এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

১৮ টি সহজ উপায় আছে, হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:

 ✅১৮ টি সহজ উপায় আছে, হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:


👉১) প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া স'ক্রিয় হয় এবং পাকস্থলীর এসিড ব্যালান্স ঠিক থাকে।


👉২) খাবারের সঙ্গে আদা, জিরা, গোলমরিচ ও ধনে ব্যবহার করলে পাচনতন্ত্রের এনজাইম উৎপাদন বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।


👉৩) প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পরিমাণ পানি পান করলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং কো'ষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


👉৪) খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে হজম প্র'ক্রিয়া সহজ হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।


👉৫) টক দই বা ফারমেন্টেড খাবার খেলে অ'ন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।


👉৬) খাবারের পরপরই শুয়ে না পড়ে ১০-১৫ মিনিট স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং গ্যা'স্ট্রিক সমস্যা কমে।


👉৭) প্রতিদিন কিছু সময় ইয়োগা বা স্ট্রে'চিং করলে অ'ন্ত্রের সঞ্চালন ঠিক থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।


👉৮) পেঁপে, আনারস ও কলার মতো এনজাইম সমৃদ্ধ ফল খেলে হজমের গতি বৃদ্ধি পায় এবং পেট ফাঁ'পা কমে।


👉৯) অতিরিক্ত চা, কফি, কোল্ড ড্রিংক্স গ্রহণ কমালে পাক*স্থলীর প্রদাহ কমে এবং হজমশক্তি স্বাভাবিক থাকে।


👉১০) প্রসেসড ও প্যাকেটের খাবার এড়িয়ে চলুন।


👉১১) বেশি রাত করে খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং রাতের খাবার হালকা রাখুন, এতে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।


👉১২) মানসিক চাপ কমালে হজমশক্তি উন্নত হয়, কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ হজমের এনজাইম ক্ষরণ কমিয়ে দেয় এবং গ্যাস, অ্যা'সিডিটি বাড়ায়।


👉১৩) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্য বেশি পরিমাণে খেলে অ'ন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কো'ষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


👉১৪) নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক রাখুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন, কারণ ঘুমের অভাব হজমশক্তি দুর্বল করে দেয়।


👉১৫) প্রতিদিন এক চিমটি মৌরি চিবিয়ে খেলে গ্যা'স, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যা কমে।


👉১৬) সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন গরম ভেষজ চা, যেমন আদা-লেবু চা বা পুদিনা চা পান করলে হজমশক্তি ভালো থাকে।


👉১৭) অতিরিক্ত তেল-মশলা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এবং গ্যা'স্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়।


👉১৮) নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে হাঁটা ও হালকা ব্যায়াম করলে অ'ন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং হজমশক্তি স্বাভাবিক থাকে।


#viralpost2025シ #viralreelsシ #foryoupageシforyou #foryoupagereels #viralreelsfb #reelschallenge #foryoupageシ #foeyoupage #foryourpage #foodblogger #health #healthylifestyle #healthtips

নজরুলের চিকিৎসা বিড়ম্বনা ও অজানা তথ্য (১-ম পর্ব ) ::::(সৌজন্যে: শুভাশীষ ঘোষ)

 নজরুলের চিকিৎসা বিড়ম্বনা

ও অজানা তথ্য (১-ম পর্ব ) ::::


বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অকস্মাৎ বাকরুদ্ধ হন ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই। ১৯৪২ সালের ১৭ জুলাই কবির অসুখের অষ্টম দিবসে কাজীর শাশুড়ি গিরিবালা দেবীর বিবৃতি অনুসারে কাজী নজরুলের জিহ্বার আড়ষ্টতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। সকাল থেকেই তিনি উত্তেজিত এবং বেশ জোরেশোরে চেঁচিয়ে ক্রোধের সাথে কথা বলছেন। তবে তার সব কথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। গিরিবালা দেবীর চিঠি পেয়ে চুরুলিয়া থেকে কাজীর বড় ভাই ও ছোট ভাই সাহেবজান ও কাজী আলী হোসেন ইতোমধ্যে চলে এসেছেন। তারা দুজনে বললেন ডা. বিধান চন্দ্র রায়কে (১৮৮২-১৯৬২ খ্রি.) দিয়ে দেখাবার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় কি না। কবির চেহারা বিমর্ষ, দীপ্তিহীন।


নির্জীব, নিস্তেজ অবস্থায় তিনি বিছানায় পড়ে রয়েছেন।

অসুখের শুরু থেকেই কবির খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ঠিক উন্মাদের মতোই তাড়াহুড়া করে আবার কখনো বা বাঁ হাতে তিনি খাবার মুখে পুরে দিতেন। তার শাশুড়ি গিরিবালা দেবী মাছের কাঁটা বেছে না দিলে নিজে কাঁটা ছাড়িয়ে খাওয়ার খেয়ালও তার লোপ পেয়ে গিয়েছিল। সে দৃশ্য বড়ই করুণ। তবে এই অসুখের বেলায়ও তার খাওয়ার রুচি হ্রাস পায়নি। বেশ খেতে পারতেন।


কিছু দিন পর কবির আবার এক নতুন উপসর্গ দেখা দিল। কোনো কোনো দিন অস্বাভাবিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়তে লাগলেন এবং স্বগত অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে শুরু করলেন। ক্রমে ক্রমে এমনি অবস্থা দাঁড়াল যে, তার পাগলামির জন্য তাকে বাড়িতে রাখা একরকম অসম্ভব হয়ে উঠল। সেই ছোট্ট বাড়িটার একটা ছোট্ট কামরায় তাকে আবদ্ধ করে রাখা হলো। কিন্তু সেখানেও বাহ্য-প্রস্রাব করে নোংরা করতে শুরু করলেন। একেক দিন এমনও দেখা গেল যে, মলমূত্র ত্যাগ করে সেই কামরাতেই তিনি সেগুলো দুই হাতে চটকাতে থাকতেন এবং কাপড়-চোপড় ছুড়ে ফেলে দিয়ে উলঙ্গ হয়ে বসে আছেন। কখনো বা বিড়বিড় করে, আবার কখনো বা জোরে জোরে নানা ধরনের শালীনতাহীন উক্তি করেছেন।


সে সময় ওই কামরায় কারো যাওয়ার সাহস হতো না, কবির কনিষ্ঠ সহোদর কাজী আলী হোসেন তখন তার চুরুলিয়ার বাড়ি থেকে এসে এখানে দিনকয়েক ছিলেন। তিনি কবির চেয়েও যথেষ্ট বলিষ্ঠ চেহারার শক্তিমান পুরুষ। অধিকাংশ সময় কবিকে কবির কনিষ্ঠ সহোদর কাজী আলী হোসেন কবিকে ধরে নিয়ে পাশের বাথরুমে কলতলায় নিয়ে গিয়ে গা ধুয়ে কাপড় বদলিয়ে দিতেন এবং কবির মাথায় তেল দিয়ে চুল অাঁচড়িয়ে তাকে সভ্যভব্য করে তুলতেন।


সামনে খাবার নিয়ে দিলে কোনো কোনো সময় খেয়েছেন, আবার কখনো বা ভাত-তরকারি কিংবা অন্য যে কোনো খাবার হোক, হাত দিয়ে চটকিয়ে মেঝের ওপর লেপে দিয়েছেন এবং সেই চটকানো হাত মাথায় ঘষেছেন। কবির কী নিদারুণ চেহারা, কী নিদারুণ দৃশ্য। শুধু দুই চোখ ফেটে প্রিয়জনদের দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়েছে।


শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক নজরুলের অসুস্থতার খবর শুনে টেলিফোনে ডক্টর শ্যামা প্রসাদকে (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) বললেন, 'শ্যামা প্রসাদ, কবি নজরুল ইসলাম অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি যতটুকু শুনলাম তাতে প্যারালাইসিস বলেই মনে হচ্ছে। ডা. বিধানকে দেখানোর জন্য আমাকে এসে ধরেছে। বিধান রায়কে দিয়ে নজরুলকে দেখানোর ব্যবস্থা তুমি করে দাও। আমার সময় কই?' ১০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত নজরুলের অসুস্থতার সব ঘটনা ডক্টর মুখার্জি শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়লেন। তিনি বললেন, কবি নজরুলের আর্থিক ব্যবস্থা হচ্ছে না কেন? কবির আর্থিক অবস্থা কেমন? গিরিবালা দেবী বললেন, আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। দেনার দায়ে তিনি ডুবে রয়েছেন। ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি শিউরে উঠলেন। কী বলছেন আপনি? কবি নজরুল দেনার দায়ে ডুবে রয়েছেন। তমিজ উদ্দিন তখন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী তার কাছে গেলে শফিকুল ইসলাম (তখন তিনি ছাত্র) বলে উঠলেন, নজরুল ইসলামের অসুখ তো এখানে কেন? তমিজ উদ্দিন সাহেব কী করবেন? হক সাহেবের কাছে গেলে ভালো হয় না? মুসলিম সমাজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে 'নবযুগে' লিখছেন সেই কবিকে মুসলমান কেন সাহায্য করতে যাবে? একজন মুসলমান হিসেবেই এই কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে কবি নজরুল ইসলাম বর্তমানে মুসলিম স্বার্থবিরোধী লোক। হক সাহেবের কাছে গেলে হক সাহেব সব শুনে বললেন, 'নজরুলকে রাঁচি পাঠিয়ে দাও। পাগলের জন্য রাঁচিতে গভর্নমেন্ট সুন্দর ব্যবস্থা করে রেখে দিয়েছে। বাড়িতে রেখে কি পাগলের কোনো চিকিৎসা করা যায়?'


কমিটি গঠন করা হলো কবি নজরুল ইসলামের অসুখের চিকিৎসার ব্যাপারে। এরপর ড. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি কয়েকজন মুসলমানের নাম করলে কমিটি গঠিত হলো_

১. ড. শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়_ প্রেসিডেন্ট ও কোষাধ্যক্ষ

২. সজনীকান্ত দাস (শনিবারের চিঠির সম্পাদক)_ যুগ্ম-সম্পাদক

৩. জুলফিকার হায়দার_ যুগ্ম-সম্পাদক

৪. সৈয়দ বদরুদ্দোজা_ সদস্য

৫. স্যার এ এফ রহমান_ সদস্য

৬. তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়_ সদস্য

৭. হুমায়ুন কবির_ সদস্য

৮. কবিরাজ বিমলানন্দ তর্কতীর্থ_ সদস্য

৯. সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার_ সদস্য

১০. তুষারকান্তি ঘোষ_ সদস্য

১১. চপলাকান্ত ভট্টাচার্য_ সদস্য

১২. গোপাল হালদার_ সদস্য।


এই নজরুল ফান্ড উৎসাহের সঙ্গেই বেশ কিছু দিন টাকা সংগ্রহ করেছিল বলে আমরা জানি। কিন্তু মাত্র ২০০ টাকা করে তিন মাসে মোট ৬০০ টাকা তারা কবিপত্নীকে দিয়েছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম মাস কেটে গেলেও তারা টাকা পাঠাননি। পরবর্তী মাস থেকে আর কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। কবির আর্থিক দুরবস্থা আরো চরমে উঠেছিল। আর তারই সুযোগ নিয়ে কলকাতা শহরে এবং মফস্বল অঞ্চলেও টাকা রোজগারের ফন্দিফিকির হিসেবে একে অন্যের সাথে যেন প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছিল। নানারকম ভুয়া ফান্ড, সমিতি ও লটারি খেলা কবির নামে পর্যন্ত শুরু হয়ে গেল।


পীড়িত কবি নজরুলকে সাহায্য করতে গিয়ে এই আশ্চর্য এবং অবিশ্বাস্য মানুষ এবং মানুষের চরিত্র বোঝা গেছে সেই সময়। স্বার্থ ও অর্থ কী সাংঘাতিক জিনিস। এরপর নিজ দেশে নজরুল আর ভালো করে অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেননি। অদৃষ্টের এ এক নির্মম পরিহাস!

(সৌজন্যে: শুভাশীষ ঘোষ)

বাংলা ভাষা আন্দোলন ও উৎকর্ষে দত্ত পরিবার

 বাংলা ভাষা আন্দোলন ও

উৎকর্ষে দত্ত পরিবার


ভাষা আন্দোলনের সুচনায় ছিলেন দাদু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আর বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় দুই বাংলায় লালন ও এর উৎকর্ষ সাধন এবং বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন তার নাতনী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যারোমা দত্ত ।


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার দাবী তুলেন পাকিস্তান পার্লামেন্টে তারপর সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের।


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, “রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষাই হওয়া উচিৎ, রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ যে ভাষা ব্যাবহার করে এবং আমি মনে করি যে, বাংলা ভাষাই আমাদের রাষ্ট্রের লিংগুয়া ফ্রাংকা।”


তার এ বক্তব্য ছিলো মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ‘‘উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা’’ ঘোষণার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ।


ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।পাক হানাদার বাহিনী ৮৪ বছর বয়স্ক ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে তার দু’চোখে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে অন্ধ করে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। তার মরদেহ রাস্তায় রেখে দেয়া হয় গায়ে থুতু দেয়ার জন্য।


শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের স্মৃতি তার নাতনী অরমা দত্ত লালন করছেন বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় লালন করে।


বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ও তার সুযোগ্য নাতনী সাংসদ অ্যারোমা দত্তকে।

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌


শুনলেই মাথায় আসে রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ, কিংবা বিদ্যাসাগর থেকে বিবেকানন্দ । সত্যিই তো বাংলায় মনীষীদের ছড়াছড়ি, সাধে কি আর গোখলে বলেছিলেন, what Bengal thinks today, India will think tomorrow’।

আজ যার কথা বলবো তার নাম এখন আর বিশেষ শোনা যায় না অথচ তাঁর অবদান বা আবিস্কার একসময় বাঙালির সাংসারিক জীবনে এনেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব ।... পড়ুন বিশেষ নিবন্ধ ধ্রুবতারাদের খোঁজে ।


জন্মগ্রহণ করেন ৪ই ডিসেম্বর, ১৮৬৯ সালে হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায়। কলকাতার ভবানীপুরের বিখ্যাত ‘মল্লিক বাড়ি’-র তিনি এক পূর্বপুরুষ।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে জিনিয়াসের লক্ষণ দেখা যায়।  পড়ার বইয়ের বাইরে যে বৃহৎ দুনিয়া আছে তা বুঝতে পেরে পাঠ্যবইয়ের বাইরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই তিনি পড়ে যেতেন। কলেজে পড়ার সময় তাঁর এই মেধাবী গুনগুলি প্রকাশ পায় বাংলা গুণীজনদের কাছে।


১৮৯১ সালে দর্শনশাস্ত্রে, ১৮৯২ এ পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় এম এ পাশ করেন। তখন বিজ্ঞানের বিষয়ের স্নাতক ও স্নাতকত্তরে  B.A ,M.A ডিগ্রী দেওয়া হতো। এরপর ১৮৯৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রির পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে তিনিই প্রথম বটানি তে M.A পাশ করেন। এর এক বছর পর তিনি প্রাণিবিদ্যা ও শরীরবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।  ভাবুন একবার, আঠাশ বছর বয়স হতে না হতেই তিনি পকেটে পুরলেন দর্শন, আইন, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বোটানি ও জুলজি এই সবকটি বিষয়ের হয় ডিগ্রি নয় মাস্টার ডিগ্রী !

