এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

পালসিটিলা✴---🔷-Pulsatilla🌷

 🌱পালসিটিলা✴---🔷-Pulsatilla🌷

-----🌳 ১১নং কবিতা--🪺---

🍂জটিল এবং কঠিন লক্ষনগুলো সহজে মনে রাখার অন্যতম একটি কৌশল হচ্ছে ছন্দে ছন্দে বা কবিতাগুচ্ছের মাধ্যমে। সে রকমই একটি প্রচেষ্টা এই লেখাটি📍


শান্তশিষ্ট,নম্র,ভদ্র,কোমলমতি মন

কতশত খেয়ালী সে আবেগপ্রবন।

রোগের কথা বলতে গেলেও,কান্না সারাক্ষণ 

অত্যান্ত ক্রন্দনশীল,অভিমানী মন।


বামপাশে শুইতে তাহার,করে বেশ ভয়

যত কস্ট বাড়ে তাহার এমন সময়

গরম কাতর রোগী তবে স্নানে কাদে মন

সব রোগ তার ধীরে ধীরে বাড়ে সারাক্ষণ। 


ক্রন্দনশীল, অভিমানী,শীতল, ঠান্ডা হয়

মুক্ত হাওয়ায় ঘুড়তে চায়,সময় সময় 

যত ব্যথা,তত শীত এই যদি কয়

পালসিটিলা সারাবে রোগ,যে কোন সময়।


একপাশে শুষ্ক,অন্যপাশে ঘাম

লক্ষনটি গুরুত্বপূর্ণ, মরে রাখলেই কাম

এই খারাপ, এই ভাল বহুরুপী মন

লোভী এবং হিংসুটে হয়,আরেকটি লক্ষন।


মাথা ব্যথার অনুভূতি, পেরেক মারার মত

আনমনে বর্ননা দেয়,রোগী অবিরত

শ্রবন শক্তি ক্ষীণ বটে কানে শুনে কম

গাড়ির শব্দ কান এড়াতে পাড়েনা একদম।


যে কোন বয়সে যদি, মাসিক বন্ধ হয়

পালসিটিলা প্রয়োগ করবেন,এমন সময়

গর্ভে শিশুর পজিশন উল্টা যদি হয়,

ঠিক করার অলৌকিক  ক্ষমতা  পালসিটিলাতেই রয়।


পালসিটিলা সারাতে পারে,হলে চিকেনপক্স

আরো একটি ঔষধ আছে নামটি রাসটক্স 

গর্ভধারনে রোগীর পেটে,ব্যথা যদি বাড়ে

পালসিটিলা এক ডোজ দিয়ে দিবেন তারে।


ফুসফুসের অসুখে রোগী হতাশ হয়

নিরাশায় কান্না করে সময় সময়

তৈলাক্ত খাদ্য কিংবা  গোস্ত খেয়ে গ্যাস

এক ডোজ পালসিটিলা সব সমস্যা শেষ।


🎍 উৎসাহ পেলে আরো লিখব 👻 🪡


🍃 Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.😎,DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

🍎চেম্বার:জার্মান হোমিও কেয়ার

১টা ডিম দিয়ে কিভাবে সহজে কেক তৈরি করবে

 🟢{১টা ডিম দিয়ে কিভাবে সহজে কেক তৈরি করবে}

আমি আজকে নতুন কি একবার আলহামদুলিল্লাহ প্রথমবারের সফল ✅


পারফেক্ট “সবর সুইট কেক” (মাটির চুলা ভার্সন)


উপকরণ (১ ডিমে)


---


প্রস্তুতি


1. ডিম + চিনি

ব্লেন্ডারে বা হাতে ৫–৭ মিনিট ফেটাও, যতক্ষণ না হালকা ফেনা হয়ে যায়।


2. তেল + পানি মেশাও

বিট করা ডিমে তেল ও গরম পানি (বা দুধ) মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নাও।


3. ময়দা ছাঁকো

ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা একসাথে ছেঁকে ধীরে ধীরে মিশাও।


4. ভ্যানিলা এসেন্স দাও

একদম শেষে ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নরম ব্যাটার তৈরি করো।


---


রান্নার পদ্ধতি (মাটির চুলা বা কড়াই)


1. কড়াইতে বালি বা লবণ দিয়ে ১০ মিনিট আগে গরম করো।


2. কেক পাত্রে হালকা তেল মাখিয়ে ময়দা ছিটিয়ে ব্যাটার ঢালো।


3. পাত্রের মুখ ঢেকে দাও + কড়াইয়ের ঢাকনাও ভালো করে দাও।


4. মাঝারি আঁচে ৩০–৪০ মিনিট রান্না করো।


5. কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নাও—শুকনো বের হলে কেক রেডি!


---


টিপস


পাত্রের নিচে একটা পাতলা স্টিল স্ট্যান্ড রাখলে কেক পোড়ে না।


চুলার আঁচ বেশি হলে নিচে পুড়ে যেতে পারে—সতর্ক থেকো।


---

ডেন্নি, ৯০হাজার১৩ বৎসরের কিশোর

 ॥ডেন্নি, ৯০হাজার১৩ বৎসরের কিশোরি॥


11-04-2025©তুষারমুখার্জি


ডেন্নির বাসস্থান সাইবেরিয়ার আলতাই পর্বতের ডেনিসোভা গুহা। ৯০ হাজার বৎসর আগে ডেন্নি বাবা মা তার কি নাম রেখেছিল আমাদের সেটা জানার কোন উপায় নেই। এই ডেন্নি নাম রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অবশ্য তার আগে একটা কোড নাম রেখেছিলেন ডেনিসোভা-১১


সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা গুহার ভেতরে সারা বছরই  শুন্য ডিগ্রীর তীব্র ঠান্ডা। ২৭০ বর্গ মিটারের এই গুহার ভেতরে নানা প্রাণী বাস করত বরাবর। তারমধ্যে যেমন আছে গুহাবাসী নেকড়ে, গুহাবাসী সিংহ, তেমনি নানা গবাদিপশু। তার সাথে থাকত মানবগণ।

