এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

শিশু হাতের মুঠোয় ✊🏻 ধরে যে খাবারটা খেতে পারে তাই  "ফিংগার ফুড"

 শিশু হাতের মুঠোয় ✊🏻 ধরে যে খাবারটা খেতে পারে তাই  "ফিংগার ফুড"। ৬ মাস থেকেই শিশুরা হাতের কাছে যা পায়  তা নিয়ে মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে।

তাই এসময় শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিংগার ফুড..


✅ কি দেখে বুঝবেন শিশুকে ফিংগার ফুড দেওয়া যাবেঃ 


🔹শিশু ঘাড়, মাথা শক্ত করে ভালোভাবে বসতে পারে


🔹হাতের মুঠোয় কোনও খাবার শক্ত করে ধরতে পারে


🔹মুখের কাছে কিছু ধরলে হা করে


🔹কেউ কিছু খেতে নিলে বাচ্চা হা করে / ঐ খাবারটা খেতে আগ্রহী হয়


🟢  ফিংগার ফুডের উপকারিতাঃ


🔹শিশু খাবার খেতে আগ্রহী হয়

🔹নিজে নিজে খাবারের অভ্যাস তৈরি হয়

🔹সব ধরনের খাবারে রুচি তৈরি হয়


🟢 যেসব খাবার দিবেনঃ 


💠 ৬-৭ মাস বয়সেঃ

 খাবার এমনভাবে দিবেন যা শিশু সহজে মুঠো করে নিতে পারে। যেমন-


- আলু/ মিষ্টি আলু সেদ্ধ 

- গাজর সেদ্ধ ( চিকন করে কেটে)

- পাকা আম /কলা 

- পাকা পেঁপে 

- ব্রকলি / ফুলকপি সেদ্ধ 


💠 ৮-৯ মাস বয়সেঃ


- ডিম সেদ্ধ (লম্বা পিস করে কেটে দিবেন)

- মুরগীর মাংস নরম করে ( হাড় যেন না থাকে) 

- নরম ভাত মুঠো করে গোল করে 


শিশুর ৬ মাসের পর থেকেই এভাবে চেষ্টা করুন। দেখবেন শিশু নিজে হাতে খাওয়া শিখেছে এবং সব ধরনের খাবার স্বাচ্ছন্দ্যে খাবে ইনশাআল্লাহ..


আরও জানতে, ফলো করুন

Dr. Sohan Chowdhury 


#children #baby #kids #food #parenting #drsohan

বন্ধ্যাত্ব কোনো অভিশাপ নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হবে নিরাময়- ইনশাআল্লাহ।

 💧বন্ধ্যাত্ব কোনো অভিশাপ নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হবে নিরাময়- ইনশাআল্লাহ।


💧যে সকল বোনেরা বিভিন্ন চিকিৎসা করেও বাচ্চা কনসিভ/ গর্ভধারণ করতে পারছেন না। বার বার মিসক্যারেজ হচ্ছে অথবা স্বামীর এজোস্পার্মিয়া বা শুক্রাণুর সমস্যার জন্য গর্ভধারণ ব্যার্থ হচ্ছে।  আপনারা স্বামী-স্ত্রী দুইজন আমাদের ঔষধ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে শেষ চেষ্টা করুন।  ইনশাআল্লাহ  আল্লাহ চাইলে আমাদের ঔষধের উছিল্লায় আপনার মনের আশা পূরন করতে পারেন। সন্তান দান করার মালিক আল্লাহ।  আমরা বা আমাদের ঔষুধ শুধু মাত্র উছিল্লা।


💧আমাদের এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রাচীন কাল থেকে যুগ যুগ ধরে মানুষের কল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা কোনো মেডিকেল চিকিৎসার ক্যামিকেল বা ইঞ্জেকশন দিয়ে চিকিৎসা না। এই চিকিৎসা সম্পূর্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যা গাছ পালার লতাপাতা এবং শিকড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই আমাদের চিকিৎসা এবং ঔষুধের কোনো সাইড ইফেক্ট নেই৷  আপনি মেডিকেল চিকিৎসা বা যেকোনো ঔষুধের পাশাপাশি এই ঔষুধ সেবন করতে পারবেন কোনো সমস্যা নেই - ইনশাআল্লাহ। 


✅আমাদের ঔষুধ আপনার যে সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবেঃ

🔸পিরিয়ড রেগুলার হতে সাহায্য করবে। 

🔸পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা করলে তা দূর করবে।

🔸অতিরিক্ত ওজন থাকলে, ওজন কামাবে।

🔸মিসক্যারেজ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

🔸ডিম্বাণু ফোঁটাতে সাহায্য করবে।

🔸যাদের ডিম ফোঁটে কিন্তু সাইজে ছোট। সেই ডিম্বাণুকে সঠিক সাইজে ফোঁটতে সহায়তা করবে।

🔸১২তম-১৬মত দিনের মধ্যে ওভূলেশন হতে সাহায্য করবে।

🔸PCOS সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করবে।

🔸থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে দূর করতে সাহায্য করবে। 

🔸মনোপজ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। 

🔸সঠিক ভাবে ইনপ্ল্যান্টেশন হতে সহায়তা করবে। 

🔸টিউব ব্লক থাকলে তা ওপেন হতে সাহায্য করবে। 

🔸সিস্ট/ চকোলেট সিস্ট থাকলে তা দূর করবে। 

🔸আপনার যদি উপর উল্লেখ্য সমস্যা গুলো থাকে তাহলে সেই সমস্যা গুলো দূর করে ৩ মাসের মধ্যে ইনশাআল্লাহ। আপনারকে গর্ভধারণ করতে সাহায্য করবে।


