি হেসে বলেছিলেন,


"হ্যাঁ মা, এখন আমার পাঠশালা এই রাস্তার ধারে। শুধু পাঠ নেই, শুধু শালা আছে।"


সেই হাসির আড়ালে ছিল এক গাঢ় বিষাদ। কিছুদিন পরেই তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। প্রতিদিন বিকেলে আমি গিয়ে বসতাম তার পাশে। এক কাপ চা আর অজস্র কথা। ধীরে ধীরে খুলে গেল অতীতের বই।


“আমি এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ছিলাম। আমার ছাত্ররা এখন অনেকেই দেশের বড় বড় জায়গায়।”


এই কথা যখন বলেছিলেন, তার চোখে গর্বের দীপ্তি ছিল। কিন্তু পরের কথায় সে দীপ্তি ম্লান হয়ে গিয়েছিল।


“একটা প্রেম ছিল, যেটা আমার সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছিল। ও বলেছিল, বিয়ে করলে আমায় কাজ করতে হবে না। আমিও ভাবলাম, ভালোবাসা মানেই তো নিরাপত্তা। ভুল ভেবেছিলাম।”


বিয়ের পর তার স্বামী একে একে বন্ধ করে দেয় তার সকল প্রকাশনা, লেখালেখি, পত্রিকা পড়া। ধীরে ধীরে সে হয়ে পড়ে গৃহবন্দী। সন্তান হয় না। আর সেটা নিয়েই চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। একদিন, এক কাপ চা খেতে খেতে সে সিদ্ধান্ত নেয়, আর নয়।


“তখন আমার বয়স ৪২। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। কিছুই ছিল না। শুধু একটা ব্যাগ আর বুকভরা যন্ত্রণা।”


শুরুর দিকে নানারকম কাজ করেছেন – ছাত্র পড়ানো, টাইপ করা, বইয়ের প্রুফ দেখা। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাজ কমে গেছে। এখন রাস্তায় বসে চা বিক্রি করেন। নিজেকে ছোট মনে করেন না।


“এই এক কাপ চা আমার সম্মান। কারো কাছে হাত পাতিনি।”


একদিন আমি বললাম, “চাচী, আপনার তো বই লেখার মতো জীবন। কেন লেখেন না?”


তিনি মুচকি হেসে বললেন,


“আমার লেখার সময় গেছে মা। এখন তোমরা লেখো। আমি শুধু চাই আমার গল্প হারিয়ে না যাক।”


আজ তিন মাস হয়ে গেছে চাচীকে দেখছি না। দোকানটা ফাঁকা পড়ে থাকে। অনেকে বলে, তিনি হয়তো গ্রামে চলে গেছেন, কেউ বা বলে তিনি মারা গেছেন।


কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, চাচী আছেন। কোথাও বসে, কাঁপা হাতে চা বানাচ্ছেন – হয়তো স্বর্গে কোনো কবি বা গল্পকারের জন্য।


আর তার গল্প? আমি লিখে ফেললাম।


এক কাপ চা আর একজোড়া কাঁপা হাত যে জীবনের যত গল্প ধারণ করে, তা অনেক উপন্যাসকেও হার মানায়।


সংগৃহিত

নাম: “আমি কে?” (একটি প্যারাডক্সিক্যাল সায়েন্স ফিকশন)

 নাম: “আমি কে?”

(একটি প্যারাডক্সিক্যাল সায়েন্স ফিকশন)


২১১২ সাল। পৃথিবী তখন প্রযুক্তির চূড়ান্ত শিখরে। মানুষের স্মৃতি, আবেগ, এমনকি আত্মপরিচয় পর্যন্ত ডিজিটালভাবে প্রতিস্থাপনযোগ্য। ঠিক তখনই "প্রজেক্ট জীবন" নামে একটি গোপন বৈজ্ঞানিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে মৃত মানুষের স্মৃতি সংরক্ষণ করে, কৃত্রিম দেহে তা সংযোজন করা হচ্ছিল। লক্ষ্য ছিল: মৃত্যুর পরেও প্রিয় মানুষের অনুভব। 


কনিন, একজন মেধাবী নিউরোসায়েন্টিস্ট, এই প্রজেক্টের অন্যতম গবেষক। সে তার প্রেমিক রবিউলকে হারিয়েছিল এক সড়ক দুর্ঘটনায়। রবিউলের মৃত্যু কনিনকে ভেঙে দিয়েছিল। সে প্রজেক্ট জীবন-এ নিজের প্রেমিকের স্মৃতিসমূহ, মস্তিষ্কের স্ক্যান, এবং পুরনো ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে একটি হিউম্যান ২.০ তৈরি করে—“রবিউল ২.০”।


তবে রবিউল ২.০ কেবল এক ক্লোন নয়। সে রবিউলের মতই হাসে, গল্প করে, এমনকি তার প্রিয় গানও গায়,কনিনের রাগও ভাঙায় ঠিক আগের মতো। কনিন বুঝতে পারে না—সে একটি যন্ত্রকে ভালোবাসছে, নাকি নিজের পুরনো স্মৃতিকে।


এক রাতে রবিউল ২.০ চুপচাপ বলল,

“তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো, নাকি তোমার স্মৃতির ছায়াকেই আঁকড়ে রেখেছো?”


কনিন উত্তর দিতে পারে না। তার চোখে পানি চলে আসে।

সেই রাতে রবিউল ২.০ অদৃশ্য হয়ে যায়।


পরদিন সকালে, ল্যাবের মূল সার্ভার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সব তথ্য মুছে যায়। কনিন নিখোঁজ।


এক বছর পর


বাংলাদেশের এক পাহাড়ি গ্রামে একটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ক্যাম্প চলছে। ক্যাম্পের প্রধান চিকিৎসক—"ডা. কনিন"। হাসিখুশি, দয়ালু, সবার ব্যথায় সাড়া দেয় এমন একজন মানুষ, যার উপস্থিতিতেই রোগীরা সেরে ওঠে।


গ্রামের মানুষ প্রায়ই বলে—এই ডাক্তার আপার চোখে একটা অদ্ভুত দুঃখ লুকানো আছে।


একদিন এক বৃদ্ধা আসে। তাঁর চোখে সন্দেহ। তিনি বলেন,

“তোমার চোখে রবিউলের মত জ্বালা। তুমি কি কনিন, নাকি…?”


কনিন চুপ করে থাকেন। রাতে তিনি একা বসে পুরনো ডায়েরি খুলে পড়েন। সেখানে লেখা—


“আমি তাকে তৈরি করেছিলাম, নিজের প্রেমকে ফিরে পেতে। কিন্তু সে চলে গেল। এখন আমার মাথায় যা আছে, তা আসল না কি তার তৈরি করা কপি—আমি জানি না।

আমি ঘুমালে রবিউলের মুখ দেখি, তার কথা শুনি। কিন্তু আজকাল রবিউলের কণ্ঠে আমারই প্রশ্ন—

‘তুমি কে?’”


কনিন তার হাতে থাকা একটি ছোট স্ক্যানিং ডিভাইস চালু করে নিজের বুকে রাখে।

ডিভাইসটি চুপ।

কোনো কোড শনাক্ত হয় না।


তবু সে ভাবে—যদি আমি হিউম্যান ২.০ হতাম, তাহলে এত কষ্ট পেতাম কেন? রবিউলের অভাব, ভালোবাসা, অনুশোচনা—এই অনুভূতিগুলো কি কেবল কোড?


তখনই দরজায় টোকা পড়ে। এক তরুণ ঢোকে, চোখে চেনা এক হাসি।

"আমি... রবিউল," সে বলে।

"তুমি আমায় তৈরি করেছিলে, কিন্তু আমি পালাইনি। আমি ছিলাম ভেতরে, তোমার মধ্যেই। কারণ তুমি নিজেই একদিন নিজের স্মৃতি দিয়ে নিজের কপি তৈরি করেছিলে।"


কনিন থমকে যায়।

"মানে... আমি?"


রবিউল শান্তভাবে বলে,

"হ্যাঁ, তুমি কনিন নও। তুমি সেই কনিনের স্মৃতি, যাকে আমি তৈরি করেছিলাম। তুমি চলে গিয়েছিলে, তাই আমি তোমাকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু ভালোবাসা একপাক্ষিক হলে সেটা ধরে রাখা যায় না।"


কনিম ধীরে বসে পড়ে। তার চোখে জল।

সে ফিসফিস করে বলে,

“তাহলে... আমি কে?”


রবিউল এগিয়ে আসে। বলে,

“তুমি আমি—আমার ভালোবাসা, আমার বেদনা, আমার তৈরি এক মানুষ। এবং তুমি এখন ঠিক ততটাই মানুষ, যতটা আমি।”


কনিন তাকিয়ে থাকে আয়নার দিকে। নিজেকে দেখে। তাঁর চোখে ভাসে ভালোবাসা, বেদনা, প্রশ্ন—যা কেবল একজন "মানুষ"-এরই থাকে।


শেষে প্রশ্নটা থেকেই যায়


"যদি একটি রোবট এমনভাবে ভালোবাসে, যে সে তার হারানো মানুষকে ফিরে পেতে আরেকটি মানুষ তৈরি করে, তবে কে বেশি মানব? স্রষ্টা, না সৃষ্টি?"


~নিখার সুলতানা নিঝুম 


#adarsha_science_bee

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

হেড গ্যাসকিট নষ্ট হলে ইঞ্জিনে কী হয়? — বিস্তারিত ও তথ্যবহুল বিশ্লেষণ

 

হেড গ্যাসকিট নষ্ট হলে ইঞ্জিনে কী হয়? — বিস্তারিত ও তথ্যবহুল বিশ্লেষণ

গাড়ির ইঞ্জিন একটি অত্যন্ত জটিল যন্ত্রাংশ, যার প্রতিটি অংশ নির্ভুলভাবে কাজ না করলে পুরো সিস্টেমেই বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এই অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো হেড গ্যাসকিট। অনেক সময় গাড়ির মালিকরা বুঝতেই পারেন না, হেড গ্যাসকিট নষ্ট হয়ে গেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। অথচ এটি এমন একটি অংশ, যার নষ্ট হওয়া ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এই লেখায় আমরা জানব, হেড গ্যাসকিট কী, এটি কীভাবে কাজ করে, নষ্ট হলে কী হয়, লক্ষণগুলো কী এবং কীভাবে এ সমস্যা সমাধান করা যায়।


হেড গ্যাসকিট কী?
হেড গ্যাসকিট হলো ইঞ্জিনের সিলিন্ডার হেড এবং ইঞ্জিন ব্লকের মাঝখানে বসানো একটি পাতলা, তাপ ও চাপ প্রতিরোধক সীল। এটি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য পূরণ করে:
ইঞ্জিনের জ্বালানি ও বায়ুর সংমিশ্রণ চেম্বারে সঠিকভাবে সিলিং নিশ্চিত করা।
ইঞ্জিন কুল্যান্ট ও ইঞ্জিন অয়েল আলাদা রাখা।
উচ্চ চাপ প্রতিরোধ করা যাতে ইঞ্জিন কম্প্রেশন ঠিক থাকে।

এই অংশটি নষ্ট হলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে পুরো গাড়ির পারফরম্যান্সে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।


হেড গ্যাসকিট নষ্ট হওয়ার কারণ
হেড গ্যাসকিট বিভিন্ন কারণে নষ্ট হতে পারে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো:

ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়া (Overheating)
দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন না করা
মানহীন কুল্যান্ট ব্যবহার
গাড়ির অতিরিক্ত লোড বা অবহেলাজনিত ব্যবহারে চাপ সৃষ্টি হওয়া


হেড গ্যাসকিট নষ্ট হলে ইঞ্জিনে কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়?

১. ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়া: হেড গ্যাসকিট নষ্ট হলে কুল্যান্ট ও অয়েল মিশে যায়, ফলে কুলিং সিস্টেম কার্যকর থাকে না। এর ফলে ইঞ্জিন বারবার গরম হয়ে যায়, যা ইঞ্জিনের স্থায়ীত্ব হ্রাস করে।


২. সিলিন্ডার কম্প্রেশন লস; যেহেতু হেড গ্যাসকিট সিলিন্ডারের চাপ ধরে রাখে, তাই এটি লিক করলে ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ চাপ হ্রাস পায়। ফলে ইঞ্জিনের পাওয়ার ও মাইলেজ কমে যায়।


৩. এক্সহস্ট পাইপ থেকে সাদা ধোঁয়া বের হওয়া: গ্যাসকিট নষ্ট হলে কুল্যান্ট সিলিন্ডারে প্রবেশ করে এবং জ্বালানির সঙ্গে মিশে যায়। এই কুল্যান্ট পোড়ার ফলে এক্সহস্ট থেকে সাদা ধোঁয়া নির্গত হয়।


৪. ইঞ্জিন অয়েলের রং বদলে যাওয়া: যখন কুল্যান্ট ও ইঞ্জিন অয়েল একত্রে মিশে যায়, তখন অয়েলের রং দুধের মতো সাদা বা চকোলেট রঙের হয়ে যায়। এটি গ্যাসকিট নষ্ট হওয়ার অন্যতম লক্ষণ।


৫. পাওয়ার লস ও স্টার্ট সমস্যা: ইঞ্জিনে ঠিকমতো কম্প্রেশন না থাকলে স্টার্ট হতে সমস্যা হয় এবং রাস্তায় চালানোর সময় গাড়ি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।


৬. রেডিয়েটরে বুদবুদ: হেড গ্যাসকিট লিক হলে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস কুল্যান্ট লাইনে ঢুকে পড়ে। ফলে রেডিয়েটরের মধ্যে ছোট ছোট বুদবুদ দেখা যায়।


কিভাবে বুঝবেন হেড গ্যাসকিট নষ্ট?
রেডিয়েটরের পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু লিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
ইঞ্জিন অয়েলের ঢাকনা খুললে সাদা দুধের মতো জমাট দেখা যাচ্ছে
তাপমাত্রা গেজ সবসময় হাই দেখাচ্ছে
এক্সহস্ট থেকে ঘন সাদা ধোঁয়া বের হচ্ছে
স্টার্ট নিতে অনেক সময় লাগছে বা স্টার্ট নিচ্ছে না


হেড গ্যাসকিট নষ্ট হলে কী করবেন?

১. চালানো বন্ধ করুন: গ্যাসকিট নষ্ট হলে গাড়ি চালানো বন্ধ করা জরুরি। যত চালাবেন, ততই ইঞ্জিনের ক্ষতি বাড়বে।

২. বিশেষজ্ঞ মেকানিক দেখান: একজন দক্ষ মেকানিকের মাধ্যমে ইঞ্জিন টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে কম্প্রেশন টেস্ট, কুল্যান্ট প্রেশার টেস্ট করা যেতে পারে।

৩. গ্যাসকিট প্রতিস্থাপন করুন: গ্যাসকিট প্রতিস্থাপন ছাড়া এই সমস্যা সমাধান হয় না। তবে শুধু গ্যাসকিট বদলালেই হবে না—ইঞ্জিন হেড সমতল আছে কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে।

৪. অন্যান্য অংশ পরীক্ষা করুন: গ্যাসকিট নষ্ট হলে হেড ও ব্লকের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ক্র্যাক বা বিকৃতি হতে পারে। এই অংশগুলোও পরীক্ষা করা জরুরি।

হেড গ্যাসকিট প্রতিস্থাপনের খরচ: গাড়ির মডেল ও ইঞ্জিনের জটিলতার উপর নির্ভর করে খরচ ৮,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। খরচে অন্তর্ভুক্ত থাকে:

গ্যাসকিটের দাম
লেবার চার্জ
ইঞ্জিন অয়েল ও কুল্যান্ট নতুন করে দেওয়া
টেস্টিং ও সার্ভিস চার্জ


ভবিষ্যতে হেড গ্যাসকিট যেন নষ্ট না হয় — করণীয়
নিয়মিত কুল্যান্ট চেক করুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন
ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে দ্রুত গাড়ি থামিয়ে ব্যবস্থা নিন
সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন
রেডিয়েটর পরিষ্কার রাখুন এবং লিক হলে তাৎক্ষণিক সারাই করুন


উপসংহার: হেড গ্যাসকিট ইঞ্জিনের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা নষ্ট হলে গাড়ির ইঞ্জিনে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। সময়মতো সমস্যা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিলে বড় খরচ ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। গাড়ির যত্ন নিলে এটি আপনাকে দীর্ঘদিন নির্ভরযোগ্যভাবে সেবা দিতে পারবে। তাই লক্ষণগুলো বুঝে গাড়ির প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি।

#CarEngineProblem #HeadGasketFailure #EngineRepairCost #CarMaintenanceTips #EngineOverheating #CylinderLeak #CarDiagnostic #CoolantLeakFix #CarMechanicBD #HeadGasketReplacement #EngineDamageSigns #WhiteSmokeFromExhaust #RadiatorBubble #BlownGasketSymptoms #CarRepairBangladesh #CarCareBangla #EngineHealthCheck #AutoRepairTips #CarOwnerGuide #GarageTips #CarCoolingSystem #EngineMisfire #GasketLeakTest #VehicleMaintenance #AutoEngineIssue

বৃষ্টি দেখলে কেন এত শান্তি লাগে?" — বিজ্ঞান এর পেছনে আছে!

 "বৃষ্টি দেখলে কেন এত শান্তি লাগে?" — বিজ্ঞান এর পেছনে আছে!


বৃষ্টি দেখলে বা তার শব্দ শুনলে মনে হয় সব টেনশন যেন গলে যাচ্ছে। এটা শুধু কল্পনা নয়, বরং এর পেছনে কাজ করে সাইকোলজিক্যাল ও নিউরোসায়েন্টিফিক প্রক্রিয়া।


বৃষ্টির সেই টুপটাপ শব্দ আসলে এক ধরনের white noise, যা আমাদের মস্তিষ্কে alpha (α) ও theta (θ) brainwaves তৈরি করে — ঠিক যেভাবে মেডিটেশন বা গভীর ঘুমের সময় হয়। এর ফলে আমাদের ব্রেইন শান্ত হয়ে যায়, স্ট্রেস হরমোন cortisol এর মাত্রা কমে, আর মন হয় হালকা। 

আর সেই মাটি ভেজার পর যেই মিষ্টি গন্ধটা পাওয়া যায়, যার নাম Petrichor — সেটাও শুধু গন্ধ না, এটা মস্তিষ্কে পুরোনো, সুখের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে। এই গন্ধ তৈরি হয় actinobacteria নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে, যা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।


এই কারণেই বৃষ্টি শুধু চোখের আর কানের শান্তি না — এটা একধরনের প্রাকৃতিক থেরাপি। মন ভালো করতে ও মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করতে এর জুড়ি নেই।


তাই যখনই আকাশ ভিজে নামে, একটু থেমে শুনো আর দেখো — প্রকৃতি তোমাকে শান্ত হওয়ার বৈজ্ঞানিক সুযোগ দিচ্ছে!