  

মানবগণ বলতে নিয়েন্ডারথল ডেনিসোভান আর স্যাপিয়েন্স। তবে স্যাপিয়েন্সরা অন্যদের সাথে একই সময়ে থাকত কি না, সেটা এখনো পরিস্কার না।

 

এখানে প্রবল ঠান্ডায় দেহাস্থিতে ডিএনএ টিকে থাকত। ফলে এখানে পাওয়া দেহাস্থি থেকে নিয়েন্ডারথল আর স্যাপিয়েন্স ডিএনএ চেনা হয়ে গেল ঝটপট। তারপরেই একটি ছোট্ট হাড়ের টুকরো, কড়ে আঙুলের গিঁট, তার থেকে পাওয়া ডিএনএ থেকে প্রথম জানা গেল এই ডেনিসোভানদের কথা। আগে জানা ছিল না এদের কথা, তাই কোন নামও ছিল না। এখন এই ডেনিসোভা গুহাতে প্রথম পাওয়াতে নাম রাখা হল ডেনিসোভান।

  

ডেনিসোভান জিন এশিয়ার মানুষদের মধ্যে রয়েছে যেমন করে ইয়োরোপিয়ানদের মধ্যে আছে নিয়েন্ডারথলদের জিন। 

 

ইয়োরোপে নিয়েন্ডারথলদের বহু দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, তাই তাদের দৈহিক গঠন নিয়ে আমাদের একটা মোটামুটি ধারনা তৈরী হয়ে গেছে। কিন্তু ডেনিসোভানদের কোন দেহাবশেষ পাওয়া যায় নি। যা সামান্য কয়েকটি হাড়ের দাঁতের টুকরো পাওয়া গেছে তা এক পকেটে এঁটে যাবে। তাদের সম্বন্ধে আমাদের যা কিছু জ্ঞান সবটাই তাদের জেনেটিক তথ্য থেকে।

 

ডেনিসোভা গুহায় হাড়ের ছড়াছড়ি। সবই মাংসাসী পশুদের খাওয়ার পরের টুকরোটাকরা হাড়। এই হাজার হাজার হাড়ের থেকে স্যাপিয়েন্স বা নিয়েন্ডারথল বা ডেনিসোভান হাড় চিনে বের করার একমাত্র উপায় হল তার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা। যা সময় আর খরচের দিক থেকে ভাবলে প্রায় অসম্ভব একটা কাজ।

 

ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক বাকলে একটা পদ্ধতি বের করলেন। হাড়ের কোলাজেন, যা লক্ষাধিক বৎসর টিকে থাকে, সেটা পরীক্ষা করে কোন প্রজাতির হাড় তা চিনে নেওয়ার পদ্ধতি।

ডেনিসোভা গুহায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের নমুনা হাড় পাঠাতে বলা হল। তারা পুরো এক বস্তা হাড়ের টুকরো পাঠিয়ে দিলেন।কাজ শুরু হল অক্সফোর্ডে।

 

সেই হাড়ের থেকে ২০ মিগ্রা আকারের টুকরো কেটে নিয়ে, ট্যাগ লাগানো। তারপরে ম্যাঞ্চেস্টারে গিয়ে পরীক্ষা করা। তিনমাসে ১৫০টি হাড় পরীক্ষা হল। সবই গবাদিপশু। হতাশ হয়ে পড়লেন দুই বিজ্ঞানী। 

এবার তাঁরা বিভিন্ন বিভাগে ডক্টরেট করছে এমন ছাত্রদের ডাকলেন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সাহায্যের জন্য। একজনও এলো না। হতাশ বিজ্ঞানী দুইজন যখন প্রকল্পটি বাতিল করবেন ভাবছেন এমন সময় একজন এলেন। অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে সামান্থা ফক্স। তিনি কয়েক সপ্তাহ কাজ করে ৭০০ নমুনা পরীক্ষা করে ফেললেন। এবারও সব গবাদি পশু। 

ধুত্তোরি বলে ছেড়ে দেবারই কথা। কিন্তু সামান্থা ফক্স ছাড়লেন না। লেগে রইলেন। আরো ১৫০০ নমুনা রেডি করে ম্যাঞ্চেসাটারে আরেকবার বসলেন পরীক্ষা করতে। 

সাফল্য এল। নমুনা নং ১২২৭, মানবগণের হাড়। কিন্তু নিয়েন্ডারথল? না স্যাপিয়েন্স? না ডেনিসোভান? জানার জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করতে হবে।

  

অস্থির টুকরো চলে গেল জার্মানির লিপজিগের ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটে।

সেখানে স্বান্তে পাবোর নেতৃত্বে ডিএনএ সংগ্রহ করে পরীক্ষার প্রথমেই বোঝা গেল এই ডিএনএ ৫০হাজার বৎসর আগের ১৩ বৎসর বয়সী কোন একজনের। 

 

এরপরে স্বান্তে পাবোর ছাত্রী ভিভিয়ান স্লন লেগে পড়লেন ভালো করে পরীক্ষার কাজে। স্লন যে ফল পেলেন তা শুনে স্বান্তে পাবো ঘাবড়েই গেলেন। ভাবলেন নিশ্চয়ই পরীক্ষা করার সময়ে কিছু গোলমাল ঘটিয়েছে। 

 

আবার নতুন করে পরীক্ষাপর্ব। এবার খুব সাবধানে। 

দুই বার না ছয়বার পরীক্ষা করা হল। না পরীক্ষায় ভুল নেই। 

তবে ৫০ হাজার না ওটা হবে ৯০ হাজার বৎসর আগের।

 

পরীক্ষার ফলের সারমর্মঃ

৯০ হাজার বৎসর আগের ডিএনএ-র অর্ধেক নিয়েন্ডারথল অর্ধেক ডেনিসোভান। সংকর। মা নিয়েন্ডারথল বাবা ডেনিসোভান। মাইটোকন্ড্রিয়ার ডিএনএ থেকে মায়ের পরিচয় জানা হয়ে গেল। আর নিউক্লিয়ার ডিএনএ থেকে বাকি তথ্য। যেমন এক্স ক্রমোজম থেকে জানা গেল এটি নারীদেহাস্থি, অটোজম থেকে তার বংশধারা।