💧আমাদের এই ঔষুধ আপনার এতো সমস্যা দূর করবে কারন আমাদের ১ ও ২ নং ঔষুধে মোট ১৭টি ১০০% প্রাকৃতিক  আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারনে এই ঔষুধ খুবই পাওয়ারফুল গর্ভধারণের ঔষুধ হিসেবে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। শত বছর আগে যখন কারো সন্তান হতো না। তখন এই ভেষজ উপাদানের ঔষুধ সেবন করে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করা হতো। 


💧আমাদের এই ঔষুধ সেবন করে এখন পর্যন্ত ১৫০০+ স্বামী-স্ত্রী / দম্পতি তাদের সাংসার সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন - ইনশাআল্লাহ। যা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বে বিষয়।


💧তাই এতোটুকু বলতে চাই অনেক জায়গায় থেকে অনেক ঔষুধ সেবন করেছেন। আমাদের ঔষুধ সেবন করে শেষ চেষ্টা করুন আল্লাহর রহমতে আপনি সফল হবে- ইনশাআল্লাহ 


✅ আমাদের ১ ও ২ নং ঔষুধ যেসকল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।


🔴১নং ঔষুধ=(গর্ভধারণের বড়ি/পিল)

🔸পাটের বীজ

🔸কালোজিরা

🔸কাঁচা হলুদ

🔸অর্গানিক রসুন

🔸আরও গোপন মহা ঔষুধ ৩টি গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গর্ভধারণের পিল।


🔵 ২নং ঔষুধ=(কনসিভ/ গর্ভধারণের পাউডার) 

🔹ত্রিফলা

🔹কালোজিরা

🔹জুইন

🔹সোনাপাতা

🔹কাঁচা হলুদ 

🔹রসুন

🔹আরও ৪টি গাছের শিকড় সহ মোট ১০টি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কনসিভ/গর্ভধারণের পাউডারটি।


💧যাদের স্বামীর শুক্রাণু সমস্যা ও এজোস্পার্মিয়া বা শুক্রাণু জিরো এবং ওয়েলগোস্পার্মিয়া সমস্যা আছে। এই সমস্যা কারনে বর্তমানে অনেক পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হচ্ছে। তাদের জন্য আমাদের ৩ নং ঔষধ=( সিমেন বুস্টার) 


✅এই ৩নং ঔষুধটি যে সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে তা উল্লেখ করা হলোঃ


🔺এজোস্পার্মিয়া/ ওয়েলগোস্পার্মিয়া থেকে মুক্তি পাবে।(এটা বয়স কম বেশির উপর নির্ভর করে )

🔺শুক্রানুর গতি/ মটিলিটি বৃদ্ধি পাবে।

🔺শুক্রানু ঘন হবে।

🔺শুক্রানু আঁঠালো হবে।

🔺বীর্যের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াবে।

🔺শুক্রানুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

🔺বীর্যের দূর্গন্ধ দূর করবে। 

🔺যৌন দূর্বলতা দূর করবে। 

🔺সেক্স টাইম বৃদ্ধি করবে। 

🔺উথানজনিত সমস্যা দূর করবে।

🔺সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য শুক্রাণু গুলোকে সাহায্য করবে।


💧আমাদের এই ঔষুধ এতো সমস্যা দূর একটাই কারন সেটা হলো আমার আমাদের ঔষধে ১২টি মহা ঔষুধি গুণসম্পন্ন গাছের বীজ ও শিকড় ব্যবহার করেছি।


✅ ৩নং ঔষুধ=(সিমেন বুস্টার) যে সকল উপদান গুলো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। 

🔹শিলাজিৎ চূর্ণ।

🔹সাদা লজ্জাবতী গাছের বীজ।

🔹বাশঁ ফুলের বীজ।

🔹সাদা মুসলি।

🔹শংখমনি। 

🔹শোধন করা আলকুশি।

🔹আরও ৬টি মহা ঔষুধি গাছের শিকড় সহ মোট ১২টি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সিমেন বুস্টার ঔষুধটি। তাই আমাদের এই ঔষুধ টি এতে পাওয়ারফুল এবং এক ঔষুধেই এতো সমস্যা দূর করতে সক্ষম- ইনশাআল্লাহ।


💧ঔষুধটি অর্ডার করতে অগ্রিম কোনো টাকা দিতে হবে না। 

💧আমাদের পেইজে অথবা WhatsApp এ মেসেজ দিয়ে 

💧আপনার নামঃ

💧ফোন নাম্বার 

💧ঠিকানা লিখে দিন আর ঘরে বসে ঔষুধ হাতে নিন৷ বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় হোম ডেলিভারিতে ঔষুধ পাঠিয়ে থাকি। 


💧১নং ঔষুধ=(গর্ভধারণের পিল/বড়ি) স্ত্রীর ৩ মাসের

💧২নং ঔষুধ =(কনসিভ পউডার) স্ত্রী ৩ মাসের ঔষুধ 

💧৩নং ঔষুধ =(সিমেন বুস্টার) স্বামীর ২ মাসের ঔষুধ


✅আমাদের নিয়ম মেনে সেবন করুন। ৩ মাসের মধ্যে একটা সুখবর পাবেন- ইনশাআল্লাহ 

✅বিঃদ্রঃ ঔষুধের সাথে সেবনের সকল নিয়ম থাকবে। 

না বুঝলে আমাদের মেসেজ বা কল দিবেনঃ 01608-849629

গাছের কান্না,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⛔গাছ কাটা বাড়ন⛔


সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মেঘা। সবুজ মাঠ, সরু মেঠোপথ আর মেঘনার শাখা নদীর মৃদু ঢেউ এই গ্রামটিকে সাজিয়ে রেখেছে। এখানকার মানুষের জীবন নির্ভর করে কৃষিকাজ আর নদীর মাছের উপর। তবে গ্রামের এক স্থানে পা ফেলতে আজও মানুষ ভয় পায়। দিনের আলো থাকলে সবাই নির্ভয়ে চলাফেরা করে, কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আর রাত গভীর হলে ভেসে আসে এক অদ্ভুত কান্নার শব্দ।


গ্রামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল প্রাচীন বটগাছ। বটগাছটি যে কত পুরনো, তা কেউ জানে না। কারও কারও মতে, এটি দুই শতাব্দীরও বেশি পুরনো। তার বিশাল শাখাপ্রশাখা আকাশ ছুঁতে চায়, শেকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে যেন ভূগর্ভের রহস্য খুঁজে বেড়ায়। দিনের বেলায় গাছটির নিচে মানুষজন বসে বিশ্রাম নেয়, ছোটরা খেলা করে, কিন্তু রাত হলেই গাছটি যেন তার আসল রূপ ধারণ করে। গ্রামের মানুষ বলে, রাতে গাছের নিচে গেলে আর ফিরে আসা যায় না!


প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটি মানুষের কল্পনা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটতে থাকল, যা পুরো গ্রামের রাতের ঘুম কেড়ে নিল। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ কান্নার আওয়াজ শোনা যেত—কখনো ফুঁপিয়ে কাঁদার মতো, কখনো করুণ আর্তনাদের মতো। যারা সাহস করে এগিয়ে যেত, তারা আর ফিরে আসত না, কিংবা ফিরে এলেও তাদের চোখের দৃষ্টি শূন্য হয়ে যেত।


একসময় গ্রামের ধনী ব্যক্তি হাজী সাহেব ঘোষণা দিলেন, "এটা নিছকই অলৌকিক গল্প। অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই! গাছের শেকড় আশেপাশের ফসল নষ্ট করছে, এটা কেটে ফেলতে হবে।"


সকালবেলা পাঁচজন কাঠুরে এল কুড়াল হাতে। কিন্তু প্রথম কোপ দিতেই তারা চমকে উঠল—গাছের গা বেয়ে বেরিয়ে এল গাঢ় লাল রঙের তরল, দেখতে একদম মানুষের রক্তের মতো! কাঠুরেরা আতঙ্কে পিছু হটে গেল। কিন্তু হাজী সাহেব হেসে বললেন, "তোমরা এত ভয় পাচ্ছ কেন? এটা স্রেফ গাছের রস!"


তবে ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হতে লাগল। কাঠুরেদের একজন রাতে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হলো। পরদিন আরেকজনের হাত কেটে গেল, যদিও সে খুব সাবধানে কাজ করছিল। তৃতীয় দিনে তারা যা দেখল, তাতে তাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল—গাছের কাটা অংশ রাতারাতি আবার আগের মতো জোড়া লেগে গেছে! যেন গাছটি নিজেই নিজের ক্ষত সারিয়ে তুলেছে!


সেই রাতেই কাঠুরে আব্দুল করিম একা গাছ কাটতে গেল। কিন্তু সকালে আর তার খোঁজ পাওয়া গেল না! সারাদিন খোঁজার পর বিকেলে তার নিথর দেহ পাওয়া গেল গাছের গোড়ায়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না, কিন্তু তার চোখ দুটি বিস্ফারিত, মুখ হা করা, যেন সে মৃত্যুর মুহূর্তে এমন কিছু দেখেছে যা তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে!


গাছের কান্নার আওয়াজ এবার আরও তীব্র হয়ে উঠল।


গ্রামের যুবক রাশেদ সাহস করে বলল, "আমি গিয়ে দেখে আসব!"


সেই রাতেই সে হাতে লণ্ঠন নিয়ে গাছের দিকে এগোল। কয়েকজন দূর থেকে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু কেউ সঙ্গে যেতে সাহস পেল না।


রাশেদ গাছের নিচে গিয়ে চিৎকার করে বলল,

"কে আছিস? বের হ!"


কোনো সাড়া নেই।


কিন্তু হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা এলো, গাছের পাতাগুলো কাঁপতে লাগল, অথচ আশেপাশের কোনো গাছ নড়ছিল না! মাটির নিচে যেন কিছু একটা নড়ছে! এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো, কারো হাত বেরিয়ে আসছে গাছের শেকড়ের নিচ থেকে!


পরদিন সকালে রাশেদকে পাওয়া গেল গাছের কাছেই পড়ে থাকতে। তার শরীর ঠান্ডা, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে। সে শুধু ফিসফিস করে বলল,

"ওরা... আমাকে নিয়ে যেতে চায়!"


এরপর থেকে সে আর স্বাভাবিক হয়নি। এক সপ্তাহ পর, রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা গেল!


গ্রামের প্রবীণ ফকির সাহেব বললেন,

"এই গাছ শুধু গাছ নয়, এটি এক ভয়ংকর ইতিহাস বহন করে। বহু বছর আগে এখানে কিছু ঘটেছিল, যার প্রতিধ্বনি আজও শোনা যায়!"


সেই রাতে কয়েকজন যুবক ও ফকির মিলে গাছের নিচে গেল। ফকির কিছু একটা খুঁজতে থাকলেন। হঠাৎ প্রবল বাতাস বইতে লাগল, গাছের চারপাশে এক অদ্ভুত পরিবেশ সৃষ্টি হলো!


তারা দেখতে পেল, গাছের গায়ে কালো দাগ রয়েছে, যা দূর থেকে দেখতে মানুষের হাতের ছাপের মতো!


ফকির কাঁপা গলায় বললেন,

"এই জায়গায় কিছু একটার অস্তিত্ব রয়ে গেছে। এটি কিছু বলতে চায়! কিন্তু কেউ তা শুনতে প্রস্তুত নয়!"