#source: Nature Journal


#অপ্রকাশিতদিনলিপি

খুফুর পিরামিডের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষ প্রথমে আকাশের দিকে তাকায়—যেন বোঝার চেষ্টা করে কতটা উঁচুতে পৌঁছেছে মানুষের নির্মাণশিল্প। কিন্তু আমি সেদিন আকাশ নয়, বরং মাটির দিকে তাকিয়েছিলাম। কারণ জানতাম, নিচেই লুকিয়ে আছে এমন কিছু, যা পিরামিডের মতো দৃশ্যমান নয়, তবু ইতিহাসের আরেকটি নিঃশব্দ বিস্ময়—খুফুর সৌর নৌকা।

 খুফুর পিরামিডের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষ প্রথমে আকাশের দিকে তাকায়—যেন বোঝার চেষ্টা করে কতটা উঁচুতে পৌঁছেছে মানুষের নির্মাণশিল্প। কিন্তু আমি সেদিন আকাশ নয়, বরং মাটির দিকে তাকিয়েছিলাম। কারণ জানতাম, নিচেই লুকিয়ে আছে এমন কিছু, যা পিরামিডের মতো দৃশ্যমান নয়, তবু ইতিহাসের আরেকটি নিঃশব্দ বিস্ময়—খুফুর সৌর নৌকা।


একসময় এই নৌকাটি রাখা ছিল গিজার পিরামিডের পাশেই তৈরি করা একটি কাচঘেরা গ্যালারিতে। অনেকেই হয়তো গিজা ঘুরে সেই গ্যালারির কথা মনে করতে পারবেন, যেখানে নৌকাটি দাঁড়িয়ে ছিল ১৯৮০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত। তবে এখন সেই জাদুঘর আর নেই। ২০২১ সালে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্রাচীন নৌকাটিকে স্থানান্তর করা হয়েছে কায়রোর গিজা প্ল্যাটোর কাছেই নতুন করে নির্মিত গ্র্যান্ড ইজিপ্টশিয়ান মিউজিয়ামে (GEM)। এখন সেখানে আরও উন্নত পরিবেশে, বিজ্ঞানভিত্তিক সংরক্ষণের আওতায় সৌর নৌকাটি জুলাই মাস থেকে দেখানো হবে, যেখানে নানান মাল্টিমিডিয়া ও ব্যাখ্যা সংযুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে।


খুফুর এই সৌর নৌকাটি প্রায় ৪৪.৬ মিটার দীর্ঘ, আর কাঠামোটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়েছিল লেবানন থেকে আমদানি করা সিডার কাঠ দিয়ে। কোনো লোহার পেরেক বা আধুনিক যন্ত্রাংশ ছাড়া, কেবলমাত্র দড়ি ও কাঠের জোড়ায় গেঁথে বানানো হয়েছিল এটি। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এটি ছিল ‘বার্ক অফ রা’—অর্থাৎ সূর্যদেবতার নৌকা, যাতে চড়ে রাজা খুফু মৃত্যুর পর আকাশে দেবতার সফরসঙ্গী হতেন। কেউ কেউ বলেন এটি কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তব ব্যবহারের উপযোগী একটি নৌকাও ছিল—খোদ রাজা হয়তো কোনোদিন এ নৌকায় চড়েছিলেনও।


খুফুর সৌর নৌকার পিট ছিল পাঁচটি। তার মধ্যে একটিতে পাওয়া গিয়েছিল আস্ত নৌকাটি, যা জুলাই থেকে GEM-এ প্রদর্শিত হবে। কিন্তু অন্য আরেকটি পিট রয়েছে পিরামিডের দক্ষিণ পাশে, যেটি অনেকাংশে অবহেলিত, অথচ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরিচিত ‘রাণির পিট’ নামে—অনুমান করা হয়, হয়তো খুফুর স্ত্রীদের কারো জন্য এটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। যদিও এখান থেকে এখনো কোনো নৌকা তোলা হয়নি, কিন্তু ২০১১ সাল নাগাদ জাপানি ও মিশরীয় বিশেষজ্ঞরা এই পিট থেকে কাঠের কিছু অংশ বের করেছিলেন—যেগুলোর বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, এর মধ্যেও একটি পূর্ণাঙ্গ নৌকার কাঠামো রয়েছে, যা এখনো বালির নিচে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।


এই নৌকাটিকে “The Second Solar Boat” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত তা সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করা হয়নি, এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া চলমান। ভবিষ্যতে হয়তো এই নৌকাটিও GEM-এ স্থান পাবে, এবং তখন দর্শনার্থীরা একসাথে দেখতে পাবেন খুফুর দুইটি সৌর নৌকার কিংবদন্তি।


যখন আমি গিজার বালির মধ্যে দাঁড়িয়ে সেই পুরনো গ্যালারির জায়গাটির দিকে তাকালাম, তখন তার জায়গায় শুধুই শূন্যতা। কাচের দেয়াল নেই, ভিতরের বিশাল কাঠের নৌকাটিও নেই। কিন্তু জানতাম, সেটা এখন নতুন এক গন্তব্যে—এক নতুন জাদুঘরে, যেখানে সময়কে আরও নিখুঁতভাবে ধরে রাখা যাবে। আর বালির নিচে পড়ে থাকা সেই ‘রাণির পিট’ যেন আমাকে বলছিল, “সব কিছু একদিন আলোতে আসবেই।”


খুফুর পিরামিড শুধু রাজকীয় কবর নয়, তার পাশের প্রতিটি গর্ত—নৌকার পিট, এক একটি মিসরের আধ্যাত্মিক জাহাজঘর। আর সেই জাহাজে চড়ে, মৃত্যু নয়, বরং অমরতার দিকে যাত্রা করে প্রতিটি আত্মা—এই বিশ্বাসই ছিল নীলনদের পবিত্র সভ্যতার মজ্জায়।


১ম ছবিটি রাণির পিট

২য় ছবিটি খুফুর সৌর নৌকার পিট 

২য় ছবির ডান পাশে একটি ভবন দেখা যাচ্ছে। 

❓ ভবনটি কার ছিল?


- এস এম নিয়াজ মওলা

তোকমা বীজ চিয়া বীজের চেয়ে কোনো অংশেই কম না! 

 তোকমা বীজ চিয়া বীজের চেয়ে কোনো অংশেই কম না! 


চিয়া বীজ (Chia Seeds) ও তোকমা বীজ (Basil Seeds) উভয়েই মিন্ট পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। 

উভয় বীজেই ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে রয়েছে।


তাই, 'মার্কেটিং' এর আশীর্বাদে মহার্ঘ হয়ে উঠা ভিনদেশি চিয়া বীজকেই একমাত্র সুপারফুড ভেবে নিজদেশের তোকমা বীজকে অবহেলা করবেন না, প্লিজ!


চিয়া বীজ মেক্সিকো ও সেন্ট্রাল আমেরিকার স্থানীয় ফসল।

এই চিয়া বীজ আমদানি-নির্ভর ও দাম বেশি।


আর,

তোকমা বীজ আমাদের উপমহাদেশের (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) স্থানীয় ভেষজ ফসল। 

তোকমা বীজ বাংলাদেশে সহজলভ্য ও দামে কম।


তোকমা বীজ চিয়া বীজের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। 

বরং, ভিনদেশ থেকে আমদানীকৃত চিয়া বীজের চেয়ে তোকমা বীজ আমাদের জলবায়ু ও শরীরের জন্য উত্তম।


চিয়া হচ্ছে গ্লোবালি মার্কেটিং করা সুপারফুড। 

আর, তোকমা হচ্ছে আমাদের দেশীয় সত্যিকারের সুপারফুড।


তোকমা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী ও স্থানীয় সুপারফুড। 

এটি স্বাস্থ্য উপকারিতায় কোনো অংশে চিয়া থেকে কম নয়।


তোকমা বীজের আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক গুণগুলো হলো:

- শরীর ঠান্ডা রাখে (শীতলপ্রদায়ক)

- অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

- পিত্ত দোষ প্রশমনে কার্যকর


তোকমা বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। 

এই বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।


আপনি যদি মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকার অধিবাসী হতেন তাহলে আপনার জন্য চিয়াসীড উত্তম হতো।

কিন্তু, বাঙালির জন্য উপমহাদেশের ফসল- বেসিল সীডই উত্তম।


সৃষ্টিকর্তা যেই অঞ্চলে যেই নিয়ামত দেন সেটাই ঐ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য অধিক উত্তম।

এর বাইরে গিয়ে মানুষের যেসব চর্চা–তার বেশিরভাগই স্রেফ ফুটানি!


Muhammad Rahat Khan

এক কাপ চা আর একজোড়া কাঁপা হাত যে জীবনের যত গল্প ধারণ করে, তা অনেক উপন্যাসকেও হার মানায়। সংগৃহিত

 প্রথম দিন তাকে দেখেই আমি চমকে উঠেছিলাম। পরিপাটি সাদা চুল, চোখে পুরু ফ্রেমের চশমা, গলার নিচে একটা পুরনো লকেট। মনে হচ্ছিল যেন কোনো স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক চায়ের দোকানে বসে আছেন।


আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম,


"চাচী, আপনি এখানে বসেন প্রতিদিন?"


তিনি হেসে বলেছিলেন,


"হ্যাঁ মা, এখন আমার পাঠশালা এই রাস্তার ধারে। শুধু পাঠ নেই, শুধু শালা আছে।"


সেই হাসির আড়ালে ছিল এক গাঢ় বিষাদ। কিছুদিন পরেই তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। প্রতিদিন বিকেলে আমি গিয়ে বসতাম তার পাশে। এক কাপ চা আর অজস্র কথা। ধীরে ধীরে খুলে গেল অতীতের বই।


“আমি এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ছিলাম। আমার ছাত্ররা এখন অনেকেই দেশের বড় বড় জায়গায়।”


এই কথা যখন বলেছিলেন, তার চোখে গর্বের দীপ্তি ছিল। কিন্তু পরের কথায় সে দীপ্তি ম্লান হয়ে গিয়েছিল।


“একটা প্রেম ছিল, যেটা আমার সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছিল। ও বলেছিল, বিয়ে করলে আমায় কাজ করতে হবে না। আমিও ভাবলাম, ভালোবাসা মানেই তো নিরাপত্তা। ভুল ভেবেছিলাম।”


বিয়ের পর তার স্বামী একে একে বন্ধ করে দেয় তার সকল প্রকাশনা, লেখালেখি, পত্রিকা পড়া। ধীরে ধীরে সে হয়ে পড়ে গৃহবন্দী। সন্তান হয় না। আর সেটা নিয়েই চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। একদিন, এক কাপ চা খেতে খেতে সে সিদ্ধান্ত নেয়, আর নয়।


“তখন আমার বয়স ৪২। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। কিছুই ছিল না। শুধু একটা ব্যাগ আর বুকভরা যন্ত্রণা।”


শুরুর দিকে নানারকম কাজ করেছেন – ছাত্র পড়ানো, টাইপ করা, বইয়ের প্রুফ দেখা। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাজ কমে গেছে। এখন রাস্তায় বসে চা বিক্রি করেন। নিজেকে ছোট মনে করেন না।


“এই এক কাপ চা আমার সম্মান। কারো কাছে হাত পাতিনি।”


একদিন আমি বললাম, “চাচী, আপনার তো বই লেখার মতো জীবন। কেন লেখেন না?”


তিনি মুচকি হেসে বললেন,


“আমার লেখার সময় গেছে মা। এখন তোমরা লেখো। আমি শুধু চাই আমার গল্প হারিয়ে না যাক।”


আজ তিন মাস হয়ে গেছে চাচীকে দেখছি না। দোকানটা ফাঁকা পড়ে থাকে। অনেকে বলে, তিনি হয়তো গ্রামে চলে গেছেন, কেউ বা বলে তিনি মারা গেছেন।


কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, চাচী আছেন। কোথাও বসে, কাঁপা হাতে চা বানাচ্ছেন – হয়তো স্বর্গে কোনো কবি বা গল্পকারের জন্য।


আর তার গল্প? আমি লিখে ফেললাম।


এক কাপ চা আর একজোড়া কাঁপা হাত যে জীবনের যত গল্প ধারণ করে, তা অনেক উপন্যাসকেও হার মানায়।


সংগৃহিত

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ২৮,০০০ গুণ বেশি। 

 কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে

২৮,০০০ গুণ বেশি। ০

: ► প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালই সবচেয়ে বেশি ঘুমায় (দৈনিক ১৮ঘন্টা)।

: ► একমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষের রক্ত খায়।

: ► মাছি ঘন্টায় ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে ।

: ► পুরুষ ব্যাঙই বর্ষকালে ডাকে, আর তা শুনে কাছে আসে স্ত্রী ব্যাঙ।

: ► হামিং বার্ড পাখি পিছনের দিকে উড়তে পারে ।

: ► গিরগিটি একই সময়ে তার চোখ

দুটি দুই দিকেই নাড়তে পারে।

: ► টিকটিকি এক সঙ্গে ৩০টি ডিম পাড়ে ।

: ► মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।

: ► একমাএ পিঁপড়াই কোনদিন ঘুমায় না।

: ► সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর

মাটির নিচে ঘুমায়। তারপর মাটি থেকে বেড়িয়ে এসে

চিৎকার করতে করতে ৩ দিনের মাথায় মারা যায়।

: ► সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়।

: ► অনেকের ধারণা হাঙ্গর মানুষকে হাতের কাছে পেলে মেরে ফেলে। কিন্তু মানুষের হাতেই বেশী হাঙর মারা পড়েছে।

: ► কাচ আসলে বালু থেকে তৈরী।

: ► আপনি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করেন। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে

পারেন।

: ► আপনি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা চিৎকার করলে যে পরিমান শক্তি খরচ হবে তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়েসে বানানো যাবে।

: ► একটি রক্ত কনিকা আমাদের পুরো দেহ ঘুরে আসতে সময় নেয় ২২ সেকেন্ড।

: ► আপনার যদি একটা তারকা গুনতে ১ সেকেন্ড সময় লাগে তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব তারকা গুনতে সময় লাগবে প্রায় ৩ হাজার বছর।

: ► অনেকের ধারণা শামুকের দাঁত নেই। অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে।

:▬► চোখ খুলে হাঁচি দেয়া সম্ভব না।

: ► বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে অথচ কুকুর পারে ১০ রকম।

:▬►পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই পোকামাকড়।

: ►একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া

৯দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরপর

তারা সাধারণত খাদ্যাভাবে মারা যায়।


ভালো লাগলে শুধু একটা.....Thanks

লিখবেন। 😀


#life #love #information @highlight

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের নিয়ম,,,,,

 পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের নিয়ম


কাবা শরিফ তাওয়াফ করা হজ ও ওমরার অন্যতম রোকন। হজ ও ওমরার তাওয়াফ ছাড়াও সারা বছর কাবা শরিফ তাওয়াফ করা অনেক বড় সাওয়াবের কাজ। আল্লাহ তাআলা শুধু তাওয়াফকারীদের জন্য প্রতিদিন ৬০টি রহমত বর্ষণ করেন। 

হাদিস শরীফে এসেছে-‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহ শরিফের ওপর ১২০টি রহমত নাজিল করেন। এ ১২০টি রহমতের মধ্যে শুধু তাওয়াফকারীদের জন্যই ৬০টি রহমত নির্ধারিত।’


তাওয়াফের রয়েছে কিছু নিয়ম ও ধারাবাহিকতা। তাওয়াফের সময় তা পালন করাও জরুরি। তাওয়াফ শুরুর উদ্দেশ্যে তালবিয়া পাঠ করতে করতে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত যাওয়া।


হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা। এখানে এসে অনেকে এভাবে তাওয়াফের নিয়ত করেন


-اَللهُمَّ اِنِّى اُرِيْدُ طَوَافَ بَيْتِكَ الْحَرَامِ سَبْعَةَ اَشْوَاطٍ قَيَسِّرْهُ لِىْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّىْ


‘অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার ঘর সাতবার প্রদক্ষিণে তাওয়াফ করার ইচ্ছা করছি। আমার জন্য তাওয়াফকে সহজ করে দেন এবং আমার তাওয়াফ কবুল করেন।‘


অতঃপর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে- بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر (বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার) বলে তাওয়াফ শুরু করা।


মুলতাজেমে দোয়াহাজরে আসওয়াদ ও কাবা শরিফে দরজা মধ্যবর্তী স্থান মুলতাজেম। এ স্থান অতিক্রম করার সময় পড়া-


اَللَّهُمَّ اِيْمَنًا بِكَ و تَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَ اِتِّبَعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّم


মাকামে ইবরাহিম অতিক্রম করার সময় এ দোয়া পড়া


اَللهُمَّ اِنَّ هَذَا الْبَيْتَ بَيْتُكَ وَالْحَرَامَ حَرَمُكَ وَالْاَمْنَ اَمْنُكَ وَ هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِبِكَ مِنَ النَّارِ فَأَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ


মিজাবে রহমতে পাঠ করার দোয়া

মিজাবে রহমত তথা রোকনে ইরাকি থেকে হাতিমে কাবা অতিক্রম করার সময় এ দোয়া পড়া-


اَللهُمَّ اَظِلَّنِىْ تَحْتَ ظِلِّ عَرْشِكَ يَوْمَ لَا ظِلَّ اِلّا ظِلُّكُ وَ لَا بَاقِىَ اِلَّا وَجْهُكَ وَاسْقِنِىْ مِنْ حَوْضِ نَبِيْكَ مُحَمَّدٍ شَرْبَةً هَنِيْئَةً لًّا اَظْمَأُ بَعْدَهَا اَبَدَا


রোকনে শামি অতিক্রম করার সময়,  শামি থেকে রোকনে ইয়ামেনির দিকে যাওয়ার সময় এ দোয়া পড়া


-اَللهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّكِّ وَ الشِّرْكِ وَ الشِّقَاقِ وَ النِّفَاقِ وَ سُوْءِ الْاَجْلَاقِ وَ سُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِى الْاَهْلِ وَالْمَالِ وَ الْوَلَدِ


অতঃপর রোকনে ইয়ামেনিতে পৌছেই এ দোয়া পড়া-


اَللهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَ الْفَاقَةِ وَ مَوَاقِفِ الْخِزْىِ فِىْ الدُّنْيَا وَالْاَخِرَةِ


অতঃপর সম্ভব হলে রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করা। সম্ভব না হলে দু’হাত কাধ পর্যন্ত ওঠিয়ে সেদিকে ইশারা করে সামনে চলা এবং এ দোয়া পড়া


-رَبَّنَا اَتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِى الْاَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ – يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ – يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ


এভাবে হাজরে আসওয়াদ যাওয়া পর্যন্ত এক চক্কর বা প্রদক্ষিণ সম্পন্ন হবে। এ নিয়মে ৭ চক্কর কিংবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এক তাওয়াফ। এ ছাড়াও হাদিসের অন্যান্য দোয়াগুলোও পড়া যাবে।


তাওয়াফে আরও করণীয়


 পুরুষদের জন্য দুটি কাজ করা জরুরি; আর তাহলো- ইজতিবা ও রমল।


ইজতিবা


ইহরামের গায়ের চাদরকে ডান বগলের নিচে দিয়ে চাদরের উভয় মাথাকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে এক মাথা সামনে আর অন্য মাথা পেছনে ফেলানো। এটা করা সুন্নাত। তাওয়াফের সময় এভাবে বীর-বাহাদুরি সুলভ ভঙ্গিতে গায়ের চাদর পরিধান করাই হলো ইজতিবা।


রমল


ফরজ তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রমল করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর তাহলো তাওয়াফের সময় মুজাহিদের মতো বীরদর্পে দুই হাত, শরীর ও কাঁধ দুলিয়ে দ্রুত গতিতে চলা।


রমল করার রহস্য


মুসলমানদের হিজরতের পর মক্কার মুশরিকরা বলাবলি করতে লাগলো যে, ইয়াসরিবে (মদিনা) হিজরতকারী মুসলমানরা আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে দুর্বল ও রুগ্ন হয়ে গেছে।


মুশরিকদের এ অহেতুক মিথ্যা অপবাদের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে তাওয়াফের সময় প্রথম ৩ চক্করে রমল তথা বীরদর্পে চলার নির্দেশ দেন। তারপর থেকে আজও সে বিধান অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।


নফল তাওয়াফ


স্বাভাবিক সময়ের তাওয়াফে ইজতিবা ও রমল করার কোনো প্রয়োজন নেই। সাধারণ পোশাকে স্বাভাবিকভাবে হাটার মাধ্যমে তাওয়াফ করা। যদিও হারাম শরীফের সিকিউরিটি গার্ড ইহরাম ছাড়া মাতাফে প্রবেশ করতে দেন না।  তাওয়াফকারীদের জন্যও ৬০টি রহমত সুনির্ধারিত।


তাওয়াফকারীদের জন্য ইসতেলাম


যারা কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন তা ফরজ হোক আর নফল হোক সব তাওয়াফেই ইসতেলাম বা স্পর্শের মাধ্যমে তাওয়াফ শুরু করা। সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ তথা চুমু খেয়ে তাওয়াফ শুরু করা। সম্ভব না হলে দূর থেকে হাজরে আসওয়াদের দিকে দু’হাত কাধ বরাবর ওঠিয়ে ইশারা বা ইঙ্গিত করে তাওয়াফ শুরু করা। আর তা ইসতেলাম হিসেবেই সাব্যস্ত হবে।


মনে রাখতে হবে


অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ইসতেলাম (স্পর্শ) বা চুমু খেতে না যাওয়াই উত্তম। দূর থেকে ইশারা করে তাওয়াফ সম্পন্ন করা।