এবার এই ৯০ হাজার বৎসর আগে জন্ম নেওয়া ১৩ বৎসর বয়সি অসাধারণ এই কিশোরির নাম রাখা হল ডেন্নি।


জানা গেল ডেন্নির মা নিয়েন্ডারথল। বাবা ডেনিসোভান। তা ছাড়া ডেন্নির ডেনিসোভান বাবারও কয়েক প্রজন্ম আগের পূর্বপুরুষ ছিল নিয়েন্ডারথল।

  

এই ডেন্নির বাবার তথ্য বলে ডেনিসোভান-নিয়েন্ডারথলদের বহুপ্রজন্ম ধরেই ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ডেনিসোভান-নিয়েন্ডারথল সংকর সন্তান হিসাবে ডেন্নির জন্ম কোন আচমকা ঘটনা না, বরং স্বাভাবিক ঘটনা।

 

ডেন্নির নিয়েন্ডারথল মায়ের জিন থেকে জানা গেল তার পূর্বপুরষরা ছিল ক্রোয়েশিয়ার বাসিন্দা। এর অর্থ দাঁড়াল, সম্ভবত খুব বেশি বৎসর আগেও না, ক্রোয়েশিয়ার নিয়েন্ডারথলরা এই দিকে চলে আসে। সম্ভবত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য। তার সাথে এটুকুও বোঝা গেল, কয়েক প্রজন্ম ধরেই পূর্ব ইয়োরোপের প্রান্তের নিয়েন্ডারথল আর সাইবেরিয়ার ডেনিসোভানদের প্রিয় মিলনকেন্দ্র ছিল এই হিম শীতলগুহাটি। 

 

কেমন করে ডেন্নির মৃত্যু হল সেটা জানা সম্ভব না, ছোট্ট হাড়ের টুকরো থেকে।

 

তবে হাড়ের টুকরোতে যে অ্যাসিড ছিল তা বলে এই হাড় নেকড়ের পেটে ছিল একসময়। তাহলে কি ডেন্নিকে গুহা-নেকড়েই কামড়ে খেয়েছিল? এমন একটা সম্ভবনা একেবারে অসম্ভব না হলেও খুব সম্ভবও না। ১৩ বৎসরের ডেন্নি আমাদের হিসাবে কিশোরি। কিন্তু নানা বিশদ জেনেটিক বিশ্লেষণ ও গবেষণায় অনুমান করা হয় নিয়েন্ডারথল ডেনিসোভান এরা আমাদের স্যাপিয়েন্সদের চেয়ে দ্রুত বড় হত, বা পরিণত হত। ফলে ১৩ বৎসরের ডেন্নিকে আমরা সমর্থ যুবতী বলেই ভাবতে পারি। সেক্ষেত্রে নেকড়ের আক্রমণ তার মৃত্যুর কারণ নাও হতে পারে। 

 

সেক্ষেত্রে ডেন্নির হাড়ে নেকড়ের অন্ত্রের অ্যাসিডের ব্যাখ্যা হিসাবে বলা যায়, নেকড়ে তো মৃতদেহ খুবলে খায়ই।


ডেনিসোভা গুহার পড়ে থাকা অসংখ্য হাড়ের টুকরোর মধ্যে থেকে ডেন্নির হাড়ের টুকরো খুঁজে পাওয়া একেবারে অসম্ভব সম্ভব হওয়া ঘটনা। 

বিজ্ঞানী স্বান্তে পাবো বলেনঃ এটা খড়ের গাদা থেকে সুঁচ বের করার মত, শুধু এখানে সুঁচ যে আছে সেটাও জানা ছিল না।


তথ্যসূচীঃ-

 1. Meet Denny, the ancient mixed heritage mystery girl. : The Observer Evolution: The Guardian.


2. The Genome of the offspring of a Neanderthal mother and a Denisovan mother.  : Viviane Slon, Fabrizio Mafessoni, Benjamin Venot, Cesare de Philippo, Stefi Grote, Bence Vola, Mateja Hajdinjak, Stephane Peryegne , [Sarah Nagel](https://www.nature.com/articles/s41586-018-0455-x#auth-Sarah-Nagel-Aff1), Samantha Brown, Katerina Douka, Tom Higham, Maxim B. Kozlikin, Michael V. Shunkov, Anatoly P. Derevianko, Janet Kelso, Matthias Meyer, Kay Prüfer  and Svante PääboPublished in : nature.


Picture Credit> An artist’s impression of the teenage Denny. Photograph: John Bavaro/early-man.com Via The Guardian.

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবিটির সবরকম বানিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধ

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

আমি 'চ' উচ্চারণ করতে পারতাম না।

 আমি 'চ' উচ্চারণ করতে পারতাম না।

বাবা লালচোখে তাকিয়ে বলতেন─ "ওটা 'ত' নয় ব্যাটা! ওটা 'চ'।"

বাবা আমাকে বর্ণমালা চিনিয়েছিলেন।


শৈশবে, বিছানা ভেজানোর পর ফুঁপিয়ে কাঁদতাম আমি সারারাত জেগে।

মা আমাকে বকতেন না, তবুও।

বাবাকে ভয় পেতাম আমি।


ভূগোল ক্লাসে পণ্ডিত স্যার প্রশ্ন করেছিলেন─ "দুনিয়ার উচ্চতম পর্বত কোনটা বল দিকিনি?"

আমি হাত তুলেছিলাম, নির্দ্বিধায় বলেছিলাম─ "আমার বাবা।"

আমার বাবার চেয়ে বিশালতর কাউকে আমি স্বীকার করিনি।


সিগারেট ফুঁকতে পারিনি কোনোদিন, বাবার ভয়ে।

বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে বলতে পারিনি─ "দোস্তো রে, ওপাড়ার নাঈমা আমাকে ঘুমোতে দেয় না!"

