এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ৩১-০১-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ৩১-০১-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


টঙ্গীর তুরাগতীরে বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে আজ।


চলতি শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত পাঁচ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।


বাংলাদেশে জ্বালানি, অর্থনীতি, আবাসন, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ব্যবসায়ী জেন্ট্রি বিচ।


সরকার রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কারের ভিত্তি গড়ে দিয়ে যেতে চায় - বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ডাইভার্সিটি পলিসি’কে দুষলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ঢাকায় বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংসের নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

পবিত্র কুরআনের ১০০টি উপদেশবাণী: ……………..........

 পবিত্র কুরআনের ১০০টি উপদেশবাণী:

……………...............................................


১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:৪২]


২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা ২:৪৪]


৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:৬০]


৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:১১৪]


৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭০]


৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭]


৭। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা ২:১৮৮]


৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা ২:১৯০]


৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১]


১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০]


১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২]


১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩]


১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা ২:২৪৭]


১৪। দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা ২:২৫৬]


১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪]


১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩]


১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫]


১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০]


১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২]


২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]


২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]


২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫]


২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬]


২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩]


২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪]


২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯]


২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১]


২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫]


২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭]


৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭]


৩১। অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০]


৩২। যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৩]


৩৩। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৯]


৩৪। পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা ৪:৩৪]


৩৫। অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা ৪:৩৬]


৩৬। কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা ৪:৩৭]


৩৭। বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা ৪:৫৪]


৩৮। মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা ৪:৫৮]


৩৯। একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা ৪:৯২]


৪০। বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]


৪১। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা ৪:১৩৫]


৪২। সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা ৫:২]


৪৩। সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা ৫:২]


৪৪। মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা ৫:৩]


৪৫। সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা ৫:৮]


৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা ৫:৩৮]


৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা ৫:৬৩]


৪৮। মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]


৪৯। জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]


৫০। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা ৫:১০৮]


৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম ৬:১১৬]


৫২। মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম ৬:১৫২]


৫৩। অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]


৫৪। পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]


৫৫। সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]


৫৬। অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ ৭:১৯৯]


৫৭। যুদ্ধে পশ্চাদ্‌মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল ৮:১৫]


৫৮। যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা ৯:৬]


৫৯। পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা ৯:১০৮]


৬০। আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ ১২:৮৭]


৬১। যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]


৬২। প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]


৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা ১৭:১৫]


৬৪। পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]


৬৫। পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]


৬৬। অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৯]


৬৭। দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩১]


৬৮। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩২]

৬৯। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩৬]


৭০। শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা ২০:৪৪]


৭১। অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন ২৩:৩]


৭২। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:২৭]


৭৩। যারা শুধু আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর ২৪:৫৫]


৭৪। বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:৫৮]


৭৫। বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান ২৫:৬৩]


৭৬। এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস ২৮:৭৭]


৭৭। আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস ২৮:৮৮]


৭৮। সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্‌কাবুত ২৯:২৯]


৭৯। সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান ৩১:১৭]


৮০। দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান ৩১:১৮]


৮১। কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান ৩১:১৯]


৮২। নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [সূরা আহ্‌যাব ৩৩:৩৩]


৮৩। আল্লাহ্‌ তাআলা যাবতীয় পাপ মোচন করে দিতে পারেন। [সূরা যুমার ৩৯:৫৩]


৮৪। আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা যুমার ৩৯:৫৩]


৮৫। ভালো দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো। [সূরা হা-মিম সাজদা ৪১:৩৪]


৮৬। যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও। [সূরা শূরা ৪২:৩৮]


৮৭। মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো। [সূরা হুজরাত ৪৯:৯]


৮৮। কাউকে পরিহাস করো না। [সূরা হুজরাত ৪৯:১১]


৮৯। সন্দেহ থেকে বিরত থেকো। [সূরা হুজরাত ৪৯:১২]


৯০। পরনিন্দা করো না। [সূরা হুজরাত ৪৯:১২]


৯১। সবচেয়ে আল্লাহ্‌ভীরু ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মাননীয়। [সূরা হুজরাত ৪৯:১৩]


৯২। অতিথির সম্মান করো। [সূরা যারিয়াত ৫১:২৬]


৯৩। দাতব্যকার্যে অর্থ ব্যয় করো। [সূরা হাদিদ ৫৭:৭]


৯৪। দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই। [সূরা হাদিদ ৫৭:২৭]


৯৫। জ্ঞানীজনকে আল্লাহ্‌ তাআলা সুউচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করবেন। [সূরা মুজাদালাহ্‌ ৫৮:১১]


৯৬। অমুসলিমদের সাথে সদয় ও ন্যায় আচরণ করো। [সূরা মুমতাহিনাহ্‌ ৬০:৮]


৯৭। লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো। [সূরা তাগাবুন ৬৪:১৬]


৯৮। আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। তিনি মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। [সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০]


৯৯। ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [সূরা যুহা ৯৩:১০]


১০০। অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো। [সূরা মা’ঊন ১০৭:৩]

একটি চাকরীর বিজ্ঞপ্তি

 জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


★ পদের নামঃ এস.আর

★ কোম্পানিঃ নাবিল  গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

★ পন্যঃ  ফুডেলা সয়াবিন তেল, 

ফুডেলা সরিষা তেল,

ফুডেলা  মুশুর ডাল, 

ফুডেলা আটা,ময়দা,সুজি 

ফুডেলা  চিনিগুড়া চাল।

ফুডেলা মিনিকেট চাল, আাটাশ চাল, নাজিরশাইল  চাল, এবং ফুডেলা বাংলামতি চাল,

ফুডেলা ঘি, 

বেতনঃ ১২০০০ হাজার।

টিএডিএ:৫০০০ -৬৫০০ হাজার।

মোবাইল বিল ১০০০ টাকা। 

★ ইনসেন্টিভঃ২০০০-৫৫০০/-বিক্রয় লক্ষমাত্রা অর্জন স্বাপেক্ষে

★ অভিজ্ঞতাঃ

 FMCG বিক্রয়ে কমপক্ষে ২ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

★ কর্মস্থলঃ নওগাঁ সদর  ।    


★বয়স সর্বোচ্চ ৩০/৩৫ বছর।

★ শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ নূন্যতম HSC পাস হতে হবে।


১।উক্ত এলাকায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।


২।এইচএসসি এবং এসএসসি পাশের সনদ থাকতে হবে।


৩। জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।


★ বোনাসঃ বছরে ২টি

★ বছর শেষে বেতন বৃদ্ধি

★পারফরমেন্স অনুযায়ী পদন্নোতির সুযোগ আছে।

বিদ্র: রাহুল আটা, বসুন্ধরা আটা,ফ্রেশ আটা,তীর আটা, নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিগণ বেশি অগ্রাধিকার পাবেন। 


★নোটঃ উপরের শর্তাবলীর ঘাটতি রয়েছে এমন প্রার্থীদের যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


যোগাযোগঃ

(ASM)

মোবাইল- 01329671901


https://drive.google.com/drive/folders/1hr14di9ylOLiaMNA5ORWEIhopKyC3I55

পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা

 পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা


১। একজন মহিলার নানার ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তার পিঠ বাঁকা হয়নি, গাঁটে ব্যথা হয়নি, মাথা ব্যথা বা দাঁতের সমস্যা হয়নি। তিনি বলেছিলেন, "কলকাতায় রেললাইনের কাজ করার সময় একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে, ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় তেল লাগালে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।"


২। একজন ছাত্র জানিয়েছে, তার মায়ের পরামর্শে সে তেল লাগানোর অভ্যাস করেছিল। তার মায়ের দৃষ্টিশক্তি একসময় কমে গিয়েছিল, কিন্তু তেল লাগানোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।


৩। এক ব্যবসায়ী চিত্রালে একবার ঘুমাতে না পারায় এক বৃদ্ধ রাত্রিকালীন প্রহরী তাকে পায়ের তলায় তেল লাগানোর পরামর্শ দেন। ফলস্বরূপ, তিনি গভীর ঘুমে ঢলে পড়েন।


৪। ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় তেল লাগালে ক্লান্তি দূর হয় এবং গভীর ঘুম আসে।


৫। আমার পেটের সমস্যাও পায়ের তলায় তেল লাগানোর মাধ্যমে দুই দিনের মধ্যে সেরে গেছে।


৬। তেল লাগানোর এই অভ্যাসে সত্যিই জাদুর মতো কাজ করে!


৭। আমি ১৫ বছর ধরে এটি করছি। আমার সন্তানদেরও পায়ের তলায় তেল লাগাই, এতে তারা সুস্থ থাকে।


৮। পায়ে ব্যথা ছিল, তেল লাগিয়ে ব্যথা দূর হয়েছে।


৯। পায়ের ফোলাভাবও মাত্র দুই দিনে কমে গেছে।


১০। এটি ঘুমের ওষুধের থেকে ভালো কাজ করে।


১১। একজন থাইরয়েড রোগী তেল লাগানোর অভ্যাসে ধীরে ধীরে সুস্থতা লাভ করেছেন।


১২। বয়স ৯০-এর এক হাকিম আমাকে বাওয়াসিরের চিকিৎসায় তেল লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটি শুধু বাওয়াসিরই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং শরীরের ক্লান্তিও দূর করেছে।


পদ্ধতি

রাতে ঘুমানোর আগে সরিষার তেল, জলপাই তেল বা যে কোনো তেল পায়ের তলায় ২-৩ মিনিট ধরে ভালোভাবে মালিশ করুন। শিশুদেরও এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।


প্রাচীন চীনা চিকিৎসা মতে, পায়ের নিচে প্রায় ১০০টি এক্যুপ্রেশার পয়েন্ট রয়েছে, যেগুলো মালিশের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখে।


শেয়ার করুন:

এই সহজ অথচ কার্যকর পদ্ধতিটি সবার সাথে শেয়ার করুন। এটি আপনার জন্য সওয়াবের কাজ হবে।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন।


মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী 

২৮/০১/২০২৫ ঈসায়ী

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ৩০-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ৩০-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে -বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ বিক্ষোভ করলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে -  মন্তব্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের।


আগামী ১৭ থেকে ২০শে ফেব্রুয়ারি নতুনদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে বিজিবি-বিএসএফ এর মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন - জোর তাগিদ দেয়া হবে সীমান্তে গুলি চালানো বন্ধের - বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব - নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।


জনগণের পক্ষ থেকে আসা প্রশ্ন নিয়েই ৩১ দফা প্রস্তুত করা হয়েছে, সব সংকটে দেশের মানুষের পাশে আছে বিএনপি - বললেন তারেক রহমান।


জুলাই আন্দোলনে চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরো ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলো ব্যাংককে।


যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের কিউবার গুয়ানতানামো বে-তে স্থানান্তরের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ।  


ঢাকায় বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ দু’টি খেলায় পরস্পরের মোকাবেলা করবে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং কিংস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।

৯০/১০ তত্ত্ব (the 90/10 principle):,,,,,Salah Uddin Ahmed Jewel  ইভানা আলাভি ফ্যানস থেকে।

 ৯০/১০ তত্ত্ব (the 90/10 principle):


পরিস্থিতিটি ভাবুন—

আপনি ব্রেকফাস্ট করছেন পরিবারের সাথে। দুর্ঘটনাবশতঃ, আপনার কন্যা চায়ের কাপ উল্টে ফেলে দিলো আপনার অফিসিয়াল শার্টে। চিৎকার করে উঠলেন ক্রোধে আপনি, রেগেমেগে কঠিন গলায় বকাবকি করলেন কন্যাকে ওই বোকামির জন্য। কন্যা কান্নায় ভেঙে পড়লো অশ্রুসজল।


কন্যাকে ভর্ৎসনার পর, এবার আপনি ফিরলেন স্ত্রীর দিকে এবং তাকেও দু'কথা শুনিয়ে দিলেন কঠোর ভাষায়, কাপটি টেবিলের কিনারায় রাখার কারণে। ছোটখাটো একটি তর্ক হয়ে গেলো উভয়ের মধ্যে। নাশতা না-করেই ধুপধাপ উঠে গেলেন আপনি, ঘরে গিয়ে আবার কাপড় পাল্টালেন। বেরিয়ে এসে দেখলেন, কন্যা হেঁচকি তুলে কাঁদছে আর নাশতা খাচ্ছে মায়ের বকুনির তোড়ে; তার স্কুলের সময় হয়ে গেছে। স্কুল-বাস মিস করলো সে। এদিকে স্ত্রীরও কাজে বেরুনোর সময় হয়ে এসেছে। ওদেরকে ডিঙিয়ে আপনি ছুটে বেরিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলেন, কন্যা ছুটে এসে গাড়িতে বসলো; তাকে নিয়ে স্কুলের দিকে ছুটলেন আপনি। আপনার দেরি হয়ে যাচ্ছে, বিধায় ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছোটাচ্ছেন আপনি, যে-রাস্তায় আইনত ৬০-এর উপরে ওঠা নিষিদ্ধ। ১৫ মিনিট দেরিতে, ২ হাজার টাকা ট্রাফিক-ফাইন দিয়েটিয়ে, কন্যাকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছতে পারলেন। আপনার কন্যা "গুডবাই" না-বলেই প্রাণপণে ছুটে চললো তার ক্লাসরুমের দিকে।


অফিসে পৌঁছলেন ৩০ মিনিট দেরিতে। ঢুকেই বুঝতে পারলেন, ব্রিফকেস আনেননি। সকালটা শুরু হলো ভয়ঙ্করভাবেই, এবং এভাবেই চলতে লাগলো পরবর্তী প্রতিটি মুহূর্ত, এমনকি আরও বাজেভাবেই সামনে আসতে শুরু করলো পরের ঘটনাগুলো। একসময় বাড়ি ফিরলেন; বুঝতে পারলেন কন্যা ও স্ত্রীর সাথে আপনার দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে উভয়দিক থেকেই। কেন? সকালে আপনার ওই প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবহারটির কারণেই।


আজ আপনার দিনটি বাজেভাবে কাটার মূল দায়টি কার?

০১. ওই চায়ের?

০২. আপনার কন্যার?

০৩. ট্রাফিক-পুলিশটির?

০৪. আপনার?


উত্তরটি হলোঃ ০৪।


চায়ের ঘটনাটিতে নিজের উপরে আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আপনার ওই ৫ সেকেন্ডের প্রতিক্রিয়াই পরবর্তী পুরো দিনটিকে প্রসব করেছে। অথচ যা হওয়া উচিৎ ছিল বা হতে পারতোঃ


চা ছলকে পড়লো আপনার উপরে। আপনার কন্যা কাঁদো-কাঁদো অবস্থা। আপনি তাকে নম্র-স্বরে বললেন— "ইটস্‌ ওকেই ব্যাটা, পরেরবার আরেকটু সতর্ক থাকবে। থ্যাঙ্কিউ।" তারপর আপনি তোয়ালে খুঁজে নিলেন, মুছে নিলেন, ঘরে ঢুকে গেলেন দ্রুত, ব্রিফকেসটি নিলেন। বেরিয়ে এসে জানলা দিয়ে দেখে নিলেন— কন্যা ঠিকমতো স্কুল-বাসে উঠলো কিনা। কন্যা বাসের জানলা দিয়ে হাত নাড়ছে আপনার প্রতি। আপনি ও স্ত্রী হাত নেড়ে বিদায়-শুভেচ্ছা জানালেন কন্যাকে। স্ত্রীকে চুমু দিলেন; একসাথে বেরিয়ে গেলেন কাজে, স্ত্রী ও আপনি। যথারীতি ৫ মিনিট আগে অফিসে প্রবেশ করলেন, সহকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় সারলেন, আপনার বস আপনাকে আসন্ন পুরো দিনটির জন্য শুভকামনা জানালেন।


পার্থক্যটি লক্ষ্য করুন। দু'টি আলাদা দৃশ্যপট। উভয় দৃশ্যই শুরু হয়েছে একইভাবে, কিন্তু শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। কেন? একমাত্র কারণ— আপনার প্রতিক্রিয়ার ধরন। প্রাত্যহিক জীবনের ১০% ঘটনার উপরে আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকা অসম্ভব, বাকি ৯০% ঘটনা ঘটে আপনার প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ। এটিই ৯০/১০ তত্ত্ব। দ্য নাইন্টি/টেন প্রিন্সিপল।


এই ৯০/১০ তত্ত্বকে নিজের অনুকূলে রাখার গোপন কৌশল জেনে নিনঃ


আপনি যদি কেউ নিগেটিভ কিছুর কবলে পড়ে যান, স্পঞ্জ হবেন না, কাচ হবেন। সমস্যাটিকে জলের মতো গড়িয়ে পড়ে যেতে দিন আপনার বাইরে থেকেই, কাচের মতো; স্পঞ্জের মতো শুষে নেবেন না নিজের ভিতরে। নিগেটিভ কিছুকে আপনার উপরে প্রভাব ফেলতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রিয়্যাক্ট করুন ব্রেইন দিয়ে, শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ দিয়ে; কোনো উস্কানিতে খেলতে নেমে যাওয়ার মতো বাজে খেলোয়াড় আপনি নন। ইগনোর। ফলে, আপনার উপরে এর কোনোই প্রভাব থাকবে না পরবর্তী সময়ে। একটিমাত্র ভুল রিয়্যাকশানের কারণে আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন স্বজন, হয়ে যেতে পারেন বরখাস্ত, রয়ে যেতে পারেন বিপর্যস্ত, ইত্যাদি... ইত্যাদি।...