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


এরই মধ্যে ১৮৯৭ সালে তিনি যোগ দেন বঙ্গবাসী কলেজে দর্শনের অধ্যাপক রূপে। তাঁর পড়ানোর ধরণ ছাত্রদেরকে মুগ্ধ করেছিল এবং তারাও বুঝতে পেরেছিল তাদের এই অধ্যাপক ভদ্রলোকটি কেবলমাত্র একটি বিষয়ে জ্ঞানী নয়। তাদের আবদারে এনাকে পড়াতে হতো উপরিউক্ত প্রায় সবকটি বিষয়। ১৮৯৭ থেকে ১৯০০ সাল অবধি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে একাধারে দর্শন ও আইন অন্যদিকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের অধ্যাপনা করেছেন। ১৯০০ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি আইনজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ।


কিন্তু অত্যন্ত মেধাবী এই মানুষটি একটি পেশা নিয়ে বসে থাকেন কি করে? ১৯০৮ সালে তিনি মেডিসিনে মাস্টার(এম ডি) ডিগ্রী লাভ করেন। আজকের দিনে ভাবতে পারেন কেউ ?

চিকিৎসক হিসেবে শুরু করলেন  দেশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের সচেতননটা বাড়ানোর কর্মসূচি। অটোভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতি ভারতে প্রথম চালু করায় অগ্রনী ছিলেন এই পন্ডিত মানুষটি। সমাজ সংস্কারেও ছিল সমান উৎসাহ।  দেশের জনসাধারনকে স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতা, আহার্য বিধি ইত্যাদি ব্যাপারে শিক্ষিত করে তোলার কাজে তাঁর প্রয়াস সত্যি অপরিহার্য। বিখ্যাত ‘মর্ডান রিভিউ’ পত্রিকায় বের হয় তার ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণা পত্র যা আজও ডাক্তারদের কাজে লাগে। এককথায় চিকিৎসক হিসেবে তাঁর বেশ নামডাক হলো তাঁর । শুধু তাই নয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিও ছিল প্রচ্ছন্ন সমর্থন। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত দেওঘরে বোমা পরীক্ষার সময় আহত হলে ইনিই গোপনে তাঁর চিকিৎসা করেন।


এবার আসি তাঁর সেই আবিষ্কারের প্রসঙ্গে যার ফলে তিনি জীবদ্দশাতেই হয়ে উঠেছিলেন এক কিংবদন্তি..... ‘‘ইকমিক কুকার’’। ১৯১০ সালে ইকমিক কুকারের উদ্ভাবন করেন । এই কুকারের রান্না করা খাবারের স্বাদ বলা হয় স্বর্গীয় অনুভূতির মতো। বয়স্ক মানুষজন অনেকেই হয়তো দেখে থাকতে পারেন যন্ত্রটিকে । আমরা দেখেছি নিতান্ত অবহেলায় পড়ে আছে রান্নাঘরে কিংবা ভাঁড়ার ঘরের কোণে । অবিবাহিত এবং বেড়াতে গিয়ে যারা রান্না করার বিশেষ পরিবেশ পেতোনা, একসময় তাদের বিশেষ বন্ধু হয়ে উঠেছিল এই ইকমিক কুকার।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


সাহিত্যে ক্ষেত্রেও রেখে গেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। নানান পত্রপত্রিকায় অজস্র লেখালেখি করেছেন তিনি। বিদেশের বহু স্থানে ভ্রমণ করেছেন  আর তাঁর উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত তিনটি ভ্রমণ গ্রন্থের নাম ‘চীন ভ্রমণ’, ‘বিলেত ভ্রমণ’, ‘বিলাতের পথে’। 

এতো বড় পন্ডিত মানুষটি দুনিয়া ছাড়লেন মাত্র ৪৮ বছর বয়সে । মাত্র তিনদিনের জ্বরে আটই মে ১৯১৭ তে যাত্রা করেন অমৃতলোকে । ওহো নামটাই তো বলা হলোনা, এই জিনিয়াস বঙ্গসন্তান টি হলেন ডাক্তার ইন্দুমাধব মল্লিক । নাম শোনেননি নিশ্চয়ই ? টলিউড অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পিতামহ বা কোয়েল মল্লিকের প্রপিতামহ। 


আজ আর শোনা যায়না অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটির নাম, প্রেসার কুকারের সিটির আওয়াজ ও ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে ইকমিক কুকার আর তাঁর আবিষ্কর্তা । ‌

             কলমে ✍🏻©️ Swapan Sen 

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে


#IndumadhabMallick 

#icmiccooker 

#Multitalented

#Bengali

#Remarkable 

#dhrubotaraderkhonje 

#SocialReformer 


Image courtesy- Anandabazar Patrika

দিনা ওয়াদিয়া মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র মেয়ে, ইতিহাস যেনো ফিরে ফিরে আসে

 দিনা ওয়াদিয়া

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র মেয়ে,

ইতিহাস যেনো ফিরে ফিরে আসে


দিনার বিয়ের আগে জিন্নাহও তার মাঝের কথা, দিনা একজন পার্সিকে বিয়ে করেন নিজে মুসলিম হয়েও


জিন্নাহ : দিনা ভারতে মুসলিম ছেলের অভাব নেই, ভারতে লাখো মুসলিম ছেলে আছে। এত ছেলে থাকতে তাকে কেনো বিয়ে করবে? মুসলিম ছেলের কি অভাব পরেছে?


দিনা : বাবা ভারতে তো মুসলিম মেয়েরও অভাব ছিলোনা, ভারতে লাখো মুসলিম মেয়ে থাকতে আপনি কেনো পার্সিকে বিয়ে করতে গেলেন? মুসলিম মেয়ের কি অভাব ছিলো।


জিন্নাহ সেই সময় তার স্ত্রী মুসলিম হয়েছিলেন বলে এড়িয়ে যান।


জিন্নাহ বিয়ে করেন তার থেকে ২৪ বছরের ছোট এক পার্সি মেয়েকে যে ছিলে সকল প্রকার ধর্মে অবিশ্বাসী। পার্সিরা ইরান থেকে ভারতে আসে কয়েকশ বছর আগে ইরানে ধর্মীয় নির্যাতনের ভয়ে। এখনো ভারত ও পাকিস্তানে পার্সি আছে।