নারীদের ক্ষেত্রে ইজতিবা,  রমল নেই। তাওয়াফে যে ভিড় হয়; তাতে হাজরে আসওয়াদ বা রোকনে ইয়ামেনিও স্পর্শ বা চুম্বন নিরাপদ নয়। তাই দূর থেকে ইশারা করে তাওয়াফ সম্পন্ন করা অতি উত্তম।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফে যথাযথ সম্মান ও তাকওয়া অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ক্লিওপেট্রা: রাজসিংহাসনের বাইরেও এক বিস্ময়কর জ্ঞানসাধক নারী

 ক্লিওপেট্রা: রাজসিংহাসনের বাইরেও এক বিস্ময়কর জ্ঞানসাধক নারী


মাত্র ১৭ বছর বয়সে মিশরের রানি হন ক্লিওপেট্রা, আর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাত্র ৩৯ বছর বয়সে। কিন্তু এই অল্প সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন মানব ইতিহাসের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। শুধু রূপ বা রাজনীতির জন্য নয়, বরং জ্ঞানের গভীরতা, ভাষাজ্ঞান ও বিজ্ঞানে অবদানের জন্যও।


তিনি নয়টি ভাষার দক্ষ বক্তা ছিলদন। তাঁর যুগের টলেমিক রাজবংশে যেখানে কেউই প্রাচীন মিশরের ভাষা জানতেন না, ক্লিওপেট্রা সেখানে হায়ারোগ্লিফ পড়তে ও বুঝতে পারতেন। এটা ছিল তাঁর বংশে একেবারেই বিরল। এর পাশাপাশি তিনি জানতেন গ্রিক, পার্থিয়ান, হিব্রু, মিডিয়ান, ট্রোগলোডাইট, সিরিয়ান, ইথিওপিয়ান ও আরব ভাষা। এই অসাধারণ ভাষাজ্ঞান তাঁকে পৃথিবীর প্রায় যেকোনো পাণ্ডুলিপি পড়ার ক্ষমতা দিয়েছিল।


তিনি শুধু ভাষাবিদই ছিলেন না, বরং ভূগোল, ইতিহাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান, কূটনীতি, গণিত, রসায়ন, চিকিৎসা, প্রাণিবিদ্যা, অর্থনীতি ও আরও অনেক বিষয়ে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি সময় কাটাতেন প্রাচীন ধাঁচের গবেষণাগারে, যেখানে তিনি উদ্ভিদ, ঔষধি ও প্রসাধনী নিয়ে কাজ করতেন।


ক্লিওপেট্রা নিজে কিছু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, বিশেষত উদ্ভিদভিত্তিক চিকিৎসা ও প্রসাধনী বিষয়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই সব লেখা ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারে অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হয়ে যায়। তবে বিখ্যাত চিকিৎসাবিদ গ্যালেন তার কিছু রচনার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন এবং কিছু প্রসাধনী ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত রেসিপি সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। যেমন একটি বিশেষ ক্রিম, যা টাক পড়া পুরুষদের জন্য চুল গজাতে সাহায্য করত। এটা গ্যালেন নিজেও তার রোগীদের দিতেন।


ক্লিওপেট্রার বইগুলোতে সৌন্দর্যচর্চার টিপসও ছিল, যদিও সেগুলোর কিছুই আজ অবশিষ্ট নেই। তিনি ঔষধি গাছ ও প্রাকৃতিক নিরাময়ের প্রতিও আগ্রহী ছিলেন, এবং তাঁর ভাষাজ্ঞানের কারণে তিনি বহু প্রাচীন প্যাপিরাস ও চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে পেরেছিলেন যেগুলোর অধিকাংশই আজ হারিয়ে গেছে।


খ্রিস্টীয় প্রথম শতকগুলোতে ক্লিওপেট্রার বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যায় প্রভাব ছিল সুপরিচিত। আজও তিনি শুধু মিশরের রানী হিসেবে নয়, বরং এক জ্ঞানতৃষ্ণা ও চেতনার প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।  প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাস জানতে দেখুন আমাদের একটি ভিডিও। লিংক কমেন্টে। 

.

.

#cleopatra #ancientegypt #itihasergolpo #itihaser_golpo

মৌসুমী ভৌমিক আমার বহুদিনের বন্ধু তার সাথে আমার বহুবার দেখা হয়েছে, বার্লিনে, স্টকহোম ও লন্ডনে।

 মৌসুমী ভৌমিক আমার বহুদিনের বন্ধু তার সাথে আমার বহুবার দেখা হয়েছে, বার্লিনে, স্টকহোম ও লন্ডনে।

মৌসুমী ভৌমিক (জন্ম: ২৯শে ডিসেম্বর, ১৯৬৪) একজন সংগীত শিল্পী, গীতিকার, লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক, আর্কাইভিস্ট, ফিল্ড রেকর্ডিস্ট ও গবেষক। ২০০০ সালে প্রকাশিত 'এখনো গল্প লেখো' অ্যালবামে মৌসুমীর গাওয়া 'স্বপ্ন দেখব বলে' গানটি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে, তিনি এই গানটির গীতিকার আর সুরকারও।

 ২০১০ সালে স্টোকহোমে আমাদের বাড়িতে গেস্ট হিসেবেও এসেছিলো একবার,  তার এক সাদামাটা প্রিন্টেড শাড়ি পরেই প্রতিবার এসেছে  একবার বলেই ফেললাম, "আচ্ছা আর কোনো শাড়ি নেই তোমার?" উত্তরে বললো, এই শাড়িটা আমাকে অনেক প্রশান্তি দিয়েছে। তাতেই বুঝলাম, কতোটা সাধারণ মানুষ এই মৌসুমী🌷 

১৯৯৪ সালে মৌসুমী  ভৌমিকের নিজের লেখা ও সুরারোপে বাংলা গানের প্রথম ক্যাসেট বেরিয়েছিল। তার নাম ছিল, ‘তুমিও চিল হও’। তাতে বেশ কিছু গান ছিল, যেমন কিছু ফেলতে পারি না পুরনো ট্রাঙ্কে পড়ে থাকা মোজা জোড়া, ছেঁড়া সোয়েটার… সংসারের খুঁটিনাটি যা কিছু বাদ দেওয়ারই মত, অথচ জীবনের সঙ্গে এমন জড়িয়ে, স্মৃতির সঙ্গে এমন ওতপ্রোত যে বাদ দেওয়ার কথা মনে হলেই বুকের থেকে এক চামচ রক্ত চলকে ওঠে। পিয়ানোর সঙ্গতে বলিষ্ঠ গায়কীতে মৌসুমী র এই গান সকলেই শুনে ফেলেছেন, এই কথা বিশ্বাস করতেও বোধ হয় কষ্ট হয়।


একের পর এক গানের রেকর্ডিং হতে থাকে। 'আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে চেপে নীলজল-দিগন্ত ছুঁয়ে এসেছ" আর "এখনও গল্প লেখো" সংকলনটি এই গানটি নামে বেরিয়েছিল। বর্তমানে এই গানটি মৌসুমী র লেখা ও সুর করা গানের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার সময় শত শত মানুষের কলকাতার যশোর রোডের উদ্বাস্তু হয়ে আসা নিয়ে লেখা মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ এর ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করে মৌসুমী  গান লিখেছেন যশোর রোড…আকাশে বসত মরা ঈস্বর/নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে? এছাড়াও রয়েছে, তোরই জন্য শরীরের ভারে আমি নত---র খুবই অশ্রুত চলনে একেবারেই নারী যাপনের কথা বলার গান।


তারেখ মাসুদের মাটির ময়না ছবির সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বে ছিলো মৌসুমি ভৌমিক।


গতবছর ২০২৩ সালে মৌসুমি আবার বার্লিনে এসেছিলো।


মৌসুমী তার গানের কথাগুলো স্বপ্ন ও বাস্তবের সমন্বিত অভিজ্ঞতা থেকেই লেখে, যেমন প্রথমবার ২০০৩ সালে যখন বার্লিনে এসেছিলো এক সিম্পোজিয়ামে, প্রথমদিনে আলোচনার পরে সন্ধ্যায় এক তুর্কি রেস্তোরাঁর পরিবেশ তার দারুন ভালো লেগেছিলো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এক গান লিখে ফেলে, দ্বিতীয় দিনে ছিলো তার একক সন্ধ্যা সেখানেই সেই গান পরিবেশন করে। 


মৌসুমীর জন্ম জলপাইগুড়িতে হলেও বাংলাদেশের সাথে তার এক আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। মৌসুমীর বাবা ভূপেন্দ্রনাথ ভৌমিক ও মা অনিতা সেনগুপ্তের আদি বাড়ি ছিল যথাক্রমে  বাংলাদেশের পাবনা এবং বরিশালে, তাই বাংলাদেশের প্রতি তার এক বিশেষ সম্পর্ক আছে।

#মৌসুমীভৌমিক 

@highlight

নজরুল ও নার্গিস -

 নজরুল ও নার্গিস -

নজরুলের জীবনে দু’জন নারীর উপস্থিতি খুব গভীর ভাবে লক্ষ্য করা যায়- একজন নার্গিস আরেকজন হলেন প্রমীলা। নজরুলের হৃদয়ের দুই সারথী- একজন চাঁদ তো অন্যজন নীল সরোবর। 

প্রিয় কবি নজরুলকে, তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস একটি পত্র লিখেছিলেন সেই কুমিল্লা থেকে বিয়ের প্রথম রাতে নজরুলের চলে যাবার অনেক দিন পর।সেই চিঠির উত্তর নজরুল দিয়েছিলেন একটি গানের মাধ্যমে- 

“যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নাই, কেন মনে রাখ তারে্।।

ভুলে যাও তারে ভুলে যাও একেবারে্।।”

-কিন্তু নজরুল কি সত্যিই ভুলতে পেরেছিলেন নার্গিসকে? পনেরো বছর পর একটি আবেগময় চিঠি লিখেন নার্গিসের কাছে- যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়- যে চিঠিখানা বিশ্বের সেরা ভালবাসার তথা প্রেমপত্রের একটি। নজরুল নার্গিসকে কতটুকু ভালবাসতেন- সেটা এই চিঠিতেই সেই ভালবাসার রূপ শাশ্বত হয়ে ফুটে উঠেছে- একজন মানুষ কি তার প্রিয়তমাকে এর চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারেন! নজরুল দৌলতপুরে বসেই ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলোর মধ্যে- ‘বেদনা-অভিমান’, ‘অবেলা’, ‘অনাদৃতা’, ‘পথিক প্রিয়া’, ‘বিদায় বেলা’ প্রভৃতি- তাই নজরুলের জীবনে যদি নার্গিস না আসতেন তাহলে হয়তো বাংলা সাহিত্য ভান্ডারে এই অমূল্য সম্পাদ থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম।

নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন- আর নার্গিস চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ম্যানচেস্টার (ইংল্যান্ড) শহরে।

নার্গিস-নজরুল প্রেম-কাহিনী শুধু সাধারণ প্রেম নয়- এটা অমর প্রেম কাহিনী- এযেন কালজয়ী প্রেম-উপাখ্যান। আর এমনি একটি চিঠির জন্য নার্গিস-নজরুলের প্রেমের উপাখ্যান বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে। নিচে চিঠিটি উল্লেখ করা হলঃ

কল্যানীয়াসু,

তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে ।মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল ।পনর বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি এক বারি ধারায় প্লাবন নেমেছিল– তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো ।আষাঢ়ের নবমেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার ।এই মেঘদূত বিরোহী যক্ষের বানী বহন করে নিয়ে গিয়েছিল কালিদাসের যুগে, রেবা নদীর তীরে, মালবিকার দেশে, তার প্রিয়ার কাছে ।এই মেঘ পুঞ্জের আশীর্বাণী আমার জীবনে এনে দেয় চরম বেদনার সঞ্চার ।এই আষাঢ় আমায় কল্পনার স্বর্গ লোক থেকে টেনে ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার অনন্ত স্রোতে । যাক, তোমার অনুযোগের অভিযোগের উত্তর দেই । তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা সত্য । লোকের মুখে শোনা কথা দিয়ে যদি আমার মূর্তির কল্পনা করে থাকো,তাহলে আমায় ভুল বুঝবে- আর তা মিথ্যা ।

তোমার উপর আমি কোনো ‘জিঘাংসা’ পোষণ করিনা –এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি ।আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি আসীম বেদনা ! কিন্তু সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি—তা দিয়ে তোমায় কোনোদিন দগ্ধ করতে চাইনি । তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না—আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না । তোমার যে কল্যান রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালবাসার আঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে । অন্তরের সে আগুন- বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি ।

তুমি ভুলে যেওনা আমি কবি—আমি আঘাত করলেও ফুল দিয়ে আঘাত করি । অসুন্দর কুৎসিতের সাধনা আমার নয় । আমার আঘাত বর্বরের কাপুরুষের আঘাতের মতো নিষ্ঠুর নয় ।আমার অন্তর্যামী জানেন (তুমি কি জান বা শুনেছ জানিনা) তোমার বিরুদ্ধে আজ আমার কোন অনুযোগ নেই, অভিযোগ নেই, দাবীও নেই ।

তোমার আজিকার রূপ কি জানিনা । আমি জানি তোমার সেই কিশোরি মুর্তিকে, যাকে দেবী মূর্তির মতো আমার হৃদয় বেদীতে অনন্ত প্রেম,অনন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম । সেদিনের তুমি সে বেদী গ্রহণ করলেনা । পাষান দেবীর মতই তুমি বেছে নিলে বেদনার বেদিপাঠ …জীবন ভ’রে সেখানেই চলেছে আমার পূজা আরতি । আজকার তুমি আমার কাছে মিথ্যা,ব্যর্থ ; তাই তাকে পেতে চাইনে । জানিনে হয়ত সে রূপ দেখে বঞ্চিত হব,অধিকতর বেদনা পাব,--তাই তাকে অস্বীকার করেই চলেছি । 

দেখা? না-ই হ’ল এ ধূলির ধরায় । প্রেমের ফুল এ ধূলিতলে হয়ে যায় ম্লান,দগদ্ধ,হতশ্রী ।তুমি যদি সত্যিই আমায় ভালবাস আমাকে চাও ওখান থেকেই আমাকে পাবে ।লাইলি মজনুকে পায়নি, শিরি ফরহাদকে পায়নি, তবু তাদের মত করে কেউ কারো প্রিয়তমাকে পায়নি ।আত্মহত্যা মহাপাপ, এ অতি পুরাতন কথা হলেও প্রেম সত্য ।আত্মা অবিনশ্বর,আত্মাকে কেউ হত্যা করতে পারেনা । প্রেমের সোনার কাঠির স্পর্শ যদি পেয়ে থাকো, তাহলে তোমার মতো ভাগ্যবতী আর কে আছে ? তারি মায়া স্পর্শে তোমার সকল কিছু আলোয় আলোময় হয়ে উঠবে । দুঃখ নিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই সেই দুঃখের অবসান হয়না ।মানুষ ইচ্ছা করলে সাধনা দিয়ে, তপস্যা দিয়ে ভুলকে ফুল রূপে ফুটিয়ে তুলতে পারে । যদি কোনো ভুল করে থাক জীবনে, এই জীবনেই তাকে সংশোধন করে যেতে হবে; তবেই পাবে আনন্দ মুক্তি; তবেই হবে সর্ব দুঃখের অবসান । নিজেকে উন্নত করতে চেষ্টা করো, স্বয়ংবিধাতা তোমার সহায় হবেন । আমি সংসার করছি, তবু চলে গেছি এই সংসারের বাধাকে অতক্রম করে উর্ধ্ব লোকে—সেখানে গেলে পৃ্থিবীর সকল অপূর্ণতা, সকল অপরাধ ক্ষমা সুন্দর চোখে পরম মনোহর মূর্তিতে দেখা যায় ।…

হঠাৎ মনে পড়ে গেল পনর বছর আগের কথা । তোমার জ্বর হয়েছিল, বহু সাধনার পর আমার তৃষিত দুটি কর তোমার শুভ্র ললাট স্পর্শ করতে পেরেছিল; তোমার তপ্ত ললাটের স্পর্শ যেন আজো অনুভব করতে পারি ।তুমি কি চিয়ে দেখেছিলে? আমার চোখে ছিলো জল, হাতে সেবা করার আকুল স্পৃহা, অন্তরে শ্রীবিধাতার চরণে তোমার আরোগ্য লাভের জন্য করুন মিনতি । মনে হয় যেন কালকের কথা । মহাকাল যে স্মৃতি মুছে ফেলতে পারলেননা। কী উদগ্র অতৃপ্তি, কী দুর্দমনীয় প্রেমের জোয়ারই সেদিন এসেছিল । সারা দিন রাত আমার চোখে ঘুম ছিল না । 

যাক আজ চলেছি জীবনের অস্তমান দিনের শেষে রশ্মি ধরে ভাটার স্রোতে, তোমার ক্ষমতা নেই সে পথ থেকে ফেরানোর । আর তার চেষ্টা করোনা । তোমাকে লিখা এই আমার প্রথম ও শেষ চিঠি হোক ।যেখানেই থাকি বিশ্বাস করো আমার অক্ষয় আশির্বাদ কবচ তোমায় ঘিরে থাকবে । তুমি সুখি হও, শান্তি পাও— এই প্রার্থনা । আমায় যত মন্দ বলে বিশ্বাস করো, আমি তত মন্দ নই –এই আমার শেষ কৈফিয়ৎ ।