সেই রাতের পর থেকে গ্রামবাসীরা গাছের নিচে যাওয়া বন্ধ করে দিল।


আজও বটগাছটি দাঁড়িয়ে আছে, তার চারপাশে রহস্যময় বাতাস বইছে।


রাত যত গভীর হয়, বাতাসের গতি ততই থমথমে হয়ে আসে। মেঘা গ্রামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রাচীন বটগাছ যেন অন্ধকারের গভীরে আরও রহস্যময় হয়ে ওঠে। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু মাঝে মাঝে শিয়ালের কর্কশ ডাক আর ঝিঁঝি পোকার একঘেয়ে শব্দ শোনা যায়। কিন্তু রাত গভীর হলেই, সেই এক ভয়ংকর শব্দ ভেসে আসে—একটা চাপা কান্না, যা শুনলে শরীর অবশ হয়ে আসে।


প্রথমে মনে হয়, যেন কোনো শিশু ফুঁপিয়ে কাঁদছে। সেই কান্না করুণ, যেন কেউ হারিয়ে গেছে, সাহায্য চাইছে। কিন্তু সময় যতই বাড়তে থাকে, সেই কান্নার আওয়াজ বদলে যেতে থাকে। ফিসফিসানি, গভীর শ্বাসের শব্দ, অদ্ভুত গোঙানি—সব মিলিয়ে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়, যা সহজে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। অনেকেই কৌতূহলবশত গাছের কাছাকাছি গিয়ে সেই কান্নার উৎস খোঁজার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা যা দেখেছে, তা আর কাউকে বলতে পারেনি।


একবার গ্রামের রুহুল নামে এক সাহসী যুবক শপথ করেছিল, "আমি নিজে গিয়ে দেখব, এটা আসলে কী!"


সেই রাতেই সে হাতে লণ্ঠন নিয়ে গাছের দিকে এগোল। কয়েকজন দূর থেকে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু কেউ সঙ্গে যেতে সাহস পেল না।


গাছের নিচে পৌঁছে রুহুল কান পেতে শুনল—শুধু বাতাসের শব্দ। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর, সে জোরে বলে উঠল,

"কে আছিস? বের হ!"


কোনো সাড়া নেই।


কিন্তু হঠাৎ গাছের ডালপালাগুলো কেঁপে উঠল। আশেপাশের কোনো গাছ নড়ছিল না, কিন্তু সেই বটগাছের পাতা প্রচণ্ড শব্দে দুলছিল। গাছের গোড়া থেকে যেন মাটি ফুঁড়ে কী যেন বেরিয়ে আসছে!


লণ্ঠনের আলোয় রুহুল দেখতে পেল—মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে কিছু শুকনো, কালচে আঙুলের মতো শেকড়!


সে দৌড়াতে গিয়েও থমকে গেল—তার পায়ের নিচের মাটি যেন শক্ত হয়ে গেছে, যেন কিছু একটা তাকে ধরে ফেলেছে!


তারপর...


পরদিন সকালে রুহুলকে পাওয়া গেল গাছের গোড়ায় পড়ে থাকতে। তার শরীর ঠান্ডা, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে, চোখ দুটো বিস্ফারিত, আর মুখ হা করা। যেন সে মৃত্যুর মুহূর্তে এমন কিছু দেখেছে, যা তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে!


সেই রাত থেকেই কান্নার আওয়াজ আরও বেড়ে গেল।


গ্রামের প্রবীণ ফকির বললেন,

"এই গাছ শুধু গাছ নয়। এটা একটা ইতিহাস বহন করে। বহু বছর আগে এখানে কিছু এমন ঘটেছিল, যার প্রতিধ্বনি আজও শোনা যায়!"


কিন্তু কী সেই ইতিহাস?


এক বৃদ্ধা একদিন ফিসফিস করে বলেছিলেন,

"অনেক, অনেক বছর আগে এই জায়গায় এক পাষণ্ড জমিদার বহু মানুষকে হত্যা করেছিল। তারা মুক্তির প্রার্থনা করেছিল, কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করেনি। সেই আর্তনাদ আজও বাতাসে ভেসে বেড়ায়।"


সত্যি কি তাই? নাকি এই গাছের শেকড়ের নিচে লুকিয়ে আছে আরও ভয়ংকর কিছু?


কেউ জানে না।


কিন্তু সবাই জানে, রাতের গভীরে কেউ যদি একবার গাছের ছায়ায় ঢোকে, তাহলে সে আর আগের মতো থাকে না।


আজও গাছটি দাঁড়িয়ে আছে, তার চারপাশে রহস্যময় বাতাস বইছে। রাতের অন্ধকারে, কেউ কেউ বলে, তারা গাছের নিচে অদৃশ্য কারো ছায়া দেখেছে।


কেউ বলে, তারা শুনেছে নিঃশ্বাসের শব্দ।


আর কেউ কেউ বলে... তারা অনুভব করেছে, গাছের নিচে কেউ বসে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে!


