এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মেয়েদের যে ২৩ টি যৌন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, অনেক পুরুষ হয়তো জানে না। HELTH TIPS ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ✅ মেয়েদের যে ২৩ টি যৌন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, অনেক পুরুষ হয়তো জানে না।


প্রায় সব প্রেমের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হয়ে থাকে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বা যৌনতা। সাধারণভাবে দেখা যায়, এই ব্যাপারে নারীদের বুক ফাটে কিন্তু তবুও তারা মুখ ফুটে কিছু বলেন না। তবে অনেক সময়েই মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারলেও, মনে মনে বিচিত্র ‘‌সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি’‌-‌র ক্ষেত্রে নারী কিন্তু পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে নেই। 


বরং এগিয়েই আছেন তারা। শরীরিক খেলায় মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে নারীদের ওপরে একটি সমীক্ষা চালিয়ে ছিল ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট। নারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের নিজেদের সবচেয়ে বিচিত্র যৌন কল্পনা সম্পর্কে। সেই সমীক্ষায়‌ উঠে এসেছে নানা বিচিত্র ইচ্ছার কথা। তার থেকেই বেছে নেওয়া হল নারীদের সবচেয়ে বিচিত্র ২৩ টি কামনার কথা-


১। সিনেমা হলে ঘনিষ্ঠ হতে পছন্দ করেন কোনও কোনও নারী। পুরুষরা রাজি থাকলে, সায় দিতে রাজি তারাও।


২। শারীরীক মিলনের পরে কপালে বা গালে চুম্বন চান অনেকে।


৩। বেডরুমের দরজা বন্ধ করা মাত্রই পুরুষসঙ্গী যদি উদ্দাম হয়ে ওঠেন, তাহলে সেটাও পছন্দ অনেকের।


৪। মিলনে পর ফের ফোর প্লে! এটাও অনেকে চান। তারা বলছেন এই ফোর প্লে-‌ই হয়তো হয়ে উঠতে পারে আরও একবার মিলনের সূত্রপাত।


৫। জীবনে নানা টেনশন থাকতেই পারে। তবে মিলনের সময় সেসব নিয়ে কথা বলতে চান না কোনও নারীই।


৬। আঁচড়ে কামড়ে দেওয়ার মতো হিংস্র মিলন পছন্দ করেন অনেক মুখচোরা নারীও।


৭। মিলন যে উপভোগ করছেন, সেটা প্রতিবেশীদের পরোক্ষে জানাতে পছন্দ করেন অনেকেই। মানে ঘনিষ্ঠতার সময় সবাইকে জানান দেন উদ্দাম চিৎকার দিয়ে।


৮। কেউ কেউ আবার চান মিলনের পুরোটাই হোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।


৯। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, কেউ কেউ চান, আদর করতে করতে সঙ্গী তাঁকে বিছানা থেকে ফেলে দিন।


১০। রোম্যান্টিক গান ছাড়া ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না অনেকে।


১১। আদর শুরু হক ড্রয়িংরুমে, সেখান থেকে বেডরুম, আবার শেষটা হোক স্নানের ঘরে— এমন যৌনতাও পছন্দ অনেক নারীর।


১২। বাথটাবে এসেনশিয়াল অয়েল ও ফুলের পাঁপড়ির মাঝে সেক্স করতে ভালোবাসেন কিছু অতি রোমান্টিক নারী।


১৩। কেউ কেউ কল্পনা করেন, যৌনতার সময় সঙ্গী তাকে শূন্যে ছুড়ে দেবেন। আবার লুফে নেবেন সযত্নে।


১৪।এমনিতে টিপটপ। কিন্তু যৌনতার সময় বিছানা পরিষ্কার কিংবা অগোছাল কি না, সেটা নিয়ে ভাবতে চান না কোনও নারীই।


১৫। যৌনতার সময়‌ ফোন নয়।‌ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফোন ধরতে নারাজ থাকেন মহিলারা।


১৬। যৌনতার সময় কেউ কেউ আবার সঙ্গীর নাম ধরে চিৎকার ভালবাসেন।


১৭। চোখে চোখ রেখে যৌনতা উপভোগ করেন অনেকে।


১৮। যতক্ষণ যৌনতা, ততক্ষণ চুমু। এই ধরনের রোম্যান্টিক মিলন চান অনেকে।


১৯। কিছু নারী চলন্ত গাড়িতে যৌনতা পছন্দ করেন।


২০। অনেকেই চান, তার পুরুষ সঙ্গী যৌনতার সময় পোশাক খুলতে অপটু হবেন।


২১। সঙ্গীর জরুরি কাজে বিঘ্ন ঘটিয়ে যৌনতা উপভোগ করেন অনেকে নারী।


২২। দীর্ঘমেয়াদি মিলন উপভোগ করেন প্রায় সকলেই।


২৩। মোমবাতির গলে যাওয়া মোম মেখে মিলিত হতে চান, এমন নারীও আছেন।


(সংগৃহীত)

https://www.facebook.com/healthtipsnews


গল্প: “আলিফ আর অসমাপ্ত স্বপ্ন” zakia ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গল্প: “আলিফ আর অসমাপ্ত স্বপ্ন”


একটা গ্রামের ছেলে ছিল নাম আলিফ। বয়স তার মাত্র আট বছর। আলিফ দুষ্টুমি করতে ভালোবাসতো, খেলতে ভালোবাসতো, কিন্তু স্কুলে যাওয়া তার একদমই ভালো লাগতো না।


প্রতিদিন মা বলতেন—

—“আলিফ, স্কুলে না গেলে তুমি কিছুই শিখতে পারবে না।”

কিন্তু আলিফ বলতো—

—“কেন মা? আমি তো খেলতে পারি, হাসতে পারি, বন্ধুদের সাথে মজা করতে পারি। এই তো জীবন!”


মা শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন।


---


ঘটনা এক: চিঠি লিখতে না পারা


একদিন গ্রামের ডাকপিয়ন একটি চিঠি নিয়ে এলো। চিঠিটি আলিফের বাবার এক বন্ধুর কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু বাবা তখন শহরে কাজে ব্যস্ত, মা পড়তে জানেন না। তাই তারা আলিফকে বললেন—

—“বাবা, তুমি তো স্কুলে যাও, চিঠিটা পড়ে শোনাও।”


কিন্তু আলিফ তো পড়তে শেখেনি! সে তো স্কুলেই যায় না। চিঠিটা তার হাতে কাঁপতে লাগলো, অথচ কিছুই বুঝতে পারলো না। মা–বাবা হতাশ হয়ে চিঠিটা অন্যের কাছে নিয়ে গেলেন।


আলিফ তখন খুব লজ্জা পেলো। মনে হলো, “আহা, যদি আমি পড়তে জানতাম, তাহলে মা–বাবার উপকার করতে পারতাম।”


---


ঘটনা দুই: বাজারে হিসাব


কয়েকদিন পর মা তাকে বাজারে পাঠালেন। মা বললেন—

—“এখানে একশো টাকা, এর মধ্যে দশ টাকার আলু আর বিশ টাকার ডাল কিনে আনবে।”


আলিফ টাকা নিলো, বাজারে গেলো। কিন্তু বিক্রেতা যখন জিনিস দিলো আর টাকা ফেরত দিলো, তখন সে গুনে বুঝতেই পারলো না কত টাকা ফেরত আসার কথা! সে কম টাকা পেলো, কিন্তু কিছুই বলতে পারলো না।


পরে বাসায় ফিরে মা হিসাব কষে দেখলেন, আলিফকে ঠকানো হয়েছে।


আলিফ আবারও লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।


---


ঘটনা তিন: বন্ধুর স্বপ্ন


একদিন আলিফ দেখলো তার বন্ধু মেহেদী খুব খুশি। মেহেদী বললো—

—“আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো। আমাদের গ্রামে তো ভালো ডাক্তার নেই। আমি সবাইকে চিকিৎসা দেবো।”


আরেক বন্ধু নুসরাত বললো—

—“আমি শিক্ষক হবো। সবাইকে পড়াবো।”


তখন আলিফ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। সে কিছু বলতে পারলো না। কারণ সে জানতো— স্কুলে না গেলে স্বপ্ন পূরণ করা যায় না।


---


আলিফের উপলব্ধি


সেদিন রাতে আলিফ অনেক ভাবলো। সে বুঝলো,


পড়তে না জানলে বাবা–মাকে সাহায্য করা যায় না।


হিসাব না জানলে মানুষ সহজেই ঠকিয়ে দেয়।


স্কুলে না গেলে নিজের কোনো বড়ো স্বপ্ন পূরণ হয় না।


সে বিছানায় শুয়ে মাকে বললো—

—“মা, আমি ভুল করেছি। কাল থেকে আমি স্কুলে যাবো। আমি চাই, একদিন তোমার মুখ উজ্জ্বল হোক আমার কারণে।”


মা আনন্দে চোখের পানি মুছে দিলেন।


---


পরিণতি


এরপর থেকে আলিফ নিয়মিত স্কুলে যেতে লাগলো। ধীরে ধীরে সে পড়াশোনায় ভালো হলো। কয়েক বছর পর সে গ্রামের সেরা ছাত্রদের একজন হয়ে উঠলো।


যখনই কেউ জিজ্ঞেস করতো—

—“আলিফ, তুমি কেন পড়াশোনাকে এত গুরুত্ব দাও?”