জিন্নাহর বউয়ের নাম রতনবাই পেটিট। তার বাবা বিখ্যাত পার্সি ব্যবসাী ডিনশো পেটিট। তার বাবা বোম্বেতে থাকতেন। তার বন্ধু ছিলো জিন্নাহ। তখন জিন্নাহর বয়স ৪০, রতনবাইয়ের ১৬। জিন্নাহ রতনবাইয়ের মতো সবার অগোচরে সম্পর্ক গড়ে উঠে। রতনবাইয়ের বাবা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি তার বন্ধু জিন্নাহ যার সাথে তার মেয়ের বাবা মেয়ের সম্পর্ক হওয়ার কথা তার এই অবস্থা। নিজের বন্ধু তার সাথে এই বিশ্বাসঘাতকতা করবে ভাবতেও পারেননি। জিন্নাহ যখন তাকে আন্তঃধর্মীয় বিয়ের কথা বলে তখন তিনি জিন্নাহকে বের করে দেন বাসা থেকে। শুধু ধর্ম আলাদা এই কারনে না, দুইজনের বয়সের পার্থক্য তার বাবা মানতেই পারেননি।


একমাত্র মেয়েকে অনেক আদর করতেন তিনি। বছরখানেক পর নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রতনবাই ঘোষণা দেন তিনি জিন্নাহকেই বিয়ে করবেন। তিনি মুসলিম হন ও হিজাবের সহিত জিন্নাহকে বিয়ে করেন। কিন্তু রতনবাইয়ের জীবনে ইসলাম এই পর্যন্তই।শুধু ভালোবাসার আবেগের সাথে না পেরে মুসলিম হন।


পরবর্তীতে তিনি সারাজীবন না মুসলিম ইবাদাত করেছেন, না খাদ্যভাস মেনেছেন, না কোন প্রকার রীতি মেনেছেন। জিন্নাহও তাকে জোর করেনি কারন সে নিজেও খুব কম ধর্মকর্ম করতেন।

জানা যায় রতনবাই এত পাশ্চাত্য স্টাইলের কাপড় চোপড় পরতেন যে মুসলিম তো বটেই সেইসময়ের ব্রিটিশরাও অবাক হতেন তার কাপড়ের স্টাইল দেখে। ইউরোপে ছুটি কাটাতে যেতেন প্রায়ই বিয়ের পর। কয়েকবছর পর তাদের একমাত্র মেয়ে দিনা ওয়াদিয়ার জন্ম হয়। দিনা বাবা বা মা কারো খুব বেশি সান্নিধ্য পাননি। বাবা রাজনীতিতে ব্যস্ত, মা ঘোরাফেরা পার্টিতে। রতনবাইকে বিয়ের পর তার পরিবার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।


বিয়ের কয়েকবছর পর রতনবাই ও জিন্নাহর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে কোলনের সমস্যায় মাত্র ২৯ বছর বয়সেই মারা যান রতনবাই।


দিনাকে দেখাশোনা করতেন ফাতিমা জিন্নাহ, জিন্নাহর বোন। তবে দিনাও তার মায়ের পথ অনুসরণ করেন। তার মা রতনবাই যেমন তার বাবার কথা এড়িয়ে একজন মুসলিমকে বিয়ে করেন তেমনি তিনি তার বাবার পছন্দ এড়িয়ে নেভিল ওয়াদিয়া নামের একজন পার্সি খ্রিস্টানকে বিয়ে করেন জিন্নাহ চেষ্টা করেন তার মেয়েকে থামাতে তবে ব্যর্থ হন তিনি।


শোনা যায় এরপর জিন্নাহ তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখেননি। তবে একটি সূত্র এইও বলে জিন্নাহ মেয়ের বিয়েতে গোপনে তার জন্য ফুলের তোড়া পাঠান ড্রাইভারকে দিয়ে। দিনার সাথে জিন্নাহর শেষ দেখা ১৯৪৬ সালে মুম্বাইয়ে। তার সাথে ছিলো তার ছেলে নেসলে ওয়াদিয়া। নিজের নাতিকে একটি হ্যাট উপহার দেন জিন্নাহ। দেশভাগের পর জিন্নাহ পাকিস্তান চলে যান। দিনা ভারতে, পরবর্তীতে ইংল্যান্ডেও থাকেন। পাকিস্তানে যান ৪৮ সালে জিন্নাহর মৃত্যুর পর তাকে দেখতে। ফুফু ফাতিমার সাথে তার যোগাযোগ ছিলো যদিও।


জিন্নাহর নাতি নেসলে ওয়াদিয়ার ছেলে নেস ওয়াদিয়া। যাকে আপনারা আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের খেলার সময় দেখতে পারবেন প্রীতি জিনতার সাথে। তার সাবেক বয়ফ্রেন্ডও বটে।


দিনা ওয়াদিয়া তার বাবাকে অনেক ভালোবাসতেন। তার বাবার রাজনৈতিক স্বপ্ন পাকিস্তানকেও সমর্থন করেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় থাকেন ও ২০১৭ সালে আমেরিকায় মারা যান। তার ছেলে নুসলি, নাতি নেস সবাই ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ী, ব্রিটিশ ভারতীয়।


২০০৪ সালে পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে পাকিস্তান ভারত সিরিজ চলাকালে ভারত থেকে তার ছেলে ও নাতি সহ দিনা পাকিস্তান যান এত বছর পর প্রথম । সেখানে তার বাবার কবর পরিদর্শন করেন। বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন তিনি। তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে তিনটি ছবি চান। যার একটি এই ছবিটি যেখানে তাকে তার বাবা ও ফুফুর সাথে দেখা যাচ্ছে।


ইতিহাস বড়ই নির্মম। জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখলেন তার পুরো পরিবার, নাতি পুতি সব ভারতীয়, ব্রিটিশ ভারতীয়।


যদিও ছবিটি বাংলাদেশের সরাসরি সাথে সংশ্লিষ্ট না। তবে জিন্নাহ, ফাতিমা জিন্নাহ এই দেশের ইতিহাসে আছেন, ও তাদের একটি পুরনো ছবি ও আসন্ন ১৪ / ১৫ই আগস্টের স্মরনেই শেয়ার করা।


ছবিতে বিয়ের আগে জিন্নাহ, দিনা ও ফাতিমা

মাদ্রাসার চাকরিতে জয়েন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আলোচনা করে নেওয়া উচিত।

 মাদ্রাসার চাকরিতে জয়েন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আলোচনা করে নেওয়া উচিত।


১। মাসিক বেতন কত?

২। মাসিক ছুটি কতদিন?

৩। থাকার জন্য বেট-বিছানা চৌকি এবং একক আবাসন (রুম) ব্যবস্থা আছে কি না?

৪। খাবারের মান কেমন এবং খাবার কয় বেলা?

৫। নাস্তা দেওয়া হয় কি না দিলে কয় বেলা?

৬। প্রাইভেট (টিউশন) পড়ানো যাবে কিনা?

৭। কত তারিখের মধ্যে বেতন ক্লিয়ার করা হয়, বেতন বাকি রাখে কি না, বেতন নিয়ে কোন ঝামেলা করে কি না?

৮। কত মাস পর কত (%) বেতন বৃদ্ধি করা হয়?

৯। দুই ঈদে বোনাস প্রদান করে কি না?

১০। পরীক্ষার ফি থেকে কমিশন দেয় কি না? 