বাবার ভয়ে।

গুনগুনিয়ে রবীন্দ্রনাথ গাইতে গিয়েও গাইতে পারিনি কখনো,

বারবার মনে হতো এই বুঝি বেসুরকে তিরস্কার করছেন বাবা!


অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে আমার নামের নিচে লিখা ছিল─

পিতা─ আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার;

এর নিচে কী লিখা ছিল পড়ে দেখার সাহস ছিল না আমার,

পড়ে দিয়েছিলেন বাবাই।


মায়ের জন্য শাড়ি কিনতে গিয়ে, ইচ্ছে করতো ঘিয়ে পাঞ্জাবিটা কিনি আমার বাবাটার জন্য,

কিনতে পারিনি কোনোদিন─

বাবাকে আমি ভয় পেতাম।


আমার জামার সুতোগুলোয় আমার বাবার ঘাম মাখা,

আমার উচ্চারিত বর্ণমালায় আমার বাবার লালচোখ,

আমার ভেঙে যাওয়া ঘুমের পিঠে আমার বাবার শাসন,

আমার কিনতে না-পারা ঘিয়ে পাঞ্জাবিটায় আমার একফোঁটা অশ্রু।

আমার বুকের ভিতরে জগতের বিশালতম পর্বতটার উচ্চতম শিখর আমার বাবার সটান মাথাটি।


এখন আমি রোজ বসে থাকি আমার বাবার পাশে,

বাবা হুইলচেয়ারে বসে তাকিয়ে থাকেন দিগন্তের দিকে।

বাবা আজ কুঁকড়ে থাকেন হুইলচেয়ারের কোমরের কাছে।

বাবাকে এখন আমি কোলে করে উঠোনে নিই, আকাশ দেখাই, শোনাই তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রনাথ─

"অলকে কুসুম না দিয়ো, শুধু শিথিল কবরী বাঁধিয়ো।"...

আমার বাবার গায়ে ঘিয়ে পাঞ্জাবি।


বাবা, আমার উচ্চারিত প্রত্যেকটি শব্দের প্রথম বর্ণটি 'ব';

বাবা, আপনি তো জানেন না, মানুষের উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের প্রথম বর্ণটি─ 'ব'।


Salah Uddin Ahmed Jewel 

#উচ্চতম_পর্বত, ০১.০৪.২০২০

কি ভয়াবহ কালচার গড়লাম আমরা চট্টলাবাসী

 কি ভয়াবহ কালচার গড়লাম আমরা চট্টলাবাসী!! 💔


পরিচয় না দিয়েই আমার জীবনের ঘটনা শেয়ার করছি। আমি একজন সরকারী ব্যাংকার। সিনিয়র অফিসার হিসাবে আছি আজ ৩.৫ বছর হলো। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে টিউসান কোচিং পড়িয়ে ২০২১ এ চাকরীতে জয়েন করি। খুব একটা সচ্ছ্বল কখনোই ছিলাম না কিন্তু কখনো ঋণগ্রস্তও ছিলাম না।


২০২৩ বিয়ে হলো। চেয়েছিলাম মন্দিরে বিয়ে করবো। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা সেটা করতে দেয় নি। আমার নিজের পছন্দের বিয়ে ছিলো। দুই পরিবারের কেউই মন্দিরে বিয়ের পক্ষপাতী না, কারণ আমি বংশের সবার ছোটো আর সে সবার বড়। আমার বাবার শেষ কথা বিয়েতে সব আত্মীয় আর পরিচিতদের খাওয়াতেই হবে না হলে সে বিয়েতে যাবে না, তাঁর একটা সম্মান আছে না!!?


বিয়ে বৌভাত ফটোশ্যুট সব-ই করতে হলো। দুই পরিবারের মিলিয়ে ২৪ লাখ চলে গেলো। আমার নিজের গেলো ১১ আর তার বাবার গেলো ১৩ লাখ। 


একজন সরকারী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের কতোই বা বেতন। যারা এই লাইনে আছে তারাই জানেন। তো এই খরচ কোথা থেকে আসলো? ঋণ আর ক্রেডিট কার্ড থেকে।  বিয়ের পরে তো আরো খরচ শুরু৷ এই নিমন্ত্রণ ঐ নিমন্ত্রণ।  আর চট্টগ্রামের মানুষের তো আর অল্পতে মন ভরে না। কোথাও হাতে করে কম নিলেই হলো মেয়ের আত্মীয়ের বাসায় কম নিলে ছেলে নাথা (কিপটা) আর ছেলের আত্মীয়ের বাসায় নিলে বউ এর কথায় উঠাবসা শুরু এই কথা শুনে যেতে হয়।


বিয়েতে ফটোশুটেই গেলো ১ লাখ এর কাছাকাছি।  যদিও প্রিউইডিং কালার ফেস্ট করতে পারলাম না। কিন্তু বাগদত্তার কান্নাকাটিতে করতেই হলো। তার যুক্তি বিয়ে তো করবো একবার। সে যাই হোক বিয়েতে আবার দুই পক্ষ মিলে ৭০০+ অতিথি আর বৌভাতেও ঐরকম ৬০০+ অতিথি সৎকার করা হলো। 


এইসব কথা কেনো বলছি!!? 


এইবার কর্মের ফল নিয়ে বলি কেমন?


