এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

সফল হওয়ার উপায় এই ২১ "না" কে প্রাধান্য দিন

 ১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।


২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথাগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।


৩. কারো কাছে নিজের সিক্রেট শেয়ার করবেন না বা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।


৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।


৫. পর্ণে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।


৫. পরচর্চা করবেন না। যে ব্যক্তি আপনার সামনে অন্যের নিন্দা করে, সে নিশ্চিতভাবে অন্যের সামনে আপনার নিন্দা করে।


৬. গাধার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। তর্কের শুরুতেই গাধা আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে, তারপর আপনাকে সবার সামনে অপদস্থ করবে।


৭. পরে করব ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি তা করেন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা কাজটি আপনি আর কখনোই করতে পারবেন না।


৮. 'না' বলতে ভয় পাবেন না।


৯. স্ত্রীর কারণে বাবা-মাকে বা বাবা মায়ের কারণে স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না।


১০. সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব হারাবেন।


১১. ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই জীবনে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে ভয় পাবেন না।


১২. স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। গুগলে জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না।


১৩. মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবন পস্তাতে পারেন।


১৩. রিলেশনসিপে অসুখী হলে সেটা আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করে তা জীবন থেকে দ্রুত মুছে ফেলুন।


১৪. আপনি কখনোই জানেন না যে আপনি স্বপ্নপূরণের ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই, কখনোই লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য লাভের কাছাকাছি গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।


১৫. অকারণে শত্রু বাড়াবেন না।


১৬. কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না।


১৭. বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। তার সাথে আপনার বিয়ে হবেই বা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করবে না এটা আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না।


১৮. যে আপনার কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়, তাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। সে ঠকবে, ভুল করবে, ধাক্কা খাবে; তারপর একসময় ঠিকই আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।


১৯. নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন না। যেখানে আপনার সম্মান নেই সেখান থেকে এখনই নিজেকে গুটিয়ে নিন।


২০. টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে প্রিয়জনদের বঞ্চিত করবেন না।


২১. যেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আফসোস করবেন না।

ঈশপের গল্প’" গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে  আছে।  কিন্তু কে ছিলেন এই Aesop? কী        করে এই গল্পগুলো তৈরি হয়েছিল? 

 "ঈশপের গল্প’" গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে 

আছে।  কিন্তু কে ছিলেন এই Aesop? কী 

      করে এই গল্পগুলো তৈরি হয়েছিল? 

      এই প্রশ্নগুলো আমাদের অনেকের 

      মধ্যে ঘোরাফেরা করে বহুদিন ধরে। 


আর অদ্ভুত কথা, যার তৈরি করা গল্পগুলো কয়েক হাজার বছর ধরে জীবিত রয়েছে, তার স্রষ্টার সম্পর্কে খুবই কম জানা যায়। অনেকটাই ধোঁয়াশায় ভরা। মনে করা হয়, খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৬২০ থেকে ৫৬০-এর মধ্যে বর্তমান ছিলেন ঈশপ। বর্তমান তুর্কির কাছাকাছি কোনো একটা অঞ্চলে জন্মেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে যখন ঈশপের জনপ্রিয়তা কিংবদন্তির আকার নিল, তখন অন্যান্য জায়গা থেকেও একই দাবি জানানো হল। কখনও আফ্রিকা, কখনও আবার জাপান, ইংল্যান্ড— সবাই চায় তাঁর জন্মস্থানের ভাগীদার হতে। তবে আদতে সেটি ঠিক কোথায়, তা নিয়ে অবশ্য আজও গবেষণা জারি আছে। 


হেরোডোটাস, অ্যারিস্টটলের মতো প্রাচীন দার্শনিক ও ঐতিহাসিকদের লেখা থেকে জানা যায়, ঈশপ আদতে ক্রীতদাস ছিলেন। আর সেই সময় ক্রীতদাসদের জীবন ঠিক কেমন ছিল, সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে রাখা দরকার, তখনও গ্রিস আর রোমের সভ্যতা অস্ত যায়নি। জ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস চর্চার মাঝে এমন অদ্ভুত রীতিও জারি ছিল। আর তারই দাস ছিলেন ঈশপ। কিন্তু কোথায় বলে না, জীবন সবাইকেই কিছু না কিছু সুযোগ দেয়। আর সঙ্গে দেয় প্রতিভাও। দ্বিতীয় বিষয়টি ঈশপের মধ্যে ভরপুর ছিল। তাঁর সহজাত বুদ্ধি, হাস্যরস, বিচক্ষণতার ঝলক প্রায়শই দেখা যেত। প্রকৃতির মাঝে বসে সেখান থেকেই গল্পের রসদ খুঁজে পেতেন। আর ছিল মানুষ। এই সবকিছু মিলেই তৈরি হত জাদু। তৈরি হত ঈশপের গল্প। 


কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ না দিলে যা হয়। ক্রীতদাসের জীবন থেকে এত সহজে তো মুক্তি মিলছে না। এদিকে দেখতেও খুব একটা ভালো নন তিনি। তাঁর চেহারা দেখে আর গলার আওয়াজ শুনে বাকি লোকেরা ঠাট্টা-তামাশাও করত। সেইসঙ্গে ছিল মালিকরা। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, নিজের জীবনে মোট দুজনের দাসত্ব করেছিলেন ঈশপ। প্রথম মনিবের কাছ থেকে অবহেলাই জুটেছে। কিন্তু দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা তেমনটা নয়। ঈশপের বুদ্ধি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তাঁর দ্বিতীয় মনিব। এবং তারপরই তিনি দাসত্ব থেকে মুক্তি দিলেন তাঁকে। মুক্ত হলেন ঈশপ, একটা অন্য জগত যেন খুলে গেল তাঁর সামনে… 


