এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

কালোজিরা দিয়ে ৮টি জটিল রোগের চিকিৎসা করুন ঘরে বসেই

 ✅ কালোজিরা দিয়ে ৮টি জটিল রোগের চিকিৎসা করুন ঘরে বসেই। যাঁরা মোটা হতে চান, তাঁদের জন্য কালোজিরা যথাযোগ্য পথ্য। আবার যাঁদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পানি জমতে বাধা দেয়। কালোজিরা শরীরের জন্য খুব জরুরি। 


সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালোজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে। 


কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না। 


আমাদের মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। 


কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। 


দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

ফিটকিরির এত গুণ জানতেন কি? জেনে নিন।

 ✅ ফিটকিরির এত গুণ জানতেন কি? জেনে নিন।

ফিটকিরির এত গুণ – তখন তো আর এখনকার মতো ফিল্টার ছিল না। বাড়ির বয়স্ক মানুষটিকে দেখা যেত, জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে নিশ্চিন্ত হতেন। জল পরিস্রুত হয়ে, নোংরা থিতিয়ে পড়ত নীচে। বা, দাড়ি কাটতে গিয়ে ব্লেডে গালটা আচমকা কেটে গেলে, স্যাভলন বা কোনও আফটারসেভের খোঁজ পড়ত না। হাতের কাছে থাকা ফিটকিরির ডেলা গালে ঘষে নিতেন। ব্যস, রক্ত বন্ধ। এমন প্রচুর গুণ কিন্তু রয়েছেফটকিরির।


সর্বঘটের কাঁঠালি কলা: তা আপনি বলতেই পারেন। আগে তো বাড়ির মেয়েরা রূপচর্চা করতেও ফটকিরি ব্যবহার করতেন। তার কারণ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। তা ছাড়া, যেহেতু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই দাঁতের রোগেও কিন্তুফিটকিরিভালো কাজ দেয়।


আঙুলে হাজা: অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারণে হাতে হাজা হলে, বা, পায়ের পাতা ফুললে, নিশ্চিন্তে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো ফটকিরি জলে ফেলে, জলটা ভালো করে গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, পা চুবিয়ে রাখুন। দুরন্ত আরাম পাবেন।


হঠাৎ রক্ত: দাড়ি কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, সেলুনে এখনও ফটকিরি ঘষে দেয়। যদি, গাল কাটাই নয়, যে কোনও আঘাতে রক্তপাত হলে, সেখানে ফটকিরি চূর্ণ করে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বেরোনো বন্ধ হবে।


টনসিলে আরাম: ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে বা গ্ল্যান্ড ফুললে, গরম জলে এক চিমটে নুন ও ফটকিরি চূর্ণ মিশিয়ে, দিনে কয়েকবার গার্গেল করুন। স্বস্তি পাবেন।


ব্রন-ফুসকুড়ি: মুখে ব্রন-ফুসকুড়ি হচ্ছে? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফটকিরি ঘষুন। বা ফটকিরি চূর্ণ জলে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, কিছুক্ষণ পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে কিছু দিন করলে, মুখে ঊজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রন-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।


দাঁতে যন্ত্রণা: দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বা, মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? সব মাজনে চেষ্টা করেও, মুখের গন্ধ যাচ্ছে না? তাই কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না? আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে ফটকিরি। গরম জলে ফটকিরি গুলে নিয়ে, কুলকুচি করুন। আপনি দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না

টবে পেয়ারা চাষ পদ্ধতি।

 টবে পেয়ারা চাষ পদ্ধতি।


পেয়ারা একটি জনপ্রিয় প্রিয় ফল। বর্তমানে সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। টবে/ ছাদে রোপন এর অনেক ভাল ফলন পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই ছাদে পেয়ারা চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে।


পেয়ারার জাত: 


বাংলাদেশের চাষ উপযোগী অনেকগুলো জাত আছে পেয়ারার। সকল জাতের পেয়ারাই ছাদেও চাষ করা সম্ভব। এর মধ্যে এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-১ (মিষ্টি), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৪ (আপেল), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৫ (ওভাল), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৬ (জেলি) এবং থাই পেয়ারা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ইপসা -১ এবং ইপসা -২ পেয়ারাও ভাল জাতের পেয়ারা।


টবে ও মাটি প্রস্তুতকনণ:


ছাদে বাগানের জন্য ২০ ইঞ্চি ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের শুড়কি ও ১ ইঞ্চি পরিমাণ বালু দিতে হবে।


টবে পেয়ারা রোপনের জন্য দুই ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, দুই ভাগ জৈব সার,  এক ভাগ কোকোপিট, হাফ কেজি সরিষার খৈল, ২৫০ গ্রাম হাড় গুড়ো এবং  ৫০ গ্রাম এমওপি,  ৫০ টিএসসি  সার একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ২৫ দিন রেখে দিন, এর মধ্যে কয়েক দিন পর পর মাটি গুলো উলটে-পালটে দিন। ২৫ দিন পর পছন্দের পেয়ারা গাছটি টবে সুন্দর করে বসিয়ে দিয়ে টবে ভরপুর পানি দিন।


অন্যন্য পরিচর্যা:


প্রতিমাসে ২ মুঠো সরিষার খৈল ১ চামচ ইউরিয়া ২ চামচ হাড় গুড়ো এবং ১ চামচ পটাশ ভাল করে মিশিয়ে টবে প্রয়োগ করুন। এতেই আপনার শখের পেয়ারা সুন্দর করে বেড়ে উঠবে।