১১l মুহতামিম এর মন মানসিকতা কি রকম

শুধু কি নামে মুহতামিম নাকি কাজে ও মুহতামিম

১২। বিদায় দেওয়ার আগে (পরিচালকের ক্ষেত্রে) বা নেওয়ার আগে (শিক্ষকের ক্ষেত্রে) কমপক্ষে ১৫/৩০ দিন সময় দিতে/নিতে হবে।


বিঃদ্রঃ কিছু কিছু প্রাইভেট মাদরাসা মানে হলো ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কাজেই দরকষাকষি করে চাকরি করুন। 

হাজার হাজার টাকা বেতন উঠায় আর শিক্ষকদের বেতন দেয় না।

(কথাগুলো হয়তো মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ/পরিচালকদের খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তব।)

আপনি যদি সিচুয়েশনের ভিক্টিম হতে না চান, কারো সাধ্য নেই আপনাকে ভিক্টিম বানিয়ে রাখবে।

 আপনি যদি সিচুয়েশনের ভিক্টিম হতে না চান, কারো সাধ্য নেই আপনাকে ভিক্টিম বানিয়ে রাখবে।


না বলে দিন।

বলে দিন এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। 

আমার পক্ষে অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। 

অবহেলা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

মানসিক আর শারিরীক অ্যাবিউজ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। 

Learn to say "no" and learn to leave. 


বাবা বলবে আমাদের সম্মানের কথা চিন্তা করলি না, মা বলবে আমি মরে গেলে বুঝবি, বয়ফ্রেন্ড/হাজব্যান্ড বলবে তুমি আমার জন্য এটুকু মেনে নিতে পারবেনা? এটুকু অপমান সহ্য করতে পারবেনা?  যতই ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করুক তারপরও আপনি নিজের গ্রাউন্ড ধরে রাখবেন। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের ট্র্যাপে পড়বেন না। মনকে শক্ত রাখুন। 


যে মেয়ে নিজের ইমোশনকে সাইডে সরিয়ে রেখে পরিস্থিতিকে বিচার করতে শিখে যায় তাকে ভিক্টিম বানানো, তার সাথে অন্যায় করা, বা তাকে অ্যাবিউজ করা অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। 


তবে তার সাথে আপনাকে এটাও মেনে নিতে হবে যে আত্মীয়স্বজন, সমাজ আপনাকে অভদ্র, অসভ্য, বেয়াদব বলতেই পারে। কেউ কেউ আপনাকে স্বার্থপর বলতেই পারে। 


সেগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিন। কারণ যখন আপনি দিনের পর দিন সাফার করছিলেন, কাঁদছিলেন, নিজে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন এদের কেউ আপনার খুঁটি হয়ে দাড়ায়নি। আপনার এদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই।


নিজের পায়ে দাড়ান। জ্ঞান অর্জন করুন। এর বিকল্প নেই। নিজেকে নিজে সাপোর্ট দেওয়া শিখুন। বেসিক লাইফ স্কিল গুলো ডেভেলপ করুন। টেকনোলজিতে ভাল হন। বই পড়ুন। নিজের পার্সোনালিটিতে ধার দিন। 


সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে ভাবুন, যারা আমার মন থেকে যত্ন করে, তাদের জন্য আমি জীবনও দিয়ে দিতে পারি- কিন্তু যারা আমাকে দিনের পর দিন ভুক্তভোগী বানায়, কষ্ট দেয়, আমার জীবনকে অসহনীয় বানিয়ে দেয় তাদের জন্য আজ থেকে আমার এফোর্টের পরিমাণ শূণ্য। 


I have always heard that I am so lucky. Ofcourse I am lucky! Thanks to Almighty! <3  But,

have you ever given a thought on the fact that may be there is a little portion of luck that came with the life choices I made. The choice of believing in my gut feeling; choice of not being a victim of the situation; choice of following my judgment that I gained from experience?


আপনার পার্সোনালিটি যদি এরকম হয় যে কেউ আপনার মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে পারবে। একটু চোখ গরম করলেই আপনি আপনার কলিজা সিদ্ধ করে মসলা দিয়ে ভুনা করে দিয়ে দিবেন, আর আড়ালে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদবেন আর নিজের ভাগ্য কে দোষ দিবেন, তাহলে দোষটা আসলে আপনারই।


যারা অযৌক্তিক, এবং অন্যায় ভাবে কম্প্রোমাইজ করতে চায়না, তারা করেও না।


যারা করে তাদের মনের জোর নেই।

তারা অজুহাত দেয়, আমরা বাধ্য হয়েছি করতে। অমুক তমুক কারণে। 

আপনাকে একটা সত্যি কথা বলি মিলিয়ে নেন- যে মন থেকে কিছু করতে চায় সে সত্যি সত্যি চাইলে এভারেস্টও জয় করতে পারে। সবচেয়ে ভঙ্গুর মানসিক অবস্থা থেকেও ঘুরে দাড়িয়ে নিজের জন্য নিজে স্ট্যান্ড নিতে পারে। 

খোঁজার মত খুঁজলে সৃষ্টিকর্তা নিজে রাস্তা মিলিয়ে দেন। এটা নিজের জীবন থেকে শিখেছি। 


তবে এটাও সত্যি সবার মনের জোর থাকেনা। আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই মনের জোর থাকেনা। আর এটা কোন ক্রাইম না, মনে জোর না থাকা। এটা কোন খারাপ কিছু্ও না। 

কিন্তু এই পৃথিবীর সিস্টেম কি জানেন তো?

শক্তের ভক্ত নরমের যম।

Survival of the fittest.

পৃথিবীর সিস্টেমটা কোমল মনের মানুষদের জন্য তৈরিই নয়। 


এইজন্যই, যতটা সম্ভব নিজেকে ফিট করে গড়ে তুলুন। নিজের গাট ফিলিং কে বিশ্বাস করতে শিখুন।

জীবনে আপনি হয়তো অনেক ভুল করেছেন, সেই ভুলগুলো নিয়ে আক্ষেপ না করে সেটা থেকে যা শিখেছেন সেটা পরবর্তীতে কাজে লাগান। 

ওভারথিংকিং, ইমোশনাল আউটবার্স্ট, অভিমান, এক্সপেক্টেশন এগুলো যতটা সম্ভব মিনিমাল করে ফেলুন।


জীবনে শুধু নিজের কাছ থেকে এক্সপেক্ট করবেন। 

অন্য কারো কাছ থেকে না।

নিজে কতটা ডেভেলপড হতে পারলেন, নিজের মাইলস্টোনগুলো কতটা অ্যাচিভ করতে পারলেন, নিজের সাথে অবহেলা করলেন কিনা! 


আর নিজেকে বাদে অন্য যাদেরকে ভালবাসবেন, যত্ন করবেন, একদম আনকন্ডিশনালি করবেন। তাদের কাছ থেকে বিনিময়ে কতটুকু পেলেন সেই হিসাব মাথায় রেখে করবেন না। 

আর যদি তারা আপনার ভালবাসার মর্যাদা রাখতে না পারে, অসম্মান করে, অ্যাবিউজ করে- সেখান থেকে without regret বেড়িয়ে আসবেন।


সারাজীবন কাঁদতে কাঁদতে একসাথে থাকার পর এই আক্ষেপ করবেন না- যে সারাজীবন শুধু অন্যদের জন্য করেই গেলাম, নিজে কিছু পেলাম না!

নিজের জন্য যে আপনি কিছু করেননি এটাও কিন্তু আপনারই চয়েজ ছিল। 

শেষ কথা মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ কারো প্লেটে খাবার বেড়ে দেয়না। আপনার যেটা দরকার সেটা নিজ উদ্যোগে তেড়েফুড়ে করে নিতে হয়। 

সুতরাং, make yourself strong women! 