নিজের জীবনকালে নানা জনের কাছে গল্প বলে বেরিয়েছেন ঈশপ। তাঁর বলার ধরণ এবং গল্পের জন্য অচিরেই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ল নাম। সাধারণ সব গল্প, কিন্তু সেই সহজতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে জীবনের মানে। গ্রিস, রোমের রাস্তায় রাস্তায় ঈশপের গল্প ছড়িয়ে পড়ল। শোনা যায়, বন্দি অবস্থায় কারাগারের ভেতর বসে সক্রেটিস নাকি ঈশপের কিছু গল্পই লিখে রাখার কাজ করেছিলেন। কিন্তু ঈশপের জীবনকালে কখনও লিপিবদ্ধ করা হয়নি এই কাহিনিগুলো। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে ডেমেত্রিয়াস প্রথমবার ঈশপের গল্পগুলিকে একসঙ্গে করে সংকলন বের করেন। তখনই প্রথমবার লিখিত আকারে পাওয়া গেল এই কাহিনি। বাকিটা তো এক কিংবদন্তির যাত্রা। আমাদের জীবনের সঙ্গে যা জড়িয়ে গেছে ওতপ্রোতভাবে।                                                                                                              সুত্র… ডিড ইউ নো?



টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং আসলেই জিনিয়াস,,,,,,, ফাপরবাজ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টিকটকে কন্টেন্ট বানিয়ে রাতারাতি অনেকেই বনে গেছেন জিরো থেকে হিরো, পেয়েছেন সেলিব্রিটি তকমা। তবে টিকটকের আসল হিরোর গল্পটা সবসময়ই রয়ে গেছে অজানা। মাত্র ৪০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানির সিইও বনে যাওয়া সেই জিনিয়াসের নাম ঝ্যাং ইমিং।


১৯৮৩ সালের পহেলা এপ্রিল চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে জন্ম নেয় বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ঝ্যাং ইমিং। তার বাবা-মা দু'জনেই ছিল সিভিল সার্ভেন্ট। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে বিজ্ঞানের নানা চমকপ্রদ আবিস্কারের প্রতি তার আগ্রহ গড়ে ওঠে। সেই আগ্রহ থেকেই ২০০১ সালে নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন ঝ্যাং।


ছোটবেলা থেকেই টেকনোলজির প্রতি ঝোক থাকায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই ঝ্যাং তার ব্যাচমেটদের চেয়ে অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। ফলে প্রফেসর ও স্টুডেন্টের মাঝে তার আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল। এই জনপ্রিয়তার কারণে ইউনিভার্সিটি লাইফেই ঝ্যাং তার জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পান।


২০০৫ সালে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিটের এক বছর পর ঝ্যাং ‘কুসুন’ নামের একটি ট্রাভেল কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। তিন বছর পর ২০০৮ সালে ঝ্যাং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে জয়েন করেন। তবে সেখানকার ধরাবাঁধা অফিস-লাইফে মন না বসায়, তিনি মাইক্রোসফট ছেড়ে একটি মাইক্রো-বগ্লিং কোম্পানিতে যোগ দেন। তবে মার্কেট ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এক বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ঝ্যাং জবলেস হয়ে পড়েন।


মাইক্রোসফটে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছেড়ে এমন অবস্থায় এসে অন্য কেউ যেখানে হাল ছেড়ে দিত, ঝ্যাং সেখানে নিজেই একটি বিজনেস খুলে বসেন। শুরু হয় স্বপ্নবাজ ঝ্যাং ইমিংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তিনি 99fang নামে একটি রিয়েল স্টেট সার্চিং সাইট খুলেন, যেটি ছয় মাসের মধ্যেই দেড় মিলিয়নের বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করে।


তবে নিজের পরিচয় বানানোর জন্য যে লোকটি মাইক্রোসফটের জব ছেড়েছিলেন, এটুকুতেই কি তিনি থেমে থাকতে পারেন? মোটেও না। ঝ্যাং আবারও নতুনভাবে চিন্তা শুরু করেন। ২০১২ সালে 99fang এর সিইও পোস্ট ছেড়ে তিনি নতুন এক কোম্পানি খুলেন, যেটির নাম দেন বাইটড্যান্স।


প্রথমদিকে ফান্ডের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানের দারস্থ হয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর একটি প্রতিষ্ঠান ঝ্যাংয়ের উদ্যোগে সাড়া দেয়। ৪০ জন কর্মী নিয়ে একটি ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া করে শুরু হয় ঝ্যাং ইমিংয়ের স্বপ্নজয়ের যাত্রা। ২০১২ সালে নিজেদের প্রথম অ্যাপ ‘নেহান ডুয়ানজি’ লঞ্চ করে বাইটড্যান্স। এটি ছিল মূলত একটি মিমস ও জোকসের অ্যাপ।


অ্যাপটি অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন্ডে চলে আসে। অ্যাপটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, কিছু ত্রুটির কারণে চীনা সরকার অ্যাপটি ব্যান করে দিলে, সাত শতাধিক ব্যবহারকারী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। বাইটড্যান্সের উদ্যোগেই ২০১৫ সালে লঞ্চ করা হয় ‘ডোউইন’ যেটি বর্তমানে টিকটক নামে সবার কাছে পরিচিত।


টিকটক যখন লঞ্চ করা হয় তখন মার্কেটে এর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিল আরেক চীনা অ্যাপ ‘মিউজিক.লি’। এক বছরের মধ্যে ঝ্যাং ইমিংয়ের বাইটড্যান্স ‘মিউজিক.লি’ অ্যাপটি ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয় এবং এর সব সাবস্ক্রাইবকে টিকটকে এড করে নেয়। তারপর চীনের সীমানা পেরিয়ে টিকটক বিশ্বের ১৫৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।


২০২১ সালে ঝ্যাং বাইটড্যান্স তথা টিকটকের সিইও পদ ছাড়লে কোম্পানির ৫০ শতাংশ মালিকানা তার দখলে রয়েছে।২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, ৪৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে চীনের ধনী ব্যক্তিদের শীর্ষে রয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই লিভিং জিনিয়াস।