আলিফ হাসি দিয়ে বলতো—

—“কারণ আমি জানি, স্কুল মানে কেবল বই পড়া নয়; স্কুল মানেই নিজের জীবন আর স্বপ্ন গড়ার জায়গা।”


---


শিক্ষা:


এই গল্প থেকে বাচ্চা বুঝবে যে স্কুলে না গেলে—


নিজের পরিবারকে সাহায্য করা যায় না,


সমাজে পিছিয়ে পড়তে হয়,


আর বড়ো কোনো স্বপ্নও পূরণ হয় না।


কিন্তু স্কুলে গেলে ধীরে ধীরে সবকিছু শেখা যায়, যা তাকে শক্তিশালী আর সম্মানিত মানুষ বানাবে। 


( Collected)

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

একোনাইট নেপিলাসঃ

 একোনাইট নেপিলাসঃ


তরুণ শিক্ষার্থী বন্ধুদের সহজে মনে রাখার সুবিধার্থে একোনাইট'কে "ভীষণ" শব্দটি দিয়ে চিত্রিত করতে চেষ্টা করব। আসুন, সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নিই -

সদৃশ : 


যে উপাদান থেকে যে ওষুধ'টি তৈরি হয়, সে উপাদানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে ঐ ওষুধের মূল লক্ষণসমূহের অনেক ক্ষেত্রে সদৃশ থাকে।


যথা : Aconite অর্থ ধুলামুক্ত।

একোনাইট উদ্ভিদটি মাটি থেকে টান দিয়ে উঠানোর সময় এর শিকড়ে বিন্দু পরিমান ধূলিকণা লেগে থাকেনা যে কারণে একোনাইট কে ধুলামুক্ত উদ্ভিদ বলা হয়।


হয়তো সে কারণেই একোনাইট এর রোগীরা ধুলামুক্ত অবস্থায় সুস্থ থাকে ও ধুলাযুক্ত অবস্থায় অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হয়।


বিষয়টি পরিষ্কার করে বলি, এর রোগীরা শুষ্ক, ঠান্ডাযুক্ত আবহাওয়ায় বেশি অসুস্থ হয়, অর্থাৎ হেমন্ত, শীত ও বসন্ত কালে বেশি অসুস্থ হয়। কারণ এইসব ঋতু বেশি ধুলাযুক্ত থাকে। 


বর্ষাকাল ধুলামুক্ত থাকে বলে হয়তো এই ঋতুতে অপেক্ষাকৃত অনেক কম অসুস্থ হয়।


Nap অর্থ জুয়াখেলার বাজিতে, একবারে সব অর্থ বাজি ধরা। 

হেরে গেলে সব শেষ। বাজিতে যেমন টেনশন থাকে হেরে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে।


ঠিক তেমনি,

একোনাইট এর মানুষেরা অসুস্থ হলে মনে করে আমি বুঝি এইবারে শেষ। আর বাঁচবো না। ঠিক যেন জুয়াখেলার বাজির মতো টেনশন।


আকৃতি : একোনাইট এর রোগীরা রক্তপ্রধান, স্বাস্থবান, হৃষ্টপুষ্ট।


কারণ : ভীষণ ভয়, ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাস, ভীষণ গরম, ভীষণ শীত।

রোগের কারণের মধ্যে এই ৪টি লক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।


জিহ্বা : ভীষণ শুষ্ক। (ফার্স্ট গ্ৰেড)।


ভীষণ ও হঠাৎ আক্রমণ। কালবৈশাখী ঝড়ের মত ভীষণ ও হঠাৎ  আক্রমণ।

ভীষণ অস্থিরতা ও ছটফটানি। 

ভীষণ মৃত্যুভয়। 

ভীষণ অন্তর্দাহ বা জ্বালা।

ভীষণ ব্যাকুলতা ও উৎকণ্ঠা।

ভীষণ পিপাসা।


হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া ভীষণ দ্রুত হওয়া বা অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ভয় ও মৃত্যু ভয় এর কারণ।


মৃত্যুভয় এত ভীষণ হয় যে, রোগী নির্দিষ্ট করে তার মৃত্যুর সময় বলে। বলতে থাকে আমি আর বাঁচবো না, চিকিৎসা করে লাভ নাই, আত্মীয়স্বজনকে ডেকে ক্ষমা চাই, শেষ বিদায় চাই, এমন আচরণে স্বজনরা ভীষণ ভয় পেয়ে যায়।


ডেলিভারীর পূর্ব মুহূর্তে গর্ভবতী মা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতে ভীষণ ভয়, যদি মরে যায়, এই ভয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। একজন মনীষী রসিকতা করে বলেছেন ওকে ক্ষমা নয়, ২ডোজ একোনাইট দাও, সব ঠিক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ভয় কেটে যাবে।


ভীষণ ক্রোধ ও উত্তেজনা প্রবণতা।

ভীষণ হতাশা। 


ভীষণ এক্সিডেন্টের ভয়, ফলে মানুষের ভীড়, গাড়ি-ঘোড়ার ভীড়, সকল প্রকার ভীড়, এমনকি সেতু বা রাস্তা পারাপারে, দুই বিল্ডিং এর মাঝে, সরু রাস্তায় চলতে ভীষণ ভয়।


উত্তেজনাপ্রবণ জায়গায় যেতে ভীষণ ভয়।


কথাবার্তা সবকিছুতেই ভীষণ তাড়াহুড়া করে।


ভীষণ ব্যস্তবাগীশ ও কর্মঠ তবে কুমারী মেয়েরা অলস।

ভীষণ দ্রুত কথা বলে।


একোনাইট এর রোগ ভীষণ হলেও সাধারণত পুরাতন বা স্থায়ী হয় না। ডা. কেন্ট।


আমাশয় রোগে ভীষণ কোঁথুনি, শুলুনী ব্যথা ও লাল, তাজারক্ত থাকে।


ভীষণ ঠান্ডার জন্য পক্ষাঘাত হলে ইহা প্রযোজ্য তবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জায়গাটি ঝিঝি ধরা ও ঠান্ডা থাকে।


ভীষণ অধৈর্য : কোন কিছু চাইলে বা করতে নির্দেশ দিলে, দ্রুত করতে হবে, না হলে ভীষণ রেগে যাবে।


ভীষণ অধৈর্য হয়ে চিৎকার করে, মুখ খারাপ করে গালাগালি করে, কেউ যদি তার কথার প্রতিবাদ করে তবে।


মুখমন্ডলে ভীষণ ভয়ের সুস্পষ্ট ছাপ থাকলে, হঠাৎ আক্রমণকারী যে কোন রোগের প্রথম অবস্থায় এখনাইট প্রয়োগে দ্রুত সুস্থ হয়। অধ্যাপক ডা. আবু বকর।


ভীষণ কথা বলে, অনর্গল কথা বলতে থাকে।


ভীষণ মানসিক ভয়, উদ্বেগ লক্ষণ বর্তমান থাকলে, পুরাতন ব্যাধি বা প্রতি ঋতু পরিবর্তনে বারবার আক্রমণ করে এমন ব্যাধিতে ইহা দারুন কাজ করে।


ভীষণ ভয় অন্ধকারে।

ভীষণ শ্বাসরোধ হওয়ার ভয়।

 

ভীষণ উত্তেজনাপ্রবণ ব্যক্তিরাই একনাইট, শান্ত প্রকৃতির মানুষেরা সাধারণত একোনাইট নয়।


সবকিছুতেই হঠাৎ ভীষণ উত্তেজিত বা রাগ হয়। আবার হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়।


ভীষণ সন্দেহপ্রবণ। (ফাস্ট গ্রেড)।


ভীষণ উদ্ভট একটা লক্ষণ একোনাইটে  পাবেন, এর ধারণা, তার চিন্তাভাবনা পাকস্থলী থেকে আসে, মস্তিষ্ক থেকে নয়।


অভিজ্ঞান :

জেনে রাখা ভালো সবল, হৃষ্টপুষ্ট মানুষেরা অচির রোগে, যে ভাবে হঠাৎ ভীষণভাবে আক্রান্ত ও উত্তেজনা প্রবণ হয়, 

দুর্বল মানুষেরা সাধারণত সেইভাবে হঠাৎ ভীষণ ভাবে আক্রান্ত ও উত্তেজনা প্রবণ হয় না।

বরং দুর্বল লোকেরা ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়।


শিশু জন্মের পর প্রস্রাব বা পায়খানা না হলে কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে দারুণ কাজ করে।


তুলনা :

একোনাইট রক্তসঞ্চালনে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

বেলাডোনা মস্তিষ্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

ক্যামোমিলা মেজাজ কে উত্তেজিত করে।


ওষুধের নামের মধ্যেই ওষুধের মূল লক্ষণসমূহ অন্তর্নিহিত যথা :


Aconite Nap :


A : Anguish : মারাত্মক যন্ত্রণা।

C : Confusion of mind : মনের বিশৃঙ্খলা।

O : Offended easily : সহজে ক্ষুব্ধ হয়।

N : News bad from, ailments : দুঃসংবাদ হতে অসুস্থ।

I   : Impatience : অধৈর্য।

T : Touched anger : স্পর্শ করলে রাগ হয়।

E : Excitement : উত্তেজনা।

N : Narrow place of fear : সংকীর্ণ জায়গায় ভয়।

A : Attacks of anxiety : আক্রমণের আশঙ্কা।

P : Panic : উদ্বেগ।


ত্রুটি মার্জনীয়।

১৬৩১ সালে মমতাজ মহলের স্মৃতিতে মোগল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণের আদেশ দেন। একই সময়ে, ১৬৩৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। দুইটি স্থাপত্যই বিশ্ববিখ্যাত—তবে একটির শিকড়ে শোক ও সৌন্দর্যের আরেকটির ভিত গড়ে উঠেছে জ্ঞান ও শিক্ষার ওপর।

 ১৬৩১ সালে মমতাজ মহলের স্মৃতিতে মোগল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণের আদেশ দেন। একই সময়ে, ১৬৩৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। দুইটি স্থাপত্যই বিশ্ববিখ্যাত—তবে একটির শিকড়ে শোক ও সৌন্দর্যের আরেকটির ভিত গড়ে উঠেছে জ্ঞান ও শিক্ষার ওপর।


তাহলে প্রশ্ন জাগে: একসময় যারা তাজমহল বানাচ্ছিল, অন্যদিকে তারা কি চাইলে হার্ভার্ড বানাতে পারতেন না?