এ ছাড়া মাঝে মাঝে সরিষার খৈল ভেজানো পানি দেওয়া যেতে পারে।


ডাল-পালা ছাটাই: 


গাছ লাগানোর ২ বছর পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পেয়ারার ডাল কেটে দিতে হবে। ছাদের গাছকে যতটা সম্ভব ছোট রাখতে হবে। ডাল পালা বড় হলে ফলন কম হবে। গাছকে ছোট রাখলেই ছাদের গাছে অধিক ফলন পাওয়া যায়।


টিপস:


গাছে যদি প্রচুর ফল আনতে চাও তাহলে জিঙ্ক এবং বোরোন মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে স্প্রে করতে হবে। বাজারে জিঙ্ক এবং বোরোন মাইক্রো নিউট্রিয়েন্স নামে পাবেন। ১ লিটার পানিতে ৩০ ফোটা দিয়ে ঐ মাস গুলোতে স্প্রে করতে হবে।


পেয়ারা গাছে সাধারণত বছরে তিনবার ফুল আসতে দেখা যায়। এ কারণে ফাল্গুন-আষাঢ় ও কার্তিক মাসে কাছে আলাদা কিছু সার প্রয়োগ করতে হয় । পঁচা গোবর ২ কেজি, ইউরিয়া ৫০ গ্ৰাম, ফসফরাস ৮০ গ্ৰাম এবং পটাশ ৫০ গ্ৰাম পেয়ারা গাছের গোড়া থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সেরা কিছু খাদ্য

 জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সেরা কিছু খাদ্য 👇


জরায়ু মুখের ক্যান্সারের কারনে প্রতিবছর অনেক প্রান ঝরে যায়। আমাদের দেশে ক্যান্সার এর কারনে মৃত্যুর জন্য এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আগে এটি প্রথম অবস্থানে ছিল, বর্তমানে টিকা আবিষ্কার ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।


বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং এদের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ যতজন রোগী শনাক্ত হয়, তার প্রায় অর্ধেকই মৃত্যুবরণ করে। তবে আশার কথা এই যে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে জরায়ুমুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয়ে যায় এবং এটিই একমাত্র ক্যানসার, যার টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।


তাই এই ক্যান্সার রুখতে আমাদের আগে থেকেই সচেতন হতে হবে কারন এর প্রতিকার সম্ভব না হলেও প্রতিরোধ সম্ভব।


প্রতিরোধ করতে কি খাবো:


 ফ্লাভিনয়েডস: ফ্ল্যাভোনয়েড হল কালারফুল ফল এবং সবজির রাসায়নিক যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার একটি প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবারের কয়েকটি উদাহরণ হলো:


আপেল, কালো শিম, ব্রকলি, বাঁধাকপি, টমেটো, রসুন, লেটুস, মটরশুটি, পেঁয়াজ, সয়া, পালং শাক


ফোলেট বা ফলিক এসিড (ভিটামিন বি৯):


গবেষণায় দেখা গেছে যে ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার (একটি জলে দ্রবণীয় বি ভিটামিন) সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে:


অ্যাভোকাডোস, ছোলা, সিরিয়াল (ওটস, বার্লি) এবং রুটি, মসুর ডাল, কমলার শরবত, লেটুস, স্ট্রবেরি


ক্যান্সার প্রতিরোধে যেসব খাবার খাবেন


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে বিশ্বের ৯.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যানসারের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যেক বছর নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হচ্ছেন তিন লক্ষ মানুষ। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন করতে পারলে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে ক্যানসারকে। এই মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবার জানা দরকার।


কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, অন্য দিকে বেশ কিছু খাবার আছে যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।


প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী, নিরামিষ খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। পুষ্টি বিজ্ঞানীরাও আজ সে কথা মানেন। পেয়ারা, আম, জাম, আপেল, কলা-সহ যে কোনও টাটকা ফলমূল ও বিট, কুমড়ো, টোম্যাটো, ঢেঁড়সের মত সবজি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে।


প্রতিদিনই যে সবজি ও ফল খেতে হবে তা নয়, চেষ্টা করবেন রোজের খাবারের তালিকায় মৌসুমি সবজি ও ফল রাখার। ক্যানসার প্রতিরোধসহ আমাদের সামগ্রিকভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু ফল ও সবজি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-


কলা: বছরের প্রতিটি সময় কলা পাওয়া যায়। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে রোজ কলা খাওয়া যেতে পারে। সেলেনিয়ামের সক্রিয় যৌগের এক শক্তিশালী উৎস এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি ক্যানসার কোষ বিনষ্ট করতে পারে ।


আপেল: দাম বেশি হলেও সারা বছরই এই ফল বাজারে পাওয়া যায়। এতে আছে প্রোসায়ানিডিনস, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কার্যকর।


ডালিম বা বেদানা: ডালিমে থাকে ফলিফেনল নামে এক যৌগ, যা ক্যানসার সৃষ্টকারী কোষ ধ্বংস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।


আঙুর: আঙুরে আছে রেসভেরাট্রল, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।


কমলালেবু: এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যানসার ফাইটার। কমলালেবুর কোয়ায় থাকা ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড (২_এইচএফ) স্তন ও ফুসফুস ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


টমেটো: টমেটোতে থাকে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসারের মহা শত্রু। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে টমেটো রাখতে ভুলবেন না। 


ব্রকোলি: এই সবজি এখন আমাদের দেশেও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এই সবুজ রঙের সবজিটি ইনডোল-৩ কারবিনোল নামক ফাইটোকেমিক্যালসের এক অন্যতম ভাণ্ডার। এই উপাদানটি ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে পারে।