বই পড়ার সুন্দর দুটা পদ্ধতি আছে,,,,,, নন্দিত আরাধনা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বই পড়ার সুন্দর দুটা পদ্ধতি আছে।  প্রথমটি হল সাথে একটা নোট খাতা রাখা এবং দ্বিতীয়টি হল শুধু মাত্র রিডিং না পড়ে  প্রত্যেকটি লাইনে লাইনে লেখকের সাথে যুক্তি তর্ক করে যাবেন। 


প্রথম পদ্ধতিটা আমি শিখেছি লেখক আহমদ ছফা'র কাছ থেকে। ছাত্রাবস্থায় তিনি  অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে রোজ একটি করে বই নিয়ে পুরো বইএর সারমর্ম একটা নোট খাতায় নিজের মত করে লিখে রাখতেন। 


এই নোট করে রাখার প্র্যাকটিসটা হুমায়ূন আহমেদের ভেতরেও পেয়েছি যদিও তার  স্মৃতি শক্তি অনেক প্রখর ছিল।  জীবনের শেষের দিকে এসে  স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শৈশবের সাত বছর বয়সে লুকিয়ে প্রথম বই পড়ার কথা লিখতে গিয়ে তিনি সেই বইএর ভেতরের গল্পটাও লিখে ফেলেছেন ! 


বই পড়ার দ্বিতীয় পদ্ধতিটা আমি শিখেছি, ভারতীয় যুক্তিবাদী লেখক প্রবীর ঘোষের কাছ থেকে। তিনি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, আপনি যদি লেখক যাই লিখেন কোন রকমের চিন্তা ভাবনা না করে সবই বিশ্বাস করতে শুরু করেন তাহলে তার দশটা সত্য কথার সাথে দু একটা মিথ্যা কথাকেও বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। এই দুটা মিথ্যা কথা আপনার জীবনে অনেক ভয়ংকর হবে ! কেননা দশটা সত্য কথার সাথে একটা মিত্থা কথা মিশে গেলে সেটাকে আলাদা করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।  


খাতায় নোট করবার ব্যাপারে আমি বেশ কিপটে। খুব সামান্যই লিখে রাখি।  কিন্তু বিশ্বাস করুন, যখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি এই নোট খাতাটা খুলে পড়তে শুরু করি এবং যেখান থেকে আমি দৌড়ানোটা থামিয়েছিলাম সেখান থেকেই আবার দৌড়াতে শুরু করি।  


এ পি জে আবদুল কালামের ' টার্নিং পয়েন্টস' পুরো গ্রন্থটা পড়ে আমি শুধু মাত্র সেখান থেকে একটা লাইন আমার নোট খাতায় টুকে রেখেছি। আমি জানি যেদিন আমি মেঝেতে চিত হয়ে মাথার নিচে হাত দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে থাকব সেদিন এই লাইনটাই আমাকে মায়ের মত পিঠ চাপড়ে ভরসা দেবে। লাইনটা হল-'' আমি পেশা হিসেবে গবেষণা এবং শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছি কেননা আমি পুনরাবৃত্তি ভালোবাসি'' 


কিছু কিছু শব্দ আছে নিঃশব্দের মত। আমার কাছে পুনরাবৃত্তি শব্দটাকে সেরকম মনে হয়েছে। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সফল হইনা কেননা আমরা পুনরাবৃত্তি পছন্দ করি না। একটা কাজে বাঁধা পেলে সেটা বার বার পুনরাবৃত্তি করার ধৈর্যটা আমাদের থাকে না। 


আইরিশ লেখক জর্জ বার্নার্ডশ তার একটা নাটকের সংলাপে লিখেছেন '' আমি যেদিন থেকে বুঝেছি কোন একটা কাজ দশবার করার পর আমি একবার সফল হই সেদিন থেকে আমি প্রত্যেকটি কাজ দশবার করে করা শুরু করেছি''


এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ (জীবনানন্দ দাশের সহধর্মিণী লাবণ্য দেবীকে নিয়ে লিখেছেন লেখিকা কবিতা সিংহ) 

 এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ (জীবনানন্দ দাশের সহধর্মিণী লাবণ্য দেবীকে নিয়ে লিখেছেন লেখিকা কবিতা সিংহ) 


লম্বা ছিপছিপে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ একটি মেয়ে। মুখের গড়ন লম্বা ধাঁচের। উজ্জ্বল চোখ, তীক্ষ্ণ নাক, পাতলা ঠোঁট। বয়স সতেরো আঠারো। ঢাকায় হস্টেলে থেকে পড়ত।

নাম লাবণ্য। ছোটবেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছে। মানুষ হয়েছে জ্যাঠামশাই-এর কাছে।


তখনকার কালের ঢাকার কলেজের মেয়ে যেমন হত, ঠিক তেমন। বিপ্লবী দলের সঙ্গে গোপন সংযোগ, শরীরচর্চা, আবার নাচ গান অভিনয়ে ঝোঁক। মা-বাপ নেই বলে খুব স্পর্শকাতর—সেই লাবণ্যকে হঠাৎ একদিন জ্যাঠামশাই বাড়িতে ডেকে নিয়ে এলেন।

হস্টেল থেকে বাড়িতে আসতে এক মাঠ কাদা ভাঙতে হয়। পরনে নকশাপাড় তাঁতের সাধারণ শাড়ি। আসতেই জ্যাঠামশাই বললেন, বাড়িতে অতিথি এসেছেন চা জলখাবার এনে দাও। সেই কাদামাখানো শাড়ি পরেই লাবণ্য লুচি মিষ্টি চা নিয়ে এলেন বাইরের