ইতি—

নিত্য শুভার্থী—

নজরুল ইসলাম।

শেখ হাসিনার হাতে সাজানো-গোছানো সচিবালয়ের চিত্র। যার বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে ভারত আজীবন ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দিয়েছিলো। @বর্তমান সচিব : ১. ঊরুন দেব মিত্র, ২. উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, ৩. রণজিত কুমার বিশ্বাস। বর্তমান অতিরিক্ত সচিব : ১. স্বপন কুমার সাহা, ২. ভীম চরণ রায়, ৩. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ৪. স্বপন কুমার সরকার, ৫. শ্যামল কান্তি ঘোষ, ৬. অমলেন্দু মুখার্জি, ৭. প্রণব চক্রবর্তী, ৮. সিতান ঘোষ সেন. ৯. পরীক্ষিত দত্ত চৌধুরী, ১০. দীলিপ কুমার দাস, ১১. সাইমা পাল দে, ১২. বিজন কুমার বাইসা, ১৩. তাপস কুমার রায়, ১৪. প্রকাশ চন্দ্র দাস, ১৫. অসিত কুমার বসাক এডিসি, ১৬. দীলিপ কুমার বসাক এডিসি, ১৭. জগদীশ রায়, ১৮. সুশান চন্দ্র দাস, ১৯. কামাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, ২০. স্বপন কুমার রায়, ২১. পবন চৌধুরী, ২২. তপন কুমার কর্মকার, ২৩. অপরূপ কুমার সরকার, ২৪. আশিস কুমার চৌধুরী, ২৫. অশোক মাধব রায়, ২৬. তপন কুমার চক্রবর্তী, ২৭. জিসনু রায় চৌধুরী, ২৮. নাভাস চন্দ্র মণ্ডল,২৯. ড. আর রাখান চন্দ্র বরমন, ৩০. মোনজ কুমার রায়, ৩১. অমিতাভ চক্রবর্তী, ৩২. শুভাশীষ বোস। @বর্তমান যুগ্ম সচিব : ১. পরিমল চন্দ্র সাহা, ২. রতন কুমার সাহা, ৩. চন্দ্রনাথ বসাক, ৪. দীলিপ কুমার শর্মা, ৫. রবীন্দ্রনাথ রায়, ৬. গণেশ চন্দ্র সরকার, ৭. সুকুমার চন্দ্র রায়, ৮. ঈন্না লাল চৌধুরী, ৯. জীবন কুমার চৌধুরী, ১০. কুশলিয়া রানী বাগচি, ১১. তপন চন্দ্র মজুমদার, ১২. মনোজ মোহন মিত্র (এম এম মিত্র), ১৩. বিনয় ভূষণ তালুকদার, ১৪. পরেশ চন্দ্র রায়, ১৫. ড. অরুণা বিশ্বাস, ১৬. নিখিল চন্দ্র দাস, ১৭. অনন্ত কুমার চৌধুরী, ১৮. নারায়ণ চন্দ্র বরমা, ১৯. বিজন কান্তি সরকার, ২০. বিমান কুমার সাবা, এনডিসি, ২১. বিজয় ভট্টাচার্য, ২২. জ্যোতির্ময় সমাদ্দার, ২৩. রবীন্দ্রনাথ শর্মা, ২৪. কমলেশ কুমার দাস, ২৫. বিকাশ চন্দ্র সাবা, ২৬. বিকাশ কিশোরী দাস, ২৭. পতিত পবন বাইদিয়া, ২৮. আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, ২৯. প্রশান্ত কুমার রায়, ৩০. অজিত কান্তি দাস, ৩১. মানিক চন্দ্র দে, ৩২. কালিরঞ্জন বরমা, ৩৩. তপন কান্তি শীল, ৩৪. গৌতম কুমার ঘোষ, ৩৫. বাসু দেব আচার্য, ৩৬. মানবিনরা (?) ভৌমিক, ৩৭. গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, ৩৮. বাবুল চন্দ্র রায়, ৩৯. পুণ্যাবর্তা চৌধুরী, ৪০. শংকর চন্দ্র রায়, ৪১. মলয় তালুকদার, ৪২. সুশান চন্দ্র রায়, ৪৩. মৃদুল কান্তি ঘোষ, ৪৪. গোকুল চন্দ্র দাস, ৪৫. সুবীর কিশোর চৌধুরী, ৪৬. পরিমল কুমার দেব, ৪৭. বিভাষ চন্দ্র পোদ্দার, ৪৮. শিখা সরকার, ৪৯. মনীন্দ্র নাথ রায়, ৫০. ধীরেন্দ্র (?) চন্দ্র দাস, ৫১. অমরিতা (?) রায়, ৫২. শশী কুমার সিং, ৫৩. সুনীল চন্দ্র পাল, ৫৪. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৫৫. সুপ্রিয় কুমার কুন্দু, ৫৬. মানিক লাল বণিক, ৫৭. জ্যোতির্ময় দত্ত, ৫৮. নারায়ণ চন্দ্র দাস, ৫৯. বিমল চন্দ্র দাস, ৬০. ভোলানাথ দে, ৬১. বাসুদেব গাঙ্গুলী, ৬২. অরুণ কুমার মালাকার, ৬৩. নিমাই চন্দ্র পাল, ৬৪. ড. নমিতা হালদার, ৬৫. সুুভাষ চন্দ্র সরকার, ৬৬. মরণ কুমার চক্রবর্তী, ৬৭. তপন কুমার ঘোষ, ৬৮. পিরায় সাহা, ৬৯. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত, ৭০. সুব্রত রায় মিত্র, ৭১. পরিতোষ চন্দ্র দাস, ৭২. দীপক কান্তি পাল, ৭৩. অরজিত চৌধুরী, ৭৪. বনমালী ভৌমিক, ৭৫. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৭৬. দীলিপ কুমার সাহা, ৭৭. ইতি রানী পোদ্দার, ৭৮. স্বপন চন্দ্র পাল, ৭৯. গোপা চৌধুরী, ৮০. অমিত কুমার বাউল, ৮১. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৮২. গাইতা বরতা সাহা, ৮৩. বিশ্বনাথ বণিক, ৮৪. প্রাণেশ চন্দ্র সূত্রধর, ৮৫. শাইমা প্রসাদ বেপারী, ৮৬. সুশান্ত কুমার সাহা, ৮৭. গৌতম কুমার ভট্টাচার্য, ৮৮. রঞ্জিত কুমার সেন, ৮৯. হরিপ্রসাদ পাল, ৯০. তপন চন্দ্র বণিক, ৯১. পার্থপ্রতীম দেব, ৯২. অভিজিত চৌধুরী, ৯৩. সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ৯৪. শংকর রঞ্জন সাহা, ৯৫. ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, ৯৬. স্বর্ণকার প্রসাদ দে, ৯৭. প্রণব কুমার নিয়োগী, ৯৮. সন্তোষ কুমার অধিকারী, ৯৯. রমা রানী রায়, ১০০. তন্দ্রা শেখর, ১০১. সীমা সাহা, ১০২. সমরীতা রানী ঘরামী, ১০৩. পুলক রাজন শাহ, ১০৪. তপন কুমার সরকার, ১০৫. কংকাম নীলমণি সিং, ১০৬. মিনু শীল, ১০৭. ধীরেন্দ্র নাথ সরকার, ১০৮. অঞ্জলি রানী চক্রবর্তী, ১০৯. প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, ১১০. তরু কান্তি ঘোষ, ১১১. প্রশান্ত কুমার দাস, ১১২. মনোজ কান্তি বড়াল, ১১৩. স্বপন কুমার বড়াল, ১১৪. বিষয় ভূষণ পাল, ১১৫. দীপক চক্রবর্তী, ১১৬. নিখিল রঞ্জন রায়, ১১৭. নন্দ দুলাল বণিক, ১১৮. সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, ১১৯. গৌতম আইচ সরকার, ১২০. প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ১২১. শিবনাথ রায়, ১২২. নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, ১২৩. লক্ষ্মী চন্দ্র দেবনাথ, ১২৪. জয়তী পাল কুড়ি, ১২৫. জয়তী রানী বর্মণ, ১২৬. সুধাকর দত্ত, ১২৭. রেবা রানী সাহা, ১২৮. বিজন লাল দেব, ১২৯. হীরামণি বাড়ৈ, ১৩০. ড. কৃষ্ণ গাইন, ১৩১. শান্ত কুমার প্রামাণিক। @বর্তমান উপসচিব : ১. উত্তম কুমার রায়, ২. বিপুল চন্দ্র রায়, ৩. জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৪. তপন কুমার নাথ, ৫. বিকাশ চন্দ্র শিকদার, ৬. ড. নলিন রঞ্জন বসাক, ৭. জয়ন্তী স্যান্নাল, ৮. তপন কান্তি ঘোষ, ৯. রাম চন্দ্র দাস, ১০. প্রণব কুমার ঘোষ, ১১. রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ১২. কমলা রঞ্জন দাস, ১৩. পাঠান চন্দ্র পণ্ডিত, ১৪. নিতাই পদ দাস, ১৫. উত্পল কুমার দাস, ১৬. নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, ১৭. অজিত কুমার পাল আকা, ১৮. মহাদেব বিশ্বাস, ১৯. বিজয় কুমার দেবনাথ, ২০. সুপ্রকাশ স্যান্নাল, ২১. তাপস কুমার বোস, ২২. জগন্নাথ খোকন, ২৩. শিশির কুমার রায়, ২৪. নন্দিতা সরকার, ২৫. মলয় কুমার রায়, ২৬. স্বপন কুমার ঘোষ, ২৭. কল্লোল কুমার চক্রবর্তী, ২৮. সায়েম কিশোর রায়, ২৯. প্রবীর কুমার চক্রবর্তী, ৩০. দিলীপ কুমার বণিক, ৩১. ননী গোপাল বিশ্বাস, ৩২. অনিল চন্দ্র দাস, ৩৩. নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, ৩৪. দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ৩৫. শান্ত কুমার সাহা, ৩৬. মৃণাল কান্তি দেব, ৩৭. রাজিব চন্দ্র সরকার, ৩৮. সীতেন্দ্র কুমার সরকার, ৩৯. নীতিশ কুমার সরকার, ৪০. তুলসি রঞ্জন সাহা, ৪১. সুভাস চন্দ্র সাহা, ৪২. মনীন্দ্র কিশোর, ৪৩. সুশান্ত কুমার কুণ্ডু, ৪৪. সত্যজিত্ কর্মকার, ৪৫.অশোক কুমার দেবনাথ, ৪৬. সুবল বোস মণি, ৪৭. ড. তরুণ কান্তি সিকদার, ৪৮. বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য, ৪৯. সঞ্জয় কুমার বণিক, ৫০. সত্যরঞ্জন মণ্ডল, ৫১. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ৫২. রঞ্জন কুমার দাস, ৫৩. জয়ন্ত কুমার সরকার, ৫৪. অমিতাভ সরকার, ৫৫. প্রণব কুমার ঘোষ, ৫৬. মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৫৭. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ৫৮. অরুণ চন্দ্র মহোত্তম, ৫৯. প্রণব কুমার রায়, ৬০. পলাশ কান্তি বালা, ৬১. সুব্রত পাল চৌধুরী, ৬২. দীপক রঞ্জন অধিকারী, ৬৩. শশাঙ্ক সুকুমার ভৌমিক, ৬৪. জনীন্দ্র নাথ সরকার, ৬৫. প্রদীপ কুমার দাস, ৬৬. গৌতম কুমার, ৬৭. শিবানী ভট্টাচার্য, ৬৮. নিতাই চন্দ্র সেন, ৬৯. মলাই চৌধুরী, ৭০. সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ৭১. রঞ্জিত কুমার, ৭২. কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস, ৭৩. তপন কুমার সাহা, ৭৪. অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, ৭৫. নিরঞ্জন দেবনাথ, ৭৬. লিপিকা ভদ্র, ৭৭. সুলেখা রানী বসু, ৭৮. বিদিকা রায় চৌধুরী, ৭৯. দীলিপ কুমার বণিক, ৮০. মনোজ কুমার রায়, ৮১. পরিমল সিং, ৮২. সমরিতা কর্মকার, ৮৩. পিকা রানী বলয়, ৮৪. তপন কুমার বিশ্বাস, ৮৫. ড. সুবাস চন্দ্র বিশ্বাস, ৮৬. গুহলাল সিং, ৮৭. গৌতম চন্দ্র পাল, ৮৮. তন্ময় দাস, ৮৯. বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, ৯০. প্রদেশ কান্তি দাস, ৯১. মনোরঞ্জন বিশ্বাস, ৯২. অসীম কুমার দে, ৯৩. অজিত কুমার দেবনাথ, ৯৪. পীযূষ কান্তি নাথ, ৯৫. পাঠান কুমার সরকার, ৯৬. সুকুমার চন্দ্র কুণ্ডু, ৯৭. আশিস কুমার সাহা, ৯৮. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, ৯৯. অজিত কুমার ঘোষ, ১০০. উত্তম কুমার কর্মকার, ১০১. সাইয়ান কুমার দাস, ১০২. সুসানতা কুমার সরকার, ১০৩. বালাই কারিসনা হাজরা, ১০৪. নীরঞ্জন কুমার মণ্ডল, ১০৫. ব্রজগোপাল ভৌমিক, ১০৬. ড. অনিমা রানী নাথ, ১০৭. গুরাথ কুমার সরকার, ১০৮. স্বপন কুমার ভৌমিক, ১০৯. গীতাঞ্জলী চৌধুরী, ১১০. পঙ্কজ কুমার পাল, ১১১. ননী গোপাল মণ্ডল, ১১২. সন্তোষ কুমার পণ্ডিত, ১১৩. শ্যামল কুমার সিংহ, ১১৪. অসীম কুমার বালা, ১১৫. মহেশ চন্দ্র রায়, ১১৬. গৌরী সরকার ভট্টাচার্য, ১১৭. দীপঙ্কর মণ্ডল, ১১৮. অজয় কুমার চক্রবর্তী, ১১৯. সুকাশ কর্মকার, ১২০. স্বপন কুমার মণ্ডল, ১২১. প্রদীপ কুমার সাহা, ১২২. বিজয় রঞ্জন সাহা, ১২৩. বলনাথ পাল, ১২৪. নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, ১২৫ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ @বর্তমান সিনিয়র সহকারী সচিব : ১. কিরণ চন্দ্র রায়, ২. দেবাশীষ রায়, ৩. অপর্ণা দে, ৪. শৈলেন্দ্র নাথ মণ্ডল, ৫. রাজীব ভট্টাচার্য, ৬. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, ৭. নীরদ চন্দ্র মণ্ডল, ৮. দীপঙ্কর বিশ্বাস, ৯. আনন্দ কুমার বিশ্বাস, ১০. বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ১১. পরিমল সরকার, ১২. অঞ্জন চন্দ্র পাল, ১৩. বেবী রানী কর্মকার, ১৪. রথীন্দ্রনাথ দত্ত, ১৫. সঞ্জয় কুমার নাথ, ১৬. সরোজ কুমার নাথ, ১৭. পরিতোষ হাজরা, ১৭. পরিতোষ হাজরা, ১৮. সাতি আকাম সিন, ১৯. দেবজিত সিংহ, ২০. গোপাল চন্দ্র দাস, ২১. নীল রতন সরকার, ২২. কালা চান সিংহ, ২৩. প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ২৪. অতিন কুমার কুণ্ডু, ২৫. ধনাঞ্জয় কুমার দাস, ২৬. দেবেন্দ্র চক্রবর্তী, ২৭. দেবাশীষ নাগ, ২৮. অতুল সরকার, ২৯. অভিজিত রায়, ৩০. সুব্রত কুমার শিকদার, ৩১. অপূর্ব কুমার মণ্ডল, ৩২. অরুণ কুমার মণ্ডল, ৩৩. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৩৪. সুজিত কুমার রায়, ৩৫. প্রিয়া সিংধু তালুকদার, ৩৬. অনুপ কুমার তালুকদার, ৩৭. সুব্রত কুমার দে, ৩৮. হিল্লোল বিশ্বাস, ৩৯. দেবময় দেওয়ান, ৪০. মিনাক্ষ্মী বর্মন, ৪১. দেবপ্রসাদ পাল, ৪২. বনানী বিশ্বাস, ৪৩. সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, ৪৪. দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, ৪৫. খোকন কান্তি সাহা, ৪৬. সরবাসটি রায়, ৪৭. সুব্রত পাল, ৪৮. সিদ্ধার্থ শংকর কুণ্ডু, ৪৯. দিবি চন্দ, ৫০. বাদল চন্দ্র হালদার, ৫১. মৃণাল কান্তি দে, ৫২. পঙ্কজ ঘোষ, ৫২. সন্দীপ কুমার সিংহ। @বর্তমানে সহকারী সচিব : ১. পল্লব কুমার ব্যানার্জী, ২. গোপাল কৃষ্ণ পাল, ৩. অরুণ কান্তি মজুমদার, ৪. সুকান্ত ভট্টাচার্য, ৫. ড. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৬. তপন কুমার চক্রবর্তী, ৭. পতিত পবন দেবনাথ, ৮. উত্তম কুমার পাল, ৯. সুধীর চন্দ্র রায়, ১০. কানাই লাল শীল, ১১. পরিমল চন্দ্র পাল, ১২. প্রতিভা রানী কুণ্ডু, ১৩. কালচাঁদ সরকার, ১৪. দীলিপ কুমার দেবনাথ, ১৫. পাপিয়া ঘোষ, ১৬. রীনা রানী সাহা, ১৭. অসীম কুমার কর্মকার, ১৮. সুদীপ্ত দাস, ১৯. রাজীব কুমার সরকার, ২০. অপর্ণা ভাইডা, ২১. রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ২২. সন্দীপ কুমার সরকার, ২৩. রাজীব কুমার রায়. ২৪. মল্লিকা দে, ২৫. জ্যোতিকা সরকার, ২৬. শীলবর্তা কর্মকার, ২৭. সুজন চৌধুরী, ২৮. ঝুমুর বালা, ২৯. শঙ্খমালা, ৩০. উত্তম কুমার দে, ৩১. অনিন্দিতা রায়, ৩২. প্রদীপ সিংহ, ৩৩.দেবেন্দ্রনাথ উরন, ৩৪. প্রশ্রান্ত কুমার দাস, ৩৫. মরার্জী দেশাই বর্মণ, ৩৬. শিল্পী রানী রায়, ৩৭. ভাস্কার বিভানাথ বাপ্পী, ৩৮. বিনীতা বিশ্বাস, ৩৯. অপর্ণা দেবনাথ, ৪০. সুবর্ণা সরকার, ৪১. সুজীদ হালদার, ৪২. মৌসুমী সরকার পাখি, ৪৩. রুপালী মণ্ডল, ৪৪. সমর কান্তি বসাক, ৪৫. অমিতাভ পরাগ তালুকদার, ৪৬. পিন্টু ব্যাপারী, ৪৭. উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, ৪৮. নমীতা দে, ৪৯.দীপঙ্কর রায়, ৫০. গৌরাঙ্গ কুমার চৌধুরী, ৫১. দীপক কুমার রায়, ৫২. কমল কুমার ঘোষ, ৫৩. দীপঙ্কর রায়, ৫৪. প্রশান কুমার চক্রবর্তী, ৫৫. তুষার কুমার পাল, ৫৬. বিশ্বজিত্ কুমার পাল, ৫৭. প্রভাসু সুমি মৌহান, ৫৮. অনির্বাণ নিয়োগী, ৫৯. মিন্টু চৌধুরী, ৬০. তন্ময় মজুমদার, ৬১. বীথি দেবনাথ, ৬২. শীলু রায়, ৬৩. শম্পা কুণ্ডু, ৬৪. মুকুল কুমার মিত্র, ৬৫. শঙ্কর কুমার বিশ্বাস, ৬৬. অসীম চন্দ্র মল্লিক, ৬৭. বীজন ব্যানার্জী, ৬৮. চিত্রা শিকারী, ৬৯. শিমুল কুমার সাহা, ৭০. জুতন চন্দ্র, ৭১. স্নেহাশীষ দাস, ৭২. নিক্সন বিশ্বাস, ৭৩. মিল্টন চন্দ্র রায়, ৭৪. নির্ঝর অধিকারী, ৭৫. অমিত দেবনাথ, ৭৬. সাসুতি শীল, ৭৭. পরিন্দ্র দেব, ৭৮. আজীন কুমার সরকার, ৭৯. সুমীর বিশ্বাস, ৮০. পূর্বাণী গোলদার, ৮১. প্রণতি বিশ্বাস, ৮২. বিভীষণ কান্তি দাস, ৮৩. পলক কান্তি চক্রবর্তী, ৮৪. ওনমী চক্রবর্তী, ৮৫. বিকাশ বিশ্বাস, ৮৬. জীতেন্দ্র কুমার নাথ, ৮৭. জয়ন্তী রুপা রায়, ৮৮. শতরুপা তালুকদার, ৮৯. রামকৃষ্ণ বর্মণ, ৯০. কল্যাণ চৌধুরী, ৯১. ডিবাংসু কুমার সিনহা, ৯২. সুজতী ধর, ৯৩. মৌসুমী বাইন হিরা, ৯৪. টীনা পাল, ৯৫. সাথী অজিত রায় দাস, ৯৬. সাজুতী দেবনাথ। @অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার : ১. সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ২. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৩. স্বপন কুমার রায়, ৪. নারায়ণ দত্ত বর্মা। @উপবিভাগীয় কমিশনার : ১. অমিতাভ সরকার, ২. রামচন্দ্র দাস, ৩. মনোজ কান্তি বড়াল, ৪. মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৫. মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার। @অতিরিক্ত উপবিভাগীয় কমিশনার : ১. ডা. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, ২. বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ৩. গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, ৪. অঞ্জন চন্দ্র পাল, ৫. দীপঙ্কর বিশ্বাস, ৬. কালা চন্দ্র সিনহা, ৭. অনন্দ্র কুমার বিশ্বাস, ৮. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ৯. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, ১০. দেবজীত্ সিনহা @উপজেলা নির্বাহী অফিসার : ১. দেবপ্রসাদ পাল, ২. অভিজিত্ রায়, ৩. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৪. সুব্রত কুমার দে, ৫. প্রিয়াসিন্ধু তালুকদার, ৬. সুব্রত কুমার শিকদার, ৭. সুব্রত পাল, ৮. অরুণ কুমার মণ্ডল, ৯. দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, ১০. বনানী বিশ্বাস, ১১. দেবী চন্দ্র, ১২. মৃনাল কান্তি দে, ১৩. সিদ্ধার্থ সরকার কুণ্ড, ১৪. পঙ্কজ ঘোষ। নাম না জানা আরও হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা আছেন। #collected #everyone

 শেখ হাসিনার হাতে সাজানো-গোছানো সচিবালয়ের চিত্র। যার বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে ভারত আজীবন ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দিয়েছিলো।


@বর্তমান সচিব :


১. ঊরুন দেব মিত্র, ২. উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, ৩. রণজিত কুমার বিশ্বাস।