কিন্তু সাহস করে এগিয়ে যাওয়ার মতো মানুষ আর কেউ নেই।


কেউ আর জানতেও চায় না, গাছটি কেন কাঁদে।

 ১৫ টি কারণে রোজা ভাঙে না (অথচ অনেকে মনে করে, এসব কারণে রোজা ভেঙে যায়)

 🔺 ১৫ টি কারণে রোজা ভাঙে না (অথচ অনেকে মনে করে, এসব কারণে রোজা ভেঙে যায়)


১) অনিচ্ছাকৃত বমি (মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙবে না। তেমনি, বমি কণ্ঠনালীতে এসে নিজে নিজে ভেতরে ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তির বমি এসে গেছে তার উপর কাজা নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেছে, তাকে কাজা আদায় করতে হবে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭২০; হাদিসটি সহিহ]


২) শরীর থেকে রক্ত বের হলে, শিঙ্গা লাগালে বা কাউকে রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। 


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমতাবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন (হিজামা করিয়েছেন), যখন তিনি রোজাদার। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৩৯]


আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রোজা অবস্থায় হিজামা তথা শিঙ্গা লাগানোকে কি আপনারা মাকরুহ মনে করতেন? তিনি বলেন, ‘না। তবে এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়লে তা মাকরুহ হবে।’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৪০] 


সুতরাং, রোজা অবস্থায় রক্ত দিতেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ দুটোই সেইম। এমনটিই বলেছেন বিশিষ্ট আলিমগণ।


৩) সুরমা, কাজল, সুগন্ধি ইত্যাদির দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হয় না। আনাস ইবনু মালিক (রা.) রোজাদার অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। [ইমাম আবু দাউদের সুনান সূত্রে ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার: ১৩০৫; সনদ হাসান; ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, হাকিকাতুস সিয়াম, পৃষ্ঠা: ৪০-৪১]


ইমাম যুহরি (রাহ.) বলেন, রোজা অবস্থায় সুরমা লাগানোতে কোনো সমস্যা নেই। [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ: ৯২৭৫; বর্ণনাটি সহিহ]


তেমনি, শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলেও রোজা ভাঙবে না। [ইমাম আবদুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ: ৪/৩১৩]


৪) মশা, মাছি, ধুলাবালি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলা বা পেটে ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না। ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, ‘‘কারো গলায় মাছি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না।’’ [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল মুসান্নাফ: ৬/৩৪৯; শায়খ ইবনু উসাইমিন, রমযান মাসের ৩০ আসর, পৃষ্ঠা: ১৫৩]


৫) ভুলে কিছু পানাহার করলে রোজা ভাঙবে না। হাদিসে এসেছে, ‘‘যে রোজাদার ভুলে খেয়ে ফেললো বা পান করে ফেললো, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে; কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৩৩]


৬) স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙে না।

কারণ স্বপ্নদোষ হওয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে কিছু চাপিয়ে দেন না।’’ [সুরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬]


৭) রোজা অবস্থায় অজ্ঞান, বেহুঁশ বা অচেতন হলে রোজা ভাঙবে না। তাবিয়ি নাফে’ (রাহ.) বলেন, ‘(সাহাবি) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা.) একবার নফল রোজা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে যান। কিন্তু এ কারণে তিনি রোজা ভঙ্গ করেননি।’ [ইমাম বাইহাকি, আস-সুনানুল কুবরা: ৪/২৩৫]


৮) ইবনু উমার (রা.) বলেন, ‘‘রোজা অবস্থায় মিসওয়াক—কাঁচা বা পাকা ডাল দিয়ে—করলে রোজার কোনো সমস্যা হবে না।’’ এমনকি ইফতারের পূর্বে মিসওয়াক করলেও অসুবিধা নেই। [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল মুসান্নাফ: ৯১৭৩; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]


[রামাদানে দিনের বেলায় টুথপেস্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এর কিছু স্বাদ মুখে পাওয়া যায়, ফলে এটি মাকরুহ। তবে, কেউ গিলে না ফেললে রোজা ভাঙবে না]


৯) নাইট্রোগ্লিসারিন-জাতীয় ইনহেলারে রোজা ভাঙবে না, তবে ভেনটোলিন ইনহেলারে রোজা ভেঙে যাবে। কারণ এর কিছু অংশ খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে। [মাসিক আল কাউসার সূত্রে ‘রমযান মাসের উপহার’, মাওলানা হাবীবুর রহমান]


১০) নাকে ড্রপ, স্প্রে ব্যবহারের পর তা যদি গলার ভেতরে চলে যায়, তবে রোজা ভেঙে যাবে। অবশ্য গলায় না গেলে বা স্বাদ অনুভূত না হলে রোজা ভাঙবে না। [মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিকহিল ইসলামি: ২/৪৫৪; মাসিক আলকাউসার সূত্রে ‘রমযান মাসের উপহার’] 


১১) খাবার ঠিকঠাক আছে কীনা তা বোঝার জন্য ঘ্রাণ নিলে রোজা ভাঙবে না। ইবনু উসাইমিন (রাহ.) বলেন, ‘খাবারের স্বাদ গ্রহণ করলে রোজা ভাঙবে না, যদি গিলে ফেলা না হয়।’ [রমযান মাসের ৩০ আসর, পৃষ্ঠা: ১৫৫]


তবে, বাধ্য না হলে এমনটি করা মাকরুহ। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহ.) বলেন, ‘প্রয়োজন ছাড়া খাবার চেখে দেখা মাকরুহ; তবে এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।’ [ফাতাওয়া কুবরা: ৪/৪৭৪]


১২) রোজা অবস্থায় নখ বা চুল কাটতে কোনো সমস্যা নেই। মেয়েরা হাতে-পায়ে মেহেদী দিলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। [শায়খ আহমাদ মুসা জিবরিলের রিসালাহ]


১৩) সহবাস ছাড়া স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হলে রোজা ভাঙবে না। তবে বীর্যপাত হওয়া যাবে না। 


আয়িশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজাদার অবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু খেতেন এবং তাদের সাথে (ঘনিষ্ঠ) মেলামেশা করতেন। তবে, নিজ আবেগ-উত্তেজনার উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিলো তোমাদের সবার চেয়ে বেশি।’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯২৭]

সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়ার পর যখন তাঁর মরদেহ বাহিরে রাখা হলো"তখন একদল মানুষ সেখানে এসে এই মানুষটার মৃতদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল।

 সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়ার পর যখন তাঁর মরদেহ বাহিরে রাখা হলো"তখন একদল মানুষ সেখানে এসে এই মানুষটার মৃতদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল।


যারা প্রত্যেকেই ইরাকের নাগরিক'পক্ষান্তরে তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেই ১২ জন আমেরিকান সেনা সদস্যের প্রত্যেকেই কেঁদেছিল।  


 ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি হয়েছিল আরও করুণ। 

শত্রুর গুলিতে না, তার মৃত্যু হয়েছিল নিজেরই 

দেহরক্ষীর গুলিতে। 


বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের দেহ নামাতে যে  লোকটি কবরে নেমেছিল, বঙ্গবন্ধুর মাতার মৃত্যুতে যে লোকটি মাটিতে শুয়ে কান্নায় গড়াগড়ি করেছিলো, শেখ কামালের বিয়ের উকিল বাপ যে মানুষটি ছিলো, ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট দুপুরে যে লোকটি বাসা থেকে তরকারী রান্না করে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাইয়েছিলো তারপরের দিন ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে সেই লোকই খুন করেছিল যার নাম খন্দকার মোশতাক...


ইতিহাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়, এক একটা সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাদের সব চাইতে কাছের মানুষদের হাত ধরে। সৌদি আরবের বাদশা ফয়সাল যখন তার ভাইপোকে আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে দু হাত বাড়িয়ে দিলেন, প্রতিউত্তরে হঠাৎই পকেট থেকে পিস্তল বের করে পরপর তিনটা গুলি করে বসলেন।   


গোয়েন্দারা আসামী সনাক্ত করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে, তার একটি হল প্রত্যেককেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা। সব চাইতে বেশি সন্দেহ তাকে করা যাকে মনে হবে সব চাইতে কম সন্দেহজনক।


ইতিহাস আমাদের বার বার শিখিয়ে গেছে, মানুষের জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে। 


আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, আপন মানুষদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল আপন মানুষরাই।

এই হলো উনিশটি উটের কাহিনী।

 ✅ রাজস্থানের একটি গ্রামে এক ব্যক্তির কাছে ১৯টি উট ছিলো। একদিন সেই ব্যক্তির মৃত্যু হলো। মৃত্যুর পূর্বে তিনি উইল করে গিয়েছিলেন, তার মৃত্যুর পর সেই উইলটি পড়া হলো। সেই উইলে লেখা ছিলো:- “তার মৃত্যুর পরে তার উনিশটি উটের মধ্যে অর্ধেক তার ছেলেকে, তার একের চতুর্থাংশ তার মেয়েকে, উনিশটি উটের মধ্যে পঞ্চম ভাগ তার চাকরকে দেওয়া হবে!”


আত্মীয়স্বজনরা খুব চিন্তায় পড়ে গেলো যে, এই ভাগ কি করে করা যাবে ?


উনিশটি উটের অর্ধেক অর্থাৎ একটি উটকে দু’ভাগ করতে হবে, তাহলে তো উটই মরে যাবে। আচ্ছা, একটা উট না হয় মারাই গেলো, এরপর আঠারোটি উটের এক চতুর্থাংশ–সাড়ে চার—সাড়ে চার –তারপর ??


সকলেই খুব চিন্তার মধ্যে ছিলো। তখন সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে পাশের গ্রাম থেকে এক বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে ডাকিয়ে আনলেন।


সেই বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিজের উটে চড়ে এসেছিলেন। তিনি সব কথা শুনে নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করলেন এবং বললেন, এই উনিশটি উটের সঙ্গে আমার উট মিলিয়ে ভাগ করে দাও।


সবাই ভাবতে লাগলো — যিনি মারা গেছেন, তিনি এক পাগল যিনি এমন উইল করে চলে গেছেন, এখন এই দ্বিতীয় পাগল এসেছেন, যিনি বলছেন — তার উটটি মিলিয়ে ভাগ করে দিতে। তবুও সবাই চিন্তা করে দেখলো, কোনো উপায় যখন নেই, এনার কথা শুনেই দেখা যাক।


১৯ + ১ = ২০


২০ এর অর্ধেক ১০টি উট ছেলেকে দেওয়া হলো।


২০ এর ১/৪ = ৫টি উট মেয়েকে দেওয়া হলো।


২০ এর ১/৫ = ৪টি উট চাকরকে দেওয়া হলো।


১০ + ৫ + ৪ = ১৯ টি।


যে একটি উট রয়ে গেলো, সেই উটটি বুদ্ধিমান ব্যক্তির ছিলো। সে সেই উটটি নিয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গেলো।


এইপ্রকারে একটি উট যোগ করাতে ১৯ টি উটের ভাগ সুখ, শান্তি এবং আনন্দের সঙ্গে হয়ে গেলো।


এমনই আমাদের জীবনেও উনিশটি উট আছে।


৫ টি জ্ঞানেন্দ্রিয় — চোখ, নাক, জিভ, কান, ত্বক।


৫ টি কর্মেন্দ্রিয় — হাত, পা, জিভ, দাঁত, পায়ু।


৫ টি প্রাণ — প্রাণ, অপান, সমান, ব্যান, উদান; 

এবং 


৪ টি অন্তঃকরণ — মন, বুদ্ধি, চিত্ত, অহংকার।


সবমিলিয়ে এই উনিশটি উট।


সারাজীবন মানুষ এই উনিশটি উটের ভাগ করতেই বিভ্রান্ত হয়। যতক্ষণ না তাতে “মানবিকতা” নামক উটটিকে মেলানো হয় ততক্ষণ প্রকৃত সুখ, শান্তি, সন্তুষ্টি আর আনন্দের প্রাপ্তিও যোগ হয় না।