প্রথমে সংক্ষেপে আমার শ্বশুড় বাবার টা বলি। উনি কিছু টাকা জমিয়েছিলেন আর বাকি টাকা ধার। বর্তমানে সেই সেই ধারের টাকা শোধ দিতে দিতে তার ব্যবসার অবস্থা খারাপ। মূলধন শেষ কোনোরকমে দোকান নিয়ে আছে। বেশি আর বললাম না।


আমার কথায় আসার যাক। ৫ লাখ ঋণ আর ৩ লাখের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিয়ে তো করে নিলাম। হাতে তো বেতনের বাইরে আর টাকা আসে না। নতুন বিয়ে দুইটা টিউসান করতাম বিয়ের পর সেই টিউসান গুলোও চলে গেলো। এই সময়ে যা হয় বৃদ্ধ বাবা মায়ের ঔষুধ নিজেদের খরচ সংসার খরচ করে আর কুলিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রেডিট কার্ড একটা শোধ করতে আরেকটা নিতে লাগলাম। সেটা শোধ করতে আরেকটা এভাবে ক্রেডিট বার্নিং বাড়তে লাগলো। বাবা অসুস্থ হলো। অনেক টাকা দরকার বাবাকে বাঁচানোর জন্য। অনেক ট্রাই করলাম তাও বাবাটা থাকলো না চলে গেলো। 


শেষ কৃত্য শ্রাদ্ধ কর্ম করতে আরো ঋণ হলো। ব্যাংক ঋণ আরো বাড়লো। মানুষের থেকে ধার নিয়ে ঋণ আরো বাড়লো। 


বউ এখন অসুস্থ সামনে আরো খরচ।


অফিসের বাইরে ১টা টিউসান করি । সেটাও চলে যাবে এস এস সি দিচ্ছে। দুইটা কোচিং এ শুক্রশনিবার ক্লাস নি। ঋণের বোঝা কমে না। মাঝে মাঝে টিউসান না থাকলে ১০ কিমি দূরের অফিস থেকে হেঁটে আসি। আর ভাবি একটা সময় ছিলো যখন আমি টিউসান করাতাম আর কোচিং এ ক্লাস নিতাম তখন এখনের চেয়ে অনেকগুণ বেশি আয় করতাম নিজের ইচ্ছেমতো খেতাম, কিনতাম, চলতাম কিন্তু তখন কেউ সম্মান দিতো না বেকার বলতো। এখন সম্মান দেয় কথার মূল্য দেয় কিন্তু পকেট খালি, মাঝে মাঝে এমন দিন যায় সকালে দুইটা রুটি দুপুরে বাসা থেকে আনা ভাত সবজি আর রাতে দুইটা ভাত খেয়ে আমার দিন কেটে যায়। একটা সিংগারা কিনে খাওয়ার ইচ্ছে হলেও মা আর বৌ এর মুখের কথা ভেসে উঠে চোখে তাই আর কিনি না।


বৌ চাকরীর ট্রাই করেছিলো, ঢাকায় গিয়ে এক্সাম দেয় কিন্তু চাকরী হয় নি। বাসায় ২-৩ জন এসে পড়ে। পরিবর্তিত পরিস্থিতে সনাতনীদের আগের মতো চাকরী জুটবে নাকি সেই নিশ্চয়তা এখন আর নেই। আমি জানি আমার মতো এই অবস্থা অনেকেরই। আমি কোনো সাহায্যের জন্য এই পোস্ট করি নি। আমি শুধু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছি বর্তমান সনাতনী সমাজের কঙ্কালসার অস্তিত্বকে। পকেটে টাকা না থাকলেও শুধু সামাজিক ভাবে হেয় না হওয়া ভয়ে আর আত্ম অহংকারকে সঙ্গী করে চলা এই আমরাই আমাদের আর্থিকভাবে শেষ করে দিচ্ছি।


আমিই মূলত সব থেকে বেশি দোষী, নিজের জিদ নিয়ে অটল হয়ে থাকলে সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে এতো খরচ হতো না। 


ধনী সনাতনীরা ফটোশ্যুট প্রি ওয়েডিং পোস্ট ওয়েডিং করে তখন মধ্যবিত্তদেরও লোভ জাগে এগুলো করার। আর লোভে তো কী হয় আমরা তো জানি। ফল তো আমি পেয়ে যাচ্ছি। আমি জানি আমি উঠে দাঁড়াবো হয়তো ৫ বছর লাগবে বা আরো বেশি, কিন্তু এই সময়ে যে কষ্ট পাচ্ছি তা আমার আমাদের কর্মের-ই ফল। 


এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য তখনই সিদ্ধ হবে তখন-ই যখন বিয়ের নামে অযাচিত খরচ থেকে কোনো সনাতনী নিজেকে বাঁচাতে পারবে। 


আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন যাতে আমি অতি শীঘ্র ঘুরে দাঁড়াতে পারি।


© শাস্ত্রপৃষ্ঠ গ্রুপ থেকে নেওয়া একজন দাদার পোস্ট

নিজের পায়ে কুড়াল মারা ২টি আর্থিক স্বিদ্ধান্ত ||

 ||@|| নিজের পায়ে কুড়াল মারা ২টি আর্থিক স্বিদ্ধান্ত ||@||


সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের কিছু ভুল শেয়ার করছি। অনেকেই নিজের জীবনের সাথে রিলেট করতে পারবেন। 


বিশেষ করে যারা নিয়মিত গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করেন, তারা ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।


বিদেশি লেখকদের বই বা ভিডিওতে এসব জিনিস পাবেন না। 😊 


A. ভুল স্বিদ্ধান্ত ১: পারিবারিক জমিতে বাড়ি করা


জমিটা বাবার/ মায়ের/ দাদার নামে। কিন্তু কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করলেন আপনি।


কোন লাভ নাই। জমির মত বাড়িটাও ভাগ হবে। 

কারণ জমির দলিল থাকে, বিল্ডিং এর কোন দলিল নাই। 

বাড়ি করার খরচ যে আপনি দিছেন, তার কোন ডকুমেন্ট নাই। বেশি ক্যাঁচাল করলে বলবে, "যা তোর বাড়ি তুই ইট খুলে নিয়ে যা"।


- জরুরী প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে, বাড়ি বেঁচতে পারবেন না।

- কপাল খারাপ হলে, ভাই-বোনেরা সবাই এক হয়ে আপনাকে বাড়ি থেকে বের করেও দিতে পারে। 


--> ভুল স্বিদ্ধান্তের কারণ:


হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান হয়না, তেমনি সব ভাই-বোনের আর্থিক অবস্থাও সমান হয়না। যার টাকা বেশি, তার উপর প্রেশার আসে।


অনেক সময় সমাজে নিজেদের অবস্থান দেখানোর জন্য মানুষ প্রয়োজন না থাকলেও বাড়ি বানায়।


অনেক সময় বাবা-মা (বিশেষ করে মা) স্বচ্ছল সন্তানের উপর প্রেশার ক্রিয়েট করেন যাতে সে নিজের টাকা খরচ করে পারিবারিক জমিতে বাড়ি বানায় এবং সেই বাড়িতে সব সন্তান একসাথে থাকতে করতে পারে।


--> সমাধান কি?