শুধু তাজমহল নয়, ভারতবর্ষের ইতিহাসজুড়ে ছড়িয়ে আছে অগণিত প্রাসাদ, উদ্যান, সমাধি আর সোনা-রুপার অলংকারের গল্প। অথচ সেই যুগেও হাজার হাজার মানুষ ছিল শিক্ষাহীন, চিকিৎসাহীন, দারিদ্র্যপীড়িত।


এমনকি আজও আমরা প্রায়শই দেখি—উপমহাদেশের ধনকুবেরদের অর্থ ব্যয় হয় ব্যক্তিগত বিলাসিতা, বিয়ের শোভাযাত্রা, নায়ক-নায়িকা দিয়ে নাচানো কিংবা নামজাদা রিসোর্টে একচেটিয়া ভোগে।


অথচ পশ্চিমে দৃশ্যটা একেবারে আলাদা।


বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, মার্ক জুকারবার্গ—বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় থাকা এদের অনেকেই জীবনের শেষে তাদের সম্পদ বিলিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের লক্ষ্য: পৃথিবীকে একটু ভালো করে রেখে যাওয়া। তারা হাসপাতাল গড়েন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি তহবিল তৈরি করেন, চিকিৎসা গবেষণায় অনুদান দেন।


সম্প্রতি একজন মার্কিন ধনকুবের নারী তার জীবনের সব সঞ্চয় দান করে গেছেন আলবার্ট আইনস্টাইন মেডিকেল স্কুলে। ফলাফল? সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের এখন আর শিক্ষাঋণ নিতে হবে না—তারা ফ্রি পড়তে পারবে। একজন অচেনা নারী আজীবনের জন্য রয়ে যাবেন ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের হৃদয়ে। সেই কৃতজ্ঞতা থেকে তারা হয়তো হাজার মানুষকে সেবা করবে।


এই মানবিক মূল্যবোধটাই সত্যিকার উন্নয়নের ভিত্তি।

উপমহাদেশের চিত্র কিছুটা করুণ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নবাব সলিমুল্লাহর সহায়তায়। এরপর কী?


আর কোনো বিশিষ্ট ধনকুবের কি নিজ উদ্যোগে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছেন? তথ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে—ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই রাষ্ট্রনির্ভর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ধনকুবেরদের অংশগ্রহণ থাকলেও তা মূলত লাভের উদ্দেশ্যে, জনসেবার মানসে নয়।


এদিকে আমেরিকার বহু নামী বিশ্ববিদ্যালয় যেমন - স্ট্যানফোর্ড, কর্নেল, রকফেলার, কার্নেগি মেলন—এসব সবই কোনো না কোনো দানশীল ব্যক্তির নামধারী। তারা ব্যবসা করেছেন, সম্পদ গড়েছেন, তারপর সেই সম্পদ মানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছেন।


আমাদের সংস্কৃতি কেন পিছিয়ে?


উপমহাদেশে ধনকুবের হওয়া মানেই—ছেলের বিয়েতে হীরার কোট, মেয়ের বিয়েতে সোনার পালঙ্ক, গাড়ির বহর, আর ফটোসেশনে নামজাদা সেলিব্রিটি।


কেউ কেউ জীবনের শেষে মসজিদ, মন্দির বা গীর্জা গড়েন সমাজসেবার তকমা জুটিয়ে নেওয়ার আশায়।

তারপর মৃত্যুর পরেই শুরু হয় সম্পদের জন্য উত্তরাধিকারীদের হানাহানি, মামলা-মোকদ্দমা, এমনকি মারামারি।


আলফ্রেড নোবেল ইউরোপের ধনকুবের ছিলেন। মৃত্যুর আগমুহূর্তে তিনি তার সম্পদের প্রায় পুরোটাই দিয়ে গিয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য।

তাঁর বদৌলতেই আজ পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিরা সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পান।


কিন্তু তিনি যদি আমাদের উপমহাদেশে জন্মাতেন?


সম্ভবত তিনি ছেলের পৈত্রিক জমিতে তিনতলা বাড়ি করতেন, মেয়ের বিয়েতে দিল্লি থেকে ডিজে আনাতেন, এবং শেষ বয়সে দুইটা ঘর মসজিদে লাগিয়ে “দাতব্য” হিসেবে প্রশংসা কুড়াতেন।


এই লেখার উদ্দেশ্য তুলনা করা নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ।

একজন ধনকুবের কী করবেন, সেটি অবশ্যই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের সংস্কৃতিতে যদি ‘দান’ শব্দটি লোক দেখানো অনুষ্ঠান না হয়ে, সত্যিকারের মানবিক দায়িত্ববোধ হয়ে ওঠে—তাহলেই হয়তো আমরাও বিশ্বমানবতার অগ্রযাত্রায় অংশ নিতে পারব।


একদিন যদি আমাদের কেউ—বিল গেটসের মতো একটি স্কুল গড়ে দেন, কোনো দরিদ্র শিক্ষার্থীর ঋণ মকুব করে দেন, কিংবা গবেষণার জন্য অর্থ তহবিল দেন, সেটিই হবে সত্যিকার নায়কোচিত আচরণ।


যেদিন এই ট্রেন্ড শুরু হবে, সেদিন হয়তো আমরা এক-একজন শাহরুখ বা সালমানের চেয়েও বড় নায়ক পাবো—যারা নাচিয়ে নয়, গড়ে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় অমর হবেন।


©️ An Animeshো

ডায়েরির পাতা : “Merc sol – আমার দীর্ঘদিনের সাথী” ❤️কিছু একক ও অদ্ভুত লক্ষণ হোমিওপ্যাথি ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ডায়েরির পাতা : “Merc sol – আমার দীর্ঘদিনের সাথী”

❤️কিছু একক ও অদ্ভুত লক্ষণ


আজ আবার কলম হাতে নিলাম। বহু বছরের চর্চায় এক একটি ওষুধ আমার চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। Merc sol— এই ওষুধটির সাথে কত রকম রোগীর মুখোমুখি হয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। আজ লিখে রাখি, যেন আগামীর কেউ এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।


১. রাতের অতিরিক্ত লালা


আমি এমন অনেক রোগী দেখেছি যাদের দিনে মুখ শুকনো, কিন্তু রাত হলেই বালিশ ভিজে যায়। দাঁতের ফাঁক দিয়ে টপ টপ করে লালা ঝরে। Merc sol এর সবচেয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্য।

(হেরিং, Guiding Symptoms, Vol. 6, p. 125)


২. ধাতব স্বাদ মুখে


কেউ কেউ বলে, “ডাক্তার, পানি খেলেও মনে হয় মুখে মরিচা পড়া লোহা জমে আছে।” খেতে চায়, কিন্তু শুরু করলেই বমি বমি ভাব।

(কেন্ট, Lectures on Materia Medica, p. 586)


৩. সাপের স্বপ্ন


Merc sol এর রোগীরা বারবার স্বপ্নে সাপ দেখে। কখনো ভয়, কখনো লড়াই। যেন অবচেতনে বিষক্রিয়ার ছায়া লেগে আছে।

(ক্লার্ক, Dictionary of Practical Materia Medica, Vol. 2, p. 120)


৪. মুখ সর্বদা ভিজে, কিন্তু গলা শুকনো


জিহ্বা ভেজা, দাঁতের ছাপ পড়া, কিন্তু রোগী বলে, “ডাক্তার, আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।” এই বিরল বৈপরীত্য Merc sol এর পরিচয়।

(অ্যালেন, Encyclopedia of Pure Materia Medica, Vol. 6, p. 205)


৫. রাতের ঘাম


শরীর ঠান্ডা, কিন্তু রোগী রাতেই প্রচণ্ড ঘামে ভিজে যায়। ঘামে কোনো আরাম পায় না।

(বোরিক, Materia Medica, p. 445)


৬. প্রস্রাবের অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য


প্রসাব দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারে না, হঠাৎ অপ্রস্তুত অবস্থায় ফোঁটা ফোঁটা বেরিয়ে যায়। জনসমক্ষে এ এক ভয়ঙ্কর বিব্রতকর অবস্থা।

(ন্যাশ, Leaders in Homoeopathic Therapeutics, p. 347)


৭. রাতে চুলকানি


দিনে গুটি কম, রাতে বাড়ে। রোগী বলে, “ডাক্তার, শুতে গেলেই শরীরটা জ্বলে ওঠে।”

(হেরিং, Guiding Symptoms, Vol. 6, p. 133)


৮. হাড় গলছে মনে হয়


রোগীরা বলে, “হাড় ভেতর থেকে গলছে।” রাতে হাড়ের ব্যথা, বিশেষ করে মাথার হাড়, পায়ের হাড়ে,"হাড়ের ভেতরে জ্বালা"।

(বোরিক, Materia Medica, p. 445)


৯. দাঁতের ব্যথা রাতেই বাড়ে


Merc sol এর দাঁতের ব্যথা সবসময় রাতেই জ্বালাতন করে। বিশেষ করে গরম বিছানায় গেলে।দাঁতের ব্যাথা ঠান্ডা কিংবা গরম পানি পানে কোন পার্থক্য হয় না।

(কেন্ট, Lectures on Materia Medica, p. 588)


১০. ক্ষত সারতে চায় না


আলসার বা ক্ষত হলে সহজে শুকায় না, বরং ছড়িয়ে যায়। চারপাশে নীলচে-কালো রঙ।

(অ্যালেন, Encyclopedia, Vol. 6, p. 209)


১১. গলার গ্রন্থি ফোলা


Merc sol এ টনসিল ফুলে যায়, সাদা সাদা দাগ পড়ে। গলা দিয়ে গরম জিনিস গিলতে যন্ত্রণা বোধ।

(হেরিং, Guiding Symptoms, Vol. 6, p. 128)


১২. ঠান্ডা লাগলে তীব্র অসুখ


যতই ঠান্ডা লাগুক না কেন, Merc sol রোগী সাথে সাথেই অসুস্থ হয়— গলা ব্যথা, নাক দিয়ে কটু স্রাব, কানে ব্যথা।

(ন্যাশ, Leaders, p. 348)


১৩. ভয়ের অদ্ভুততা


রোগী একা থাকতে ভয় পায়, আবার ভিড়েও থাকতে চায় না। দ্বৈত ভয়ের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ।

(ক্লার্ক, Dictionary, Vol. 2, p. 118)


১৪. মানসিক অস্থিরতা


Merc sol এর রোগী অল্পতেই রেগে যায়, কিন্তু পরে কান্না পায়। দোলাচলে ভোগে মন।

(কেন্ট, Lectures, p. 589)


১৫. জিহ্বার বৈশিষ্ট্য


জিহ্বা মোটা, ভেজা, সাদা আস্তরণ, আর তাতে দাঁতের ছাপ। যেন Merc sol এর সিগনেচার মার্ক।

(অ্যালেন, Encyclopedia, Vol. 6, p. 204)