বিট: এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।


নটে শাক: যার বিজ্ঞানসম্মত নাম অ্যামারান্থাস ভিরিডি‌ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যানসাররোধক।


ফুলকপি : যেসব লোক ফুলকপি ও বাঁধাকপি জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ইউরোপীয় গবেষণা অনুযায়ী, যারা এ জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।


রসুন : এই তীব্র কটু ঔষধি অ্যালাইল সালফার যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে রসুন কোলন ক্যান্সারের কম ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন হার্টের জন্যও খুবই উপকারী।


নিয়মিত বাদাম খান : বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যারা প্রতিনিয়ত বাদাম খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি এমনিতেই কমে যায়। কারণ বাদাম শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ক্যান্সারের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেহেতু বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে,তাই বাদাম শুধু সামান্য কিছু কারণের ঝুঁকি কমাতে পারে।


অ্যালকোহল পরিহার করুন : অতিরিক্ত অ্যালকোহল মুখ, গলা, খাদ্যনালী, এবং স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই অ্যালকোহল পুরোপুরি পরিহার করতে হবে।


ক্যারোটিনয়েড:


কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন এ-এর উৎস ক্যারোটিনয়েড জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধে সহায়ক। উপরের তালিকায় ফল, শাকসবজি এবং মটরশুটি ছাড়াও, আপনি আপনার ডায়েটে কমলা, গাজর, মিষ্টি আলু, কুমড়া এবং শীতকালীন সতেজ সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।


এছাড়াও নিয়মিত খেতে পারেন:


১. হলুদ


২. ভিটামিন সি


৩. ওমেগা ৩


৪.  ভিটামিন ডি


দেহে কোনো পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন।


খাবার প্রতিরোধ এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এর পাশাপাশি আপনাকে আরো কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে হবে।


১৬ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে না দেওয়া, জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ৫ বছরের বেশি সময় ধরে সেবন না করা,


বহুগামিতা রোধ


ধূমপান বন্ধ,


সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ কিংবা অপরিচ্ছন্নতার কারণেও জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে।


ক্যান্সার রাতারাতি হয় না।দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।তবে আপনি চাইলেই এখন এ ঝুঁকি কমাতে পারেন। তারজন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু খাবার। তাহলে জেনে নিন ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার সম্পর্কে।


বসে থাকার অভ্যাস কমাতে হবে : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে ২৪ শতাংশ বেশি। তাই একটানা বসে না থেকে এক ঘন্টায় অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও চারপাশে পায়চারি করাতে হবে।বংশগত কারণে অনেকের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়ত, জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণেও ক্যান্সার হতে পারে। কেউ যদি সময়মতো না খায়, পরিমাণমতো না ঘুমায় তাতে তার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর এই ওজন বাড়ার ফলে ক্যান্সার  হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তৃতীয়ত, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যেমন ধরুণ যেসব খাবারে নানা ধরনের রং বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, ফরমালিন ব্যবহার করা হয় এমন খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। সোজা কথায় সচেতনতার অভাবে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়ে।


এগুলো সচেতনতা মুলক পোষ্ট পছন্দ হলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। 

#হেকিমি_দাওয়াখানা

১৮ টি সহজ উপায় আছে, হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:

 ✅১৮ টি সহজ উপায় আছে, হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:


👉১) প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া স'ক্রিয় হয় এবং পাকস্থলীর এসিড ব্যালান্স ঠিক থাকে।


👉২) খাবারের সঙ্গে আদা, জিরা, গোলমরিচ ও ধনে ব্যবহার করলে পাচনতন্ত্রের এনজাইম উৎপাদন বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।


👉৩) প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পরিমাণ পানি পান করলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং কো'ষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


👉৪) খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে হজম প্র'ক্রিয়া সহজ হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।


👉৫) টক দই বা ফারমেন্টেড খাবার খেলে অ'ন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।


👉৬) খাবারের পরপরই শুয়ে না পড়ে ১০-১৫ মিনিট স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং গ্যা'স্ট্রিক সমস্যা কমে।


👉৭) প্রতিদিন কিছু সময় ইয়োগা বা স্ট্রে'চিং করলে অ'ন্ত্রের সঞ্চালন ঠিক থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।


👉৮) পেঁপে, আনারস ও কলার মতো এনজাইম সমৃদ্ধ ফল খেলে হজমের গতি বৃদ্ধি পায় এবং পেট ফাঁ'পা কমে।


👉৯) অতিরিক্ত চা, কফি, কোল্ড ড্রিংক্স গ্রহণ কমালে পাক*স্থলীর প্রদাহ কমে এবং হজমশক্তি স্বাভাবিক থাকে।


👉১০) প্রসেসড ও প্যাকেটের খাবার এড়িয়ে চলুন।


👉১১) বেশি রাত করে খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং রাতের খাবার হালকা রাখুন, এতে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।


👉১২) মানসিক চাপ কমালে হজমশক্তি উন্নত হয়, কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ হজমের এনজাইম ক্ষরণ কমিয়ে দেয় এবং গ্যাস, অ্যা'সিডিটি বাড়ায়।


👉১৩) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্য বেশি পরিমাণে খেলে অ'ন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কো'ষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


👉১৪) নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক রাখুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন, কারণ ঘুমের অভাব হজমশক্তি দুর্বল করে দেয়।


👉১৫) প্রতিদিন এক চিমটি মৌরি চিবিয়ে খেলে গ্যা'স, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যা কমে।