কেউ আপনাকে অপদস্ত করতে চাইলে, কীভাবে রিয়্যাক্ট করেন আপনি? মেজাজ হারিয়ে ফেলেন? সামনে যা-কিছু আছে, তাতে থাবড়া মারেন রেগেমেগে? গালাগালি করেন? অভিশাপ দেন? ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায় সাঁইসাঁই? তাদের উপর শোধ নিতে, একটা শিক্ষা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন? এসব করতে গিয়ে আপনার আসন্ন জীবনটি তছনছ হয়ে গেলে, কিংবা এর প্রভাবে অফিসে দশ মিনিট পরে পৌঁছলে ওদের কিছুই যায়-আসে? ময়লার গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিজের যত্নের গাড়িটি কেন নোংরা করবেন?


৯০/১০ তত্ত্বটি মাথায় রাখবেন। যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, তাকে খোঁচাতে যাবেন না। এতে কাপুরুষতা নেই, বুদ্ধিবৃত্তি আছে। পাত্তা দিবেন না। হাওয়া। যাঃ, ধুর! আপনাকে যদি জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আপনার চাকরি আর নেই, নির্ঘুম রাত কাটাবেন? হতাশায় জেরবার হয়ে যাবেন? দুঃসময় আসেই সুসময় সামনে আছে বলে। খুঁজে নিতে হবে। আপনার মেধা, শ্রম, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আরেকটি কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়ুন। গাড়ি দেরিতে আসায়, ড্রাইভারকে বকেঝকে নিজের সময়টিকে কেন নষ্ট করে দেবেন? দেরিটায় তার নিয়ন্ত্রণ ছিল কিনা আপনি জানেন? অপেক্ষার সময়টায় কিছু পড়ুন, অন্য যাত্রীদের সাথে আলা-বিনিময় করুন। এতো ক্রোধ কেন থাকবে ব্রেইন-ওয়ালা মানুষের? বাজে রিয়্যাকশান জীবনকেই বাজে করে দেয়।


৯০/১০ প্রিন্সিপলটি জানা হয়ে গেলো আপনার। প্রয়োগ করুন এর বাস্তবতা; দেখবেন— এর ফলাফল কী সুন্দর!


Salah Uddin Ahmed Jewel 

ইভানা আলাভি ফ্যানস থেকে।

পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বাকৃবির একদল গবেষক দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ার জাতের সংকরায়ন করে উদ্ভাবন করেছেন একটি নতুন জাতের ছাগল, যা মাংস উৎপাদনে দ্বিগুণ কার্যকর। 

পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বাকৃবির একদল গবেষক দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ার জাতের সংকরায়ন করে উদ্ভাবন করেছেন একটি নতুন জাতের ছাগল, যা মাংস উৎপাদনে দ্বিগুণ কার্যকর। 

গবেষণা অনুযায়ী, নতুন জাতটি ব্ল্যাক বেঙ্গলের মতোই সহজে লালন-পালন করা যায়। কিন্তু বছরে পুরুষ ছাগল ২৬ কেজি ও স্ত্রী ছাগল ২৩ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম, যা ব্ল্যাক বেঙ্গলের দ্বিগুণ। পাশাপাশি, এই ছাগল বছরে পাঁচটি বাচ্চা দেয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য ২০-২৫ হাজার টাকা। ফলে এক বছরে একজন খামারি নতুন জাত থেকে আয় করতে পারবেন প্রায় এক লাখ টাকা, যা ব্ল্যাক বেঙ্গলের তুলনায় ৪০ হাজার টাকা বেশি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সংকর জাতের ছাগলের মাংসের স্বাদ ভালো এবং এগুলো দেখতে সাদা, কালো বা বাদামি রঙের হয়। তবে নতুন জাতকে প্রজননের জন্য নয়, কেবল মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে হবে।

বাকৃবির গবেষণার এই উদ্ভাবন দেশের খামারিদের আয়ের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং মাংস উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে




ব্রয়লার মুরগি পালন: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা

 ব্রয়লার মুরগি পালন: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা


ব্রয়লার মুরগি পালন লাভজনক একটি খামারব্যবস্থা যা দ্রুত মাংস উৎপাদনের জন্য করা হয়। সফল ব্রয়লার খামার গড়ে তুলতে সঠিক হাউজিং, ব্রুডিং, খাদ্য সরবরাহ, পানি প্রদান, টিকা প্রদান, বায়োসিকিউরিটি এবং সংগ্রহ (হারভেস্টিং) প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি।


১. হাউজিং (বাসস্থানের ব্যবস্থা)


ব্রয়লার মুরগির ঘরটি প্রশস্ত, আলো-বাতাস চলাচলের উপযোগী এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।


প্রতি বর্গফুটে ১-১.৫টি মুরগির ব্যবস্থা রাখা উচিত।


মেঝেতে পর্যাপ্ত লিটার (বিছানা) যেমন কাঠের গুঁড়ো বা ধানের তুষ বিছানো উচিত (৪-৬ ইঞ্চি)।


পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ও ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।


২. ব্রুডিং (প্রাথমিক পরিচর্যা)


ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাগুলো (চিকস) প্রথম ৭-১৪ দিন বিশেষ তাপমাত্রা ও যত্নের অধীনে রাখতে হয়।


প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩২-৩৪°C রাখতে হবে এবং ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।


মুরগির গতিবিধি দেখে বুঝতে হবে যে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে আছে কি না—


যদি তারা এক জায়গায় গাদাগাদি করে থাকে, তাহলে ঠান্ডা লাগছে।


যদি তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, তাহলে তাপমাত্রা স্বাভাবিক।


যদি তারা দূরে দূরে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত গরম লাগছে।


পর্যাপ্ত আলো ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


৩. খাদ্য সরবরাহ (ফিডিং)


ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধির জন্য ব্যালান্সড ফিড (পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাদ্য) প্রদান করতে হবে।


খাদ্য তিনটি ধাপে সরবরাহ করা হয়:


1. স্টার্টার ফিড (০-১০ দিন) – উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফিড, দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।


2. গ্রোয়ার ফিড (১১-২৫ দিন) – মাংসের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন।


3. ফিনিশার ফিড (২৬-৩৫ দিন বা বাজারজাতকরণের সময় পর্যন্ত) – ওজন বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়।


খাবার সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে এবং দিনে ৪-৬ বার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত।


৪. পানির সরবরাহ (ওয়াটারিং)


ব্রয়লার মুরগিকে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও ঠান্ডা পানি সরবরাহ করতে হবে।


পানির পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং এতে ভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট যোগ করা যেতে পারে।


গরমের সময় দিনে ৩-৪ বার পানির পরিবর্তন করা উচিত।


৫. টিকা প্রদান (ভ্যাকসিনেশন)


মুরগিকে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য সময়মতো টিকা প্রদান করতে হবে।


সাধারণত ব্যবহৃত ভ্যাকসিন:


মারেক্স ডিজিজ ভ্যাকসিন – ১ দিন বয়সে


নিউক্যাসল ডিজিজ ও ইনফেকশাস ব্রোনকাইটিস – ৫-৭ দিন বয়সে


গাম্বোরো ডিজিজ (IBD) ভ্যাকসিন – ১২-১৪ দিন বয়সে


দ্বিতীয় নিউক্যাসল ডিজিজ ভ্যাকসিন – ২১-২৫ দিন বয়সে


ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় পরিষ্কার সিরিঞ্জ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।


৬. বায়োসিকিউরিটি (জীবন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা)


খামারে বহিরাগত মানুষের প্রবেশ সীমিত রাখতে হবে যাতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ কমানো যায়।


খামারের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।


মুরগির খাঁচা, পানি ও খাবারের পাত্র নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।


রোগাক্রান্ত মুরগিকে আলাদা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে।


৭. সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ (হারভেস্টিং)


সাধারণত ৩০-৩৫ দিন পর ব্রয়লার মুরগি বিক্রির উপযোগী হয় (ওজন ১.৮-২.৫ কেজি)।


বাজারে বিক্রির জন্য মুরগিগুলোকে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং সুস্থ রাখতে হবে।


সংগ্রহের সময় মুরগিকে অযথা আঘাত না দিয়ে সতর্কতার সাথে ধরতে হবে।


বাজারে নেওয়ার সময় তাদের আরামের জন্য পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


উপসংহার


সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে ব্রয়লার মুরগি পালন থেকে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। উন্নত বাসস্থান, পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি, সময়মতো টিকা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে মুরগির দ্রুত বৃদ্ধি হবে এবং খামারটি লাভজনক হবে।

Dr. Omar Faruq #highlightseveryone #highlightseveryonefollowers #reelsfacebook #broilerchickens

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৯-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৯-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে রেলের রানিং ‍স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার - সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু।


গুম ও হত্যার নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা - হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রদিবেদনে প্রকাশ।


সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসের পর আন্দোলনরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রত্যাহার।


মানসম্মত, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের।


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতকে শ্রেষ্ঠ কূটনীতিকের  পদক প্রদান।


ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে - জানালো জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা।


বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ মুখোমুখি হবে চিটাগং কিংস – রংপুর রাইডার্সের এবং ঢাকা ক্যাপিটালস – ফরচুন বরিশালের।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

● কেয়ামত থেকে কেয়ামত – ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ

● তুমি আমার – ১৯৯৪ সালের ২২ মে

● অন্তরে অন্তরে – ১৯৯৪ সালের ১০ জুন

● সুজন সখী – ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট

● বিক্ষোভ – ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর

● স্নেহ – ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর

● প্রেমযুদ্ধ – ১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর

● কন্যাদান – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● দেনমোহর – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● স্বপ্নের ঠিকানা – ১৯৯৫ সালের ১১ মে

● আঞ্জুমান – ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট

● মহামিলন – ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

● আশা ভালোবাসা – ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর

● বিচার হবে- ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি

● এই ঘর এই সংসার – ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল

● প্রিয়জন – ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন

● তোমাকে চাই – ১৯৯৬ সালের ২১ জুন

● স্বপ্নের পৃথিবী – ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই

● সত্যের মৃত্যু নেই – ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর

● জীবন সংসার – ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর

● মায়ের অধিকার – ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর

● চাওয়া থেকে পাওয়া – ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর

● প্রেম পিয়াসী – ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল

● স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই

● শুধু তুমি – ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই

● আনন্দ অশ্রু – ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট

● বুকের ভেতর আগুন – ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্ব

তিনি ৮ টি নাটক এ অভিনয় করেছেন-

১. পাথর সময়

২. ইতিকথা

৩. আকাশ ছোঁয়া

৪. দোয়েল

৫. সব পাখি ঘরে ফেরে

৬. সৈকতে সারস

৭. নয়ন

৮. স্বপ্নের পৃথিবী।

মুঘোল আমলের এক করুণ প্রেমের কাহিনির স্মারক বাকরখানির উৎপত্তি।

 ‎মুঘোল আমলের এক করুণ প্রেমের কাহিনির স্মারক বাকরখানির উৎপত্তি। মুঘোল, ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে এর জৌলুস থাকলেও সময়ের সঙ্গে ফাস্টফুড ও আধুনিক খাবারের দাপটে এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। পুরান ঢাকা, খিলগাঁও, সিপাহীবাগে এখনও বাকরখানির দোকান খুঁজে পাওয়া যায়। জিঞ্জিরার তন্দুরে তৈরি রুটিগুলো এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

‎ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিরমাল, চা'পাতার মতো বাকরখানিও বিলুপ্তির পথে। তবে এর রোমাঞ্চকর অতীত এখনও আমাদের মনে ইতিহাসের গন্ধ ছড়ায়। বাকরখানি শুধু একটি খাবার নয়, এটি আমাদের অতীতের জীবন্ত সাক্ষী।

‎এবার আসি এর ইতিহাস কথনে, এ বিষয়ে জানা যায় কিংবদন্তির ঢাকা গ্রন্থের লেখক নাজির হোসেনের লেখনীতে। তিনি লিখেছেন বাকরখানি রুটির সাথে যার নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তিনি হলেন আগা বাকের ও আরামবাগের নর্তকী খনি বেগম।

‎আগা বাকের ছিলেন তুর্কিস্তানের মতান্তরে ইরানের অধিবাসী। তিনি শিয়া মুসলিম ছিলেন। ভাগ্যন্বেষণে তিনি ভারতবর্ষে আগমন করেন এবং মুর্শিদকুলী খার বিশেষ স্নেহ ও আশ্রয় লাভ করেন এবং নিজ দক্ষতায় তার সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আসীন হন। তিনি চট্টগ্রামের ফৌজদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার ছেলের নাম আগা সাদেক যার নামে পুরনো ঢাকাতে একটি সড়কের নামও রয়েছে। আর খনি বেগম সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। যতটুকু জানা গেছে তা হলো- তিনি আরামবাগের নর্তকী ছিলেন। এই খনি বেগমকে নিয়ে অনেক জলঘোলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে তদসাথে প্রাণহানিও।

‎যাহোক, আগা বাকের ও খনি বেগম একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন । বাকেরের এই প্রেমের সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উজিরেআলা জাহান্দর খার দুশ্চরিত্র পুত্র কোতোয়াল জয়নুল খাঁ। এসব ব্যাপারে মুর্শিদকুলী খাঁ কিছু জানতেন না। একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে খনি বেগমের সতীত্ব নষ্ট করতে চেষ্টা করেন কোতোয়াল জয়নুল খাঁ। সংবাদ পেয়ে আগা বাকের বাঁধা দিলে  উভয়ের মাঝে যুদ্ধ বেঁধে যায়। যুদ্ধে হেরে জয়নুল খাঁ পালিয়ে যান। জয়নুলের বন্ধুগন এটাকে অন্যরূপ দিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিল যে বাকের জয়নুলকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে দিয়েছে। এ অভিযোগ নবাবের দরবারে গেলে ন‍্যয়পরায়ণ মুর্শিদকুলী খাঁ পূত্রবৎ বাকেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বাঘের খাঁচায় ঢুকিয়ে দেন। দমবার পাত্র ছিলেন না বাকের। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘটিকে হত্যা করে বিজয়ীর বেশে খাঁচা হতে বেরিয়ে আসেন। এদিকে জয়নুল সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক খনি বেগমকে অপহরণ করে দক্ষিন পূর্ব বঙ্গের ভাটি অঞ্চলের এক গভীর অরণ্যে পালিয়ে যান। জয়নুল শত চেষ্টা করেও খনি বেগমকে বশে আনতে না পেরে তাকে চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যে (বাকেরগঞ্জ/বরিশাল) বন্দী করে রাখেন। এ খবর আগা বাকেরের কানে পৌঁছালে তিনি সেনাপতি কালা গাজীকে নিয়ে ছুটে যান চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যে। জয়নুলের পিতাও তার চরিত্রহীন ছেলের কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে  ছেলেকে শিক্ষা দেয়ার জন্য তথায় হাজির হলেন এবং পুত্রকে বন্দী করে শাস্তিস্বরূপ নিজ তরবারি দিয়ে আঘাত করলেন। অসির আঘাতে মরণাপন্ন জয়নুল দেখল যে সে আর বাঁচবে না এবং খনিকেও পাবে না তাই সুযোগ বুঝে সে খনি বেগমের বুকে অসি বসিয়ে দিল প্রতিশোধস্বরূপ। এ আঘাতে খনি বেগম যখন মৃত্যু পথযাত্রী তথায় হাজির হন আগের বাকের। মৃত্যমুখী খনি বেগমকে বুকে তুলে নিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকেন বাকের। এক পর্যায়ে খনি বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খনির মৃত্যুতে প্রায় উন্মাদ হয়ে যান বাকের। রাজ্য ও মসনদের সকল আকর্ষন পরিত্যাগ করে সেই অঞ্চলেই থেকে যান তিনি। শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়। পরবর্তীতে বুজুর্গ উমেদপুরের জমিদারি লাভ করার পর সেলিমাবাদ ও চন্দ্রদ্বীপ পরগনা দখল করে নেন। বহু দ্বীপ নিয়ে গঠিত বাখলা চন্দ্রদ্বীপের জমিদারি লাভ করেন আগা বাকের। পরবর্তীতে ১৭৯৭ সালে ইংরেজ সরকার যখন পৃথক জেলা গঠন করেন তখন এই জনপ্রিয় ব্যাক্তির নামটিকে অস্বীকার না করে তার নামেই নামকরণ করা হয় বাকেরগঞ্জ জেলা। এরপর মুর্শিদ কুলী খাঁর আদেশে আগা বাকের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেন। সে ঘরে জন্ম লাভ করে আগা সাদেক ও মির্জা মাহদী নামে দুই পুত্র। 

‎আগা বাকের নবাব সিরাজউদ্দোলার দুর্দিনে তার পাশেই ছিলেন। নবাব বিরোধী শিবির রাজবল্লভ ও ঘসেটি বেগমের বিরুদ্ধেও তিনি ভীষণ সরব ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ‍্যজনকভাবে ঢাকার নায়েব নাজিম হোসেন উদ্দিন খানের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে আগা বাকের নিহত হন। রাজবল্লভ তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন। বাকেরের এই খণ্ডিত দেহ পরে আগা সাদেক ময়দানে সমাহিত করা হয়।

‎আগা বাকের অন্য নারীকে বিয়ে করলেও তার মন থেকে খনি বেগমের স্মৃতি মুছে যায়নি। তার প্রমাণ- বিশেষভাবে তৈরি তার প্রিয় খাদ্য তথা রুটির নাম তার প্রেম কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই নামকরণ করা হয়েছিল "বাকর-খনি" রুটি যা কিছুটা অপভ্রংশ হয়ে হয়েছে বাকরখানি রুটি। এটি টিকে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। পুরনো ঢাকার আদি খাবারগুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম খাবার। বাকরখানি পুরান ঢাকাবাসীর সকালের নাস্তা হিসেবে প্রচলিত ছিল আদিতে। 

‎বাকরখানি মূলতঃ আদি ঢাকা তথা পুরনো ঢাকাবাসীর একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়েছে। সকাল ও বিকেলের নাস্তায় এটি একসময় পুরনো ঢাকাবাসীর কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। এখনও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাকরখানি রুটির পুরনো দোকান ও তন্দুর সগৌরবে টিকে আছে।

‎সৌজন্যে: বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র

ভালোবাসার_শীতলতা #লেখক_তৌফিক ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নিজের বাবা কে যদি দুটো ভালো কাপড় দিতে না পারো, তবে কখনো আমার জন্য কিচ্ছু এনো না, আবিদ।


হাসিমুখে শ্বশুরকে শীতের কাপড় এগিয়ে দিতে গিয়ে শ্বশুরের উপরোক্ত কথা শুনে থমকে যায় আবিদ। নিমিষেই মুখ থেকে হাসিটা উধাও হয়ে যায়।


আবিদের শ্বশুর, রাহাত সাহেব, আবারও বলে উঠেন,


"আমি না হয় আমার কন্যাকে জন্ম দিয়েছি বলে, তার টান আমার ওপর সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তোমার বাবা তো তোমায় জন্ম দিয়েছে। কই, তার ওপর তো তোমার কোনো টান দেখিনা! কারণে-অকারণে আমাকে এটা-ওটা কিনে দাও। বলি, তোমার পিতাকে কিছু কিনে দিয়েছো?"