যাদের আনলিমিটেড টাকা আছে, তাদের সমাধানের দরকার নাই। বাড়ি করেন। কিছু মানুষের উপকার হোক।


যাদের লিমিটেড টাকা, তারা জমিটা নিজের নামে করে নিয়ে বাড়ি বানানোর চিন্তা করতে পারেন। 


(যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাড়ি করার পেছনে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করার পক্ষপাতি না। কারণ বিনিয়োগের অনুপাতে রিটার্ন খুব কম পাওয়া যায়। গ্রামের বাড়িতে হলে তো কোন রিটার্নই পাওয়া যায়না) 


পারিবারিক জমিতে বাড়ি যদি করতেই হয়, তবে সবার কাছ থেকে সমান টাকা নিয়ে বাড়ি করেন। এতে যদি টিনশেড বাড়ি করতে হয়, তাই করেন। 


B. ভুল স্বিদ্ধান্ত ২: ভাইবোন বা ঘনিষ্ঠ আত্নীয়কে বিপুল পরিমাণ টাকা ধার দেওয়া


আবার সেই আগের কথা। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হয়না। 

যার টাকা বেশি থাকে, তার কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে। 


বিভিন্ন কারণে মানুষ ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্নীয়-স্বজনকে বিশাল অংকের টাকা ধার দিয়ে থাকে।


- ব্যবসার মূলধন যোগান দেয়া

- বিদেশ যাওয়ার খরচ

- সরকারি চাকরির জন্য ঘুষ


বিপুল পরিমাণ টাকা ধার দিয়ে, আশা থাকে একসময় টাকা ফেরত দিবে। 

ফেরত যদি না-ও দেয়, অন্তত: কৃতজ্ঞ থাকবে। 


কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকাও ফেরত দেয়না এবং কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেনা। উল্টো শত্রুতা করে। 


--> সমাধান কি?


যা দিবেন, ফি সাবিলিল্লাহ দিয়ে দেন। এমন অংকের টাকা দিবেন যাতে খুব বেশি গায়ে না লাগে।

 

দেয়ার সময়ই বলে দিতে পারেন, "দিতে পারলে দিবি, না দিতে পারলে নাই"।


মনেও শান্তি থাকবে, সম্পর্কও ঠিক থাকবে। 😎


Source: Internet

বন্ধ্যাত্ব কোন অভিশাপ নয়

 ♥বন্ধ্যাত্ব কোন অভিশাপ নয়

♥সঠিক চিকিৎসায় বন্ধ্যাত্ব রোগ ভাল হয়৷

♥অপ্রয়োজনীয় সিজার কে বর্জন করুন৷

♥নিরাপদ নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহিত করুন 

♥ইনফার্টিলিটি ও IUI এ উচ্চতর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত৷

এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য) এমএস (গাইনী&অবস্)ডিএমইউ

চেম্বারঃ

এলিট কেয়ার হাসপাতাল

ইনফার্টিলিটি সেন্টার

সদর হাসপাতাল সংলগ্ন

রথখোলা,জয়দেবপুর,গাজীপুর৷

শনি থেকে বুধবার(বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা)

শুক্রবার (সকাল ১০টা-১টা এবং বিকেল ৫টা-৯টা)

সিরিয়াল নাম্বার:01710646621

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া কি উপকারী?

 খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া কি উপকারী?

•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

লবঙ্গ একটি সুপরিচিত মসলা, যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।


লবঙ্গের পুষ্টিগুণ


লবঙ্গ ছোট হলেও এতে রয়েছে অসংখ্য উপকারী পুষ্টি উপাদান। যেমন-

ভিটামিন সি – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন কে – রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে

ফাইবার – হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ইউজেনল) – দেহ থেকে টক্সিন বের করে

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম – হাড়ের গঠন মজবুত রাখে

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান – শরীরের প্রদাহ কমায়


খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া কি উপকারী?


অনেকেই সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার পরামর্শ দেন। পুষ্টিবিদ আঞ্জুমান আরা শিমুল জানান, খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে এটি পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই ভালো। এটি হজমশক্তি বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানোসহ অনেক উপকার করতে পারে। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক, রক্তপাত বা লিভারের সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে।


খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা


১. হজমশক্তি বাড়ায়


লবঙ্গ হজমের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে, গ্যাস, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। খালি পেটে লবঙ্গ খেলে পেট ফাঁপা বা অম্বলের সমস্যা কমে।


২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


লবঙ্গের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ঠান্ডা-কাশি, সংক্রমণ এবং বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।


৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে


খালি পেটে লবঙ্গ খেলে বিপাক হার (মেটাবলিজম) বাড়ে। ফলে ক্যালরি দ্রুত পুড়ে যায় এবং ওজন কমতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমানোর পাশাপাশি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়ক।


৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে


লবঙ্গ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।


৫. দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে


লবঙ্গের শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং দাঁতের ব্যথা কমায়। এতে থাকা ইউজেনল নামক যৌগ দাঁতের ব্যথা উপশম করে এবং দাঁতের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। লবঙ্গ মুখের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে ওরাল হাইজিন ভালো রাখে।


৬. শরীরের প্রদাহ কমায়


লবঙ্গ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ, যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি গাঁটের ব্যথা এবং বাত রোগের উপশমেও কার্যকর।