👉১৬) সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন গরম ভেষজ চা, যেমন আদা-লেবু চা বা পুদিনা চা পান করলে হজমশক্তি ভালো থাকে।


👉১৭) অতিরিক্ত তেল-মশলা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এবং গ্যা'স্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়।


👉১৮) নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে হাঁটা ও হালকা ব্যায়াম করলে অ'ন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং হজমশক্তি স্বাভাবিক থাকে।


#viralpost2025シ #viralreelsシ #foryoupageシforyou #foryoupagereels #viralreelsfb #reelschallenge #foryoupageシ #foeyoupage #foryourpage #foodblogger #health #healthylifestyle #healthtips

নজরুলের চিকিৎসা বিড়ম্বনা ও অজানা তথ্য (১-ম পর্ব ) ::::(সৌজন্যে: শুভাশীষ ঘোষ)

 নজরুলের চিকিৎসা বিড়ম্বনা

ও অজানা তথ্য (১-ম পর্ব ) ::::


বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অকস্মাৎ বাকরুদ্ধ হন ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই। ১৯৪২ সালের ১৭ জুলাই কবির অসুখের অষ্টম দিবসে কাজীর শাশুড়ি গিরিবালা দেবীর বিবৃতি অনুসারে কাজী নজরুলের জিহ্বার আড়ষ্টতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। সকাল থেকেই তিনি উত্তেজিত এবং বেশ জোরেশোরে চেঁচিয়ে ক্রোধের সাথে কথা বলছেন। তবে তার সব কথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। গিরিবালা দেবীর চিঠি পেয়ে চুরুলিয়া থেকে কাজীর বড় ভাই ও ছোট ভাই সাহেবজান ও কাজী আলী হোসেন ইতোমধ্যে চলে এসেছেন। তারা দুজনে বললেন ডা. বিধান চন্দ্র রায়কে (১৮৮২-১৯৬২ খ্রি.) দিয়ে দেখাবার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় কি না। কবির চেহারা বিমর্ষ, দীপ্তিহীন।


নির্জীব, নিস্তেজ অবস্থায় তিনি বিছানায় পড়ে রয়েছেন।

অসুখের শুরু থেকেই কবির খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ঠিক উন্মাদের মতোই তাড়াহুড়া করে আবার কখনো বা বাঁ হাতে তিনি খাবার মুখে পুরে দিতেন। তার শাশুড়ি গিরিবালা দেবী মাছের কাঁটা বেছে না দিলে নিজে কাঁটা ছাড়িয়ে খাওয়ার খেয়ালও তার লোপ পেয়ে গিয়েছিল। সে দৃশ্য বড়ই করুণ। তবে এই অসুখের বেলায়ও তার খাওয়ার রুচি হ্রাস পায়নি। বেশ খেতে পারতেন।


কিছু দিন পর কবির আবার এক নতুন উপসর্গ দেখা দিল। কোনো কোনো দিন অস্বাভাবিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়তে লাগলেন এবং স্বগত অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে শুরু করলেন। ক্রমে ক্রমে এমনি অবস্থা দাঁড়াল যে, তার পাগলামির জন্য তাকে বাড়িতে রাখা একরকম অসম্ভব হয়ে উঠল। সেই ছোট্ট বাড়িটার একটা ছোট্ট কামরায় তাকে আবদ্ধ করে রাখা হলো। কিন্তু সেখানেও বাহ্য-প্রস্রাব করে নোংরা করতে শুরু করলেন। একেক দিন এমনও দেখা গেল যে, মলমূত্র ত্যাগ করে সেই কামরাতেই তিনি সেগুলো দুই হাতে চটকাতে থাকতেন এবং কাপড়-চোপড় ছুড়ে ফেলে দিয়ে উলঙ্গ হয়ে বসে আছেন। কখনো বা বিড়বিড় করে, আবার কখনো বা জোরে জোরে নানা ধরনের শালীনতাহীন উক্তি করেছেন।


সে সময় ওই কামরায় কারো যাওয়ার সাহস হতো না, কবির কনিষ্ঠ সহোদর কাজী আলী হোসেন তখন তার চুরুলিয়ার বাড়ি থেকে এসে এখানে দিনকয়েক ছিলেন। তিনি কবির চেয়েও যথেষ্ট বলিষ্ঠ চেহারার শক্তিমান পুরুষ। অধিকাংশ সময় কবিকে কবির কনিষ্ঠ সহোদর কাজী আলী হোসেন কবিকে ধরে নিয়ে পাশের বাথরুমে কলতলায় নিয়ে গিয়ে গা ধুয়ে কাপড় বদলিয়ে দিতেন এবং কবির মাথায় তেল দিয়ে চুল অাঁচড়িয়ে তাকে সভ্যভব্য করে তুলতেন।


সামনে খাবার নিয়ে দিলে কোনো কোনো সময় খেয়েছেন, আবার কখনো বা ভাত-তরকারি কিংবা অন্য যে কোনো খাবার হোক, হাত দিয়ে চটকিয়ে মেঝের ওপর লেপে দিয়েছেন এবং সেই চটকানো হাত মাথায় ঘষেছেন। কবির কী নিদারুণ চেহারা, কী নিদারুণ দৃশ্য। শুধু দুই চোখ ফেটে প্রিয়জনদের দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়েছে।


শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক নজরুলের অসুস্থতার খবর শুনে টেলিফোনে ডক্টর শ্যামা প্রসাদকে (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) বললেন, 'শ্যামা প্রসাদ, কবি নজরুল ইসলাম অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি যতটুকু শুনলাম তাতে প্যারালাইসিস বলেই মনে হচ্ছে। ডা. বিধানকে দেখানোর জন্য আমাকে এসে ধরেছে। বিধান রায়কে দিয়ে নজরুলকে দেখানোর ব্যবস্থা তুমি করে দাও। আমার সময় কই?' ১০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত নজরুলের অসুস্থতার সব ঘটনা ডক্টর মুখার্জি শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়লেন। তিনি বললেন, কবি নজরুলের আর্থিক ব্যবস্থা হচ্ছে না কেন? কবির আর্থিক অবস্থা কেমন? গিরিবালা দেবী বললেন, আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। দেনার দায়ে তিনি ডুবে রয়েছেন। ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি শিউরে উঠলেন। কী বলছেন আপনি? কবি নজরুল দেনার দায়ে ডুবে রয়েছেন। তমিজ উদ্দিন তখন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী তার কাছে গেলে শফিকুল ইসলাম (তখন তিনি ছাত্র) বলে উঠলেন, নজরুল ইসলামের অসুখ তো এখানে কেন? তমিজ উদ্দিন সাহেব কী করবেন? হক সাহেবের কাছে গেলে ভালো হয় না? মুসলিম সমাজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে 'নবযুগে' লিখছেন সেই কবিকে মুসলমান কেন সাহায্য করতে যাবে? একজন মুসলমান হিসেবেই এই কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে কবি নজরুল ইসলাম বর্তমানে মুসলিম স্বার্থবিরোধী লোক। হক সাহেবের কাছে গেলে হক সাহেব সব শুনে বললেন, 'নজরুলকে রাঁচি পাঠিয়ে দাও। পাগলের জন্য রাঁচিতে গভর্নমেন্ট সুন্দর ব্যবস্থা করে রেখে দিয়েছে। বাড়িতে রেখে কি পাগলের কোনো চিকিৎসা করা যায়?'


কমিটি গঠন করা হলো কবি নজরুল ইসলামের অসুখের চিকিৎসার ব্যাপারে। এরপর ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি কয়েকজন মুসলমানের নাম করলে কমিটি গঠিত হলো_

১. ড. শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়_ প্রেসিডেন্ট ও কোষাধ্যক্ষ

২. সজনীকান্ত দাস (শনিবারের চিঠির সম্পাদক)_ যুগ্ম-সম্পাদক

৩. জুলফিকার হায়দার_ যুগ্ম-সম্পাদক

৪. সৈয়দ বদরুদ্দোজা_ সদস্য

৫. স্যার এ এফ রহমান_ সদস্য

৬. তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়_ সদস্য

৭. হুমায়ুন কবির_ সদস্য

৮. কবিরাজ বিমলানন্দ তর্কতীর্থ_ সদস্য

৯. সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার_ সদস্য

১০. তুষারকান্তি ঘোষ_ সদস্য

১১. চপলাকান্ত ভট্টাচার্য_ সদস্য

১২. গোপাল হালদার_ সদস্য।


এই নজরুল ফান্ড উৎসাহের সঙ্গেই বেশ কিছু দিন টাকা সংগ্রহ করেছিল বলে আমরা জানি। কিন্তু মাত্র ২০০ টাকা করে তিন মাসে মোট ৬০০ টাকা তারা কবিপত্নীকে দিয়েছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম মাস কেটে গেলেও তারা টাকা পাঠাননি। পরবর্তী মাস থেকে আর কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। কবির আর্থিক দুরবস্থা আরো চরমে উঠেছিল। আর তারই সুযোগ নিয়ে কলকাতা শহরে এবং মফস্বল অঞ্চলেও টাকা রোজগারের ফন্দিফিকির হিসেবে একে অন্যের সাথে যেন প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছিল। নানারকম ভুয়া ফান্ড, সমিতি ও লটারি খেলা কবির নামে পর্যন্ত শুরু হয়ে গেল।


পীড়িত কবি নজরুলকে সাহায্য করতে গিয়ে এই আশ্চর্য এবং অবিশ্বাস্য মানুষ এবং মানুষের চরিত্র বোঝা গেছে সেই সময়। স্বার্থ ও অর্থ কী সাংঘাতিক জিনিস। এরপর নিজ দেশে নজরুল আর ভালো করে অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেননি। অদৃষ্টের এ এক নির্মম পরিহাস!

(সৌজন্যে: শুভাশীষ ঘোষ)

বাংলা ভাষা আন্দোলন ও উৎকর্ষে দত্ত পরিবার

 বাংলা ভাষা আন্দোলন ও

উৎকর্ষে দত্ত পরিবার


ভাষা আন্দোলনের সুচনায় ছিলেন দাদু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আর বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় দুই বাংলায় লালন ও এর উৎকর্ষ সাধন এবং বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন তার নাতনী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যারোমা দত্ত ।


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার দাবী তুলেন পাকিস্তান পার্লামেন্টে তারপর সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের।


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, “রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষাই হওয়া উচিৎ, রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ যে ভাষা ব্যাবহার করে এবং আমি মনে করি যে, বাংলা ভাষাই আমাদের রাষ্ট্রের লিংগুয়া ফ্রাংকা।”


তার এ বক্তব্য ছিলো মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ‘‘উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা’’ ঘোষণার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ।


ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।পাক হানাদার বাহিনী ৮৪ বছর বয়স্ক ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে তার দু’চোখে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে অন্ধ করে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। তার মরদেহ রাস্তায় রেখে দেয়া হয় গায়ে থুতু দেয়ার জন্য।


শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের স্মৃতি তার নাতনী অরমা দত্ত লালন করছেন বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় লালন করে।


বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ও তার সুযোগ্য নাতনী সাংসদ অ্যারোমা দত্তকে।

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌


শুনলেই মাথায় আসে রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ, কিংবা বিদ্যাসাগর থেকে বিবেকানন্দ । সত্যিই তো বাংলায় মনীষীদের ছড়াছড়ি, সাধে কি আর গোখলে বলেছিলেন, what Bengal thinks today, India will think tomorrow’।

আজ যার কথা বলবো তার নাম এখন আর বিশেষ শোনা যায় না অথচ তাঁর অবদান বা আবিস্কার একসময় বাঙালির সাংসারিক জীবনে এনেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব ।... পড়ুন বিশেষ নিবন্ধ ধ্রুবতারাদের খোঁজে ।


জন্মগ্রহণ করেন ৪ই ডিসেম্বর, ১৮৬৯ সালে হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায়। কলকাতার ভবানীপুরের বিখ্যাত ‘মল্লিক বাড়ি’-র তিনি এক পূর্বপুরুষ।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে জিনিয়াসের লক্ষণ দেখা যায়।  পড়ার বইয়ের বাইরে যে বৃহৎ দুনিয়া আছে তা বুঝতে পেরে পাঠ্যবইয়ের বাইরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই তিনি পড়ে যেতেন। কলেজে পড়ার সময় তাঁর এই মেধাবী গুনগুলি প্রকাশ পায় বাংলা গুণীজনদের কাছে।


১৮৯১ সালে দর্শনশাস্ত্রে, ১৮৯২ এ পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় এম এ পাশ করেন। তখন বিজ্ঞানের বিষয়ের স্নাতক ও স্নাতকত্তরে  B.A ,M.A ডিগ্রী দেওয়া হতো। এরপর ১৮৯৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রির পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে তিনিই প্রথম বটানি তে M.A পাশ করেন। এর এক বছর পর তিনি প্রাণিবিদ্যা ও শরীরবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।  ভাবুন একবার, আঠাশ বছর বয়স হতে না হতেই তিনি পকেটে পুরলেন দর্শন, আইন, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বোটানি ও জুলজি এই সবকটি বিষয়ের হয় ডিগ্রি নয় মাস্টার ডিগ্রী !

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


এরই মধ্যে ১৮৯৭ সালে তিনি যোগ দেন বঙ্গবাসী কলেজে দর্শনের অধ্যাপক রূপে। তাঁর পড়ানোর ধরণ ছাত্রদেরকে মুগ্ধ করেছিল এবং তারাও বুঝতে পেরেছিল তাদের এই অধ্যাপক ভদ্রলোকটি কেবলমাত্র একটি বিষয়ে জ্ঞানী নয়। তাদের আবদারে এনাকে পড়াতে হতো উপরিউক্ত প্রায় সবকটি বিষয়। ১৮৯৭ থেকে ১৯০০ সাল অবধি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে একাধারে দর্শন ও আইন অন্যদিকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের অধ্যাপনা করেছেন। ১৯০০ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি আইনজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ।


কিন্তু অত্যন্ত মেধাবী এই মানুষটি একটি পেশা নিয়ে বসে থাকেন কি করে? ১৯০৮ সালে তিনি মেডিসিনে মাস্টার(এম ডি) ডিগ্রী লাভ করেন। আজকের দিনে ভাবতে পারেন কেউ ?

চিকিৎসক হিসেবে শুরু করলেন  দেশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের সচেতননটা বাড়ানোর কর্মসূচি। অটোভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতি ভারতে প্রথম চালু করায় অগ্রনী ছিলেন এই পন্ডিত মানুষটি। সমাজ সংস্কারেও ছিল সমান উৎসাহ।  দেশের জনসাধারনকে স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতা, আহার্য বিধি ইত্যাদি ব্যাপারে শিক্ষিত করে তোলার কাজে তাঁর প্রয়াস সত্যি অপরিহার্য। বিখ্যাত ‘মর্ডান রিভিউ’ পত্রিকায় বের হয় তার ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণা পত্র যা আজও ডাক্তারদের কাজে লাগে। এককথায় চিকিৎসক হিসেবে তাঁর বেশ নামডাক হলো তাঁর । শুধু তাই নয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিও ছিল প্রচ্ছন্ন সমর্থন। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত দেওঘরে বোমা পরীক্ষার সময় আহত হলে ইনিই গোপনে তাঁর চিকিৎসা করেন।


এবার আসি তাঁর সেই আবিষ্কারের প্রসঙ্গে যার ফলে তিনি জীবদ্দশাতেই হয়ে উঠেছিলেন এক কিংবদন্তি..... ‘‘ইকমিক কুকার’’। ১৯১০ সালে ইকমিক কুকারের উদ্ভাবন করেন । এই কুকারের রান্না করা খাবারের স্বাদ বলা হয় স্বর্গীয় অনুভূতির মতো। বয়স্ক মানুষজন অনেকেই হয়তো দেখে থাকতে পারেন যন্ত্রটিকে । আমরা দেখেছি নিতান্ত অবহেলায় পড়ে আছে রান্নাঘরে কিংবা ভাঁড়ার ঘরের কোণে । অবিবাহিত এবং বেড়াতে গিয়ে যারা রান্না করার বিশেষ পরিবেশ পেতোনা, একসময় তাদের বিশেষ বন্ধু হয়ে উঠেছিল এই ইকমিক কুকার।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