আবিদ মুখটা কালো করে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার স্ত্রী শাম্মির দিকে তাকায়। স্বামীর কালো মুখ দেখে দ্রুত শাম্মি ওর বাবাকে বলে ওঠে,


"বাবা, তুমি এসব কী বলছো? আমার স্বামী তোমার সন্তানের মতোই... সে তোমাকে দুটো দিতেই পারে। এতে অন্যজনকে না দিলে তোমার কী? তাছাড়া আমার শ্বশুর কুঁড়ে লোক, ঘর ছেড়ে বের হন না, তাই তাকে কিনে দিতে হয় না। আর তুমি দশ বাজার ঘুরে বাজার করো, তোমার ভালো কাপড় না হলে হয় বলো?"


মেয়ের কথা শুনে রাহাত সাহেব রাগের চোটে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা থাপ্পড় মেরে হুংকার ছেড়ে বলেন,


"শাম্মি, তুই এতটা নিচ! এতটা নিকৃষ্ট হয়েছিস! তোর মা তো এমন ছিল না। তুই এমন হলি কী করে! আরে, আমার জামাইয়ের কিছুর প্রয়োজন নেই। আল্লাহ দিলে আমার দুটো পুত্র সন্তান আছে, যাদের আমি মানুষ করতে পেরেছি। আমাকে একটা দিলে তার শ্বশুরকেও একটা দেয়। আমি খুশি হই এতে। কিন্তু তোর জামাই তো কাপুরুষ। নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার বসালেও মনের মাঝে পশু ভাবটা আছে। সে শিক্ষিত হয়েছে, মানুষ হয়নি।"


আবিদ পুরোটা সময় ওর শ্বশুরের কথাগুলো শুনে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওর স্ত্রী শাম্মির দিকে তাকিয়ে থাকে। শাম্মি চুপচাপ মাথা নিচু করে থাকে। তাছাড়া, কী বা করবে, আবিদের দিকে তাকানোর সাহসও তার নেই।


অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর আবিদ বলে ওঠে,


"বাবা, আমাকেও দুটো থাপ্পড় দিন। দুটো থাপ্পড় আমারও প্রাপ্য।"


রাহাত সাহেব আবিদের কথায় পরপর কষে দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দেন। পাথরের মতো শক্ত হাতের থাপ্পড় খেয়ে আবিদের চোখ-মুখে অন্ধকার নেমে আসে। খানিকক্ষণ সময় নিয়ে মুচকি হেসে আবিদ বলে,


"বাবা, আর্মিদের হাত এত শক্ত হয় জানা ছিল না।


আজ শুধু গালে পড়েছে। এরপর পিঠেও পড়বে। আমি ভাবতেই শিউরে উঠি। তুমি কেমন সন্তান, যে নিজের বাবাকে ভালো শীতের পোশাক না কিনে দিয়ে বউয়ের বাবা কে কাপড় দিতে এসেছো? তোমার বাবার অসহায় চাহনি আমি সেদিন দূর থেকে দেখেছিলাম। সামনে যাওয়ার সাহস হয়নি লজ্জায়। কারণ তখন আমার গায়ে ছিল তোমার দেওয়া আরেকটা শীতের পোশাক।"


আবিদ নিশ্চুপ। রাহাত সাহেব অগ্নি চোখে শাম্মির দিকে তাকিয়ে বলে,


"তোকে আর যেন এ বাড়িতে না দেখি। যতদিন না নিজের শ্বশুরকে বাবা মতো ভালোবাসতে পারবি, ততদিন এ বাড়িতে আসবি না। বেরিয়ে যা তোরা দুটো অমানুষের দল।"


আবিদ শাম্মির হাত ধরে টানতে টানতে বেরিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। রাস্তায় কেউ কারো সাথে কথা না বললেও বাসায় আসতেই আবিদ ওর শাম্মিকে নিজের ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে বলে,


"শাম্মি, এসবের মানে কী! তোমার বাবা আমায় ভুল বুঝলো! আরে, আমি তো দুজনের জন্যই কাপড় কিনতে টাকা দিয়েছিলাম। তুমি কি আমার বাবাকে কিনে দাওনি?"


শাম্মি মুখটা নিচু করে ভয়ে ভয়ে বলে,


"আ...আসলে আবিদ..."


"বলো..."


"আসলে ভেবেছিলাম তোমার বাবার আছেই। তাই টাকা নষ্ট করিনি।"


আবিদ আর নিজের রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রচণ্ড জোরে জানালার থাই গ্লাসে ঘুষি মেরে হনহন করে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।


আজ অনেকদিন পর বাবার ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আবিদ। কমসে কম ছয় মাস তো হবেই। অফিসের কাজে এই ট্যুর, ওই ট্যুর করতে করতে বাসায় তেমন একটা আসেনি। আসলেও তখন ওর বাবা বাসায় থাকতো না। রাতেও তেমন দেখা হতো না ওদের। আর তাই আবিদ ওর স্ত্রীকে সব দায়িত্ব দিয়েছিল। তবে ভাবেনি শাম্মি এমন কিছু করবে।


আবিদ দরজায় নক করে,


"বাবা, আছো?"


ভেতর থেকে আবিদের বাবা আহমেদ সাহেব সাড়া দেন,


"হ্যাঁ, আছি। ভেতরে এসো, আবিদ।"


আবিদ মাথাটা নিচু করে ওর বাবার পাশে গিয়ে বসে। আহমেদ সাহেব বহুদিন পর ছেলেকে দেখে হাসি মুখে বলেন,


"বহুদিন পর তোমায় দেখলাম... আজকাল খুব ব্যস্ত হয়ে গিয়েছো?"


আবিদ ওর বাবার হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে ছলছল চোখে বলে,


"বাবা, আসলে অফিসে কাজের চাপ ছিল খুব, তাছাড়া..."


আবিদকে বাকিটা বলতে না দিয়েই আহমেদ সাহেব বলে ওঠেন,


"থাক, আমি বুঝি। তা শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলে যে? আর তোমার হাত কেটে গেলো কীভাবে?"


আবিদ মাথাটা নিচু করে বলে,


"আসলে বাবা..."


আহমেদ সাহেব চোখ দুটো বন্ধ করে নেন। মিনিট খানেক বন্ধ করে রাখার পর ধীরে ধীরে চোখ খুলে বলেন,


"বাইরে বেশ ঠান্ডা। তুমি বলেছিলে, আমার কিছু লাগলে বউমাকে বলতে। অনেকদিন হলো, বউমাকে শীতের পোশাক আর একটা জুতো কিনে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। সে দেয়নি। তোমার কাছে কিছু টাকা থাকলে আমাকে দিয়ে যেও। বউমাকে বলতে আমার লজ্জা লাগে ভীষণ।"


আবিদ বলেন, "বউমাকে বলতে হবে না বাবা। আমি আছি। চলো বের হই।"


আহমেদ সাহেবকে নিয়ে আবিদ সারাদিন ঘোরাঘুরি করে এবং শীতের পোশাক কিনে দিয়ে বাসায় ফেরে রাতে। আজ আবিদ বেশ খুশি। বহুদিন পর বাবার মুখে হাসি দেখে।


রাত ১২টা। আবিদ নিজের ঘরে ঢুকতেই দেখে শাম্মি সেই আগের মতো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আবিদ কয়েক পলক শাম্মির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,


"কি হলো, শাম্মি? এভাবে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন! কিছু হয়েছে?"


শাম্মি আবিদের কথা শুনে তড়িৎ গতিতে আবিদের পা দুটো জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে ওঠে। শাম্মির এমন আচরণে আবিদ অবাক হয়ে বলে,


"এই, কি করছো! পা ছাড়ো।"


"না, তুমি আগে আমায় ক্ষমা করে দাও।"


আবিদ থমথমে কণ্ঠে বলে,


"সে তো তোমার বাবার হাতের দুটো থাপ্পড় খাওয়ার পরই হয়ে গেছে। এখন উঠে এসো, বউ।"


আবিদ শাম্মিকে পা থেকে টেনে তুলে নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়ে আদুরে গলায় বলে,


"আচ্ছা শাম্মি, তুমি টাকাগুলো কী করেছো, বলো তো?"


শাম্মি আবিদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,


"ওগুলো ড্রয়ারেই রেখে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, টাকা নষ্ট করে কী হবে! জমিয়ে রাখি।"


"তাহলে নিজের বাবারটা কিনে কেন নষ্ট করেছিলে! ওটাও জমিয়ে রাখতে পারতে।"


শাম্মি নিশ্চুপ। আবিদ শাম্মিকে আরও শক্ত করে নিজের বুকে টেনে নিয়ে বলে,


"এমন স্বভাবের হইয়ো না, শাম্মি। তোমার পেটের মাঝেও ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আমাদের অনাগত সন্তান।"


"আমি ভুল করেছি, আবিদ।"


"হুম, প্রথম ভুল। ক্ষমা করাই যায়। তবে পরের বার আর করোনা প্লিজ।"


"প্রমিজ, আর করবো না।"


আবিদ  পরম মমতায়  শাম্মির কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে  দেয় শিউরে উঠে শাম্মি শক্ত করে জরিয়ে ধরে আবিদ কে,,,,


কখনো কখনো গায়ে হাত দিয়ে বা চিৎকার করে কিছু হয়না।বুঝিয়ে বলতে হয় আশা করি তারা বুঝবে।


#ভালোবাসার_শীতলতা

#লেখক_তৌফিক

এক লাফেই পার হওয়া যায় যে নদীর, বলছি উত্তরের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে হুয়ালাই নদীর কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে সরু নদী হিসেবে অফিসিয়াল স্বীকৃতি আছে যার

 এক লাফেই পার হওয়া যায় যে নদীর, বলছি উত্তরের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে হুয়ালাই নদীর কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে সরু নদী হিসেবে অফিসিয়াল স্বীকৃতি আছে যার। এর গড় প্রস্থ ১৫ সেন্টিমিটার। সবচেয়ে সরু পয়েন্টটি মাত্র ৪ সেন্টিমিটার চওড়া। তবে লম্বায় গুনে গুনে ১৭ কিলোমিটার।


নদী হতে যেসব শর্ত মানতে হয়, সেগুলো মেনেই নদীর মর্যাদা পেয়েছে হুয়ালাই। এক লাফে পার হওয়া যায় বলে এটাকে খাটো করে দেখার জো নেই। কারণ চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ হাজার বছর ধরে হুয়ালাইতে পানির প্রবাহ একই রকম আছে। মাটির তলায় থাকা একটি স্রোত থেকেই এ নদীর উৎপত্তি। এরপর থেকে কখনই এর প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়নি, নদী শুকিয়েও যায়নি। নদীর পানি এঁকে বেঁকে গিয়ে পড়েছে হেক্সিগট্যান গ্রাসল্যান্ড ন্যাচার রিজার্ভের দালাই নুর লেকে।


সারাবছরই হুয়ালাইতে স্রোত থাকে। গভীরতা গড়পড়তায় ৫০ সেন্টিমিটার হলেও এর পানি একদম স্বচ্ছ। যা দিয়ে আশপাশে সেচের কাজ তো হয়ই, বুনো প্রাণীরাও আসে এর স্রোত থেকে পান করতে।






বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে । ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে ।


লক্ষ্য করলে দেখবেন, বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি রোম্যান্টিক। ঘন ঘন প্রেমে পড়ে। ঘন ঘন ছ্যাঁকা খায়। ছ্যাঁকা খেলেই বাঙালি ছেলেরা রবীন্দ্রনাথ আর বাঙালি মেয়েরা তসলিমা নাসরিন হয়ে যায় । 


ছেলেদের কলমে তখন কান্না, আর মেয়েরা হয়ে ওঠে মারাত্মক পুরুষবিদ্বেষী। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে । কিন্তু ওই যে বলে – exception is not the example !


বাঙালিরা আসলে ভীতু জাতি । বাঙালিরা ভীষণ ইমেজের পরোয়া করে। যেমন, সিগারেট খাওয়া ছবি পোস্ট করবো বাড়ির বড়োরা কি ভাববে – এদিকে দেখা যাচ্ছে বড়োদের থোড়াই কেয়ার করে !


প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরবো কে কি ভাববে – যেন মনে হয় দু'জনে খোলা রাস্তায় সেক্স করছে। একজন বিয়ে করা মেয়ে বা বিয়ে করা ছেলের প্রেমে পড়বো – লোকজন ছিঃ ছিঃ করবে। আর কিছু হলেই খালি বলবে– আমাদের সংস্কৃতিতে এসব নেই !


কার মেয়ে কার সাথে প্রেম করে (মেয়েটা উচ্ছন্নে গেছে), কার ছেলে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায় (বড়দের সামনে কিন্তু খাচ্ছে না আর সিগারেট একটি নিষিদ্ধ উপাদান নয়), কার বউ সারাদিন স্মার্ট ফোনে ব্যস্ত (ধরেই নেওয়া হলো কারো সাথে লটঘট চলছে), কে আজ একটু খোলামেলা পোশাকে বাইরে বেরোলো (মেয়েটা এক নম্বরের *****), বিবাহিত পুরুষ বা বিবাহিতা নারীর সাথে প্রেম (সংসার ভাঙছে) -ইত্যাদি বিষয়ে সবসময় কান খাড়া । 


‘আমাদের সময় এরকম ছিল না’ বলা লোকটিও দেখা যায় রাস্তায় হাঁটার সময় ছোট পোশাক পরা মেয়ে দেখে দিশা হারিয়ে ফেলে। 


রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর প্রেমকে জোর করে অস্বীকার করে দেওর-বৌদির স্নেহ প্রমাণ করবে, আর নিজেদের হাজার হাজার ইচ্ছেকে দমন করে রাখবে শুধু কেচ্ছা হবে এই ভয়ে।


খুব কম পুরুষ কোনও লাস্যময়ী মেয়েকে দেখলে নির্লিপ্ত থাকে, খুব কম পুরুষ ভিড়ে কোনও মেয়ের খোলা পিঠে, খোলা হাতে, খোলা কাঁধে বা কায়দা করে খোলা ঊরুতে চোখ না দিয়ে পারে না, খুব কম পুরুষ বিয়ের এক দশক পরেও স্ত্রী'র প্রতি একটা বন্য উন্মাদনা অনুভব করে – কিন্তু কেউ মুখে স্বীকার করবে না। তাহলে এমন জিনিস করা কেন যা স্বীকার করা যায় না ? এহেন নারীর সংখ্যাও কম নয় ।


“তোমায় খুব ভাল লাগে” বলে কায়দা করে তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা না করে কিংবা “তোমায় ভালোবাসি” এরকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিছানায় শোয়ার ভান না করে সরাসরি বলতে শিখুন “আমার তোমার সাথে শুতে ইচ্ছে করছে”। সেটা অপরাধ নয়, পাপ নয়, অন্যায় নয়। 


শরীরের ইচ্ছে শরীরের চাহিদা শরীরের খিদেকে অস্বীকার না করে বরং সেটা মেনে নিন – বিকৃতি আসবে না।


আসলে আমরা জানিই না আমাদের সংস্কৃতি কাকে বলে। ভারতীয়দের এই সমস্যা আছে, বাঙালিদের আরও বেশি। পাশের বাড়িতে কি হচ্ছে আড়ি পেতে শোনা অথবা পর্দার আড়াল দিয়ে দেখা আমাদের অভ্যেস। আবার নিজের কিছু হলে আপ্রাণ ঢেকে রাখতে আমরা মরিয়া। কারণ লোকের কাছে মানহানী হওয়ার ভয়। 


আমরা কেমন যেন ভীতু, double standard ! যদি স্বীকার করতেই না পারলাম তাহলে কীসের সততা ? ধূমপান করা, মদ খাওয়া, রেড লাইট এরিয়াতে যাওয়া, সুন্দরী লাস্যময়ী কারো প্রেমে পড়া কিংবা সুপুরুষ কারো প্রেমে পড়া, হাত ধরে হাঁটা– যদি সাহস না থাকে তাহলে না করাই বাঞ্ছনীয় ।


আজকের টেক স্যাভি যুগে বাঙালি যেন ক্রমেই খোলসে ঢুকে যাচ্ছে । এখনো নাকি বাঙালিরা live in করতে গেলে ভয়ে কাঁপে, বান্ধবীকে বাড়ি নিয়ে আসার ভয়ে হিসি করে দেয় – আসলে সবেতেই কাজ করে পাপবোধ। সবেতেই ভাবে “খুব খারাপ কাজ করছি” – তবুও করে – আর যে কোনও বস্তুকেই রঙিন করে তোলার বদলে করে তোলে কলঙ্কিত। এটাই সমস্যা।


বুক চিতিয়ে কথা বলা, বুক চিতিয়ে দুঃসাহস দেখানো, বুক চিতিয়ে তথাকথিত scandalous হয়ে গর্বিত হওয়ার মতো বাঙালি দিনদিন কমে যাচ্ছে। বাঙালি দিনদিন ভীতু হচ্ছে, কাপুরুষ হচ্ছে, ভণ্ড হচ্ছে। এমন এক প্রেমিক জাতি বিপ্লবী জাতির এমন সঙ্কোচন – সত্যিই কষ্ট দেয় !