৭. লিভার পরিষ্কার রাখে


লবঙ্গ লিভারের জন্য উপকারী। এটি লিভারে টক্সিন জমতে দেয় না এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যারা নিয়মিত ফাস্টফুড খান, তাদের জন্য খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া উপকারী হতে পারে।


৮. শরীরে শক্তি জোগায়


খালি পেটে লবঙ্গ খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। এটি শরীরকে চাঙা রাখে এবং অলসতা দূর করে।


অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


যদিও লবঙ্গের অনেক উপকারিতা আছে, তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু ক্ষতি হতে পারে। যেমন:


অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা অম্বল হতে পারে


লবঙ্গ শক্তিশালী হওয়ায় এটি অতিরিক্ত খেলে পাকস্থলীতে গ্যাস, অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে।


রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে


লবঙ্গ রক্ত পাতলা করার কাজ করে। তাই যারা ব্লাড থিনার ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন) গ্রহণ করেন, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।


অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যা হতে পারে


কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লবঙ্গ খেলে অ্যালার্জি হতে পারে, যেমন ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি বা লালচে দাগ দেখা দিতে পারে।


লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম


প্রতিদিন ২-৩টি লবঙ্গ খাওয়া নিরাপদ। অতিরিক্ত খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

খালি পেটে ১-২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খান এবং কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি পান করুন।

গরম পানিতে লবঙ্গ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করতে পারেন। মধু ও লবঙ্গ একসঙ্গে খেলে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা দূর হয়।

টুনটুনি আর নাপিতের কথা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 

 টুনটুনি আর নাপিতের কথা

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 


টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটার খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোড়া। ও মা, কী হবে? এত বড় ফোড়া কী করে সারবে?


টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বললে, ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।'


তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, 'নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোড়াটা কেটে দাও না।'


নাপিত তার কথা শুনে ঘাড় বেঁকিয়ে নাক সিটকিয়ে বললে, 'ঈস! আমি রাজাকে কামাই, আমি তোর ফোড়া কাটতে গেলুম আর কি!'


টুনটুনি বললে, 'আচ্ছা দেখতে পাবে এখন, ফোড়া কাটতে যাও কি না।' বলে সে রাজার কাছে গিয়ে নালিশ করলে, 'রাজামশাই, আপনার নাপিত কেন আমার ফোড়া কেটে দিচ্ছে না? ওকে সাজা দিতে হবে।'


শুনে রাজামশাই হো-হো করে হাসলেন, বিছানায় গড়াগড়ি দিলেন, নাপিতকে কিছু বললেন না। তাতে, টুনটুনির ভারি রাগ হল। সে ইঁদুরের কাছে গিয়ে বললে, 'ইঁদুরভাই, ইঁদুরভাই, বাড়ি আছ?'


ইঁদুর বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই। এস ভাই। বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি এক কাজ কর।'


ইঁদুর বললে, 'রাজামশাই যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখন গিয়ে তাঁর ভুঁড়িটা কেটে ফুটো করে দিতে হবে।'


তা শুনে ইঁদুর জিভ কেটে কানে হাত দিয়ে বললে, 'ওরে বাপরে! আমি তা পারব না।'


তাতে টুনটুনি রাগ করে বিড়ালের কাছে গিয়ে বললে, 'বিড়ালভাই, বিড়ালভাই, বাড়ি আছ?'


বিড়াল বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি ইঁদুর মার।'


বিড়াল বললে, 'এখন আমি ইঁদুর-টিদুর মারতে যেতে পারব না, আমার বড্ড ঘুম পেয়েছে।'


শুনে টুনটুনি রাগের ভরে লাঠির কাছে গিয়ে বললে, 'লাঠি ভাই, লাঠি ভাই, বাড়ি আছ?'


লাঠি বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি বিড়ালকে ঠেঙাও।'


লাঠি বললে, 'বিড়াল আমার কী করেছে যে আমি তাকে ঠেঙাতে যাব? আমি তা পারব না।'


তখন টুনটুনি আগুনের কাছে গিয়ে বললে, 'আগুনভাই, আগুনভাই, বাড়ি আছ?'


আগুন বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি তুমি লাঠি পোড়াও।'


আগুন বললে, 'আজ ঢের জিনিস পুড়িয়েছি, আজ আর কিছু পোড়াতে পারব না।'


তাতে টুনটুনি তাকে খুব করে বকে, সাগরের কাছে গিয়ে বললে, 'সাগরভাই, সাগরভাই, বাড়ি আছ?'


সাগর বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি তুমি আগুন নিভাও।'


সাগর বললে, 'আমি তা পারব না।'


তখন টুনটুনি হাতির কাছে গিয়ে বললে, 'হাতিভাই, হাতিভাই, বাড়ি আছ?'


হাতি বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি সাগরের জল সব খেয়ে ফেল।'

হাতি বললে, 'অত জল খেতে পারব না, আমার পেট ফেটে যাবে।'


কেউ তার কথা শুনল না দেখে টুনটুনি শেষে মশার কাছে গেল। মশা দূর থেকে তাকে দেখেই বললে, 'কে ভাই? টুনিভাই? এস ভাই! বস ভাই! খাট পেতে দি, ভাত বেড়ে দি, খাবে ভাই?'


টুনটুনি বললে, 'তবে ভাত খাই, যদি হাতিকে কামড়াও।'


মশা বললে, 'সে আবার একটা কথা! এখুনি যাচ্ছি! দেখব হাতি বেটার কত শক্ত চামড়া!' বলে, সে সকল দেশের সকল মশাকে ডেকে বললে, 'তোরা আয় তো রে ভাই, দেখি হাতি বেটার কত শক্ত চামড়া।' অমনি পিন্-পিন্ পিন্-পিন্ করে যত রাজ্যের মশা, বাপ-বেটা ভাই-বন্ধু মিলে হাতিকে কামড়াতে চলল। মশায় আকাশ ছেয়ে গেল, সূর্য ঢেকে গেল। তাদের পাখার হাওয়ায় ঝড় বইতে লাগল। পিন্-পিন্ পিন-পিন্ ভয়ানক শব্দ শুনে সকলের প্রাণ কেঁপে উঠল। তখন—


হাতি বলে, সাগর শুষি। 

সাগর বলে, আগুন নেবাই! 