এই হলো উনিশটি উটের কাহিনী।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ০৩-০৩-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ০৩-০৩-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।


বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কার্বন বাজারে বিনিয়োগে নরওয়ের আগ্রহ প্রকাশ।


কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন - বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার শুনানির দিন আগামী ৮ই মে ধার্য করেছে আদালত।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে শুনানি আজ।


মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহ পুনরায় চালু করতে ইসরাইলের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান।


আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে হারালো ভারত- আগামীকাল প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

মেয়েদের_জন্য_কিছু_উপদেশঃ

 মেয়েদের_জন্য_কিছু_উপদেশঃ


১। মেয়েরা শরীরের কাপড় চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই "বিসমিল্লাহ" বলে নিবেন। নইলে আশেপাশে থাকা ফেরেশতারা লজ্জা পেয়ে চলে যাবে💝💝💝


২। আপনি যখন ওয়াশরুমে যাবেন, যাওয়ার আগে অবশ্যই দোয়া পড়ে নিবেন। তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আপনার ও জ্বীনদের মধ্যে একটি পর্দা তৈরী করে দেবে। এতে করে খবিশ জ্বীন গুলো আপনাকে ধর্ষণ করতে পারবে না💙💙


৩। কোথাও কিছু ফেলার আগে বিসমিল্লাহ বলে ফেলবেন। এতে অন্যান্য সৃষ্টির কোনো অসুবিধা হবেনা💚💚


৪। বাহিরে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ফেরেশতাদের সালাম দিয়ে বের হবেন ও দোয়া পরে বের হবেন।যেসব ফেরেশতারা আপনার অনুপস্থিতি তে আপনার ঘরটি পাহারা দিলেন ঘরে এসে তাদের আবারো সালাম দিন। এটা ভদ্রতা💛💛


৫। বেশি বেশি সালাম দেওয়ার অভ্যাস করুন। ছোটদের আগে সালাম দিন। তারা উৎসাহিত হবে💛💛


৬। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বাচ্চাদেরকে ছোট থেকে মসজিদে পাঠানোর অভ্যাস করুন। দাঁড়িয়ে পানি খেতে দিবেন না বাচ্চাদের, তারা ছোট থেকেই শিখবে। আপনি নিজেও দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া বন্ধ করুন। বসে খাবেন। এটা সুন্নাহ💖💖


৭। ডান কাত হয়ে ঘুমাবেন। এটা সুন্নাহ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ঘুমের আগে অবশ্যই ৩ কুল পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনাকে সারারাত বদ মানুষ ও জ্বীন থেকে হেফাজত করবে, ইন শা' আল্লাহ💙💙


৮। প্রতিরাতে অবশ্যই সুরা মুলক পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনার কবরের জীবনের সাথী, আপনাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচাবে ইনশাআল্লাহ্💖💖


৯। ঘুমের আগে প্রতিদিন বিছানা ঝাড়েন অথচ এটা সুন্নত মনে করে ঝাড়লেই পেয়ে যাচ্ছেন সওয়াব!💜💜

অনুরূপ ভাবে কাপড় পড়ার আগে অবশ্যই একটু ঝেড়ে নিবেন এটা সুন্নাহ এবং কাপড়ে কোনো পোকামাকড় থাকলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা।💖💖


১০। খিলখিল করে হাসা বন্ধ করুন। মুচকি হাসবেন। এটাই সুন্নাহ!💝💝


১১। রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমাবেন এতে করে শয়তান আপনার নিকট আসতে পারবে না। 💚💚

১৩। ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লাহ আকবর পড়ে নিবেন।❤❤


১৪। রাতে ওযু করে ঘুমাবেন এতে করে সারা রাত একজন ফেরেশতা আপনার জন্য দোয়া করতে থাকবে।💙


১৫। ঘুমানোর আগে সবাইকে মাফ করে দিয়ে এবং আপনি নিজে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে ঘুমাবেন।


১৬। রাতে ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার  নিয়ত করে ঘুমাবেন আপনি যদি ঘুমের কারনে নাও উঠতে পারেন তারপরও তাহাজ্জুদ এর সওয়াব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ 💜

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০২-০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০২-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।            


 বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কার্বন বাজারে বিনিয়োগে নরওয়ের আগ্রহ প্রকাশ।                                                        


 নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত --- কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন --- বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।                                


 তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার শুনানির দিন আগামী ৮ই মে ধার্য করেছে আদালত।     

                জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে শুনানি আগামীকাল।                                


 হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গাজায় সকল মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করলো ইসরাইল।                             


 এবং দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে ভারত।

কোনো এক গাঁয়ের বধুর কথা ॥

 ॥ কোনো এক গাঁয়ের বধুর কথা ॥


সালটা ১৯৪৫। তখন সদ্য বিবাহিত হেমন্ত ভবানীপুরের বাসার কাছে, ইন্দিরা সিনেমার উল্টো দিকে, ইন্দ্র রায় রোডে সস্ত্রীক বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন।


একদিন হঠাৎ সেখানে হাজির এক যুবক। এর আগে দেবব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে ঐ যুবকের সাথে হেমন্ত বাবুর আলাপ হয়েছিল, তবে তেমন কিছু নয়! যুবক তখন আপিটিএর সঙ্গে যুক্ত। নতুন সুর করে। আর সেই তৈরি করা সুর আইপিটিএ-র ফাংশান স্কোয়াডেই এখানে ওখানে গেয়ে বেড়ায়। গ্রামোফোন কোম্পানিতে তখনও সুযোগ পায়নি।