--সংগৃহিত

ছন্দে ছন্দে ৬৪ জেলার নাম.. ফেরদৌস আহমেদ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছন্দে সুরে বলছি আমি সকল জেলার নাম

তাল মেলাতে সবার আগে আসলো কুড়িগ্রাম। 


প্রধান জেলা ঢাকা থেকে একটুখানি দূর

এক জেলার নাম নরসিংদী আর একটা গাজীপুর । 


জয়পুরহাট ও লালমনিরহাট দুইটা জেলার নাম

রাজশাহীর নাম উজ্জ্বল করছে মিষ্টি স্বাদের আম। 


পাহাড় ঘেরা বান্দরবান ও সিলেট খাগড়াছড়ি

ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে এই অধমের বাড়ি । 


নেত্রকোনা সুনামগঞ্জে আছে ধানের মাঠ

সুন্দর বনের কাছে আছে খুলনা বাগেরহাট । 


ভোলা এবং বরিশালে আছি অনেক নদী

পাবনায় আছে পাগলা গারদ বগুড়াতে দধি । 


পাশাপাশি দুইটা জেলা টাঙ্গাইল জামালপুর

আরো দুইটা জেলা হল কুষ্টিয়া যশোর । 


মনের মত একটা জেলা নাম তার মাগুরা

দন্তন্য তে নারায়ণগঞ্জ নাটোর ও নওগাঁ । 


দন্তন্য তে আরো চারটি জেলা বলতে পারি

নবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী নড়াইল নীলফামারী ‌। 


গঞ্জ দিয়া মানিকগঞ্জ হয় আরো মুন্সিগঞ্জ

গোপালগঞ্জ হয় হবিগঞ্জ হয় আরো সিরাজগঞ্জ । 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কিন্তু গঞ্জ দিয়া ভাই

এদের ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন গঞ্জ নাই । 


রংপুর এবং রাঙ্গামাটির নামটা রঙে রাঙা

নামের জন্য আরও সুন্দর চাঁদপুর চুয়াডাঙ্গা ‌। 


কক্সবাজার নামের জেলা আছে সাগর পাড়ে

পঞ্চগড়টা পড়ছে বন্ধু দেশের এক কিনারে । 


ফেনী জেলার নামটা মাত্র দুইটা অক্ষর দিয়া

সবচেয়ে বেশি অক্ষর লাগে লিখতে বি-বাড়িয়া । 


ছয়টা অক্ষর লিখতে লাগে মৌলভীবাজার

এদিক থেকে শরীয়তপুর সমান তাহার । 


শেষের দিকে এসে দেখি বসছে পুরের মেলা

নামের শেষে পুর লাগানো অনেকগুলো জেলা । 


পুর দিয়ে ভাই শেরপুর আছে আছে পিরোজপুর

মেহেরপুর ও মাদারীপুর আরো দিনাজপুর। 


ফরিদপুর ও লক্ষিপুর এই দুই টা জেলার সাথে 

পুরের পালা শেষ করিয়া গেলাম বরগুনাতে । 


আসার পথে কুমিল্লা ও ঝালকাঠি সহ

ঘুরে এলাম রাজবাড়ী তার সঙ্গে ঝিনাইদহ ‌। 


গাইবান্ধার নাম বাদে থাকে আর মাত্র এক হালি

তাদের মধ্যে একটা জেলার নাম পটুয়াখালী । 


এখন শুধু বাকি আছে তিনটা জেলার নাম

এদের মধ্যে একটা জায়গা হইল চট্টগ্রাম ‌। 


সাতক্ষীরায় আর ঠাকুরগাঁয়ে হইল এই গান শেষ

এদের নিয়েই গড়া আমার সোনার বাংলাদেশ । 


ছন্দে ছন্দে ৬৪ জেলার নাম..

ফেরদৌস আহমেদ


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৮-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৮-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থাকছে না রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের - সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সকল পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।


বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।


ন্যূনতম সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফায় ঐকমত্য বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।


ন্যায়বিচারের স্বার্থে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত - আশাবাদ আইসিটি চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যানের।


যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী সহায়তা বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ।


মিরপুরে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

খান আব্দুল গাফফার খান  নামটা বর্তমানে খুব একটা পরিচিত নাম নয়।,,,, উৎপল কান্তি ধর utpal Kanti dhor ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 # খান আব্দুল গাফফার খান 

নামটা বর্তমানে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। 

৩১ শে আগস্ট, ১৯৩৪ বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সাত সকালে যাত্রীদের কৌতূহল ছিল গুরুদেব কি শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? কিন্তু তখন কলকাতা যাবার কোনও ট্রেন ছিল না। ট্রেন তো চলে গেলো। তাহলে? জানা গেল, তিনি একজন অতিথিকে রিসিভ করতে এসেছেন। 


কে সেই মান্যগণ্য অতিথি! যার জন্যে স্বয়ং গুরুদেব নিজে উপস্থিত স্টেশনে? 


বর্ধমানের দিক থেকে একটি ট্রেন এসে বোলপুরে থামল। দেখা গেল রেলগাড়ির একটি তৃতীয় শ্রেনির কামরা থেকে নামছেন এক দীর্ঘদেহী বলিষ্ঠ পাঠান যুবক। তাঁকে দেখা মাত্র রবীন্দ্রনাথ এগিয়ে গেলেন, ৪৪ বছর বয়স্ক যুবক নত হবার চেষ্টা করতেই ৭৩ বছরের কবিগুরু তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। 


খান যুবক না হলেও এমন কিছু মধ্যবয়স্ক নন তিনি। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের চেয়েও দু বছরের ছোট। সেদিনের ওই মানুষটিই হলেন খান আব্দুল গাফফার খান। 


সর্বত্যাগী ফকির, খুব সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।

 

স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই দিনগুলিতে ভারতের মানুষ তাঁকে চিনতেন ‘সীমান্ত গান্ধী’ হিসেবে। এই মানুষটি শান্তিনিকেতনের কথা শুনেছিলেন গান্ধিজির কাছে। শুনেছিলেন কবিগুরু বোলপুরের কাছে একটি গ্রামে গরীব মানুষের উন্নয়নের জন্যে একটি সংগঠন ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পেশোয়ার থেকে তাই বড়ো পুত্র আব্দুল গনিকে পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে লেখাপড়া শিখতে। পুত্রের মাধ্যমে তাঁর সাথে রবীন্দ্রনাথের যোগসূত্র। ১৯৩৪ সালে হাজারিবাগ জেল থেকে মুক্তি পেতেই তিনি বাংলায় আসতে চেয়েছেন। তাঁর আন্তরিক ইচ্ছে কবিগুরুর সাথে একটিবার দেখা করার। 


প্রথমে পাটনা গিয়েছিলেন বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদের কাছে। তখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী একজন কংগ্রেস কর্মী। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পাটনা থেকে শান্তিনিকেতনে খবর পাঠালেন- খান আবদুল গাফফার খান দেখা করতে চান রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তাঁর আগ্রহ শ্রীনিকেতন সম্পর্কেও। 


স্টেশন থেকে কবিগুরু তাঁকে প্রথমে নিয়ে এলেন বিশ্বভারতীর লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে। সেখানে সমবেত আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্যদের সামনে ‘অতিথি’র পরিচয় করিয়ে বললেন, খান সাহেবের শান্তিনিকেতন সফর আশ্রমবাসীদের জীবনে স্মরণীয় ঘটনা। তিনি যখন কারান্তারালে গিয়েছেন, পুত্রকে পাঠিয়েছেন এখানে লেখাপড়া শেখার জন্য। এতেই প্রমাণ মেলে বিশ্বভারতীর প্রতি তাঁর কতখানি আস্থা ও মমত্ববোধ আছে। তাঁর অনুভুতি আমাদের স্পর্শ করেছে। 


গাফফার খান একদিনের বেশি শান্তিনিকেতনে থাকতে পারেন নি। একদিনেই তিনি শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতনের প্রতিটি বিভাগ ঘুরেছেন দেখেছেন, নিজের চোখে। পরের দিন শান্তিনিকেতন ত্যাগের আগে সকালে উদয়ন প্রাঙ্গণে কবি তাঁর সংবর্ধনার আয়োজন করেন। সেখানে বাংলা হরফে লেখা তাঁর ভাষণ কবি উর্দুতে পাঠ করেছিলেন। “থোরেসে অরসেকে লিয়ে অপ হামারে ইঁহা তসরিফ লায়ে হৈ ...।”


নিজের হাতে খসড়া করা সেই ভাষণে কবি বলেছিলেন, “অল্পক্ষণের জন্যে আপনি আমাদের মধ্যে এসেছেন। কিন্তু সেই সৌভাগ্যকে আমি অল্প বলে মনে করিনে। আমার নিবেদন এই যে, আমার এ কথাকে আপনি অত্যুক্তি বলে মনে করবেন না যে আপনার দর্শন আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নতুন শাক্তি সঞ্চার করেছে। প্রেমের উপদেশ মুখে বলে ফল হয় না, যারা প্রেমিক তাদের সঙ্গই প্রেমের স্পর্শমান। তার স্পর্শে আমাদের অন্তরে যেটুকু ভালবাসা আছে তাঁর মুল্য বেড়ে যায়। 

অল্পক্ষণের জন্যে আপনাকে পেয়েছি কিন্তু এই ঘটনাকে ক্ষণের মাপ দিয়ে পরিমাপ কড়া যায় না। যে মহাপুরুষের হৃদয় সকল মানুষের জন্য, সকল দেশেই যাঁদের দেশ তাঁরা যে কালকে উপস্থিত মতো অধিকার করেন, তাঁকে অতিক্রম করেন, তাঁরা সকল কালের। এখানে আপনার ক্ষণিক উপস্থিতি আশ্রমের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে রইলো”। 


সংবর্ধনার উত্তরে গাফফার খান সেদিন বলেছিলেন, “গুরুদেব” তাঁকে যে আন্তরিক সংবর্ধনা জানিয়েছেন, তাতে তিনি অভিভুত। এখানে আশার আগে যা শুনেছিলেন, নিজের চোখে দেখে মনে হচ্ছে তাঁর চেয়েও মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কবি এখনে যে আদর্শ অনুসরন করেছেন, তাঁর ভিত্তিতে ভারত উন্নতির পথ খুঁজে পাবে। ধর্মের অপবাখ্যার মধ্য দিয়েই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে, এর জন্যই ভারতের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতায় বাধা আসছে। 


গাফফার খান শান্তিনিকেতন থেকে চলে যাবার পর রবীন্দ্রনাথ একটি পত্রে তাঁর সম্পর্কে গান্ধিজিকে লিখেছিলেন- ‘এক অকপট সরলতার’ মানুষ। রবীন্দ্র প্রয়াণের খবর পেয়ে এই মানুষটি পেশোয়ার থেকে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন, 


 Peshaar 12th Aug. 1941

Dear Mr. Tagore,

 I am deeply grieved to hear of the sad demise of Gurudev. In him India has truly lost the greatest philosopher, poet and a nationalist. I heartily condole with you in your sad bereavement. May God bless his soul and give strength in your preasent trial. 

Yours sincerely, 

Abdul Ghaffar Khan


পঁইত্রিশ বছর পর গাফফার খান আবার শান্তিনিকেতন এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ৭৯। ক্লান্তিময় বার্ধক্য জাঁকিয়ে বসেছে শরীরে। পাকিস্থান সৃষ্টির ১৭ বছরের মধ্যে ১৫ বছর কেটেছে তাঁর কারাগারে। তিনি ‘হিন্দু ও বিশ্বাসঘাতক’ এই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অধিকাংশ সময় নির্জন কারাগার, নয়ত নজরবন্দি। ১৯৬৪ সালে স্বেছা নির্বাসন বেছে নিয়েছিলেন আফগানিস্থানের একটি ছোট গ্রাম জালালাবাদে।স্থির করেছিলেন সেখানেই বাকি জীবন কাটাবেন রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধিজির জীবনদর্শন সম্বল করে। 


১৯৬৯ সালে গান্ধি জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান।তিনি সে অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে পারেন না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির বাইশ বছর পর বিপর্যস্ত স্বপ্ন ও আদর্শ আর ভাঙা মন নিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন। দিল্লিতে নেহেরু কন্যা প্রিয় ইন্দুকে বলেছিলেন তাঁকে যেন শান্তিনিকেতন যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। 


শান্তিনিকেতন কেন?


মৃদু হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, কেন জানো? ১৯৩৪ সালে প্রথম যখন যাই, গুরুদেবের কাছ থেকে স্নেহ ভালবাসা পাবার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। 


১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯। আগের মতোই রেলের একটি তৃতীয় শ্রেনির কোচ মধ্যরাত্রে বোলপুর স্টেশনে এসেছিল তাঁকে নিয়ে। বাকি রাত সেটি সাইডিং-এ রেখে দেওয়া হয়। গাফফার খান সেখানেই ছিলেন। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর সকাল আটটায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উদয়নের সেই ঘরে, যে ঘরে ৩৫ বছর আগে রবীন্দ্রসান্নিধ্যে কেটে ছিল তাঁর একটি দিন।

তারপর তাঁকে বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে চিরাচরিত ধারায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 


উত্তরে সেদিনও বলেছিলেন, ৩৫ বছর আগে আমি যখন প্রথম এখানে এসেছিলাম গুরুদেবের যে স্নেহ, ভালবাসা পেয়েছি তা আমার অন্তরে আজও বিরাজমান।


তিনি আশ্রমিকদের হোস্টেল, কলাভবন, বিচিত্রা দেখেন। বিচিত্রায় একটি কাঠ খোদাই মানবমূর্তির সামনে দাঁড়ালে তাঁর চোখ থেকে জল গড়িয়ে নামে। বারবার চোখ কচলে মূর্তিটি পরখ করেন। এ মূর্তি যে গড়েছেন তাঁর পুত্র নন্দলাল শিষ্য আবদুল গনি। 


তিনি ঘুরলেন শ্রীনিকেতন। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁকে দেখতে। ছোট একটি বক্তৃতাও দেন। ফেরার পথে উপাচার্য কালিদাস ভট্টাচার্যর কাছে সাঁওতাল পল্লী দেখাবার অনুরোধ করলেন। 

তাঁকে নিয়ে যাওয়া হোল ভুবনডাঙ্গায়।


সাঁওতালদের সাথে গাফফার খান মিলিত হলেন। জানতে চাইলেন, স্বাধীনতার আগে যেমন আপনাদের দিন কাটত, তাঁর কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? স্বাধীনতা কি আপনাদের জীবনের স্বাদ বদলে দিতে পেরেছে? 


দোভাষীর মাধ্যমে তিনি যে জবাব পেয়েছিলেন তাতে তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছিলো। হায় গুরুদেব! হায় স্বাধীনতা! 


বুক ভরা আক্ষেপে শুধু এক টুকরো শান্তি ছিল তাঁর শান্তিনিকেতন সফর। ১৯৮৮-র ২০ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার::white Politics

রুচির রঙ্গরস ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 — এই বিট্টু, কোন কলেজে ভর্তি হলি?

— এই তো টেকনো ইন্ডিয়ায়।

— এহ, বেসরকারী কেন রে?

— আরে এইবার কলেজে ভর্তির ফর্ম ফিল আপটা কেমন যেন উল্টোপাল্টা টাইপের। তাই ভালো কলেজ পেলাম না। তাই বাধ্য হয়েই আর কি.. তুই কোন কলেজে পেলি?

— আমি তো সুরেন্দ্রনাথ কলেজে।

— বাঃ ভালোই। 

— ভালো আর কোথায়...তোর কলেজে কত্ত মেয়ে শালা। টেকনোতে হেব্বি হেব্বি মেয়ে পড়ে। আমি রুখা-সুখা থাকব।

— আহা চাপ নিস না। তোর লাইন আমি লাগিয়ে দেব। 

— এই নাহলে বন্ধু!! 