ঘরে। অতিথির সংখ্যা মাত্র একজন। শ্যামবর্ণ, অতিসাধারণ ধুতি-পাঞ্জাবি পরা নতমুখী

একটি আটাশ-ঊনত্রিশ বছরের যুবক।

জ্যাঠামশাই পরিচয় করিয়ে দিলেন।


—ইনি দিল্লি থেকে এসেছেন। ওখানকার রামযশ কলেজে পড়ান। ইংরেজির অধ্যাপক।

আর এ আমার ভাইঝি লাবণ্য।


জীবনানন্দ দাশ চোখ তুলে নমস্কার করলেন।


সেদিন দুপুরে জ্যাঠামশাই লাবণ্যকে বললেন দিল্লি থেকে যে ছেলেটি এসেছিলেন,

তিনি তাঁকে দেখতেই এসেছিলেন। এবং যাবার সময় মনোনীত করে গেছেন। লাবণ্যের

কিন্তু তখন বিয়ে করতে একটুও ইচ্ছে নেই। সে সময়ে কারই বা থাকে। বিশেষ করে

সবে তখন কলেজে ঢুকেছে, সবে মুক্তির স্বাদ, সবে রাজনীতির রহস্যময় আস্বাদ—তখন

সব এত নতুন এত বৈচিত্র্যময়...জ্যাঠামশাই লাবণ্যকে জীবনের বাস্তব দিকগুলির কথাও

ভাবতে বললেন সেদিন। বাবা নেই, মা নেই। কেবল তিনিই সম্বল। আর জীবনানন্দ

কথা দিয়েছিলেন বিয়ের পরও লাবণ্য পড়বেন। তাছাড়া যখন জ্যাঠামশাই বলছিলেন—

‘মেয়েটা মা-বাপ মরা, একটু জেদি একটু আদুরে, ওকে তুমি ভালো করে দেখো'—

তখন ছেলেটির শান্তচোখে একটা আশ্বাসের ছায়া তিনি স্পষ্ট দেখেছেন। বিশেষ করে ছেলেটির শান্ত প্রকৃতিটিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল।


লাবণ্য মত দিলেন।


সে বছরটা ১৯৩০ সাল।


সে সময়টা বৈশাখ।


সেদিন সন্ধ্যায় তাড়াহুড়ো করে বরিশালে বাড়ি, দিল্লির ছেলেটি ঢাকার এক শাড়ির

দোকানে ঢুকে জীবনে প্রথম একটি শাড়ি কিনল। আশীর্বাদের শাড়ি। সন্ধ্যায় আশীর্বাদ

হল। লাবণ্য হিন্দু কুলীন বাড়ির মেয়ে। মানুষ গিরিডিতে। তাঁর বিশেষ হিদুয়ানির সংস্কার

ছিল না। জ্যাঠামশাই ব্রাহ্মা ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের মর্যাদা দিতেন বলেই তিনি লাবণ্যকে

জিজ্ঞেস করে নিলেন, বিয়ে কোন মতে হবে। ব্রাহ্ম বিবাহে লাবণ্যের আপত্তি হয় নি।


বিয়ের সময়ে জীবনানন্দর সঙ্গে এসেছিলেন বুদ্ধদেব বসু আর অজিত দত্ত। বিয়ের

অনেক রমণীয় স্মৃতির সঙ্গে স্বামীর একটি বন্ধুর স্মৃতিও কেন যেন গেঁথে গিয়েছিল তাঁর

মনে। বুদ্ধদেব ছোটখাট বুদ্ধিদীপ্ত উজ্জ্বল একটি যুবা তখন। স্বামী পরিচয় করিয়ে দিয়ে

বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রত্ন, পণ্ডিত ব্যক্তি। কিন্তু লাবণ্যর চোখে সুন্দর লেগেছিল

তাঁর প্রাণচাঞ্চল্য, আকর্ষণীয় কথা বলার ভঙ্গি, সহজ সাবলীল আচরণ। লাবণ্য দাশ

বললেন,—“সাধারণত ওঁর বন্ধুদের সামনে খুব একটা বেরোতাম না। কিন্তু বিয়ের দিনটি

থেকেই বুদ্ধদেববাবুকে আমি আমার স্বামীর বন্ধু, আমাদের বড় সুহৃদ বলে জেনেছি।

তিনি এলেই তাঁর কাছে এসে বসেছি। তাঁর পাণ্ডিত্য, কবিপ্রতিভা নামযশ কিছুই আমাদের

আর তাঁর মধ্যে কোনও আড়াল সৃষ্টি করেনি। বিয়ের দিনে দেখা সেই বুদ্ধিদীপ্ত মানুষটি—

আমার তরুণ স্বামীর তরুণ সঙ্গীটি আমার কাছে ওইভাবেই মুদ্রিত হয়ে গেছেন।”


বিয়ের পরে বরিশালে গেলেন বরবধূ। মস্ত সংসার। অনেকখানি ছড়ানো মেলা জায়গা

নিয়ে বড় বড় ঘর। কিন্তু মাটির ভিত। খড়ের আস্তর। শহর থেকে গিয়ে লাবণ্যর খানিকটা

অবাক লেগেছিল। ঢুকতেই ইতস্তত করছিলেন ঘরে। পরে সেই বড় বড় ঠান্ডা ঠান্ডা ঘর, আম, জাম, বট অশথের হিজলের ছড়ানো বড় বড় বাগান পুকুরের স্নিগ্ধতা লাবণ্য অনুভব করেছিলেন।

পঁচাত্তর হাজার বছরের লুকানো ইতিহাস !! বৃত্তের বাহিরে ফেইসবুক থেকে নেওয়া!

 পঁচাত্তর হাজার বছরের লুকানো ইতিহাস !!!


মেক্সিকোর  পুরনো  মায়া সভ্যতার সমাধিফলকে অদ্ভুত এক চিত্র পাওয়া গেছে। 

একজন মানুষ  কিছু চালানোর চেষ্টা করেছেন !!