Make yourself stronger <3 


Courtesy:  Self Confidence

রূপালি পর্দার রহস্যনায়িকা"

 "রূপালি পর্দার রহস্যনায়িকা"


রূপের চেয়ে মায়া, কণ্ঠের চেয়ে নীরবতা—এই দুইয়ে মিশে গিয়েছিল এক কিংবদন্তির নাম। তাঁর চুলের ঢেউ, চোখের ভাষা আর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার দৃশ্যই যেন একরকম বিদ্রোহ।


১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল, অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলার গবিন্দপুরে জন্ম রোমার। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবী, মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে রোমা ছিলেন পঞ্চম। শৈশবে তিনি ছিলেন চুপচাপ, আত্মভোলা আর একটু গোঁয়ার। কথা কম বলতেন, কিন্তু চোখে ছিল বিদ্রোহের আগুন।


পাবনার মেয়েরা যেখানে সেলাই আর রান্না শিখতো, রোমা সেখানে বই পড়ে, আয়নাতে নিজের চোখের ভাষা পড়তো।


১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগুন লেগে গেল পূর্ববঙ্গে। দাশগুপ্ত পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তারা চলে আসে কলকাতায়, ঠাঁই হয় ভবানীপুরের এক ছোট বাড়িতে। অর্থকষ্ট, নতুন শহর, অচেনা জীবন—সব মিলিয়ে এক তীব্র ধাক্কা।


এই কলকাতার ভিতরেই ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছিল এক নায়িকা, যার চোখে তখনো ছিল শুধুই নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা।


মাত্র ১৫ বছর বয়সে রোমার বিয়ে হয়ে যায় দেবনাথ সেন-এর সঙ্গে, যিনি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট আদিনাথ সেনের ছেলে। বিয়ের পর নতুন পরিচয়—সুচিত্রা সেন। এখান থেকেই শুরু হয় বদলের আরেক অধ্যায়।


নতুন সংসার, নতুন শহর আর অজানা এক টান—পর্দার প্রতি, অভিনয়ের প্রতি। দেবনাথ সেন শুরুতে কিছুটা সংশয়ে থাকলেও পরে স্ত্রীকে সাহস দেন। তিনিই সুচিত্রাকে প্রথম নিয়ে যান অভিনয়ের জগতে।


১৯৫২ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, ‘শেশ কত দিন’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রবেশ। তবে বড় সাফল্য আসে ১৯৬৩ সালে, ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে জুটি বেঁধে।


১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ' সাড়ে চুয়াত্তর ' সিনেমা তে জুটি বাঁধেন উত্তম কুমার এর সাথে। এটি বক্স অফিসে হিট হয়।

 এখান থেকেই জন্ম নেয় বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি—উত্তম-সুচিত্রা।


তাদের পর্দার প্রেম ছিল এমন, যা বাস্তবেও অনুভব করতেন দর্শকরা। কিন্তু বাস্তবে? তারা কখনো প্রেম করেননি। সুচিত্রা ছিলেন ততোধিক গম্ভীর, লাজুক এবং নিজেকে গুটিয়ে রাখা মানুষ। এখানেই রহস্যের শুরু।


সুচিত্রা ছিলেন বাংলার প্রথম অভিনেত্রী যিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছিলেন—১৯৬৩ সালে মাদার ইন্ডিয়া-র আগে তিনি 'সাত পাকে বাঁধা' ছবির জন্য মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্মানিত হন।

১৯৭২ শিল্পকলায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পদ্মশ্রী লাভ করেন।

২০১২ চলচ্চিত্র অভিনয়ে আজীবন কৃতিত্বের জন্য বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার ও ২০১৪ সালে ফিল্মফেয়ার ইস্ট লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (মরণোত্তর) জিতেছেন।


তবু এই নারী ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন নিঃসঙ্গ। তিনি মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেন, সাক্ষাৎকার দিতেন না, পুরস্কার নিতে যেতেন না।

তাঁর চারপাশে তৈরি হয় এক অদৃশ্য দেয়াল—যার ভেতরে প্রবেশ ছিল সবার জন্য নিষিদ্ধ।


১৯৭৮ সাল। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে, ‘প্রণয় পাসা’ ছবির পর হঠাৎ করেই তিনি ঘোষণা দেন—আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন না।

কলকাতা সিনেমা জগত যেন থমকে গেল।


এরপর তিনি সরে গেলেন সম্পূর্ণ গোপন জীবনে। এক আশ্রমিকের মতো জীবন, শুধুই নীরবতা। কেউ জানত না, তিনি কোথায় থাকেন, কী করেন, এমনকি কেমন আছেন।

সুচিত্রা যেন নিজেকে মুছে দিলেন সুচিত্রা থেকেই।


২০১৪ সালের ১৭ জুলাই, ৮৩ বছর বয়সে সুচিত্রা সেন মারা যান।

তাঁর শেষকৃত্যেও ছিল নিষ্ঠুর নির্জনতা। কোনো ক্যামেরা ঢুকতে পারেনি। এমনকি মৃত্যুর পরেও তিনি রেখে গেলেন এক গভীর রহস্য।


তিনি চেয়েছিলেন, মানুষ যেন তাঁকে শুধুই রূপালি পর্দার সুচিত্রা হিসেবেই মনে রাখে। বাস্তবের কোনো ছায়া যেন না পড়ে স্মৃতির ছবিতে।


সুচিত্রা সেন একমাত্রিক নন। তিনি ছিলেন রোমাঞ্চকর, আত্মনিবেদিত, আত্মগোপনে অভ্যস্ত এক চরিত্র। তিনি ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের অপছন্দের জন্য বিখ্যাত, আবার পরিচালক অসিত সেনের ‘জীবনের আলো’ও।


তাঁর জীবন যেন এক অসমাপ্ত চিত্রনাট্য—যার অনেকগুলো পাতা আজও নিখোঁজ।

আর ঠিক সেখানেই তো তৈরি হয় রহস্য, থ্রিল আর বিস্ময়।


সুচিত্রা সেন—একজন মানুষ নন, তিনি এক পুরনো ফিল্ম রীল, যার প্রতিটি ফ্রেমে ছায়া, নীরবতা আর অপার মুগ্ধতা।


জন্ম দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম এই আইকন কে, বাঙালির মনের মণিকোঠায় আপনি প্রজ্জ্বলিত দীপ হয়ে রয়ে যাবেন আগামী কয়েক শত যুগ। 


কলমে ✍️ সুরজ মন্ডল

©️Mr. Hotch Potch


ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন..


আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -

https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b


WhatsApp Channel 

https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I


Follow Us on Instagram 

https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx


#hiatoy #incenthistory #HistoryUncovered #Heroen #SuchitraSen #bengalifilmindustry #tollywood

তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেনের প্রথম নায়ক  মনে পড়ে সেই সমর রায়কে? 

 তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেনের প্রথম নায়ক 

মনে পড়ে সেই সমর রায়কে? 