আগুন বলে, লাঠি পোড়াই!

 লাঠি বলে, বিড়াল ঠেঙাই! 

বিড়াল বলে, ইঁদুর মারি। 

ইঁদুর বলে, রাজার ভুঁড়ি কাটি! 

রাজা বলে, নাপতে বেটার মাথা কাটি!


নাপিত হাত জোড় করে তোমার ফোড়া কাটি।' কাঁপতে-কাঁপতে বললে, 'রক্ষে কর, টুনিদাদা! এস তোমার ফোঁড়া কাটি। তারপর টুনটুনির ফোড়া সেরে গেল, আর সে ভারি খুশি হয়ে আবার গিয়ে নাচতে আর গাইতে লাগল— টুনটুনা টুন টুন টুন! ধেই ধেই!

একদিন ইনকাম ট্যাক্স অফিসার এক বৃদ্ধ করদাতাকে ডেকে পাঠালেন।

 একদিন ইনকাম ট্যাক্স অফিসার এক বৃদ্ধ করদাতাকে ডেকে পাঠালেন।

বৃদ্ধ যথাসময়ে এসে হাজির হলেন – সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও।


অফিসার জিজ্ঞেস করলেন – "আপনি তো অবসরপ্রাপ্ত, অথচ শোনা যায় আপনি খুব বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এই টাকার উৎস কী?"


বৃদ্ধ করদাতা শান্তভাবে উত্তর দিলেন – "আমি শর্ত জিতে এই টাকা পাই।"


অফিসার অবিশ্বাসী হয়ে বললেন – "শর্ত জিতে? আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।"


বৃদ্ধ হেসে বললেন – "আপনি চাইলে প্রমাণ করে দেখাতে পারি।"


অফিসার বললেন – "চলুন দেখি তাহলে।"


বৃদ্ধ করদাতা বললেন – "আপনার সঙ্গে ১০০০ টাকার বাজি ধরব। আমি দাবি করছি, আমি আমার একটি চোখ নিজে দাঁত দিয়ে কামড়ে দিতে পারি।"


অফিসার চমকে উঠলেন – "এটা তো অসম্ভব! বাজি রইল।"


বৃদ্ধ করদাতা এক ঝটকায় তাঁর কৃত্রিম চোখ বের করে দাঁত দিয়ে কামড়ে দিলেন।

অফিসার হতবাক! আর উপায় না দেখে তাঁকে ১০০০ টাকা দিয়ে দিলেন।


বৃদ্ধ বললেন – "এবার ২০০০ টাকার বাজি ধরব, আমি আমার দ্বিতীয় চোখটাও কামড়ে দিতে পারি।"


অফিসার ভাবলেন – "প্রথম চোখটা তো কৃত্রিম ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়টা তো নিশ্চয়ই আসল। ও তাহলে কীভাবে কামড়াবে!"

এই ভেবে তিনি বাজিতে রাজি হলেন।


বৃদ্ধ এবার নিজের মুখ থেকে তাঁর কৃত্রিম দাঁত খুলে নিয়ে দ্বিতীয় চোখে ছুঁইয়ে দেখালেন – আবার জিতে গেলেন!


অফিসার মাথা নাড়লেন আর ২০০০ টাকা দিলেন।


তখন বৃদ্ধ করদাতা বললেন – "আচ্ছা এবার একটা শেষ বাজি – ১০,০০০ টাকার। আমি এই ডেস্কের সামনে দাঁড়িয়ে, ও কোণের ডাস্টবিনে থুতু ফেলব, একটা ফোঁটাও আপনার টেবিলে পড়বে না।"


এমন সময় বৃদ্ধের আইনজীবী চিৎকার করে উঠলেন – "না! না! এই বাজি লাগাবেন না!"


কিন্তু অফিসার তখন আগের হারের টাকা তুলতে মরিয়া, বললেন – "এই তো সুযোগ! বাজি রইল।"


তিনি ভাবলেন – ১৫ ফুট দূরের ডাস্টবিনে এই বুড়ো কোনদিনও সোজাসুজি থুতু ফেলতে পারবে না! সহজেই জিতে যাবেন!


বৃদ্ধ মুখ নিচু করে শুরু করলেন, থুতু ফেললেন... কিন্তু টেবিল ভরে গেল থুতুতে!

ডাস্টবিনে একটাও পড়ল না!


অফিসার খুশিতে লাফিয়ে উঠলেন – "এইবার আমি জিতেছি!" 😂


কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন বৃদ্ধের আইনজীবী মাথা নিচু করে কাঁদছেন।


অফিসার জিজ্ঞেস করলেন – "কী হলো মশাই, আপনি তো এতো চিন্তিত কেন?"


আইনজীবী বললেন – "এই শয়তান সকালে আমার সাথে ৫০,০০০ টাকার বাজি ধরেছিল, যে সে ইনকাম ট্যাক্স অফিসারের টেবিলে থুতু ফেলবে...

আর অফিসার রাগ তো করবেনই না, উল্টে খুশিও হবেন!" 😭😂


এইভাবে এক বৃদ্ধ তার বুদ্ধি, মজা আর একটু ছলচাতুরীর মাধ্যমে একেবারে ইনকাম ট্যাক্স অফিসারকে মাত করে দিলেন, আর সেইসঙ্গে পাঠককে দিলেন এক দারুণ হাস্যরসের অভিজ্ঞতা! 😄


 #niosnews #motivationalstories #InspirationalStory #motivationalsotry #motivationalwords #motivationalpost #inspiration #inspirationalquotes #motivation #inspirational #motivationalquotes #motivationalstory

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...