 মানুষটি একটি  কম্পিউটারের কমান্ড প্যানেলের দিকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন বলে মনে হয়, আর বাহনের পিছনের অংশ থেকে অগ্নিশিখার মতো কিছু নির্গত হচ্ছে।  


ছবিতে আরও বিস্ময়কর , একটি  শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্য মাস্ক , গ্রেনেডের এর মতো বাহ্যিক কাঠামো সহ আধুনিক মহাকাশযান ।


সুইসজারল‍্যন্ড এর লেখক  এরিচ ভন ডেনিকেন তিনি তার ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত বই “মেমোরিজ অফ দ্য ফিউচার”।

তার মতে, প্রাচীন মানুষের কাছে  একসময় উচ্চ প্রযুক্তি ছিল, যা পরবর্তীতে হারিয়ে গেছে।  


তাহলে প্রশ্ন হলো—প্রাচীনকালে কি মানুষ উড়তে সক্ষম ছিল?  


আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: হোমো রিলোডের  “৭৫,০০০ বছরের গোপন ইতিহাস”

তিনি ছিলেন বিলাসী জমিদার। বড় ভাই ও বাবার মৃত্যুর পর অল্প বয়সেই ৬ লাখ বিঘা জমির বিশাল এলাকার জমিদারির দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তাঁর উপর

 তিনি ছিলেন বিলাসী জমিদার। বড় ভাই ও বাবার মৃত্যুর পর অল্প বয়সেই ৬ লাখ বিঘা জমির বিশাল এলাকার জমিদারির দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তাঁর উপর। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে এত ভূসম্পত্তির মালিক হয়ে চরম ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে পড়েন তিনি। নারীর প্রতি ছিল প্রবল টান। নিজেই লিখেন, “সর্বলোকে বলে হাছন রাজা লম্পটিয়া”।   একদিন চোখে পড়ল দিলারাম নামের সুন্দরী এক হিন্দু যুবতী। রূপে মুগ্ধ হয়ে বিলিয়ে দিলেন নিজের গলার সোনার চেইন। সুদর্শন জমিদারের অমূল্য উপহার পেয়ে দিলারামও তাঁকে হৃদয় বেদিতে পূজার আসনে বসালেন। প্রেমে মজে হাছন রাজা লিখলেন, 


'ধর দিলারাম, ধর দিলারাম, ধর দিলারাম, ধর। 

হাছন রাজারে বান্ধিয়া রাখ, দিলারাম তোর ঘর!'


কিন্তু পারিবারিক আভিজাত্য ও বংশগৌরবের কথা ভেবে যুবক জমিদারের মা দিলারামকে গ্রামছাড়া করলেন। 

মায়ের উপর রাগ করে হাছন রাজা নারী আসক্তি আরও বাড়িয়ে দেন। বাইজি আর আকণ্ঠ শরাবে ডুবে গেলেন। প্রতি বর্ষায় নৌকার বহর নিয়ে চলে যেতেন হাওরে। থাকতো নাচ-গানের ব্যবস্থা। এরপর লখনৌ থেকে আসা সুন্দরী বাইজি পিয়ারির প্রেমে পড়েন। পিয়ারির রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেন, 

'নেশা লাগিল রে। বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে। হাছন রাজা পিয়ারির প্রেমে মজিলোরে...'


আর এভাবেই প্রজাদের কাছ থেকে দূরে সরে যান হাছন। পরিচিত হয়ে ওঠেন অ/ত্যাচারী নি/ষ্ঠুর জমিদার হিসেবে।

মা দেখলেন, ছেলে যেভাবে এগোচ্ছে, পতন অনিবার্য। ছেলেকে বিকৃত পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে একদিন বাইজির ছদ্মবেশে মা নিজেই ছেলের জলসা ঘরে গিয়ে হাজির হলেন। মায়ের পায়ে পড়লেন জমিদার হাছন। লজ্জায় ও মনোকষ্টে নারী ও নেশার পথ থেকে অনেকটাই ফিরে আসেন।এরপর আধ্যাত্নিক এক স্বপ্ন-দর্শন জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। শুধরাতে শুরু করলেন ভুল-ত্রুটি। সাধারণ হয়ে ওঠে পোশাক-আশাক ও চলাফেরা। প্রজাদের খোঁজ খবর নিতে থাকেন। মগ্ন হলেন সৃষ্টিকর্তার প্রেমে। রচনা করেন একের পর এক কালোত্তীর্ণ গানঃ 


‘লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নায় আমার’, 'কানাই তুমি খেল খেলাও কেনে', 'মাটিরো পিঞ্জিরার মাঝে বন্ধী হইয়া রে', 'বাউলা কে বানাইলো রে', 'আগুন লাগাইয়া দিলো কনে', 'সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বাইনালে' সহ অসংখ্যা বিখ্যাত গান।  


ছেড়ে দেন জীব হ/ত্যাও। গানে প্রকাশ পেতে থাকে অতীতের ভুলগুলো। লিখেন, 'একদিন তোর হইবোরে মরণ'!

তাঁকে বৈরাগ্য পেয়ে বসে। বাউল হয়ে উদাসীন হয়ে যান বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে। সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে পুরোপুরি দরবেশ-জীবন যাপন শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন হাছন এম. ই. হাই স্কুল, অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আখড়া। 

হাছনকে বাউলা কে বানিয়েছে, সে কথা সরাসরি লিখে না গেলেও অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ির কথা বলেছেন তিনি। আসলে হাছন রাজা ছিলেন অতি সুদর্শন। লম্বা দেহ, সূচালো খাড়া নাক, জ্যোতির্ময় পিঙ্গলা চোখ এবং ঘন চুলের কারণে অনেকের মধ্যেই তাকে আলাদা করে চোখে পড়তো। তাঁর এই অপূর্ব দৈহিক গঠন চরম আকর্ষিত করতে নারীদের।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত (মহররম) কবিতা

 "কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত (মহররম) কবিতা 

"কবিতাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে কারবালার সমস্ত নির্মম ইতিহাস চোখের সামনে ভেসে উঠে।


"মহররম"

-- কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

--------------------------------------------

নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া - আম্মা লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া, কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে? সে কাঁদনে আসু আনে সিমারের ও ছোরাতে।

রুদ্র মাতম ওঠে দুনিয়া দামেস্কে - জয়নালে পরালো এ খুনিয়ারা বেশ কে? হায় হায় হোসাইন ওঠে রোল ঝঞ্ঝায়, তলোয়ার কেঁপে ওঠে এজিদের পাঞ্জায়

উন্ মাদ দুল দুল ছুটে ফেরে মদিনায় আলীজাদা হোসেনের দেখা হেথা যদি পায়।


মা ফাতিমা আসমানে কাঁদি খুলি কেশপাশ বেটাদের লাশ নিয়ে বধূদের শ্বেতবাস রণে যায় কাসিম ঐ দু'ঘড়ির নওশা মেহেদির রঙটুকু মুছে গেল সহসা !