১৬. ঠোঁট ও মাড়ি ফেটে যাওয়া


Merc sol এর রোগীদের মাড়ি থেকে সহজেই রক্ত পড়ে। ঠোঁট ফেটে যায়, ক্ষত সারতে দেরি হয়।

(হেরিং, Guiding Symptoms, Vol. 6, p. 127)


১৭. দিনে কিছুটা শান্তি, রাতে যন্ত্রণা


Merc sol রোগী দিনে কিছুটা সহ্য করতে পারে, কিন্তু রাত হলেই রোগ বাড়ে। রাত এই ওষুধের শত্রু।

(ন্যাশ, Leaders, p. 350)


১৮. গরমে অসহনীয় অবস্থা


Merc sol রোগীরা একটু গরমেও ঘেমে যায়। আবার ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়।

(কেন্ট, Lectures, p. 590)


১৯. অদ্ভুত গন্ধ


রোগীর নিঃশ্বাস, ঘাম, এমনকি ক্ষত থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। অনেক সময় এটি রোগ নির্ণয়ের মূল সূত্র।

(বোরিক, Materia Medica, p. 446)


২০. হঠাৎ স্মৃতিভ্রংশ


কিছু রোগী হঠাৎ ভুলে যায় সহজ জিনিস। কারো নাম, কোনো পরিচিত পথ— হঠাৎই মনে থাকে না।

(ক্লার্ক, Dictionary, Vol. 2, p. 119)


শেষ কথা


Merc sol এর রোগীরা যেন সবসময় দ্বন্দ্বে ভোগে। ভিজে জিহ্বা কিন্তু শুকনো গলা। দিনে শান্ত, রাতে যন্ত্রণায় কাতর। গরমে ঘেমে যায়, ঠান্ডায় অসুস্থ হয়। মানসিক দিকেও একই দ্বৈততা— রাগে ফেটে পড়ে আবার কেঁদে ফেলে। এই বৈপরীত্যই Merc sol কে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।


Md. Selim Uddin DHMS BSc MPH


❤️কপি-পেস্ট করা যাবে।

❤️শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

ছন্দে_বর্নে_এ_টু_জেড_হোমিওপ্যাথি লিখতে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ

 #ছন্দে_বর্নে_এ_টু_জেড_হোমিওপ্যাথি 


A for Arsenic-অস্হিরতা,দু্র্বলতায় থাকে মৃত্যুভয়।

আর্সেনিকে শুষ্ক কাশির হবে নিরাময়।


B for Bryonia-হইলে কারো নিউমোনিয়া, সারাতে লাগে ব্রায়োনিয়া।


C for Calendula-থেতলে যাওয়া রক্তপাতে, ক্যালেন্ডুলা লাগান তাতে।


D for Damiana-শুক্রানু কম হবে যখন, ডামিয়ানা খাবেন তখন।


E for...Echinacea-রক্ত বিশুদ্ধ করে ইমিউনিটি বাড়ায়।

ইচিনেশিয়ায় ভীষণ রকম চুলকানি পালায়। 


F for Ferrum phos -ভীষন রকম ব্যথা থাকে আরও থাকে জ্বর জ্বর।

ফেরাম ফস কাজের তাতে দিতে হবে পর পর।


G for Glonoium-মাথা ব্যথার সাথে থাকে  মানষিক চাপ।

গ্লোনুইন ব্যবহারে কমে রক্তচাপ। 


H  for Hydrasistis-কন্সট্রিপেশান লেগেই থাকে হজমে দুর্বলতা।

এমন হলে হাইড্রাসটিস উপযুক্ত তথা।


I for lgnesia-শোক দুংখে জীবন শেষ,

ইগ্নেশিয়া কাজের বেশ।


J for jaborandi-সারা মাস চুল পরে হয়ে যায় টাক।

জাবুরান্ডি চুল গজায় রোগীতো অবাক।


K for Kali phos-মানষিক চাপ আর ঘুম কম হয়।

কেলি ফস উপকারী ডাক্তারগুন কয়।


L for  Lac can-গলা ব্যথা ডিপথেরিয়া বাতরোগে ক্ষতি।

ল্যাক ক্যান ব্যবহারে হয় তার গতি।


M for merc sol-ঠান্ডা গরম যায় হোক পরতে থাকে আম।

মার্কসল দিলে তাতে করে ভীষন কাম।


N for nux vom-প্রেমের রোগে বিমার হয় গ্যাসও ভীষন তার।

নাক্স ভমিকা এমন রোগীর শ্রেষ্ঠ উপহার।


O for Opium-ব্যথা বেদনা কিংবা নিদ্রাহীনতা যখন।

ওপিয়াম বার বার মনে পরে তখন।


P for  Pulsatilla-বদহজম অম্বল বা পেটের কোন বিমার।

পালসিটিলা ব্যবহারে অসুখ সারে তাহার।


Q for Quassia-লিভারের দুর্বলতা, হজম শক্তি কম।

কোয়াসিয়া নিম্নশক্তি ব্যবহার হরদম।


R for Rhus tox-জয়েন্ট এবং পেশির ব্যথা আথ্রাইটিসের জ্বর।

রাসটক্স নিয়মিত দিতে হয় পরপর।


S for Silicea-হঠাৎ গলায় বিধে গেলে কোন মাছের কাটা।

হোমিও ঔষধ সাইলিসিয়া খাওয়াতে হয় যেটা।


T for Titanium-দীর্ঘদিনের ক্লান্তি মানষিক চাপে।

পুরুষের অতিক্ষয়ে টাইটেনিয়াম দিবে।


U for  Urtica urens-কোন স্হানে পুরে গেলে জ্বালাপোড়া হয়।

আর্টিকা ইউরেন্স লাগিয়ে দিন হবে নিরাময়।


V for Vesicaria-মূত্রনালীর সংক্রমন কম হোক বা বেশি।

ভেসিকেরিয়া মাথার ভেতর বারে বারে আসে।


W for WYethia-শুষ্ক কাশিঁ, বাতের ব্যথা

ওয়ায়েথিয়া প্রয়োগ সেথা।


X for Xanthoxylum-সায়েটিকা,টিউমার আর ঋতুস্রাবে কস্ট।

জান্হ্যাজাইলাম শুরু করুন হবেনা সময় নষ্ট।


Y for yohimbinum-যৌবনের শুরুতে যৌন অত্যাচারে।

ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেলে ওহিম্বিনামে সারে।


Z for Zincum Met-শ্বেতপ্রদর, একজিমা, জন্ডিস বা অশ্বে।

দিনে দিনে বিলীন হবে জিনকাম মেটের স্পর্শে।

Dr.Forhad Hossain 


মন চাইলে যে কেউ কপি করতে পারেন

(#ছন্দে_বর্নে_এ_টু_জেড_হোমিওপ্যাথি লিখতে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ) 


জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। প্রয়োগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 


 💫Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.B),DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine

যখন আপনার মেয়েকে কেউ মানসিকভাবে ধর্ষণ করে, তখন আপনি পাশে থেকে দাঁত কেলিয়ে হাসেন না তো ?

 যখন আপনার মেয়েকে কেউ মানসিকভাবে ধর্ষণ করে, তখন আপনি পাশে থেকে দাঁত কেলিয়ে হাসেন না তো ?


থামুন! এই লেখাটি পড়ার আগে একবার আপনার নিষ্পাপ কন্যা শিশুটির মুখের দিকে তাকান। দেখেছেন? ঐ হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা সরল বিশ্বাস, ঐ চোখের গভীরে আপনার জন্য জমে থাকা অগাধ আস্থা। আর আপনি, সেই আস্থার কি মর্যাদা রাখছেন? নাকি নিজের অজান্তেই আপনি এক নীরব ষড়যন্ত্রের অংশীদার হচ্ছেন, যা আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎকে চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেবে?


ভয় পাচ্ছেন? অস্বস্তি হচ্ছে? হওয়াই উচিত! কারণ আজ আমি কোনো মিষ্টি উপদেশ দেবো না। আজ আমি আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবো, কীভাবে আপনারই 'ছোট ছোট ভুল', আপনারই 'অতিরিক্ত বিশ্বাস', আপনারই 'আধুনিক সাজার প্রবণতা' আপনার মেয়ের চারপাশে এক অদৃশ্য নরক তৈরি করছে। আপনি কি নিশ্চিত, আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটিই আপনার মেয়ের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি নয়?


প্রতিদিন খবরের কাগজে যে বিকৃত মানসিকতার জানোয়ারদের ছবি দেখেন, তারা আকাশ থেকে পড়ে না। তারা আমাদের মধ্যেই, আপনার আমার মতোই সাধারণ মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। আর আপনি, সেইসব মুখোশধারী নেকড়েদের হাতে আপনার ফুলের মতো সন্তানকে তুলে দেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করছেন না তো?


নিচের প্রতিটি শব্দ আপনার বুকের ভেতরে কাঁটার মতো বিঁধবে। প্রতিটি প্রশ্ন আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। যদি হিম্মত থাকে, তাহলে পড়ুন। এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি একজন অভিভাবক, নাকি নিজের সন্তানের সর্বনাশ ডেকে আনা এক নির্বোধ প্রহরী?


আপনার সন্তান কি দুই বছরের বড়? আর আপনি এখনো তার সামনেই অবলীলায় পোশাক পরিবর্তন করেন? আপনি ভাবেন, "ও তো বাচ্চা, ও কী বোঝে?" এই ভাবনাটাই আপনার প্রথম এবং সবচেয়ে মারাত্মক ভুল। আপনি নিজের হাতে আপনার সন্তানের মন থেকে গোপনীয়তা এবং লজ্জার প্রথম প্রাচীরটি ভেঙে দিচ্ছেন। আপনি তাকে শেখাচ্ছেন যে, শরীরের ব্যক্তিগত অঙ্গগুলো প্রদর্শন করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আজ আপনি করছেন, কাল আপনার দেখাদেখি আপনার আত্মীয় বা বন্ধুরূপী কোনো নরপশু যখন তার সামনে একই কাজ করবে, আপনার সন্তান সেটাকে অস্বাভাবিক ভাববে না। সে প্রতিবাদ করবে না। কারণ তার প্রথম শিক্ষক, অর্থাৎ আপনি, তাকে শিখিয়েছেন—এটাই স্বাভাবিক। আপনি কি বুঝতে পারছেন, আপনি শিকারীর কাজ কতটা সহজ করে দিচ্ছেন?