বর্তমান অতিরিক্ত সচিব : ১. স্বপন কুমার সাহা, ২. ভীম চরণ রায়, ৩. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ৪. স্বপন কুমার সরকার, ৫. শ্যামল কান্তি ঘোষ, ৬. অমলেন্দু মুখার্জি, ৭. প্রণব চক্রবর্তী, ৮. সিতান ঘোষ সেন. ৯. পরীক্ষিত দত্ত চৌধুরী, ১০. দীলিপ কুমার দাস, ১১. সাইমা পাল দে, ১২. বিজন কুমার বাইসা, ১৩. তাপস কুমার রায়, ১৪. প্রকাশ চন্দ্র দাস, ১৫. অসিত কুমার বসাক এডিসি, ১৬. দীলিপ কুমার বসাক এডিসি, ১৭. জগদীশ রায়, ১৮. সুশান চন্দ্র দাস, ১৯. কামাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, ২০. স্বপন কুমার রায়, ২১. পবন চৌধুরী, ২২. তপন কুমার কর্মকার, ২৩. অপরূপ কুমার সরকার, ২৪. আশিস কুমার চৌধুরী, ২৫. অশোক মাধব রায়, ২৬. তপন কুমার চক্রবর্তী, ২৭. জিসনু রায় চৌধুরী, ২৮. নাভাস চন্দ্র মণ্ডল,২৯. ড. আর রাখান চন্দ্র বরমন, ৩০. মোনজ কুমার রায়, ৩১. অমিতাভ চক্রবর্তী, ৩২. শুভাশীষ বোস।


@বর্তমান যুগ্ম সচিব :

 

১. পরিমল চন্দ্র সাহা, ২. রতন কুমার সাহা, ৩. চন্দ্রনাথ বসাক, ৪. দীলিপ কুমার শর্মা, ৫. রবীন্দ্রনাথ রায়, ৬. গণেশ চন্দ্র সরকার, ৭. সুকুমার চন্দ্র রায়, ৮. ঈন্না লাল চৌধুরী, ৯. জীবন কুমার চৌধুরী, ১০. কুশলিয়া রানী বাগচি, ১১. তপন চন্দ্র মজুমদার, ১২. মনোজ মোহন মিত্র (এম এম মিত্র), ১৩. বিনয় ভূষণ তালুকদার, ১৪. পরেশ চন্দ্র রায়, ১৫. ড. অরুণা বিশ্বাস, ১৬. নিখিল চন্দ্র দাস, ১৭. অনন্ত কুমার চৌধুরী, ১৮. নারায়ণ চন্দ্র বরমা, ১৯. বিজন কান্তি সরকার, ২০. বিমান কুমার সাবা, এনডিসি, ২১. বিজয় ভট্টাচার্য, ২২. জ্যোতির্ময় সমাদ্দার, ২৩. রবীন্দ্রনাথ শর্মা, ২৪. কমলেশ কুমার দাস, ২৫. বিকাশ চন্দ্র সাবা, ২৬. বিকাশ কিশোরী দাস, ২৭. পতিত পবন বাইদিয়া, ২৮. আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, ২৯. প্রশান্ত কুমার রায়, ৩০. অজিত কান্তি দাস, ৩১. মানিক চন্দ্র দে, ৩২. কালিরঞ্জন বরমা, ৩৩. তপন কান্তি শীল, ৩৪. গৌতম কুমার ঘোষ, ৩৫. বাসু দেব আচার্য, ৩৬. মানবিনরা (?) ভৌমিক, ৩৭. গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, ৩৮. বাবুল চন্দ্র রায়, ৩৯. পুণ্যাবর্তা চৌধুরী, ৪০. শংকর চন্দ্র রায়, ৪১. মলয় তালুকদার, ৪২. সুশান চন্দ্র রায়, ৪৩. মৃদুল কান্তি ঘোষ, ৪৪. গোকুল চন্দ্র দাস, ৪৫. সুবীর কিশোর চৌধুরী, ৪৬. পরিমল কুমার দেব, ৪৭. বিভাষ চন্দ্র পোদ্দার, ৪৮. শিখা সরকার, ৪৯. মনীন্দ্র নাথ রায়, ৫০. ধীরেন্দ্র (?) চন্দ্র দাস, ৫১. অমরিতা (?) রায়, ৫২. শশী কুমার সিং, ৫৩. সুনীল চন্দ্র পাল, ৫৪. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৫৫. সুপ্রিয় কুমার কুন্দু, ৫৬. মানিক লাল বণিক, ৫৭. জ্যোতির্ময় দত্ত, ৫৮. নারায়ণ চন্দ্র দাস, ৫৯. বিমল চন্দ্র দাস, ৬০. ভোলানাথ দে, ৬১. বাসুদেব গাঙ্গুলী, ৬২. অরুণ কুমার মালাকার, ৬৩. নিমাই চন্দ্র পাল, ৬৪. ড. নমিতা হালদার, ৬৫. সুুভাষ চন্দ্র সরকার, ৬৬. মরণ কুমার চক্রবর্তী, ৬৭. তপন কুমার ঘোষ, ৬৮. পিরায় সাহা, ৬৯. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত, ৭০. সুব্রত রায় মিত্র, ৭১. পরিতোষ চন্দ্র দাস, ৭২. দীপক কান্তি পাল, ৭৩. অরজিত চৌধুরী, ৭৪. বনমালী ভৌমিক, ৭৫. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৭৬. দীলিপ কুমার সাহা, ৭৭. ইতি রানী পোদ্দার, ৭৮. স্বপন চন্দ্র পাল, ৭৯. গোপা চৌধুরী, ৮০. অমিত কুমার বাউল, ৮১. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৮২. গাইতা বরতা সাহা, ৮৩. বিশ্বনাথ বণিক, ৮৪. প্রাণেশ চন্দ্র সূত্রধর, ৮৫. শাইমা প্রসাদ বেপারী, ৮৬. সুশান্ত কুমার সাহা, ৮৭. গৌতম কুমার ভট্টাচার্য, ৮৮. রঞ্জিত কুমার সেন, ৮৯. হরিপ্রসাদ পাল, ৯০. তপন চন্দ্র বণিক, ৯১. পার্থপ্রতীম দেব, ৯২. অভিজিত চৌধুরী, ৯৩. সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ৯৪. শংকর রঞ্জন সাহা, ৯৫. ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, ৯৬. স্বর্ণকার প্রসাদ দে, ৯৭. প্রণব কুমার নিয়োগী, ৯৮. সন্তোষ কুমার অধিকারী, ৯৯. রমা রানী রায়, ১০০. তন্দ্রা শেখর, ১০১. সীমা সাহা, ১০২. সমরীতা রানী ঘরামী, ১০৩. পুলক রাজন শাহ, ১০৪. তপন কুমার সরকার, ১০৫. কংকাম নীলমণি সিং, ১০৬. মিনু শীল, ১০৭. ধীরেন্দ্র নাথ সরকার, ১০৮. অঞ্জলি রানী চক্রবর্তী, ১০৯. প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, ১১০. তরু কান্তি ঘোষ, ১১১. প্রশান্ত কুমার দাস, ১১২. মনোজ কান্তি বড়াল, ১১৩. স্বপন কুমার বড়াল, ১১৪. বিষয় ভূষণ পাল, ১১৫. দীপক চক্রবর্তী, ১১৬. নিখিল রঞ্জন রায়, ১১৭. নন্দ দুলাল বণিক, ১১৮. সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, ১১৯. গৌতম আইচ সরকার, ১২০. প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ১২১. শিবনাথ রায়, ১২২. নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, ১২৩. লক্ষ্মী চন্দ্র দেবনাথ, ১২৪. জয়তী পাল কুড়ি, ১২৫. জয়তী রানী বর্মণ, ১২৬. সুধাকর দত্ত, ১২৭. রেবা রানী সাহা, ১২৮. বিজন লাল দেব, ১২৯. হীরামণি বাড়ৈ, ১৩০. ড. কৃষ্ণ গাইন, ১৩১. শান্ত কুমার প্রামাণিক।


@বর্তমান উপসচিব :


১. উত্তম কুমার রায়, ২. বিপুল চন্দ্র রায়, ৩. জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৪. তপন কুমার নাথ, ৫. বিকাশ চন্দ্র শিকদার, ৬. ড. নলিন রঞ্জন বসাক, ৭. জয়ন্তী স্যান্নাল, ৮. তপন কান্তি ঘোষ, ৯. রাম চন্দ্র দাস, ১০. প্রণব কুমার ঘোষ, ১১. রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ১২. কমলা রঞ্জন দাস, ১৩. পাঠান চন্দ্র পণ্ডিত, ১৪. নিতাই পদ দাস, ১৫. উত্পল কুমার দাস, ১৬. নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, ১৭. অজিত কুমার পাল আকা, ১৮. মহাদেব বিশ্বাস, ১৯. বিজয় কুমার দেবনাথ, ২০. সুপ্রকাশ স্যান্নাল, ২১. তাপস কুমার বোস, ২২. জগন্নাথ খোকন, ২৩. শিশির কুমার রায়, ২৪. নন্দিতা সরকার, ২৫. মলয় কুমার রায়, ২৬. স্বপন কুমার ঘোষ, ২৭. কল্লোল কুমার চক্রবর্তী, ২৮. সায়েম কিশোর রায়, ২৯. প্রবীর কুমার চক্রবর্তী, ৩০. দিলীপ কুমার বণিক, ৩১. ননী গোপাল বিশ্বাস, ৩২. অনিল চন্দ্র দাস, ৩৩. নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, ৩৪. দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ৩৫. শান্ত কুমার সাহা, ৩৬. মৃণাল কান্তি দেব, ৩৭. রাজিব চন্দ্র সরকার, ৩৮. সীতেন্দ্র কুমার সরকার, ৩৯. নীতিশ কুমার সরকার, ৪০. তুলসি রঞ্জন সাহা, ৪১. সুভাস চন্দ্র সাহা, ৪২. মনীন্দ্র কিশোর, ৪৩. সুশান্ত কুমার কুণ্ডু, ৪৪. সত্যজিত্ কর্মকার, ৪৫.অশোক কুমার দেবনাথ, ৪৬. সুবল বোস মণি, ৪৭. ড. তরুণ কান্তি সিকদার, ৪৮. বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য, ৪৯. সঞ্জয় কুমার বণিক, ৫০. সত্যরঞ্জন মণ্ডল, ৫১. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ৫২. রঞ্জন কুমার দাস, ৫৩. জয়ন্ত কুমার সরকার, ৫৪. অমিতাভ সরকার, ৫৫. প্রণব কুমার ঘোষ, ৫৬. মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৫৭. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ৫৮. অরুণ চন্দ্র মহোত্তম, ৫৯. প্রণব কুমার রায়, ৬০. পলাশ কান্তি বালা, ৬১. সুব্রত পাল চৌধুরী, ৬২. দীপক রঞ্জন অধিকারী, ৬৩. শশাঙ্ক সুকুমার ভৌমিক, ৬৪. জনীন্দ্র নাথ সরকার, ৬৫. প্রদীপ কুমার দাস, ৬৬. গৌতম কুমার, ৬৭. শিবানী ভট্টাচার্য, ৬৮. নিতাই চন্দ্র সেন, ৬৯. মলাই চৌধুরী, ৭০. সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ৭১. রঞ্জিত কুমার, ৭২. কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস, ৭৩. তপন কুমার সাহা, ৭৪. অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, ৭৫. নিরঞ্জন দেবনাথ, ৭৬. লিপিকা ভদ্র, ৭৭. সুলেখা রানী বসু, ৭৮. বিদিকা রায় চৌধুরী, ৭৯. দীলিপ কুমার বণিক, ৮০. মনোজ কুমার রায়, ৮১. পরিমল সিং, ৮২. সমরিতা কর্মকার, ৮৩. পিকা রানী বলয়, ৮৪. তপন কুমার বিশ্বাস, ৮৫. ড. সুবাস চন্দ্র বিশ্বাস, ৮৬. গুহলাল সিং, ৮৭. গৌতম চন্দ্র পাল, ৮৮. তন্ময় দাস, ৮৯. বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, ৯০. প্রদেশ কান্তি দাস, ৯১. মনোরঞ্জন বিশ্বাস, ৯২. অসীম কুমার দে, ৯৩. অজিত কুমার দেবনাথ, ৯৪. পীযূষ কান্তি নাথ, ৯৫. পাঠান কুমার সরকার, ৯৬. সুকুমার চন্দ্র কুণ্ডু, ৯৭. আশিস কুমার সাহা, ৯৮. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, ৯৯. অজিত কুমার ঘোষ, ১০০. উত্তম কুমার কর্মকার, ১০১. সাইয়ান কুমার দাস, ১০২. সুসানতা কুমার সরকার, ১০৩. বালাই কারিসনা হাজরা, ১০৪. নীরঞ্জন কুমার মণ্ডল, ১০৫. ব্রজগোপাল ভৌমিক, ১০৬. ড. অনিমা রানী নাথ, ১০৭. গুরাথ কুমার সরকার, ১০৮. স্বপন কুমার ভৌমিক, ১০৯. গীতাঞ্জলী চৌধুরী, ১১০. পঙ্কজ কুমার পাল, ১১১. ননী গোপাল মণ্ডল, ১১২. সন্তোষ কুমার পণ্ডিত, ১১৩. শ্যামল কুমার সিংহ, ১১৪. অসীম কুমার বালা, ১১৫. মহেশ চন্দ্র রায়, ১১৬. গৌরী সরকার ভট্টাচার্য, ১১৭. দীপঙ্কর মণ্ডল, ১১৮. অজয় কুমার চক্রবর্তী, ১১৯. সুকাশ কর্মকার, ১২০. স্বপন কুমার মণ্ডল, ১২১. প্রদীপ কুমার সাহা, ১২২. বিজয় রঞ্জন সাহা, ১২৩. বলনাথ পাল, ১২৪. নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, ১২৫ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ


@বর্তমান সিনিয়র সহকারী সচিব :


১. কিরণ চন্দ্র রায়, ২. দেবাশীষ রায়, ৩. অপর্ণা দে, ৪. শৈলেন্দ্র নাথ মণ্ডল, ৫. রাজীব ভট্টাচার্য, ৬. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, ৭. নীরদ চন্দ্র মণ্ডল, ৮. দীপঙ্কর বিশ্বাস, ৯. আনন্দ কুমার বিশ্বাস, ১০. বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ১১. পরিমল সরকার, ১২. অঞ্জন চন্দ্র পাল, ১৩. বেবী রানী কর্মকার, ১৪. রথীন্দ্রনাথ দত্ত, ১৫. সঞ্জয় কুমার নাথ, ১৬. সরোজ কুমার নাথ, ১৭. পরিতোষ হাজরা, ১৭. পরিতোষ হাজরা, ১৮. সাতি আকাম সিন, ১৯. দেবজিত সিংহ, ২০. গোপাল চন্দ্র দাস, ২১. নীল রতন সরকার, ২২. কালা চান সিংহ, ২৩. প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ২৪. অতিন কুমার কুণ্ডু, ২৫. ধনাঞ্জয় কুমার দাস, ২৬. দেবেন্দ্র চক্রবর্তী, ২৭. দেবাশীষ নাগ, ২৮. অতুল সরকার, ২৯. অভিজিত রায়, ৩০. সুব্রত কুমার শিকদার, ৩১. অপূর্ব কুমার মণ্ডল, ৩২. অরুণ কুমার মণ্ডল, ৩৩. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৩৪. সুজিত কুমার রায়, ৩৫. প্রিয়া সিংধু তালুকদার, ৩৬. অনুপ কুমার তালুকদার, ৩৭. সুব্রত কুমার দে, ৩৮. হিল্লোল বিশ্বাস, ৩৯. দেবময় দেওয়ান, ৪০. মিনাক্ষ্মী বর্মন, ৪১. দেবপ্রসাদ পাল, ৪২. বনানী বিশ্বাস, ৪৩. সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, ৪৪. দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, ৪৫. খোকন কান্তি সাহা, ৪৬. সরবাসটি রায়, ৪৭. সুব্রত পাল, ৪৮. সিদ্ধার্থ শংকর কুণ্ডু, ৪৯. দিবি চন্দ, ৫০. বাদল চন্দ্র হালদার, ৫১. মৃণাল কান্তি দে, ৫২. পঙ্কজ ঘোষ, ৫২. সন্দীপ কুমার সিংহ।


@বর্তমানে সহকারী সচিব :


১. পল্লব কুমার ব্যানার্জী, ২. গোপাল কৃষ্ণ পাল, ৩. অরুণ কান্তি মজুমদার, ৪. সুকান্ত ভট্টাচার্য, ৫. ড. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৬. তপন কুমার চক্রবর্তী, ৭. পতিত পবন দেবনাথ, ৮. উত্তম কুমার পাল, ৯. সুধীর চন্দ্র রায়, ১০. কানাই লাল শীল, ১১. পরিমল চন্দ্র পাল, ১২. প্রতিভা রানী কুণ্ডু, ১৩. কালচাঁদ সরকার, ১৪. দীলিপ কুমার দেবনাথ, ১৫. পাপিয়া ঘোষ, ১৬. রীনা রানী সাহা, ১৭. অসীম কুমার কর্মকার, ১৮. সুদীপ্ত দাস, ১৯. রাজীব কুমার সরকার, ২০. অপর্ণা ভাইডা, ২১. রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ২২. সন্দীপ কুমার সরকার, ২৩. রাজীব কুমার রায়. ২৪. মল্লিকা দে, ২৫. জ্যোতিকা সরকার, ২৬. শীলবর্তা কর্মকার, ২৭. সুজন চৌধুরী, ২৮. ঝুমুর বালা, ২৯. শঙ্খমালা, ৩০. উত্তম কুমার দে, ৩১. অনিন্দিতা রায়, ৩২. প্রদীপ সিংহ, ৩৩.দেবেন্দ্রনাথ উরন, ৩৪. প্রশ্রান্ত কুমার দাস, ৩৫. মরার্জী দেশাই বর্মণ, ৩৬. শিল্পী রানী রায়, ৩৭. ভাস্কার বিভানাথ বাপ্পী, ৩৮. বিনীতা বিশ্বাস, ৩৯. অপর্ণা দেবনাথ, ৪০. সুবর্ণা সরকার, ৪১. সুজীদ হালদার, ৪২. মৌসুমী সরকার পাখি, ৪৩. রুপালী মণ্ডল, ৪৪. সমর কান্তি বসাক, ৪৫. অমিতাভ পরাগ তালুকদার, ৪৬. পিন্টু ব্যাপারী, ৪৭. উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, ৪৮. নমীতা দে, ৪৯.দীপঙ্কর রায়, ৫০. গৌরাঙ্গ কুমার চৌধুরী, ৫১. দীপক কুমার রায়, ৫২. কমল কুমার ঘোষ, ৫৩. দীপঙ্কর রায়, ৫৪. প্রশান কুমার চক্রবর্তী, ৫৫. তুষার কুমার পাল, ৫৬. বিশ্বজিত্ কুমার পাল, ৫৭. প্রভাসু সুমি মৌহান, ৫৮. অনির্বাণ নিয়োগী, ৫৯. মিন্টু চৌধুরী, ৬০. তন্ময় মজুমদার, ৬১. বীথি দেবনাথ, ৬২. শীলু রায়, ৬৩. শম্পা কুণ্ডু, ৬৪. মুকুল কুমার মিত্র, ৬৫. শঙ্কর কুমার বিশ্বাস, ৬৬. অসীম চন্দ্র মল্লিক, ৬৭. বীজন ব্যানার্জী, ৬৮. চিত্রা শিকারী, ৬৯. শিমুল কুমার সাহা, ৭০. জুতন চন্দ্র, ৭১. স্নেহাশীষ দাস, ৭২. নিক্সন বিশ্বাস, ৭৩. মিল্টন চন্দ্র রায়, ৭৪. নির্ঝর অধিকারী, ৭৫. অমিত দেবনাথ, ৭৬. সাসুতি শীল, ৭৭. পরিন্দ্র দেব, ৭৮. আজীন কুমার সরকার, ৭৯. সুমীর বিশ্বাস, ৮০. পূর্বাণী গোলদার, ৮১. প্রণতি বিশ্বাস, ৮২. বিভীষণ কান্তি দাস, ৮৩. পলক কান্তি চক্রবর্তী, ৮৪. ওনমী চক্রবর্তী, ৮৫. বিকাশ বিশ্বাস, ৮৬. জীতেন্দ্র কুমার নাথ, ৮৭. জয়ন্তী রুপা রায়, ৮৮. শতরুপা তালুকদার, ৮৯. রামকৃষ্ণ বর্মণ, ৯০. কল্যাণ চৌধুরী, ৯১. ডিবাংসু কুমার সিনহা, ৯২. সুজতী ধর, ৯৩. মৌসুমী বাইন হিরা, ৯৪. টীনা পাল, ৯৫. সাথী অজিত রায় দাস, ৯৬. সাজুতী দেবনাথ।


@অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার :


১. সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ২. অশোক কুমার বিশ্বাস, ৩. স্বপন কুমার রায়, ৪. নারায়ণ দত্ত বর্মা।


@উপবিভাগীয় কমিশনার :


১. অমিতাভ সরকার, ২. রামচন্দ্র দাস, ৩. মনোজ কান্তি বড়াল, ৪. মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ৫. মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার।


@অতিরিক্ত উপবিভাগীয় কমিশনার :


১. ডা. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, ২. বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ৩. গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, ৪. অঞ্জন চন্দ্র পাল, ৫. দীপঙ্কর বিশ্বাস, ৬. কালা চন্দ্র সিনহা, ৭. অনন্দ্র কুমার বিশ্বাস, ৮. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ৯. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, ১০. দেবজীত্ সিনহা

@উপজেলা নির্বাহী অফিসার : ১.