‘হায় হায়’ কাঁদে বায় পূরবী ও দখিনা-‘কঙ্কণ পঁইচি খুলে ফেল সকীনা!’

কাঁদে কে রে কোলে ক’রে কাসিমের কাটা-শির ?

খান্ খান্ হয়ে ক্ষরে বুক-ফাটা নীর ! কেঁদে গেছে থামি’ হেথা মৃত্যু ও রুদ্র,বিশ্বের ব্যথা যেন বালিকা এ ক্ষুদ্র !


গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতিমা,“আম্মা গো পানি দাও ফেটে গেল ছাতি মা!” নিয়ে তৃষা সাহারার,দুনিয়ার হাহাকার, কারবালা-প্রান্তরে কাঁদে বাছা আহা কার ! দুই হাত কাটা তবু শের-নর আব্বাস,

পানি আনে মুখে, হাঁকে দুশ মনও ‘সাব্বাস' !

দ্রিম দ্রিম বাজে ঘন দুন্দুভি দামামা, হাঁকে বীর “শির দেগা,নেহি দেগা আমামা !


 কলিজা কাবাব সম ভূনে মরু রোদ্দুর খাঁ খাঁ করে কারবালা নাই পানি খজ্জুর মার স্তনে দুধ নাই বাচ্চারা তড়পায় জিভ চুষে কচি জান থাকে কিরে ধড়টায়

দাও দাও জ্বলে শিরে কারবালা ভাস্কর কাঁদে বানু পানি দেও মরে যাদু আসগর পেলনাতো পানি শিশু পেয়ে গেল কাঁচা খুন ডাকে মাতা পানি দেব ফিরে আয় বাছা শোন - পুত্র হীনা আর বিধবার কাঁদনে ছিড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাধনে।


তাম্বুতে সজ্জায় কাঁদে একা জয়নাল দাদা তেরি ঘর কিয়া বরবাদ পয়মাল ‘হাইদরী-হাঁক-হাঁকি দুলদুল-আসওয়ার শম শের চমকায় দুষমনে ত্রাস বার।

খ’সে পড়ে হাত হ’তে শত্রুর তরবার, ভাসে চোখে কিয়ামতে আল্লার দরবার! নিঃশেষ দুষমন ; ও কে রণ-শ্রান্ত ফোরাতের নীরে নেমে মুছে আঁখি-প্রান্ত ?

কোথা বাবা আসগর? শোকে বুক-ঝাঁঝরা পানি দেখে হোসেনের ফেটে যায় পাঁজরা !

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

গল্প :- চাহিদা  পর্ব :- ০১ Kabbo Ahammad ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ২৬ বছর বয়সী লিজা হোটেল রুমে বসে অপেক্ষা করছে তার দেবর ও তার পার্টনার শাওনের জন্য। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর আসলো শাওন।


--"কিরে তোর আসতে এতোক্ষন লাগে?(লিজা)


--"সরি ভাবি, বাইকের তেল শেষ হয়ে গেছিলো।(শাওন)


--"ওওও………

আচ্ছা নে তারাতারি শুরু কর। আজ বেশি সময় নাই। তোর ভাই বাসায় এসে না দেখলে সন্দেহ করবে।(লিজা)


--"আচ্ছা ঠিক আছে (শাওন)


--"শুন কাপর সব খুলবি না, এমনি কর। (লিজা)


--"ওকে ভাবি! (শাওন) 


--"ওকে, আচ্ছা এগুলো বলা বাদ দিয়ে তারাতারি শুরু কর। (লিজা)


কথাটা বলেই বিছানায় শুয়ে পরলো লিজা। আর সুতে সুতে লিজা আর বললো,


--"সিমা কোথায়?


--"বাইরে বসে আছে। 


অতঃপর লিজা এবং শাওন তাদের কাজ শুরু করলো। চলে গেলো পাপের দুনিয়ায়। নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে। প্রায় ১৫ মিনিট পর...


--"ঐ তোর হয়েছে?


--"হুমমম ভাবি।


--"আচ্ছা সর, ওঠ আমার ওপর থেকে।


--"আর একটু থাকো না প্লিজ ভাবি?


--"তোকে সুখ দিতে গিয়ে আমি আমার সংসার ভাঙ্গতে পারব না। সর। (একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো শাওনকে লিজা) তারপর নিজের কাপড় ঠিক করতে করতে লিজা বললো...


--"আমি গেলাম, আর শুন বার বার কল করবি না বলে দিলাম। তোর ভাইয়া মাঝে মাঝে ফোন হাতে নেয়। যদি ধরা পরি তাহলে আমাকে আর পাবি না।


--"না না ঠিক আছে ভাবি। আমি তোমাকে হারাতে পারবো না।


এই বলে লিজা নিজের বোরখা পরে রুম থেকে বেড়িয়ে সিমাকে ডেকে নিয়ে হোটেল ত্যাগ করে। লিজা বাইরে এসে একটা সিনজি ধরে বাসার দিকে রওনা হয় সিমাকে সাথে নিয়ে। 


আসলে সিমা হলো লিজার বাসার কাজের মেয়ে। যাকে লিজা নিজের বোনের মতো দেখে আর বিশ্বাস ও করে তাই ওকে সাথে নিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো পর পুরুষের সাথে নিজের চাহিদা মেটায় লিজা।


(এই সিমার আরও একটা চরিত্র আছে যেটা এই গল্প পরে আপনারা জানতে পারবেন)


এদিকে শাওন এখনো হোটেল রুমেই বসে আছে।

যেখানে এতোক্ষন নিজের চাহিদা মিটালো দুজনে।

শাওন বসে বসে ভাবছে লিজা ভাবির কিসের অভাব? টাকা? সম্পত্তি? স্বামির ভালোবাসা? ওর তো ৩ বছরের একটা মেয়েও আছে। আর আমার তো মনে হয় না সাদিক ভইয়া ওর কোন চাওয়াই আপর্ণ রেখেছে তাহলে কেন?


এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে শাওন তাকিয়ে দেখে ৩.৪৬ মিনিট। ওরে বাবারে রে বলে উঠে দাড়ায় শওন। আজ প্রাইভেট মিস হবে বলে মনে হয়। হোটেল থেকে বেড়িয়ে এসে বাইক নিয়ে চলে যায় শাওন। এদিকে প্রায় ১৫ মিনিট পর বাসার সামনে চলে আসে লিজা। তারপর সিনজি ভারা দিয়ে লিজা সিমাকে বললো।


--"কি রে সিমা তোর ভাইয়া আবার আসে নাই তো?


--"মনে হয় আসে নাই ভাবি। আসলে তো বাইরে গাড়ি থাকতো।


--"হুম আচ্ছা তারাতারি চল।


অতঃপর লিজা বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেস হয়ে সোফায় বসে টিভি দেখছে। এমন সময় শিপন এর ফোন। লিজা প্রথমে ধরলো না। কিন্তু শিপন ও নাচর বান্দা ফোন দিয়েই যাচ্ছে। অতঃপর কলটা রিসিভ করলো লিজা।


--"কি বলবি তারাতারি বল (লিজা)


--"কলটা ধরতে এতো দেরি হলো কেন ভাবি? জানতে পারি?


--"আমি কি তোর বউ যে তোকে সব বলতে হবে? আজাইরা পেচাল বাদ দিয়ে কেন কল করেছিস সেটা বল।


--"কাল একটু দেখা করতে পারবে?


--"না কাল হবে নাহ।


--"কেন?


--"আমার সমস্যা আছে। আর মনে রাখিস আমি কোন পতিতা না যে তুই ডাকলি আর আমি চলে আসবো। আমার সংসার আছে। সব কিছু মেইনটেন করে চলতে হয় আমার।


--"তো কবে দেখা করবে?


--দেখি………………টুটু কলটা কেটে দিলো লিজা।


তারপর সিমাকে এক কাপ চা দিয়ে যেতে বলে আবারো টিভি দেখায় মনো্যোগ দিলো লিজা। তারপর সামিরাকে কোলে নিয়ে। (অহ্ সামিরা হচ্ছে লিজার মেয়ে)সিরিয়াল দেখছে, লিজার পছন্দের সিরিয়াল বলে কথা।


--"এই নিন ভাবি চা।


--"হুমমম, তোর কাজ শেষ? (হাত বাড়িয়ে চা নিয়ে বললো লিজা)


--"হুমমম ভাবি।


--"আচ্ছা তো বস এখানে টিভি দেখি।


--"হুমমম ভাবি..

বলেই ফ্লোরে বসে পড়লো সিমা।


--"আরে সোফায় বস না। এখন কি তোর ভাইয়া আছে।


তারপর সোফায় বসতে বসতে সিমা বললো।


--"কেমনে আপনি একসাথে দুইজনকে সামাল দেন ভাবি? শাওন শিপন দুজন প্রেমিক বলেই একটা শ্বাস ছাড়লো সিমা।


তারপর লিজা একটা হাসি দিয়ে বললো।

--"দুই জন কোথায় রে, তিন জন, তোর ভাইয়া আছে না?


--"হুমমমমমম, (বলেই একটা আবারো দীর্ঘগশ্বাস ছাড়লো সিমা)


সিমা তখন মনে মনে ভাবছে আমি একটাকেই সামাল দিতে পারি না। আর ওনি তিন টা!!!


বিকাল ৫টা। গাড়ির হর্ন শুনে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠে পরে সিমা। সিমার কান্ড দেখে মুসকি একটা হাসি দিলো লিজা আর বললো।


--"এতো ভয় করিস তোর ভাইয়াকে?


--"হুমমম ভাবি অনেক।


তহলে আমাকে যে এসবে সাহায্য করিস যদি জানতে পারে?


সিমা চুপচাপ……………


--"কি ব্যাপার লিজা কি করছো? আমার মামুনি সামিরা কেমন আছো?


বলেই ধপ করে সোফায় বসে পরলো সাদিক, অনেক ক্লান্ত সে।


--"এইতো টিভি দেখছি আজ কি খুব বেশি ক্লান্ত?

আর তোমার অফিস তো ৪ টা বাজে শেষ হয়।

তাহলে মাঝে মাঝে ৫-৫:৩০ এমনকি কোন দিন ৬ বাজেও বাসায় আসো কেন? (লিজা)


--"হুমমম অনেক কাজ থাকে তাই।


--"আচ্ছা যাও ওপরে যাও গিয়ে ফ্রেসহয়ে নাও আর বাহানা দিতে হবে না। (লিজা) 


তারপর লিজা নাস্তা রেডি করছে। 

আর এদিকে "ওকে বলেই ওপরের দিকে হাটা দিলো সাদিক। 


--"যা সিমা তোর ভাইয়াকে নাস্তা দে। (লিজা)


--"ওকে ভাবি, যাচ্ছি।


এদিকে সাদিক ওপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। তারপর নাস্তার টেবিলে আসলো।


--"কি রে সিমা নাস্তা রেডি?


--"হুমম ভাইয়া বসুন দিচ্ছি।


তারপর নাস্তা সেরে সাদিক নিচে লিজার কাছে চলে আসে।


--"নাস্তা করছো?


--"হুমমমম করলাম.!


--"আচ্ছা সন্ধা তো হয়ে এলো বাজারে যাবা না?