আপনার কোনো প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু বা আত্মীয় আপনার ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করে বলছে, "ইশ! কী সুন্দর! বড় হলে তোকেই আমি বিয়ে করব। তুমি আমার বউ হবে।" আর আপনি পাশে দাঁড়িয়ে হাসছেন? আপনার এই হাসিই হলো সেই বিষাক্ত রসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। এটা কোনো নির্দোষ মজা নয়। এটা এক ধরনের মানসিক ধর্ষণ। একটি শিশুর কচি মনে আপনি সম্পর্কের এক বিকৃত ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যে মানুষটিকে তার ‘আঙ্কেল’ বা ‘মামা’ হিসেবে সম্মান করার কথা, তার সাথে 'বউ' হওয়ার সম্পর্ক জুড়ে দিয়ে আপনি তার নিরাপত্তাবোধকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এই ধরনের কথা যে বলে, সে মানসিকভাবে অসুস্থ। আর আপনি যদি এটা শুনেও চুপ থাকেন, তাহলে আপনিও সেই অসুস্থতার নীরব সমর্থক।


আদরের নামে কোলে বসানো: সীমানা লঙ্ঘনের প্রথম ধাপ। "আরে আমার কোলেই তো বসেছে, কী এমন হবে?"—এই চিন্তাটাই ভয়ঙ্কর। আপনার কন্যা সন্তানকে কখনোই, কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তির কোলে বসতে দেবেন না। সে আপনার ভাই হোক, বন্ধু হোক, বা সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিই হোক না কেন। একটি শিশুর শরীর তার নিজের। তার শরীরে কার স্পর্শ পড়বে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার। যখন আপনি তাকে জোর করে বা আবেগের বশে অন্যের কোলে বসিয়ে দেন, আপনি তাকে বার্তা দেন যে, তার শরীরের ওপর তার নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন শিকারী ঠিক এই সুযোগটিই খোঁজে। সে প্রথমে কোলে বসিয়েই পরীক্ষা করে নেয়, এই শিশুটির প্রতিরোধ ক্ষমতা বা তার অভিভাবকের সচেতনতা কতটুকু। আপনার একটি ‘না’ আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতের হাজারো বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনি কি সেই 'না' বলার সাহস রাখেন?


আপনার সন্তান বাইরে খেলতে গেছে। আপনি নিশ্চিন্ত। কিন্তু আপনি কি জানেন, তারা কী খেলছে? ‘ডাক্তার-ডাক্তার’ খেলার নামে একে অপরের শরীর স্পর্শ করা হচ্ছে না তো? ‘বর-বউ’ খেলার নামে এমন কিছু ঘটছে না তো, যা তার বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়? অনেক সময় বড় বাচ্চারা ছোটদের ওপর যৌন তথ্য বা কার্যকলাপ চাপিয়ে দেয়। আপনার সন্তান সেখান থেকে বিকৃত ধারণা নিয়ে ফিরতে পারে। অথবা সে নিজেই কোনো নিগ্রহের শিকার হতে পারে। আপনার দায়িত্ব শুধু তাকে খেলতে পাঠানো নয়, সে কাদের সাথে মিশছে এবং কী ধরনের খেলায় অংশ নিচ্ছে, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা। আপনার উদাসীনতাই হতে পারে আপনার সন্তানের মানসিক বিকৃতির কারণ।


আপনি আধুনিক অভিভাবক। সন্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন স্মার্টফোন। কিন্তু সেই ফোনের ব্রাউজিং হিস্ট্রি শেষ কবে চেক করেছেন? গুগলে, ইউটিউবে সে কী সার্চ করছে, তার খবর কি রাখেন? আপনার সন্তান হয়তো ভুল করে এমন কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ছে, যা তার কচি মনকে চিরদিনের জন্য বিষাক্ত করে দিতে পারে। পর্নোগ্রাফি, ভায়োলেন্স—এই ডিজিটাল দানবগুলো আপনার সন্তানের বিছানায়, আপনার ছাদের নিচেই ওঁৎ পেতে বসে আছে। আপনি তাকে ফোন দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ ভাবলে, একদিন দেখবেন এই ফোনই আপনার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।


টিভি বা মোবাইলে কোনো অ্যাডাল্ট কনটেন্ট, ভায়োলেন্স বা অশ্রাব্য ভাষার সিনেমা-সিরিজ চলছে আর আপনার সন্তান পাশে বসে দেখছে—এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। আপনি ভাবছেন সে বুঝছে না, কিন্তু প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি শব্দ তার অবচেতন মনে গেঁথে যাচ্ছে। যা তার চরিত্র গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে, তাকে সময়ের আগেই ‘বড়’ করে তুলছে এক বিকৃত উপায়ে।


আপনার নেশা, আপনার সন্তানের সর্বনাশ। 

আপনি কি সন্তানের সামনে ধূমপান বা অন্য কোনো নেশা করেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনি শুধু নিজের শরীর নয়, আপনার সন্তানের চরিত্রকেও ধ্বংস করছেন। আপনি তার চোখে ‘হিরো’। আপনার হিরো যখন নেশা করে, তখন সেও এটাকে ‘কুল’ বা ‘স্বাভাবিক’ বলে ধরে নেয়। ভবিষ্যতে তারও এই পথে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা আপনিই তৈরি করে দিচ্ছেন।


আপনার সন্তান যদি কোনো ব্যক্তির সাথে যেতে বা মিশতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করে, তাকে কখনোই জোর করবেন না। শিশুদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি (instinct) থাকে, যা তাদের বিপদ চিনতে সাহায্য করে। সে হয়তো মুখে বলতে পারছে না, কিন্তু তার আচরণই বলছে ওই ব্যক্তি নিরাপদ নয়। তার অস্বস্তিকে সম্মান করুন। আপনার সামাজিকতা রক্ষা করার চেয়ে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


লক্ষ্য রাখুন, আপনার সন্তান কি বিশেষ কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে? তার কথাই কি সারাক্ষণ বলছে? সেই ব্যক্তি কি তাকে অন্যদের চেয়ে বেশি দামী উপহার বা আলাদা মনোযোগ দিচ্ছে? এটি একটি ক্লাসিক গ্রুমিং কৌশল হতে পারে। ওই ব্যক্তি হয়তো আপনার সন্তানের বিশ্বাস অর্জন করে তার সর্বনাশ করার ছক কষছে। सावधान!


আপনার সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন? আপনি কি তার বন্ধু হতে পেরেছেন? সে কি তার মনের সব কথা, তার ভয়, তার প্রশ্ন আপনাকে নিঃসংকোচে বলতে পারে? যদি না পারে, তাহলে বিপদ ঘটলে সে আপনাকেই প্রথম ভয় পাবে। আপনার শাসনের ভয়ে সে হয়তো ভয়ঙ্কর কোনো সত্যি নিজের ভেতরেই চেপে রাখবে, যা তাকে ভেতর থেকে কুরে কুরে খাবে। তার বন্ধু হোন, তাকে বিশ্বাস জোগান যে, পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গেলেও আপনি তার পাশে থাকবেন।


যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনার সন্তানকে সাথে নিয়ে যান। তাকে একা কারো ভরসায়, এমনকি গৃহকর্মীর কাছেও রেখে যাবেন না। অনুষ্ঠানে সে নতুন মানুষের সাথে মিশবে, সামাজিকতা শিখবে। এতে তার মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং সে আত্মবিশ্বাসী হবে। একজন আত্মবিশ্বাসী শিশুকে টার্গেট করা শিকারীর জন্য কঠিন।


এই লেখাটি পড়ার পর যদি আপনার হৃদপিণ্ড কেঁপে ওঠে, যদি নিজেকে অপরাধী মনে হয়, তাহলে বুঝবেন—এখনো সময় আছে। আপনার ঘুম ভাঙার জন্যই এই কঠোর শব্দগুলোর প্রয়োজন ছিল।


এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি এই নীতিগুলোকে আপনার রক্তে মিশিয়ে নিয়ে আপনার মেয়ের জন্য একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করবেন, নাকি তাকে অরক্ষিত অবস্থায় হায়েনাদের সমাজে ছেড়ে দেবেন? মনে রাখবেন, একটি ভুল, শুধু একটি ভুলের জন্য আপনাকে সারাজীবন অনুশোচনার আগুনে পুড়তে হতে পারে। জাগুন, অভিভাবক, জাগুন!


#ProtectOurDaughters, #ChildSafetyNow, #ParentingAlert, #GoodTouchBadTouch, #StopChildAbuse, #AwareParenting, #Bangladesh, #FamilyFirst, #DigitalSafetyForKids, #WakeUpParents

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আশরাফুল আলম নবেল ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সহবাস করতে চাইলে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন? 


যে ভুলের আগুনে আপনার সাজানো সংসার ছাই হয়ে যেতে পারে!


রাত গভীর। আপনার স্বামী ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বিছানায় এল। ভালোবাসার উষ্ণতা চেয়ে আপনার দিকে হাত বাড়াল, আর আপনি? ঝটকা মেরে তার হাতটা সরিয়ে দিলেন! ঘৃণা আর বিরক্তিতে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে ফিরে শুলেন। তার সমস্ত আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা আর পৌরুষকে এক মুহূর্তে পায়ের তলায় পিষে দিয়ে আপনি ঘুমের ভান করলেন।


বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এই দৃশ্যটা আপনার শোবার ঘরে কতবার অভিনীত হয়েছে? সামান্য ঝগড়া, ছোট কোনো চাহিদা পূরণ না হওয়া, বা নিছকই 'মুড নেই'—এই অজুহাতগুলোকে অস্ত্র বানিয়ে আপনি আপনার স্বামীকে কত রাত ফিরিয়ে দিয়েছেন? আপনি হয়তো ভাবছেন, "বেশ করেছি! ও আমার কথা শোনে না, আমিও ওর কথা শুনব না।"


বোন, আপনি আসলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন। আপনি সহবাসকে ব্যবহার করছেন স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার একটা মাধ্যম হিসেবে, তার পৌরুষকে অপমান করার একটা বিষাক্ত তীর হিসেবে। আপনি শোবার ঘরকে বানিয়ে ফেলেছেন একটা যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে আপনার শরীরটাই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিন্তু আপনি ভুলে যাচ্ছেন, যে পুরুষ যুদ্ধে বারবার হারে, সে একদিন সেই যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে নতুন সাম্রাজ্যের সন্ধান করে।


আপনি কি বিছানায় জ্যান্ত লাশ?