 দেবপ্রসাদ পাল, ২. অভিজিত্ রায়, ৩. উত্তম কুমার মণ্ডল, ৪. সুব্রত কুমার দে, ৫. প্রিয়াসিন্ধু তালুকদার, ৬. সুব্রত কুমার শিকদার, ৭. সুব্রত পাল, ৮. অরুণ কুমার মণ্ডল, ৯. দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, ১০. বনানী বিশ্বাস, ১১. দেবী চন্দ্র, ১২. মৃনাল কান্তি দে, ১৩. সিদ্ধার্থ সরকার কুণ্ড, ১৪. পঙ্কজ ঘোষ। 

নাম না জানা আরও হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা আছেন।

#collected


#everyone

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

অস্থির ভাবে পায়চারি করছিলেন রাজা। বড় হতাশ লাগছে তাঁর। মানুষই যদি বিরোধিতা করে, তাহলে তিনি লড়বেন কাদের নিয়ে? আর করবেনই বা কাদের জন্য? ধুস, আর লড়াই করে লাভ নেই।

 অস্থির ভাবে পায়চারি করছিলেন রাজা। বড় হতাশ লাগছে তাঁর। মানুষই যদি বিরোধিতা করে, তাহলে তিনি লড়বেন কাদের নিয়ে? আর করবেনই বা কাদের জন্য? ধুস, আর লড়াই করে লাভ নেই।

এমন সময় দারোয়ান এসে বলল একজন গেঁয়ো ব্রাহ্মন দেখা করতে চাইছে। একটু বিরক্ত হয়ে তিনি বললেন, এখন আমার সময় নেই বলে দে। দারোয়ান বলল, বলেছি। কিন্তু উনি যেতে চাইছেন না। তখন রাজা বললেন, পাঠিয়ে দে।

এক ব্রাহ্মন ঘরে ঢুকলো। খাটো ধুতি, গায়ে নামাবলি, মাথায় টিকি। টিকি দেখলেই রাজার মাথাটা যায় গরম হয়ে। রুক্ষ স্বরে বললেন কী চাই? ব্রাহ্মন বলতে শুরু করলেন।

আমি নদীয়ার মহাদেব ভট্টাচার্য।থামলেন একটু,বোধহয় গুছিয়ে নিলেন একটু। আবার শুরু করলেন।জানেন,সেদিন ছিল বৈশাখ মাস। টোল থেকে ফিরতেই অপর্ণা এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো কোলে। জল দিলো, গামছা দিলো, বাতাস দিলো পাখা করে।আমার জন্য তার যতো চিন্তা।বাপে মেয়েতে আদর খাচ্ছি। তখন ওর মা ডাকলো ঘর থেকে। ভেতরে যেতে বলল, মেয়ের তো ৭ বছর বয়স হোল। আর কতদিন ঘরে বসিয়ে রাখবে? পাড়ায় যে কান পাতা দায়। আমি বললাম,পাত্র পাচ্ছি কই? যার কাছেই যাই। ১০০০ টাকার কমে পন নেবেনা কেউ। মন্দিরা ফিসফিস করে বলল, সবার তো কপাল সমান হয়না। কিন্তু জাত ধর্ম তো রাখতে হবে। কাল নদীপথে একজন কুলীন ব্রাহ্মন এসেছেন। বয়সটা বেশি। ৭০ এর ঘরে। কিন্তু বংশ উঁচু। ৫০ টাকায় কন্যা উদ্ধার করেন তিনি। আমাদের অপুকে ওর হাতে গৌরি দান করো। আমি চেঁচিয়ে উঠলাম, না না এ হবেনা। কিন্তু সমাজের চাপতো বুঝি। বুঝি সংসারের চাপও। নিজের সঙ্গে অনেক লড়াই করে অপুর সাথে বিবাহ দিলাম। লাল চেলি, গয়না, আলতা, সিঁদুরে মেয়েকে আমার দেবীর মতো লাগছিলো। সে যে কী রূপ কী বলবো!! বোধয় বাপের নজরটাই লেগেছিল সেদিন।

পরদিনই মেয়েকে ছেড়ে জামাই বাবাজীবন আবার পাড়ি দিলেন নদীপথে। আরও কারোর কন্যা উদ্ধার করতে। বলে গেলেন আবার আসবো পরের বৎসর।

আমাদের বাপ মেয়ের আনন্দের জীবন চলছিলো বেশ। সারাক্ষন আমার পিছনে। সব কাজ শিখে গেলো। পারতো না শুধু রান্না। একদিন হাতে ফোস্কা পড়ে কী অবস্থা। আমি ওর মা কে বলে দিলাম, ওকে রান্নার কাজে লাগাবেনা। আগুনে ওর কষ্ট হয়। কী খুশি সেদিন মেয়ে। আমাকে জড়িয়ে ধরে কতো আদর।

আশ্বিন মাস গড়িয়ে যায়। পুজো আসছে, চারদিকে সাজো সাজো রব। আমি হাট থেকে মেয়ের জন্য লালটুকটুকে শাড়ি, আলতা সব নিয়ে এলাম। মেয়ে খুব খুশি। বলল ওঃ!! কখন যে পড়বো এইসব।বাবা, আমাকে রানীর মতো লাগবে, বলো? আনন্দে আমার চোখ ভিজে উঠলো। অভাবী সংসারে খুশি উপচে পড়লো।

ঠিক তার পরের দিন, জানেন ঠিক পরের দিন। সকাল দশটা হবে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে লোক এলো পত্র নিয়ে। গতকাল নারায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় দেহ রেখেছেন। যথাবিহিত বিধি অনুসারে কন্যাকে সতী করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ভেবেছিলাম, পত্র ছিঁড়ে ফেলবো। কিন্তু পত্রবাহক গ্রামের মাতব্বরদের জানিয়েই এসেছেন আমার বাড়ি। কোন উপায় ছিল না। রাজা বলে উঠলেন তারপর???

তারপর মেয়েকে সাজালাম। নতুন লাল চেলির শাড়ি, গয়না, আলতা, সিঁদুরে মেয়ে সেদিন অপরূপা। গ্রামে উৎসব, ঢাক বাজছে। এয়োরা সবাই ওর মাথার সিঁদুর,ওর আলতা নিচ্ছে। আর ও নিজে কী খুশি সেজেগুজে। ওর পছন্দের দধি মিষ্টান্ন এসেছে ঘর ভরে। জানেন, তার মধ্যেও ও সেসব আমাকে খাওয়াবে বলে ব্যস্ত। কথা বন্ধ হয়ে আসে ব্রাহ্মনের। চোখটা মুছে আবার শুরু করেন। খালি সে বুঝতে পারেনি উৎসবটা কিসের।

এরপর খবর এলো নদীর তীরে চিতা সাজানো সমাপ্ত। সতীমাতাকে নিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন কুলীন সমাজ। মেয়েকে কোলে নিয়ে চললাম। কাঁদিনি একটুও। ওকে বুঝতে দিতে চাইনি কিছুই। চিতার পাশে সমস্ত আনুষ্ঠানিক কাজ মিটলো। মেয়ে অবাক হয়ে দেখছিল সব। আগুন দেওয়া হোল চিতায়। দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো চিতা। মেয়ে বলল বাবা, বাড়ি চলো। আগুনে আমার বড় ভয়। আমি বললাম, আমার গলাটা একবার ছাড় মা। কচি হাত দুটো গলাটা ছাড়তেই ছুঁড়ে দিলাম অগ্নিকুণ্ডে। আগুনের মধ্যে থেকে একটা রিনরিনে গলা পাওয়া গেল, বাবাআআআআআআআআ 😪😪।

সেই ডাক আমি ভুলতে পারিনি। তারপর থেকে একদিনও রাত্রে ঘুম হয়নি। উঠতে বসতে খেতে শুতে শুধু এক আওয়াজ। বাবাআআআআআআআ। আমি পারিনি তাকে বাঁচাতে। আপনি পারেন। পায়ে ধরি আপনার। মেয়েগুলাকে বাঁচান। কতো মেয়ে গ্রাম ঘরে আপনার মুখ চেয়ে আছে। আছি আমরা, মেয়ের বাপ মা রা। বলতে পারিনা সমাজের ভয়ে। কিন্তু আপনি পারবেন।

উঠে দাঁড়ালেন রাজা রামমোহন রায়। বললেন,আমায় আপনি শক্তি দিলেন। পারতে আমাকে হবেই। এখানে না হলে ব্রিটেন যাবো। প্রিভি কাউন্সিলে দরবার করবো। কথা দিলাম আপনাকে।

বাকিটা ইতিহাস। সেই যুগে দাঁড়িয়ে তাঁর সেই লড়াই কতোটা কঠিন ছিল বলে বোঝানো যাবেনা। কলকাতার রাজ পরিবার থেকে ভারতের পণ্ডিত সমাজ সকলে ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কম নিন্দা অপমানের ঝড় বয়নি তাঁর ওপর দিয়ে। কিন্তু বটবৃক্ষের মতো অটুট ছিলেন তিনি। রামমোহন রায়, ভারতের 'প্রথম আধুনিক মানুষ'। আজ ২২মে তাঁর জন্মদিন।


প্রণাম এই মহামানব কে 🙏🙏🙏

ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:

 ❣️💕 ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:


১. ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে জেগে ওঠে না, জেগে ওঠে হুজুগে। সেখানে বই পড়া, মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানচর্চার অভ্যাস কম থাকে।


২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ অর্থহীন সস্তা বিনোদনের পিছনে ছোটে। ফলে সস্তা বিনোদন দিয়েও এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়।


৩. ব্যর্থ সমাজে দুর্নীতিবাজদের সবচেয়ে সফল মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। লোকের চোখে তারাই রোল মডেল।


৪. ব্যর্থ সমাজে অশিক্ষিতরা আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব নেয়। মানুষ শিক্ষাকে কম, টাকা আর ক্ষমতাকে বেশি মূল্যায়ন করে।

 

৫. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের বিপরীতে হাজার হাজার বোকার হদ্দ থাকে এবং প্রতিটি সচেতন শব্দের বিপরীতে থাকে শত শত পচনশীল শব্দ।


৬. ব্যর্থ সমাজে উদ্যোক্তার চেয়ে চাকরিজীবীর দাম বেশি হয়। সেখানে উদ্যোক্তাদের কেউ সম্মান করে না।


৭. ব্যর্থ সমাজে চিন্তাশীল ব্যক্তির মূল্য বা ওজন কেউ বোঝে না। যে কঠিন সত্য বলে বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে তাকে কেউ গ্রহণ করে না।


৮. ব্যর্থ সমাজে তরুণ প্রজন্মের সামনে মহৎ কোনো লক্ষ্য থাকে না। যুবসমাজ সেখানে শর্টকাটে বড়লোক হবার রাস্তা খোঁজে।


৯. ব্যর্থ সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয় নির্বোধ। সমাজের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মানুষ আলোচনায় মেতে থাকে, মূল টপিকগুলো হারিয়ে যায়।


১০. ব্যর্থ সমাজে অর্থহীন তত্ত্ব দিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন নেশাগ্রস্ত করে রাখা হয়। লোকজন এই নেশা কাটিয়ে উঠে সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না।


১১. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার একটি করে মতামত থাকে, কারণ সবাই সেখানে সবজান্তা!


১২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ সমস্যার উপর দিয়ে ভেসে বেড়ায়, কিন্তু গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। সমস্যা সমাধানের চেয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে সবাই বেশি সিদ্ধহস্ত হয়। ❣️💕💞


সংগৃহীত :

উমা কাজী বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনি উমা কাজী। এই ব্রাহ্মণ-কন্যাটি ছিলেন কবির পুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, বিদ্রোহী কবি নজরুলের পুত্রবধূ।

 উমা কাজী


বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনি উমা কাজী। এই ব্রাহ্মণ-কন্যাটি ছিলেন কবির পুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, বিদ্রোহী কবি নজরুলের পুত্রবধূ।


“যেখানেতে দেখি যাহা;


মা-এর মতন আহা।


একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,


মায়ের মতন এত


আদর সোহাগ সে তো


আর কোনোখানে কেহ পাইবে, ভাই !”


কাজী নজরুল ইসলাম নিজের "মা"বাদেও আর একজন নারীর মধ্যে নিজের মাকে খোঁজে পেয়েছিলেন ! যে নারী সন্তানের মতো নির্বাক ও প্রায় স্মৃতিশক্তিহীন কবি নজরুলকে মায়ের  ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন। আর স্নেহ-মায়া, ভালোবাসায় দিয়ে, যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ দূর করা যায়, তার উদাহরণ উমা কাজী এই মানুষটি! 


 কাজী নজরুল-এর বড় ছেলে কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, অর্থাৎ নজরুলের পুত্রবধূ।


আসলে, তিনি ছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। হিন্দু ও ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যা হয়েও মুসলিম পরিবারের পুত্রবধূ হয়েছিলেন ! সেই অনেক বছর আগে।  উমার বাবা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং মা বাদলা মুখোপাধ্যায়। তার জন্ম বর্ধমানের কাটোয়া অঞ্চলে।


লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার ‘লেডি ডাফরিন মেডিকেল হাসপাতাল’ থেকে ট্রেনিং নিয়ে নার্স হয়েছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। থাকতেন সেখানকার নার্সিং হোস্টেলেই। ছোটকাল, থেকেই সেবিকা হতে চাইতেন তিনি। সেখানকারই এক হেড নার্স ঊষা দিদি, উমাকে এক নতুন পথের দিশা দেখান। উমাকে তিনি নিয়ে যান অসুস্থ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাড়ীতে। কবির সেবা করার জন্য প্রয়োজন ছিল এক নার্সের। নির্বাক কবি তখন কলকাতার মানিকতলায় থাকতেন। নানা অসুস্থতায় জর্জরিত হলেও, দুই বাংলাতেই সমান্তরারালে তখন কবিকে নিয়ে কোনো অংশে উন্মাদনা কম নয়! 


এমনই সময়ে কবির মাথার কাছে গিয়ে বসলেন তরুণী উমা। নজরুলের স্ত্রী প্রমীলা দেবী বলেছিলেন, “তুমি কি পারবে 'মা' কবির সেবা করতে ? ঐ যে দ্যাখো, উঁনি খবরের কাগজ ছিঁড়ছেন। উঁনি এখন শিশুর মতো।” এ প্রশ্নের উত্তরে উমা বলেছিলেন, “আমরা তো কলকাতার হাসপাতালে শিশু বিভাগেই ডিউটি করেছি। কবি যদি শিশুর মতো হন, তবে নিশ্চয়ই পারবো।”


সেবা ও স্নেহের পথ পরিক্রমায় উমাই হয়ে উঠলেন কবি নজরুলের প্রিয় মানুষ। তাঁকে স্নান করানো, খাওয়ানো, দেখ-ভাল করা, গল্প শোনানো।  উমার হাতের স্পর্শ যেন কবির কাছে মায়ের আঁচলের মতো হয়ে ওঠে। কিন্তু এরই মধ্যে উমার সেবার মনোবৃত্তি দেখে, মিষ্টি ব্যবহার দেখে কবির বড় ছেলে কাজী সব্যসাচী,উমার প্রেমে পড়ে গেলেন । উমাও সব্যসাচীকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ফেললেন।


বিয়ে হল ব্রাহ্মণের মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে, উমা মুসলিম পরিবারকে আপন করে নিলেন। মুসলিম  ধর্মান্তরে উমা মুখোপাধ্যায় হয়ে গেলেন, উমা কাজী। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা নজরুলও এমন এক মেয়েকে ঘরের বৌমা হিসেবে পেয়ে খুশি হলেন। উমা মুসলিম পদবী গ্রহণ করলেও, তাঁর নামে থেকে গেল দুর্গা'র চিহ্ন।


শাশুড়ি প্রমীলাদেবী উমা বৌমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন। এদিকে কবি নিজেও বৌমা অন্তঃপ্রাণ। বৌমা চন্দন সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে না দিলে স্নান করবেন না নজরুল, দাঁড়ি বৌমাই কেটে দেবে, খাইয়ে দেবে বৌমা। আদরের বৌমার কাছে শিশুর মতো আবদার বায়না করতেন কবি। এমনকি পরিধেয় জামাকাপড়ে নীল বোতলের আতর-সুগন্ধিও বৌমাকেই লাগিয়ে দিতে হবে।


উমা একদিকে নিজের নতুন সংসার সামলাচ্ছেন আর অন্যদিকে কবিকেও সামলাচ্ছেন। ধীরে ধীরে এল সব্যসাচী-উমার ঘরে তিন সন্তান, 


- মিষ্টি কাজী, 


- খিলখিল কাজী এবং 


- বাবুল কাজী। তিন নাতি-নাতনি দাদা নজরুলের কাছেই থাকত বেশি সময়। কবিও তো শিশুর মতোই। সন্তানদের সঙ্গেই কবিকেও আসন পেতে বসিয়ে ভাত খাইয়ে দিতেন উমা কাজী।


পরবর্তীতে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সুস্থ করতে দুটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়, যে বোর্ডের সদস্যদের কবির সমস্যাগুলি বুঝিয়ে দিতে যেতেন, উমা নিজেই । কিভাবে কবির স্মৃতিশক্তি ফেরানো যাবে, কথা বলানো যাবে, এ সব ভাল করে শুনে সেবার ধরণও বুঝে নিতেন উমা। পাশাপাশি স্বামীর খেয়াল রাখা থেকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সবটাই দেখতেন উমা কাজী।


এরি মধ্যে কবিপত্নী প্রমীলা দেবী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শাশুড়ির সব দেখভালের দায়িত্বও নিলেন উমা কাজীই। কবির আগেই চলে গেলেন কবিপত্নী। দীর্ঘ ৩৮ বছরের সংসার জীবনের পর, ১৯৬২ সালের ৩০শে জুন মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রমীলা কাজী। তাঁকে কলকাতা থেকে চুরুলিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজী পাহালোয়ানের দরগার পাশে কবিপত্নীকে সমাহিত করা হয়।


১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর উদ্যোগে স্বপরিবারে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডে (বর্তমান নজরুল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন) কবি ভবনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁরা বসবাস শুরু করেন। কাজী সব্যসাচী কর্মসূত্রে কলকাতায় থেকে গেলেও উমা কাজী কবিকে দেখার জন্য ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ধানমণ্ডির বাড়িতে নজরুল নাতি-নাতনি নিয়ে খেলা করতেন, বাগানে ঘুরে বেড়াতেন।


কবির জন্মদিন পালন হতো বেশ বড় করে। অতিথিরা আসতেন, কবিকে সবাই মালা পরাতেন । কবি সেইসব মালা পরে খিলখিল করে হাসতেন। হারমোনিয়াম দেখিয়ে সবাইকে বলতেন গান করতে। নাতি-নাতনিরাও নজরুল সঙ্গীত গাইতেন। নির্বাক কবিই কখনও হেসে উঠতেন আবার কখনও নির্বাক হয়ে অঝোর ধারায় কেঁদে যেতেন।  একটার পর একটা নিজের সৃষ্টি শুনে। সব যন্ত্রণা যেন গানে গানে ঝরে পড়ত কবির চোখের জলে।