সাহিত্যে ক্ষেত্রেও রেখে গেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। নানান পত্রপত্রিকায় অজস্র লেখালেখি করেছেন তিনি। বিদেশের বহু স্থানে ভ্রমণ করেছেন  আর তাঁর উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত তিনটি ভ্রমণ গ্রন্থের নাম ‘চীন ভ্রমণ’, ‘বিলেত ভ্রমণ’, ‘বিলাতের পথে’। 

এতো বড় পন্ডিত মানুষটি দুনিয়া ছাড়লেন মাত্র ৪৮ বছর বয়সে । মাত্র তিনদিনের জ্বরে আটই মে ১৯১৭ তে যাত্রা করেন অমৃতলোকে । ওহো নামটাই তো বলা হলোনা, এই জিনিয়াস বঙ্গসন্তান টি হলেন ডাক্তার ইন্দুমাধব মল্লিক । নাম শোনেননি নিশ্চয়ই ? টলিউড অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পিতামহ বা কোয়েল মল্লিকের প্রপিতামহ। 


আজ আর শোনা যায়না অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটির নাম, প্রেসার কুকারের সিটির আওয়াজ ও ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে ইকমিক কুকার আর তাঁর আবিষ্কর্তা । ‌

             কলমে ✍🏻©️ Swapan Sen 

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে


#IndumadhabMallick 

#icmiccooker 

#Multitalented

#Bengali

#Remarkable 

#dhrubotaraderkhonje 

#SocialReformer 


Image courtesy- Anandabazar Patrika

দিনা ওয়াদিয়া মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র মেয়ে, ইতিহাস যেনো ফিরে ফিরে আসে

 দিনা ওয়াদিয়া

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র মেয়ে,

ইতিহাস যেনো ফিরে ফিরে আসে


দিনার বিয়ের আগে জিন্নাহও তার মাঝের কথা, দিনা একজন পার্সিকে বিয়ে করেন নিজে মুসলিম হয়েও


জিন্নাহ : দিনা ভারতে মুসলিম ছেলের অভাব নেই, ভারতে লাখো মুসলিম ছেলে আছে। এত ছেলে থাকতে তাকে কেনো বিয়ে করবে? মুসলিম ছেলের কি অভাব পরেছে?


দিনা : বাবা ভারতে তো মুসলিম মেয়েরও অভাব ছিলোনা, ভারতে লাখো মুসলিম মেয়ে থাকতে আপনি কেনো পার্সিকে বিয়ে করতে গেলেন? মুসলিম মেয়ের কি অভাব ছিলো।


জিন্নাহ সেই সময় তার স্ত্রী মুসলিম হয়েছিলেন বলে এড়িয়ে যান।


জিন্নাহ বিয়ে করেন তার থেকে ২৪ বছরের ছোট এক পার্সি মেয়েকে যে ছিলে সকল প্রকার ধর্মে অবিশ্বাসী। পার্সিরা ইরান থেকে ভারতে আসে কয়েকশ বছর আগে ইরানে ধর্মীয় নির্যাতনের ভয়ে। এখনো ভারত ও পাকিস্তানে পার্সি আছে।


জিন্নাহর বউয়ের নাম রতনবাই পেটিট। তার বাবা বিখ্যাত পার্সি ব্যবসাী ডিনশো পেটিট। তার বাবা বোম্বেতে থাকতেন। তার বন্ধু ছিলো জিন্নাহ। তখন জিন্নাহর বয়স ৪০, রতনবাইয়ের ১৬। জিন্নাহ রতনবাইয়ের মতো সবার অগোচরে সম্পর্ক গড়ে উঠে। রতনবাইয়ের বাবা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি তার বন্ধু জিন্নাহ যার সাথে তার মেয়ের বাবা মেয়ের সম্পর্ক হওয়ার কথা তার এই অবস্থা। নিজের বন্ধু তার সাথে এই বিশ্বাসঘাতকতা করবে ভাবতেও পারেননি। জিন্নাহ যখন তাকে আন্তঃধর্মীয় বিয়ের কথা বলে তখন তিনি জিন্নাহকে বের করে দেন বাসা থেকে। শুধু ধর্ম আলাদা এই কারনে না, দুইজনের বয়সের পার্থক্য তার বাবা মানতেই পারেননি।


একমাত্র মেয়েকে অনেক আদর করতেন তিনি। বছরখানেক পর নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রতনবাই ঘোষণা দেন তিনি জিন্নাহকেই বিয়ে করবেন। তিনি মুসলিম হন ও হিজাবের সহিত জিন্নাহকে বিয়ে করেন। কিন্তু রতনবাইয়ের জীবনে ইসলাম এই পর্যন্তই।শুধু ভালোবাসার আবেগের সাথে না পেরে মুসলিম হন।


পরবর্তীতে তিনি সারাজীবন না মুসলিম ইবাদাত করেছেন, না খাদ্যভাস মেনেছেন, না কোন প্রকার রীতি মেনেছেন। জিন্নাহও তাকে জোর করেনি কারন সে নিজেও খুব কম ধর্মকর্ম করতেন।

জানা যায় রতনবাই এত পাশ্চাত্য স্টাইলের কাপড় চোপড় পরতেন যে মুসলিম তো বটেই সেইসময়ের ব্রিটিশরাও অবাক হতেন তার কাপড়ের স্টাইল দেখে। ইউরোপে ছুটি কাটাতে যেতেন প্রায়ই বিয়ের পর। কয়েকবছর পর তাদের একমাত্র মেয়ে দিনা ওয়াদিয়ার জন্ম হয়। দিনা বাবা বা মা কারো খুব বেশি সান্নিধ্য পাননি। বাবা রাজনীতিতে ব্যস্ত, মা ঘোরাফেরা পার্টিতে। রতনবাইকে বিয়ের পর তার পরিবার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।