যাইহোক সেদিন হেমন্ত বাবুকে ঐ যুবক বেশ কয়েকটা গান শোনালেন। প্রগ্রেসিভ গান, স্কোয়াড এর জন্য উপযুক্ত। কিন্তু সোলো রেকর্ড করার মতো নয়।


গান শুনে হেমন্ত বাবু বেশ প্রসংশাও করলেন, কিন্তু বললেন- "এসব গান তো আর রেকর্ড করা যাবে না, অন্য গান থাকে তো দাও।


সেই মুহূর্তে ঐ যুবকের অন্য কোন গান মনে পড়ছিল না। শেষে হেমন্ত বাবুর থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, হেমন্ত বাবুও এগিয়ে দেওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে নামছেন, হঠাৎই ঐ যুবকের একটা আধখানা অসমাপ্ত গানের কথা মনে পড়ল।


সঙ্গে সঙ্গে সে হেমন্ত বাবুকে বলল— “হেমন্তদা, একটা অন্য ধরনের গানেরও সুর করেছি। আমারই লেখা। অবশ্য এখনও পুরোটা লেখা হয় নি। তা যেটুকু হয়েছে শোনাব?”

দুজনেই আবার ফিরে এলেন। ঐ আধখানা গান শুনে হেমন্ত বাবু বললেন- “রেকর্ড করার পক্ষে এটাই ঠিক গান! কিন্তু আরো বড় করতে হবে। কাহিনী-সংগীত যখন, রেকর্ডের দু’পিঠের মতো কথা বাড়াও। তাহলে খুব ভাল হবে। তুমি এটা তাড়াতাড়ি শেষ করে নিয়ে এসো।”

সেই রাতেই ঐ যুবক ঐ গানটা শেষ করে, বাকি অংশটা সুর করে কয়েকদিনের মধ্যেই হেমন্ত বাবুর হাতে তুলে দিলেন।


ওইসময় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাজার দারুন। যে গানই করছেন, হটকেক! তবে এহেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুপারিশ সত্ত্বেও গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ড করতে চায়নি সেই গান। তাদের বক্তব্য — এ সব পাঁচালি কে শুনবে? কে কিনবে?

অবশেষে গণনাট্য সঙ্ঘের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা কোম্পানির রেকর্ডিং-ইন-চার্জ ক্ষিতীশ বসু মধ্যস্থতা করেন।


ইতিমধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। ঐ যুবকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে রাজনীতি করার ফলে। সুতরাং খানাতল্লাশি এড়াতে তিনি আত্মগোপন করলেন।


এদিকে সুরকারের অবর্তমানেই হেমন্ত বাবু গানটা রেকর্ড করলেন। যুবক সুরকারের ছকে দেওয়া যন্ত্রানুসঙ্গেই গানটি রেকর্ড করেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় নিজেই।


কিছু দিনের মধ্যেই এইচএমভি-র শারদ অর্ঘ্যে ঠাঁই হয় সেই কালজয়ী গানের। তার পর যা হয়েছিল তা তো ইতিহাস! রেকর্ডটির দু'পিঠ জুড়ে গানটা রিলিজ করল। 


এদিকে ঐ যুবক সুরকার-গীতিকার তখনও আত্মগোপন করেই আছেন। এ গান তিনি শুনেছিলেন ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ থেকে। সন্দেশখালিতে পার্টির গোপন ডেরায় বসে। এই সাফল্যে তিনি উল্লসিত হলেও তাঁর কমরেডরা হননি। গণনাট্য সঙ্ঘের যে সব সর্বভারতীয় সম্মেলনকে ‘আমার সংগীতের বিশ্ববিদ্যালয়’ বলতেন সলিল, সেই গণনাট্য সঙ্ঘের আসরে এ গান নিষিদ্ধ হয়েছিল।


তবে এই গানের মাধ্যমেই দিকে দিকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ল। বাংলা গানের জগতে এক নতুন দিক নির্দেশ হল ঐ গানের মাধ্যমেই। সৃষ্টি হল এক নতুন জুটির।


সেদিনের ঐ যুবকের নাম সলিল চৌধুরী। আর সলিল চৌধুরী ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জুটি বাংলা গানের এক নবজাগরণ। আর এই জুটির সূচনাবিন্দুতে আছে প্রায় ছ’মিনিট দৈর্ঘ্যের এই গান—


“কোনো এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো,

রূপকথা নয় সে নয়।

জীবনের মধুমাসের কুসুম-ছিঁড়ে-গাঁথা মালা

শিশির-ভেজা কাহিনি শোনাই শোনো।”


সত্যি বলতে কি, একটা গানের মধ্যে যুগলক্ষ্মণ ফুটে ওঠার পাশাপাশি কী ভাবে যুগযন্ত্রণাও ফেটে বেরোতে পারে, ‘গাঁয়ের বধূ’ শোনার আগে বাঙালি জানত না। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলা জুড়ে যে দুর্ভিক্ষ হয়, যাকে ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’ বলা হত আগে, যাকে ‘চার্চিলস সিক্রেট ওয়র’ বলার চল হয়েছে এখন, তাতে অন্তত ৫০ লক্ষ বাঙালির মৃত্যু হয়। ওই দুর্ভিক্ষ কী ভাবে বাংলার কৃষি অর্থনীতির ভিত চুরমার করে দিয়েছিল, তার ‘ব্যথার পাহাড়’ বয়ে এ গান তৈরি করেছিলেন সলিল চৌধুরী।


শিল্পবাণিজ্যের পরিভাষায় ‘গেম চেঞ্জার’ বলে একটা কথা আছে। নাগরিক বাঙালির শ্রবণবিশ্বে ‘গাঁয়ের বধূ’ গানটা তাই।

____________________________

©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর 

কৃতজ্ঞতা: আনন্দবাজার পত্রিকা ও সারেগামা (HMV)

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...