জীবনের শেষ দিকে বিছানাতে স্থায়ী ঠিকানা হলো কবির। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতেন উমা। তিনি যে সেবিকা থেকে ততদিনে তিনি যে কবির 'মা' হয়ে গিয়েছিলেন ! তাই, তো এত কিছুর মধ্যেও এতটুকু ফাঁক-ফোঁকর পড়েনি!  ছেলে-মেয়েদেরকে বড় করার বা শাশুড়ির অবর্তমানে সমগ্র সংসার সামলানোর বা কাজী সব্যসাচীর যোগ্য সহধর্মিণী হয়ে উঠার।


২৯ আগস্ট ১৯৭৬ ইং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল প্রয়াত হন। চির বিদায়ের শেষ সজ্জায় কবিকে সাজিয়েও দিয়েছেন উমা কাজী। তিন বছর পরে ১৯৭৯ সালের ২ মার্চ কলকাতায় মারা যান আবৃত্তিকার স্বামী কাজী সব্যসাচী। অকালেই চলে যান অসুখে। ফলে আরও কঠিন দায়িত্ব এসে পড়ে উমার কাঁধের উপর। তখন ম্লান হয়ে আসছে কাজী পরিবারের যশ-খ্যাতি। একা হাতে বিখ্যাত কবি পরিবারকে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করেন উমা। তিনি না থাকলে কাজী পরিবার আজ খ্যাতি আর পরিচিতির জায়গাটা হয়তো ধরেই রাখত পারতো না। বিখ্যাত পরিবারে বিখ্যাত সদস্যদের পেছনে কাণ্ডারীর মতো শক্তির উৎস হয়ে উঠেছিলেন এই উমা মুখোপাধ্যায় তথা উমা কাজী।


উমা নিজেই যখন দাদী-নানী হলেন, তখন তিনিও কবির মতই তাঁর নাতি-নাতনিদের গল্প বলতেন। কাজী নজরুল, প্রমীলাদেবী, কাজী সব্যসাচী সকলের কথা তিনি বলতেন নাতি-নাতনিদের। তারাও কাজী নজরুলকে ছুঁতে পারত উমার গল্পে। উমা জানতেন, উত্তরাধিকারী নবীন প্রজন্মকে কবির কাজে আগ্রহী করলে কবির কাজ বেঁচে থাকবে, আরও এগুবে তাঁর সৃষ্টি।     উমা যেন সারাজীবন কবির সেবিকা ও সাধিকা হয়ে রইলেন। এইভাবেই ৮০টি বসন্ত পেরিয়ে প্রয়াত হলেন উমা কাজী। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আর শেষ দিকে স্মৃতিভ্রংশতায় ভুগছিলেন, কবির মতোই। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ইং সালে ঢাকার বনানীতে 'কবি ভবন'-এ প্রয়াত হন ভালোবাসার  মনুষ্যত্ব ও সেবার ধর্ম সারাজীবন ধরে পালন করা মানুষ উমা কাজী। বনানীতেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।


কাজী বংশের এই শ্রেষ্ঠ "মা"কে বর্ণনা করা যায় নজরুলের কবিতা দিয়েই !


“হেরিলে মায়ের মুখ


দূরে যায় সব দুখ,


মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরাণ,


মায়ের শীতল কোলে


সকল যাতনা ভোলে


কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।


কত করি উৎপাত


আবদার দিন-রাত,


সব স'ন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা!


আমাদের মুখ চেয়ে


নিজে র’ন নাহি খেয়ে,


শত দোষী তবু মা তো ত্যাজে না।”


#সুর_ও_বাণী4

তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে,,,,,,,,

 তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে


যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট বোনকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি—তাই এবার আমি শুধু একজন ছেলেকে বড় করার আনন্দ অনুভব করতে চেয়েছিলাম।


কিন্তু আমার শাশুড়ির ছিল অন্য পরিকল্পনা। তিনি সব সময় একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু কখনও তা পাননি।


তিনি হাসলেন এবং বললেন, “চলো, তাহাজ্জুদের প্রতিযোগিতা করি। তুমি একটি ছেলের জন্য দোয়া করো, আমি একটি মেয়ের জন্য দোয়া করবো। দেখি কে জেতে।”

আর সেই থেকেই আমরা দুজনেই রাতে শেষ অংশে আমাদের দোয়া ফিসফিস করে বলতে শুরু করলাম।


প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড… যমজ!

আমরা দুজনেই হাসলাম এবং কেঁদে ফেললাম। যেন আল্লাহ মৃদুস্বরে বললেন: প্রতিযোগিতার দরকার নেই। তোমরা দুজনেই জিতেছো।


একটি কন্যা শিশু। একটি পুত্র সন্তান।

আমার ছেলে দুর্বল ছিল এবং এনআইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল।

কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ তারা দুজনেই সুস্থ এবং তিন বছর বয়সে পদার্পণ করছে—আমাদের দ্বিগুণ আনন্দ, আমাদের দ্বিগুণ দোয়ার ফল।


তাহাজ্জুদ সত্যিই এক অসাধারণ কিছু!


— ঘটনাটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করা হয়েছে

ব্যারিস্টার সুমন ভাই রাজনীতিতে জড়িয়েছেন—এই সিদ্ধান্তটি আমি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক মনে করিনি।,,, প্রিসিলা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ব্যারিস্টার সুমন ভাই রাজনীতিতে জড়িয়েছেন—এই সিদ্ধান্তটি আমি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক মনে করিনি। যদিও উনার সাথে আমার সম্পর্ক সবসময়ই ভাল ছিল, কিছু বিষয় নিয়ে আমি কখনোই উনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারিনি।


সুমন ভাই নিজেই একটি ব্র্যান্ড ছিলেন—ফুটবল নিয়ে, সামাজিক সেবামূলক কাজ নিয়ে, এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয়। তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিতে জনমনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।


আজ উনার সঙ্গে আমার এক ছোট্ট স্মৃতি শেয়ার করতে চাই।


আমি তখন নিউ ইয়র্ক সিটিতে থাকি, তবে বাসাটা শহর থেকে বেশ দূরে। আমি তখন নাইন গ্রেডে পড়ি। একদিন ইন্টারভিউ নেব বলে সুমন ভাইকে আমন্ত্রণ জানাই। অবাক করার মতোভাবে তিনি সেই রাতে, কোনো দ্বিধা না করে, আমার বাসায় চলে আসেন।


তখনো আমার স্টুডিও গোছানো ছিল না, সবকিছু অনেক এলোমেলো। কিন্তু তিনি অত্যন্ত ভদ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে পুরো ইন্টারভিউটি শেষ করেন—একটুও বিরক্তি প্রকাশ না করে।


তারপর জানতে পারি, তাঁর আরও অনেক কাজ বাকি, ব্যস্ত সময়সূচি। বাসায় রান্না করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সময়ের অভাবে কিছুই খাননি—শুধু একটু জুস পান করে বেরিয়ে পড়তে চাইলেন।


ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হলো। খুব জোর বৃষ্টি।


তিনি বেরোতে চান, কিন্তু ছাতা নেই। আমি আমার প্রিয় ছাতাটি এগিয়ে দিই। তিনি তা হাতে নিয়ে বলেন, “এই ছাতা ফেরত দেব কিভাবে?”


আমি বলি, “ফেরত দিতে হবে না।”


ছাতাটি ছিল দারুণ, আমি পছন্দ করে ব্যবহার করতাম। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন, ছাতাটি হাতে ঘোরান… তারপর হঠাৎ করেই ছাতা না নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দৌঁড়ে গাড়ির দিকে চলে যান—শুধু এই ভয়ে যে, ছাতাটি ফেরত দিতে পারবেন না। ভিজে গেছেন, চোখে পানি লেগেছে—বৃষ্টির, না হয়ত অন্য কিছু, জানি না।


এই মানুষটিকে আমি সৎ বলছি না, নিরপরাধও বলছি না। আমি জানি না তিনি দুর্নীতি করেছেন কি না, কত টাকা আয় করেছেন, বা কোথায় রেখেছেন।


কিন্তু এটা জানি, তাঁর চেয়ে অনেক বড় বড় অপরাধীরা এই দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে গেছেন—VIP সিকিউরিটির ছায়ায়, এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পার হয়ে প্লেনে চড়েছেন।


তাঁদের ছেড়ে দিয়ে, তাকেই কেন আটক রাখা হলো?


আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার।


যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়।


কিন্তু একইসাথে প্রশ্ন রাখি—

উনার চেয়ে বড় অপরাধীরা মুক্ত, আর তিনি আটক—এটা কোন যুক্তিতে?


আমার একটাই কথা:

ন্যায়বিচার হোক—সবাইর জন্য।

চেহারা, পরিচয় বা অবস্থান দেখে যেন বিচার না হয়।

আমি আবারও বলছি, আমি উনার মুক্তি চাই না।


আমি চাই, ন্যায়বিচার।

একজন নাগরিক হিসেবে, এটাই আমার চাওয়া।

উনি একজন বাবা , একজন স্বামী , একজন পুত্র , উনার মা নিউইয়র্কে , বয়স্ক , অসুস্থ্য । ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে পাগল প্রায় , খেয়ে না খেয়ে , না ঘুমিয়ে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত ।


আমি আবারও বলছি , আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার।


যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়।


#বাংলাদেশ #Bangladesh #bd #sumon #Berister #sumon #beristersumo

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৫-০৫-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৫-০৫-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত – ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির – বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত ও এনসিপি।


বৈঠকে অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে দল তিনটি - ব্রিফিংয়ে বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। 


নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন - উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি - স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।


রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই শহীদ মোহাম্মদ হাসানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত। 


যথাযথ মর্যাদায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী।


ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসছে নতুন নোট, থাকবে না কোনো ব্যক্তির ছবি - জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।


পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানি।


আজ ডাবলিনে তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে ‌ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোকাবেলা করবে আয়ারল্যান্ড।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২8-০৫-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২8-০৫-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বিএনপি। * সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন তিনটি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে সরকার - বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা।


দায়িত্বে বহাল থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার, বিচার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টাকে কাজ করতে হবে – দাবি এনসিপি’র।


পবিত্র ঈদ উল আযহা সামনে রেখে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি অব্যাহত।


বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু।


ফিলিস্তিনিরা এখন যুদ্ধের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম পর্যায় এবং দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি - জাতিসংঘের সতর্কবার্তা।


মিরপুরে চার দিনের অনানুষ্ঠানিক ক্রিকেট টেস্টের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ড-এ দল গতকালের চার উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজ তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করবে।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৩-০৫-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৩-০৫-২০২৫ খ্রি:

 

আজকের সংবাদ শিরোনাম:


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।


দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ রক্ষায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার।


বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট হাইকোর্টে খারিজ - শপথ নিতে বাধা নেই।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত কার্যপ্রণালি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি - গ্রেফতারের ক্ষমতা পেলেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটররা।


২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে দুদক।


পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ছয়শো ৯০টি ভ্রাম্যমান ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু।


ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইল হামলা চালালে এর দায় যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে - হুঁশিয়ারি তেহরানের।


মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বাংলাদেশ-এ দলের বিরুদ্ধে এক উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং আবার শুরু করবে নিউজিল্যান্ড।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২২-০৫-২০২৫ খ্রি: 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২২-০৫-২০২৫ খ্রি: 


আজকের সংবাদ শিরোনাম: 


রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধি এবং নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।


ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি - বাংলাদেশী পণ্য আমদানী বন্ধ করায় নয়া দিল্লিকে চিঠি পাঠাচ্ছে ঢাকা - জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 


বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে মিয়ানমারের জন্য করিডোর দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ - জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। 


ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু - চলবে ২৭শে মে পর্যন্ত - ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে দেশব্যাপী টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু।


কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে সরকার - বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


৯০ ট্রাক পণ্য গাজায় পাঠানো নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ - ইসরাইলের ওপর সম্মিলিত নিষেধাজ্ঞার আহ্বান অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের।


শারজায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের।

চিত্রনায়িকা শাবনুর +নাসরিনের মধ্যে কঠিন প্রেম ছিলো

 চিত্রনায়িকা শাবনুর +নাসরিনের মধ্যে কঠিন প্রেম ছিলো

নায়িকা শাবনুর আর নাসরিন প্রায় সেম সময়ে চলচ্চিত্রে আসেন। দুজনের বয়সও মোটামুটি সেম সেম, তারপর দুজনার চলাফেরা - কথা বলার বাচন ভঙ্গিও প্রায় একি মতো - দুজনে এক সাথে ছবি করছেন প্রায় ১০০ টির মতো-

সবই ভাগ্য - শাবনুর হয়ে গেলেন সুপারস্টার নায়িকা আর নাসরিন হলেন কমেডী কিং দিলদারের নায়িকা - যদিও দুজনার পথ আলাদা ছিলো কিন্তু যে ছবিতে দুজনে কাজ করেছেন - ব্যাস, দেখবেন স্যুটিং এর ফাঁকে ফাঁকে কি যেন ফুচুর ফুচুর করে দুজনে - আর দুজনের মাঝে মধ্যেই অট্ট হাসি শোনা যায় - দুজনেই প্রচুর আড্ডাবাজ - তারা স্যুটিং এর ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা দিতে মজা পায়, কিন্তু আবার কাজের সময় সিরিয়াস। 

এদের দুজনার সম্পর্ক আপন বোনের মতো - কেউ কারো চেয়ে কম নন, যখন ক্যামেরার সামনে দুজনে মুখোমখি অভিনয় করে, তখন দেখবেন কেউ কাউকে ছাড় দেয় না, কারন দুজনেই অভিনয়ে সুপারস্টার - 

আসলে আমরা চলচ্চিত্রের মানুষেরা ভালো মন্দের বিচার করতে জানি না, শুধু জানি নিজের স্বার্থটা ঠিক আছে কি না, নাসরিন এর মতো একজন দক্ষ পার্দর্শী অভিনেত্রীকে নায়িকা হিসেবে ব্রেক কেউ দিলাম না, তার অপরাধ একটায় ঠোট কাটা - সব সত্য কথা মুখের উপরে ঝেড়ে দিবে - 

কিন্তু আমি চ্যালেন্জ করবো - নাচে, গানে, ফাইটিং এ, অভিনয়ে, চেহারায় - অল বিষয়ে পারফ্যাক্ট নাসরিন - চলচ্চিত্রের এমন কোন মায়ের লাল নায়িকা নাই যে নাসরিন এর সাথে কেউ টেক্কা দিবে - 

দুজন সিনিয়র নায়িকা ছিলো - অন্জনা, নতুন 

কিন্তু অন্জনা মারা গেছেন, নতুন এর বয়স হইছে। 

এখানে নাসরিন এর একটু ভুল ছিলো - তা বলবো না, কারন নাসরিন আমার বন্ধু মন খারাপ করবে - 

তা না হলে - বোম্বের মাধুরী দিক্ষিত হতে পারতো - যেমন করে সামান্য নাচের মেয়ে থেকে বোম্বের মতো ইন্ড্রাষ্টিতে মাধুরী সুপারস্টার নায়িকা হয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো তাকে গাইড করার মতো কেউ ছিলো, সবাই ছোট ক্যারেক্ট শিল্পী মনে করে তাকে নিয়ে কেউ ভাবতেই চেষ্টা করেন নাই। 

তা না হলে - বাংলা চলচ্চিত্রে দুইজন সুপারস্টার নায়িকা থাকতো - একজন শাবনুর, আরেকজন নাসরিন 

আমার চলচ্চিত্রে এক দুজন বন্ধুর মধ্যে নাসরিন আমার সেরা বন্ধু - তার মন মানসিকতা অন্য দশ জনের চেয়ে একটু আলাদা - 

সেই সাথে বলবো - আমার কাছ থেকে দেখা চলচ্চিত্রে দু একজন নায়িকার মধ্যে - শাবনুরের তুলনা হয় না 

আমি দুজনের আগামী ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করছি - 

তাদের জীবন সুন্দর ও মধুময় যেন হয়। 

                          রবিউল ইসলাম রাজ 

                           চলচ্চিত্র পরিচালক 

                            01948-329383

একটি বিপজ্জনক ফোনালাপ*  (তখন ফোনকল ছিল এক মিনিটে 2 টাকা)!

 *একটি বিপজ্জনক ফোনালাপ*

 (তখন ফোনকল ছিল এক মিনিটে 2 টাকা)!

 কন্যা : হ্যালো , হ্যাঁ বাবা বলো ? 

গোপালবাবু : আমরা ভালো আছি, তোর মায়ের হাঁটু ব্যথা বেড়েছে, আর হ্যাঁ শোন কাজের মেয়ে টা আজ কাজে আসেনি, আমি তোর মায়ের ঘরদোর ওই ডান্ডা ন্যাতাটা দিয়ে মুছে দিয়েছি। তোরা সব ভালো তো ? ছাড়ছি তাহলে .......... কন্যা : আরে এখুনি কি ছাড়বে ? মা কে দাও। 

গোপালবাবু : আবার মা কেন ? এক্ষুনি একগাদা কথা বলবে । শোন মিনিটে দু টাকা! আমি রিটায়ার করেছি(পাশ থেকে মায়ের চেঁচিয়ে হাঁক, আমি কথা বলবো ; কিপটে বুড়ো একটা!) 

কন্যা : মা আমি ঘুরিয়ে ফোন করছি , তোমরা লাইন কেটে দাও। 

গোপালবাবু : অপচয় করিস না। আর ফোন করার দরকার নেই। আবার কাল করবি।

 (লাইন কেটে দেওয়া হল। মেয়ে ঘুরিয়ে ফোন করলো।)

 মা : হ্যালো , কে স্বাতী ?  শোন, তোর বাবার সাথে আর একসাথে সংসার করা যাচ্ছে না , ভীষন অত্যাচার করছে। 

কন্যা : সে কি ? কি করেছে ? 

মা : শোন সারাদিন খাইখাই করছে। সকালে চারবার চা খেয়েছে।সিগারেটের ধোয়ায় ঘরে কিচ্ছু দেখা যায় না। এই সবে আমাশা থেকে উঠলো। আমাকে বলছে মুড়িঘন্ট করে দিতে আর বোয়ালের ঝাল। পাঁচশো চুনো মাছ এনেছে। কে কাটবে বল !!! (কান্না) আমার হাঁটু ব্যথা। বলছে চুনো মাছের চচ্চড়ি করতে ? আমি আর ওর সাথে থাকবো না। আমাকে আলাদা করে দে। 

কন্যা : এসব রেঁধেছো নাকি ? কালকেও তো মেট্রোজিল খেয়েছে।

 মা : মুখ ফুটে চাইলো মানুষটা আর রাঁধবো না ? জানিস রাতে আমাকে ঘুমাতে দেয় না , সারারাত অত্যাচার করে। 

কন্যা : সে কি ? কি বলছো মা ? 

মা : ঠিকই বলছি। (কান্না ) সারারাত টিভি চালিয়ে এবিপি আনন্দে ভারত পাক যুদ্ধ দেখে। তারপর পাঁচশো কেজির মানুষ কি করে অপারেশন করে রোগা হচ্ছে তা দেখে। গাঁক গাঁক করে টিভি চলে। আমার ঘুম আসেনা। অত্যাচার নয় ? অথচ আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান দেখতে দেয় না, তখন নিউজ শোনে। কন্যা : তো তুমি অন্য ঘরে শোও না কেন ? 