আহঃ, এটাই তো প্রেমে পড়ার বয়স। আঠেরো উনিশ বছর বয়স। নতুন কলেজ। চারদিকে প্রেম যেন উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রেম আর পলিটিক্সে ঢোকার এই তো উত্তম বয়স। এই বয়সে কলেজে উঠে শুরু হয় ইউনিয়ন। আর ইউনিয়নের একটু বড় পদে গেলে নাকি মেয়েদের লাইন লেগে যায়। চলো ফিরে যাওয়া যাক ১১৬ বছর আগে। মেদনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলের এক স্টুডেন্ট। সে রামকে যতটা না চেনে তার চেনে বেশি চেনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে, ওর স্কুলের হেডমাস্টার। ছেলেটার জীবনে প্রেম এনেছিল ওই মাষ্টারমশাই, দেশপ্রেম। এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রেম বলতে যা বোঝে তার চেয়ে অবশ্য অনেক বেশি কিছু। যাইহোক। ওর জীবনে প্রেম তো এলো। আর আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে গেল ওর জীবনে। 

ইতিহাসের পাতায় সময়টা ১৯০৫ সাল, বাংলা মায়ের বুক চিরে দুভাগ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তখন প্রস্তুত। সারা বাংলায় চলছে বিপ্লব, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন। পূর্ববঙ্গ ও আসামের গভর্নর 'ফুলার' বিপ্লবী সন্দেহে সাধারণ ভারতবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন। আর এদিকে  বাংলার গভর্নর 'ফ্রেজার' ও শোষণ আর অত্যাচারের দিক দিয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে ছিলেন না। বিপ্লবী 'যুগান্তর দলের' সদস্যরা এই দুই গভর্নর কে হত্যা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এবার তাদের লক্ষ্য হয়ে ওঠে কলকাতা প্রেসিডেন্সির ম্যাজিস্ট্রেট,  অত্যাচারী 'কিংসফোর্ড'। কিংসফোর্ড বিপ্লবীদের মূল লক্ষ্য  হয়ে উঠেছেন এই সংবাদ পেয়েই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে তড়িঘড়ি মুজাফফরপুর বদলি করে দেয় কিন্তু বিপ্লবীরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছুপা হননি।

৩০ শে এপ্রিল ১৯০৮ বিহারের মোজাফ্ফরপুরে রাত্রি আটটা ত্রিশ মিনিটে রাতের অন্ধকারে, এক হাতে বোমা এবং অন্য হাতে পিস্তল নিয়ে, ১৮ বছরের ছেলেটা কিংসফোর্ডকে হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছিল, সঙ্গে ছিল দীনেশ। যখন তারা দেখল কিংসফোর্ডের গাড়ি আসছে, তখন বোমা ছুঁড়ে মারল আর সঙ্গে সঙ্গেই সেই গাড়ি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন সেই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিল না। সেইদিন সেই গাড়িতে ছিল, মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা। ব্যস ইংরেজদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। 

 সেই ছেলেটা আর দীনেশকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার একশত কুড়ি টাকা (বর্তমান মূল্যে প্রায় ১.২ কোটি) পুরস্কার ঘোষণা করে দেন। ছেলেটা এবং দীনেশ দুজনে আলাদা আলাদা রাস্তা অবলম্বন করলেন। কিন্তু তাঁরা দুজনেই ইংরেজদের কাছে ধরা পড়ে যান। ইংরেজদের হাতে পড়ার আগে দীনেশ পিস্তলের গুলিতে নিজেকে হত্যা করেন। তবুও ব্রিটিশ সরকারের হাতে ধরা দিলেন না। অন্য দিকে ছেলেটা ইংরেজদের কড়া পাহারা থাকা সত্ত্বেও পঁচিশ মাইল (প্রায় ৪০ কিমি) রাস্তা পায়ে হেঁটে ওয়াইনি রেল স্টেশনে এক চায়ের দোকানে জল খেতে ঢুকলে সেখানে তাকে দেখে ইংরেজদের সন্দেহ হয় এবং তাঁর দেহ তল্লাশি করে একটা পিস্তল ও ৩৭ রাউন্ড গুলি পায় এবং তাঁকে ইংরেজরা গ্রেফতার করে।

একটা কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার বয়সী ছেলের এতবড় সাহস!! আরেহ কোথায় সাহস দেখলেন? 

ধরা পড়ার পর বোমা নিক্ষেপের সমস্ত দায় নিজের ওপর নিয়ে নেয় ছেলেটা। অন্য কোন সহযোগীর নাম বা কোন গোপন তথ্য শত অত্যাচারেও প্রকাশ করেননি। মজফফরপুর আদালতে ছেলেটার বিচার কাজ শুরু হলো ০৮ জুন ১৯০৮। কিন্তু সারা পশ্চিমবাংলা থেকে কোন আইনজীবী মামলায় আসামী পক্ষের হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে দাঁড়াতে সাহস পাননি। তখন পূর্ব বঙ্গ থেকে রংপুর বারের উকিল সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, কুলকমল সেন ও নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী ছেলেটার পক্ষে মামলায় পরিচালনায় এগিয়ে আসেন।  ইতোমধ্যে বিচারকের অনুরোধে কালিদাস বসু নামে স্থানীয় এক আইনজীবী এগিয়ে আসেন আসামী পক্ষে। ৬ দিন চললো বিচার অনুষ্ঠান। বিচারের শুরুতেই ছেলেটা স্বীকার করে সবকিছু আর সব দোষ নিজের ঘাড়ে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা অনুযায়ী প্রানদণ্ডের রায় শোনার পরে দেখা যায় ছেলেটার মুখে হাসি।  বিচারক কর্নডফ তাকে প্রশ্ন করেন, তাকে যে ফাঁসিতে মরতে হবে সেটা সে বুঝেছে কিনা? উত্তরে ছেলেটা শুধু হাসে। ১৯০৮ সালের ১১ আগষ্ট। ভোর চারটে। একজন পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করে:

-এখন ভোর চারটে। আর কিছুক্ষণ পরেই আপনার ফাঁসি হবে। ভয় করছে না?

- আমি গীতা পড়েছি। তাই মৃত্যুকে আমি ভয় করি না।


একজন আঠারো বছর আট মাসের ছেলের বলা। খুব ঔদ্ধত্য তাই না? আরেহ ঔদ্ধত্য কোথায় দেখলেন! ফাঁসিতে তোলার আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শেষ ইচ্ছে কী? তার উত্তর ছিল, "আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।

বিপ্লবীরা কোন দলের না, কোন গোত্রের না, যেখানে স্বৈরাচার সেখানেই বিপ্লবীরা সোচ্চার! ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতারা সব সময় ছিল, আছে। ওদের মেরে ফেললে বিপ্লব অবসম্ভবী! মৃত্যুঞ্জয়ীদের গুলি করে মারা যায় না তারা রক্তবীজের মত হাজার হাজার হয়ে ফিরে আসে।

.

.

. কলমে ✍️✍️✍️  সব্যসাচী 


সংগৃহীত


ছবি - 🖼️ অলোক ভট্টাচার্য।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

হিজাব কী? হিজাব শব্দটির বিবর্তিত অর্থ এখন এরকম— লজ্জাস্থান ঢেকে ও মুখ খোলা রেখে আরামদায়ক পোশাক-আশাক পরিধান করা

 যিনি নিকাব (বুরকা) পরেন, তিনি টেলিভিশনে অন্যকে কন্ঠ শোনাবেন কেন? যারা মুখ না দেখানোতে বিশ্বাস করেন, তারা কন্ঠ শোনানোতে বিশ্বাস করতে চান কেন? পরপুরুষ কন্ঠ শুনতে পারবে না— এটা ভুলে যেতে চায় কেন? চ্যানেল আই সঠিক কাজ করেছে। নিকাব আর হিজাব এক জিনিস নয়।


//


‘বুরকা’ ও ‘হিজাব’— এ দুটি বিষয়কে মুসলিমরা প্রায়ই গুলিয়ে ফেলে। ভাবে, হিজাব মানেই বুরকা। আসলে তা নয়। বুরকা হলো কোনো বিশেষ কারণে মাথা ও মুখ ঢেকে চলাফেরার পোশাক। বুরকার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। পৃথিবীতে ইসলাম আসার বহু আগে থেকেই বুরকা ছিলো। আরব পৌত্তলিকদের একটি অংশ বুরকা পরতো। বাইজেন্টিন নারীরাও বুরকা পরতো। সেদিক থেকে বুরকা মূলত অমুসলিমদের পোশাক। 


বুরকা প্রধানত পরা হতো— (ক) তীব্র রোদ ও বৈরি আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে; (খ) গুপ্তচরবৃত্তি, চৌর্যবৃত্তি, ও চোরাকারবারের সহায়ক পরিধেয় হিশেবে; (গ) সম্মানজনক নয়, এমন পেশায় নিয়োজিত নারীদের রক্ষাকবচ হিশেবে; (ঘ) হারেমখানায় স্ত্রীর মর্যাদা পান নি, এমন নারী ও যৌনদাসীদের পরিচয় আড়ালকারক হিশেবে; এবং (ঙ) নেকাব দ্বারা চোখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে (কারণ আরব নারীদের চোখ সুন্দর ছিলো)।

 

তবে বুরকা শুধু মাথা বা মুখের হয় না। পায়েরও হয়। যেমন চীনা নারীরা পা দেখাতে চায় না। তাদের জন্য জুতা একপ্রকার বুরকা।


ইসলামের শুরুর দিকে ‘হিজাব’ বা ‘পর্দা’ বলতে আড়ালকারক চাদর ও দেয়াল বুঝাতো। তখন বহুকক্ষবিশিষ্ট ঘর-বাড়ি আরবে ছিলো না। মসজিদে এতেকাফের সময় চাদর টাঙ্গিয়ে যেভাবে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়, সেভাবে হিজাব টাঙ্গিয়ে ঘরের ভেতর সাময়িক কক্ষ সৃষ্টি করা হতো। নবী যখন তাঁর ঘরে স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে একসাথে থাকতেন, তখন প্রায়ই সাহাবিরা গল্পগুজব করতে আসতো। দূর থেকে মেহমানরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসতো। একটি ছোট ঘরে হুটহাট অপরিচিত মানুষজন আসায় নবী পরিবারের নারী সদস্যরা বিব্রত বোধ করতেন। এ জন্য হিজাব টাঙ্গিয়ে, অর্থাৎ ঘরের মাঝখানে চাদর-সদৃশ কাপড় টাঙ্গিয়ে, নারী সদস্যদের প্রাইভ্যাসি দেয়া হতো। 


কিন্তু নবীর ওফাতের পর হিজাব শব্দটিকে কোরানের বিভিন্ন আয়াতের সাথে মিশিয়ে এর অর্থ ও পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিকৃত করা হয়েছে আসল রূপ। খিমার, জিলবাব, প্রভৃতি বিষয়কে হিজাবের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। যে-আয়াতগুলো কেবল নবীর স্ত্রী-কন্যার জন্য প্রযোজ্য, সে-আয়াতগুলোকেও সাধারণ নারীদের ওপর চাপানো হয়েছে। এ কৃতিত্ব মতলববাজ ধর্মবণিকদের।


নবীর কোনো স্ত্রী ও কন্যা বুরকা পরতেন না। তাঁর স্ত্রী খাদিজা মুখ খোলা রেখে চলাফেরা করতেন। তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতেন। নিয়মিত হাট-বাজারে যেতেন। ইসলামের নামে অতিরঞ্জিত কিছু পালন করা ইসলামসম্মত নয়। কোরানে কোথাও নারীদেরকে বুরকা পরতে নির্দেশ দেয়া হয় নি। বরং কিছু আয়াত পড়ে মনে হয়েছে, বুরকা একটি ইসলাম-বিরোধী পোশাক।


এই মুহুর্তে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে বুরকা নিষিদ্ধ। কারণ আধুনিক রাষ্ট্রে বুরকা একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি। বুরকা নিষিদ্ধ মানেই হিজাব নিষিদ্ধ নয়। ফ্রান্স বুরকা নিষিদ্ধ করেছে, যেরকম নিষিদ্ধ করেছে মরক্কোসহ আরও অনেক মুসলিম দেশ, কিন্তু এ দেশগুলো হিজাব নিষিদ্ধ করে নি। কোথাও “অমুক দেশ হিজাব নিষিদ্ধ করেছে”— এমন শোরগোল শুনলে বুঝতে হবে, মতলববাজরা ভুল তথ্য প্রচার করছে। সঠিক তথ্য হবে— অমুক দেশ বুরকা নিষিদ্ধ করেছে। ইসলামে হিজাব আছে, বুরকা নেই। 


সম্প্রতি লক্ষ করেছি, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায়ই বুরকা পরা ইয়াবা ও গাঁজা-ব্যবসায়ী আটক করছে। ছেলেরা বুরকা পরে মেয়ে সেজে মাদক ব্যবসা করছে। সেদিক থেকে দেখলে বুরকা শুধু ইসলামবিরোধী পোশাক নয়, এটি একটি জনবিরোধী পোশাকও বটে। 


কেউ বুরকা পরতে চাইলে পরুক, এতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ চাহিবামাত্র তাকে নেকাব সরিয়ে মুখমণ্ডল প্রদর্শন করতে হবে। 'পরিচয় যাচাই' বা 'আইডি ভেরিফিকেশন' খুবই গুরুত্বপূর্ণ 'পাবলিক ইন্টারেস্ট'। আধুনিক রাষ্ট্রে মানুষের স্বাধীনতা অবাধ নয়। স্বাধীনতার সীমানা আছে। কারও ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতা 'পাবলিক ইন্টারেস্ট'-এর সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। পাবলিক সিকিউরিটি, রুল অব ল, ফেয়ারনেস অব জাস্টিস— এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রব্যবস্থার খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এগুলোকে ফাঁকি দিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার দোহাই দেয়া গ্রহণযোগ্য নয়।


বুরকা নারীর ব্যক্তিত্বকেও নষ্ট করে। বুরকা পরা নারীদের অনেকেই 'লো সেল্ফ-ইস্টিম' বা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাদের সাহস, মনোবল, ও আত্মবিশ্বাস কম থাকে। এ জন্য নারীদের উচিত, যথাসম্ভব বুরকা পরিহার করা। বুরকা ইসলামের কোনো অংশ নয়। একটি বিশেষ মহল বুরকাকে ইসলামি পোশাক বলে প্রচার করছে। বুরকা পরার সাথে আল্লাহকে পাওয়ার, বা বেহেশতে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কাউকে বুরকা পরতে বাধ্য করা, বা সারাক্ষণ ধর্মের ভয়ে বুরকা পরা, এগুলো আল্লাহর পছন্দের কাজ নয়। নবীর জীবদ্দশায় মুসলিম নারীরা রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরতেন। 


হিজাব কী? হিজাব শব্দটির বিবর্তিত অর্থ এখন এরকম— লজ্জাস্থান ঢেকে ও মুখ খোলা রেখে আরামদায়ক পোশাক-আশাক পরিধান করা। শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ, প্যান্ট, টি-শার্ট, চাদর, স্কার্ট, ব্লাউজ, এগুলো সবই হিজাব। হিজাব মানেই চোখ-মুখ ঢেকে ফেলা নয়। খিমার, জিলবাব, যিনাতাহুন্না, এসবের সাথে চোখ-মুখ ঢাকার কোনো সম্পর্ক নেই।


—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ 

পৃষ্ঠা ২৪-২৭, বই: মূর্তিভাঙা প্রকল্প


ছি: ছি: ননী -পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও মূল্যায়ন!,,,,গানটির ছত্রে ছত্রে বিষাদ। বিশ্বাস ভঙ্গের ক্রোধ ও বেদনা অথচ আমরা কত সহজে!

 ।। ছি: ছি: ননী -পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও মূল্যায়ন!।। 


ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই। 

সুনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনুষ চিনলু নাই।

ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাছে উঠি গলু।

ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারালু।গোটে দিন মিশা যগিদেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।


***

সারেতে দিনরা সান হেইবা কাজে ফজল নেই রেলু

বানজারিনী মা'রা পাখে যাই নিয়ম করি রেলু 

গালাগালা যাক তোর হেবি বলি কেড়েকথা কহি রেলু 

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।

***


তোর কথা ধরি ঋণ বাড়ি ধারি সবোকথা করিথিলি,

মালি মুদি গুণ পামেদি পাজহাল সবকিছু দেই থিলি।

তাতে শ্রদ্ধ বলি রঙপাতা কানি, 

সঙ দেই রেলিঙ ঘরে, 

ভোজভাত লাগি, ছেলি মেন্ধা কিনি, রাখি দিলি আমার ঘরে,

নাশাই দেলু ননী সবই আশা মোরা,

ক্যা দুঃখ তুই দেলু,

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।


▪️▪️গানটি মূলত: উড়িয়ার একটি উপভাষায় রচিত, কোরাপুট- সম্বল পুরের আঞ্চলিক ভাষা। ▪️▪️

______________________________________________

(বাংলা) 


সম্পত্তি দেখলে মেয়ে কিন্তু মনটাকে দেখলে না তাকে চিনলে না।

সোনাদানাটাই  চিনলে কেবল, মানুষটাকে তার ভালোবাসাটা চিনলে না।

আমার কাছে ধন নেই বলে, আজ তার কাছে চলে যেতে পারলি!

ধনসম্পদ হয়তো আছে কিন্তু হৃদয় নেই তার;  তুমি বুঝতেও পারলে না!

একটা গোটা দিনও অপেক্ষা করতে পারলি না,এতো বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললি!

অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে?

ওরে,  ছি ছি ছিরে  মেয়ে ছি ছি ছি, ধিক তোমারে।

***


সারাদিন সামর্থ্যের মধ্যে ছোট ছোট আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।

আমি তোমার মা-কে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম, ভালো রাখব।

অনেক বার বলেছি, আমার কাছে কেমন ছিলে তুমি

অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে?

এটা লজ্জারে মেয়ে, ছিঃ ছিঃ 


***

তোমার জন্য এত ঋণ, বাড়ি অবধি বাঁধা রাখলাম।শুধু তোমায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে... 

তুমি যা চেয়েছ সবই করেছি।

তোমাকে সব রকম উপহার কিনে দিলাম।

রঙিন পাতায় ভালোবাসার স্মৃতি বুনেদিলাম। 

 ঘরেতে আমাদের বিয়ের ভোজ অনুষ্ঠানের জন্য একটি ছাগলও কিনে রাখলাম। 

অথচ এক লহমায় তুমি আমার সব আশা নষ্ট করে দিলে!