স্বামী যখন আপনাকে কাছে টানে, আদর করতে চায়, তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কী হয়? আপনি কি একটা পাথরের মূর্তির মতো চুপচাপ শুয়ে থাকেন? তার ছোঁয়ায় আপনার শরীরে কোনো স্পন্দন জাগে না, আপনার মুখ থেকে কোনো শীৎকারের শব্দ বের হয় না, আপনার চোখ দুটো বন্ধ থাকে নির্লিপ্ততায়। সে যখন জিজ্ঞেস করে, "তোমার কেমন লাগছে?", আপনার উত্তর আসে না। আপনার শরীরটা তার নিচে পড়ে থাকে, কিন্তু আপনার মন থাকে হাজার মাইল দূরে।


আপনি কি কখনো নিজে থেকে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন? ভালোবেসে একটা চুমু খেয়েছেন? তার শরীরের বোতাম খোলার জন্য অধীর হয়েছেন? উত্তর যদি 'না' হয়, তাহলে আপনি শুধু তার স্ত্রী নন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় শাস্তি।


একজন পুরুষ তার স্ত্রীর মধ্যে শুধু একজন সেবাদাসীকে খোঁজে না, সে তার মধ্যে একজন প্রেমিকাকে খোঁজে, একজন কামার্ত সঙ্গিনীকে খোঁজে, যার শরীরের আগুনে সে পুড়ে খাঁটি হতে চায়। আপনি যখন মরা মাছের মতো বিছানায় পড়ে থাকেন, তখন আপনি তাকে শারীরিক তৃপ্তির বদলে মানসিক যন্ত্রণা দেন। আপনি তাকে বুঝিয়ে দেন, এই সম্পর্কটা তার জন্য একটা বোঝা, একটা রুটিনমাফিক অত্যাচার।


আপনার মতো স্ত্রী যার কপালে জোটে, সে দ্বিতীয় বিয়ে করবে না তো কী করবে?


ভাবুন তো একবার, আপনার স্বামী হয়তো আপনার সব চাহিদা পূরণ করার জন্য দিনরাত গাধার মতো খাটছে। সে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না, কোনো পরকীয়ায় জড়ায় না, আপনার আর আপনার সংসারের প্রতি সে সৎ। কিন্তু দিনের শেষে সে যখন আপনার কাছে একটু ভালোবাসা, একটু উষ্ণতা চাইতে আসে, আপনি তাকে ফিরিয়ে দেন।


তাহলে সে কেন আপনার জন্য এত কিছু করবে? কেন আপনার শাড়ি-গয়নার খরচ জোগাবে? কেন আপনার বাপের বাড়ির আবদার মেটাবে? সে তো আপনাকে ভালোবাসে, আপনার কাছ থেকে মানসিক শান্তির পাশাপাশি শারীরিক সুখও চায়। আপনি যদি তার সবচেয়ে মৌলিক, সবচেয়ে আদিম চাহিদাটাই পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কোন অধিকারে আপনি তার কাছ থেকে বাকি সবকিছু আশা করেন?


আপনার হয়তো মাঝে মাঝে সহবাসের ইচ্ছা করে না, শরীর ক্লান্ত থাকে। কিন্তু আপনার স্বামীর কি প্রতিদিন সকালে উঠে কাজে যেতে ইচ্ছা করে? তারও তো মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সব ছেড়েছুঁড়ে শুয়ে থাকতে। কিন্তু সে পারে না, কারণ তার কাঁধে আপনার আর আপনার সংসারের দায়িত্ব। ঠিক সেভাবেই, আপনার ইচ্ছা না করলেও মাঝে মাঝে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে, তার ভালোবাসার খাতিরে নিজেকে সঁপে দেওয়াটা আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।


সহবাস ঝগড়া মেটানোর সবচেয়ে মিষ্টি প্রতিশোধ!


আপনারা স্বামী-স্ত্রী, আপনাদের মধ্যে ঝগড়া হবেই। কিন্তু বুদ্ধিমান নারীরা সেই ঝগড়াকে বিছানায় নিয়ে যায় না, বরং বিছানাকে ব্যবহার করে ঝগড়া শেষ করার জন্য। ভেবে দেখুন, দিনের বেলার সমস্ত রাগ, অভিমান রাতের বেলা তীব্র শরীরী মিলনের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেল—এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে? সহবাস হলো সেই জাদুকরী আঠা যা দুটো ভাঙা মনকে আবার জুড়ে দেয়। আপনাদের দূরত্বের বরফ গলিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উষ্ণতা হলো যৌনতা।


যে নারী এই অস্ত্র ব্যবহার করতে জানে, তার সংসারে তৃতীয় কেউ ঢোকার সাহস পায় না। কারণ সে জানে, কীভাবে তার পুরুষকে নিজের মধ্যে বেঁধে রাখতে হয়।


বরং আপনার যদি কোনো বড় আবদার থাকে, কোনো কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে স্বামীকে সহবাসে এমন সুখ দিন যা সে আগে কখনো পায়নি। নতুন নতুন কৌশলে তাকে পাগল করে দিন। তাকে এমন চরম তৃপ্তি দিন যে সে ঘোরের মধ্যে থাকবে। তারপর দেখুন, সেই সুখের ঘোরে সে আপনার যেকোনো আবদার পূরণ করতে এক পায়ে খাড়া থাকবে। যে নারী স্বামীকে যৌনসুখের স্বর্গে পৌঁছে দিতে পারে, স্বামী তাকে বাস্তব জীবনে রানী করে রাখে।


একজন নারীই পারে চল্লিশটা নারীর সুখ দিতে!


একটা কথা মনে গেঁথে নিন, যে নারী নিজের স্বামীকে বিভিন্ন আসনে, বিভিন্ন ভঙ্গিমায়, নানা ধরনের দুষ্টুমিতে ভরিয়ে দিয়ে চরম সুখ দিতে পারে, সেই স্বামীর বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একজন দক্ষ ও প্রেমময়ী স্ত্রী একাই তার স্বামীকে চল্লিশটা নারীর সমান আনন্দ দিতে পারে। সে যদি আপনার শরীরেই সব ধরনের স্বাদ, সব ধরনের উত্তেজনা খুঁজে পায়, তাহলে সে কেন অন্য হরিণীর পেছনে ছুটবে? সে তো আপনার মাঝেই পুরো জঙ্গলটা পেয়ে যাচ্ছে!


সময় থাকতে নিজেকে বদলান। একজন বিরক্তিকর 'বউ' থেকে তার রাতের কল্পনার 'রানী' হয়ে উঠুন।


আসুন, আজ রাত থেকেই শুরু হোক নতুন অধ্যায়:


কথার আগুন: দিনের বেলায় তাকে একটা দুষ্টু মেসেজ পাঠান। যেমন: "আজ রাতে তোমার জন্য একটা নতুন খেলা অপেক্ষা করছে।" বা "আজ তোমাকে অন্যভাবে ভালোবাসব।" এই ছোট একটা লাইনই তার মাথার মধ্যে সারাদিন আপনার চিন্তা ঢুকিয়ে দেবে।


অপ্রত্যাশিত ছোঁয়া: সে যখন টিভি দেখছে বা মোবাইলে ব্যস্ত, পেছন থেকে গিয়ে আলতো করে তার ঘাড়ে চুমু খান। তার কানের কাছে ফিসফিস করে বলুন, "তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।" জামার ভেতর দিয়ে তার বুকে বা পিঠে হাত বুলিয়ে দিন। এই অতর্কিত আক্রমণ তাকে মুহূর্তেই উত্তেজিত করে তুলবে।


দৃষ্টির জাদু: তার চোখের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিন। কামনার দৃষ্টিতে তাকে আপাদমস্তক দেখুন। আপনার চোখের ভাষাই তাকে বুঝিয়ে দেবে যে আপনি তাকে কতটা চান।


শব্দের ব্যবহার: মুখ বন্ধ করে থাকবেন না। শীৎকার করুন। তার কানে কানে বলুন, "উফফ, কী আরাম!" বা "তোমার মতো করে কেউ পারে না।" তার পৌরুষের প্রশংসা করুন। বলুন, "তুমিই সেরা।" এই কথাগুলো তার জন্য ভায়াগ্রার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।


সক্রিয় হন: শুধু শুয়ে থাকবেন না। আপনিও উদ্যোগ নিন। তাকে চুমু খান, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আদর করুন। তার চুলের মুঠি আলতো করে ধরুন, পিঠে নখের আঁচড় দিন। বুঝিয়ে দিন যে আপনিও এই খেলাটা খেলতে ভালোবাসেন।


নতুনত্বের স্বাদ দিন: প্রতিবার একই ভঙ্গিমায় মিলিত না হয়ে নতুন কিছু চেষ্টা করুন। তাকে বলুন, "চলো আজ নতুন কিছু করি।" আপনার এই আগ্রহই তাকে দ্বিগুণ উত্তেজিত করবে।


আলিঙ্গন ও আদর: কাজ শেষ হলেই তাকে ছেড়ে দূরে সরে যাবেন না। তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকুন। তার বুকে মাথা রাখুন, চুলে বিলি কেটে দিন। এই মুহূর্তের নীরবতাই হাজারটা ভালোবাসার কথা বলে দেয়।


প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা: তাকে বলুন, "আজকের রাতটা অসাধারণ ছিল।" বা "তোমাকে পেয়ে আমি খুব সুখী।" তার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করুন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে আপনাকে আরও বেশি ভালোবাসবে।


ছোট্ট যত্ন: তার জন্য এক গ্লাস জল নিয়ে আসুন। বা একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছে দিন। এই ছোট ছোট যত্নগুলোই বুঝিয়ে দেয় আপনি শুধু তার শরীরকে নয়, তাকেও ভালোবাসেন।


শেষ প্রশ্নটা আপনার কাছেই। আপনি কি স্বামীর কাছে একজন বোঝা হয়ে থাকবেন, যার শরীরটা পাওয়ার জন্য তাকে যুদ্ধ করতে হয়? নাকি সেই নারী হয়ে উঠবেন, যার শরীরের মায়ায়, আদরের নেশায় সে বারবার বাঁধা পড়তে চায়?