'সাত নম্বর কয়েদী' (১৯৫৩) ছবিতে রোমান্টিক জুটি ছিলেন সমর রায় -সুচিত্রা সেন । সমর রায় চলচ্চিত্রে যোগ দেন ১৯৪৫ সালের দিকে । 

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো - বর্মার পথে ( ১৯৪৭ ) , মন্দির (১৯৪৭ ) , সাবিত্রী সত্যবান , রাজমোহনের বৌ, সুনন্দার বিয়ে,  নিরক্ষর , স্বয়ং সিদ্ধা , অনামী , সাত নম্বর কয়েদী , মধুরাতি , 

চলাচল - প্রভৃতি । 'স্বয়ং সিদ্ধা' ছবিটি ছিল হিন্দি ছবি ,এই ছবিতে সমর রায়ের অসাধারণ অভিনয় দেখে বোম্বের বিখ্যাত অভিনেতা ইয়াকুব ১৯৫১ সালে ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় । উদ্দেশ্য ছিল , ইয়াকুবের পরবর্তী ছবিতে সমর রায়কে নায়ক করা । সমর রায় ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত অসম্ভব জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন । 

'বর্মার পথে' ছবিটি ১৯৪৭ সালে মুক্তি পায় , এই ছবিতে সমর রূপকের চরিত্রে অভিনয় করলেও পাহাড়ি বেদে সম্প্রদায়ের কাছে লালিত পালিত হওয়ার কারণে ওর নাম হয় ঝুমরু । ছবিতে ঝুমরুরূপী সমর রায়কে ভালোবাসে দুই যুবতী - বেশ রোমান্টিক গল্পের এই ছবিটি দেখার স্মৃতি আজও মন থেকে সরে 

যায়নি । 

সমর রায় তাঁর যুগে ছিলেন সফল নায়ক, রোমান্টিক 

নায়ক । 'বর্মার পথে' ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত  'নিরক্ষর' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্মৃতিরেখা বিশ্বাস, সন্ধ্যারাণী, ছবি বিশ্বাস, ধীরাজ ভট্টাচার্য, অপর্ণা দেবী, আশু বসু, ফণি রায়, সাধন সরকার, নিভাননী দেবী প্রমুখ শিল্পীরা। 

১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মধুরাতি' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ও গীতশ্রী। 

'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে  তাঁর বিপরীতে ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও যমুনা সিংহ । 'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে  সমর রায় ছিলেন সত্যবানের চরিত্রে । 

১৯৪৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'চলার পথে' ছবিতে সমর রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেন দেবী মুখার্জি ও বনানী চৌধুরী। 

১৯৪৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'হেরফের' ছবিতে সমর রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেন - দীপ্তি রায়, স্বাগতা দেবী, সন্ধ্যারাণী, ছায়া চৌধুরী, মায়া দাস, রেখা রায়, অবনী মজুমদার, গোপাল চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রাবতী দেবী প্রমুখ। 

১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'রাজমোহনের বউ' ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন - জ্যোস্না গুপ্তা, ঝর্ণা দেবী, গৌরী দেবী প্রমুখ। ১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'সুনন্দার বিয়ে' ছবিতে সমর রায়ের বিপরীতে ছিলেন অনুভা গুপ্তা। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'চলাচল' ছবিতে সমর রায়ের সহশিল্পীরা হলেন - অরুন্ধতী দেবী, নির্মল কুমার, অসিতবরণ, তপতী ঘোষ, অনিল চট্টোপাধ্যায়, প্রভাত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রাবতী দেবী প্রমুখ। 

ছবিটি রিলিজের পরে রূপাঞ্জলি'তে লেখা হয়েছিল - 'সমর রায় তাঁর সুন্দর দেহাবয়াব সত্যবানকে যেন জীবন্ত করে তুলেছে ।'                

সমর রায় -সুচিত্রা সেন জুটির স্মরণীয় ছবি 

'সাত নম্বর কয়েদি'।

সুকুমার দাশগুপ্ত পরিচালিত সাত নম্বর কয়েদি ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল

১৯৫৩ সনের ৭ ফেব্রুয়ারী।  

কাহিনি -মণি বর্মা। 

প্রযোজনা ও পরিচালনা - সুকুমার দাশগুপ্ত।

গীতিকার- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার। 

সুরকার - কালিপদ সেন।  

চিত্রশিল্পী - বঙ্কু রায়। 

সম্পাদনা - শ্রী কমল গাঙ্গুলী। 

শিল্পনির্দেশক - শ্রী সত্যেন রায় চৌধুরী। 

রূপসজ্জা - শ্রী নিতাই সরকার ও 

বসন্ত দত্ত। 

সহকারী পরিচালক - 

শ্রী নীতিশ রায়, বিমল শী, বিজয় বসু। 

নিবেদিত  - এস, এম প্রোডাকসন্স। 


ভূমিকায়  -

জহর গাঙ্গুলী, ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, 

কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, 

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামলাহা,

প্রভা দেবী, মলিনা দেবী, ছবি রায়, সমর রায়, 

মিহির ভট্টাচার্য্য, তপেন, শরৎ, সিদ্ধেশ্বর, নকুল, 

বিজয় বসু, আদিত্য, গণেশ, শিবু মুখোপাধ্যায়, 

মঞ্জুলা, আশা দেবী, অনিল 

এবং

নবাগতা সুচিত্রা সেন।


সাত নম্বর কয়েদি ছবির গান -

১.

সুরধুনী নয় তো নদী ধন্বন্তরি তেল, 

যেথা যমে টানে সেথায় হানে 

যমের বুকেই শেল 

দাদা গো, নিজের চোখেই যাও দেখে এই 

ভানুমতীর খেল। 

এক শিশিতেই ব্যাধি বালাই 

হাঁক ছেড়ে কয় পালাই পালাই 

সারবে ব্যামো যে গতিতে ছোটে তুফান মেল 

দাদাগো, নিজের চোখেই যাও দেখে এই 

ভানুমতীর খেল। 

রাখলে ঘরে একটি শিশি 

হাসেন দেঁতো খুড়ো বেতো পিসি 

আর গয়না চাওয়ার বায়না ভুলে 

ভাঙ্গে মানের দেল 

ভাঙ্গে বৌয়ের মানের দেল। 

মূল্য যে এর এক আধুলি 

দাদা গো, যাওনা  নিয়ে এই মাধুলি 

আর এমন সুযোগ ছাড়া মানেই 

একটুতে ট্রেন ফেল। 

২.

এই মালা যে চাও 

তুমি এই মালা যে চাও 

কি দাম দেবে নেবার আগে 

একটু ভেবে নাও। 

তুমি একটু ভেবে নাও 

এ মালা চাই যে দিতে 

তুমি কি পারবে নিতে ? 

নেবে তো দামটা আগে দাও। 

নেবে কি নেবে না তা একটু ভেবে নাও 

তুমি একটু ভেবে নাও। 

এ মালা আমারই থাক কি লাভ তোমার দিয়ে 

আমি তবু থাকব খুশী গন্ধ টুকু নিয়ে, 

তার গন্ধ টুকু নিয়ে, 

আকাশে যে চাঁদ জাগে 

দূরে তা ভালই লাগে 

তারে কি চাইলে কাছে পাও?

৩.