ননী, কেন তুমি আমাকে এই ব্যথা দিলে? কী দোষ ছিল আমার?  দারিদ্র?

আমি গ্রাম থেকে ফিরে দেখলাম, তুমি সব ভুলে গেছ?

তোকে ধিক্কার মেয়ে ধিক্কার.... 

তমোঘ্ন নস্কর 


    ~ গানটির ছত্রে ছত্রে বিষাদ। বিশ্বাস ভঙ্গের ক্রোধ ও বেদনা অথচ আমরা কত সহজে! 

লেখক, শিল্পী শুধু অর্থেই খুশি হন না। তিনি খুশি হন যথার্থ মূল্যায়নে। এ আমার তাঁর প্রতি ক্ষমা চাওয়া।🙏

আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধা

 আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধান । 🥭


 জানুয়ারি শেষের দিকে।ইতিমধ্যেই সকলের আম গাছগুলিতে মুকুল এসে গেছে কিন্তু আপনার বা অনেকের বাগানের বাকি গাছগুলোতে মুকুল আসবে আসবে করছে। তবে এখনো যদি আপনার আম গাছে  মুকুল না এসে থাকে, তাহলে টেনশনের কোন কারন নেই, ছোট্ট একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ ভালো কাজে আসবে । 

 জাতগত পার্থক্যের কারনে প্রত্যেকটা গাছে মুকুল আসার ধরন ও কিন্তু একটু আলাদা হয়ে থাকে । যেমন –


একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু আম গাছের পত্র মুকুলের কোল থেকে মুকুলটা হয় , যার কোন পাতা হয় না, পুরোটাই মুকুল নিয়ে বের হয়।

কিছু গাছে আবার আগে পাতা বের হয় , পাতা বের হওয়ার পর মুকুল আসতে শুরু করে।

কিছু কিছু গাছের ক্ষেত্রে আবার প্রচুর নতুন পাতা বের হয় , সাথে প্রত্যেকটা পাতার কোল থেকে মুকুল আসতে দেখা যায় ৷ মাঝে মাঝে কিছু গাছে মুকুলের মধ্যে খুব ছোট ছোট পাতা বের হয়। মুকুল যত বড় হয় ততই সেই পাতাগুলো শুকিয়ে ঝরে পড়ে যায় ।


সুতরাং যাদের গাছে এখন নতুন পাতা বের হচ্ছে, তাদের গাছ এখন গ্রোথ নিচ্ছে। নতুন গ্রোথ নিচ্ছে মানেই যে সেই গাছে মুকুল আসবে না তা কিন্তু নয়। আবার এই নয় যে, নতুন পাতা বেরোলে সব গাছে মুকুল আসবে। সেটা নির্ভর করে গাছের বয়স এবং গাছের গঠনের উপর ভিত্তি করে ।


তবে যাদের আমগাছ গুলো ফল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিণত , তারপর ও নতুন পাতা বের হচ্ছে মুকুল না এসে , তাদেরও চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মাঝে মাঝে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসে এবং মুকুল ও আগে পরে বের হয় । আপনার মুকুল না আসা আম গাছের বয়স যদি ৩ বছরের বেশি হয়ে থাকে সাথে গাছও যদি যথেষ্ট হেলদি থেকে থাকে , তাহলে সেই গাছে এবার ফল নেওয়া জন্য নিচের দেখানো নিয়মে চেষ্টা করতে পারেন সামান্য কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে ।


পরিচর্যা গুলো হলো :


▪️প্রথমেই মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ গাছেই যদি নতুন ডাল বের হয়ে গিয়ে থাকলে, তাহলে গাছকে ফোর্স না করে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকলে ভালো হবে। 


▪️যে গাছ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ডালে নতুন পাতা সবে বের হতে শুরু করেছে এবং মুকুল এর দেখা নেই, সেই গাছের নতুন ডালের গোড়া থেকে ভাল করে কেটে দিন। কাটা জায়গায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করে দিন ।


▪️বিগত ১৫ দিনের মধ্যে যদি কোনো PGR( plant growth regulator) স্প্রে না করে থাকেন, তাহলে এখন মিরাকুলান বা ফ্লোরা ১-২ বার স্প্রে করে দিন। মিরাকুলান হলে প্রতি লিটার জলে দুই এম এল এবং ফ্লোরা হলে প্রতি লিটার জলে  হাফ এম এল । তবে দুটোর যেকোনো একটি দু’বার ব্যাবহার করা যাবে না, বরং দুটো দুইবার পাল্টে পাল্টে স্প্রে করুন।


▪️ PGR স্প্রে করার দুইদিন পর হাফ চা চামচ পটাশিয়াম সালফেট এবং দুই গ্রাম বোরন মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে গোটা গাছে। সেইসঙ্গে এই মিশ্রণ মাটিতেও প্রয়োগ করতে হবে।


PGR টা আবার কি? 


 Pgr হল (Plant. Growth Regulator) অর্থাৎ সোজা বাংলায় বলতে গেলে গাছের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক। সহজ ভাষায় যাকে গাছের ভিটামিনও বলা যেতে পারে। যা অত্যন্ত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ভিদ বৃদ্ধি উদ্দীপক যা গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। 


আপাতত এইটুকু পরিচর্যায় যথেষ্ঠ, যার ফলে একটু দেরীতে হলেও আপনার গাছে মুকুল চলে আসবে ইনশাআল্লাহ ।


পরিশেষে, যদি মনে করেন লেখা গুলো বাগানীদের উপকারে আসবে, তাহলে ফেসবুকের পোস্ট টি শেয়ার করুন।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৭-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৭-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ড সফর বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন - সংবাদ ব্রিফিং-এ বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আইন উপদেষ্টার।


ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে বিধি-বিধান ঠিক করে অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে - জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চিকিৎসার জন্য চীন বাংলাদেশীদের জন্য বিকল্প হতে পারে - সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার।


জানুয়ারির মধ্যেই সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বই পাবে - জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।


ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে স্থানান্তরে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলো জর্ডান ও মিশর।


মিরপুরে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর জয় - আজ দুটি খেলা।

সফল হওয়ার উপায় এই ২১ "না" কে প্রাধান্য দিন

 ১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।


২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথাগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।


৩. কারো কাছে নিজের সিক্রেট শেয়ার করবেন না বা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।


৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।


৫. পর্ণে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।


৫. পরচর্চা করবেন না। যে ব্যক্তি আপনার সামনে অন্যের নিন্দা করে, সে নিশ্চিতভাবে অন্যের সামনে আপনার নিন্দা করে।


৬. গাধার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। তর্কের শুরুতেই গাধা আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে, তারপর আপনাকে সবার সামনে অপদস্থ করবে।


৭. পরে করব ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি তা করেন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা কাজটি আপনি আর কখনোই করতে পারবেন না।


৮. 'না' বলতে ভয় পাবেন না।


৯. স্ত্রীর কারণে বাবা-মাকে বা বাবা মায়ের কারণে স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না।


১০. সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব হারাবেন।


১১. ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই জীবনে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে ভয় পাবেন না।


১২. স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। গুগলে জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না।


১৩. মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবন পস্তাতে পারেন।


১৩. রিলেশনসিপে অসুখী হলে সেটা আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করে তা জীবন থেকে দ্রুত মুছে ফেলুন।


১৪. আপনি কখনোই জানেন না যে আপনি স্বপ্নপূরণের ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই, কখনোই লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য লাভের কাছাকাছি গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।


১৫. অকারণে শত্রু বাড়াবেন না।


১৬. কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না।


১৭. বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। তার সাথে আপনার বিয়ে হবেই বা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করবে না এটা আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না।


১৮. যে আপনার কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়, তাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। সে ঠকবে, ভুল করবে, ধাক্কা খাবে; তারপর একসময় ঠিকই আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।


১৯. নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন না। যেখানে আপনার সম্মান নেই সেখান থেকে এখনই নিজেকে গুটিয়ে নিন।


২০. টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে প্রিয়জনদের বঞ্চিত করবেন না।


২১. যেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আফসোস করবেন না।

ঈশপের গল্প’" গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে  আছে।  কিন্তু কে ছিলেন এই Aesop? কী        করে এই গল্পগুলো তৈরি হয়েছিল? 

 "ঈশপের গল্প’" গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে 

আছে।  কিন্তু কে ছিলেন এই Aesop? কী 

      করে এই গল্পগুলো তৈরি হয়েছিল? 

      এই প্রশ্নগুলো আমাদের অনেকের 

      মধ্যে ঘোরাফেরা করে বহুদিন ধরে। 


আর অদ্ভুত কথা, যার তৈরি করা গল্পগুলো কয়েক হাজার বছর ধরে জীবিত রয়েছে, তার স্রষ্টার সম্পর্কে খুবই কম জানা যায়। অনেকটাই ধোঁয়াশায় ভরা। মনে করা হয়, খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৬২০ থেকে ৫৬০-এর মধ্যে বর্তমান ছিলেন ঈশপ। বর্তমান তুর্কির কাছাকাছি কোনো একটা অঞ্চলে জন্মেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে যখন ঈশপের জনপ্রিয়তা কিংবদন্তির আকার নিল, তখন অন্যান্য জায়গা থেকেও একই দাবি জানানো হল। কখনও আফ্রিকা, কখনও আবার জাপান, ইংল্যান্ড— সবাই চায় তাঁর জন্মস্থানের ভাগীদার হতে। তবে আদতে সেটি ঠিক কোথায়, তা নিয়ে অবশ্য আজও গবেষণা জারি আছে। 


হেরোডোটাস, অ্যারিস্টটলের মতো প্রাচীন দার্শনিক ও ঐতিহাসিকদের লেখা থেকে জানা যায়, ঈশপ আদতে ক্রীতদাস ছিলেন। আর সেই সময় ক্রীতদাসদের জীবন ঠিক কেমন ছিল, সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে রাখা দরকার, তখনও গ্রিস আর রোমের সভ্যতা অস্ত যায়নি। জ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস চর্চার মাঝে এমন অদ্ভুত রীতিও জারি ছিল। আর তারই দাস ছিলেন ঈশপ। কিন্তু কোথায় বলে না, জীবন সবাইকেই কিছু না কিছু সুযোগ দেয়। আর সঙ্গে দেয় প্রতিভাও। দ্বিতীয় বিষয়টি ঈশপের মধ্যে ভরপুর ছিল। তাঁর সহজাত বুদ্ধি, হাস্যরস, বিচক্ষণতার ঝলক প্রায়শই দেখা যেত। প্রকৃতির মাঝে বসে সেখান থেকেই গল্পের রসদ খুঁজে পেতেন। আর ছিল মানুষ। এই সবকিছু মিলেই তৈরি হত জাদু। তৈরি হত ঈশপের গল্প। 


কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ না দিলে যা হয়। ক্রীতদাসের জীবন থেকে এত সহজে তো মুক্তি মিলছে না। এদিকে দেখতেও খুব একটা ভালো নন তিনি। তাঁর চেহারা দেখে আর গলার আওয়াজ শুনে বাকি লোকেরা ঠাট্টা-তামাশাও করত। সেইসঙ্গে ছিল মালিকরা। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, নিজের জীবনে মোট দুজনের দাসত্ব করেছিলেন ঈশপ। প্রথম মনিবের কাছ থেকে অবহেলাই জুটেছে। কিন্তু দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা তেমনটা নয়। ঈশপের বুদ্ধি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তাঁর দ্বিতীয় মনিব। এবং তারপরই তিনি দাসত্ব থেকে মুক্তি দিলেন তাঁকে। মুক্ত হলেন ঈশপ, একটা অন্য জগত যেন খুলে গেল তাঁর সামনে… 


নিজের জীবনকালে নানা জনের কাছে গল্প বলে বেরিয়েছেন ঈশপ। তাঁর বলার ধরণ এবং গল্পের জন্য অচিরেই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ল নাম। সাধারণ সব গল্প, কিন্তু সেই সহজতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে জীবনের মানে। গ্রিস, রোমের রাস্তায় রাস্তায় ঈশপের গল্প ছড়িয়ে পড়ল। শোনা যায়, বন্দি অবস্থায় কারাগারের ভেতর বসে সক্রেটিস নাকি ঈশপের কিছু গল্পই লিখে রাখার কাজ করেছিলেন। কিন্তু ঈশপের জীবনকালে কখনও লিপিবদ্ধ করা হয়নি এই কাহিনিগুলো। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে ডেমেত্রিয়াস প্রথমবার ঈশপের গল্পগুলিকে একসঙ্গে করে সংকলন বের করেন। তখনই প্রথমবার লিখিত আকারে পাওয়া গেল এই কাহিনি। বাকিটা তো এক কিংবদন্তির যাত্রা। আমাদের জীবনের সঙ্গে যা জড়িয়ে গেছে ওতপ্রোতভাবে।                                                                                                              সুত্র… ডিড ইউ নো?



টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং আসলেই জিনিয়াস,,,,,,, ফাপরবাজ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টিকটকে কন্টেন্ট বানিয়ে রাতারাতি অনেকেই বনে গেছেন জিরো থেকে হিরো, পেয়েছেন সেলিব্রিটি তকমা। তবে টিকটকের আসল হিরোর গল্পটা সবসময়ই রয়ে গেছে অজানা। মাত্র ৪০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানির সিইও বনে যাওয়া সেই জিনিয়াসের নাম ঝ্যাং ইমিং।


১৯৮৩ সালের পহেলা এপ্রিল চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে জন্ম নেয় বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ঝ্যাং ইমিং। তার বাবা-মা দু'জনেই ছিল সিভিল সার্ভেন্ট। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে বিজ্ঞানের নানা চমকপ্রদ আবিস্কারের প্রতি তার আগ্রহ গড়ে ওঠে। সেই আগ্রহ থেকেই ২০০১ সালে নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন ঝ্যাং।


ছোটবেলা থেকেই টেকনোলজির প্রতি ঝোক থাকায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই ঝ্যাং তার ব্যাচমেটদের চেয়ে অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। ফলে প্রফেসর ও স্টুডেন্টের মাঝে তার আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল। এই জনপ্রিয়তার কারণে ইউনিভার্সিটি লাইফেই ঝ্যাং তার জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পান।


২০০৫ সালে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিটের এক বছর পর ঝ্যাং ‘কুসুন’ নামের একটি ট্রাভেল কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। তিন বছর পর ২০০৮ সালে ঝ্যাং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে জয়েন করেন। তবে সেখানকার ধরাবাঁধা অফিস-লাইফে মন না বসায়, তিনি মাইক্রোসফট ছেড়ে একটি মাইক্রো-বগ্লিং কোম্পানিতে যোগ দেন। তবে মার্কেট ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এক বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ঝ্যাং জবলেস হয়ে পড়েন।


মাইক্রোসফটে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছেড়ে এমন অবস্থায় এসে অন্য কেউ যেখানে হাল ছেড়ে দিত, ঝ্যাং সেখানে নিজেই একটি বিজনেস খুলে বসেন। শুরু হয় স্বপ্নবাজ ঝ্যাং ইমিংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তিনি 99fang নামে একটি রিয়েল স্টেট সার্চিং সাইট খুলেন, যেটি ছয় মাসের মধ্যেই দেড় মিলিয়নের বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করে।


তবে নিজের পরিচয় বানানোর জন্য যে লোকটি মাইক্রোসফটের জব ছেড়েছিলেন, এটুকুতেই কি তিনি থেমে থাকতে পারেন? মোটেও না। ঝ্যাং আবারও নতুনভাবে চিন্তা শুরু করেন। ২০১২ সালে 99fang এর সিইও পোস্ট ছেড়ে তিনি নতুন এক কোম্পানি খুলেন, যেটির নাম দেন বাইটড্যান্স।


প্রথমদিকে ফান্ডের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানের দারস্থ হয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর একটি প্রতিষ্ঠান ঝ্যাংয়ের উদ্যোগে সাড়া দেয়। ৪০ জন কর্মী নিয়ে একটি ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া করে শুরু হয় ঝ্যাং ইমিংয়ের স্বপ্নজয়ের যাত্রা। ২০১২ সালে নিজেদের প্রথম অ্যাপ ‘নেহান ডুয়ানজি’ লঞ্চ করে বাইটড্যান্স। এটি ছিল মূলত একটি মিমস ও জোকসের অ্যাপ।


অ্যাপটি অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন্ডে চলে আসে। অ্যাপটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, কিছু ত্রুটির কারণে চীনা সরকার অ্যাপটি ব্যান করে দিলে, সাত শতাধিক ব্যবহারকারী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। বাইটড্যান্সের উদ্যোগেই ২০১৫ সালে লঞ্চ করা হয় ‘ডোউইন’ যেটি বর্তমানে টিকটক নামে সবার কাছে পরিচিত।


টিকটক যখন লঞ্চ করা হয় তখন মার্কেটে এর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিল আরেক চীনা অ্যাপ ‘মিউজিক.লি’। এক বছরের মধ্যে ঝ্যাং ইমিংয়ের বাইটড্যান্স ‘মিউজিক.লি’ অ্যাপটি ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয় এবং এর সব সাবস্ক্রাইবকে টিকটকে এড করে নেয়। তারপর চীনের সীমানা পেরিয়ে টিকটক বিশ্বের ১৫৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।


২০২১ সালে ঝ্যাং বাইটড্যান্স তথা টিকটকের সিইও পদ ছাড়লে কোম্পানির ৫০ শতাংশ মালিকানা তার দখলে রয়েছে।২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, ৪৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে চীনের ধনী ব্যক্তিদের শীর্ষে রয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই লিভিং জিনিয়াস।


বই পড়ার সুন্দর দুটা পদ্ধতি আছে,,,,,, নন্দিত আরাধনা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বই পড়ার সুন্দর দুটা পদ্ধতি আছে।  প্রথমটি হল সাথে একটা নোট খাতা রাখা এবং দ্বিতীয়টি হল শুধু মাত্র রিডিং না পড়ে  প্রত্যেকটি লাইনে লাইনে লেখকের সাথে যুক্তি তর্ক করে যাবেন। 


প্রথম পদ্ধতিটা আমি শিখেছি লেখক আহমদ ছফা'র কাছ থেকে। ছাত্রাবস্থায় তিনি  অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে রোজ একটি করে বই নিয়ে পুরো বইএর সারমর্ম একটা নোট খাতায় নিজের মত করে লিখে রাখতেন। 


এই নোট করে রাখার প্র্যাকটিসটা হুমায়ূন আহমেদের ভেতরেও পেয়েছি যদিও তার  স্মৃতি শক্তি অনেক প্রখর ছিল।  জীবনের শেষের দিকে এসে  স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শৈশবের সাত বছর বয়সে লুকিয়ে প্রথম বই পড়ার কথা লিখতে গিয়ে তিনি সেই বইএর ভেতরের গল্পটাও লিখে ফেলেছেন ! 