সিদ্ধান্ত আপনার। হয় নিজের সংসারকে বাঁচান, নয়তো নিজের ইগোর আগুনে তিলে তিলে তাকে ছাই হয়ে যেতে দেখুন।

সংগৃহীত


লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করে অন্যদেরও পড়তে দিন।

🌸 আপনার একটুখানি শেয়ার হয়তো কারও হৃদয়ে ছুঁয়ে যাবে।

📌 ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ,,, দৈনিক হালচাল সমাচার ফেইসবুকের কোনো এক ফারহানার লেখা থেকে নেওয়া

 নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ 


পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?


জানেন, সেই স্বাদ যখন শিরা-উপশিরা বেয়ে আপনার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কেমন নেশা হয়? এটা এমন এক নেশা, যার কাছে পৃথিবীর দামী ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলও ফিকে হয়ে যায়। এই নেশা আপনাকে মুহূর্তে মেঘের উপরে ভাসাতে পারে, আবার পরমুহূর্তেই টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারে বাস্তবতার কঠিন মাটিতে, যেখানে আপনার সাজানো সংসার, বিশ্বাস আর ভালোবাসা টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকে।


কি? চমকে গেলেন? ভাবছেন, আমি ফারহানা, এসব কী বলছি! ভাবছেন, একটা নির্দোষ প্রশংসা নিয়ে এত নোংরা কথা বলার কী আছে?


আসুন, আজ সেই নোংরামির গভীরতাটাই একটু মেপে দেখি। আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেই, আপাতদৃষ্টিতে "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" মনে হওয়া কথাগুলোর আড়ালে কতটা ভয়ংকর লাম্পট্য আর calculado শিকারের ছক লুকিয়ে থাকে।


 প্রশংসার মিষ্টি টোপ


নিচের কথাগুলো আপনার জীবনে কি কখনো শুনেছেন? বা আপনার আশেপাশের কেউ কি প্রায়ই শোনে?


১. "ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!"


বিশ্লেষণ: এটা শুধু আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা নয়। এটা একটা সূক্ষ্ম চাল। এই কথার মাধ্যমে আপনাকে আপনার বর্তমান পরিচয়—একজন স্ত্রী এবং মা—থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আপনি এখনো একজন কাঙ্ক্ষিত নারী, যাকে দেখলে সদ্য তরুণী বলে ভ্রম হয়। আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে "বাচ্চার মা" হিসেবেই দেখে, কিন্তু এই 'অন্য' পুরুষটি আপনার ভেতরের সেই হারিয়ে যাওয়া 'আমি'-কে খুঁজে বের করেছে। কী অসাধারণ অনুভূতি, তাই না? ফাঁদটা এখানেই।


২. "ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? ... নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!"


বিশ্লেষণ: আপনার স্বামী হয়তো আপনার পুরো মুখটাকেই ভালোবাসে। কিন্তু এই পুরুষটি আপনার সৌন্দর্যের এমন এক ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত অংশকে বিশেষভাবে প্রশংসা করছে, যা হয়তো আপনার স্বামী গত পাঁচ বছরেও খেয়াল করেনি। এই নির্দিষ্ট প্রশংসা আপনার মনে স্বামীর বিরুদ্ধে একটা চাপা অভিমান তৈরি করবে। মনে হবে, "এই মানুষটা আমাকে কতটা গভীরভাবে দেখে! আর আমার নিজের মানুষটা তো..."। এই 'গভীরভাবে দেখা'র বিভ্রমই হলো ধ্বংসের প্রথম ধাপ।


৩. "মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!"


বিশ্লেষণ: নিখুঁত চাল! আপনার এবং আপনার স্বামীর মধ্যকার সামান্য মনোমালিন্যের মুহূর্তে তৃতীয় কেউ এসে যখন আপনাকে 'নির্দোষ' এবং 'ফেরেস্তা'র সার্টিফিকেট দেয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর প্রতি আপনার ক্ষোভ বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনি ভাবতে শুরু করেন, "আমি তো আসলেই ভালো, সমস্যাটা তাহলে ওরই"। এই পুরুষটি তখন আপনার কাছে সহানুভূতিশীল বন্ধু বা 'soulmate' হয়ে ওঠে, যে আপনাকে 'বোঝে'। অথচ এর আড়ালে সে আপনার দাম্পত্যের ফাটলটাকে আরও বড় করার কাজেই ব্যস্ত।


৪. "একটা কথা বলি আপু! ... আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! ... টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!"


বিশ্লেষণ: শারীরিক সৌন্দর্যের বাইরে গিয়ে যখন কেউ আপনার কণ্ঠ বা ব্যক্তিত্বের এমন প্রশংসা করে, তখন সেটা আরও গভীরে গিয়ে আঘাত করে। আপনার মনে হতে পারে, এই মানুষটা কেবল আমার শরীর নয়, আমার আত্মাকেও সম্মান করছে। কিন্তু সত্য হলো, এটাও ফাঁদে ফেলার একটি অত্যাধুনিক কৌশল। সে আপনাকে বোঝাতে চাইছে, সে আপনার সবকিছুরই পূজারী। এই পূজা পাওয়ার লোভ সামলানো খুব কঠিন, তাই না? আমি ফারহানা, একজন নারী হিসেবে জানি, এই শব্দগুলোর টান কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।


৫. "আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না... দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!"


বিশ্লেষণ: মারাত্মক অস্ত্র! আপনাকে 'আন্টি' বা বয়স্কের খোলস থেকে বের করে এনে সরাসরি 'বিয়ের যোগ্য' তরুণীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হলো। আপনার অবচেতন মন মুহূর্তেই দশ বছর পেছনে চলে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন করে দেখবেন। আর যে পুরুষটি এই भ्रम তৈরি করলো, তাকে আপনার জীবনের 'মূল্যায়নকারী' বলে মনে হবে।


এই তালিকা আরও লম্বা হতে পারতো। "নীল শাড়ীতে আপনাকে কোয়েল মল্লিকের মতো লাগছে", "আমি আপনার মতো বউ পেলে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম" – এ সবই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।


এবার আসল কথায় আসি। যে পুরুষেরা বিবাহিত নারীদের এভাবে প্রশংসার জালে জড়াতে চায়, তাদের ৯৯.৯৯% এর উদ্দেশ্য কী? আপনাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করা?


না। একদমই না।


তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, আপনার শরীর ও সঙ্গ ভোগ করা। তারা কুকুরের মতোই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা জানে, একজন বিবাহিত নারী মানসিক বা শারীরিকভাবে অতৃপ্ত থাকলে, কিংবা স্বামীর কাছে সামান্য অবহেলিত বোধ করলেই প্রশংসার কাঙাল হয়ে ওঠে। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ।


তারা আপনাকে বিয়ে করবে না, কারণ তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের লক্ষ্য হলো 'রেডিমেড' ফল খাওয়া। আপনার সাজানো সংসার আছে, আপনার সামাজিক পরিচয় আছে। আপনার সাথে একটা গোপন সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই সবটুকু নিংড়ে নেওয়া যায়। যতদিন ভালো লাগবে, ততদিন চলবে। তারপর? তারপর আপনি আপনার ভাঙা সংসার আর কলঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকবেন, আর সে নতুন কোনো 'ভাবী' বা 'ম্যাডাম'-এর নাকের তিলের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সোজা কথায়, যতদিন 'খাওয়া' যায়, ততদিনই আপনার কদর।


যে নারী তার স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো, যার জীবনে স্বামীর বিকল্প কেউ ছিলো না, সেই নারীও যখন দিনের পর দিন বাইরের কোনো পুরুষের মুখে নিজের এমন খুঁটিনাটি প্রশংসা শোনে, তখন তার ভাবনার জগতে ঝড় ওঠে।


সে ভাবতে শুরু করে:

"আমার স্বামী তো আমাকে এত্ত ভালোবাসে, কিন্তু ও তো কোনোদিন আমার কপালের টিপটা নিয়ে এমন করে কিছু বলেনি!"

"আমি সংসারে সবার জন্য খেটে মরছি, আর ও আমাকে শুধু 'দরকার' হিসেবেই দেখে। অথচ বাইরের ওই লোকটি আমার ভেতরের সৌন্দর্যকে সম্মান করে।"

"আমার স্বামী হয়তো আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে আমাকে 'desire' করে না। এই লোকটি আমাকে বুঝিয়ে দিলো, আমি এখনো কতটা আকর্ষণীয়।"


এই ভাবনাগুলোই হলো বিষ। এই বিষাক্ত ভাবনা থেকে জন্ম নেয় দাম্পত্য কলহ। স্বামীর ছোটখাটো ভুলও তখন অসহ্য মনে হয়। আপনি অকারণে খিটখিট করবেন, সামান্য কথায় ঝগড়া করবেন। কারণ আপনার মনে তখন একটা তুলনামূলক বিচার চলছে, যেখানে আপনার স্বামী প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে সেই 'প্রশংসাকারী' পুরুষের কাছে।


সুখের সংসারে থাকা একজন নারীও তখন নিজের মধ্যে 'অভাব' খুঁজে পায়। যে অভাবটা আসলে ছিলোই না, সেটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বাইরে থেকে। এরপর শুরু হয় গোপন চ্যাটিং, লুকিয়ে দেখা করা, এবং অবশেষে পরকীয়া—যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।


একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা" আপনার আত্মসম্মানকে এমনভাবে বাড়িয়ে দেবে যে আপনি আপনার বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে শুরু করবেন। আর এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষকে মানসিক এবং সামাজিকভাবে খুন করে ফেলা হয়।


আমি জানি, প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা নির্দোষ প্রশংসা আর কোনটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত 'টোপ'। যে পুরুষ আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়, আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সহানুভূতি দেখানোর নামে নাক গলায়, আপনার দাম্পত্যের খুঁটিনাটি জানতে চায়—সে কখনোই আপনার বন্ধু হতে পারে না। সে একজন শিকারি।


এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই, অবশ্যই, এবং অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!