আজি এই সন্ধ্যায় বল তো কি মন চায় 

চল ঐ বনছায় 

যে কথাটি মরমে জেগে আছে সরমে 

তোমারে শোনাতে কাছে চাইগো। 

গুণগুণ অলি গায় কলি তাই ফুটল 

পরাণের বাঁশিটি যে সুরে ভ'রে উঠল 

আনন্দ দিল দোল 

অনুরাগ হিল্লোল 

তুমি শোন আমি গান গাইগো। 

পাশাপাশি আজ মোরা জেগে রব দুজনে 

মুখরিত হবে প্রেম শপথের কূজনে 

জেগে রব দু'জনে, 

তুমি আছ পাশে তাই সবই ভাল লাগে আজ 

ভূবন ভরিয়া যেন বসন্ত জাগে আজ 

এই শুভ লগনে চাঁদ জাগে গগনে 

তুমি ছাড়া কেহ মোর নাই গো। 


ছবির কাহিনি -

দাগি আসামী সত্যকিংকর জেল থেকে

ছাড়া পেয়ে ফিরছিল ঘরের দিকে ।

পথে চোর ধরার কলরব শুনে তার 

পাপজীবনের সাধারণ অভ্যাসে সে গিয়ে লুকালো 

এক ঘরে। সে সেখানে পেল

সদ্যমৃতা এক নারীর কাছে এক ফুটফুটে মেয়ে।

সত্যবাবু মেয়েটিকে এনে তুলল তারই রক্ষিতা বিনোদিনীর ঘরে।

মেয়েটিকে পেয়ে বিনোদিনীর

মাতৃহৃদয়ও কেমন নাড়া দিয়ে উঠল, 

তাই সে মায়ায় পড়ে গেল শিশুটির।

মেয়েটির নাম রাখা হলো অরুণা। 

একদিন সত্যর পেশার কথা নিয়ে ঝগড়া হলো বিনোদিনীর সঙ্গে আর তারই 

পরিণামে সে অরুণাকে নিয়ে ঘর বাঁধল অন্যত্র।

সত্য এখন অরুণার পিতা। 

মেয়েকে যাতে ছোট না হতে হয় 

সে জন্য সে ভদ্র হবার চেষ্টা করে এবং

প্রথমে চাকরি ও পরে ব্যবসা করে 

ক্রমে সে ধনী হয়ে উঠল। 

নিজের নামটাও দিল সেই  সঙ্গে বদলে। 

এতদিনে অরুণা বেশ বড় হয়েছে। 

সে এখন কলেজে পড়ে। 

বিনোদিনী রোজ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে

একবারটি করে দেখে যায় স্নেহে পরা মেয়েটিকে। কলেজের মেয়ে অরুণার সঙ্গে পরিচয় হলো ধনী চন্দ্র কান্ত বাবুর পুত্র রমেনের সঙ্গে। 

সত্য জানল তা। সে তাদের বিয়ের কথা

ভাবতেই বিনোদিনীর জন্য মনটা 

কেমন করে উঠল। 

সে বিনোদিনীর খোঁজ পেল না। 

বিনোদিনী গাড়ি চাপা পড়েছে অরুণারই গাড়িতে। বিনোদিনীর মৃত্যুকালে অরুণা জেনেছিল 

সে তার মা। অরুণার সঙ্গে রমেনের

বিয়ের রাতে প্রকাশ পেল এককালে

সত্যকিংকর দাগি চোর ছিল।

বাপ ছেলেকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলেন।

রমেন পিতার শাসন না মেনে অরুণাকে 

বিয়ে করায় চন্দ্রকান্ত তাকে ত্যাজ্যপুত্র করলেন। সত্যকিংকর শপথ করে জানাল

অরুণা তার নিজের মেয়ে নয়, 

কুড়িয়ে পাওয়া। 

তাই অরুণার কোনো অপরাধ নেই। 

সত্য অরুণার পিতৃপরিচয় খুঁজে বার করল

কিন্তু তবুও রমেন, 

অরুণার ওপরে সত্যের কোনো অধিকার 

মানতে চাইল না। সত্য, রিক্ত সত্য,

ব্যথাহত মনে বেরিয়ে পড়ল নিরুদ্দেশের পথে। অরুণার পিতৃপরিচয় একটি রহস্য সৃষ্ট হয়েছে, 

যা এই ছবির একটি সুন্দর রহস্য। 

এ ছবিতে রমেনের ভূমিকায় ছিলেন 

সমর রায়। আর 

নবাগতা সুচিত্রা সেন ছিলেন অরুণার চরিত্রে।                


লিয়াকত হোসেন খোকন 

LEAQUAT HOSSAIN KHOKON. 


ছবি -  'সাবিত্রী সত্যবান' ছবিতে ( ১৯৫২ ) সমর রায়ের সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও যমুনা সিংহ ।

কর্ম অনুসারে ফল পেতে হয় সবাইকে ।

 *** যে যেমনটা দেবে ঠিক তেমনটাই ফিরে আসবে । ভালো বীজ বপন করলে ফল মিঠা , খারাপ হলে স্বাদ পানসে । জীবনের হিসেব জীবন দিয়েই মিটিয়ে যেতে হয় । কর্ম অনুসারে ফল পেতে হয় সবাইকে ।


পর জন্ম আছে কিনা জানা নেই তবে পাপ পূর্ণ‍্যের হিসেব নিকেষ ইহ জন্মেই চুকিয়ে যেতে হয় । এই জগৎ সংসার দেয়া নেয়ার খেলাঘর । ঢিল ছুড়লে পাটকেল খেতেই হবে । কাউকে কষ্ট দিলে কোন না কোন ভাবে সেই কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসে নিজের কাছে ।


 কখনো কাউকে অজান্তে কষ্ট দিয়ে ফেললে সচেতন মানুষ তার জন্য অনুতপ্ত হয় , আত্মগ্লানিতে ভোগে এবং নিজের ভুলের  জন্য অনুশোচনা করে । অযাচিত ভুল করেও কিন্তু এই অনুতাপ , আত্মগ্লানি ও অনুশোচনার মাধ‍্যমেই মানুষ কষ্ট দেয়ার ফল ভোগ করে । আর জেনেশুনে কাউকে দুঃখ কষ্ট দিয়ে থাকলে একদিন সেই কষ্ট নিজের জীবনে ফিরে আসে কোন না কোন ভাবে । আগুন খেলে বিষ্ঠা অঙ্গার হতে বাধ্য । বিষবৃক্ষ বপন করলে তাতে কখনো সোনা ফলে না , ফলটা বিষ-ই হবে তাছাড়া গত‍্যন্তর নেই । তেমনি ভালো কর্মের ফল সবসময় ভালোই হয় । 


কথায় আছে "যেমন কর্ম তেমনি ফল" কথা মোটেও মিথ‍্যে নয় । কর্ম ভালো তো ফল ভালো আর কর্ম খারাপ তো তার ফলও খারাপ হবে । ঠিক তেমনি ভালোবাসা দিয়ে খারাপকেও জয় করা যায় তবে ভালোবাসা হতে হবে নিখাদ । কাউকে গভীর ভাবে ভালোবাসলে প্রতিদানে ভালোবাসাটাই ফিরে আসে । একটা পশুকে ভালোবাসলে সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বিপদে পরতে দেখলে সেই পশুটিও তার জীবন দিয়ে প্রভুকে রক্ষা করে , এটা গল্প নয় এমন অনেক বাস্তব ঘটনার কথা আমরা শুনেছি । 


অনেক সময় মানুষ উপকারীর উপকার ভুলে গিয়ে বেইমানি করে কিন্তু পশুরা তাদের বিশ্বস্ততাকে কালিমালিপ্ত হতে দেয় না । সমস্তটাই হয় ভালোবাসার জোরে । ন‍্যায় নীতি,আচার আচরণ , সততায় শুদ্ধ থাকলে কখনো ঢেড়া পিটিয়ে সম্মান আদায় করে নিতে হয়না , তার সুন্দরতায় সবাই তাকে শ্রদ্ধা ও যোগ্য সম্মান দেয় । আর গায়ের জোরে , নিজের প্রসংশা নিজে করে ঢেড়া পিটিয়ে জোর করে যারা সম্মান পেতে চায় তারা অসম্মান ছাড়া আর কিছু কখনোই পায়না । সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান করতে জানতে হয় তবেই সম্মান পাওয়া যায় । তাই যে যতটা দিতে পারবে ঠিক ততটাই ফিরে পাবে ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা , শত্রুতা কিংবা মিত্রতা , শ্রদ্ধা কিংবা অবজ্ঞা ***


                                  মণিদীপা সরকার

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...