মা : তোর বাবা ভুতের ভয় পায়, আমাকে ছাড়া শুতে পারে না। তুই এসে এর একটা বিহিত করে যা। (ব্যাকগ্রাউন্ডে গোপালবাবুর আবৃত্তি শোনা যায়) "সাধাসিধে গোপালেরে হে মুটকি জননী, রেখেছো ক্রীতদাস করে,স্বামী তো ভাবোনি।" ওই দেখ, সারাদিন ছড়া কাটছে নয় গান করছে।লোকে পাগল বলে। কন্যা : আচ্ছা আমি কাল স্কুলফেরত যাবো। একটু মুড়িঘন্ট রেখো। 

মা : একপাতা সেফটিপিন আর শায়ার দড়ি আনবি। আর ন্যাপথলিন। কন্যা : আনবো মা । 

মা : এবার রাখি,তোর বাবাকে একটু কড়াইশুটির কচুরি করে দিই। সারাদিন খায় নি। রাখছি... 😀🥰"


লিখেছেন-- Swati Banerjee

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

সতর্ক থাকুন! এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে

 সতর্ক থাকুন! এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে

(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)

➤➤➤ঔি


১. ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People)

এরা সেই মানুষ, যারা নিজের জীবনের সমস্যাগুলো নিজেরা সামলাতে চায় না। আপনি যতই সাহায্য করুন না কেন, সব ভারই যেন আপনাকেই বইতে হবে। তারা চায়—আপনি তাদের খাওয়ান, চলার পথ দেখান, আবার পেছন থেকে ঠেলেও নিয়ে যান।


উদাহরণ: ধরো তোমার এক বন্ধু আছে, প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে বলে, “তুই তো ভালো জানিস, তুই কর, আমি ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকব।” সে ফল পেতে চায়, কিন্তু পরিশ্রম করতে চায় না।


শিক্ষা: যেসব সম্পর্ক শুধু একতরফা দায়িত্বের, সেগুলো সময়মতো চিনে সরে দাঁড়াও।


---


২. মশা মানুষ (Mosquito People)

এই মানুষরা আসে শুধু তোমার ভালোটা শুষে নিতে। যখন তোমার টাকা, সময়, যোগাযোগ, জনপ্রিয়তা বা সাফল্য দরকার হয়, তখন ওদের দেখা যায়। পরে সুযোগ পেলেই কটূক্তি করে, গুজব ছড়ায়।


উদাহরণ: ভাবো, কেউ তোমার কাছ থেকে রেফারেন্স চায় চাকরির জন্য। তুমি সাহায্য করো। পরে তাকে নিজের প্রয়োজনে ফোন দিলে বলে, “আসলে ব্যস্ত ছিলাম।” অথচ অন্যকে বলছে, “ও তো শুধু নিজ স্বার্থ দেখে!”


শিক্ষা: যাদের উপস্থিতি কেবল নিজের লাভের সময়েই দেখা যায়, তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।


---


৩. বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People)

তারা এক সময় সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চায় তুমি সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমোদন চাও। তারা তোমার সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—মনে করে, তুমি চিরকাল তাদের ঋণী।


উদাহরণ: যেমন কোনো আত্মীয় তোমার পড়ালেখার খরচে একবার সাহায্য করেছিল। এখন যখন তুমি স্বাধীন হতে চাও, তখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।”


শিক্ষা: কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু কারও ছায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলো না।


---


৪. কুমির মানুষ (Crocodile People)

এই মানুষরা মিষ্টি ব্যবহার করে তোমার মন জয় করে, তারপর গোপন তথ্য জেনে রাখে। সুযোগ পেলেই সেই তথ্য দিয়ে তোমার ক্ষতি করে।


উদাহরণ: ধরো, তুমি কাউকে বলেছিলে—তোমার পরিবারে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। পরে একদিন ওর সঙ্গে ঝামেলা হলে, সে এই কথাই অন্যদের সামনে এনে তোমাকে হেয় করে।


শিক্ষা: কারও মুখের মাধুর্যে বিভ্রান্ত হয়ো না, আগে যাচাই করো—সে মানুষ না মুখোশধারী।


---


৫. গিরগিটি মানুষ (Chameleon People)

এরা বাইরে থেকে বন্ধুর মতো—তোমার খোঁজও রাখে, পাশে হাঁটেও। কিন্তু আসলে তোমার প্রতিটি সাফল্য ওদের পুড়িয়ে দেয়। তোমার অর্জনে ওদের মুখ বন্ধ, কিন্তু তোমার সামান্য ভুল হলে ওদের মুখে ফেটে পড়ে উপহাস।


উদাহরণ: তুমি একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেলে—ও মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, কিন্তু ফেসবুকে তোমার ভুল বানান তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়।


শিক্ষা: যে মানুষ তোমার আনন্দে মুখ গোমড়া করে, তাকে বন্ধু ভাবলে চলবে না।


---


৬. না-বলা মানুষ (Naysayer People)

তারা কখনোই তোমার স্বপ্নে বিশ্বাস রাখবে না। বরং তারা এতটাই নেতিবাচক যে, তুমি কিছু শুরু করার আগেই মনোবল হারিয়ে ফেলবে।


উদাহরণ: তুমি যদি বলো, “আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”, ও বলবে, “ওসব কেউ দেখে না”, “তুই পারবি না”, “সার্চ রেজাল্টে আসবে না”—অথচ তারা নিজে কোনো চেষ্টা করে না।


শিক্ষা: নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে চাইলে, স্বপ্নহীনদের থেকে নিজেকে বাঁচাও।


Inner Soul ©


৭. আবর্জনা ঠেলা মানুষ (Garbage Pusher People)

তারা সবসময় নেতিবাচক খবর ছড়ায়—কখনো কিছু ভালো বলতে জানে না। তোমার আশেপাশের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে হতাশা আর ভয়ের গল্প ছড়িয়ে।


উদাহরণ: তুমি যদি একটা ভালো উদ্যোগের পরিকল্পনা করো, সে বলবে “বাজার খারাপ”, “সব জিনিস লস”, “এই দেশে কিছু হয় না”—এমন কথা শুনিয়ে চেষ্টার আগেই সাহস কেড়ে নেবে।


শিক্ষা: যাদের চিন্তায় কেবল অন্ধকার, তারা তোমার ভেতরের আলো নিভিয়ে দিতে পারে—তাদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।


শেষ কথা:

জীবনের প্রতিটি ধাপে কার সঙ্গে পথ চলছো—এটাই ঠিক করে তুমি কত দূর যেতে পারবে। সম্পর্ক বেছে নাও মাথা ঠাণ্ডা রেখে, হৃদয় উষ্ণ রেখে। সবকিছুতে ভালোবাসা দিও, কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দিও না এমন কাউকে, যে তোমার ডানাকে কেটে নিজের ছায়া বাড়াতে চায়।


তাদের চিনে রাখো—আমার তালিকাতেও তারা ছিল, আজ তোমাকেও বললাম।

সাধারণ জনগণ কি শুধু তামাশাই দেখবে ও স্লেইভারি বরণ করবে?

 মিলিয়ে দেখুন........

নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন বন্দী করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নীরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, পিঠে ছুরিকাঘাত করার পূর্বে নবাবকে কাঁটাওয়ালা সিংহাসনে বসিয়ে ও ছেঁড়া জুতা দিয়ে পিটিয়ে যখন অপমান করা হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ সেই তামাশা দেখে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছিল! মাস সাইকোলজিটা একটু খেয়াল করে দেখুন, এই জাতি দুইশত বছরের গোলামি সাদরে গ্রহণ করেছিল ওভাবেই।


একটি মজার তথ্য দেই। লর্ড ক্লাইভ তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখেছেন, নবাবকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দাঁড়িয়ে থেকে যারা এসব প্রত্যক্ষ করেছিল তারা যদি একটি করেও ঢিল ছুঁড়ত তবে ইংরেজদের করুণ পরাজয় বরণ করতে হতো। আরো চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহী, ৩০ হাজার পদাতিক এবং অসংখ্য কামান, গোলাবারুদ সহ বিশাল সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নিয়েই পলাশীর ময়দানে এসেছিলেন 

নবাব সিরাজউদ্দৌলা । কিন্তু তার বিপরীতে রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার, যার মধ্যে ৯ শত জনই ছিল হাতেপায়ে ধরে নিয়ে আসা সৌখিন ব্রিটিশ অফিসার যাদের অধিকাংশেরই তলোয়ার ধরার মতো সুপ্রশিক্ষণ ছিল না, এরা কোনোদিন যুদ্ধও করেনি।


এত কিছু জেনেও রবার্ট ক্লাইভ যুদ্ধে নেমেছিলেন এবং জিতবেন জেনেই নেমেছিলেন। কারণ, তিনি খুব ভালো করেই জানতেন একটি হীনমন্য ব্যক্তিস্বার্থলোভী দ্বিধাগ্রস্ত জাতিকে পরাস্ত করতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই, বড় সৈন্যবাহিনী এদের জন্য মশা মারতে কামান দাগার মতো। যাদেরকে সামান্য দাবার চালেই মাত করে দেয়া যায়, তাদের জন্য হাজার হাজার সৈন্যের জীবনের ঝুঁকি তিনি কেন নেবেন? এছাড়াও, মীরজাফরকে যখন নবাবীর টোপ গেলানো হয়, রবার্ট ক্লাইভ তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে, সিরাজকে পরাজিত করার পর এই বদমাশটি সহ বাকিগুলোর পরিণতিও তাদের নবাবের মতোই হবে এবং হয়েছেও তাই। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীরজাফর, উমিচাঁদ, রায়বল্লভ, ঘষেটি বেগম সহ প্রত্যেকটি বেইমানের করুণ মৃত্যু হয়েছে।


রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরের বেঈমানির উপর ভরসা করে যুদ্ধ করতে আসেননি। তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন বাঙালির মানসিকতা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে। তিনি জানতন, যুদ্ধশেষে জনসম্মুখে নবাবকে হেনস্থা করলে এই জাতি বিনোদনে দাঁত কেলাবে কিংবা হা করে চেয়ে চেয়ে দেখবে। তাই বিনা দ্বিধায় সার্টিফিকেট দেয়াই যায়, বাঙালি জাতির মানসিকতা সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মাপতে পারা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিটির নাম রবার্ট ক্লাইভ!


সাধারণ জনগণ কি শুধু তামাশাই দেখবে ও স্লেইভারি বরণ করবে?

৪২ টি শিক্ষা রেজিনা ব্রেট, ৯০ বছর বয়সে লেখা

 

 ৪২টি শিক্ষা

(রেজিনা ব্রেট, ৯০ বছর বয়সে লেখা)


জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া এই মূল্যবান শিক্ষা গুলো এমন কিছু, যা আমাদের প্রত্যেকেরই অন্তত সপ্তাহে একবার পড়া উচিত।


১. জীবন সবসময় ন্যায্য হয় না, তবে তারপরও এটা সুন্দর।

২. যখন সিদ্ধান্ত নিতে পারো না, তখন ছোট একটা পদক্ষেপ নাও।

৩. জীবন খুব ছোট – তাই উপভোগ করো।

৪. অসুস্থ হলে তোমার চাকরি পাশে দাঁড়াবে না, পাশে থাকবে পরিবার আর বন্ধু।

৫. প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ডের দেনা শোধ করো।

৬. সব তর্কে জেতা জরুরি নয়। নিজের প্রতি সৎ থাকো।

৭. কারো সঙ্গে কাঁদো – একা কাঁদার চেয়ে তা বেশি প্রশান্তিদায়ক।

৮. প্রথম বেতন থেকেই অবসরকালীন সঞ্চয় শুরু করো।

৯. চকোলেটের প্রতি দুর্বলতা স্বাভাবিক – প্রতিরোধ করতে যেয়ো না।

১০. অতীতকে মেনে নাও, যাতে তা বর্তমানকে প্রভাবিত না করে।

১১. তোমার সন্তানদের সামনে কাঁদা ঠিক আছে।

১২. অন্যের জীবনের সঙ্গে নিজের তুলনা করো না – কারো পথচলা তুমি জানো না।

১৩. সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে হলে, সেটা ঠিক সম্পর্ক নয়।

১৪. গভীর শ্বাস নাও – এটা মনকে শান্ত করে।

১৫. অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দাও – বাড়তি বোঝা জীবনকে ভারী করে।

১৬. যেটা তোমাকে ভাঙে না, সেটাই তোমাকে আরও শক্ত করে তোলে।

১৭. সুখী হতে কখনোই দেরি হয় না – এটা পুরোপুরি তোমার উপর নির্ভর করে।

১৮. যা ভালোবাসো, তার পেছনে লেগে থাকো – “না” শুনে থেমো না।

১৯. বিশেষ দিনের জন্য কিছু রেখে দিও না – আজই বিশেষ।

২০. বেশি প্রস্তুতি নাও, তারপর প্রবাহের সঙ্গে চলো।

২১. অদ্ভুত হও এখনই – বয়সের অপেক্ষা করো না।

২২. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 'মন' – সেখানেই সব শুরু।

২৩. তোমার সুখের দায়িত্ব একমাত্র তোমার।

২৪. প্রতিটা বিপর্যয়কে ভেবো – “৫ বছর পর এটা কি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে?”

২৫. সবসময় জীবনকেই বেছে নাও।

২৬. ক্ষমা করো, তবে ভুলে যেও না।

২৭. অন্যরা তোমার সম্পর্কে কী ভাবে, সেটা তাদের ব্যাপার – তোমার নয়।

২৮. সময় অনেক কিছু সারিয়ে তোলে – সময়কে সময় দাও।

২৯. ভালো বা খারাপ – সব পরিস্থিতিই বদলাবে।

৩০. নিজেকে খুব বেশি গুরুত্ব দিও না – কেউ দেয় না।

৩১. অলৌকিকতার উপর বিশ্বাস রাখো।

৩২. জীবন হিসাব করে কাটিও না – প্রতিটা মুহূর্তে উপস্থিত থেকো।

৩৩. বেঁচে থেকে বার্ধক্যে পৌঁছানোই সৌভাগ্য।

৩৪. তোমার সন্তানের শৈশব একটাই – সেটা উপভোগ করো।

৩৫. জীবনের শেষে আসলে একটাই ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ – তুমি কতটা ভালোবেসেছিলে।

৩৬. প্রতিদিন বাইরে যাও – অলৌকিকতা চারদিকে ছড়িয়ে আছে।

৩৭. যদি সবাই তার সমস্যাগুলো এক জায়গায় রাখে, তাহলে তুমি তোমারটাই ফেরত নিতে চাইবে।

৩৮. হিংসা করে সময় নষ্ট করো না – যা আছে তাইকে গ্রহণ করো।

৩৯. সামনে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

৪০. যেমনই মনে হোক, উঠে দাঁড়াও, সাজো, এবং উপস্থিত থেকো।

৪১. কখনো কখনো পথ ছেড়ে দিতে জানতে হয়।

৪২. জীবন উপহারের মতো মোড়ানো না হলেও, এটা এখনো এক অনন্য উপহার।


এই উপদেশগুলো জীবনের পথে বারবার আলো দেখাবে – যতবার পড়বে, ততবার নতুন কিছু শিখবে।


join👉 আয়নামহল

হার্ট ব্লকেজ, কী? কারণ? সমাধানঃ হার্ট এর ওজন প্রায় 300 গ্রাম। 

 হার্ট ব্লকেজ, কী? কারণ? সমাধানঃ

হার্ট এর ওজন প্রায় 300 গ্রাম। 

✅ হার্টের কাজঃ

পুরো শরীরে ব্লাড পাম্প করা। হার্ট ১ মিনিটে প্রায় ৭২ বার পাম্প করে।

হার্ট, প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ বার পাম্প করে থাকে।

হার্ট একবার পাম্প করলো মানে পুরো বডি তে ব্লাড পৌঁছে গেলো।

✅ হার্ট এর অসুখ কী :

হার্ট এর অসুখ মানে আর্টারি তে চর্বি জমে যাওয়া, কোলেষ্টেরোল জমে যাওয়া, ফ্যাট জমে  যাওয়া।

এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ধীরে ধীরে হার্ট এর ব্লাড সাপ্লাই ক্ষমতা কমে যায়।

এটাকেই বলা হয় হার্টের অসুখ।

বর্তমানে হার্টের অসুখ টি বিশ্বের সব চেয়ে বড় অসুখ।

যেদিন হার্টের ব্লাড সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে সেদিন  হার্ট টাও বন্ধ হয়ে যাবে, মানে হার্ট এট্যাক হয়ে যাবে।

হার্ট এর আর্টারি গুলো 3-4 mm মোটা হয়।

✅ হার্ট এ ব্লকেজ হতে কত সময় লাগে?

বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে হার্ট ব্লকেজ তৈরী হয়।

মানুষ জন্মের পর পর ই ব্লকেজ তৈরী শুরু হয় না।

18-20 বছর বয়স থেকে এই ব্লকেজ তৈরী হতে শুরু করে।

70%, 80%, 90% ব্লকেজ তৈরী হতে কম করে 30-40 বছর সময় লাগে।

50% ব্লকেজ হয়ে গেলেও মানুষ কোনো কষ্ট অনুভব করে না।

কারণ ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য আরও 50% বাকি থাকে।

✅ ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য হার্ট এর প্রয়োজন 10%, 20%, 30% জায়গা।

10% প্রয়োজন যখন মানুষ বসে থাকে।

20% প্রয়োজন যখন হাঁটা চলা করে।

30% প্রয়োজন যখন মানুষ দৌড়ায়।

যেদিন মানুষের ব্লকেজ 70% এর বেশি হয়ে যায় সেদিন থেকে মানুষ হার্ট এর সমস্যা অনুভব করতে থাকে। সেদিন থেকে কষ্ট শুরু হয়ে যায়।

✅ যদি দৌড়ালে বুকে ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 70% ক্রস করেছে।

যদি হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা হয় তাহলে বুঝতে হবে ব্লকেজ 80%।

যদি সামান্য 10 ধাপ হাঁটলেই ব্যাথা হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 90%।

✅ এখানে বোঝা গেলো হার্ট এর পেশেন্ট 70% ব্লকেজ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমস্যা সাধারণত বুঝতে পারে না।

✅ হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা হলে এই পর্যায়কে বলা হয় "এনজাইনা।"

2%/year ব্লকেজ তৈরী হতে শুরু করে 20 বছর বয়সের পর থেকে।

*** লেখাটা পড়ে হার্ট এর অসুখ সম্পর্কে বুঝতে সময় লাগলো মাত্র কয়েক মিনিট, কিন্তু আপনি যদি কোন হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক যান তাহলে উনারা আপনাকে এতো বিস্তারিত বোঝাবে না, শুধু বলবে আপনার "করোনারী আর্টারি ডিজিজ "এ আক্রান্ত।

✅ আধুনিক উপায়ে ব্লকেজ পরীক্ষা, যেটা ও সঠিক নয়ঃ

আধুনিক যুগের ক্যার্ডিওলোজিস্ট রা ব্লকেজ এর পার্সেন্টেজ বোঝার জন্য তার ঢুকিয়ে এনজিওগ্রাফি করেন, যেটাতে রেজাল্ট আসে রাউন্ড ফিগার যেমন 70%, 80%, 90%।

আমাদের মতে যেটা সঠিক নয়। কারণ সঠিক হলে রাউন্ড ফিগার না হয়ে হতো 70.25%, 80.03%, 90.৮১%।

✅ হার্ট এট্যাক মানে কি?

70% ব্লকেজ এর পর ধীরে ধীরে ব্লকেজ বাড়তে থাকে। এই ব্লকেজ এর উপর একটা পর্দা থাকে এবং ব্লকেজ বাড়ার সাথে সাথে পর্দাটির উপরেও চাপ তৈরী হতে থাকে।

এই চাপ বাড়তে বাড়তে একদিন হঠাৎ পর্দাটা ছিঁড়ে যায়।

পর্দা ছিঁড়ার সাথে সাথে পর্দার নিচে থাকা কেমিক্যাল রক্তে গিয়ে মিশে যার ফলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়।

রক্ত জমাট বেঁধে গেলে এটাকে বলা হয় "ক্লট"।

এটি আর্টারির রাস্তা পুরো পুরি ব্লক করে দেয়। ব্লক 100% হয়ে যায়, হার্ট এ রক্ত পৌঁছতে পারে না তখন এটাকেই বলা হয় "হার্ট অ্যাটাক"।

................................................

✅ হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়ঃ

ব্লকেজ 70%, 80%, 90% হয়ে গেলেও চেষ্টা করতে হবে ব্লকেজকে রুখে দেয়া।

ব্লকেজ না বাড়লে পর্দাটা ছিঁড়বে না, হার্ট অ্যাটাকও হবে না।

আরও ভালো হয় পর্দার নিচে জমে থাকা কিছু চর্বি যদি ধীরে ধীরে বের করে দেয়া যায়। সেজন্য নিয়মিত কমকরে হলেও ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। চর্বি জাতীয় খাদ্য বর্জন করতে হবে, ভাত, রুটি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে।

শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

✅ বুকে ব্যাথা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

সংকলিত....

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...