একই কথা পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিছু নারীও সুদর্শন পুরুষ বা অফিসের বসকে ফ্লার্ট করে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে চায়। ফাঁদ দুই দিক থেকেই হতে পারে।


তাই, যদি জীবনে সুখী হতে চান, নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন, তাহলে এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারো মিষ্টি কথায় গলে যাবেন না। যে আপনার রূপের বা গুণের প্রশংসা করে আপনাকে আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়, তাকে সরাসরি ব্লক করুন। কারণ, এই প্রশংসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত সাপটি ছোবল দেওয়ার আগেই তাকে চিনে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।


মনে রাখবেন, আপনার স্বামী হয়তো কবি নয়, সে হয়তো প্রতিদিন আপনার নাকের তিলের প্রশংসা করে না। কিন্তু দিনশেষে অসুস্থ হলে মানুষটা সেই-ই আপনার পাশে নির্ঘুম রাত কাটায়। আপনার সন্তানের দায়িত্ব নেয়। আপনার সংসারের ভার বয়। ক্ষণিকের নেশার জন্য এই চিরস্থায়ী আশ্রয়টাকে নষ্ট করবেন না।

গল্প টা মায়ের কাছে শোনা।,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গল্প টা মায়ের কাছে শোনা। 

কোন এক গ্রামে এক চিটিংবাজ বাস করতো।  যেহেতু চিটিংবাজ তাই, সারাদিন ফন্দি আঁটত কাকে কিভাবে ঠকানো যায়। 

গ্রামের  কেউকে সে কোনোদিন ঠকায় নি। পাছে গ্রামে তাঁর সন্মান নষ্ট হয়।  একদিন তাঁর মাথায় কু বুদ্ধি ভর করলো। সে ভাবলো  গ্রামের কেউকে সে ঠকাবে। 

যেমন ভাবা তেমনি  কাজ।  

গ্রামের ব্রাহ্মণ, ঘোষ,  কামার, কুমোর, ছুতোর, দাস, মাঝি ইত্যাদি সম্প্রদায়ের বাস। সে ভাবছে কাকে ঠকানো যায়?? অবশেষে তাঁর নজর পড়লো, কুমোরপাড়ার হরিদাস পালের উপরে। 

একদিন সন্ধ্যাবেলায়,  হরিদাস পালের বাড়ি গিয়ে চিটিংবাজ লোকটা বলল। " ভাই আমাকে ১০০০  মাটির ১ টাকার কয়েন তৈরী করে দেবে?? তোমার পারিশ্রমিক যা লাগবে দেবো"। 

হরিদাস পাল  অনেক ভেবে রাজি হলো। চিটিংবাজ তাকে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে বাড়ি ফিরে এলো। 


একসপ্তাহ পরে চিটিংবাজ, হরিদাস পালকে বাজারে দেখে, সবার সামনে চেঁচিয়ে বলল " আমার  হাজার টাকার কয়েন গুলো কবে দেবে?? 

হরিদাস  পাল বিনয়ের সাথে বলল  " আরও কিছুদিন সময় লাগবে। 

হরিদাস পাল কে চিটিংবাজ প্রায়ই বলে " আমার হাজার টাকা কবে দেবে?? 

হরিদাস বলেন  " আর কিছুদিন পরে " 

ইতিমধ্যে  গ্রামের সবাই জেনে গেছে  চিটিংবাজ হরিদাস পালের কাছে ১০০০টাকা পায়। 

এভাবে ছয় মাস পার হলো,, একদিন চিটিংবাজ বাজারে   লোকজনের সামনে  একপ্রকার হুমকি দিয়েই বলল  "এক সপ্তাহর মধ্যে আমার টাকা চাই। নইলে.. 

গ্রামের লোকজন জানতো হরিদাস পাল  চিটিংবাজের থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়েছে,  চিটিংবাজ সেই টাকাটাই চায়। তাই তাঁরাও চিটিংবাজের পক্ষ নিয়ে  হরিদাস পাল কে ভীষণ চাপ দিতে থাকলো। 

চিটিংবাজ যে হরিদাস পালকে  মাটির টাকা তৈরী করতে দিয়েছে সে কথা কেউ বিশ্বাসই করলো না। 

সবাই বলল " একটা চিটিংবাজ কি পাগল?? যে তোমাকে  মাটির টাকা বানাতে দেবে?? তুমি ওর ১০০০ টাকা মেরে দিতে চাইছো??  ভালোই ভালোই ওর পাওনা টাকা ওকে ফেরত দাও। নইলে কিন্তূ কপালে কষ্ট আছে। 


বেগতিক দেখে হরিদাস  গ্রামের মোড়লের কাছে গেল। সব শুনে মোড়ল  হরিদাসকে মিথ্যাবাদী বলে ভৎসনা করলো। তারপর তাকে আদেশ দিলো,  তিন দিনের মধ্যে   চিটিংবাজের সব টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। নয়তো সালিসি সভা দেখে তোমাকে চরম শাস্তি দেয়া হবে। 


সহজ সরল হরিদাস কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে ভাবছে একি অনাচার?? তাঁর কথা কেউ বিশ্বাসই করছে না?

যে মিথ্যা বলছে সবাই তাঁর পক্ষে কথা বলছে?? 

হরিদাস পালের স্ত্রী ছিলেন ভীষণ বুদ্ধিমতী। সব শুনে  সব শুনে হাসতে হাসতে বললেন " এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে তুমি কাঁদছো?? যাও এখুনি চিটিংবাজ কে বলে এসো। কাল সকালে আমাদের বাড়িতে এসে যেন টাকাটা নিয়ে যান। 

স্ত্রীর কথা শুনে হরিদাস অবাক। তাহলে কি সত্যি সত্যিই ওকে টাকা দিতে হবে?? 

হরিদাস পালের স্ত্রী বললেন " কি এতো ভাবছো?? যা বললাম তাই করো। এখুনি গিয়ে বলে এসো। 

হরিদাস স্ত্রীর কথা মত   চিটিংবাজকে টাকা নিতে যাওয়ার কথা বলল.. 

টাকা নিতে যাওয়ার কথা শুনে চিটিংবাজ তো মহাখুশি। পরের দিন সকালে হাসতে হাসতে হরিদাসের বাড়িতে উপস্থিত হলো। 

হরিদাস পালের স্ত্রী  মাথায় ঘোমটা দিয়ে বললেন " আমি এখনো আকাচা।আপনার টাকা ওই চাক (হাঁড়ি বানানোর যন্ত্র ) ঘরের  ডাপের ঝোলায় রাখা আছে। আপনি একটু কষ্ট করে নিয়ে নিন। 

টাকার লোভে চিটিংবাজ প্রায় লাফাতে লাফাতে চাক ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। দরজা খুলে দেখলো ঘরটা একটু অন্ধকার। তবে ডাপে ঝোলা টা দেখা যাচ্ছে। যেমনি ঝোলাটা নামিয়েছে। অমনি ঝোলার আড়ালে ভীমরুলের  চাক থেকে বেশ কিছু ভিমরুল বেরিয়ে চিটিংবাজের মুখে, হাতে, বুকে, পিঠে যেখানেই পেরেছে হুল ফোটাতে শুরু করেছে। 

 " বাবারে, মা রে, গেলাম রে, বাঁচাও বাঁচাও বলে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে দৌড়োতে শুরু করেছে। ভিমরুল গুলোও চিটিংবাজের পিছু নিয়েছে। 

বেগতিক  দেখে প্রাণ বাঁচাতে চিটিংবাজ এবারে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছে।  পুকুরে গভীর খাল, এদিকে চিটিংবাজ সাঁতারও জানতো না।  

চিটিংবাজ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। আর জল খাচ্ছে।  সব দেখে হরিদাস একটা বাঁশের লগি নিয়ে এগিয়ে এলো। সঙ্গে  গ্রামের মোড়ল ও আরও  কিছু গণ্যমান্য লোকজন। 

লগিতা চিটিংবাজের দিকে বাড়িয়ে হরিদাস বলল " সত্যি কথা বলো, তুমি  আমাকে  টাকা ঋণ দিয়েছো??  না কি মাটির টাকা তৈরী করতে দিয়েছিলে?? সব সত্যি বলবে। নইলে এই লগি আমি ছেড়ে দেবো.. 


বাঁচার তাগিদে চিটিংবাজ সব সত্যি কথা বলল।  সব শুনে সবাই চিটিংবাজকে  জল থেকে তুলে উত্তম মধ্যম দিতে এক্কেবারে মুখিয়ে রয়েছে। 

হরিদাস চিটিংবাজকে জল থেকে টেনে তুলে তাঁর করুন অবস্থা দেখে খুব দয়া হলো।  সারা শরীর টা ভীমরুলের কামড়ে এক্কেবারে যেখানে সেখানে ফুলে লাল হয়ে রয়েছে। তাই কেউ আর তাঁর গায়ে হাত দিলো না। 


মোড়ল মশাই  কড়া ভাষায় চিটিংবাজ কে আদেশ দিলেন।  সহজ সরল মানুষ পেয়ে হরিদাস কে ঠকানোর চেষ্টা??  তোমার শাস্তি তো তুমি পেয়েই গেছ তবুও  তোমাকে সবার সামনে হরিদাসের পায়ে ধরে  ক্ষমা চাইতে হবে। 

চিটিংবাজ  সবার সামনে হরিদাসের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে  বাবারে, মা রে , মরে গেলাম রে  বলতে বলতে চলে গেল। 

হরিদাস স্বস্তির ফেলল।  বাড়ি ফিরে  " সত্যি গিন্নি, তোমার জবাব নেই "" বলে  দুজনেই হাসতে লাগলো। 


✍️ পরিতোষ

টিউমারের হোমিও ঔষধ। টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। 

 টিউমারের হোমিও ঔষধ। টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।  টিউমারের কয়েকটি প্রধান ঔষধ হলোঃ Thuja, Conium, Baryta Carb, Baryta Iod, Baryta Mur, Cal...