--"নাহ্ আজ যাবো না! যা আছে তাই দিয়ে সিমাকে চালিয়ে নিতে বলো।


এভাবেই দুজনে গল্প করতে করতে অনেটা সময় কেটে গেলো। এখন রাত ১০ টা। লিজা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে নাইট ড্রেস পড়ছে আর সাদিককে দেখছে সাদিক বসে ল্যাপটপে নিজের কাজ করছে। তারপর লিজা সাদিককে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বললো।


--"আর কতো অফিসের কাজ করবা? ঘরে যে বউ আছে সেটা ভুলে গেছো?


সাদিক নিজের কাজ রেখে লিজাকে হ্যাচকা একটা টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরলো আর বললো 


--"না ভুলি নাই...


বলেই লিজার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো। লিজাও নিজের স্বামির সোহাগ চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট চলতে থাকলো। তারপর হঠাৎ টেবিলে রাখা লিজার ফোটের মেসেজ টোন টা বাজতেই দুজনের চোখ সেদিকে গেলো…………

.

.

চলবে………………♥♥

.

গল্প :- চাহিদা 

পর্ব :- ০১

Kabbo Ahammad

.

.

গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন প্লিজ।

লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো তাই সকলের সাথে শেয়ার করলাম 🥰  পরিবর্তন 🌹

 লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো তাই সকলের সাথে শেয়ার করলাম 🥰 


পরিবর্তন 🌹


আমার বন্ধু সেদিন ৫০ বছর বয়সে পা দিল। 

আমি জিজ্ঞেস করলাম, নিজের মধ্যে -এই বয়েসে পৌঁছে, কিছু পরিবর্তন অনুভব করছিস কি?

বন্ধু উত্তর দিল.....


এতবছর নিজের বাবা মা, ভাইবোন, স্বামী,ছেলেমেয়ে, বন্ধুবান্ধব সবাইকে ভালবাসা দেবার পর এবার শুধু নিজেকে ভালবাসতে শুরু করেছি। হ্যাঁ, আমি পরিবর্তিত হচ্ছি। 


দীর্ঘদিন পরে বুঝতে পেরেছি যে আমি কোনো মানচিত্র নই যে সমস্ত জগত আমার ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে। তাই, সবাইকে ঝেড়ে ফেলে -আমি বদলে যাচ্ছি।


আজকাল আমি দোকানে, বাজারে গিয়ে দু'পয়সা নিয়ে আর ঝগড়া করি না। কারণ আমি বুঝতে শিখেছি, দু'চার পয়সা বেশী খরচ হলে আমি দরিদ্র হয়ে যাব না। বরং যে লোকটি দু'পয়সা বেশী রোজগারের আশায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে সে দু'পয়সা বেশী পেলে হয়ত তার মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবে। সত্যি, আমি বদলে যাচ্ছি। 


আজকাল রিক্সা-টেম্পো থেকে নেমে খুচরো টাকা নেবার জন্য অপেক্ষা করি না। যে লোকটি রাস্তায় পরিশ্রম করছে রাতদিন, ক'টা টাকা বেশী পেলে হয়ত তার মুখে হাসি ফুটবে। সেই হাসিটুকুর আশায় আমি নিজেকে বদলে দিচ্ছি। 


বয়স্ক লোকদের বলা একই গল্প বারবার শুনেও থামতে বলি না। বুঝতে শিখেছি, এই গল্পগুলোর মধ্যে তাদের অতীতের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, যা তাদের নিস্তরঙ্গ জীবনে কিছুটা আনন্দ বয়ে আনে।তাই, আমি আর সেই আগের মত তাদের কথা শুনে বিরক্ত হই না। 


লোকের ভূল ত্রুটি দেখে তাকে শুধরে দেবার জন্য আগের মতন আর প্রাণপণ লড়াই শুরু করি না কারণ আমি বুঝতে শিখে গেছি, সারা পৃথিবীর লোকদের শোধরানোর দায় আমার নয়। বরং আমার মনের শান্তি আমার কাছে অনেক বেশী দামী। 


হ্যাঁ, আমি বদলে গেছি। এখন আমি বিনা কারণেই মানুষকে অভিনন্দন জানাই, তাদের প্রশংসা করি, এতে তারা যে আনন্দ পায়, তাদের সেই আনন্দ দিতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত হই। 


আমাকে কেউ অবজ্ঞা করলে আমি আর আগের মত অপমানিত হই না, বরং দূরে সরে যাই তাদের থেকে। আমি বুঝি, তারা হয়ত আমার মূল্য বুঝতে না পেরে আমায় হেলা করছে, কিন্তু আমিতো জানি -আমার কাছে আমি অমূল্য। 


আজকাল আবেগের যখন-তখন অপ্রত্যাশিত প্রকাশ আমাকে আর লজ্জিত করে না কারন আমি শিখে গেছি যে এই আবেগগুলোই আমাকে ‘মানুষ’ বলে নিজের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। 


এখন আর নিজের Egoকে আঁকড়ে ধরে থাকি না। বুঝে গেছি, Ego মানুষকে একাকীত্বের দিকে ঠেলে দেয়। বরং এটি ছেড়ে দিলে সম্পর্কগুলো সুন্দর হয়ে ওঠে। 


প্রতিটি দিনকে জীবনের শেষ দিন মনে করে বাঁচি, তাই দিনের প্রতিটি মূহুর্তকে মূল্যবান মনে করে জীবনকে উপভোগ করে বাঁচতে শিখে গেছি। 


আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছি, নিজেকে আনন্দ দেবার জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে নেই, আমার আনন্দের জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই সম্পূর্ণভাবে আমার সুখ, আমার আনন্দের জন্যে দায়ী। হ্যাঁ, আমি বদলে যাচ্ছি, এই বয়সে পৌঁছে আমি জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে শিখেছি। তাই আমার ভেতরেও পরিবর্তন হয়ে চলেছে।


লেখাটা সংগৃহীত.....

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...