বই পড়ার দ্বিতীয় পদ্ধতিটা আমি শিখেছি, ভারতীয় যুক্তিবাদী লেখক প্রবীর ঘোষের কাছ থেকে। তিনি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, আপনি যদি লেখক যাই লিখেন কোন রকমের চিন্তা ভাবনা না করে সবই বিশ্বাস করতে শুরু করেন তাহলে তার দশটা সত্য কথার সাথে দু একটা মিথ্যা কথাকেও বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। এই দুটা মিথ্যা কথা আপনার জীবনে অনেক ভয়ংকর হবে ! কেননা দশটা সত্য কথার সাথে একটা মিত্থা কথা মিশে গেলে সেটাকে আলাদা করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।  


খাতায় নোট করবার ব্যাপারে আমি বেশ কিপটে। খুব সামান্যই লিখে রাখি।  কিন্তু বিশ্বাস করুন, যখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি এই নোট খাতাটা খুলে পড়তে শুরু করি এবং যেখান থেকে আমি দৌড়ানোটা থামিয়েছিলাম সেখান থেকেই আবার দৌড়াতে শুরু করি।  


এ পি জে আবদুল কালামের ' টার্নিং পয়েন্টস' পুরো গ্রন্থটা পড়ে আমি শুধু মাত্র সেখান থেকে একটা লাইন আমার নোট খাতায় টুকে রেখেছি। আমি জানি যেদিন আমি মেঝেতে চিত হয়ে মাথার নিচে হাত দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে থাকব সেদিন এই লাইনটাই আমাকে মায়ের মত পিঠ চাপড়ে ভরসা দেবে। লাইনটা হল-'' আমি পেশা হিসেবে গবেষণা এবং শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছি কেননা আমি পুনরাবৃত্তি ভালোবাসি'' 


কিছু কিছু শব্দ আছে নিঃশব্দের মত। আমার কাছে পুনরাবৃত্তি শব্দটাকে সেরকম মনে হয়েছে। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সফল হইনা কেননা আমরা পুনরাবৃত্তি পছন্দ করি না। একটা কাজে বাঁধা পেলে সেটা বার বার পুনরাবৃত্তি করার ধৈর্যটা আমাদের থাকে না। 


আইরিশ লেখক জর্জ বার্নার্ডশ তার একটা নাটকের সংলাপে লিখেছেন '' আমি যেদিন থেকে বুঝেছি কোন একটা কাজ দশবার করার পর আমি একবার সফল হই সেদিন থেকে আমি প্রত্যেকটি কাজ দশবার করে করা শুরু করেছি''


এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ (জীবনানন্দ দাশের সহধর্মিণী লাবণ্য দেবীকে নিয়ে লিখেছেন লেখিকা কবিতা সিংহ) 

 এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ (জীবনানন্দ দাশের সহধর্মিণী লাবণ্য দেবীকে নিয়ে লিখেছেন লেখিকা কবিতা সিংহ) 


লম্বা ছিপছিপে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ একটি মেয়ে। মুখের গড়ন লম্বা ধাঁচের। উজ্জ্বল চোখ, তীক্ষ্ণ নাক, পাতলা ঠোঁট। বয়স সতেরো আঠারো। ঢাকায় হস্টেলে থেকে পড়ত।

নাম লাবণ্য। ছোটবেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছে। মানুষ হয়েছে জ্যাঠামশাই-এর কাছে।


তখনকার কালের ঢাকার কলেজের মেয়ে যেমন হত, ঠিক তেমন। বিপ্লবী দলের সঙ্গে গোপন সংযোগ, শরীরচর্চা, আবার নাচ গান অভিনয়ে ঝোঁক। মা-বাপ নেই বলে খুব স্পর্শকাতর—সেই লাবণ্যকে হঠাৎ একদিন জ্যাঠামশাই বাড়িতে ডেকে নিয়ে এলেন।

হস্টেল থেকে বাড়িতে আসতে এক মাঠ কাদা ভাঙতে হয়। পরনে নকশাপাড় তাঁতের সাধারণ শাড়ি। আসতেই জ্যাঠামশাই বললেন, বাড়িতে অতিথি এসেছেন চা জলখাবার এনে দাও। সেই কাদামাখানো শাড়ি পরেই লাবণ্য লুচি মিষ্টি চা নিয়ে এলেন বাইরের

ঘরে। অতিথির সংখ্যা মাত্র একজন। শ্যামবর্ণ, অতিসাধারণ ধুতি-পাঞ্জাবি পরা নতমুখী

একটি আটাশ-ঊনত্রিশ বছরের যুবক।

জ্যাঠামশাই পরিচয় করিয়ে দিলেন।


—ইনি দিল্লি থেকে এসেছেন। ওখানকার রামযশ কলেজে পড়ান। ইংরেজির অধ্যাপক।

আর এ আমার ভাইঝি লাবণ্য।


জীবনানন্দ দাশ চোখ তুলে নমস্কার করলেন।


সেদিন দুপুরে জ্যাঠামশাই লাবণ্যকে বললেন দিল্লি থেকে যে ছেলেটি এসেছিলেন,

তিনি তাঁকে দেখতেই এসেছিলেন। এবং যাবার সময় মনোনীত করে গেছেন। লাবণ্যের

কিন্তু তখন বিয়ে করতে একটুও ইচ্ছে নেই। সে সময়ে কারই বা থাকে। বিশেষ করে

সবে তখন কলেজে ঢুকেছে, সবে মুক্তির স্বাদ, সবে রাজনীতির রহস্যময় আস্বাদ—তখন

সব এত নতুন এত বৈচিত্র্যময়...জ্যাঠামশাই লাবণ্যকে জীবনের বাস্তব দিকগুলির কথাও

ভাবতে বললেন সেদিন। বাবা নেই, মা নেই। কেবল তিনিই সম্বল। আর জীবনানন্দ

কথা দিয়েছিলেন বিয়ের পরও লাবণ্য পড়বেন। তাছাড়া যখন জ্যাঠামশাই বলছিলেন—

‘মেয়েটা মা-বাপ মরা, একটু জেদি একটু আদুরে, ওকে তুমি ভালো করে দেখো'—

তখন ছেলেটির শান্তচোখে একটা আশ্বাসের ছায়া তিনি স্পষ্ট দেখেছেন। বিশেষ করে ছেলেটির শান্ত প্রকৃতিটিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল।


লাবণ্য মত দিলেন।


সে বছরটা ১৯৩০ সাল।


সে সময়টা বৈশাখ।


সেদিন সন্ধ্যায় তাড়াহুড়ো করে বরিশালে বাড়ি, দিল্লির ছেলেটি ঢাকার এক শাড়ির

দোকানে ঢুকে জীবনে প্রথম একটি শাড়ি কিনল। আশীর্বাদের শাড়ি। সন্ধ্যায় আশীর্বাদ

হল। লাবণ্য হিন্দু কুলীন বাড়ির মেয়ে। মানুষ গিরিডিতে। তাঁর বিশেষ হিদুয়ানির সংস্কার

ছিল না। জ্যাঠামশাই ব্রাহ্মা ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের মর্যাদা দিতেন বলেই তিনি লাবণ্যকে

জিজ্ঞেস করে নিলেন, বিয়ে কোন মতে হবে। ব্রাহ্ম বিবাহে লাবণ্যের আপত্তি হয় নি।


বিয়ের সময়ে জীবনানন্দর সঙ্গে এসেছিলেন বুদ্ধদেব বসু আর অজিত দত্ত। বিয়ের

অনেক রমণীয় স্মৃতির সঙ্গে স্বামীর একটি বন্ধুর স্মৃতিও কেন যেন গেঁথে গিয়েছিল তাঁর

মনে। বুদ্ধদেব ছোটখাট বুদ্ধিদীপ্ত উজ্জ্বল একটি যুবা তখন। স্বামী পরিচয় করিয়ে দিয়ে

বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রত্ন, পণ্ডিত ব্যক্তি। কিন্তু লাবণ্যর চোখে সুন্দর লেগেছিল

তাঁর প্রাণচাঞ্চল্য, আকর্ষণীয় কথা বলার ভঙ্গি, সহজ সাবলীল আচরণ। লাবণ্য দাশ

বললেন,—“সাধারণত ওঁর বন্ধুদের সামনে খুব একটা বেরোতাম না। কিন্তু বিয়ের দিনটি

থেকেই বুদ্ধদেববাবুকে আমি আমার স্বামীর বন্ধু, আমাদের বড় সুহৃদ বলে জেনেছি।

তিনি এলেই তাঁর কাছে এসে বসেছি। তাঁর পাণ্ডিত্য, কবিপ্রতিভা নামযশ কিছুই আমাদের

আর তাঁর মধ্যে কোনও আড়াল সৃষ্টি করেনি। বিয়ের দিনে দেখা সেই বুদ্ধিদীপ্ত মানুষটি—

আমার তরুণ স্বামীর তরুণ সঙ্গীটি আমার কাছে ওইভাবেই মুদ্রিত হয়ে গেছেন।”


বিয়ের পরে বরিশালে গেলেন বরবধূ। মস্ত সংসার। অনেকখানি ছড়ানো মেলা জায়গা

নিয়ে বড় বড় ঘর। কিন্তু মাটির ভিত। খড়ের আস্তর। শহর থেকে গিয়ে লাবণ্যর খানিকটা

অবাক লেগেছিল। ঢুকতেই ইতস্তত করছিলেন ঘরে। পরে সেই বড় বড় ঠান্ডা ঠান্ডা ঘর, আম, জাম, বট অশথের হিজলের ছড়ানো বড় বড় বাগান পুকুরের স্নিগ্ধতা লাবণ্য অনুভব করেছিলেন।

পঁচাত্তর হাজার বছরের লুকানো ইতিহাস !! বৃত্তের বাহিরে ফেইসবুক থেকে নেওয়া!

 পঁচাত্তর হাজার বছরের লুকানো ইতিহাস !!!


মেক্সিকোর  পুরনো  মায়া সভ্যতার সমাধিফলকে অদ্ভুত এক চিত্র পাওয়া গেছে। 

একজন মানুষ  কিছু চালানোর চেষ্টা করেছেন !!


 মানুষটি একটি  কম্পিউটারের কমান্ড প্যানেলের দিকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন বলে মনে হয়, আর বাহনের পিছনের অংশ থেকে অগ্নিশিখার মতো কিছু নির্গত হচ্ছে।  


ছবিতে আরও বিস্ময়কর , একটি  শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার জন্য মাস্ক , গ্রেনেডের এর মতো বাহ্যিক কাঠামো সহ আধুনিক মহাকাশযান ।


সুইসজারল‍্যন্ড এর লেখক  এরিচ ভন ডেনিকেন তিনি তার ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত বই “মেমোরিজ অফ দ্য ফিউচার”।

তার মতে, প্রাচীন মানুষের কাছে  একসময় উচ্চ প্রযুক্তি ছিল, যা পরবর্তীতে হারিয়ে গেছে।  


তাহলে প্রশ্ন হলো—প্রাচীনকালে কি মানুষ উড়তে সক্ষম ছিল?  


আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: হোমো রিলোডের  “৭৫,০০০ বছরের গোপন ইতিহাস”

তিনি ছিলেন বিলাসী জমিদার। বড় ভাই ও বাবার মৃত্যুর পর অল্প বয়সেই ৬ লাখ বিঘা জমির বিশাল এলাকার জমিদারির দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তাঁর উপর

 তিনি ছিলেন বিলাসী জমিদার। বড় ভাই ও বাবার মৃত্যুর পর অল্প বয়সেই ৬ লাখ বিঘা জমির বিশাল এলাকার জমিদারির দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তাঁর উপর। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে এত ভূসম্পত্তির মালিক হয়ে চরম ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে পড়েন তিনি। নারীর প্রতি ছিল প্রবল টান। নিজেই লিখেন, “সর্বলোকে বলে হাছন রাজা লম্পটিয়া”।   একদিন চোখে পড়ল দিলারাম নামের সুন্দরী এক হিন্দু যুবতী। রূপে মুগ্ধ হয়ে বিলিয়ে দিলেন নিজের গলার সোনার চেইন। সুদর্শন জমিদারের অমূল্য উপহার পেয়ে দিলারামও তাঁকে হৃদয় বেদিতে পূজার আসনে বসালেন। প্রেমে মজে হাছন রাজা লিখলেন, 


'ধর দিলারাম, ধর দিলারাম, ধর দিলারাম, ধর। 

হাছন রাজারে বান্ধিয়া রাখ, দিলারাম তোর ঘর!'


কিন্তু পারিবারিক আভিজাত্য ও বংশগৌরবের কথা ভেবে যুবক জমিদারের মা দিলারামকে গ্রামছাড়া করলেন। 

মায়ের উপর রাগ করে হাছন রাজা নারী আসক্তি আরও বাড়িয়ে দেন। বাইজি আর আকণ্ঠ শরাবে ডুবে গেলেন। প্রতি বর্ষায় নৌকার বহর নিয়ে চলে যেতেন হাওরে। থাকতো নাচ-গানের ব্যবস্থা। এরপর লখনৌ থেকে আসা সুন্দরী বাইজি পিয়ারির প্রেমে পড়েন। পিয়ারির রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেন, 

'নেশা লাগিল রে। বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে। হাছন রাজা পিয়ারির প্রেমে মজিলোরে...'


আর এভাবেই প্রজাদের কাছ থেকে দূরে সরে যান হাছন। পরিচিত হয়ে ওঠেন অ/ত্যাচারী নি/ষ্ঠুর জমিদার হিসেবে।

মা দেখলেন, ছেলে যেভাবে এগোচ্ছে, পতন অনিবার্য। ছেলেকে বিকৃত পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে একদিন বাইজির ছদ্মবেশে মা নিজেই ছেলের জলসা ঘরে গিয়ে হাজির হলেন। মায়ের পায়ে পড়লেন জমিদার হাছন। লজ্জায় ও মনোকষ্টে নারী ও নেশার পথ থেকে অনেকটাই ফিরে আসেন।এরপর আধ্যাত্নিক এক স্বপ্ন-দর্শন জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। শুধরাতে শুরু করলেন ভুল-ত্রুটি। সাধারণ হয়ে ওঠে পোশাক-আশাক ও চলাফেরা। প্রজাদের খোঁজ খবর নিতে থাকেন। মগ্ন হলেন সৃষ্টিকর্তার প্রেমে। রচনা করেন একের পর এক কালোত্তীর্ণ গানঃ 


‘লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নায় আমার’, 'কানাই তুমি খেল খেলাও কেনে', 'মাটিরো পিঞ্জিরার মাঝে বন্ধী হইয়া রে', 'বাউলা কে বানাইলো রে', 'আগুন লাগাইয়া দিলো কনে', 'সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বাইনালে' সহ অসংখ্যা বিখ্যাত গান।  


ছেড়ে দেন জীব হ/ত্যাও। গানে প্রকাশ পেতে থাকে অতীতের ভুলগুলো। লিখেন, 'একদিন তোর হইবোরে মরণ'!

তাঁকে বৈরাগ্য পেয়ে বসে। বাউল হয়ে উদাসীন হয়ে যান বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে। সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে পুরোপুরি দরবেশ-জীবন যাপন শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন হাছন এম. ই. হাই স্কুল, অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আখড়া। 

হাছনকে বাউলা কে বানিয়েছে, সে কথা সরাসরি লিখে না গেলেও অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ির কথা বলেছেন তিনি। আসলে হাছন রাজা ছিলেন অতি সুদর্শন। লম্বা দেহ, সূচালো খাড়া নাক, জ্যোতির্ময় পিঙ্গলা চোখ এবং ঘন চুলের কারণে অনেকের মধ্যেই তাকে আলাদা করে চোখে পড়তো। তাঁর এই অপূর্ব দৈহিক গঠন চরম আকর্ষিত করতে নারীদের।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত (মহররম) কবিতা

 "কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিখ্যাত (মহররম) কবিতা 

"কবিতাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে কারবালার সমস্ত নির্মম ইতিহাস চোখের সামনে ভেসে উঠে।


"মহররম"

-- কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

--------------------------------------------

নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া - আম্মা লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া, কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে? সে কাঁদনে আসু আনে সিমারের ও ছোরাতে।

রুদ্র মাতম ওঠে দুনিয়া দামেস্কে - জয়নালে পরালো এ খুনিয়ারা বেশ কে? হায় হায় হোসাইন ওঠে রোল ঝঞ্ঝায়, তলোয়ার কেঁপে ওঠে এজিদের পাঞ্জায়

উন্ মাদ দুল দুল ছুটে ফেরে মদিনায় আলীজাদা হোসেনের দেখা হেথা যদি পায়।


মা ফাতিমা আসমানে কাঁদি খুলি কেশপাশ বেটাদের লাশ নিয়ে বধূদের শ্বেতবাস রণে যায় কাসিম ঐ দু'ঘড়ির নওশা মেহেদির রঙটুকু মুছে গেল সহসা !