বিয়ের কয়েকবছর পর রতনবাই ও জিন্নাহর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে কোলনের সমস্যায় মাত্র ২৯ বছর বয়সেই মারা যান রতনবাই।


দিনাকে দেখাশোনা করতেন ফাতিমা জিন্নাহ, জিন্নাহর বোন। তবে দিনাও তার মায়ের পথ অনুসরণ করেন। তার মা রতনবাই যেমন তার বাবার কথা এড়িয়ে একজন মুসলিমকে বিয়ে করেন তেমনি তিনি তার বাবার পছন্দ এড়িয়ে নেভিল ওয়াদিয়া নামের একজন পার্সি খ্রিস্টানকে বিয়ে করেন জিন্নাহ চেষ্টা করেন তার মেয়েকে থামাতে তবে ব্যর্থ হন তিনি।


শোনা যায় এরপর জিন্নাহ তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখেননি। তবে একটি সূত্র এইও বলে জিন্নাহ মেয়ের বিয়েতে গোপনে তার জন্য ফুলের তোড়া পাঠান ড্রাইভারকে দিয়ে। দিনার সাথে জিন্নাহর শেষ দেখা ১৯৪৬ সালে মুম্বাইয়ে। তার সাথে ছিলো তার ছেলে নেসলে ওয়াদিয়া। নিজের নাতিকে একটি হ্যাট উপহার দেন জিন্নাহ। দেশভাগের পর জিন্নাহ পাকিস্তান চলে যান। দিনা ভারতে, পরবর্তীতে ইংল্যান্ডেও থাকেন। পাকিস্তানে যান ৪৮ সালে জিন্নাহর মৃত্যুর পর তাকে দেখতে। ফুফু ফাতিমার সাথে তার যোগাযোগ ছিলো যদিও।


জিন্নাহর নাতি নেসলে ওয়াদিয়ার ছেলে নেস ওয়াদিয়া। যাকে আপনারা আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের খেলার সময় দেখতে পারবেন প্রীতি জিনতার সাথে। তার সাবেক বয়ফ্রেন্ডও বটে।


দিনা ওয়াদিয়া তার বাবাকে অনেক ভালোবাসতেন। তার বাবার রাজনৈতিক স্বপ্ন পাকিস্তানকেও সমর্থন করেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় থাকেন ও ২০১৭ সালে আমেরিকায় মারা যান। তার ছেলে নুসলি, নাতি নেস সবাই ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ী, ব্রিটিশ ভারতীয়।


২০০৪ সালে পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে পাকিস্তান ভারত সিরিজ চলাকালে ভারত থেকে তার ছেলে ও নাতি সহ দিনা পাকিস্তান যান এত বছর পর প্রথম । সেখানে তার বাবার কবর পরিদর্শন করেন। বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন তিনি। তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে তিনটি ছবি চান। যার একটি এই ছবিটি যেখানে তাকে তার বাবা ও ফুফুর সাথে দেখা যাচ্ছে।


ইতিহাস বড়ই নির্মম। জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখলেন তার পুরো পরিবার, নাতি পুতি সব ভারতীয়, ব্রিটিশ ভারতীয়।


যদিও ছবিটি বাংলাদেশের সরাসরি সাথে সংশ্লিষ্ট না। তবে জিন্নাহ, ফাতিমা জিন্নাহ এই দেশের ইতিহাসে আছেন, ও তাদের একটি পুরনো ছবি ও আসন্ন ১৪ / ১৫ই আগস্টের স্মরনেই শেয়ার করা।


ছবিতে বিয়ের আগে জিন্নাহ, দিনা ও ফাতিমা

মাদ্রাসার চাকরিতে জয়েন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আলোচনা করে নেওয়া উচিত।

 মাদ্রাসার চাকরিতে জয়েন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আলোচনা করে নেওয়া উচিত।


১। মাসিক বেতন কত?

২। মাসিক ছুটি কতদিন?

৩। থাকার জন্য বেট-বিছানা চৌকি এবং একক আবাসন (রুম) ব্যবস্থা আছে কি না?

৪। খাবারের মান কেমন এবং খাবার কয় বেলা?

৫। নাস্তা দেওয়া হয় কি না দিলে কয় বেলা?

৬। প্রাইভেট (টিউশন) পড়ানো যাবে কিনা?

৭। কত তারিখের মধ্যে বেতন ক্লিয়ার করা হয়, বেতন বাকি রাখে কি না, বেতন নিয়ে কোন ঝামেলা করে কি না?

৮। কত মাস পর কত (%) বেতন বৃদ্ধি করা হয়?

৯। দুই ঈদে বোনাস প্রদান করে কি না?

১০। পরীক্ষার ফি থেকে কমিশন দেয় কি না? 

১১l মুহতামিম এর মন মানসিকতা কি রকম

শুধু কি নামে মুহতামিম নাকি কাজে ও মুহতামিম

১২। বিদায় দেওয়ার আগে (পরিচালকের ক্ষেত্রে) বা নেওয়ার আগে (শিক্ষকের ক্ষেত্রে) কমপক্ষে ১৫/৩০ দিন সময় দিতে/নিতে হবে।


বিঃদ্রঃ কিছু কিছু প্রাইভেট মাদরাসা মানে হলো ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কাজেই দরকষাকষি করে চাকরি করুন। 

হাজার হাজার টাকা বেতন উঠায় আর শিক্ষকদের বেতন দেয় না।

(কথাগুলো হয়তো মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ/পরিচালকদের খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তব।)

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴 🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲 হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত।...