‘হায় হায়’ কাঁদে বায় পূরবী ও দখিনা-‘কঙ্কণ পঁইচি খুলে ফেল সকীনা!’

কাঁদে কে রে কোলে ক’রে কাসিমের কাটা-শির ?

খান্ খান্ হয়ে ক্ষরে বুক-ফাটা নীর ! কেঁদে গেছে থামি’ হেথা মৃত্যু ও রুদ্র,বিশ্বের ব্যথা যেন বালিকা এ ক্ষুদ্র !


গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতিমা,“আম্মা গো পানি দাও ফেটে গেল ছাতি মা!” নিয়ে তৃষা সাহারার,দুনিয়ার হাহাকার, কারবালা-প্রান্তরে কাঁদে বাছা আহা কার ! দুই হাত কাটা তবু শের-নর আব্বাস,

পানি আনে মুখে, হাঁকে দুশ মনও ‘সাব্বাস' !

দ্রিম দ্রিম বাজে ঘন দুন্দুভি দামামা, হাঁকে বীর “শির দেগা,নেহি দেগা আমামা !


 কলিজা কাবাব সম ভূনে মরু রোদ্দুর খাঁ খাঁ করে কারবালা নাই পানি খজ্জুর মার স্তনে দুধ নাই বাচ্চারা তড়পায় জিভ চুষে কচি জান থাকে কিরে ধড়টায়

দাও দাও জ্বলে শিরে কারবালা ভাস্কর কাঁদে বানু পানি দেও মরে যাদু আসগর পেলনাতো পানি শিশু পেয়ে গেল কাঁচা খুন ডাকে মাতা পানি দেব ফিরে আয় বাছা শোন - পুত্র হীনা আর বিধবার কাঁদনে ছিড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাধনে।


তাম্বুতে সজ্জায় কাঁদে একা জয়নাল দাদা তেরি ঘর কিয়া বরবাদ পয়মাল ‘হাইদরী-হাঁক-হাঁকি দুলদুল-আসওয়ার শম শের চমকায় দুষমনে ত্রাস বার।

খ’সে পড়ে হাত হ’তে শত্রুর তরবার, ভাসে চোখে কিয়ামতে আল্লার দরবার! নিঃশেষ দুষমন ; ও কে রণ-শ্রান্ত ফোরাতের নীরে নেমে মুছে আঁখি-প্রান্ত ?

কোথা বাবা আসগর? শোকে বুক-ঝাঁঝরা পানি দেখে হোসেনের ফেটে যায় পাঁজরা !

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

গল্প :- চাহিদা  পর্ব :- ০১ Kabbo Ahammad ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ২৬ বছর বয়সী লিজা হোটেল রুমে বসে অপেক্ষা করছে তার দেবর ও তার পার্টনার শাওনের জন্য। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর আসলো শাওন।


--"কিরে তোর আসতে এতোক্ষন লাগে?(লিজা)


--"সরি ভাবি, বাইকের তেল শেষ হয়ে গেছিলো।(শাওন)


--"ওওও………

আচ্ছা নে তারাতারি শুরু কর। আজ বেশি সময় নাই। তোর ভাই বাসায় এসে না দেখলে সন্দেহ করবে।(লিজা)


--"আচ্ছা ঠিক আছে (শাওন)


--"শুন কাপর সব খুলবি না, এমনি কর। (লিজা)


--"ওকে ভাবি! (শাওন) 


--"ওকে, আচ্ছা এগুলো বলা বাদ দিয়ে তারাতারি শুরু কর। (লিজা)


কথাটা বলেই বিছানায় শুয়ে পরলো লিজা। আর সুতে সুতে লিজা আর বললো,


--"সিমা কোথায়?


--"বাইরে বসে আছে। 


অতঃপর লিজা এবং শাওন তাদের কাজ শুরু করলো। চলে গেলো পাপের দুনিয়ায়। নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে। প্রায় ১৫ মিনিট পর...


--"ঐ তোর হয়েছে?


--"হুমমম ভাবি।


--"আচ্ছা সর, ওঠ আমার ওপর থেকে।


--"আর একটু থাকো না প্লিজ ভাবি?


--"তোকে সুখ দিতে গিয়ে আমি আমার সংসার ভাঙ্গতে পারব না। সর। (একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো শাওনকে লিজা) তারপর নিজের কাপড় ঠিক করতে করতে লিজা বললো...


--"আমি গেলাম, আর শুন বার বার কল করবি না বলে দিলাম। তোর ভাইয়া মাঝে মাঝে ফোন হাতে নেয়। যদি ধরা পরি তাহলে আমাকে আর পাবি না।


--"না না ঠিক আছে ভাবি। আমি তোমাকে হারাতে পারবো না।


এই বলে লিজা নিজের বোরখা পরে রুম থেকে বেড়িয়ে সিমাকে ডেকে নিয়ে হোটেল ত্যাগ করে। লিজা বাইরে এসে একটা সিনজি ধরে বাসার দিকে রওনা হয় সিমাকে সাথে নিয়ে। 


আসলে সিমা হলো লিজার বাসার কাজের মেয়ে। যাকে লিজা নিজের বোনের মতো দেখে আর বিশ্বাস ও করে তাই ওকে সাথে নিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো পর পুরুষের সাথে নিজের চাহিদা মেটায় লিজা।


(এই সিমার আরও একটা চরিত্র আছে যেটা এই গল্প পরে আপনারা জানতে পারবেন)


এদিকে শাওন এখনো হোটেল রুমেই বসে আছে।

যেখানে এতোক্ষন নিজের চাহিদা মিটালো দুজনে।

শাওন বসে বসে ভাবছে লিজা ভাবির কিসের অভাব? টাকা? সম্পত্তি? স্বামির ভালোবাসা? ওর তো ৩ বছরের একটা মেয়েও আছে। আর আমার তো মনে হয় না সাদিক ভইয়া ওর কোন চাওয়াই আপর্ণ রেখেছে তাহলে কেন?


এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে শাওন তাকিয়ে দেখে ৩.৪৬ মিনিট। ওরে বাবারে রে বলে উঠে দাড়ায় শওন। আজ প্রাইভেট মিস হবে বলে মনে হয়। হোটেল থেকে বেড়িয়ে এসে বাইক নিয়ে চলে যায় শাওন। এদিকে প্রায় ১৫ মিনিট পর বাসার সামনে চলে আসে লিজা। তারপর সিনজি ভারা দিয়ে লিজা সিমাকে বললো।


--"কি রে সিমা তোর ভাইয়া আবার আসে নাই তো?


--"মনে হয় আসে নাই ভাবি। আসলে তো বাইরে গাড়ি থাকতো।


--"হুম আচ্ছা তারাতারি চল।


অতঃপর লিজা বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেস হয়ে সোফায় বসে টিভি দেখছে। এমন সময় শিপন এর ফোন। লিজা প্রথমে ধরলো না। কিন্তু শিপন ও নাচর বান্দা ফোন দিয়েই যাচ্ছে। অতঃপর কলটা রিসিভ করলো লিজা।


--"কি বলবি তারাতারি বল (লিজা)


--"কলটা ধরতে এতো দেরি হলো কেন ভাবি? জানতে পারি?


--"আমি কি তোর বউ যে তোকে সব বলতে হবে? আজাইরা পেচাল বাদ দিয়ে কেন কল করেছিস সেটা বল।


--"কাল একটু দেখা করতে পারবে?


--"না কাল হবে নাহ।


--"কেন?


--"আমার সমস্যা আছে। আর মনে রাখিস আমি কোন পতিতা না যে তুই ডাকলি আর আমি চলে আসবো। আমার সংসার আছে। সব কিছু মেইনটেন করে চলতে হয় আমার।


--"তো কবে দেখা করবে?


--দেখি………………টুটু কলটা কেটে দিলো লিজা।


তারপর সিমাকে এক কাপ চা দিয়ে যেতে বলে আবারো টিভি দেখায় মনো্যোগ দিলো লিজা। তারপর সামিরাকে কোলে নিয়ে। (অহ্ সামিরা হচ্ছে লিজার মেয়ে)সিরিয়াল দেখছে, লিজার পছন্দের সিরিয়াল বলে কথা।


--"এই নিন ভাবি চা।


--"হুমমম, তোর কাজ শেষ? (হাত বাড়িয়ে চা নিয়ে বললো লিজা)


--"হুমমম ভাবি।


--"আচ্ছা তো বস এখানে টিভি দেখি।


--"হুমমম ভাবি..

বলেই ফ্লোরে বসে পড়লো সিমা।


--"আরে সোফায় বস না। এখন কি তোর ভাইয়া আছে।


তারপর সোফায় বসতে বসতে সিমা বললো।


--"কেমনে আপনি একসাথে দুইজনকে সামাল দেন ভাবি? শাওন শিপন দুজন প্রেমিক বলেই একটা শ্বাস ছাড়লো সিমা।


তারপর লিজা একটা হাসি দিয়ে বললো।

--"দুই জন কোথায় রে, তিন জন, তোর ভাইয়া আছে না?


--"হুমমমমমম, (বলেই একটা আবারো দীর্ঘগশ্বাস ছাড়লো সিমা)


সিমা তখন মনে মনে ভাবছে আমি একটাকেই সামাল দিতে পারি না। আর ওনি তিন টা!!!


বিকাল ৫টা। গাড়ির হর্ন শুনে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠে পরে সিমা। সিমার কান্ড দেখে মুসকি একটা হাসি দিলো লিজা আর বললো।


--"এতো ভয় করিস তোর ভাইয়াকে?


--"হুমমম ভাবি অনেক।


তহলে আমাকে যে এসবে সাহায্য করিস যদি জানতে পারে?


সিমা চুপচাপ……………


--"কি ব্যাপার লিজা কি করছো? আমার মামুনি সামিরা কেমন আছো?


বলেই ধপ করে সোফায় বসে পরলো সাদিক, অনেক ক্লান্ত সে।


--"এইতো টিভি দেখছি আজ কি খুব বেশি ক্লান্ত?

আর তোমার অফিস তো ৪ টা বাজে শেষ হয়।

তাহলে মাঝে মাঝে ৫-৫:৩০ এমনকি কোন দিন ৬ বাজেও বাসায় আসো কেন? (লিজা)


--"হুমমম অনেক কাজ থাকে তাই।


--"আচ্ছা যাও ওপরে যাও গিয়ে ফ্রেসহয়ে নাও আর বাহানা দিতে হবে না। (লিজা) 


তারপর লিজা নাস্তা রেডি করছে। 

আর এদিকে "ওকে বলেই ওপরের দিকে হাটা দিলো সাদিক। 


--"যা সিমা তোর ভাইয়াকে নাস্তা দে। (লিজা)


--"ওকে ভাবি, যাচ্ছি।


এদিকে সাদিক ওপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। তারপর নাস্তার টেবিলে আসলো।


--"কি রে সিমা নাস্তা রেডি?


--"হুমম ভাইয়া বসুন দিচ্ছি।


তারপর নাস্তা সেরে সাদিক নিচে লিজার কাছে চলে আসে।


--"নাস্তা করছো?


--"হুমমমম করলাম.!


--"আচ্ছা সন্ধা তো হয়ে এলো বাজারে যাবা না?


--"নাহ্ আজ যাবো না! যা আছে তাই দিয়ে সিমাকে চালিয়ে নিতে বলো।


এভাবেই দুজনে গল্প করতে করতে অনেটা সময় কেটে গেলো। এখন রাত ১০ টা। লিজা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে নাইট ড্রেস পড়ছে আর সাদিককে দেখছে সাদিক বসে ল্যাপটপে নিজের কাজ করছে। তারপর লিজা সাদিককে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বললো।


--"আর কতো অফিসের কাজ করবা? ঘরে যে বউ আছে সেটা ভুলে গেছো?


সাদিক নিজের কাজ রেখে লিজাকে হ্যাচকা একটা টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরলো আর বললো 


--"না ভুলি নাই...


বলেই লিজার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো। লিজাও নিজের স্বামির সোহাগ চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট চলতে থাকলো। তারপর হঠাৎ টেবিলে রাখা লিজার ফোটের মেসেজ টোন টা বাজতেই দুজনের চোখ সেদিকে গেলো…………

.

.

চলবে………………♥♥

.

গল্প :- চাহিদা 

পর্ব :- ০১

Kabbo Ahammad

.

.

গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন প্লিজ।

লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো তাই সকলের সাথে শেয়ার করলাম 🥰  পরিবর্তন 🌹

 লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো তাই সকলের সাথে শেয়ার করলাম 🥰 


পরিবর্তন 🌹


আমার বন্ধু সেদিন ৫০ বছর বয়সে পা দিল। 

আমি জিজ্ঞেস করলাম, নিজের মধ্যে -এই বয়েসে পৌঁছে, কিছু পরিবর্তন অনুভব করছিস কি?

বন্ধু উত্তর দিল.....


এতবছর নিজের বাবা মা, ভাইবোন, স্বামী,ছেলেমেয়ে, বন্ধুবান্ধব সবাইকে ভালবাসা দেবার পর এবার শুধু নিজেকে ভালবাসতে শুরু করেছি। হ্যাঁ, আমি পরিবর্তিত হচ্ছি। 


দীর্ঘদিন পরে বুঝতে পেরেছি যে আমি কোনো মানচিত্র নই যে সমস্ত জগত আমার ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে। তাই, সবাইকে ঝেড়ে ফেলে -আমি বদলে যাচ্ছি।


আজকাল আমি দোকানে, বাজারে গিয়ে দু'পয়সা নিয়ে আর ঝগড়া করি না। কারণ আমি বুঝতে শিখেছি, দু'চার পয়সা বেশী খরচ হলে আমি দরিদ্র হয়ে যাব না। বরং যে লোকটি দু'পয়সা বেশী রোজগারের আশায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে সে দু'পয়সা বেশী পেলে হয়ত তার মেয়েটির লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবে। সত্যি, আমি বদলে যাচ্ছি। 


আজকাল রিক্সা-টেম্পো থেকে নেমে খুচরো টাকা নেবার জন্য অপেক্ষা করি না। যে লোকটি রাস্তায় পরিশ্রম করছে রাতদিন, ক'টা টাকা বেশী পেলে হয়ত তার মুখে হাসি ফুটবে। সেই হাসিটুকুর আশায় আমি নিজেকে বদলে দিচ্ছি। 


বয়স্ক লোকদের বলা একই গল্প বারবার শুনেও থামতে বলি না। বুঝতে শিখেছি, এই গল্পগুলোর মধ্যে তাদের অতীতের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, যা তাদের নিস্তরঙ্গ জীবনে কিছুটা আনন্দ বয়ে আনে।তাই, আমি আর সেই আগের মত তাদের কথা শুনে বিরক্ত হই না। 


লোকের ভূল ত্রুটি দেখে তাকে শুধরে দেবার জন্য আগের মতন আর প্রাণপণ লড়াই শুরু করি না কারণ আমি বুঝতে শিখে গেছি, সারা পৃথিবীর লোকদের শোধরানোর দায় আমার নয়। বরং আমার মনের শান্তি আমার কাছে অনেক বেশী দামী। 


হ্যাঁ, আমি বদলে গেছি। এখন আমি বিনা কারণেই মানুষকে অভিনন্দন জানাই, তাদের প্রশংসা করি, এতে তারা যে আনন্দ পায়, তাদের সেই আনন্দ দিতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত হই। 


আমাকে কেউ অবজ্ঞা করলে আমি আর আগের মত অপমানিত হই না, বরং দূরে সরে যাই তাদের থেকে। আমি বুঝি, তারা হয়ত আমার মূল্য বুঝতে না পেরে আমায় হেলা করছে, কিন্তু আমিতো জানি -আমার কাছে আমি অমূল্য। 


আজকাল আবেগের যখন-তখন অপ্রত্যাশিত প্রকাশ আমাকে আর লজ্জিত করে না কারন আমি শিখে গেছি যে এই আবেগগুলোই আমাকে ‘মানুষ’ বলে নিজের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। 


এখন আর নিজের Egoকে আঁকড়ে ধরে থাকি না। বুঝে গেছি, Ego মানুষকে একাকীত্বের দিকে ঠেলে দেয়। বরং এটি ছেড়ে দিলে সম্পর্কগুলো সুন্দর হয়ে ওঠে। 


প্রতিটি দিনকে জীবনের শেষ দিন মনে করে বাঁচি, তাই দিনের প্রতিটি মূহুর্তকে মূল্যবান মনে করে জীবনকে উপভোগ করে বাঁচতে শিখে গেছি। 


আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছি, নিজেকে আনন্দ দেবার জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে নেই, আমার আনন্দের জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই সম্পূর্ণভাবে আমার সুখ, আমার আনন্দের জন্যে দায়ী। হ্যাঁ, আমি বদলে যাচ্ছি, এই বয়সে পৌঁছে আমি জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে শিখেছি। তাই আমার ভেতরেও পরিবর্তন হয়ে চলেছে।


লেখাটা সংগৃহীত.....

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...